নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের প্রসঙ্গে আলাদা করে বলার মতো কিছু নেই, ১৬ কোটি শেয়ার হোল্ডারের দেশে আমিও একজন শেয়ার হোল্ডার।

মাহফুজ ইসলাম মেঘ

আত্ম-পরিচয় দেবার মতো এখনো কোন পরিচয় জোগাড় করা হয়নি।

মাহফুজ ইসলাম মেঘ › বিস্তারিত পোস্টঃ

চলুন, মানুষ হই।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:২৩

কেমন যেন হয়ে যাচ্ছি আমরা। কেমন যেন, কিছুটা যান্ত্রিক, অনেকটা অমেয়। সম্প্রীতিবোধ, পরষ্পর সহযোগিতা এসব বলে যে কিছু কথা একটি সমাজব্যবস্থায় থাকতে পারে, তা যেন আমরা মানতে নারাজ। যে যতোটা পারছি, এসব শব্দকে ঝেঁটে ফেলে দিচ্ছি আমাদের মস্তিস্কের শব্দ ভান্ডার থেকে।
ব্যাপারটা বুঝতে কষ্ট হলে, একটা উদাহরণ দিই, তাহলে হয়তো যা বলতে চাচ্ছি তার বোধগম্যতা কিছুটা হলেও সহজতর হবে।

ধরুন, আপনি বিদ্ধস্ত, ক্লান্ত শরীরে কিংবা খুব তাড়াহুরোতে আছেন। আপনার যাতায়াতের জন্য কোন ব্যক্তিগত যান নেই, এবং যেখানে যেতে চাচ্ছেন তার দূরত্বটাও অল্প। তাই আপনি বাধ্য একটা রিকসা ভাড়া করতে।
আর আপনার এই দুর্বলতার চরম সুযোগ নিবে রিকসা ওয়ালারা।
এক্ষেত্রে যদি ভাড়া হয় দশটাকা তবে তারা পনেরো তো দূরের কথা, এমনকি প্রথম বারে ত্রিশটাকাও চেয়ে বসতে পারে।
ভাবছেন, গরীব, সে এই দশ পনেরো টাকা বেশি চেয়েছে বলেই মহাদোষী করে ফেলেছি, আজ্ঞে না, ব্যাপারটি ও ভাবে দেখবেন না।
পেশা কে পেশা হিসেবে দেখা উচিত। যাতায়াত এক প্রকার সেবা। তাই যে সেবা দিবে, তার অমেয় হওয়া মানবিক চাহিদা। আর যদি কেও সেবা দেয়, যে সেবা নিবে সে তার দাম দিতে বাধ্য। কিন্তু এখানেও ঝামেলা আছে। আমরা যারা সেবা নিচ্ছি, এখানেও কিছু কুলাঙ্গার আছি, যারা কেবল ভাবি এসব সেবকরা নিজের বাবার কেনা গোলাম, সারাজীবন পা চেটেই যাবে।
এখন আবার ফিরে আসি পুরোনো আলাপে।
এ ব্যাপারটি যে কেবল রিকসা চালক আর যাত্রীর মাঝেই সীমাবদ্ধ তা কিন্তু না, বরং এগুলো আমাদের রজ্জুতে ঢুকে যাচ্ছে, আঘাত করছে সমাজের প্রতিটি স্তরে স্তরে।

আজকাল স্বার্থহীন কোন আজ আমরা করি না। একেবারেই না। যেমন ধরুন,
ছাত্র ঘুরে শিক্ষকের পেছনে, কেবল কি শিক্ষা অর্জনের জন্য???
মোটেই না, আসল লক্ষ্য থাকে পরীক্ষায় পাস, হোক সেটা স্কুল, কলেজ কিংবা ভার্সিটির।
আর শিক্ষক মহাদয়দের কয়জনই বা শিক্ষাদানকেই মূল উদ্দেশ্যের কাতারে রাখেন?
ছাত্র শিক্ষকের মাঝে কারওই মূল উদ্দেশ্যই যখন শিক্ষা হয় না, সেখানে শিক্ষার মূল নির্জাস কিভাবে উপলব্ধিত হবে বলুন??
ভালোবাসা-সম্প্রীতি তো বহুদূরের চিন্তাভাবনা।

রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি, শাষন নীতি, শোষন নীতি এমনকি স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিদ্যমান সংসার নীতিতেও আজকাল এ স্বার্থ নামের বিষাক্ত কীট ঢুকে পড়ছে। যা গিলে খাচ্ছে ভালোবাসাকে,ঠোটের হাসির ভাজে ভাজে লেগে থাকা সুখগুলোকে।
.
তবে আমরা কি পারি না, এ স্বার্থটাকে দূরে ঠেলে রাখতে?
আরেকজনের মুখে হাসি দেখতে নিজে একটু কেঁদে নিতে?
এতে তো জীবন দিতে হবে না, মান বিসর্জন দিতে হবে না, হয়তো যা হবে তা একটু পরিশ্রম বা বাড়তি চেষ্টা, ইচ্ছার খরচ।
সেগুলোর সংরক্ষন করা কি খুবই দামী?
জীবনের চাইতেও বেশি?
একাত্তুরে যারা স্বেচ্ছায় তাদের জীবন দিয়েছিল, আমাদের জীবন টিকিয়ে রাখার জন্য, তাদের কথা চিন্তা করেও কি আমরা পারি না, সতেরো কোটি মানুষ একে অপরের ভাই হয়ে যেতে??
একটা সুন্দর পরিবার গড়ে তুলতে??
পারি কি আমরা???
নাকি পারিনা?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.