নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনকে নতুন করে বাঁচতে শিখা

মাহি রহমান

প্রতিটা দিন নতুন নতুন কিছু জানা এবং নতুন কিছু শিখার চেষ্টা

মাহি রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মিহী

২৩ শে জুন, ২০১৮ রাত ১১:৫৫

মিথীলা ডাক নাম মিহী।।বাবা মা এর খুবি আদর এর একটা মাএ মেয়ে।দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি পড়া শুনাতেও খুব মেধাবী।মধ্যবিত্ত পরিবার ওদের। মিরপুরে ভাড়া বাড়িতে থাকত। খুব হাসিখুসি স্বভাব এর মেয়ে ছিল। অল্পতেই মানুষের মন জয় করার মতো জাদু ছিল হয়তো ওর কাছে। মিহী এস এস সি তে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়ে ঢাকা কমার্স কলেজ ভর্তি হয়।বেশ ভালোই দিন যাচ্ছিল মিহীর। স্কুল লাইফ শেষ করে কলেজে উঠেছে। নিজেকে খুব বড় বড় ভাবতে শুরু করে। মিহীর অনেক ফ্রেন্ড হয়েছে। মিহীর কলেজ বান্ধবী অনেক এর বয় ফ্রেন্ড ছিল। মিহীকে নিয়ে অনেকই হাসাহাসি করত কারন ও এতো সুন্দর তবুও কেন ওর বয় ফ্রেন্ড নেই। মিহী সিদ্ধান্ত নিল ও এই বার বয় ফ্রেন্ড বানাবেই। মিহীরা যেই বাসায় ভাড়া থাকত ওই বাসার বাড়ি ওলার ছেলে রাতুল মিহীকে ভালোবাসত। মিহী এই ভালোবাসার কথা জানার পরে সেও রাতুলকে ভালোবাসতে শুরু করে। পরিবারের অগোচরে ওরা দেড় বছর টানা প্রেম করে। মিহীর বাবা মা ততদিনে রাতুলদের বাড়ি ছেড়ে দিয়ে সাভারে তাদের নতুন বাড়িতে চলে আসে। মিহীর টেষ্ট পরীক্ষা শুরু। হঠাৎ করেই পরিবারের অগোচরে রাতুল মিহীকে বিয়ে করে ফেলে। যেহেতু মিহীরা রাতুলদের বাসার ভাড়াটিয়া ছিল তাই মিহীকে ব‌‌উ হিসেবে মেনে নিতে পারে নাই রাতুল এর পরিবার। মিহীর বাবা মাও খুব কষ্ট পায়। তাদের মেয়ে এমন করবে কখনো ভাবেনি, মিহীকে নিয়ে তাদের খুব স্বপ্ন ছিল। মিহীর এমনটা মিহীর বাবা মা এক বছর কোন খোজ নেয়নি। এই একটা বছরে মিহীর জীবনে অনেক কিছু বদলে গিয়েছে। রাতুল ছিল বেকার এব‌ং খুবি অলস ছেলে। বিয়ের কারনে মিহীর আর এইচ এস সি পরীক্ষাটা দেওয়া হলো না। রাতুল বেকার থাকায় মিহীর সংসার জীবন খুবই কষ্টের ছিল। তবুও কোনদিন মুখ ফুটে কাউকে কিছু বলেনি। রাতুলের পরিবারের প্রতিটি মানুষ মিহীকে খুব কষ্ট দিত। পরিবারের মানুষ রাতুল এর কাছে মিহীর নামে বিচার দিতেই থাকত এবং রাতুল মিহীকে খুব মারধর করত। মিহীর কোন ভুল হলেই খাবার বন্ধ করে দিত। একবার মিহী সামান্য ভুল করাই রাতুল খুব মেরে পাঁচ দিনের খাবার বন্ধ করে দেয়। খাবারের কষ্ট সহ্য করতে না পেরে রাতুল এর পরিবারের কাছে খাবার ভিক্ষা চাইত। এই ভাবেই দিন যাচ্ছিল মিহীর। শুধু আল্লাহ কাছে বলত তার জানো কষ্টে দিন শেষ হয়। আল্লাহ হয়তো মিহীর দোয়া কবুল করেছিল। সেই দিনটা ছিল সোমবার। মিহীর ভীষণ জ্বর হয় ওকে সবার জন্য রান্না করতে বলে কিন্তু রান্না না করতে পারায় রাতুল সহ সবাই খুব মারে। এবং সেই দিন সন্ধায় মিহী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে। মিহী মারা গেছে এটা কাউকে জানায় নি। রাতের মধ্যেই মিহীর লাশ দাফন করে আজিমপুর কবরস্থানে। মিহী মারা যাওয়ার চার দিন পরে মিহীর পরিবার জানতে পারে কোন এক মাধ্যমে। পুলিশ এবং মিডিয়ার মাধ্যমে মিহীর লাশ কবর থেকে এনে ময়না তদন্ত পরে জানতে পারে মিহীকে কারা এবং কি নির্মম ভাবে মেরেছে। রাতুল এর পরিবারের সকলের নামে মামলা হয়। কিন্তু টাকার বিনিময়ে রাতুলরা মামলা উইথ ড্র করে ফেলতে পারে। রাতুল আবারও বিয়ে করেছে এবং তাদের নয় বছরের একটা ছেলে। হয়তো এই বউকে মারে না কারন এই বউয়ের বাড়ি আছে এবং অনেক টাকাও আছে। ভালোবাসা হেরে যায় টাকার কাছে তা আবারো প্রমাণ। আজো মিহীর মতো প্রানোবন্ত জীবন অকালেই জড়ে যায় এবং সুষঠ বিচারও পায় না। আজো রাতুলের মতো ছেলেরা টাকার বিনিময়ে হাজারো অন্যায় ধামাচাপা দিয়ে ফেলে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:২১

কাইকর বলেছেন: ব্লগে স্বাগতম।সিনিয়র ব্লগারদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলুন এবং বেশি বেশি মন্তব্য করুন তাহলে খুব তাড়াতাড়ি সেফ হয়ে যাবেন। ধন্যবাদ।

২| ২৪ শে জুন, ২০১৮ রাত ১০:২১

মাহি রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.