নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লোকে বলে প্রথম প্রেমটা বড্ড কোমল\nএলোমেলোযায়না \nভোলা কোনোদিনও\nসত্যি কি তাই

কবিতা পড়ার প্রহর

কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে রাতের নির্জনে

কবিতা পড়ার প্রহর › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনেকটা পথ হেঁটে এসেও হয়নি হাঁটা তোমার পাশে

১৬ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৩:৩০


অনেকক্ষন যাবৎ কিবোর্ডে হাত রেখে বসে আছি। বুকের ভেতর কত কথাই যে গুমরে মরছে। কিন্তু কিছুই লেখা হয়ে উঠছে না। ভাবনাগুলো সব এলোমেলো। কোথা থেকে কি মাথায় আসছে। ঘুরপাক খাচ্ছে। ঠিক ধরে রাখা যাচ্ছে না। ঠিক কোথা থেকে যে শুরু করবো বা এর শেষ কোথায় বা এই সব চিন্তার কোনো আগা মাথা মুন্ডু কিংবা উচিৎ অনুচিৎ বা কারণই আছে কিনা সেটাও ঠিক বোধগম্য হচ্ছে না।

তাই লিখে ফেলতে চাচ্ছিলাম। অনেক কাল আগে একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বলেছিলেন। যখন তোমার রাগ হবে কিংবা দুঃখ সেটাকে লিখে ফেলবে। হাতের কাছে কাগজ,কলম বা পেনসিল না থাকলেও টেবিল চেয়ার বা মাটির উপরেও লিখতে পারো। মাটি বা টেবিলটাকে কাগজ বানিয়ে হাতের আঙ্গুলকে কলম বা পেনসিল ভেবেই লিখতে শুরু করবে। তাহলে দেখো তোমার লেখার সাথে সাথে তোমার রাগ, দুঃখ বা ক্রোধটাও বের হয়ে আসবে। আর তারপর কাগজটাকে দলা পাঁকিয়ে শুন্যে ছুড়ে ফেলবে। ব্যস হয়ে গেলো তোমার কাজ। তোমার ভেতরের সব দুঃখ কষ্ট বেদনা ঘৃনা ছুড়ে ফেলে দেবে তুমি নিজেই।

হাসি পায় মাঝে মাঝে সেই ডক্টরের কথা ভেবে। ডক্টর আমাকে বলেছিলো দুঃখ কষ্ট রাগ বা বেদনাকে ছুড়ে ফেলে দিতে। কিন্তু ভালোবাসা ? সেটাও কি দূরে ছুড়ে ফেলে দেওয়া যায়? নাহ ডক্টর ভালোবাসাটাকে ফেলতে বলেননি। তাহলে? তাহলে উপায় কি? কি করবো আমি? তাই আমি লিখছি। কারণ এটা রাগ, দুঃখ বা ক্রোধ না। এটা ভালোবাসা। যা আমি দূরে ছুড়ে ফেলবো না। কিন্তু যার জন্য এই ভালোবাসা সে কখনও জানবেও না। কারণ আমি কখনই সেই লেখা চিঠি তাকে পাঠাবো না। এইটুকু লিখতে লিখতে মনে পড়ে গেলো অনেকদিন আগে শোনা এক গান-
প্রিয়তম, কি লিখি তোমায়?
তুমি ছাড়া আর কোনোকিছু ভালো লাগে না আমার।
নাহ গানটার লাইনগুলি আমার মনের এই এলোমেলো ভাবনার সাথে তেমন যূৎসই হলো না। এটা নিছক প্রেমের গান। শুধু প্রেম নয়। একেবারে সদ্য প্রেমে পড়া কোনো মানুষের গান। মানুষ যখন প্রেমে পড়ে। প্রথম প্রথম ঠিক এমনই অনুভূতি হয়। শয়নে স্বপনে জাগরণে শুধু একই মুখ। ভাবনা, চিন্তা, ভালোলাগায়, ভালোবাসায় জড়িয়ে থাকে শুধু সেই মুখটিই। তাকে ছাড়া তখন তার জগৎ শূন্য। জগতের সকল কর্মকান্ড তখন শুধু চলে তাকে ঘিরেই। কাজেই এই গানের লাইনগুলি কোনোভাবেই আমার অনুভূতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
কৃষ্ণচূড়ার বনে ছায়াঘন পথ, আঁকাবাঁকা পায়,
আমার আঙ্গিনা থেকে চলে গেছে তোমারই মনে
বসে আছি বাতায়নে তোমার আশায়.........
না আমার কোনো আশা নেই। কারো জন্য আমি বসেও নেই। শুধু কৃষ্ণচূড়ার ছায়াঘন পথ ধরে আমার মনটিই চলে গেছে তারই মনের আঙ্গিনায় আজ। পৌছে গেছে এক অদৃশ্য কালীতে লেখা চিঠি। যে চিঠি কোনোদিন তার পড়া হবে না। জানাও হবেনা কি রোদন লেখা ছিলো সেই চিঠির ভাঁজে ভাঁজে। এ এক আশ্চর্য্য অনুভূতি।! বলে বা লিখে কখনও বুঝানো যাবে না। বসে বসে ভাবছি মনের এই অদ্ভুৎ গতিবিধি নিয়ে।

আমি শুধু ভাবি আর ভাবি। অনেকদিন ভেবেছি এ ব্যাপারটা নিয়ে। আচ্ছা বন্ধুত্ব, ভালোবাসা এবং প্রেম। কথাগুলি আলাদা আলাদা কিন্তু সবগুলো কি একই সাথে আঙ্গাঙ্গিভাবেই জড়িত? একদিকে ভাবলে তো তাই। বন্ধুত্ব থেকেই হয় ভালোবাসা। আর ভালোবাসা থেকে প্রেম। তবে আমার কেনো হলো না? বন্ধুত্ব, ভালোবাসা এবং প্রেমের মাঝখানে আমার কেনো এত দাঁড়ি,কমা সেমিকোলন এসে দাঁড়ালো আমার মনের মাঝে? কেনো আমি পারলাম না সবগুলিকেই একই সুতোয় বেঁধে নিতে? বহু দিনের পূরোনো বন্ধু। ভালোবাসা তো অবশ্যই ছিলো। একে অপরকে আগলে রাখা, সুখে দুখে পাশে থাকা সবই তো ঠিক ছিলো।

সূচিশুভ্র বন্ধুত্বের আলোকে তুমি হয়ে উঠেছিলো আমার কাছে বুঝি মানবিক জৈবিক চাহিদার উর্ধে অপার্থীব কোনো দেবদূত। কল্পনায় হয়ত ওভাবেই ভাবতাম তোমাকে। কখনও রক্ত মাংসের মানুষ হিসাবে অমার মনটাকে বোঝাই হয়নি আমার।

আর তাই একদিন হঠাৎ দু'হাত জড়ো করে যখন সামনে এসে বসেছিলে। হাঁটু গেড়ে জানিয়েছিলে আকুল আর্জী তোমার । হতবিহ্বল, বিমুঢ় ছিলাম বুঝি। মনে পড়ে জয় গোস্বামী আর তোমার গলার সেই সূর-

সংকোচে জানাই আজ: একবার মুগ্ধ হতে চাই।
তাকিয়েছি দূর থেকে। এতদিন প্রকাশ্যে বলিনি।
এতদিন সাহস ছিল না কোনো ঝর্ণাজলে লুণ্ঠিত হবার –
আজ দেখি অবগাহনের কাল পেরিয়ে চলেছি দিনে দিনে …

…জানি, পুরুষের কাছে দস্যুতাই প্রত্যাশা করেছো।
তোমাকে ফুলের দেশে নিয়ে যাবে ব’লে যে-প্রেমিক
ফেলে রেখে গেছে পথে, জানি, তার মিথ্যে বাগদান
হাড়ের মালার মতো এখনো জড়িয়ে রাখো চুলে।

আজ যদি বলি, সেই মালার কঙ্কালগ্রন্থি আমি
ছিন্ন করবার জন্য অধিকার চাইতে এসেছি? যদি বলি
আমি সে-পুরুষ, দ্যাখো, যার জন্য তুমি এতকাল
অক্ষত রেখেছো ওই রোমাঞ্চিত যমুনা তোমার?

শোনো, আমি রাত্রিচর। আমি এই সভ্যতার কাছে
এখনো গোপন ক’রে রেখেছি আমার দগ্ধ ডানা;
সমস্ত যৌবন ধ’রে ব্যধিঘোর কাটেনি আমার। আমি একা
দেখেছি ফুলের জন্ম মৃতের শয্যার পাশে বসে,
জন্মান্ধ মেয়েকে আমি জ্যোস্নার ধারণা দেব ব’লে
এখনো রাত্রির এই মরুভুমি জাগিয়ে রেখেছি।

দ্যাখো, সেই মরুরাত্রি চোখ থেকে চোখে আজ পাঠালো সংকেত –
যদি বুঝে থাকো তবে একবার মুগ্ধ করো বধির কবিকে;
সে যদি সংকোচ করে, তবে লোকসমক্ষে দাঁড়িয়ে
তাকে অন্ধ করো, তার দগ্ধ চোখে ঢেলে দাও অসমাপ্ত চুম্বন তোমার…
পৃথিবী দেখুক, এই তীব্র সূর্যের সামনে তুমি
সভ্য পথচারীদের আগুনে স্তম্ভিত ক’রে রেখে
উন্মাদ কবির সঙ্গে স্নান করছো প্রকাশ্য ঝর্ণায়।


বিস্মিত হয়েছিলাম আমি। ঘটনার আকস্মিকতায়! বিমুঢ় বিহ্বলতায়। এক নিমিষে তখন তুমি দেবদূত হতে তুচ্ছ সামান্য মানুষ। মহাপুরুষ হতে সামান্য পুরুষ হয়ে গেলে। সে কটা দিন টানাপোড়েন, দ্বিধাদ্বন্দ্ব প্রলয়ংকরী ঝড়ে হৃদয় হয়েছে ব্যাকুল। তোমার ভালোাসার জালে আষ্ঠেপৃষ্ঠ বাঁধা তখন আমি। সাধ্য কি আমার সেই জাল কেটে বেরিয়ে আসি? সেই মায়াজাল কুহলিকায় ছটফট করে মরেছি আমি। তবুও পারিনি। ব্যর্থ হয়েছি। শেষ পর্যন্ত অনেকটা পথ হেঁটে এসেও হয়নি হাঁটা তোমার পাশে-

অনেকটা পথ হেঁটে এসেও হয়নি হাঁটা তোমার পাশে
জানালাটায় মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়ি গল্প শেষে


ভুলের ছকে বাধা জীবন চলছে এখন যেমন তেমন
উঠবে না তো আবার গেয়ে তোমার জন্য আমার এ মন
কোলাহলের চারিপাশে আমার দুঃখ থাকে মিশে
স্বপ্ন ভাঙ্গা স্বপ্ন আমার বৃষ্টি ঝরায় দূর আকাশে
অন্ধকারের রঙ্গে আঁকা ভাবনাগুলোর ভেজা চোখ
সাদা কালোর স্বপ্ন জুড়ে সারা দুপুর বৃষ্টি হোক

অনেকটা পথ হেঁটে এসেও হয়নি হাঁটা তোমার পাশে
জানালাটায় মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়ি গল্প শেষে

গল্পগুলো আমার শুধুই চার দেয়াল আর অন্ধকারের
এরই মাঝে আসা যাওয়া স্বপ্নভাঙ্গা আমার গানের
হয় না কিছুই আমার পাওয়া বদ্ধ ঘরের স্বপ্ন ছাড়া
নিয়ন আলোর বর্নমালায় স্বপ্ন শুধুই তোমাকে চায়
মধ্যরাতের গল্প আমার চেনা কথায় অচেনা সুর
সম্মোহনের আলোছায়ায় হাটছি পথ বহুদূর

অনেকটা পথ হেঁটে এসেও হয়নি হাঁটা তোমার পাশে
জানালাটায় মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়ি গল্প শেষে



হ্যাঁ অন্ধকারে বসেই আজ ভাবছি আমি। যে স্বপ্ন আমি তোমার ভেঙ্গে দিয়েছিলাম। আজ সেই স্বপ্নগুলোই ফিরে আসছে কেনো? কেনো ফিরে ফিরে টানছে আমার সেই নিস্বার্থ ভালোবাসার নৈস্বর্গিক দিনগুলো। হাতছানি দিয়ে ডাকছে আজ সেই সমৃতিগুলি। বুকের ভেতর ব্যথার কাঁপন। চাপা দীর্ঘশ্বাসগুলি মিশে যাচ্ছে রাতের আঁধারে.....

হয় না কিছুই আমার পাওয়া বদ্ধ ঘরে স্বপ্ন ছাড়া
অন্ধকারে নিজের ভেতর আমার গানের আসা যাওয়া
আলোর নিচে থাকি বসে মেঘাচ্ছন্ন একলা রাতে
নিজের ভেতর স্বপ্নগুলো ক্লান্তি হয়ে যাচ্ছে মিশে
অচেনা সব মুখের ভিড়ে স্বপ্নগুলো আসছে ফিরে
ঝাপসা গানের শুন্য চোখে ভাবছি বসে অন্ধকারে.....

অনেকটা পথ হেঁটে এসেও হয়নি হাঁটা তোমার পাশে
জানালাটায় মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়ি গল্প শেষে ........

না এ গল্প শেষ হবার নয়। সহস্র এক রজনীতেই শেষ হবে কিনা জানা নেই আমার। আমি লিখবো। আবার লিখবো। তোমাকে লিখবো। তোমার জন্যই লিখবো অথবা আমার জন্য। এ আমার জবানবন্দী। নিজের সাথে নিজের বোঝাপড়া.......

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:২১

খায়রুল আহসান বলেছেন: উফ, এত কষ্টের কথা! তবুও এত মিষ্টি!
আওয়ার সুঈটেস্ট সংস আর দোজ...

১৬ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৩০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হ্যাঁ দুঃখবিলাসের সহায়ক সংগস ...

২| ১৬ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৩১

মা.হাসান বলেছেন: আপনি ভালো লেখেন। আপনার লেখা প্রথম পাতায় আসা উচিৎ। আপনি [email protected] এই ঠিকানায় ইমেইল করে আপনাকে প্রথম পাতায় একসেস দেবার অনুরোধ জানাতে পারেন।

১৬ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৫৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ইমেইল করবো? লজ্জা লাগবে মা হাসানভাই। আপনার কথা ভুয়া মফিজ ভাই বলছিলেন আমার আগের কবিতাতে। । আপনি সেই কবিতা পড়লে নাকি কবিতার মর্ম বুঝবেন। উনি কবিতা থেকে শত হস্ত দূরে থাকেন। ধন্যবাদ প্রশংসার জন্য। আসলে এই লেখাগুলোর মাথামুন্ডু নেই। মাথামুন্ডুহীন ভাবনা চিন্তা কষ্টগুলো মাঝে মাঝে আমাকে ভাবায়। কষ্টও দেয় খানিকটা। লিখে ফেললে শান্তি হয়। আপনি পড়েছেন তাই অন্তর থেকে কৃতজ্ঞতা জানালাম।

৩| ১৬ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৩৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: যাকে ভালোবাসা যায়, সে নিজেই যদি প্রেম নিবেদন করে, তাহলে হয়ে যায় দেবদূত থেকে সাধারন পুরুষ মানুষ! নাহ্, ব্যাপারটা মানতে পারলাম না। আমি ভাই স্ট্রেইট ফরোয়ার্ড মানুষ। এসব আমার মাথায় ঢোকে না। প্রেম করার মোক্ষম সুযোগ হাতছাড়া করে পরে পস্তানোর মানে কি? কোন মানেই নাই। এটা হলো এক ধরনের দুঃখ বিলাসিতা!!

যাই হোক, এটা গল্পই হোক কিংবা আপনার নিজের কাহিনী......লিখেছেন চমৎকার! টুকটাক কিছু সমস্যা থাকলেও সেটা ধর্তব্যের মধ্যে পড়ে না। আসলেই আপনি চমৎকার লিখেন। আপনার লেখা প্রথম পাতায় আসা উচিত।

আপনার যদি ব্লগের মডারেটর কাল্পনিক_ভালোবাসা ওরফে জাদিদ ভাইকে মেইল করতে লজ্জা লাগে, তাহলে আপনার হয়ে আমি বলতে পারি। অবশ্য অবশ্যই যদি আপনি লেখালেখি তথা ব্লগিংয়ের ব্যাপারে সিরিয়াস হন, তাহলেই। ইন দ্য মিন টাইম, আপনি অন্যদের লেখা পড়েন, মন্তব্য করেন। অর্থাৎ ব্লগীয় যোগাযোগ বাড়ান। ব্লগিংয়ে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আপনার ব্লগিং জগতটা আনন্দময় হোক!!! :)

১৬ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:২৯

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ভালোবাসা আর প্রেমে বিভেদ আছে বলে মনে করি বলেই হয়ত এমন হলো আমার। যদিও কেলাস ফাইভে একজন বলেছিলো ভালোবাসি। তখন ভালোবাসা মানে খুব খারাপ কিছু এমন ভাবতাম বড়দের কল্যানে। তাই কেদে কেটে বাড়িতে বলে দিলাম। সেই ছেলে মার খেলো। বেচারা। নাম ছিলো শাহীন। ভূতে কালো রোগা পটকা শাহীনের মার খাবার কথা মনে পড়ে নিজেকে দোষী মনে হয়।

আপনি প্রেম করার সুযোগ পেয়ে হাত ছাড়া করে পস্তানোর কথা বলছেন। যাকে ভালোবাসেন কিন্তু শুধুই বন্ধু ভেবে মানে প্রেমিক বা প্রেমিকা রুপে যাকে ভালোবাসতে প্রস্তুত নন তাকে কি করে গ্রহণ করবেন? এটা মনে হয় না দুঃখ বিলাস ছিলো। বড়জোর বলা যায় যুক্তি বিলাস বা মনের অলি গলির খোঁজ না পাওয়া বিলাস।
তাই অনেকটা পথ হাঁটার পরেও হয়নি হাঁটা তার সাথে আর।

তারপরের টুকু পরে লিখবো।

দেখতেছেন তো আমার কত লজ্জা সেই প্রেমিকের প্রেমকেও না করে দিতে হলো। এখন বুঝতেই পারতেছেন। আমি কি পারি আর না পারি। আমার ব্লগিং আনন্দময় হোক আমিও নিজেও চাই। তাই তো লিখছি যা মনে আসছে তাই।

৪| ১৭ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ৮:৪৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার লেখার স্টাইল ভালো। অনেক আবেগ দিয়ে লিখেছেন।

১৭ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৪৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আবেগটা আসলে দুঃখবিলাসীদেরই বুঝি বেশি আসে। মাঝে মাঝে আমার এটাই হয় অথবা সব সময়ই হয়। চেপে রাখি। অনেক সময় বের করে দেই সেই ডক্টরের কথা মত। ইদানিং ডক্টরকে নিয়েও ভাবছি। তাকে নিয়েও লিখবো হয়ত। আপনাকে আবারও ধন্যবাদ।

৫| ১৭ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:২৪

মিরোরডডল বলেছেন:



মধ্যরাতের গল্প আমার চেনা কথায় অচেনা সুর
সম্মোহনের আলোছায়ায় হাটছি পথ বহুদূর

অনেকটা পথ হেটে এসেও হয়নি হাটা তোমার পাশে
জানালাটায় মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়ি গল্প শেষে


অর্থহীন সুমনের দারুণ একটা গান !

ইমোশনাল লেখাটা ভালো লেগেছে ।

১৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১:১৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ধন্যবাদ মিরোর ডল

৬| ১৯ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:২৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভালো লাগলো

১৯ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:২৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ধন্যবাদ। কবিতাটা মনে হয় বেশি ভালো লেগেছিলো। কমেন্টে চমকায় গেছি।

৭| ২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:০৭

মা.হাসান বলেছেন: প্রথম পাতায় অ্যাকসেস দেয়ার আগে মডারেটররা সাধারণত তিন দিন অপেক্ষা করে দেখেন- গ্যাঞ্জাম করার জন্য মাল্টি খোলা হয়েছে, না সত্যিকারের লেখক; বিতর্কিত লেখা দিচ্ছে, না মান সম্মত লেখা; জেনুইন, না চোরাই-- এসব যাচাই করার কথা। দুঃখের কথা, জনবলের স্বল্পতার কারণে মডারেটররা তিন দিনে প্রথম পাতায় অ্যাকসেস দিতে পারছেন না। কয়েক হাজার নতুন ব্লগার পাইপ লাইনে আছেন।

আপনি প্রথম পাতায় অ্যাকসেস পাবার সব শর্ত পুরন করেছেন, কাজেই মডারেটরের কাছে মেইল করতে সংকোচ বোধ করার কারন নেই। অবশ্যই জরুরী ভাবে মেইল করুন। আমরাও করতে পারি, তবে নিজেরটা নিজে করলে বেশি ভালো।

২) আমার বয়স ত্রিশ-পয়ত্রিশ বছর কম হলে বলতাম আমিই সেই শাহীন :`>


শাহীনের কথা ভেবে মন খারাপ রাখবেন না, নিশ্চয়ই উনি কোথাও না কোথাও ভালোবাসা খুঁজে পেয়েছেন।

৩) ব্লগে জনাব খায়রুল আহসান (১ নম্বর কমেন্টে আছেন), কাজী ফাতেমা ছবি (৬ নম্বরে আছেন ), ইসিয়াক (রফিক ভাই https://www.somewhereinblog.net/blog/Rafiqvai/ )- এঁরা নিয়মিত কবিতা লেখেন। এর বাইরে খলিল মাহমুদ ভাই ( সোনাবীজ- https://www.somewhereinblog.net/blog/farihanmahmud ), আহমেদ জী এস (https://www.somewhereinblog.net/blog/GSA1953happy/ ) , শিখা রহমান (https://www.somewhereinblog.net/blog/RupaliManobi ), স্বর্ণবন্ধন ( https://www.somewhereinblog.net/blog/roso15 )- এরা ভালো কবিতা লেখেন (আরো অনেকে আছে, অনেক বড় কবিই বাদ গেলেন)। বিজন রয় শুধু কবিতা লেখেনই না, কবিতার সংকলনও বার করেন- এটা দেখতে পারেন-- https://www.somewhereinblog.net/blog/Bijanroy/30285555

৪) অবশ্যই নভোনীলের পর্ব লিখবেন। তবে অনুরোধ, লেখা হলে আগের সাত পর্বের প্রত্যেক পাতায় যেয়ে কমেন্ট করে লিংক দিয়ে আসবেন- যাতে যারা ঐ পোস্টে আসবেন তাদের জন্য খুঁজে বের করা সহজ হয়। যেহেতু এখনো আপনার লেখা প্রথম পাতায় আসছে না, এভাবে লিংক না দিলে পাঠক জানবে কি ভাবে?

অনেক শুভ কামনা।

২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৩০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: মা হাসান ভাই এত কষ্ট করে এত কিছু লেখার জন্য কৃতজ্ঞতার ভাষা নেই। আমি নভোনীল শুরু করবো। আজ রাত থেকেই। সব কটা লেখা কপি পেস্ট করেছি যেন পুরোটা একসাথে পড়ে একটা সত্যিকারের নভোনীল দেখতে পাই।

দোয়া করছি নিজের জন্য। নভোনীলকে চোখের সামনে দেখতে পাবার দোয়া।

আপনার সব কটা শর্ত পূরণের চেষ্টা করবো। কমেন্ট লিঙ্ক খোঁজাখুঁজি....

৮| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৫৫

মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন: মনোমুগ্ধকর লেখনি। অশেষ ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো অবিরত।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:০৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.