নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লোকে বলে প্রথম প্রেমটা বড্ড কোমল\nএলোমেলোযায়না \nভোলা কোনোদিনও\nসত্যি কি তাই

কবিতা পড়ার প্রহর

কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে রাতের নির্জনে

কবিতা পড়ার প্রহর › বিস্তারিত পোস্টঃ

নভোনীল পর্ব- ৮ ( রিম সাবরিনা জাহান সরকারের অসম্পূর্ণ গল্পের ধারাবাহিকতায়)

২২ শে জুলাই, ২০২০ রাত ২:৫৩



আজ পহেলা বসন্ত। বসন্তের এই দিনটি ঘিরে মৃণের রয়েছে কিছু স্মৃতিমধুর মূহুর্ত। মৃ্ণের মনে পড়ে তখন তার বয়স ৮/৯ হবে মায়ের সাথে গিয়েছিলো লেডিস ক্লাবে। লেডিস ক্লাবের আনাচ কানাচ সেদিন ছিলো ফুলে ফুলে সয়লাব। মৃণকে মা সাঁজিয়ে দিয়েছিলেন ফুলের সাজে। বাসন্তী রঙ্গ শাড়ি। হাতে গলায় ফুলের মালা। স্কুলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নাচের আপা যেই নাচটি শিখিয়ে দিয়েছিলেন "ফুলে ফুলে ঢোলে ঢোলে বহে কিবা মৃদুবায়" সেটিই নাকি নাচতে হবে তাকে। এমনই বলেছিলেন মা। মৃণ ছোটবেলায় ভীষন চঞ্চল ছিলো। বাবা বলতেন এটি আমার চঞ্চল প্রজাপতি। ফুলে ফুলে উড়ে বেড়ানো প্রজাপতি দেখলেই তাই মৃণের মনে হত সে আগের জনমে প্রজাপতি ছিলো। এই আগের জনম পরের জনম বলতো তাদের বাড়ির সেতারার মা। কিছু হলেই বলতো, বাবারে আগের জন্মে না জানি কি পাপ করিছিনু, এই জন্মে মাইনষের বাড়ি খাঁটি খাতি হলো। এই কথা বলে সে যেভাবে চুক চুক শব্দ করতো তা মনে পড়লে আজও হাসি পায় মৃণের।

সে আজ খুব ভোরে উঠেছে। ঘুম ভাঙ্গতেই তার মনে পড়েছে নভোর কথা। ছোট খালা যখন প্রেমে পড়ে। সেই ছেলেকে নানুদের বাড়ির কারো পছন্দ ছিলো না। তাই তখন তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় ওদের বাড়িতে। নানু বলতেন, চোখের আড়াল মানেই মনের আড়াল। ছোট খালা অনেক মন খারাপ করে থাকতো। তার চোখের আড়াল হলেও সেই ছেলে কখনই মনের আড়াল হত না। ঘুমের মাঝেও রাজু রাজু করে চিল্লায় উঠতো। রোজ রোজ চিঠি লিখতো সেই ছেলেটাকে। তারপর জমিয়ে রাখতো। সেই চিঠি পাঠানো হত না কিন্তু খালা রোজ রোজ লিখতো। বলতো যেদিন ওর সাথে দেখা হবে । সব চিঠি দেখিয়ে বলবো।দেখো তোমাকে আমি রোজ কত ভালোবাসতাম। এ কথা শুনলে ওর খুব হাসি পেত। মৃণ তখন সেভেন এইটে পড়ছে। প্রেম ভালোাবসা ভালোই বুঝে সে তখন। ছোট খালা বলতো জানিস? সকালে ঘুম ভেঙ্গেই আমার ওকে প্রথমে মনে পড়ে। এটার কারণ কি জানিস? সকালে ঘুম ভেঙ্গে যার কথা মনে পড়ে সেই মানুষকে তুই ভালোবাসিস। মানে তুই তার প্রেমে পড়েছিস। এ কথা ভেবে সাত সকালেই লাল হয়ে ওঠে মৃণ। তার মানে সে নভোর প্রেমে পড়েছেই।
কিন্তু ছোটখালা? যাক সে সব কথা।

কাল রাতে সেও নভোকে চিঠি লিখেছে। যদিও চিঠিটা তার ঠিক মনের মত হয়নি। মনের ভালোবাসা কোন ভাষায় কিভাবে প্রকাশ করা যায় ভেবেই পায় না সে। আজ নভোকে সে ভড়কে দেবে। কয়েকদিন ধরেই তার নানা রকম ফন্দী বের করেছে সে। এই সন্যাসী বাবার ধ্যান এবার ভাঙ্গিয়েই ছাড়বে সে। একেক ফন্দী ভেবে একেকবার একা একাই হেসে উঠেছে। আর একটু হলে ধরাই পড়ে গিয়েছিলো সেদিন মায়ের কাছে। সেদিন আয়নার সামনে বসে মাথয় ওপর ওড়না তুলে দিয়ে বউ সেজে দেখছিলো নিজেকে আর ভাবছিলো নভো ওকে দেখলে কি ভাবতো এ কথা ভেবে নিজেই হাসছিলো। মা যে কোন ফাঁকে এসে পিছে দাঁড়িয়েছে জানতেও পায়নি। হঠাৎ মা বলে উঠলেন, কিরে বউ সাঁজার এত শখ হয়েছে? তাড়াতাড়ি বিয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। মৃণের তখন কি যে অবস্থা! মনে হচ্ছিলো ধরণী দ্বিধা হও।

আলমারী খুলে বেছে বেছে সবচেয়ে সুন্দর বাসন্তী শাড়িটাই বের করে সে। আহা আজি এ বসন্তে গুনগুন করে মৃণ অকারণ আনন্দে।তাড়াতাড়ি গোসল সেরে সাজতে বসে। এমনিতে মৃণ সাজ বলতে একটু পাউডার, আর লিপগ্লস ছাড়া কিছুই পছন্দ করে না। কিন্তু আজ তার খুব সাজতে ইচ্ছে হলো। শাড়ির সাথে কাজল, টিপ আর
কমলা লিপস্টিকও দিয়ে ফেলে। কানে ঝুমকা পরে আলগোছে হাত খোঁপা করে নেয়। তারপর ইউনিভার্সিটিতে ছোটে। মা রান্নাঘরে বিজি আছেন, মায়ের চোখ এড়াতেই কোনো মতে দূর হতে বিদায় জানিয়ে পালায়। গাড়িতে বসে অকারনেই গান ধরে গুনগুন, 'আজ সবার রঙ্গে রঙ্গ মিলাতে হবে, ওগো আমার প্রিয় তোমার রঙ্গিন উত্তরীয়, পরো পরো পরো তবে' এই যাহ, নভোর জন্য তো আজ বাসন্তী রং পাঞ্জাবী দরকার ছিলো। নভোর কি বাসন্তী পাঞ্জাবী আছে? আচ্ছা ওকে কেমন লাগবে পাঞ্জাবীতে। মৃণের মনে হয় নভো ওর দেখা পৃথিবীর সবচাইতে সুন্দর পুরুষ। নিজের কাছেই লজ্জা লাগে। আচ্ছা কেউ এইভাবে হাবুডুবু খায়? ছি ছি।

তেজগা লিঙ্ক রোডের সামনে এসে গাড়ী থামায় মৃণ। একছুটে আড়ং এ ঢুকে যায়। অনেকক্ষন ধরেও সে কিছুতেই বাসন্তী রং পাঞ্জাবী সিলেক্ট করতে পারেনা। নভোনীল এর দেবদূতের মত স্বর্গীয় চেহারায় যেন গাঢ় নীল পাঞ্জাবীটাই বেশি মানাবে। নভোনীলকে নীলেই মানাবে বেশি। নিজের মনকে প্রবোধ দেয় মৃণ। মনে বাঁজে নীল দিগন্তে ঐ ফুলের আগুন লাগলো লাগলো, বসন্তে সৌরভের শিখা জাগলো;
অস্ফুটে বলে নভোনীল তুমি আমার নীল দিগন্ত আর আমি তোমার নীল দিগন্তের ফুলের আগুন হতে চাই। বসন্তের সৌরভের শিখা ছড়িয়ে যাক চারিদিকে আজ।

চারুকলার সামনে নেমে দেখে কোথাও নভোনীলের দেখা নেই। অথচ কাল এখানেই ওর আসার কথা ছিলো। ভুলিয়ে ভালিয়ে নানা ফন্দী ফিকির করে নভোকে এইখানে আসতে রাজী করিয়েছিলো সে। ভুলেই গেলো নাকি বেটা? রাগ লাগছে মৃণের। সে উদ্বিঘ্ন মুখে এদিক ওদিক তাকাচ্ছিলো এমন সময় দুজন ফোটকা ছেলে সামনে দিয়ে তার দিকে তাকিয়ে হেসে হেসে গান গেয়ে চলে গেলো, সে যে কেনো এলো না কিছু ভালো লাগে না , এবার আসুক তারে আমি মজা দেখাবো" তাদের দিকে তাকিয়ে এমন রাগ লাগলো মৃণের। কিন্তু মাথায় ঘুরতে লাগলো সেই লাইনটাই। মজা দেখাবো, মজা দেখাবো।

এমন সময় মহামান্যের দেখা মিললো। ভাঙ্গাচুরা জিন্স আর হাফ স্লিভ কালো রঙ্গের টি শার্ট পরে রাস্তার উলটো দিক দিয়ে হেলে দুলে হেঁটে আসছেন তার স্বপ্ন পুরুষ মিঃ দেবদূত। আচ্ছা ভালো বেয়াক্কল তো? এই দিনে কেউ কালো রঙ্গের কাপড় পরে? আজ কি শোক দিবস? ভাগ্যিস পাঞ্জাবীটা এনেছে সে। নভো ওকে দেখতে পেয়ে হাত নাড়লো। তারপর এক দৌড়ে রাস্তা পার হয়ে এসে দাঁড়ালো ওর সামনে। অবাক হয়ে চেয়ে রইলো ওর দিকে। চারুকলা বসন্ত উৎসব থেকে তখন ভেসে আসছে মধুর বসন্ত এসেছে মধুর মিলন ঘটাতে...

ওর দিকে ওমন করে চেয়ে থাকতে দেখে মৃণ বলে উঠলো, কি দেখছো ওমন করে?
- তুমি এত সেজেছো কেনো? আজ কি তোমার জন্মদিন?
- জন্মদিন মানে? আমি কি আজ একা সেঁজেছি? চারিদিকে তাকিয়ে দেখো তো. সবারই কি আজ জন্মদিন? আচ্ছা তুমি কি বলোতো?
আজ কেউ কালো রঙ্গ পরে? তোমার বাসন্তী না হোক একটাও কি পাঞ্জাবী নেই? আজকের দিনে কি একটুও মনে পড়লো না সে কথা?
- আমি পাঞ্জাবী পরি না।
- কেনো? কেনো পরোনা?
- ভাল্লাগে না।
- ভাল্লাগেনা? দাঁড়াও দেখাচ্ছি মজা! ব্যাগ থেকে পাঞ্জাবীর প্যাকেটটা বের করে মৃণ। নাও এখুনি এটা পরো।
- পরবো মানে? রাস্তায় দাঁড়িয়ে ?
- আমি জানিনা কেমনে পরবা। পরে আসো যাও।
প্যাকেটটা হাতে নিয়ে নভো গেইটের ভেতর দিয়ে বুঝি ওয়াশ রুমের দিকেই যায়। সেই দিকে তাকিয়ে হাসি ফুটে ওঠে মৃণের মুখে। অবাধ্য অবিনীত পুরুষকে বাধ্যগত করাতেই বুঝি নারীর আনন্দ-
বাঁধনকাটা বন্যটাকে মায়ার ফাঁদে ফেলাও পাকে
ভোলাও তাকে বাঁশির ডাকে বুদ্ধি বিচার হরা...
ধীরে ধীরে গেইটের দিকে পা বাড়ায় মৃণ। একটা মেয়ে গান গাচ্ছে। কি সুন্দর করে গাইছে মেয়েটা। মৃণ সামনে এসে বসে।
এতদিন যে বসে ছিলেম পথ চেয়ে আর কাল গুনে
দেখা পেলেম ফাল্গুনে
বালক বীরের মতন তুমি করলে বিশ্ব জয়
একি গো বিস্ময়!
অস্ত্র তোমার গোপন রাখো কোন তূণে?


চারিদিকে এক সমুদ্র থই থই হলুদ বাসন্তী মানুষের মাঝে হেঁটে আসছে নীল রঙ্গের পাঞ্জাবীতে নভোনীল। মুগ্ধ তাকিয়ে আছে মৃণ......

নভো এসে ওর পাশে বসলো। মৃণ আলগোছে ওর কাঁধে মাথা রেখে সামনে তাকিয়ে রইলো। মৃণের খোঁপায় জড়ানো বেলিফুলের মৌমৌ সৌরভ নীলকে ভরিয়ে দিলো। নভো কিছুটা অবাক হলো হয়ত। কিন্তু কিছুই বললো না। বসে রইলো মৌনব্রত সন্যাসীর মত। যেন মৃণ অনন্ত কাল ধরে এভাবেই ওর কাঁধে মাথা রেখে বসে আছে।

মঞ্চে তখন এক জোড়া তরুণ তরুনী নেচে চলেছে....

ফাগুন হাওয়ায় হাওয়ায় করেছি যে দান
তোমার হাওয়ায় হাওয়ায় করেছি যে দান
আমার আপন হারা প্রাণ আমার বাঁধনছেড়া প্রাণ


মৃণ নভোর আঙ্গুলগুলির ফাঁকে নিজের আঙ্গুলগুলি শক্ত করে বেঁধে রাখলো........ মৃণের চোখ তখন পানিতে টলোমল যা মন্ত্রমুগ্ধ নভোর চোখেও পড়লো না......
https://www.somewhereinblog.net/blog/rimsabrina/30300148
https://www.somewhereinblog.net/blog/podmopukurblog/30300172
https://www.somewhereinblog.net/blog/meghshuvronil
https://www.somewhereinblog.net/blog/KA13/30301344
https://www.somewhereinblog.net/blog/akhenaten/30301933
https://www.somewhereinblog.net/blog/pulakbest/30302046
https://www.somewhereinblog.net/blog/niazsumon/30302426#c12838473

মন্তব্য ৫৯ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৫৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুলাই, ২০২০ ভোর ৫:০২

আজাদ প্রোডাক্টস বলেছেন: খুব ভালো লেগেছে।

২২ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৩৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ২২ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ৮:২৫

মা.হাসান বলেছেন: পরে আসছি।

২২ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৩৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ধন্যবাদ মা হাসান ভাই

৩| ২২ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:১২

পদ্মপুকুর বলেছেন: প্রথমেই অসংখ্য ধন্যবাদ অনেকদিন পর আবারও এই ঘুড়িটা আকাশে উড়ানোতে।

প্রথম পর্বের পর দ্বিতীয় পর্ব একটা স্বতন্ত্র পর্ব হিসেবেই শুরু হয়েছিলো। কিন্তু এরপর পর্ব ৭ পর্যন্ত পর্ব দুইয়ের লেজ ধরেই এগিয়েছে, যেটা অনেক বেশি লম্বা হয়ে গেছে। আপনার এই পর্বে আবার স্বতন্ত্র পর্ব হিসেবে শুরু হলো। বিষয়টা ভালো লেগেছে। তবে মনোলগ একটু কম হলে বোধহয় ভালো হতো।

তেজগাঁ লিংকরোডের আড়ং এর কাছেই আমার অফিস, আগে থেকে বললে মৃণকে হেলপ করতে পারতাম, এই অযুহাতে পরিচয়টাও হয়ে যেতো :-B

২২ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৩৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: পরের বার মনোলগ কম থাকবে। তবে আমি আবার বেশি কথা বলি তো। বলতে গেলে বা লিখতে গেলে থামতেই পারিনা। নাড়িভুড়ি পর্যন্ত চলে যাই।

আপনি কি এনার্জি প্যাক নাকি? নেক্সট টাইম যদি আবার এই গল্পে ফিরে আসি মৃণকে অবশ্যই আপনার অফিসের কথা জানিয়ে দেবো। তবে নভো তার সাথে তখন থাকলে দুজনকেই আপ্যায়ন করবেন।

৪| ২২ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৪৪

মা.হাসান বলেছেন: যারা আগ্রহী তাদের জন্য কয়েকটা গানের লিংক দিয়ে দিলাম---

এত দিন যে বসে ছিলেম পথ চেয়ে

আজ সবার রঙে রঙ মিশাতে হবে

নীল দিগন্তে ঐ ফুলের আগুন

মধুর বসন্ত এসেছে

ফাগুন হাওয়ায় হাওয়ায়

২২ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৫০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ধন্যবাদ অসংখ্য প্রিয় মা. হাসান ভাই। এই লেখায় আরও একটি গান আছে।

এবার সখী সোনার মৃগ দেয় বুঝি দেয় ধরা

ছুটেছিলো পিয়াস ভরে মরিচিকা বারির তরে
ধরে তারে কোমল করে কঠিন ফাঁসি পরা

৫| ২২ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৫৬

মা.হাসান বলেছেন: অঘটনঘটনপটিয়সী শায়মা আপু বলেছিলো- এ যুগে কি আর কেউ শেষের কবিতা পড়ে? (৪র্থ পর্ব)

মৃন্ময়ী যে শুধু পড়ে না, গীতবিতান গুলে খেয়ে ফেলেছে দেখা যাচ্ছে!

মৃন্ময়ীর চরিত্রটা এর আগ পর্যন্ত সে ভাবে কায়া পায়নি। এই পর্বে মৃ এর অনেক খানি পরিচয় পেলাম। মা-খালা-নানী সম্পর্কেও জানলাম।
সিরিজের সম্ভবত সেরা রোমান্টিক পর্ব এটা।
অসম্ভব সুন্দর লিখেছেন।
অভিনন্দন।

২২ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৩১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আপনার মন্তব্য খুবই মজার হয়েছে। আপনি যদি বলেন তো পর্ব -৯ তে প্রেম আরও জমিয়ে দিতে পারি। এত কেবল প্রেমের সূচনা লগ্ন। এখন নেক্সট পর্ব তো মনে হচ্ছে আমারই লেখা উচিৎ। অন্যরা কি আমার মত করে প্রেমে পড়তে পারবে মৃন্ময়ী হয়ে? তবে নভোনীলের জন্য কাউকে প্রয়োজন নতুবা সেটাও আমাকেই হতে হবে।

অনেকগুলা ধন্যবাদ মা. হাসান ভাই।

৬| ২২ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:০২

মা.হাসান বলেছেন: সোনার মৃগ মিস করে ফেলেছি দুঃখিত। তবে মিস করায় ভালো হয়েছে, না হলে খালি গলায় গাওয়া এই ভারসনটা শোনা হতো না।

একটা ছোট বিষয়-- ব্লগে পোস্ট থেকে কপি করা বেসম্ভব একটা ব্যাপার। অন্য পর্বের লিংক গুলো টেক্সট আকার না দিয়ে লিংক আকারে দিলে যারা আসবেন তাদের জন্য সুবিধা হয়।

অনেক ধন্যবাদ।

২২ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৩৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ওহ স্যরি। আমি একটু সময় করে অন্য পর্বের লিঙ্ক গুলো ঠিক করে দেবো। অফিস থেকে চুরি করে ঢুকেছি। জব যাবে সোনার মৃগও আর ধরা দেবে না আমি নিজেই ধরা খেলে।

৭| ২২ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:১৭

নিয়াজ সুমন বলেছেন: ফুলে ফুলে গানে গানে
রোমান্টিকতার মিষ্টি আহবানে
চমৎকার আয়োজন হয়েছে।

আগামী পর্বে হয়তো পরিনতির দিকে অগ্রসর হবে...

২২ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৩৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: প্রেমের পরিনতি কি এতই সহজ? তায় মৃণ বড়লোকের আদরের দুলালী আর নভো রাজশাহী থেকে আগত অতি সাধারণ ঘরের ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন শিক্ষক পরিবারের ছেলে। মনে হয় না পরিনতি এত সহজে সম্ভব।

৮| ২২ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৪৪

নিয়াজ সুমন বলেছেন: আমার তো মনে হয হবে। কেননা ধনীর দুলালী তার মতো ধনী পরিবারের ছেলের ছেয়ে সাধারণ ঘরের ছেলের প্রতি ঝোক বেশি থাকবে।
সমানে সমানে রসায়ন জমে না যতদুর জমে অসমানে-সমানে।
যেমন প্রিন্স চালস দম্পতি !

২২ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৫৯

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: তবে তাই হোক। রসায়ন জমিয়ে দেওয়া যাবে। সব তো আমাদেরই হাতে।

৯| ২২ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:১৪

নিয়াজ সুমন বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন। নতুন কোন হাতের ছোয়ায় পরবর্তী মিলনের অপেক্ষায় রইলাম..

ও হা আরেকটি কথা আপনি খুব তাড়াতাড়ি এক্সেস পেয়ে যাবেন (টেনশন না করায় উত্তম) মনে হচ্ছে । হাতের টান ভালো আছে।
চালিয়ে যান।

২২ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:০৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: না পাবোনা মনে হয়। ইদানিং কাউকে এক্সেস দেওয়া হয় না মা হাসান ভাইও বলেছেন। কি কি সমস্যার কারণে যেন। হাতের টান ভালো থাকলে কি হবেরে ভাই, সময়েরও বড় টানাটানি আজকাল। ইচ্ছা হয় সব ছেড়েছুড়ে লেখা নিয়ে থাকি। তার কি আর দাম আছে? এই ছাইভস্ম দিয়ে তো পেট চলবে না।

১০| ২২ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:২০

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এই গল্পটি আগের গুলো পড়িনি

২২ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৪৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: পড়েন আপা।
আম সময় করে লিঙ্কগুলো ঠিক করে দেবো ইনশাল্লাহ।

১১| ২২ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৫৪

নিয়াজ সুমন বলেছেন: অপেক্ষার ফল মিষ্টি হয় জানি। আপনার জন্য হয়তো মিষ্টি ফল অপেক্ষায় আছে। সো অপেক্ষা করুন। আপনার সুদিন আসবে..

যাই হোক..
সব ইচ্ছে পূর্নতা পায় না। এইটাই বাস্তবতা।

২২ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৪৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আপনার মুখে ফুল চন্দন। আমার ইচ্ছা পূর্ণ করার তেমন চেষ্টা আমি করি না। এতে কষ্ট বেশি। আলগোছে হলে হোক। অনেক ধন্যবাদ নিয়াজভাই।

১২| ২২ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২০

পুলক ঢালী বলেছেন: এই পর্বটি ভালই হয়েছে। মনোলগ বেশী হলে কোন সমস্যা দেখিনা প্রসঙ্গান্তরের লিঙ্কটা ঠিক থাকলেই হলো। পুরো পর্বটিতেই রোমান্টিসিজমের প্রাধান্য বা জয়জয়কার। মৃন এবং লেখিকা মনে হয় প্রেম সাগরে ডুবেই থাকেন অরূপ রতনের সন্ধানে। ;)
পরের পর্ব আপনিই লিখলে মন্দ হয় না। মৃন কিছুটা পাগলী টাইপ হলেও Light personality র চরিত্র নয় মনে হয় এবং নীল ব্রাইট চোখের অধিকারী কিন্তু Introvert type এর। ওদেরকে শামুকের খোলস থেকে বেশ ভালভাবেই বের করে এনেছেন। প্রেমে পড়লে মানুষের আমূল পরিবর্তন হয় তার বেশ খানিকটা ছোঁয়া লেগেছে মনে হচ্ছে। আপনার লেখার হাত ভাল চালিয়ে যেতে থাকুন।
ভাল থাকুন।

২২ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: কমেন্টগুলো পড়ে ভালোই মজা পাচ্ছি। প্রেম সাগরে ডুব দিলে অরূপ রতন আশা করেই সারাজীবন কেটে যায়। পাওয়া আর হয় না। অবশ্য পেয়ে গেলে তো হয়েই গেলো। পাবার আগ পর্যন্ত হাবুডুবু ডুবাডুবি মন্দ নয়।

মৃণ এবং নভো দুজন দুরকম বটে কিন্তু পারসোনালিটি বেজায় দারুণ। তবে প্রেমে পড়লে অনেক কিছুই গড়বড় হয়, শান্ত ছেলেটি হয়ে ওঠে চঞ্চল আর অশান্ত বালিকা কখনও কখনও নীরব হয়ে যায়।

ধন্যবাদ পুলক ভাই।

১৩| ২২ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৫৭

মিরোরডডল বলেছেন:



আপুটা ফাইনালি তুমি যে লিখেছো, আমি ভেবেছিলাম ওটা ফান ছিল হয়তো লিখবে না ।
এই পর্যন্ত যে কয়টা হয়েছে এটা বেস্ট । পারফেক্ট লাভ স্টোরি । মৃন্ময়ীর একটা পোর্ট্রেট দরকার ছিলো । পরিণতিতে যাবার কি দরকার ! ওটা হলেইতো প্রেম শেষ । তারচেয়ে প্রেম চলতে থাকুক । নভোকে কখন নভোতে পাঠাবে সেই অপেক্ষায় :P
ছবিটা মনে ধরেনি । ৪ পর্বে আমি একটা দিয়েছিলাম যদিও মাথা নেই । যাও তোমাকে এখানেও দিলাম । :)

২২ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:১২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ছেড়া জিন্স পরবে নভো? ওর বাবা না রাজশাহী কলেজের টিচার? ছেলেকে ছেড়া জিন্স পরতে দেয় না।
এত প্রশংসার জন্য আপ্লুত হলাম। ফানটার কথা ঠিক মনে পড়ছে না। কোনটা ছিলো যেন?

এই পর্যন্ত যে কয়টা হয়েছে এটা বেস্ট । পারফেক্ট লাভ স্টোরি । পারফেক্ট লাভ কাকে বলে? ভালোবাসা কারে কয়?

ছবিটা দারুন সুদর্শন।

১৪| ২২ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৪৯

লরুজন বলেছেন: গল্প আর লেখা এমন ভালা অইছে যে চিন্তায় আছি কারে ধন্যবাদ দিমু আপনেরে, নাকি আপনেরে যে গল্পটা লেইক্কা দিছে তারে। ব্লগে মাত্র ১ সপ্তাহ ৩ দিনে বুইজ্জা গেছেন ব্লগের নাটাই সুতা ঘুড্ডি!!! কেমনে কি বাই,,, কেমনে কি,,, এইডা বেকুবি নাহ? মানুষ বছর বছরে চিনে না কারে ধইরা কি অইব? আর আপনে মাত্র ১ সপ্তাহ ৩ দিনে বুইজ্জা গেছেন ব্লগের কারিশমা!!! :-& :-& :-&

আপনে ১ সপ্তাহ ৩ দিনে সিরিয়াল গল্প লেইক্কা প্রমাণ করছেন আপনে মাল্টি। ব্লগের গুরুদের জিগ্যান এত দ্রুত ব্লগে হাই জাম্প মারছে এমন কোন ব্লগারের রেকর্ড আছে নি? আপনে আসল নিক দিয়া লেখলে একটা বড় কইরা ধন্যবাদ দিতাম। এখন ধন্যবাদ দিতে পারলাম না বইল্লা দুঃখিত। B-)) B-))

গল্পে মাইনাস ( - )
অরিজিনাল নিকে যেইদিন লেখবাইন হেইদিন প্লাস দিমু। ১০/৩ পাইলেও প্লাস দিমু।





২২ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:১৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ১৪. ২২ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৪৯০

লরুজন বলেছেন: গল্প আর লেখা এমন ভালা অইছে যে চিন্তায় আছি কারে ধন্যবাদ দিমু আপনেরে, নাকি আপনেরে যে গল্পটা লেইক্কা দিছে তারে। ব্লগে মাত্র ১ সপ্তাহ ৩ দিনে বুইজ্জা গেছেন ব্লগের নাটাই সুতা ঘুড্ডি!!! কেমনে কি বাই,,, কেমনে কি,,, এইডা বেকুবি নাহ? মানুষ বছর বছরে চিনে না কারে ধইরা কি অইব? আর আপনে মাত্র ১ সপ্তাহ ৩ দিনে বুইজ্জা গেছেন ব্লগের কারিশমা!!! :-& :-& :-&


আমি কারে ধরছি? এই কথাটার জবাব আগে দেন। তারপর বাকিগুলান দিতেছি।

তার আগে আরেকটা কথা শুইনা রাখেন আমি কাওরে ধরিনা। নিজেরে ছাড়া। তবুও আপনার থেইকা জিগাইলাম। কারে ধরছি বলেন।

২২ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:২৯

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন:

আপনি বুদ্ধিমান এবং সর্বজান্তা তাই জেনে গেছেন গল্পটা আমাকে কেউ লিখে দিয়েছে। যখন বুঝেই গেছেন তখন তাকেই ধন্যবাদ দেন। কোনোই সমস্যা নাই আমার। ড়ত চিন্তারও কিছু নাই। ধন্যবাদ আসল লেখকেরই প্রাপ্য। আপনার খুব ভালো লেগেছে তাই ধন্যবাদ আপনাকেও।

বেকুবির কথা বললেন কেনো? বেকুবির ব্যাপারটা একটু ব্যখ্যা করেন। আমি উত্তর দেবো।

আমি ১ সপ্তাহ ৩ দিনে সিরিয়াল গল্প লেইক্কা প্রমাণ করছি আমি মাল্টি। তো মাল্টিদের কি সিরিয়াল লেখা নিষিদ্ধ নাকি? এই নিয়ম কাব থেইকা আইলো রে ভাই?

ব্লগের গুরুদের জিগ্যানের ইচ্ছা হইলে আপনে জিগান আর এত দ্রুত ব্লগে হাই জাম্প মারছে এমন কোন ব্লগারের রেকর্ড আছে নি? রেকর্ডের ইচ্ছা হইলেও। আমার ইচ্ছা নাইরে ভাই। আমার কাম লেখা আমি লিখবো আর আপনের রেকর্ড কিন্তক খারাপ হইয়া যাইতেসে। মেয়েদের পিছে লাইগা। মিরোরডল আপার পিছে যে লাইগাই আছেন তা খুব একটা সুবাতাস দিতেছে না। মানলাম আপনার বুদ্ধি ভালা। এও মানলাম আপনি যা বলছিলেন বাংলিশ না লেখা উচিৎ কথা সত্য। তাই বলে ভাইবেন না এই সব কইরা আপনি ভালো রেকর্ড গড়বার পারবেন।

আমার আসল নিক নকল নিকের সন্ধানে সময় নষ্ট কইরেন না ভাই। বরং লিখছি এইডাই পড়েন। আমার কাজ লেখা। সময়ের অপচয় আমার বড় অপছন্দ।

যাই হোউক আপনে আমারে ধন্যবাদ না দেন আপনারে আমি দিলাম আপনি আমার লেখা পষন্দ করছেন ভাই। আপনারে ধন্যবাদ।

২২ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৩১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ওহ হ্যাঁ আপনার অরিজিনাল নিক লরুজম খুব ভালো হইসে।

১৫| ২২ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৩৫

লরুজন বলেছেন: আমি কইছি আপনে ধরছেন? আপনে অত বড় লেখা লেখছুইন আর আমার কথা বুঝলাইন না!!! ভাই আমি কেউরে কইতাম না, লেখাডা কেডা লেইক্কা দিছে? আমারে কন আমি তারে দিয়া পোস্ট লেখামু,,,

আপনে ১ সপ্তাহ ৩ দিনে কেমনে ব্লগের আগা মাথা বুঝলাইন এইডা ব্লগের গুরু যারা হেগোরে জিগান,,,
বহুৎ ঘাঘু ঘাঘু ব্লগার ঘুরতাছে জানে না!!! কার সাথে কি লেখব জানে না!!!
আর আপনে মাত্র ১ সপ্তাহ ৩ দিনে ঘুড্ডির নাটাই ধইরা লাইছেন এও সম্ভাব?

অসাম্ভাব?
আমি মানি না!!!,,,
ব্লগের বেবাক কেউ মানব না!!!,,,

২২ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৪১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: মিঃ লরুজন। ভাইরে আমি কেন জিগাইতে যামু? আমার তো প্রবলেম নাই। আপনের প্রবলেম আপনি জিগাইবেন। আমারে জিগাইতে কন কেন ভাই?

আপনার জিগাজিগির সময় আছে আপনি ঘুঘু দোয়েল যারে খুশি তারে জিগান গিয়া। আমার টাইম নষ্টের সময় নাই। আমি বরং আরও একখানা পর্ব বা কবিতা লিখি।

আপনি এবং ব্লগের কেউ যা মানবেন না তা নিয়ে প্রতিবাদ করেন। আমার কুনোই আপিত্তি নাই ভাইরে।

একটা গান মনে পইড়া গেলো।

ঘুড়ি তুমি কার আকাশে ওড়ো
তার আকাশ কি আমার থেকে ছোট?

১৬| ২২ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৫৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: সেতারার মা এর স্বগতোক্তিটাকে বেশ মৌলিক বলে মনে হলো। আর গল্পের নায়ক-নায়িকার মুখ দিয়ে বলা লেখকের স্বগোতোক্তিগুলোও ভাল লেগেছে।
আবার সেই "চারুকলার সামনে"?
"সে যে কেন এলোনা" এর মত একটা পুরনো গানকে যুতসইভাবে কাজে লাগিয়েছেন।
নভোর পাঞ্জাবি পড়ার (চেঞ্জ করার) জায়গা সিলেকশনটা ভাল হয়েছে! :)
আর ও পাঞ্জাবি চেঞ্জ করতে যাওয়ার সময় মৃণের করা স্বগতোক্তিটা 'পারফেক্ট টু দ্য সিচুয়েশন'!
সব পাঠকেরা যেটার জন্য এতদিনে হাঁ করে বসেছিলেন, আপনি সেটাই তাদের মুখে এনে দিলেন - একটা রোমান্টিক আবহের সৃষ্টি এবং গল্পের নায়ক নায়িকার মধ্যে অনুভূতি ঘনীভূত হওয়া। ওদেরকে শামুকের খোলস থেকে বেশ ভালভাবেই বের করে এনেছেন - পুলক ঢালী এর মন্তব্যের এ অংশটুকুর সাথে আমি পুরোপুরি একমত।
এখন দেখা যাক, পরের পর্বের লেখক সেটাকে কতদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন!
গল্পে ভাল লাগা + +।

২৩ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১২:০৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: পরের পর্ব কি আমাকেই লিখতে হবে? আর কোনো হৃদয়বান বা হৃদয়বতী কি নেই আর এখানে? লরুজন ভাই পরের পর্বটা লিখলে মনে হচ্ছে বেশ হত।

আর সে যে কেনো এলো না গানটার ঘটনাটা সত্যি ঘটনা। গল্প কি আর জীবনের বাইরে হয়?

ধন্যবাদ খায়রুল ভাই।

১৭| ২৩ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১২:৩৭

লরুজন বলেছেন: আপু, আপনের আইডিতে লেখা আছে আপনি মহিলা???!!!

আমি কোন দুক্কে ব্লগের মহিলাগো পিছে লাগমু???

আর যার কথা কইছেন যদু হের পোস্টে একটা কতা ভুল কইতাম,
আমি ব্যান অইতাম,,, হাছা নি???

বরং হে আর হের দল মিল্যা আমার পোস্টে খ্রাপ ছবি দিয়া ভাসা্য়া দিছে!!!
হেরা দুইজন কতক পোস্টে যেইসব কতাবার্তা কমেন্ট করতাছে,,,!!! B-)) B-)) B-))
পইড়া আমার শরম করতাছে আপু,,,, B-)) B-)) B-))
আমি শরমে ঘোমটা দিমু চিন্তা করতাছি হে হে হে হে,,,!!! B-)) B-)) B-))

আপনে লেখেন, বেশি কইরা লেখেন।
আমি জীবনেও আপনার লেখার বাধা না,,,


আপু,,, আপনেরে আমি চিনছি,
তয় আমি আপু ডাহাইত অইলেও মানুষটা ভালা,,,
আমি ব্লগে আপনের পরিচয় দিতাম না।

আপু,,, আপনের পোস্টে লাইক প্লাস না দিলেও কমেন্টে লাইক প্লাস দিলাম।
++++++++++++++++++++

ঘু্ড্ডির গানডা মনে ধরছে!!!,,, আই লাইক ইট!!!,,,
লন্ডনের ফ্লাইট বন্ধ!!!,,,


২৩ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১:০৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আমি আমার কথা বলিনি। যার কথা বলছি আপনি বুঝছেন। আপনি ঘোমটা দেন। বেশি শরমলতা হয়ে যান। আমার লেখার বাঁধা আপনি কেনো কেউই হইতে পারবেনা ভাই। যতখন ইচ্ছা হবে লিখবো। ইচ্ছা শেষ আমিও শেষ। সবই আমার নিজের উপরে। আমাকে চিনবেন বা পরিচয় দিবেন আপনার ব্যপার। দিতে পারেন। আপনার মনের ইচ্ছা আপনি যা খুশি করবেন। আমি একবারও জিগাইতেও যাবো না। আমি কি চোর নাকি ডাকাত নাকি ব্যনড আসামী যে পরিচয় দিলে পুলিশ এসে হাতকরা পরাবে আমারে? মাথায় কিছু সমস্যা আছে নাকি আপনার?

১৮| ২৩ শে জুলাই, ২০২০ রাত ২:১৫

রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা। সামান্য একটা লেখা হেলায় ফেলে রেখেছিলাম। কুড়িয়ে নিয়ে যত্ন করে লিখেছেন আপনারা। এতটা ভাবি নি সত্যিই। এখন খুব ইচ্ছে করছে জানতে গল্পটা শেষ হয়য় কি করে। কেউ কি আছেন, পরের এক দুই পর্বে চমৎকার একটা ইতিত টেনে দেবেন? আর এখন পর্যন্ত সকল লেখককে আন্তরিক ধন্যবাদ। এই ব্লগীয় ভালবাসা বহু দূর পথ চলুক।

২৩ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:০৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ধন্যবাদ আপা। আরও কিছু সময় দেখা যাক কেউ লিখে কি না। নইলে আপনিই না হয় শেষ করবেন। যেমন শুরু করেছিলেন।

১৯| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ ভোর ৪:২৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার !!!
আপনি আমাকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচিয়েছেন, নভোনীলের একটা পর্ব লিখব কথা দিয়েছিলাম কিন্তু কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঝামেলায় লিখে উঠতে পারি নাই । এর মাঝে এত লম্বা সময়ে লেখা ও হচ্ছিল না । তাই আপনার এই ব্লগারদের সাথে ব্লগীয় ভালবাসার বন্ধনে একাত্মতা ঘোষণা করার জন্য ধন্যবাদ।

আশা করছি নবম পর্ব খুব শীঘ্রই দিতে পারবো এবং আশা করবো রীম নিজেই দশম পর্বে এর ইতি টানবেন অথবা অন্য কেউ যদি আগ্রহী হন।

শুভ কামনা আপনার জন্য ; সামু ব্লগে আপনার ভ্রমণ আনন্দময় হোক।

২৪ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৩৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: যাক অবশেষে নবম পর্বের লেখিকাকে পাওয়া গেল। আপনার লেখার অপেক্ষায় থাকলাম আপা। ধন্যবাদ আপনাকে।

২০| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:০১

খায়রুল আহসান বলেছেন: @মনিরা সুলতানা,
জ্বী, আপনি বলেছিলেন যে আপনি একটা পর্ব লিখবেন। আমি আপনার সেই পোস্টের আগমনের দিকে তাকিয়ে ছিলাম এবং আছি। আপনি নবম এবং মূল উদ্যোগী লেখিকা এই সিরিজের দশম এবং শেষ পর্বটি লিখে সিরিজের একটি মধুরেণ সমাপয়েৎ টেনে আনবেন। অষ্টম পর্ব থেকে সিরিজটি একটি জোরালো রোমান্টিক বাঁক নিয়েছে। আশাকরি, সেটাকে মধুচন্দ্রিমায় গড়িয়ে দিয়ে শেষ তিনজন লেখক একটি কালজয়ী সৃষ্টির রূপকার হয়ে থাকবেন।

২৪ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:০৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আমিও আশা করি নভো আর মৃণ তারা সুখে থাকুক অবশেষে।

২১| ২৪ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩০

ঢুকিচেপা বলেছেন: গত পর্বের ধারাবাহিকায় খুব চমৎকার ভাবে এ পর্বটি উপস্থাপন করেছেন।

শুভেচ্ছা রইল।

২৫ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:৫৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ধন্যবাদ ঢুকিচেপা। আমি আপ্লুত। শুভেচ্ছা নেবেন।

২২| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:০৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: কবিতা পড়ার প্রহর,



শেষ পর্যন্ত ৮ নম্বর বাসের দেখা মিললো, শুরুতে যেমন বাসটি দেখেছিলুম ! অনেকদিন অপেক্ষায় ছিলুম এবারে কে বাসের ড্রাইভার হয়ে আসবেন। আপনি এলেন আর বাসটাকে ৩০০ফুট রাস্তার নান্দনিক রোমান্টিকতায় নিয়ে গেলেন।

সুন্দর ও রোমান্টিক হয়েছে মৃন আর নভোর কথকতা। পর্বের শেষের নাচটি কখন শেষ হয় তার অপেক্ষায় ! দেখি, নাচের মুদ্রা ঠিক রেখে আবার কে নাচতে আসেন .............

২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:১৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। এত সুন্দর সব মন্তব্যে ভেসে যাচ্ছি। পরের পর্বের অপেক্ষায় আছি আমিও।

২৩| ২৭ শে জুলাই, ২০২০ ভোর ৬:৩৮

বিলুনী বলেছেন:


গল্প ভাল লেগেছে । আরো ভাল লেগেছে এই ভেবে যে করোনাকালীন সময়ে ভার্সিটির ক্লাশ বন্ধ । এ সময়ে ভার্সিটির ক্লশ চলছেনা ।সোসাল ডিসটেস্স বজায় রাখা সকলের দায়িত্ব ।ভার্সিটির ছাত্রগন সহ সকলেই এ বিষয়ে সচেতন । গল্পের কাঠামোতে এসময় নভো মৃনের ক্লাশে যাওয়ার তাড়া থাকার কথা না । একটি গল্প লেখার সময় লেখকের স্থান কাল
সময়ের সাথে মিল রেখে গল্প লেখা বান্ছনীয় । তবে এসময়ে ক্যাম্পাসে তাদের দেখা সাক্ষাত ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে কথা বার্তা হতে পারে । এ দুরত্ব বজায় রেখে প্রেম জাতীয় আলাপন কতটুকুই বা করা যাবে । তবে বেশ কিছু পর্বে দেখা যায় এ সময়ে লেখা গল্পে পাত্র পাত্রীদের ক্লাশে যাওয়ার প্রবনতা কথা উঠে এসেছে । তবে অপনার এই গল্পে দেখা
যায় কহিনীটা কমপক্ষে গত ফাগুন মাসের তথা করোনা লক ডাউনের আগের সময়ে ঘটে যাওয়া কথা। গল্পের কাহিনীর সময়কাল কে আমলে রেখে গল্প লেখার বিষয়ে আপনার সচেতনতা দেখে ভাল লাগল ।

২৭ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:০৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ধন্যবাদ বিলুনী। এটা আমার লেখা গল্পের শুরু না। গল্পটার শুরু অনেক আগে । আর স্থান কাল পাত্রও অনেক আগের। আর গল্পটা শুরু করেছিলেন রিম সাবরিনা আপা। লিঙ্কগুলো দেখলে বুঝে ফেলবেন। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর আর বিশ্লেষনামূলক মন্তব্যের জন্য।

২৪| ২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৩৯

মুক্তা নীল বলেছেন:
বাহ চমৎকার হয়েছে আপনার লেখাটা । পুরো জমিয়ে
দিয়েছেন এবং দুই'য়ে দুই'য়ে চার করেছেন।
আপনি আরো লিখুন না দু-একটা পর্ব ।
খুব ভালো লাগলো আজকের পর্ব যাকে বলে একদম
পরিপূর্ণ রোমান্টিকতা ।

২৭ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৫২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আমি আরও লিখবো? এমন কোনো নিয়ম আছে নাকি? সবাই একটা করে লিখছে। এর মধ্যে ফোপর দালালী করতে গিয়ে আবার যদি ধরা খাই ..... তখন কে বাঁচাবে আমাকে? আপনি? অভয় দেন।

২৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০২০ ভোর ৫:৪৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


কাব্যিক ছন্দময় লেখা গল্পটি মন্ত্র মুগ্ধের মত পাঠ করলাম ।
খুবই সুন্দর হয়েছে ।
অন্য পর্বগুলিও সময় করে পাঠ করে নেয়ার ইচ্ছা রাখি ।

শুভেচ্ছা রইল

০৫ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:১৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভকামনা

২৬| ১৩ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:১৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সংগীত ময় পর্বটি পড়লাম। মোটামুটি সবকটি পর্বই পড়া হয়েছে। চলতে থাকুন নতুন নতুন পর্ব। হোকনা একটা রেকর্ড এক গল্পের লেখক ২০ জন।(কম বেশি যা হোক)

১৫ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৫৯

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। অসংখ্য ধন্যবাদ।

২৭| ১৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৪৯

মেঘশুভ্রনীল বলেছেন: বাহ! অন্যধরণের একটা পর্ব হল।

১৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৩৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: নভোনীলকে পেয়ে গেলাম মনে হচ্ছে।

২৮| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০৬

স্থিতধী বলেছেন: গত দুই পর্বের শরতকাল থেকে এবারে কাট টু বসন্ত । প্রেমে পরার ও করার উৎকৃষ্ট সময় । মৃন্ময়ী পাঞ্জাবী পড়িয়ে নভোর কাঁধে মাথা রেখে ভালোলাগা কে আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বিপাক্ষিক ভালোবাসাতে পরিণত করে চাইছে । প্রথম পর্বের হাতাকাটা নামের মৃণ এ পর্বে এসে যেরকম রবীন্দ্র প্রেম দেখাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে এবারে মৃণ তাঁর ফুল স্লীভড ভালো বাংলার মৃন্ময়ী নামটা সবাইকে ই বলে বেড়াতে পারে :P নভোনীলের অবসরের বিস্কুট, বাদাম, আইস্ক্রীম, চিপসের প্যাকেট কুড়ানোর কর্মসূচিতে ভাটা পড়বে বলে মনে হচ্ছে। দেখা যাক সে সামনে মৃন্ময়ীর প্রেমের পদ্ম কুড়ানোতে মন দেয় নাকি ঠোঙ্গা কুড়ানোর কর্মসূচিতে । আবার কে জানে গল্প শেষে বিয়ে করে দুজন মিলে পরিবেশ বান্ধব সাস্টেইনেবল প্যাকেজিং এর ব্যাবসা শুরু করে কিনা! সেটাও খারাপ না । দেখি সামনের লেখকেরা ওদের ভাগ্যে কি রেখেছেন । এ পর্বের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার জন্য এ পর্বে মৃন্ময়ী কর্মকারক থেকে ভালোভাবে কর্তৃকারকে রূপান্তরিত হতে পারলো ।

০৬ ই মে, ২০২১ বিকাল ৫:২৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা থ্যাংক ইউ সো মাচ!

এত মন দিয়ে পড়ার জন্য অনেক অনেক ভালোবাসাা!

২৯| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:১২

মিরোরডডল বলেছেন:




আপু এই লেখাটা কিন্তু অসমাপ্ত থেকে গেছে।
একটা সময়ের পর আর কেউ লেখেনি।
তুমি একটা লাস্ট পর্ব দিয়ে ইতি টেনে দাও না!

পিলো পাসিং করে যখন ব্লগাররা লিখছিলো, তাদের সম্প্রীতি দেখে ভালো লেগেছে।
আবার একই সাথে দুঃখজনক যে হাল ছেড়ে দেয়া, কোন পরিসমাপ্তি না রেখেই মাঝ পথে থেমে যাওয়া।
একটা সাসপেন্সের মাঝে ছিলো লাস্ট পর্ব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.