নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লোকে বলে প্রথম প্রেমটা বড্ড কোমল\nএলোমেলোযায়না \nভোলা কোনোদিনও\nসত্যি কি তাই

কবিতা পড়ার প্রহর

কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে রাতের নির্জনে

কবিতা পড়ার প্রহর › বিস্তারিত পোস্টঃ

চিলেকোঠার প্রেম -১

০৩ রা আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:১৩


হুট করেই বিয়েটা করে ফেলেছিলাম আমরা। শুধুই হুট করেই নয় এমন করে আগ পাছ না ভেবে বিয়ে করে ফেলাটাও আমাদের জন্য বেশ রিস্কিই ছিলো। মুখোমুখি পরিচয় ছিলো না আমাদের। যা কিছু ভালো লাগা ভালোবাসা, প্রথম পরিচয় থেকে বিয়ে সবই হয়েছিলো অনলাইনের কল্যানে। যদিও সেই পরিচয়টা ছিলো দীর্ঘদিনের। প্রায় ৩ বছরের। এভাবেই একে অন্যকে জানাশোনা, ঘন্টার পর ঘন্টা এক সাথে গুটুর গুটুর। মুখোমুখি দেখা না হলেও মনের চোখে সারাক্ষনই দেখা হত আমাদের। তবে বিয়ের মত এমন গুরুত্বপূর্ন সিদ্ধান্ত নেবার আগে ওর সাথে আমার দেখা মানে সামনা সামনি দেখা হয়েছিলো গুনে গুনে মাত্র ৩ বার। মুখোমুখি দেখা হবার বিষয়টা আসলে ততদিনে ছিলো গৌন। মুখ্য ছিলো পারস্পারিক নির্ভরতা, একে অন্যের উপর বিশ্বাস, মায়া আর ভালোবাসা। এটার জন্য মনে হয় না আজকাল আর এত সামনা সামনি দেখা শোনার প্রয়োজনও আছে। ওর সকাল থেকে সন্ধ্যে, ঘুম থেকে ওঠা বা ঘুমিয়ে পড়া এমন কি ঘুমের মধ্যটাকেও ততদিনে জেনে গিয়েছিলাম আমি। বর্তমানের অনলাইন, ফেসবুক, মুঠোফোনের যুগে এমন করে প্রায় সম্পূর্ণটাও জেনে ফেলা তেমন কঠিন নয়। লিখছি আজ থেকে পাঁচ বছর আগের কথা। যখন আমাদের পরিচয়ের শুরু।

পরিচয়ের শুরুতে আমি স্বপ্নেও ভাবিনি আমি ওর প্রেমে পড়তে পারি বা সে আমার প্রেমে। আমরা আসলে খুবই ভালো বন্ধু ছিলাম। তার মত এমন একজন বন্ধু আমার সারা জীবনের পুরোটা সময় জুড়ে কখনও পাওয়া হয়নি। এমনটাই মনে হত আমার। তাকে আমার কখনও ছেলে বা মেয়ে বন্ধু এমন করে জেন্ডারের হিসাবেও বন্ধু মনে হয়নি। সে নারী পুরুষ সকল কিছুর উর্ধে আমার বন্ধু হয়ে উঠেছিলো। সে যে কখনও আমার প্রেমেও পড়তে পারে এমনটা তাই আমি স্বপ্নেও ভাবিনি। সে ছিলো আমার অতি বিশস্ত শুধুই এক বন্ধু। যাকে দিয়ে আমি প্রভাবিত হয়েছিলাম। সে দিন বললে দিন আর রাত বললে রাতই মনে হত আমার। এত বিশ্বাস আমি আমার জীবনে কাউকেই করিনি। এত কনভিন্স আমি কখনও কাউকে দিয়ে হইনি। তবুও আজ মনে হয় আমি হয়ত তার প্রেমে পড়তাম না। কারণ দেবতা বা মহাপুরুষের প্রেমে মানুষ পড়তে পারে না। শুধুই শ্রদ্ধা করতে পারে। সেও কারো প্রেমে পড়তে পারে, তাও আবার আমার এও আমি স্বপ্নেও ভাবিনি।

কিন্তু এরপরেও বুঝলাম সে আমার প্রেমে পড়েছে মানে সে প্রেমে পড়েই গেলো এবং সে কথা আমাকে জানালো। এভাবে এক সাথে থাকতে থাকতে কখন সে আমাকে এইভাবে ভালোবেসে ফেলেছে নিজেও তা বুঝতে পারেনি। আমি তাকে ভালোবাসতাম ঠিকই কিন্তু তা ঠিক প্রেমে পড়ার মত নয়। কিন্তু তার সেই আহ্বান আমি উপেক্ষা করতে পারলাম না। এতদিনের এমন একজন বিশস্ত নির্ভরযোগ্য বন্ধুকে কি করে ফেরাবো আমি? কি করে উপেক্ষা করবো তাকে? তাকে ছাড়া জীবনে চলাটা তখন প্রায় অসম্ভব আমার কাছে। তাই মনকে বুঝালাম আর বুঝলাম আমার জীবনে তার মূল্য অপরিসীম। আর আমি তাকে ছাড়া চলতেই চাইনা। পারবোও না হয়ত।

এরপর আর দূরে থাকতেই চাইলাম না আমরা। আর তাই এক আলো ঝলমল বসন্ত সকালে আমরা কাজী অফিসে গিয়ে বিয়েটা সেরেই ফেললাম। এতক্ষন যারা এই লেখাটা পড়ছেন তারা হয়ত ভাবছেন এটা খুবই স্বাভাবিক ও চিরচেনা এক গল্প। মানছি এমন গল্প অনেকই আছে আমাদের জীবনে দেখা, জানা ও চেনা। আমিও শুনেছি। সে যাইহোক, চিরদিনের অপরিনামদর্শী আমি আরেক চির অপরিনামদর্শীর হাত ধরে আমার বাবার গুলশানের ঝাঁ চকচকে ফ্লাট ছেড়ে নাখালপাড়ার সরু গলির এক পলেস্তারা খসা বিল্ডিং এর রেলিংবিহীন সিড়ি বেয়ে তিনতলার ছাদের চিলেকোঠার এক কামরার সংসারে এসে উঠলাম। এমন না আমি এসব না জেনেই এসেছিলাম। এসবই আমার চেনা ও জানা ভিডিও চ্যাটের কল্যানে। কাজেই এসব জেনে শুনে ও মেনেই আমি তার হাত ধরে সেখানে এসে উঠেছিলাম। আমি কিশোরী ছিলাম না। আমি তখন রীতিমত জব করছি। কাজেই সেটা কিশোরী আবেগও ছিলো না। বলতে গেলে কিছুটা চ্যালেঞ্জ বা এক্সপেরিমেন্টও হতে পারে।

যেদিন বিয়ে করলাম সেদিন সকালবেলায় যখন মাকে জানিয়েছিলাম। মা তখন সবে মর্নিং ওয়াক সেরে এসে তার বেডরুমের প্রিয় বারান্দায় বসে তার প্রিয় পাখিদের সাথে মর্নিং টিকাপ হাতে বসেছিলেন। আমি যখন জানালাম আজ আমি একজনকে বিয়ে করতে যাচ্ছি। মা হা করে আমার দিকে তাকিয়ে ছিলেন। আমি বললাম মা এত অবাক হবার কিছু নেই। তুমি যে তোমার আনিসভাইকে ছেড়ে আমার বিত্তশালী বাবার সাথে বিয়ে করে ফেলেছিলে একদিন, তোমার বদরাগী বাবার ভয়ে সেটা আমি জানি। আর সেই কারণে তোমার আনিস ভাইও যে সেই রাতেই আত্মহত্যা করেছিলো সেই কথাটাও আমি জানি। এ নিয়ে সারাজীবন তুমি এক গোপন দুঃখ বয়ে বেড়াচ্ছো, যা তুমি কখনই কাউকেই বলতে পারোনা সেই কথা জানতেও আমার বাকী নেই। আমি তোমার ডায়েরী পড়েছি। তাই আমি কোনো সিনক্রিয়েট চাই না এবং সারাজীবন তোমার মত কোনো দুঃখও বয়ে বেড়াতে চাইনা। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি ওকেই বিয়ে করবো, যাকে আমি ভালোবাসি। আমাকে আমার বদরাগী বাবা বা সুন্দরী মা কেউই কোনোভাবেই আটকাতে পারবে না। আর তাছাড়া আমি নিজে জব করছি। দুজনে ভালোই থাকতে পারবো নিশ্চয়! এটা আমার নিজের সিদ্ধান্ত। তুমি দোয়া করো মামনি। মা একটাও কথা বলেননি। আটকাননি আমাকে। হয়ত তার ব্যর্থতা আজ আমার ভেতরে পূর্ণ হতে যাচ্ছে এটা ভেবেই। তবে ঘটনার আকস্মিকতায় উনি বিস্ফারিত চোখে তাকিয়ে ছিলেন।

যাইহোক আমার বাবার বাড়ি, গাড়ি বিত্ত অহংকার সবকিছু ছেড়ে সম্পূর্ণ নিজের সিদ্ধান্তে এই চিলেকোঠায় উঠে আসা ব্যপারটাকে বাবা কি পরিমান ঘৃনার চোখে দেখবেন তা আমি দিব্য চোখেই দেখতে পাচ্ছিলাম কিন্ত আমি এও জানতাম বাবা কোনোদিনও আসবেন না আমার সিদ্ধান্তে নাক গলাতে। এমনকি আমি না খেয়ে মরে যাচ্ছি সে খবর পেলেও উনি আসবেন না, আমাকে উদ্ধার করতে। মোট কথা আমি এই পরিমান স্বাধীনতাতেই বড় হয়েছিলাম এবং নিজের সিদ্ধান্তের উপরে কেউ কখনও জবরদস্তি করেনি আমার পরিবারেও।

কাজেই সেই সন্ধ্যায় মিটমিটে বাল্বের এক রুমের সংসারে শুরু হলো আমাদের টোনাটুনির পথচলা। আমি যদিও পড়ালেখা শেষ করে তখন প্রায় বছর দুই জব করছি একটা মালটিন্যাশনাল কোম্পানিতে। কিন্তু ও তখনও আই বি এর স্টুডেন্ট। চালচুলোহীন। তাতে আমরা চিন্তিত তো ছিলাম না মোটেও বরং আমি জানতাম আমি একা যা উপার্জন করছি তা দিয়ে আমাদের দুজনের খুব ভালোই চলে যাবে। আনন্দে আর ভালোবাসায়...... শুধু ছেলেরাই সংসার চালাবে আর মেয়েরা বসে বসে খাবে ? সেদিন হয়েছে বাসী। মানে আমি এবং আমরা সবখানেই ভালোই এক্সপেরিমেন্টাল ছিলাম।

কি? অবাক হচ্ছেন বা মুখ টিপে হাসছেন এ কথা শুনে?

আচ্ছা সবই বলবো। আমাদের সেই এক্সপেরিমেন্টের কাহিনী। লেখাটা লম্বা হয়ে যাচ্ছে। আজ থামছি। আবার আসবো খুব শিঘ্রীই...

মন্তব্য ৬৩ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৬৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:২৫

ওমেরা বলেছেন: আচ্ছা আপু আগে বলেন এটা কি গল্প নাকি আপনার বাস্তব জীবন ?

০৩ রা আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৩৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: কেনো আপু? কোনটা হলে আপনি পড়বেন বলেন আগে। কথা যদি দেন যে কোনোটাই হোক সবগুলা পর্ব পড়ে যাবেন তো আপনার মত একজন নিয়মিত পাঠক পাবার উদ্দেশ্যে সত্যিটা বলে দেবো। তবে সবগুলি পর্ব পড়লে আপনি নিজেই বুঝে যাবেন আসলে কি।

২| ০৩ রা আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৩৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: খুব সুন্দর গল্প! ব্যতিক্রমী।

০৩ রা আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৩৯

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: খায়রুলভাই। কেবল শুরু হলো এই গল্প বলা। আরও খানিকটা লেখা আছে। বেশি বড় হয়ে যাবার ভয়ে আজ আর দিলাম না। লিখতে বসলে তো আমি থামতেই পারি না।

৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৪৬

ঢুকিচেপা বলেছেন: “ঘন্টার পর ঘন্টা এক সাথে গুটুর গুটুর।”
হা..হা.. ভালই বলেছেন।
লেখায় যে ধার, আপনার বাবা-মা বিয়ে আটকাতে এলে নিশ্চই ভষ্ম হয়ে যেতেন, আমি সিওর।
পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

ধন্যবাদ।

০৩ রা আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৪৯

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ভাই আপনার মন্তব্যের ধারও কম না। তবে হ্যাঁ বিয়ে বা জীবনের এক্সপেরিমেন্ট এক এক্সাইটমেন্ট। সে আপনি বুঝবেন না যতখন না করেছেন। পরবর্তী পর্ব কালই আসবে। মনে করে না আসলে আমি ডেকে আনবো। চিন্তা কইরেন না।

৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


ওকে, দেখা যাক!

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৩৯

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হ্যাঁ সে কথাই লিখতে চাচ্ছি।

৫| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ রাত ১:০২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ঝরঝরে লেখা। চলতে থাকুক, লেখা কোন দিকে এগোচ্ছে বুঝতে পারলে আরো ডিটেইলে মন্তব্য করতে পারব।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ রাত ১:০৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: বিয়ে হয়ে গেছে অলরেডি। এখন সংসারের দিকে আগাচ্ছে পাগলা আপা।

৬| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ রাত ১:১৩

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সেটা তো এই পর্বের কথা, এই পর্বের পরে সিরিজ কোনদিকে এগোবে তাতো বোঝা যাচ্ছেনা। সেটা অবশ্য আপনার ক্রেডিট, সাসপেন্স ধরে রাখতে পেরেছেন। দেখা যাক কি হয় সামনে....

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ রাত ১:৩৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: বিয়ের পরে সংসার হয়। আর এই দু'মেরুর দুই বাসিন্দাদের সংসার কেমন ছিলো সেটাই আসবে। অসংখ্য ধন্যবাদ পাগলা আপা। আবার আসলেন। কাল লিখে আপনাকে ডেকে আনবো।

৭| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ রাত ২:৩৭

ওমেরা বলেছেন: গল্প আর বাস্তব যাই হোক পড়ব। ইনশা আল্লাহ!
আপনার এখনই বলার কিছু দরকার নেই আপু।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ রাত ২:৪০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আমি বলবো। অবশ্যই বলবো। কিন্তু গল্প শেষে বলাটাই ভালো না? শুরুতেই শেষটা বলে দিলে কেমনে হবে আপু? সাথে থাকবেন বলার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভরাত।

৮| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:৫৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার সব পর্ব কি লেখা শেষ, নাকি এখনও লিখছেন? গল্প হোক আর সত্যি হোক কাহিনী মনে হয় মন্দ হবে না। তবে গল্পের মূল বক্তব্য বা সাসপেন্স কি হবে এটা নিয়ে ভাবছি। আমি আমার চাকরী জীবনে যখন সঙ্কটে পড়েছি বিভিন্ন সময় তখন মনে মনে ভেবেছি ইশ আমার স্ত্রী যদি চাকরী করত তাহলে আমি আরাম করতে পারতাম। যাই হোক গল্পে ট্রাজেডির চেয়ে কমেডি বেশী পছন্দ করি। কারণ জীবনে ট্রাজেডির পরিমাণই বেশী বলে মনে হয় আমার তাই গল্পে বিরহের চেয়ে মিলনাত্মক সমাপ্তি ভালো লাগে।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:১৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: মিলন হলেও কি সত্যিকারের মিলন কাকে বলে আমরা জানি? প্রেমের সফল পরিনতি যদি মিলন হয় তবে মিলন সফলতা প্রথম পর্বেই আছে। কিন্তু শেষ হইয়াই অনেক কিছুই শেষ হয় না। শেষের পরেও আরও কিছু বাকী থাকে। মায়া, ভালোবাসা বা ঘৃনা বা অভাক বিস্ময় আসলে অশেষ।
গল্প কিন্তু জীবন থেকেই আসে। এটাও সত্যি জীবনের এক মিথ্যে গল্প মানে সত্যিতেই কিছু রঙ চড়িয়ে গল্প লেখা হয়েছে।
আজকাল আর স্বামীই সংসারের দায়িত্ব নেবে এমন নিয়ম মেনে চলার নেই। মেয়েরাও পারবে। মেয়েরাও পারে। এই যে গল্পের নায়িকাও পারছে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। নেক্সট আজকেই দেবো। গল্পটা আসলে লেখা শেষ আছে। মডিফাই করছি মাঝে মাঝে।

৯| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৫০

মিরোরডডল বলেছেন:



চমৎকার লেখা আপুটা ।
সমসাময়িক বিষয় নিয়ে যেটা এখন প্রায়ই হয়, হচ্ছে আরও হবে ।
অনলাইন বন্ধুত্ব থেকে প্রেম তারপর পরিণয় । কল্পনা আর বাস্তবতার মাঝে বোঝাপড়া ।
শুরুটাই যেহেতু বিয়ে দিয়ে কাজেই এখন কাহিনীতে অনেক সাসপেন্স আশা করা যাচ্ছে যে হোয়াট নেক্সট ।
তোমার হাতে যখন পরেছে এটা, সো অবভিয়াস্লি উই ক্যান এক্সপেক্ট সামথিং ইউনিক এন্ড ডিফারেন্ট স্টোরি কামিং । অল দা বেস্ট আপুটা :)

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৫৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আপনাকে আশা করছি এই লেখার সাথে। আজ রাতে পরের অংশ দেওয়া হবে। ইটস লাইক ডেইলী ডেইলী ইটিং সিটিং।

১০| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:২০

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এই গল্পের 'আমি'টাকে আমার খুব চেনা চেনা মনে হচ্ছে। ভাল লেখকেরা এভাবেই লিখে থাকেন, পাঠকের কাছে তাদের লেখার সব কিছুই যেন চেনা চেনা মনে হয় (তাই কি? নাও হতে পারে তেমন!)।
নিউজটা ব্রেক করার পর আপনার মায়ের অভিব্যক্তিটাকে দারুণভাবে ফোটাতে পেরেছেন।
আইবিএ'র ছাত্র মানে তো দারুণ মেধাবী। আপাততঃ চালচুলোহীন হলেও তাতে অসুবিধে নেই।
লেখাটা মোটেই লম্বা হয়ে যায় নি। আরেকটু কিছু দিতে পারতেন। খুব ভাল লাগছে আপনার (অ)জানা গল্পটা পড়তে।
গল্পে ভাল লাগা + +।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:০৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ভালো লেখক বললেন তাই বড় খুশি হলাম। মায়ের অভিব্যক্তি এমনই ছিলো। কারণ মা নিজে যা পারেনি মেয়ে তাই পারছে। এই সাহস দেখে স্তম্ভিত হওয়া ছাড়া আর কি উপায় ছিলো? মায়ের জীবনেও এমনই এক গল্প ছিলো। শুরুটা একই কিন্তু শেষটা মেয়ের মতন না। মা এত সাহসী হতে পারেননি যেই সাহস মেয়ের মাঝে দেখলেন।

আর হ্যাঁ আইবিএ করা চালচুলোহীন মানুষ হয়ত সম্ভাবনাময় উজ্জ্বল ভবিষ্যতের হয় কিন্তু সবাই কি ধরে রাখতে পারে? সে যাইহোক আজকে রাতেই পরের অংশ দেবো।
অসংখ্য ধন্যবাদ।

১১| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৫৬

ঢুকিচেপা বলেছেন: পড়তে এলাম। নতুন পর্ব কই।

০৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:০৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: দিচ্ছি ভাই। একটু দেরী হয়ে গেলো!

১২| ০৫ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৫৮

পুলক ঢালী বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।
গল্পটি সাদামাটা হলেও কাহিনীর পিছনের কাহিনীই বিশেষত্ব দান করেছে এবং সেখান থেকে আপনার বিপ্লবের প্রেরনা এসেছে। সেখান থেকেই চিরাচরিত নিয়ম ভেঙ্গে দেওয়ার একটা লক্ষ্য রেখে আপনি এক্সপেরিমেন্টে নেমেছেন।
জীবন নিয়ে পরীক্ষা করার ঝুকি নিয়েছেন।
একটা শব্দ এডিট করতে হবে। সেটা পরে আগে মনে একটা প্রশ্ন এসেছে সেটা করে নিচ্ছি:
- আপনি পড়াশুনা শেষ করে ২ বৎসর ধরে চাকুরী করছেন, আপনার স্বামী এখনও ছাত্র এটার কারন কি ?
সে কি আপনার চেয়ে জুনিয়র ?
সেশন জট হলেও এমনটা হওয়ার কথা নয় এবং আমি যতদুর শুনেছি আইবিএ তে সেশন জট নেই, হলেও সেটা ৩ বা ৪ (যদি সে আপনার চেয়ে ২ বৎসরের সিনিয়র হয়ে থাকে) বৎসর অব্দি গড়ায় না।
আপনি ৫ নম্বর প্যারায় লিখেছেন অব্যর্থতা এর মানে হলো লক্ষ্যে পৌছাতে ব্যর্থ না হওয়া।
সহজ উদাহরন: আপনি টার্গেট লক্ষ্য করে গুলী বা তীর নিক্ষেপ করলেন সেটা অব্যার্থভাবে লক্ষ্যে আঘাত করলো।
আপনি মায়ের জীবনের ব্যর্থতার কথা বলেছেন অব্যার্থ হলে তিনি আনিস ভাইকেই বিয়ে করতেন।
ঘটনা কোথায় গিয়ে দাড়ায় সেটা দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
ভাল থাকুন।
(আপনার লেখা পড়ে সন্দেহ হচ্ছে আপনি দেশের বাহিরে থাকেন কেন এমন মনে হচ্ছে জানিনা )

০৫ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৫৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ঠিক ধরেছেন। হাসব্যন্ড জুনিয়র। এইটাও আরেক ব্যতিক্রম। এই কারণেই জব হোল্ডারকেই দায়িত্ব নিতে হলো। যদিও বউ নাম্বার ওয়ান খামখেয়ালী স্বভাবের বার চ্যালেঞ্জ নিতে ভালোবাসে।

আমাকে কি দেখে দেশের বাইরে মনে হলো ভাই। এই রমক ভাঙ্গাচোরা চিলেকোঠা কি দেশের বাইরে থাকে? হাসাইলেন।লেখাটা পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। পরের পর্বও লিখছি। আশাকরি পড়বেন। সাথে থাকবেন।

১৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৪০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এদিক-সেদিক দেখি দাওয়াতী কার্যক্রম চালাচ্ছেন, আমার দাওয়াত কই? আবার এক জায়গায় বলেছেন, শুধু রোমান্টিক মানুষেরা এই লেখাটা পড়ুক এই চাওয়া। আপনার কি ধারনা, আমি রোমান্টিক না!!! :-B

আমার লেটেস্ট পোষ্টে একটা লাইক দিয়ে দেখলাম ভেগে গেলেন, পোষ্ট নিয়ে ভালো-মন্দ কিছুই তো বললেন না। লেখাটা কেমন হলো বুঝবো কিভাবে? :P

যাকগে, এসব প্রেম-ভালোবাসা আমি কিন্তু খুবই ভালা পাই। গল্প ভালো হচ্ছে, গল্পের সাথে ছবির মিলও পাওয়া যাচ্ছে। চলুক। তবে, ভবিষ্যতে দাওয়াত না দিলে আপনার চিলেকোঠায় আসবো না বলে দিলাম। B-)

০৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৫৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আরে ভাই লাইকটাই যে দাওয়াৎ সেই কথাটা বুঝলেন না? নিজের বিয়ের দাওয়াৎ নিজের মুখে দিতে লজ্জা লাগে না?

আবারও লুকাই গিয়া দাওয়াৎ দিয়ে আসবোনে।

আপনারে রোমান্টিক মনে হয় না সেই কথা সত্য। বরং মনে হয় রোমান্টিনের বদলে আমি ফানান্টিক মানে ফান করতে গিয়া ধরা খান। রামজাদী স্টাচুের কমেন্টখানা লাইক করা দেখে বুঝলাম।

০৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:০৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: চিলেকোঠা ২ ও পড়েন ভাই। তবে নীচে দেখেন পুলকভাই রাগ করলো আমার উপরে। আমি ইচ্ছা করে করিনি। উত্তর লিখতে গিয়ে ভুলে গেছিলাম সেটাই ব্যর্থতা। আপনিও আবার রাগ কইরেন না।

১৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪০

পুলক ঢালী বলেছেন: আপনি আমার কমেন্টের রিপ্লাই দিয়েছেন, কিন্তু, অব্যর্থতা বিষয়টি এড়িয়ে গেলেন, বিষয়টি ঠিক বোধগম্য হলোনা।
১। আমার ভুল হয়ে থাকলে সংশোধন করে আমার ভুল ভাঙ্গাতে পারতেন।
২। আমি সঠিক বলে থাকলে আপনি আপনার লেখা এডিট করে দিতে পারতেন।
জবাব না দিয়ে এড়িয়ে যাওয়াটি কি আপনি কৌশল মনে করেন ? যদি তাই হয় তাহলে এটা একটা অপকৌশল,
কারন, মন্তব্যকারীকে আপনি অবহেলা করেছেন এটা উন্নাষিকতার বহিঃপ্রকাশ।

০৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৫৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: কোনটা অপকৌশলভাই?
বুঝি নাই। দাড়ান আবার কমেন্ট পড়ে আসি।
আমি মন্তব্যকারীকে অবহেলা করি না।
আমার লেখা পড়ছেন দেখেই ধন্য হয়ে গেছি।কারণ আমার লেখা প্রথম পাতায় না আসার পরেও পড়েছেন।
কষ্ট বা রাগ নিয়েন না। দাঁড়ান মন্তব্য পড়ে আসছি আবার। কি বাদ গেলো বুঝে দেখি।

০৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:০৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আপনি ৫ নম্বর প্যারায় লিখেছেন অব্যর্থতা এর মানে হলো লক্ষ্যে পৌছাতে ব্যর্থ না হওয়া।
হ্যাঁ। ব্যর্থতা মানে হেরে যাওয়া অব্যর্থতা মানে জেতা।

সহজ উদাহরন: আপনি টার্গেট লক্ষ্য করে গুলী বা তীর নিক্ষেপ করলেন সেটা অব্যার্থভাবে লক্ষ্যে আঘাত করলো।
আপনি মায়ের জীবনের ব্যর্থতার কথা বলেছেন অব্যার্থ হলে তিনি আনিস ভাইকেই বিয়ে করতেন।
ঘটনা কোথায় গিয়ে দাড়ায় সেটা দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
ভাল থাকুন।


বুঝছি আমি ভুল করছি। ব্যর্থতা হবে। এডিট করে দিচ্ছি। স্যরি ভাই। আপনি এই ভুল ধরিয়ে দিয়েছেন তাই কৃতজ্ঞতা। উন্নাসিকতা বললে কষ্ট পাবো আমি নিজেই। ক্ষমা করেছেন কিনা বলে যাবেন। না করলেও বলবেন। কিন্তু ক্ষমা না করলে বুঝবো আপনি আমাকে শুধু শুধু ভুল বুঝলেন।

১৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:২৪

পুলক ঢালী বলেছেন: আমি দুঃখীত আমার ১৪নং মন্তব্যের জন্য। আমার ব্লগ জীবনে এমন কঠোর আক্রমনাত্মক মন্তব্য কোথাও করেছি বলে মনে পড়েনা।
হঠাৎ করে এত রেগে গেলাম কেন ? তার কারন অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখলাম--
১। আপনি আমার মূল বক্তব্যের সঠিক উত্তর দেননি।
২। বরং ব্রাকেটের লেখাটিকে গুরুত্ব দিয়েছেন এবং সেটারও সহজ সরল উত্তর ( জ্বী! ভাই দেশে থাকি--জ্বী! ভাই বিদেশে থাকি ) না দিয়ে বরঞ্চ উল্টো প্রশ্ন করেছেন।

বিভিন্ন জনের অভিব্যক্তি বিভিন্ন রকম হতেই পারে এবং মানুষ মাত্রই ভুল করতে পারে (ম্যান ইজ মর্টাল ;) :D ) কিন্তু তাই বলে আমি সহনশীলতার গন্ডী পেড়িয়ে এমন মন্তব্য করতে পারিনা।
আমারও ভুল হয়েছে, আমিও দুঃখীত এবং ক্ষমা প্রার্থী।
ভাল থাকুন।

০৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:২৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আমিও দুঃখিত পুলকভাই। আর খুব অবাক হয়েছি আমার এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য আপনার এমন রাগ করাটা দেখে। ভয় পাচ্ছিলাম আপনার রাগ নামবেই না ভেবে। কিন্তু সত্যিই আমি ইচ্ছা করে জবাব দেইনি তা না। আমি বুঝিনি আপনি অব্যর্থ আর ব্যর্থ কথাটার ভুল প্রয়োগ নিয়ে বলছেন আমি ভেবেছিলাম এটা একটা কঠিন প্রশ্ন আর সেটা ভেবে পরে উত্তর দেবো এমন কিছুও ভেবেছিলাম। কিন্তু যেহেতু অফসিয়াল কাজের মাঝে ঢু মারছিলাম তাই পরে ভুলে গেছি।

আপনি আসলেই ভুল বুঝেছিলেন। আমার কথার স্টাইলে আপনার কোথাও কিছু ভুল মনে হয়েছিলো। যাইহোক সত্যি কথা আমি ইচ্ছা করে তো এমনটা করিইনি তাছাড়া আপনাকে আমি আমোদপ্রিয় একজন ভালো মানুষ বলেই মনে করি। সামু পাগলার পোস্টে মন্তব্যগুলো দেখে। এত সহজে রেগে যাবেন বুঝলে আগেই সাবধান হয়ে আগেই ঐ কথাটা বুঝবারই চেষ্টা করতাম।

যাইহোক অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমার মন এতই খারাপ হয়েছিলো যে আমি এরপরের পর্বটাই আর দিতে পারিনি। যাইহোক রাগটাকে ভুল বুঝে ভুলে গেলেন তাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আর ভালোবাসা। আপনাকে উপেক্ষা করার কোনো ইচ্ছাই আমার নেই। কি করে সেটা প্রমান করবো আমি জানিনা শুধু এইখানে লিখেই সেটা করতে পারছি। অনেক ভালো থাকবেন আড় বাকী পর্বগুলোও পড়বেন। এটা আপনার রাগ ভুলে যাবার উপায় হবে। হা হা

১৬| ০৭ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি সচরাচর অন্যদের কমেন্ট-রিপ্লাই পড়ি না নিজে আগে কমেন্ট না করে; এখানে প্রথম প্রশ্ন এবং এর উত্তর 'কেন আপু' পর্যন্ত পড়েছি :)

আমি অনলাইন থাকা অবস্থায় প্রথম পাতায় ভেসে থাকা লেখাগুলো পড়ি - আলোচিত ব্লগগুলোও পড়ি। কিন্তু আপনার পোস্ট কেন চোখে পড়লো না বুঝতে পারছি না। আপনি কি এখনো প্রথম পাতায় অ্যাক্সেস পান নি?

আচ্ছা, আমি মুগ্ধ হয়েছি আপনার লেখার হাত দেখে। খুবই সাবলীল লেখা। গল্প বলার স্টাইলও মনকাড়া, অর্থাৎ, পাঠক সহজেই নিজেকে গল্পের ভেতরে নিয়ে যেতে পারে।

আমি এটাকে গল্প হিসাবেই পড়েছি।

আমি একবার একজনের বিরাট একটা গল্প পড়ে বিরাট একটা কমেন্ট করেছিলাম। তার আশাতীত ছোট্ট উত্তর (এক বা হাফ লাইন) আমাকে আশাতীত মর্মাহত করেছিল। পরে অন্যদের কমেন্ট পড়ে বুঝেছিলাম, ওটা গল্প নয়, সত্য কাহিনি। অবশ্য, তার আর কোনো লেখায় আমি আর যাই নি আমার স্বভাব বজায় রেখে :)

শুভ কামনা প্রহর।

০৭ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: সত্যি বলতে কোনটা গল্প আর কোনটা কাহিনী তার ডিফারেনশিয়েট এখনও করতে পারিনা আমি। জানিই না।
শুধু কেনো আপু পর্যন্ত পড়েছেন ? হ্যাঁ ওমেরা আপু আগেই জানতে চাইলো এটা কার গল্প সেটা জানতে গেলে এই গল্পের শেষে যেতে হবে যেটা এখনো এখানে প্রকাশই করিনি।

আমার পোস্ট চোখে আসেনি কারণ আমি প্রথম পাতায় এক্সেস পাইনি। কখনও তা পাবো বলেও মনে হয় না। না পাই তবুও এই লেখা শেষ হবে এবং এর পরের লেখগুলিই যতদিন মন চায় লিখে যাবো। প্রথম পাতায় এক্সেস ঠেকতে পারে আমার কিবোর্ড ঠেকাবে কে? হাহাহা

আমার যা মনে আসছে লিখে যাচ্ছি তারপরও সব কথা লিখতে পারছিনা এটাই আমার প্রতিবন্ধকতা। সব প্রতিবন্ধকতা ঝেড়ে মনের অর্গল খুলে শামসুল হক বা তাসলিমা নাসরিন যে কারো কণামাত্রও হয়ে যেতে পারলেও বঝি বুকের বোঝা কিছুটা নামতো। পারিনা সেটাই অক্ষমতা।

কমন্টের ছোট উত্তর দেখে যেন রাগ না করেন তাই এত বড় সড় করে লেখার কথাটা মাথায় রাখলাম।

১৭| ০৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৩১

মা.হাসান বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।
আপনি প্লিজ প্রথম পাতায় আপনাকে অ্যাক্সেস দেয়ার অনুরোধ জানিয়ে প্রতিদিন মডারেটরকে কম করে একটা করে ইমেইল করতে থাকুন- রেজাল্ট না পাওয়া পর্যন্ত।

পুলক ঢালী ভাই এই ব্লগের একজন অনেক সিনিয়র মেম্বার এবং অত্যন্ত ভদ্র মানুষ। ওনার আচরন থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। ওনার ১৪ নম্বর কমেন্ট আমার কাছে আক্রমনাত্মক মনে হয় নি। ওনাকে অনেক শুভেচ্ছা।

বাংলাদেশে মেয়েদের অধিকাংশের এখনো বাস্তব জীবনের রূঢ়তা সম্পর্কে ধারণা কম। এই ধরণের অসম সম্পর্কের পরিনতি ভালো হবার সম্ভাবনা কম। এর পরেও সকলের জন্য শুভ কামনা রইলো।

০৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৩৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: মডারেটরকে মেইল করে করে জ্বালাবো? শেষে দেখা যাবে যন্ত্রনায় অস্থির হয়ে ব্লগ থেকেই বের করে দিসে। থাক দরকার নাই।
আপনি পড়েছেন দেখে বড় ভালো লাগছে। পুলকভায়ের কথায় আমি রাগ তো করিনিই বরং বুঝেছি। বাংলাদেশের মেয়েরা আজকাল প্রায় পুরুষের সাথে কাঁধ মিলিয়ে চলার মতই যোগ্যতা অর্জন করেছে। কিন্তু বাস্তব আর মেয়েলী আবেগ থেকে বের হতে কতদিন লাগবে জানিনা আমরা।

১৮| ১৭ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
গল্পের নামটি যেমন চমৎকার তেমনি কাহিনিও। চলতে থাকুক ++++++++

৩১ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:০৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ধন্যবাদ মাইদুলভাই। আনসেফ আর প্রথম পাতায় না আসা সত্ত্বেও আমার লেখা পড়ে যাবার জন্য।

১৯| ৩১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৩৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: কবিতা পড়ার প্রহর,




কবিতার মতোই মধুর কাহিনী।

গল্পে এটুকুতে যা বলেছেন তার সারাংশ মনে হয় এটাই -- পারস্পারিক বিশ্বাস আর আস্থার জায়গাটি থাকলে চিলেকোঠার ভালোবাসার প্রতিটি প্রহরই সুরম্য প্রাসাদের মতো রাজকীয় হয়ে ওঠে আর সেটাই আসল!

দেখা যাক, পরবর্তী কাহিনী এই বিশ্বাস আর আস্থাকে কতোটুকু এদিক সেদিক নিয়ে যেতে পারে!
পড়ছি ....................

৩১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৫৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ভালোবাসা কি মোহ নাকি ঘোর নাকি অন্য কিছু, অন্য কোনো রহস্যে ঘেরা মানব মনের কোনো অজানা অধ্যায় ভেবে পাই না আমি।
কখনও তা পথের ধুলাতেও রাজকীয় কখনও রাজপ্রাসাদেও ম্লান।
শুধু যেটুকু সময় বেঁচে থাকে সেই সময়টুকু বড় মূল্যবান।

অনেক ধন্যবাদ লেখাটা পড়ার জন্য।

২০| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৬

আমি সাজিদ বলেছেন: অনলাইনে প্রেম থেকে বিয়ে! টম হ্যাংকসের একটা চমৎকার সিনেমা আছে, Sleepless in Seattle। রেডিও স্টেশনে ফোন কল থেকে প্রেম হয়।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: অনলাইনে প্রেম থেকে বিয়ের ঘটনা প্রায়ই ঘটছে এবং ঘটেছেও।

এই সিনেমা দেখতে হবে তাহলে।

এই কমেন্ট এত দিন পর দেখলাম কেনো?

২১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪০

শুভ_ঢাকা বলেছেন: আমি সামুতে সিরিজ খুব একটা পড়িনি। কারণ আমার পড়া অভ্যাস নেই বললেই চলে। গুনি ব্লগারের রেকোমেন্ড। আমার কিছু প্রিয় ব্লগারের কমেন্ট আমাকে উৎসাহিত করেছে আপনার লেখা গল্প পড়ার। এখনই আপনার লেখার প্রথম পর্বটি পড়লাম। স্বভাবই আপনার লেখা পড়ে মনে ২/১টা প্রশ্নের কৌতূহল জেগেছে। এটি কি আপনার নিজের আত্মজীবনী। আপনি কি আপনার পরিবারের একমাত্র সন্তান। প্রশ্নের উত্তর দেওয়া না দেওয়াটা একান্তই আপনার ঐচ্ছিক ব্যাপার। আমার মত পাঠ বিমুখ মানুষ আপনার লেখা পড়ছে মানে আপনি বেশ ভাল লিখেছেন। আপনার লেখা পড়ে ইংরেজি একটা কোটেশন মনে পড়ে গেল। Life is stranger than fiction.

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: পাঠ বিমুখ মানুষকেও এই লেখা পড়াতে পেরেছি এটা জেনে জীবন ধন্য হলো আমার। আসলেও খুব ভালো লাগছে জেনে।

এই লেখার উৎস কোথায়, কিভাবে হলো আমি কে, কেনো লিখেছি লেখা শেষে সবই জানিয়ে দেবো।

অনেক অনেক শুভকামনা। সবগুলি পর্বই পড়বেন আশা করছি।

২২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:১৯

আনমোনা বলেছেন: প্রেম ভালোবাসার পর্ব সংক্ষেপে সেরে, ডাইরেক্ট টোনা-টুনির সংসারে এসে পরলাম। অবশ্য সবগুলোই পড়ে আবার প্রথম পর্বে ফেরত এলাম।
কর্মজীবি টুনি আর এখনো ছাত্র টুনা, বেশ আনইজুয়াল কম্বিনেশন। নিশ্চয় সামনে অনেক সমস্যা।
টুনির আত্মবিশ্বাস ভালো লাগলো। তবে একমত নই যে মেয়েরা চিরকাল বসে খেয়েছে। আচ্ছা আমাদের টুনা কি বসে খায়? পরের পর্বগুলোতে প্রতিবেশীর ভ্রুক্রুটি দেখেছি, টুনাটুনির ইগোর ক্ল্যাশও আসতে পারে।
ভালো লাগা++++++

১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৪২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা এতদিন পরে এই মন্তব্য দেখলাম আপা। আমার কোনো দোষ নেই। সব দোষ নোটিফিকেশনের।

আমাদের টুনা তো বসেই খায়। কেউ কি দাঁড়িয়ে খায় বলেন। রাস্তাঘাটের অবশ্য ফুচকা চটপটি অনেকে দাঁড়িয়ে খায়।

২৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনার চিলেকোঠায় এলাম , আশা করছি সব পর্ব ই খুব জলদি শেষ করতে পারবো।

১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৪৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ছোট্ট ছোট্ট করে লেখা । শেষ হয়ে যাবে আপু।

২৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৩৯

ইসিয়াক বলেছেন: চমৎকার শুরু।লেখা সাবলীল। লেখালেখিতে অভিজ্ঞতা আছে বোঝা যাচ্ছো।
৥যাক বিয়ে হলো পরিবারের অমতে ..যদিও নায়কের পরিবারের কারো সম্পর্কে এখনও তেমন কিছু জানা গেলো না। খুব শিঘ্রি আসছি পরের পর্বে।

১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৪৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ। লেখালিখির অভিজ্ঞতা মানে ডায়েরী লেখা টাইপ লেখা আর কি।

২৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৭

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: আপনার জেন্ডার তো প্রথম মন্তব্যেই ফাঁস হয়ে গেছে। আপনি ভাইয়া নন, আপু।
গল্প ভালোই এগুচ্ছে। তবে সামনে চমক না থাকলে কিন্তু আর দশটা সাদামাটা গল্পের মতই মনে হবে। তাতে পড়ার আগ্রহটা ততটা থাকবে না।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: সম্রাটভাই।
স্যরি অনেকদিন পর আপনার মন্তব্য দেখলাম।

সামনে তো আর আপনার দেখা পেলাম না। কেমনে বুঝবো গল্প কেমনে এগুলো।

২৬| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৪

ফয়সাল রকি বলেছেন: শুরু করলাম, দেখা যাক কাহিনী কোন দিকে মোড় নেয়।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: কচ্ছপ ব্লগার থেকে দেখছি সত্যিই রকেট ব্লগার হয়ে গেলেন।

দুই উপাধীর জন্য দুজনের পুরষ্কার প্রাপ্য।

এক চাঁদগাজীভাই আরেক করুনাধারা আপু।

আর আমার পোস্ট পড়ার জন্য কোন উপাধি দেবো ভাবছি।

২৭| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৮

ফয়সাল রকি বলেছেন: গতির ব্যাপারে একটা বিষয় বলা দরকার, আমি একটু ব্যস্ততার মধ্যে থাকি। কয়েকদিন ধরে আসলেই ব্যস্ততা একটু কম যাচ্ছে। যেমন গতকালও সারাদিন তেমন কাজ ছিল না, কিন্তু দুপুরের পর থেকে কাজ শুরু হলো, চললো রাত আটটা পর্যন্ত। সোয়া আটটায় অফিস থেকে বের হলাম।
আর আপনার সিরিজের সর্বশেষ পোষ্টটা দেখেছিলাম আগেই, কিন্তু শুরু থেকে না পড়লে মজা পাওয়া যায় না দেখে শুরু করিনি।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ফয়সালভাই আপনার গতবারের বইমেলার বইটা আমার কাছে আছে।

হা হা চিন্তায় পইড়েন না এখন আবার।

যাইহোক ওকে সময় যখন আছে যান সবগুলো পড়ে ফেলেন ১ টু ১৫.......

১ ঘন্টাও লাগবেনা। বড় জোর ৩০ মিনিটস। কমেন্ট করা লাগবেনা। শুধু পড়েন। তবে হ্যাঁ এই লেখার মূল প্রাণ এই লেখার পাঠকেরা।

আমি আমার জনমে কোনো গল্পে এমন পাঠক ইনভল্ভমেন্ট দেখিনি।

আমার এ লেখা যখণি পাবলিশ করি আমি উদগ্রীব হয়ে অপেক্ষা করি আমার পাঠকদের এক একখানা মজাদার সব কমেন্টের জন্য।

হা হা বিশ্বাস না হয় পড়ে দেখেন। লেখা না শুধু কমেন্ট গুলো পড়ে যান।

হাসতে হাসতে মরবেন।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৯

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ওহ আরেকটা কথা।

এই নিক সেইফ হবার আগে থেকেই অনেকেই এই লেখা পড়ে নানারকম মজাদার কমেন্ট দিতে শুরু করেছিলো।

পাঠকের মনে অনেক প্রশ্ন আছে।

আমি সবগুলির জবাব দেবো ।

তবে লেখার শেষ পর্ব পাবলিশের আগে নয়। হা হা

২৮| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২০

ফয়সাল রকি বলেছেন: জ্বী, দ্বিতীয় পোষ্টটা পড়ে কী লিখবো ভাবতে ভাবতে কমেন্ট পড়তে গেছলাম, তারপর আর কিছু বললাম না :(

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা আচ্ছা পড়েন। সবগুলা পড়ে শেষে এসে বলে যাবেন।

১৫ পর্যন্ত লিখেছি। খুব শিঘ্রী আরও ৫ পাবলিশ দিয়ে দেবো।

তারপর পাঠকের সকল প্রশ্নের জবাব দিয়ে......

পালাবো নাকি ভেবে দেখবো :P

২৯| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩২

ফয়সাল রকি বলেছেন: চেষ্টা থাকবে সব পর্ব পড়ার। আজকে কয়টা পড়তে পারি দেখি।
ভালো কথা, গতবারের বইটা পেলেন, তার আগেরটা সংগ্রহ করলেন না? করে ফেলুন জলদি।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আচ্ছা করবো।

নিশ্চয়ই করবো।

৩০| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫১

পবিত্র হোসাইন বলেছেন: সবগুলো পর্ব একসাথে পড়লাম।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:০৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: থ্যাংক ইু সো মাচ। :)


তারপর পড়ার পর কি মনে হলো?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.