নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লোকে বলে প্রথম প্রেমটা বড্ড কোমল\nএলোমেলোযায়না \nভোলা কোনোদিনও\nসত্যি কি তাই

কবিতা পড়ার প্রহর

কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে রাতের নির্জনে

কবিতা পড়ার প্রহর › বিস্তারিত পোস্টঃ

চিলেকোঠার প্রেম -২

০৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:২৫

পলেস্তারা খসা ইট বেরিয়ে থাকা রেলিংহীন সিড়ি বেয়ে নতুন শাড়িতে প্রায় হুমড়ি খেয়ে পড়তে পড়তে পৌছালাম দোতলার সেই চিলেকোঠার ঘরে। দরজার কড়ায় ঝুলানো বড় সড় তালাটা চাবি ঘুরিয়ে খুলে ফেললো শুভ্র নিজেই। ওহ ওর নামটাই বলা হয়নি এতক্ষনে, ওর নাম শুভ্র। আমাদের সাথে শুভ্রর ৩ জন বন্ধু ছিলো আর একজন বন্ধুর বউ। বন্ধুপত্নীটি বেশ হাসিখুশি আর করিৎকর্মা সে কথা খুব ভালোই বুঝা গেলো ঘরে ঢুকেই পাঁচ মিনিটের মাঝে বিছানার পুরোন চাদর টান দিয়ে উঠিয়ে নতুন একটা চাদর বিছিয়ে টেনে টুনে ঠিক ঠাক করে ফেলা দেখেই। আমার হাত ধরে সে বিছানায় বসালো সেই। তারপর সাথে করে আনা বিরিয়ানীর প্যাকেট খুলে খাবারের আয়োজন করতে লেগে গেলো ঘরের এক কোনে রাখা পড়ার ছোট টেবিলটার উপরেই খবরের কাগজ বিছিয়েই।

দরদর করে ঘামছিলাম আমি। এসি তো দূরের কথা, নড়বড়ে ফ্যানটাও ঢিমে তালে চলছিলো। যে গতীতে চলছিলো তাতে সেখান থেকে এক ফোটা বাতাস পাবার আশাও বৃথা। তবুও এই নতুন এডভেঞ্চারে আমি এতই মেতে ছিলাম যে কোনো কষ্টই আমার কষ্ট মনে হচ্ছিলো না। মনে হচ্ছিলো আমি তো সব জেনেশুনেই এখানে এসেছি। আমি তো এটাই চেয়েছি। নতুন কোনো জীবন। তো একদমই নতুন হোক না কেনো? কোনোই সমস্যা নাই।

রাত দশটার দিকে চলে গেলো ওরা। আমি বিছানাতেই বসে ছিলাম। শুভ্র আমার সামনে এসে বসলো। বললো, কি ভাবছো? এই চালচুলোহীন ভবঘুরের সাথে একটা দিনও কি থাকা যায়? ভাবছো অনেক বড় ভুল হয়ে গেলো তাইনা? আমি কিন্তু আগেই বলেছিলাম, তোমার কষ্ট হবে। তুমি শুনলে না। আমি হাসছিলাম। আমার কিন্তু কষ্ট হচ্ছিলো না বরং মজাই লাগছিলো এই নতুন জীবন, নতুন পরিবেশ। এক্কেবারে অজানা, অচেনা এই জীবন বা জগৎটাতে ঢুকে যেতে পেরে।

ছোটবেলায় বড় রাস্তা দিয়ে গাড়ি করে যখন ছুটে যেতাম গ্রামে দাদুর বাসায়। তখন দেখতাম রাস্তার ধারে কুড়েঘর বা টিনের এক চালা দোচালা ঘরগুলো, খড়ের গাঁদা বা পুকুরের পাড়ে কাপড় কাচছে মেয়েরা। ঐ জগতটাকে স্বপ্নের জগত মনে হত আমার। কত দিন সে সব লং জার্নিতে আমি সেই সব বাড়ির বাসিন্দা হয়ে স্বপ্নের জগতে চলে যেতাম। ঠিক ওমন নিকানো উঠোনের ছবিতে আঁকা মাটির বা টিনের বাড়িতে মানুষগুলো তখন আমার চোখে ছবিতে আঁকা ছবি হয়ে ভাসতো। এটাও তেমন আমার এক অচেনা জগৎ। ভাঙ্গাচোরা এই চিলেকোঠার ঘরে নতুন এক স্বপ্ন স্বপ্ন জীবনের শুরু। এমন জগৎ আমার একেবারেই অচেনা। এমন জীবন আমার একেবারেই অদেখা। তবুও আমি অখুশি নই। এই জগতে থাকে আমার ভালোবাসার মানুষটি। আমি তার কাছে চলে এসেছি। আজীবন তার জগতে থাকবো বলে।

আমাকে দরদর করে ঘামতে দেখে ও বললো ইশ তোমার তো মনে হয় খুব গরম লাগছে। তুমি হাত মুখ ধুয়ে কাপড় চেইঞ্জ করে ফেলো। আমাকে ও নিয়ে গেলো ছাদের উপর ঐ চিলেকোঠার পাশেই এক রতি এক ছোট্ট ওয়াশরুমে। হঠাৎ স্বপ্নের জগৎ বুঝি নড়ে উঠলো আমার। ভাবছিলাম এখানে কি করে চেইঞ্জ করবো আমি! আমার বিস্ফারিত চেহারা দেখে ও হেসে ফেললো।
- কি ম্যাডাম দেখলেন এবার, কি মানবেতর জীবন আমার। এখনও সময় আছে। ভেবে দেখতে পারেন। আমি তাড়াতাড়ি ফের বাস্তবে ফিরে এলাম। এত সহজে হার মানার পাত্রী আমি না। কাজেই যে জীবন ছেড়ে এসেছি এবং যে জীবনে ঢুকেছি তা থেকে সরে দাঁড়াবো এত সহজে? তা তো হতে পারে না।

হাত মুখ ধুয়ে কাপড় বদলে ফ্রেশ হয়ে বসতে না বসতেই আবার নতুন উপদ্রব। ঠাস করে আইলেক্ট্রিসিটি চলে গেলো। কিন্তু মূহুর্তেই আমাকে অবাক করে দিয়ে জানালা দিয়ে সারা ঘর ভরে উঠলো আলোকিত জ্যোস্নায়। এই অদ্ভুত মায়াময় জ্যোস্না আমার আগে কখনও দেখা হয়নি। আমার বদ্ধ সাউন্ডপ্রুফ রুমের ডাবল গ্লাসের উপরে ভারী পর্দা ভেদ করে কখনও ঢোকেনা কোনো চাঁদের আলো। কিন্তু আজ এই মায়াবী আলোর জ্যোস্না মাখা রাত আর ছাদের কোনে লাগানো হাস্নাহেনার গাছ থেকে ভেসে আসা অদ্ভুত এই অপার্থীব সুগন্ধ মূহুর্তেই আমাকে নিয়ে গেলো এক অপার্থীব জগতে! এক নিমিষে চিলেকোঠার ঘরটি যেন রুপকথার মত বদলে গিয়ে হয়ে উঠলো স্বর্গীয় সুন্দর!

শুভ্র আমার হাত ধরে বললো, দেখো আজ পূর্নিমা। আকাশে কি সুন্দর চাঁদ উঠেছে। চলো ছাদে গিয়ে বসি। আমরা ছাদের এক কোনে গাঁথা সিমেন্টের বেঞ্চে এসে বসলাম। শুভ্র আমার গা ঘেষে আমাকে জড়িয়ে রেখেছিলো ওর এক হাতে। আমি পরম নির্ভরতায় ওর কাঁধে মাথা রাখলাম। চারিদিকে শুনশান। বসন্তের মাতাল হাওয়া বইছিলো। শুভ্র আর হাস্নাহেনার গন্ধে তখন মৌমিতাল পূর্নিমা রাত! আমার বুকের ভেতর এক আশ্চর্য্য উথাল পাথাল। প্রেম জিনিসটা যে আসলেই কি সেই প্রথম বুঝলাম আমি। মনে হচ্ছিলো সেই অপূর্ব ক্ষন যেন কখনও শেষ না হয়। সারাজীবন এভাবেই কাটিয়ে দেওয়া যায়। আমরা চুপচাপ অনেকক্ষন বসেছিলাম সেই রাতে। সেই আলোকিত অপরূপ জ্যোস্নারাতে ছাদ ঘেষে নীরব সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে ছিলো নারকেল, সুপারী আর দেবদারু গাছেরা। নারকেলের ঝিরঝিরি পাতা থেকে এক অদ্ভূৎ শব্দ আসছিলো। আর শুভ্র বুকে মাথা রেখে আমি শুনতে পাচ্ছিলাম ওর হৃদপিন্ডের শব্দ। আজ এতগুলো দিন পরেও আমি চোখ বুঝলেই সেই শব্দটাই শুনি।

সত্যি বলতে আমার এই পর্যন্ত জীবনে সেই রাতটির মত সুন্দর রাত আর কখনই ছিলো না। প্রায় মধ্যরাত পর্যন্ত জ্যোস্না গায়ে মেখে বসেছিলাম আমরা ছাদে। শুভ্র বলেছিলো, একটা গান শোনাবে? আমি হেসে ফেলেছিলাম ওর কথায়। বলেছিলাম তাহলেই ষোলো কলা পূর্ণ হয় তাই না? ও অবাক হয়ে বলেছিলো, কিসের ষোলো কলা! আমি বলেছিলাম কিসের আবার? বাংলা সিনেমার। অনেক জোরে হেসে উঠেছিলাম আমরা। পাশের দেবদারু বা নারকেল গাছ হতে একটা রাত জাগা পাখি ভয় পেয়ে ডানা ঝাপটিয়ে উঠেছিলো। সে শব্দে আমি আরও ভয় পেয়ে জড়িয়ে ধরেছিলাম শুভ্রকে। বাংলা সিনেমার দৃশ্যগুলি যেন সেই রাতে সবার অগোচরেই চিত্রায়িত হয়ে গেঁথে রইলো আমার বুকের গভীরে আর সেই বসন্তের রাতের মায়ামাখা জ্যোস্নায়।

আমি গেয়েছিলাম, যেতে যেতে পথে পূর্নিমা রাতে চাঁদ উঠেছিলো গগণে, দেখা হয়েছিলো তোমাতে আমাতে কি যেন কি মহা লগনে? আসলেই সে ছিলো এক মহালগন শুভ্র! তোমার গায়ের গন্ধ, তোমার বুকে মাথা রেখে শোনা তোমার বুকের ধুকপুক আর আকাশ ভেঙ্গে নামা জ্যোস্না সব মিলিয়ে এত সুন্দর স্বর্গীয় প্রেমের দৃশ্য, গন্ধ ভালোবাসা কোনো চিত্রকর পারবেনা তার তুলিতে আঁকতে......


প্রায় ভোর রাতে ঘুমাতে গিয়েছিলাম আমরা। সকালে যখন ঘুম ভাঙলো শুভ্রের একটা হাত তখনও জড়িয়ে আমাকে। জানালা গলে ভোরের স্নিগ্ধ আলো এসে পড়ছিলো ওর পাশ ফেরানো মুখের ওপর। ওকে পৃথিবীর সবচাইতে পবিত্রতম দেবদূতের মত দেখাচ্ছিলো। আমি ওর গালে হাত ছোঁয়ালাম। গভীর ঘুমে আছন্ন তখনও সে...

মন্তব্য ৫৪ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৫৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১:১২

ঢুকিচেপা বলেছেন: এককথায় চমৎকার হয়েছে, সুন্দর এবং গোছালো।
আমার কাছে ভাল লেগেছে।

{যেহেতু বিয়ের বিরিয়ানী শুধু লেখাতেই আছে তার কোন গন্ধ বা প্যাকেট পর্যন্ত পেলাম না তাই ৩টা কেস রেখে গেলাম।

“বসন্তের মাতাল হাওয়া বইছিলো।”

বসন্ত ঋতুর আগমন ঘটে শীত চলে যাবার পর এবং গ্রীষ্ম আসার আগে। ....... তাহলে আপনি ঘামছিলেন কেন ?

“প্রেম জিনিসটা যে আসলেই কি সেই প্রথম বুঝলাম আমি।”..... তাহলে কিসের টানে ঘর বাঁধিলেন।

“হাস্নাহেনার গন্ধে তখন মৌমিতাল পূর্নিমা রাত!” ...... বছরে কয়েকবার ফুল ফোটে। তবে গ্রীষ্ম ও বর্ষায় বেশি ফোটে।}

০৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১:২৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ভাই নতুন বউ মানুষ। বিরিয়ানীর গন্ধ পাওয়াইলে হবে? মানুষ পেটুক বউ বলবে না?

ওহ বসন্তের মৃদুমন্দ বাতাস সে খোলা ময়দান বা ছাঁদে পাওয়া যায়। আপনি তো আর সেই বিদিকিচ্ছিরি চিলেকোঠার ঘরে ছিলেন না থাকলেই বুঝতেন ঐ বদ্ধ ঘরে বসন্ত কেনো স্বর্গের বাতাসও পৌছুবে না।

ওহ টানটা হয়ত ঝোঁকের মাথা বা এডভেঞ্জার বা এমন কোনো কিছু হবে। তবে প্রেম না থাকলে কি আর এমন বেকুবি কাজ কেউ করে!

আরে আপনি জানেন না হাস্নাহেনা ফুল প্রেম দেখলেই ফুটে যায়। ঐ ফুল গ্রীস্মের আগেই বসন্তে ফুটছিলো।

অসংখ্য ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।

০৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:১২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হাস্নাহেনা ফুলের ব্যপারটাও মাথায় থাকলো। গল্পের শেষে জবাবটা থাকবে ঢুকিচেপা। অসংখ্য ধন্যবাদ।

২| ০৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১:৫০

ওমেরা বলেছেন: এত্ত আবেগ কি থাকবে অভাবে! তবে গল্প ভালো লাগছে , লিখে যান।

০৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১:৫৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: অভাব না থাকারই কথা। কারণ গল্পের নায়িকা জব করছে। নায়ক এখনও করে না বলেই এই অবস্থা। হাসব্যান্ডরা জব করলে যেমনে বউকে খাওয়ায়। এই বউও জব করে তাই হাসব্যান্ডকে খাওয়াবে। ইগো না থাকলে অভাব কোনো সমস্যা না। পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপা। আরও লিখবো। শেষ পর্যন্ত আপনাকে চাই।

৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৩:৫৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: না বলে পারছিনা, আপনি প্রতিমন্তব্য খুব সুন্দর করে করেন, এটা একটা গুণ।

লেখা নিয়ে বলি, গল্পের মধ্যে অনেক সূক্ষ্ম বর্ণনা আছে যা পাঠককে কল্পনায় সাহায্য করে। সেজন্যে অবশ্যই পোস্টে লাইক।
চলুক....

০৫ ই আগস্ট, ২০২০ ভোর ৪:০৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: পাগলাআপা । আমার পোস্ট প্রথম পাতায় যায় না। কিন্তু আমি চাই আমার এই রোমান্টিক গল্পটা রোমান্টিক মানুষেরা পড়ুক। আর তাই আপনার পোস্টে গিয়ে বলে আসতে গিয়েও নিজেকে সামলালাম। অনেক খুশি হলাম আপনি পড়েছেন বলে।

আর বর্ণনায় সত্যিকারের অনুভুতি বুঝাতে পারি না। বড় লেখকেরা হলে পারতেন। কিন্তু এই গল্প আমার চোখের সামনে বয়ে চলেছে তাই লেখা সহজ।

৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০২০ ভোর ৪:০৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: প্রথম পাতায় না যাবার পরেও আপনার কিছু পোস্ট প্রচুর রেকগনিশন পেয়েছে এটা আপনার ট্যালেন্টের আল্টিমেট সার্টিফিকেশন। যখন আপনার পোস্ট প্রথম পাতায় যাওয়া শুরু করবে, আমি শিওর নির্বাচিত/আলোচিত অংশটুকু দখলে নিয়ে নেবেন। :) আমি আশা করি মডারেশন আপনাকে জলদি প্রথম পাতায় একসেস দেবেন। কিপ আপ দ্যা গুড ওয়ার্ক!

০৫ ই আগস্ট, ২০২০ ভোর ৪:২২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: মডারেশন কবে আনবে জানিনা। তার আশাও করি না শুধু রোমান্টিক মানুষেরা এই লেখাটা পড়ুক এই চাওয়া। অনেক ধন্যবাদ আবারও।

৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:৩৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: খুবই মিষ্টি একটা রোমান্টিক গল্প।

০৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:১০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ খায়রুলভাই।

৬| ০৫ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১৫

নিয়াজ সুমন বলেছেন: পর্ব দুটি পড়েছি।
দুটি পয়েন্ট নজরে আসলো..

১ম পযেন্ট-
মেয়েরা পরনির্ভরশীল নয়, চাইলে তারাও (পরিবারের দায়িত্ব ) ঝুঁকি নিতে পারে, ছেলের কাজটা মেয়েরাও করতে পারে..। (যদি ও বাস্তবে তার ঠিক উল্টো চিত্র, ১০০ তে ১ জন এমন মেয়ে খোঁজে পাওয়া কষ্ট হবে)

২য় পয়েন্ট -
ছেলেরা বয়সের ছোট মেয়েদের বিয়ে করে এমন অপবাধ সব সময় ছেলেদের শুনতে হয় (বাস্তবে চাকরির পেছনে দৌড়াতে দৌড়াতে ছেলের বয়স বেড়ে যায় তা কেউ লক্ষ করে না )। গল্প এ দেখানো হয়েছে বয়সে বড় হলেও দু’জনের মনের মিল আর ভালোবাসা ঠিক থাকলে মেয়ের বয়স বেশি হলেও কম বয়সের ছেলেকে বিয়ে করতে সমস্যা নাই।

যাই হোক, বাস্তবতার বিচারে কি তাই বিচার না করে, এইটুকু বলবো গল্পএর থিমটি চমৎকার ..
অন্তত এই গল্প পড়ার পরেএকজন ছেলে ও মেয়ের দৃষ্টি ভঙ্গি যদি বদলায় সমাজের উপকার হবে....

০৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:১১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আপনি মনযোগী পাঠক। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

৭| ০৫ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৭

ঢুকিচেপা বলেছেন: নতুন সংসার তাই কিছু দিয়ে গেলাম, একটা দায়িত্ব আছে তো!!!!!


কিছু নগদ কিছু রইল, লাগলে বলবেন, এমন টাকা আরো দিতে পারবো তবে সংসারটা মনোযোগ দিয়ে করবেন।

০৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:১২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: এত কিছু দিলেন ভাই? চিলেকোঠা ছেড়ে গুলশান চলে যাই তাইলে। অনেক টাকা পয়সাও দিসেন। অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।

৮| ০৫ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৯

মিরোরডডল বলেছেন:



ছয় নং প্যারা থেকে শুরু করে রিমেইনিং আপ টু দা এন্ড অসাম আপু । দারুণ ভালোলাগা । জোৎস্না রাতে প্রিয় মানুষটির পাশে আর ভালোবাসার স্পর্শ , দিজ ইজ এক্সাক্টকলি লাভ মিণ্ট টু বি । আর কি চাই । এতো সুন্দর বর্ণনা করেছো , আই ক্যান ফীল ইট । আপুটার জন্য অনেক অনেক আদর এতো সুন্দর একটা রোম্যান্টিক লেখার জন্যে ।

গান সিলেকশনও খুব ভালো হয়েছে । গানের দুটো কলি আমার খুবই প্রিয় ।

যেতে যেতে পথে পূর্ণিমারাতে চাঁদ উঠেছিল গগনে
দেখা হয়েছিল তোমাতে আমাতে কি জানি কি মহা লগনে
এখন আমার বেলা নাহি আর, বহিব একাকী বিরহের ভার
বাঁধিনু যে রাখী পরানে তোমার সে রাখী খুলো না, খুলো না
ভুলো না, ভুলো না, ভুলো না



০৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:১৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আপা আমি জানতাম আপনার অনেক মজা লাগবে তাই ডেকে আনলাম!

৯| ০৫ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৭

মিরোরডডল বলেছেন:



বাই দা ওয়ে, ঢুকি মনে হয় এই বিয়ের উকিল বাবা ছিলো, কি সুন্দর করে সংসার সাজিয়ে গুছিয়ে দিবে বলে পুরো দোকান তুলে নিয়ে আসছে । আর ক্যাশ যা দিয়েছে, আরও বলে আছে, এদের বাচ্চা কাচ্চারাও খেতে পারবে :)
হা হা হা .........

০৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:১৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আপাতত বাচ্চা কাচ্চা শিকেই থাক আমি চিলেকোঠা ছেড়ে ডুপ্লেক্স বাসা খুঁজি । এত টাকা যখন পাওয়াই গেলো।

১০| ০৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:২৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: সিরিজের শিরোনামটা সুন্দর, ছবিগুলো সুন্দর, প্রতিমন্তব্যগুলো সুন্দর, বর্ণনাটা আদ্যোপান্ত সুন্দর ও চিত্তাকর্ষক, গল্পটা উষ্ণ-মিষ্টি-স্নিগ্ধ, মোটকথা সবকিছুই এক কথায় অনুপম। আমি নিশ্চিত, আপনি প্রথম পাতায় প্রবেশাধিকার পাবার পর আপনার অনেক পাঠকই এ সিরিজটা পাঠ করে পুরনো এসব পর্বে ফিরে ফিরে আসবে।
গল্পের রোমান্টিকতায় মুগ্ধ। গল্পে অনেক ভাল লাগা + +!

০৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:১৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ধন্যবাদ কত দেবো বুঝতে পারছি না। প্রথম পাতায় না গেলে দাওয়াৎ দিয়ে আনবো আমার চিলেকোঠার সংসারে।

১১| ০৬ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:১২

পুলক ঢালী বলেছেন: দুঃখ বিলাস।
বর্ণনায় কাব্যিকতা বেশ আবেশ ছড়িয়েছে।

ঢুকিচেপাকে পাগলী বলে মনে হচ্ছে। একই জিনিষ এতগুলো করে গিফ্ট দেয় ? আর চিলেকোঠায় ওগুলো ঢুকিয়ে শুভ্র আর মাহরীন উন্মুক্ত ছাদে ঘুমাবে ??
এত টাকা থাকলে চিলেকোঠার কাহিনী এখানেই শেষ করে বারিধারার কোন ফ্ল্যাটের কাহিনী শুরু করতে হবে। ;) :D =p~
মন্তব্যকারীরাও কম যাচ্ছেন না। =p~

০৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:২৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ধন্যবাদ আবারও মনোযোগ দিয়ে এই পর্বটাও পড়বার জন্য পুলকভাই। শুকিচেপা আপা ভালোই করেছেন এই সব বিক্রি করেও কিছুদিন নিশ্চিন্তে থাকা খাওয়া চালানো যাবে। বেকার শুভ্রকেও কাঁধে করে বিক্রিতে পাঠিয়ে ফেরিওয়ালা বানিয়ে দেওয়া যায়। এক্সপেরিমেন্ট যখন করতেই নেমেছি এই চিলেকোঠার ভাঙ্গা ঘর থেকে তখন শুভ্রকে ফেরিওয়ালা বানিয়ে ফেরিওয়ালার বউ এক্সপেরিমেন্টাও হয়ে যাবে।

আর তারপর টাকাগুলো দিয়ে বারিধারা গুলশানের ফ্লাট কেনো পুরা বাড়িটাই কিনে নেবো!

১২| ০৭ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মনের মধ্যে একটা রোমান্টিসিজম কাজ করছিল এ পর্বটা পড়ার সময়। শুভ্র'র ক্যারেক্টারটা ভালো লাগছে। এরকম দৃঢ়চেতা চরিত্র আমার খুব পছন্দ। উত্তম-সুচিত্রা'র 'সাগরিকা', 'চাওয়া-পাওয়া', 'প্রিয় বান্ধবী', 'নায়িকা সংবাদ' (নায়িকা অঞ্জনা ভৌমিক) ছবিগুলোতে উত্তম কুমারের চরিত্র খুব বলিষ্ঠভাবে প্রতিষ্ঠা করা গেছে। শুভ্রকে ওরকম মনে হচ্ছে। আমিও আমার পুরুষ ক্যারেক্টারগুলো এভাবেই সাজাতে পছন্দ করি।


০৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:১২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আমার শুভ্র তো দেখছি আসলেই রোমান্টিক। এই ম্যুভিগুলো সব এক এক করে দেখতে হবে। এত মন দিয়ে লেখাটা পড়েছেন দেখে খুশি হলাম। শুভ্রকে এখনও ডিটেইলস বর্ণনা করিনি। অচিরেই করবো। সে দৃঢ়চেতা তাতে সন্দেহ নেই কিন্তু জীবন ও জগৎ সম্পর্কে যেন বড়ই উদাসীন। এই উদাসীনতার পার্টটুকু এখনও বর্ননায় আনিনি। একে একে সব তুলে আনবো। মানে যতখানি পারি আর কি।

১৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৪৮

মা.হাসান বলেছেন: আগে পড়েছিলাম, কমেন্ট করা হয়ে ওঠেনি।
খুব সুন্দর এগুচ্ছে।

নাখাল পাড়ার সরু গলির মাঝের বাড়ির তিন তলার চিলে কোঠায় শুধু চাঁদের আলোই আসে না, পাশে নারকেল-সুপুরি-দাবদারুও দেখা যায়! পাইন-বার্চ-ফার কি দোষ করলো? :(

আফসোস পরের পর্ব গুলো পড়ার অনুমতি পেলাম না।

০৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৫২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: নাখালপাড়ায় পাইন বার্চ ফার কই পাবো ভাই? সেই বাড়ি তো নারকেল সুপুরী গাছপালা ঘেরা। তবে আজও আছে কিনা জানা নাই। আর পরের পর্বগুলো পড়ার অনুমতী পাননি মানে বুঝলাম না। আমি তো কমেন্ট মডারেট করি নাই। দুই পর্ব পড়েছেন তাতেও আমি অনেক খুশি।

০৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:১০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আজ আবার এই কমেন্ট বুঝবার চেষ্টা করলাম।
সেই হতচ্ছাড়া বিদিকিচ্ছিরি বাড়িটার দোতলা চিলেকোঠার ঘরটা তেতালা ছিলো।সেখান থেকে নারকেল সুপুরীর গাছ দেখা যায়। কেনো দেখা যায় এই গল্পের মাঝে তার বর্ণনা ঠিক করে দেবো হাসান ভাই।
আপনার ফ্যান হয়ে গেলাম। আর আপনার মনোযোগী পঠনের জন্য মুগ্ধতা। আপনার আর পুলকভাইয়ের কমেন্টের জবাব লিখবার আগে এবার থেকে হোম ওয়ার্ক করে আসবো।

অন্তর থেকে ভালোবাসা। আশা করি এই লেখার শেষ পর্বটিতেও আপনাকে পাবো। কারণ এই সব উত্তর আপনাকে জানাতেই হবে আমার।

১৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:০৪

মা.হাসান বলেছেন: পরের পর্বগুলো পড়ার অনুমতী পাননি মানে বুঝলাম না।

আপনি তো তিন নম্বর কমেন্টের জবাবে বলে দিলেন-- আমি চাই আমার এই রোমান্টিক গল্পটা রোমান্টিক মানুষেরা পড়ুক।
অটোমেটিকালি বাদ পইড়া গেলাম।

এই ঘটনা কত বছর আগের?

কয়েক যুগ আগে নাখাল পাড়ার এমপি হোস্টেলের পিছনের এক মাঠে কয়েকদিন খেলেছিলাম। বছর পনেরো আগে একদিন পুরোনো স্মৃতি জাবর কাটার জন্য ঐ এলাকায় গেলাম। মাঠটা খুঁজে পাবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলাম। স্থানীয় এক দোকানদারকে মাঠের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে চোখ গরম করে আমাকে পাল্টা প্রশ্ন- ঐ মাঠ কোথায় তা দিয়ে আপনার কাজ কি? পারলে আমারে ধরে পিটায়।

ঢাকায় স্থায়ী প্রায় কুড়ি বছর। ঢাকার বিভিন্ন এলাকার চেহারা গত কুড়ি বছরে অনেক বদলেছে। নারকেল-সুপুরি কেমনে দেখেছিলেন বুঝলাম।

০৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:১৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা তার মানে আপনি আন রোমান্টিক দলের। তাইলে আমার এই লেখা আনরোমান্টিকদের জন্য। এইবার পড়েন হাসান ভাই।
এই ঘটনা মাত্র কয়েক বছর আগেরই। না না এটা কুড়ি বছর আগের ঘটনা না। কয়েক বছর আগেরই। অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য ও মন্তব্যের জন্য।

ঢাকায় স্থায়ী প্রায় কুড়ি বছর। ঢাকার বিভিন্ন এলাকার চেহারা গত কুড়ি বছরে অনেক বদলেছে। নারকেল-সুপুরি কেমনে দেখেছিলেন বুঝলাম।

এই মন্তর‌্যের উত্তর কি আমার জানা আছে। কিন্তু এখুনি বলতে চাচ্ছি না হাসান ভাই। তবে অবশ্যই বলবো। ভালোবাসা জানবেন।

১৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৪২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভোররাতে ঘুমাতে গিয়ে সকালেই উঠে পড়লেন? অফিস থেকে ছুটি নেন নাই? এ্যাটলিস্ট দুপুর ১২টা / ১টা পর্যন্ত ঘুমানো উচিত ছিল। প্রত্যেকটা মানুষের বিবাহিত জীবনের শুরুতেই একটা হানিমুন পিরিয়ড থাকে। তবে সেটা একেকজনের একেকভাবে ফিকে হয় (ব্যতিক্রমের কথা বলছি না)। আপনাদেরটা কিভাবে হয়েছিল আপনার লেখা পড়তে পড়তে ভাবছিলাম, নাকি হয়নি!!!

জোৎস্না রাতে ছাদে বেশীক্ষণ না থাকাই ভালো। প্রচুর পেত্নী ঘোরাফেরা করে সেই সময়টাতে। যে কোনও মুহুর্তেই আপনার একটা সতীন জুটে যেতে পারে!! :P

৩১ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:০৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ভালোই কৌতুক জানেন ভুয়াভাই। হ্যাঁ ছুটি ছিলো তো। তবুও উঠলো বেরসিক নায়িকা। কি আর করা! হানিমুন পিরিয়ড কি আর আজীবন থাকে? জীবনের নিয়মই ফিকে হয়ে যাওয়া।
হা হা ভূত পেত্নীর আসর ব্লগে। এখান থেকেও ঘাড়ে নামতে পারে। কে জানে?

১৬| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২২

আহমেদ জী এস বলেছেন: কবিতা পড়ার প্রহর,



পড়ছি ধীরে ধীরে।

এ পর্বে শুধু রোমান্টিকতা। চিলেকোঠার প্রেমে এমন রোমান্টিসিজমে সবাই আক্রান্ত হতে পারেনা যদিও।

লেখার হাত ভালো আপনার, একথা কি বলেছি আগে কখনও?

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: বলেছেন। সেই জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
তবে চিলেকোঠা বা রাজপ্রাসাদ সবখানেই রোমান্টিসিজম ক্ষনস্থায়ী। এমনটাই মনে হয় আমার।

১৭| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সামু পাগলাকে অনেক অনেক ধণ্যবাদ দিতেই হয়!

চলমান দারুন সিরিজ নিয়ে পোষ্ট দেয়াতেই না নজরে এলো!
কত কিছূ যে এভাবে মিস হয়ে যায়! কে রাখে খবর!

দারুন রোমান্টিকতার তুঙ্গে এ পর্ব। জোৎস্না স্নান, গান, মধুর মিলনের মধুরতম অনুভব :)
বেশ বেশ..... যা্ িপরে কি হল দেখি গিয়ে :)

++++

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:২৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: সামু পাগলা আপা অন্যরকম মনের মানুষ। এমনটা এই ব্লগে কম আছে। ধ্যান ধারণা মানসিকতা খুবই অন্যরকম। উচ্চমার্গের। তার জন্য শুভকামনা।

আপনাকে ধন্যবাদ।

১৮| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২৩

আমি সাজিদ বলেছেন: শুভ্রর তো দেখি রাজকপাল। বউ চাকরি করছে, বউ জোছনা রাতে শুভ্রের বুকে মাথা পেতে বুকের শব্দ শুনছে, আর ছেলেটা কোন দ্বায়িত্ব আর টেনশন না নিয়ে আইবিএ থেকে গ্রাজুয়েশন করে ফেলবে? এতো সহজ সব? আপনাকে কয়েকটা প্রশ্ন

যেহেতু শুভ্রের স্ত্রী গুলশানে থাকতেন এবং চাকরি করেন তাহলে ধরে নেই তিনি বেশ হ্যান্ডসাম বেতন পান, তাহলে বিয়ের পর চিলেকোঠা কেন? এডভেঞ্চারের জন্য? এরচে ভালো বাসা পাওয়া যেত।

শুভ্র কি এমবিএ করছে? তাহলে যেহেতু আইবিএ থেকে বিবিএ করেছে সেক্ষেত্রে জব না করুক, সাইফুরস বা মেন্টরস বা জিআরই একাডেমীতে উইকলি দুটো করে মান্থলি আটটা ক্লাস করালেই কিন্তু হাজার বিশেক টাকা এমনেই হেসে খেলে আসে। এইজন্যই তো আইবিএ বাবুদের এতো দাম। সেক্ষেত্রে শুভ্র একটা টাকাও ইনকাম না করলে তাকে অলস ছাড়া কিছু বলার নাই। যদি করেও থাকে দুজনেরই ভবিষ্যৎ নিয়ে পরিকল্পনা নাই।

পরের পর্বগুলো পড়ি। লেখা বেশ সাবলীল ও স্বতন্ত্র।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:৩২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হ্যঁ ছেলেটা এমনই। দিন দুনিয়ার খবর নেই। ভূত ভবিষ্যতের চিন্তাও নেই।
বিয়ের পর ছেলেটা যেখানে ছিলো সেখানেই উঠেছে। এডচেঞ্চার না। কারণ তারা খুব শিঘ্রী ভালো ফ্লাটে উঠে গেছিলো। এটা এখনও প্রকাশিত হয়নি।

হা হা না সে কিছুই করবে না। কিছুটা উদ্যমহীন মানুষ তো।

অলস সে কথাও বলা যায়।

প্রেম কি সে সব দেখে বলেন?

১৯| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪৮

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অনেক ভালো লাগছে
ধন্যবাদ আপনাকে

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আজ কি পণ করেছেন ছবি আপা সবগুলা এক সাথে পড়বেন?

অবশ্য এটাও ভালো। এক সাথে লেখার সময় পাইনা তাই ভেঙ্গে ভেঙ্গে লিখতে হচ্ছে। কিন্তু সময় কম থাকা পাঠকের জন্য এটাই সুবিধার।
অনেক অনেক ভালোবাসা আপু।

২০| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আমার জন্য ভীষন সুবিধা। সময় পাওয়া যায় না পড়ার । ধন্যবাদ এমন ছোট করেই দেবেন

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আপু আপু আপু অনেক অনেক খুশি হলাম।

২১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: কী চমৎকার বর্ণনা !!!
দারুণ ভাবে এগিয়েছে লেখা ।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ। মাঝে মাঝে মাথায় লেখার ভূত চাপে। মন খুলে লিখতে চাই। সময় নাই। সময় নাই।

২২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমি শাল পিয়ালের জঙ্গল খুঁজি। কিন্তু আপনি জোসনা রাতে নারকেল সুপারি ও দেবদারু গাছের মাঝে হাসনাহেনার গন্ধে যে নির্মল প্রেমাননুভূতি এঁকেছেন তা বেয়ে সহজেই অতিক্রম করা যায় প্রেমের সপ্তম স্বর্গ।। বর্ননা চমৎকার। একটা বিষয় খুঁজতে আমাকে আবার পিছিয়ে আসতে হল। দেখি সপ্তম বা অষ্টম পর্বে সেটা পাই কিনা। পোস্টে ভালোলাগা।
শুভেচ্ছা জানবেন।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: কি খুঁজে পাচ্ছেন না বলেন তো?

আমাকে বলেন আমি খুঁজে দিচ্ছি।

একটা জিনিস কি জানেন? স্বপ্নেও ভাবিনি এই লেখা লিখে এত মানুষের এত ভালোবাসা পাবো। আসলে হুট করেই ভাবলাম একদিন লিখে ফেলি কিছু কথা। গল্প ছলে লিখে যাই কিছু স্মৃতিমালা। খুব আবেগী হয়ে পড়েছিলাম কিছুদিন আগে বিশেষ একটা কারণে। লিখবো কি লিখবো না ভেবে ভেবে এই নিকটা খুললাম। প্রথমে দু একটা কবিতা লিখেছিলাম। কিছু কিছু মানুষ সেসব খুব লাইক করেছিলো।
ফের বিশেষ কারণে কবিতাগুলো ড্রাফ্টে নিয়েছিলাম। এখনও ড্রাফ্টেই আছে। তারপর গদ্য লিখতে শুরু করলাম।

২৩| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৫৯

ইসিয়াক বলেছেন: এই পর্বটিও দারুণ রোমান্টিক। ভালো লাগছে...

১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ইসিয়াকভাই।

২৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৩

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: রোমান্টিকতা ভালোই লাগছে। এমন রোমান্টিক পরিবেশে পেলে সারারাত গল্প করতেও আপত্তি নেই। চলুক।

১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:১৯

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা ওকে চলুক

২৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৮

ফয়সাল রকি বলেছেন: মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য পড়তে গিয়ে অনেক কিছু জানলাম। ঢুকিচেপা তো আপনাকে থালা বাটি দিল, সাথে কেনার টাকাও দিল!
তবে পোষ্ট পড়ে প্রথম যেটা মনে হয়েছিল যে, জ্যোছনা নিয়ে আমার প্রিয় গান হলো- জ্যোছনা রাতে সবাই গেছে বনে....

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা সেই কথাটাই লিখে এলাম আপনার মন্তব্যের জবাবে ১ম পর্বে। এই পোস্ট না পড়ে মন্তব্যগুলো পড়লেই বেলা বয়ে যাবে। হাসতে হাসতে মরবেন।

হা হা

২৬| ২৪ শে মে, ২০২১ বিকাল ৩:২৫

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: শেষ পর্বটি পড়েই একেবারে প্রথম থেকে শুরু করলাম। সুন্দর লিখনশৈলীতে সুন্দর গল্পটি সত্যিই অনিন্দ।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:০৯

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: অনেক অনেক ভালোবাসা আর ধন্যবাদ। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.