নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লোকে বলে প্রথম প্রেমটা বড্ড কোমল\nএলোমেলোযায়না \nভোলা কোনোদিনও\nসত্যি কি তাই

কবিতা পড়ার প্রহর

কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে রাতের নির্জনে

কবিতা পড়ার প্রহর › বিস্তারিত পোস্টঃ

চিলেকোঠার প্রেম- ৩

০৭ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৫৫


সাত দিনের ছুটি শেষ হয়ে এলো। কাল থেকে অফিস শুরু। সত্যি বলতে এই সাত সাতটা দিন যেন উবে গেলো পাখির ডানায় ভেসে। এই সাত দিনে বাবা একটাবারও ফোন করেননি। আমি জানতাম উনি কখনই ফোন করবেননা তবুও মনের কোনে কোথায় যেন ক্ষীন একটা আশা লুকিয়ে ছিলো। মা ফোন করেছিলেন একদিন। জানতে চাইলেন, ভালো আছি কিনা? আমি বললাম, আমি ভালো আছি মা, কিন্তু আমাকে নিয়ে মোটেও চিন্তা করে আবার তুমি খারাপ থেকোনা। বাবার দিকে খেয়াল রাখো। মা বললেন, আচ্ছা। ঐ অতটুকুই। মাঝে মাঝে আমার মাকে দেখে অবাক লাগে। এমন নিভৃতচারিনী পতিব্রতা স্ত্রী আমি কখনই হতে পারবো না তবে আমি শুভ্রকে অনেক ভালোবাসি। তাই আমি আমার সকল বিত্ত বৈভবের জীবন ছেড়ে এই চিলেকোঠার সংসারে উঠে এসেছি ওর হাত ধরে। আমার ধারনা মা কখনও বাবাকে ভালোবাসেননি। চিরজীবন এক ভালোবাসাহীন কর্তব্য পরায়ন পতিব্রতা স্ত্রীর ধর্ম পালন করে গেছেন মাত্র।

এই সাতদিনে আমি শুভ্রর এই চিলেকোঠার ঘরটার হতচ্ছাড়া চেহারাটা অনেকটাই বদলে দিয়েছি। প্রথমে অবশ্য শুভ্রই এর সূচনা ঘটিয়েছে। আর সব কিছু সহ্য হলেও ওয়াশরুমের ভয়ংকর অবস্থাটা আমি কিছুতেই সহ্য করে উঠতে পারছিলাম না। ওয়াশ রুমে যেতে হলেই আমার করুন চেহারা দেখে শুভ্র ঠিকই বুঝে ফেললো আমার মনের অবস্থা। তাই একদিন সকালে নিজেই ঝেঁড়ে মুছে ঝেঁটিয়ে বিদায় করলো সব ভাঙ্গা চোরা পুরান বালতি মাগ, কাপড়ের দড়িদাড়া সব কিছু। উফ হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম আমি। আর সেই সুযোগে তড়িঘড়ি আমিও সেদিন বিকেলেই ওর সাথে গিয়ে নিয়ে এলাম নতুন ঝকঝকে তকতকে যা কিছু প্রয়োজন ওয়াশরুম আর কিচেনের জন্য। এর পর এই চিলেকোঠার চেহারা বদলাতে উঠে পড়ে লাগলাম। মেঝেতে ফ্লোরম্যাট বসিয়ে জানালার পর্দা বদলে ফেলে, চাদর বালিশ টেবল ক্লথ বদলে সাফ সুতরো করে বলতে গেলে একেবারেই গ্রান্ড সুলতান লুক না হলেও গাজীপুরের যেকোনো সুন্দর রিসোর্ট লুক বানিয়ে ফেললাম।

ঘরের সামনে রঙ্গিন ফুলের ছোট ছট টবও বসিয়ে দিয়েছি। এখন এই এই চিলেকোঠাই আমার স্বর্গ। মাঝে মাঝে নিজেই তাকিয়ে মুগ্ধ হই নিজের কারিশমায়। সেদিন বাড়িওয়ালার বউ এসে তো তার এই বিদঘুটে রুমের বদখত চেহারার ভোল পালটে যাওয়া দেখে একেবারেই টাসকি খেয়েছিলো। গালে হাত দিয়ে বসেছিলো সে আমার দেশী শপগুলো থেকে কিনে আনা রঙচঙা রিক্সা পেইন্টের ছোট টি-টেবল সেটের টুলটাতে । চারিদিকে তাকিয়ে তুকিয়ে শেষে পান দোক্তা খাওয়া মুখে বলেই ফেললো, বাব্বা ধন্যি মেয়ে বটে। চোখের পলকে দেখতেছি রাতকে দিন বানায় ফেলছো। তা বাবা তোমাকে দেখে তো বড় ঘরের মেয়ে মনে হয়। কোন বুদ্ধিতে এই নির্বুদ্ধির কাজটা করলা বলোতো! রোজগার নাই, পাতি নাই তো তোমার স্বামী খাওয়াবেটা কি?

আমি বললাম, ওর পড়ালেখা শেষ হতে তো বেশী দেরী নেই। ততদিন না হয় আমার একার আয়েই চলবে। দুজনের সংসার ঠিক চলে যাবে। এই কথা শুনে মনে হয় বাড়িওয়ালা গিন্নি আর একটু হলে ভীমরী খেয়েই চোখ উলটে পড়তো। সে বিস্ফারিত নেত্রে কিছুক্ষন তাকিয়ে রইলেন তারপর পানের পিক সামলে নিয়ে বললেন, তা তুমি কি করো? রোজগার করো নাকি? তাই তো বলি, তুমি রোজগেরে গিন্নী? আমাদের বাবাজান দেখি বড়শীতেই বড় মাছটাই ধরসে। তা কি চাকরী? কত আয়? তোমার দেবতার তো এখনও পড়ালেখাই শেষ হয়নি। তো সে তোমার চাইতে পিছায় আছে কেনো? ফেইল টেইল করছিলো নাকি?

আমার তার কথা বলার স্টাইল দেখে একটুও রাগ লাগছিলো না বরং হাসিই পাচ্ছিলো। আমি বললাম না ফেইল করেনি। আমার পড়ালেখা আগে শেষ হয়েছে। কারণ আমি ওর আগে ছোটকালে পরালেখা শুরু করেছিলাম তো মানে আমি ওর চাইতে দু বছরের বড় তাই। আমার হাসি হাসি মুখে নির্দ্বিধায় এই কথা বলতে শুনে উনার বিস্ফারিত নেত্র আরো আলু হয়ে উঠলো। বিস্ময়ের ঘোর কাটিয়ে খানিক পরে ফোস করে নিশ্বাস ছেড়ে বললেন, কলিকাল। কলিকালে কত কি দেখবো। জামায়ের চাইতে বউ বড়। এমন সৃষ্টিছাড়া কথা শুনছি বটে কিন্তু জন্মে চোক্ষে দেখিনি, আজ দেখলাম। চল শেলী বাসায় চল। তোকে নিয়েও ভয়ে থাকি মা। কবে আবার কোন দূর্ঘটনা ঘটায় বসিস!

এতক্ষনে হাসি হাসি মুখে মায়ের সব কথা শুনে খুবই কৌতুক পাচ্ছিলো বাড়িউলীর মেয়েটাও। সে মায়ের কথা শুনে বললো, তুমি যাও মা আমি একটু পরে আসছি। মেয়ের কথাটা মায়ের মোটেও পছন্দ হলোনা, তিনি মনে হয় সন্দিহান আমার পাল্লায় পড়ে মেয়ে আবার কোন অঘটন ঘটায় বুঝি। তারপরও মেয়ের কথা পছন্দ না হলেও তিনি বুঝলেন জোরাজুরি কাজ হবেনা। তাই ব্যর্থ রাগ দেখিয়ে বললেন, তাড়াতাড়ি আসবি। একটু পরেই তোর মাস্টার আসবে। ১৫ মিনিটের মধ্যে আসা চাই। লেখাপড়ার তো বালাই নেই। মা চলে যেতেই ফুটফুটে চেহারার মেয়েটা বললো, তুমি কিছু মনে করো না। মা না এমনই। সব কিছুতেই দোষ ধরে। তোমাকে আমার খুবই ভালো লেগেছে। তোমার নাম কি? কিশোরী চপলতায় নানা কথা বলে চললো সে। তার থেকেই জানা হলো সে ক্লাস টেনে পড়ছে। মা কখনই তাকে ছাদে আসতে দেন না। বড় বেশি চোখে চোখে রাখেন। আমি বুঝলাম আর দশটা মধ্যবিত্ত বাঙ্গালী সমাজে যা হয় আর কি। মেয়েটা জানালো ওর নাম শিউলী। শিউলী ফুলের মতই কোমল আর অনিন্দ্য সুন্দর মেয়েটা। শুধু তাই না পান দোক্তা খেয়ে দাঁতগুলো তরমুজের বিঁচি বানিয়ে ফেলা মায়ের মত অন্যকে আঘাত করে কথা বলার মত মেন্টালিটিও নেই মেয়েটার। শিউলী বললো মা নিষেধ করলেও এখন থেকে ও মাঝে মাঝেই আমার কাছে আসবে।

সন্ধ্যা হচ্ছে। কাল সকাল থেকেই অফিস শুরু হবে। ভাবতেই কান্না পাচ্ছে আমার। শুভ্রকে ছেড়ে আমার এক মুহুর্ত থাকতে ইচ্ছা করে না আজকাল। বউ পাগলা মানুষ হয় শুনেছি। জামাই পাগলী বউ হয় কখনই শুনিনি। নিজেই এ কথা মনে করে নিজে নিজেই হাসি আমি। ঘুম ভেঙ্গেই ওর মুখে তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছা করে। ওর কোঁকড়া চুলে হাত বুলাই আমি। একদম শিশুর মত ঘুমিয়ে থাকে শুভ্র। আমি ওর ঘুমন্ত মুখে হাত বুলাই। শুভ্র খুব রাত জাগে । খুবই বাজে অভ্যাস এটা ওর। আগেও আমি ঘুমিয়ে পড়তাম কিন্তু ও আমাকে অনলাইন বা ফোন ছেড়ে ছাড়তেই চাইতো না। আমি ঘুমে ঢুলে পড়ছি এই কথা তো বিশ্বাসই হত না তার। কারন ওমন করে কখনও ঘুমই পায়না নাকি ওর। এ কি অবাক করা কথা! আমি খুব অবাক হতাম। বিয়ের পরে বুঝেছি খুব পাতলা আর কম ঘুম ওর। কিন্তু ভোরের বেলায় গভীর নিদ্রায় হারিয়ে যায়। আর সেই সময়টাতেই আমি জেগে উঠি। তাকিয়ে দেখি আমার ঘুমপূরীর রাজকুমারকে। পা টিপে টিপে উঠি যেন ওর ঘুম না ভেঙ্গে যায়।

আবোল তাবোল আমার এই সাত দিনের সংসারের স্মৃতিমধুর ভাবনায় ছেদ পড়লো শুভ্রর কলিংবেলের শব্দে। ঘেমে নেয়ে দুহাত ভর্তি করে কি কি সব কিনে এনেছে। আমি তো কিছু কিনতে বলিনি। শুভ্র বললো, কাল সকালে তোমার অফিস। অতো ভোরে কি খাবে তাই রেডিমেড খাওয়া যায় এসব আর কি, ব্রেড কলা এইসবই। ওর বোকার মত ভাবনা দেখে, আমতা আমতা অজুহাত দেখে আমার রাগ লাগছিলো। আরে আমি তো বাইরেই খেয়ে নিতে পারবো দরকার হলে। নিজের জন্য চিন্তা নাই কতদিন শুনেছি না খেয়েই কাটিয়ে দিয়েছে আর আজ আমার জন্য এত ভাবনা। কিন্তু ওর বোকা বোকা মুখের দিকে তাকিয়ে বড্ড মায়া হলো। এই জামাই পাগলী আমি হঠাৎ পুরো পাগলী হয়েই ওকে জড়িয়ে ধরলাম। তারপর ওকে অজস্র চুমুতে ভাসিয়ে দিতে শুরু করলাম। হা হা জানিনা এমন পাগলামী কেনো যে করতাম আমি। আমার এই হঠাৎ কান্ড দেখে শুভ্রও হকচকিয়ে গেলো। প্রায় পড়তে পড়তে আমাকে ধরে ফেললো। সেই দৃশ্য মনে পড়লে আজও আমার বড় হাসি পায়। লজ্জাও লাগে। এখনও এই কথা লিখতে লজ্জা হচ্ছে আমার একটু।

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৫৪

ঢুকিচেপা বলেছেন: খুবই চমৎকার হয়েছে ধারাবাহিক লেখাটা।
কত পর্ব হবে জানি না তবে যেমন লেখা চলছে সব মিলে আগামী বই মেলায় বই বের করতে পারেন।

শুভকামনা রইল।

{আমি তো ভেবেছিলাম ঘটি-বাটি, টাকা পয়সা নিয়ে ফুরুৎ................... যাক কিছু কাজ হয়েছে। ৭দিন যখন ছুটিই ছিল সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ঘুরে এলেই পারতেন টাকা তো ছিলই।
“এখনও এই কথা লিখতে লজ্জা হচ্ছে আমার একটু।”
এটা না বললেও বুঝতে পারছি কচুর লতি যেমন নুয়ে নুয়ে পড়ে আপনিও তেমনি লজ্জায় নুয়ে পড়েছেন।}

০৭ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা গল্পের আমির সেই সময় কচুলতি লতার মত নুয়ে পড়ে নাই। কিন্তু এখনকার আমি এই সময় সেই কথা লিখতে গিয়ে লজ্জায় পড়েছি।

টাকা পয়সা যা দিসেন। তা আরও কিছু বাকী আছে কাজেই সিঙ্গাপুরেও ঘুরতে যাবো নে কিছুদিনের মাঝেই। আপাতত চিলেকোঠায় হানিমুন চলছে।

আর বই আর বইমেলার কথা কইয়েন না। করোনার মধ্যে এসবের চিন্তাও মাথায় নাই।

২| ০৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:০১

মিরোরডডল বলেছেন:



ইউ আর রাইট ওয়াশরুম ইজ আ বিগ ইস্যু, ইনফ্যাক্ট এটা সবার আগে ফিক্স করা মাস্ট ছিলো ।
ইস বাড়িওয়ালীটা একটা এলার্জি, একদম টিপিক্যাল । কিন্তু বাড়িওয়ালীর প্যারাটা মজা লেগেছে ওনার রিঅ্যাকশন দেখে :)
খুব সুন্দর লেখা আপুটা । সবচেয়ে ভালো লেগেছে শেষের তিনলাইন আদরটুকু ।
অনেক সুইট । কিপ ইট আপ ।


০৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:১৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আপা তিনলাইনের বর্ণনা লেখার সময় অনেক বড় ছিলো। মানে বড় করে লিখেছিলাম। কিন্তু পাবলিশ করার সময় লজ্জা আসলো কই থেকে যেন তাই মুছে দিলাম।
আর বাড়িউলী শুধুই টিপিক্যাল? তারা জীবনের ফান।
আমার বাড়ি বেড়াতে আসার জন্য ধন্যবাদ।

৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৫০

খায়রুল আহসান বলেছেন: বাড়িওয়ালীর সাথে কথোপকথনগুলো মজার হয়েছে। বাড়িওয়ালীর চরিত্রটাও যুতসইভাবে ফুটে উঠেছে।
রাত জাগা বদ অভ্যাসটা আজ সবাইকেই গ্রাস করে ফেলছে যেন! এর পরিণাম যে কি হবে, আল্লাহ মালুম।
পান-দোক্তা খাওয়া মুখ, তরমুজের বীচির মত দাঁত, এসব বর্ণনাগুলো চরিত্র অনুযায়ী নিখুঁত হয়েছে।
সবচেয়ে সুপার হয়েছে জামাই পাগলী বউ এর রোমান্টিকতা এবং তার শৈল্পিক বর্ণনা।
পোস্টে ভাল লাগা, পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়! + +

০৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৩৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হ্যাঁ বাড়িউলি মহিলা টিপিকাল বাড়িউলীই ছিলো। মানে ওমন বাড়িতে যেমন হওয়া উচিৎ আর কি। রাত জাগা বদভ্যাসে কি আর হবে? শুভ্রর যা হয়েছে তাই হবে। তবে আজকালকার টিন এইজ ছেলেমেয়রা তো আরও এক কাঁঠি সরেস। সারা রাত জাগে আর সারা দিন ঘুমায়। বাাড়িউলি শয়তান মহিলার দাঁত কি আর ভালো থাকে? তরমুজের বিঁচি, পেপে বিঁচি সব রকমই ছিলো। মুখের ভেতর এত কে তাকিয়ে দেখে। জামাই পাগলী বউ এর কান্ডগুলি যে কেমনে লিখি সেই নিয়ে ভাবছি।

৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:৩২

পুলক ঢালী বলেছেন: ভালই লিখেছেন। (ভাষা গঠনে কিছু দুর্বলতা আছে এটা মনে হয় সাময়িক । ভাষার ব্যবহারে বিচ্যুতি দেখলে আমার মাথা ব্যাথা করে শরীরে এলার্জী হয় এটা একান্তই আমার সমস্যা লেখিকা বা আরো অন্যান্য পাঠক/পাঠিকার নয়।)
বাড়ীওয়ালীর টিপিক্যাল চরিত্র খুব সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে, বর্ণনাও খুব সুন্দর হয়েছে। তবে ভাবছিলাম বাঙ্গালীর চিরাচরিত অভ্যাস মত আগ-পাছ কিছু না ভেবেই ফুচুৎ করে পিক ফেলেই নিজের ভুল বুঝতে পেরে দেড়হাত লম্বা জিহ্বা বের করে জীভ কাটবে। যাক তেমন কিছু ঘটেনি তাই রক্ষা। সূত্র ছাড়া চরিত্রের আমদানীটাও হাসির উদ্রেক করেছে। জামাই-পাগলী বৌ দারুন একটা উপমা।
আপনার এখানে দেখি পাগলীর ছড়াছড়ি। ঢুকিচেপার কথা আগেই বলেছি, এখন দেখছি মিররডল আরেক পাগলী জুটেছে এই পাগলী হলো রোমান্সখেকো (মানুষ খেকো শার্দুল আছেনা সেরাম আরকি ) পাগলী। কেন যে আপনি ঐ পর্বটি কেঁটে ছোট করলেন বেচারী মিররডলের খাদ্য ঘাটতি হয়ে গেল :D

আপনি আড্ডায় গিয়েছেন বলছেন ওখানে বিশাল স্মৃতি জমে আছে । যাই হোক আমার প্রিয় একটি গান শেয়ার করছি এটা মিররডলেরও পছন্দের তালিকায় আছে ঢুকিচেপার কথা বলতে পারছিনা আপনার পছন্দ হতেও পারে নাও হতে পারে।

প্রিয় গান যা বার বার শুনলেও বিরক্তি আসেনা :D :``>>

০৮ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ভাষার ব্যবহারে বিচ্যুতি একটা দুইটা হলেও ধরিয়ে দিয়েন পুলকভাই। আসলে যেই স্টাইলে কথা বলি আমি সেই স্টাইলেই লিখে ফেলি।

বাড়িউলি পানের পিক ফেললে মনে হয় আর তার রক্ষা ছিলো না। তারে দিয়েই পিক উঠানো হত। এত বদমাইসী কি আর সহ্য হত নায়িকার? আর এই বউ জামাই পাগলীই। জগতে কি শুধু বউ পাগলাই থাকে? এই পাগলীর সব কিছুই তো উল্টা পাল্টা। বাস্তব জগতের সাথে মিলে না।

আর ঠিকই বলেছেন সব পাগলীদেরই ছড়াছড়ি এখানে। সামুপাগলী আপাকেও ডেকে আনবো। এই পর্বের খবর এখনও পায়নি আপা।


সে গান দিলেন তা কি কেউ পছন্দ না করে পারে?

তাই মনে পড়ে গেলো আরেকটি গান

৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:১৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি ট্রেস হারিয়ে ফেলেছি একটু। শুভ্র তো এখনো ছাত্র। কেনাকাটা করে কী দিয়া? বাপের হোটেলের টাকা? এত টাকা হুটহাট খরচ করে ফেললে মাস চলা কঠিন হবে না? :)

এ পর্বটা আরো জমজমাট হয়েছে। টিপিক্যাল বাড়িওয়ালী বটেন। মেয়েটাকেও পছন্দ হয়েছে।

গল্পের রোমান্টিক পার্ট তো আপাতত শেষ মনে হচ্ছে। সামনের অংশে কী হয় তা দেখার অপেক্ষায় :)

০৮ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: শুভ্রর বাপের হোটেলও বন্ধ প্রায়। সে টাকা হুটহাট খরচ করতে পারে না। সে খবর জানানো হবে। আজ যা এনেছিলো তা সামান্য কিছুই রুটি কলা এমন সব তার সাধ্যের মধ্যেই আর কি। তাদের সকল জীবন যাপনের ভার এখন নায়িকা হাতেই। বাড়িউলী শুধু টিপিকাল নন তিনি অল্প শিক্ষিত কিছু টাকা হওয়া মানুষের মাঝে যে সংকীর্নতা দেখা যায় তার থেকে বের হতে পারেনি আর কি। মেয়েটা খুবই ভালো আর কি। একেবারে আধুনিক যুগের লক্ষী মেয়ে।

এত অল্পে রোমান্টিক পার্ট শেষ হলে মনে হয় এই গল্পের জামাই পাগলী বউ এর সাথে সাথে পাগলী পাঠকেরা রাগ করবে। তাই আরও একটু রোমান্টিক পার্ট বের করতে হবে মনে হচ্ছে লাজ লজ্জার মাথা খেয়ে...

৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৪৪

ওমেরা বলেছেন: ঘর বাড়ি পরিস্কার করার আমার বাতিক আছে, তার মাঝে ওয়াশরুম এক নাম্বার।
গল্প এগুচ্ছে লেখকের ইচ্ছা মত ।
শুনাকথা মেয়েরা নাকি কম বয়সী স্বামী পেলে খুশী হয়। কাজেই বাড়িওয়ালির কথা মত উনার বাবজানই শুধু বড়মাছ ধরেনি আমাদের মেয়েও ঠকেনি!! হি হি হি —-
ব্যক্তিগত ভাবে যদিও এটা আমার পছন্দ না।
ধন্যবাদ আপু ।

০৮ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হ্যাঁ তা ঠিক বলেছেন সব কিছু মোহ মায়া কেটে যায় মেয়েদের যখন ওমন বিদঘুটে ওয়াশরুম দেখে। আমাদের মেয়ে ঠকলো কি জিতলো নাকি বাবজান ঠকলো বা জিতলো তা জানা হবে। অনেক ধন্যবাদ। খুব তাড়াতাড়ি পরের পর্ব দিয়ে দেবো।

৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: পড়লাম, বরাবরের মতোই ঝরঝরে লেখনী, একবার পড়তে শুরু করলে একটানে শেষ হয়ে যায় বোঝার আগেই। পাঠকের একঘেয়েমি বোধ করার সুযোগ নেই। আগের মতোই মারাত্মক রোমান্টিক - ভালোবাসায় মাখামাখি একটা পর্ব।
আচ্ছা এটা কি আপনার জীবনের গল্প?

০৮ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আমি বাচ্যে লিখছি। অনেকেই প্রশ্ন করছে এটা আমারই জীবন নাকি। আমার জীবন থেকে নেওয়া বটে তবে অর্ধেকটা। সেই অর্ধেকটার কোনটা কি গল্পেই জানিয়ে দেবো। এখুনি বলে দিতে চাই না। প্রথম পৃষ্ঠার আগেই শেষ পৃষ্ঠা পড়ে ফেললে কেমনে হবে পাগলা আপা?
অসংখ্য ধন্যবাদ এসেছেন তাই। আর পড়বার জন্য আরও কিছু ভালোবাসা।

৮| ১১ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১:৩৬

মা.হাসান বলেছেন: শুধু জিনিসপত্র দিয়ে ঘরের চেহারা পাল্টানো মুশকিল। প্রচন্ড পরিশ্রম লাগে। অনেক দিনের জমা ময়লা হলে কষ্ট অনেক বেশি। এত কষ্টের পর আর ভালোবাসার কথা বলার এনার্জি থাকার কথা না। নায়িকা মনে হয় এনার্জি বিস্কুট খেয়ে নিয়েছিলো।

১১ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১:৩৯

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: শুধু এনার্জি বিস্কিটই না। এনার্জি প্লাস!!! আর অনেকদিনের জমা ময়লা হবে কেনো? গল্প, নাটক সিনেমায় কম ময়লা থাকে তাই এনার্জী বিস্কিট ছাড়াও তুলতে তেমন কষ্ট হয় না। যাক শেষ পর্যন্ত পদধুলি দিলেন হাসান ভাই। অসংখ্য ধন্যবাদ।

৯| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২৯

আমি সাজিদ বলেছেন: বেশ। এই পর্বটি। বাড়ির মালকিনের ভাষা একটু পুরানো হলে চোখে লাগতো না ।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:২১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: তা বটে। কিন্তু নতুন ছিলো যে।

১০| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:১৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: লজ্জ্বাটুকুন বেশ ছুঁয়ে গেল ;)

মাঝে মাঝে ছবিতে নায়িকার লাজুক অভিনয় দেখে যেমন মনে হয়,
এমন লাজুকতা ফোটাতে কতটাই না নিলাজ হতে হয় সমাজের চোখে ;)
তারপর আসে সেই পারফেক্ট অভিনয় :)

বরাবরের মতোই মুগ্ধতা ....

+++

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৩১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি আমার গল্পের নতুন পাঠক। কিন্তু এই তুচ্ছ গল্পে মনোযোগ দেখে অবাক হচ্ছি।

১১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:১৮

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: খুব সুন্দর আগাচ্ছে ।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: অনেক অনেক ভালোবাসা আপু।

১২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: জয়তু চিলেকোঠা :>

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: অনেক অনেক ভালোবাসা আপু।

১৩| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০৮

ইসিয়াক বলেছেন: খুব ভালো লাগলো।

১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ধন্যবাদ অসংখ্য।

১৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৩

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: সেই দৃশ্য মনে করে আমার একটুও লজ্জা লাগেনি। স্ত্রীর স্বামীকে ওভাবেই আদর করা উচিত।
চলুক।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা জানিনা কি ছিলো। যা মনে হলো লিখলাম সেভাবেই আর কি।

১৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩০

ফয়সাল রকি বলেছেন: শেষটায় যেভাবে লজ্জা পেয়েছেন, তাতে কমেন্টগুলো আরো গঠনমূলক/উপদেশমূলক হওয়ার কথা ছিল।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা আপনি করেন না আরেকটা গঠনমূলক বা উপদেশমূলক কমেন্ট।

দেখি কি হয় সেটা......

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.