নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লোকে বলে প্রথম প্রেমটা বড্ড কোমল\nএলোমেলোযায়না \nভোলা কোনোদিনও\nসত্যি কি তাই

কবিতা পড়ার প্রহর

কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে রাতের নির্জনে

কবিতা পড়ার প্রহর › বিস্তারিত পোস্টঃ

চিলেকোঠার প্রেম- ৪

১০ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:০১

আজ শুক্রবার। আজ আর কাল আমার ছুটি। অনেকগুলো দিন পরে যেন বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে পারছি। সকাল থেকেই অকারণ আনন্দে মন ভরে আছে। এই সাত দিনেই আমার বিরহে আমার সাধের পাতাবাহার গাছগুলি যেন বিষন্ন হয়ে উঠেছে। তাদেরকে ঝেঁড়েমুছে পানি টানি দিয়ে হাসিখুশি করে তুলেছি আজ ভোরবেলা। শুভ্রর জন্য নিজে হাতে নাস্তা বানিয়েছি। গার্লিক স্রিম্প উডন নুডুলস আর পাইন এপেল জ্যুস (অর্ধেক পাইন এপেল দিয়ে বানিয়েছি। বাকিটা দিয়ে হাসান ভায়ের আনারসের খাটা বানাবো বিকালে)। অবশ্য সকালের নাস্তায় হাতে বানানো চাপাতি বানাতে পারলে খুবই ভালো হত। সাথে ঝাল ঝাল কলিজা ভূনা, পাঁচফোড়নে সব্জী বা ঘিয়ে ভাঁজা গরম গরম সুজির হালুয়া। এ্কেবারে পারফেক্ট বাঙ্গালী নাস্তা। কিন্তু আমি চাপাতি বানাতে জানিনা।

কয়েকদিন ধরে আমার খুবই আমাদের বাড়িতে বানানো কলির মায়ের হাতের চাপাতি আর সব্জী খেতে ইচ্ছা হচ্ছে। কিন্তু রুটি বেলা তো দূরের কথা ডোটাই মাখাতে পারছিনা ভালো করে। সেদিন সিদ্দিকা কবিরের বই দেখে ডো করতে গিয়ে পুরাই ছেড়াবেড়া অবস্থা আর তারপর তো বেলুনটা এইদিকে চাপ দেই তো ঐ দিকে যায় ঐ দিকে চাপ দেই তো পিড়ি লাফ দিয়ে উঠে। আমার নাকানি চোবানি খাওয়া দেখে শুভ্র হাসতে হাসতে শেষ। মহাপন্ডিতি আর বিজ্ঞচালে এগিয়ে এসে বললো, আরে বোকা এভাবে না, আমি দেখাচ্ছি এই বলে পিড়ি বেলন টেনে নিয়ে সে যা বানালো! একটা তিনকোনা, একটা পাঁচকোনা আরেকটা রুটিতে একখানে মোটা আরেকখানে পাতলা হতে হতে তো ফুটাই হয়ে গেলো এত্ত বড়। তা দেখে হাসবো না কাঁদবো ভেবে ভেবে আর শুভ্রর বোকা বোকা মুখ দেখে মাথায় আবারও পাগলামী চেপে বসলো আমার। হাসতে হাসতে আমিও শেষ। বললাম এই ভাবে না? এই ভাবে বানায়! কত বড় পন্ডিৎ না?

ওর মাথায় এক মুঠো ময়দা ঢেলে দিয়ে ভূত সাজিয়ে দিয়ে দৌড় দিলাম ছাদের দিকে। আর এতেই শুভ্রের সম্বিৎ ফিরলো বুঝি। সেও ছুট লাগালো আরেক মুঠ ময়দা নিয়ে আমার পিছু পিছু। সারা ছাঁদ দৌড়ে, বিছানার উপর দিয়ে, টেবিলের পাশ দিয়ে ছুটে যখনই সিড়ির দিকে পালাতে নামছিলাম আর ওমনি শুভ্র আমাকে দু'হাতে ধরে ফেললো আর সেই মুহূর্তেই চোখে পড়ে গেলো সিড়ির মুখেই চোখ কটমটিয়ে, কোমরে দুই হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন বাড়িউলী মোটি খালাম্মা। পিছে আবার বাড়িওয়ালা খালু আব্বাও উঠে এসেছেন।

শুভ্রের সারা মাথায়, হাতে মুখে ওমন ময়দা মাখা ভূত সেজে থাকতে দেখে আর আমার মুখে, চোখে, গলা, কাঁধেও তার ছিটে ফোটা দেখে বাড়িউলী খালাম্মার বুঝতে বাকী রইলোনা বুঝি দুই দুইটা জ্যান্ত ভূতকেই তারা তাদের মহামূল্যবান চিলেকোঠাখানি ভাড়া দিয়েছেন। আমাদের এই অবস্থায় দেখে বাড়িওয়ালা নেমে গেলো। কিন্তু বদমাইস বাড়িউলী চোখ পাকিয়ে বললো,
- বলি হচ্ছেটা কি শুনি? এটা ভদ্রলোকের বাড়ি তো, নাকি? এই দিন দুপুরে যদি এই ধাড়ি ধাড়ি মানুষগুলো তোমরা এমন হুটাপাটা করে ছুটোছুটি বাড়ির মধ্যে সিনামাহল বানায় তোলো তাইলে বাড়িতে তো আরো ছেলেমেয়েরা আছে নাকি? তাদের আদব কায়দার কি হাল হবে বুঝতে পারছো? আমাদের চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তার সাহস বুঝি আরও বেড়ে গেলো। আরও এক ধাঁপ গলা চড়িয়ে বললেন,
- ভালো করে শুনে রাখো বাছারা। আমার বাড়িতে এই সব সিনেমা নাটক চলবে না। ভদ্র সভ্য হয়ে থাকতে পারো তো থাকবে, নাইলে বাবা মানে মানে কেটে পড়ো। আমার ঘরভাড়ার অভাব হবে না। গট গট করে চলে গেলেন উনি। আমার রাগ তো লাগলোই না বরং তার কথা শুনে ও হাঁটার স্টাইল দেখে আমরা দুজনই হাসিতে ফেটে পড়লাম। তবে ডিসিশন নিলাম খুব শিঘ্রিই আমরা এই চিলেকোঠা ছেড়ে উঠে যাবো ছোট খাটো কোনো ভদ্রস্থ ফ্লাট খুঁজে। যেখানে হবে আমাদের সুখের নীড়। নিরুপদ্রব জীবন। এরপর আমরা বাড়িউলীর কথা তোয়াক্কা না করে আবারও ছুট লাগালাম ছাঁদের দিকে। কল তলার থেকে এক বালতি পানি নিয়ে শুভ্র আচমকা আমার মাথায় ঢেলে দিলো। আমিও কি ছেড়ে দেবো! আমিও আরেকটা বালতির অভাবে মগ দিয়েই ড্রামে জমিয়ে রাখা পানি থেকে পানি তুলে ছুঁড়ে মারলাম ওর দিকে। তার পরপরই চোখে পড়ে গেলো টবে পানি দেবার হোসপাইপটা। সাথে সাথে সেটা দিয়ে ওকে ভেজা কাক বানিয়ে দিতে মোটেও দেরী করলাম না। এভাবেই হাসি আনন্দ আর আবোল তাবোল পাগলামীতে কেটে যাচ্ছিলো দিনগুলো।

বরং শুভ্রের কাছে চলে আসার পর হতেই অফিসটাই আমার কাছে দিনে দিনে অসহ্য হয়ে উঠছে। এই কাজ পাগলার আমির অফিসের কাজে কামে একেবারেই আর মন নেই যেন। সারাক্ষন আমার মন পড়ে থাকে ওই এক চিলতে চিলেকোঠার এবড়োখেবড়ো চেহারার মাঝে নিজের হাতে ফুটিয়ে তোলা এক রতি স্বর্গের জীবনে। ওখানে আমার শুভ্র আছে। আর আমাকে রোজ তাকে ছেড়ে চলে আসতে হয় অফিসে। ব্যপারটা আমার মোটেও পছন্দ না। শুভ্র ঘুমিয়ে আছে। ওর ঘুম মুখ মনে পড়ে। এখন কি উঠলো? কি খেলো? কি করছে? এসব ভাবনায় আনমনা হয়ে পড়ি মাঝে মাঝেই।

অফিসের নাজমা আপা তো সেদিন হাতে নাতে ধরেই ফেলেছিলো। গালে হাত দিয়ে আমি হা করে বসে বসে ভাবছিলাম যখন গত রাত্রীর শুভ্রর লেখা কবিতাটার কথা। আর তাই নিয়ে আমার সন্দেহ করে রাগের ভূত হয়ে যাবার কথাটাও। মানে কাল হঠাৎ শুভ্রের পুরানো কাগজ পত্রের ড্রয়ারটা গুছাতে গিয়ে হঠাৎ দেখি এক প্রেমের কবিতা। একটা খাতার পিছে ওর নিজের হাতে গোটা গোটা অক্ষরে লিখে রেখেছে।

তোমার কপালে এঁকেছিলাম
লাল টিপ ভালোবাসা,
বৃষ্টি মুখর সন্ধ্যায় ঘোরলাগা ক্ষনে,
তোমার কপালেই এঁকেছিলাম
প্রথম চুম্বন.....
প্রথম চুম্বন! এতটুকু পড়েই আমার মাথা ঘুরে গেলো? তবে কি শুভ্রর আগেও কোনো প্রেম ছিলো? কে সেই মেয়ে? কেনো শুভ্র আমাকে বলেনি তার কথা? কেনো শুভ্র আমাকে ঠকালো! এত সব কেনো , কে, কি এর সমারোহে আমার মাথা খারাপ হয়ে গেলো। শুভ্র তখন সূচীশভ্র বিছানায় বসে এক মনে গভীর মনোযোগে ল্যাপটপে কোনো কাজ করছিলো বুঝি। আমি হঠাৎ রাগে দুঃখে ফুলে ফেঁপে উঠে ফোস ফোস করে কুচি কুচী করে ওর খাতা ছিঁড়তে লাগলাম। আমার মুখ মনে হয় রাগে উন্মাদিনীর মতই হয়ে উঠেছিলো। আমার কান্ডে চমকে গেলো শুভ্র। তাড়াতাড়ি এসে আমাকে জড়িয়ে ধরলো। কি হয়েছে তোমার! এমন করছো কেনো? আমি সেসব পাত্তা না দিয়ে বললাম কি হয়েছে মানে? জানোনা না? সাধু বাবা আসছো? শুভ্র ভীষন ভয় পেয়ে বললো, সাধু বাবা? সাধু বাবা আবার কি? আমি হাতে ধরা খাতার কুঁচি কুঁচি টুকরোগুলো দেখিয়ে বললাম। কে ছিলো মেয়েটা? এখনই বলো। আমি রাগে কাগজের টুকরাগুলো ওর গায়ে ছুড়ে মেরে ওর গলাই চেপে ধরলাম।

শুভ্র মনে হয় নিজেই ভুলে গেছিলো ঐ খাতায় কবে কি লিখেছিলো। সে আমার গলা চাপা খেয়ে কাঁশতে শুরু করলো। আর তখনই আমার জ্ঞান ফিরলো। তাড়াতাড়ি ওকে চেয়ারে বসিয়ে পানি নিয়ে এলাম। পানি খেয়ে শুভ্র বললো, কি হয়েছে বলো, না জেনেই খুন করে ফেললে তো লাভ নাই তাই না? কখনও জানাই হবেনা কি কারণে এত খেপলা তুমি। সেই কথা শুনে আমার কান্না পেয়ে গেলো। শুভ্র আমার চোখে তখন এক বিরাট প্রতারক। অনেক কষ্টে সৃষ্টে শুভ্র শেষ পর্যন্ত যখন জানতে পেলো ঐ কবিতা নিয়ে আমার এই রাগের কথা। তখন সে হাসতে হাসতে সব খুলে বললো কেনো ঐ কবিতা লিখেছিলো এবং ঐ কবিতার সাথে সত্যিকারের কোন মানবীর সম্পর্কই নেই।

এই সব সুখ দুঃখ হাসি কান্না আনন্দ বেদনার মাঝেও জীবনের এক অপার মধুসূধা পান করে চলেছিলাম আমরা। খুব অবাক লাগে। এত কিছুর মাঝেও জীবনের এত সুখ মিশে থাকবে বুঝতে পারিনি আগে। এ মাসের শেষে শুভ্রর ফাইনাল এক্সামের কি একটা প্রেজেন্টেশন আছে। তারপর কক্সেসবাজার যাবো বলে ঠিক করেছি আমরা। আমার জমানোর টাকার সবটাই তাই খরচ করিনি এখনও। সাথে ওর বাড়িতেও ঘুরে আসবো একবার। ওদের বাড়িতে কেউ এখনও জানেইনা আমাদের এই বিয়েটার কথা।

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১:৪১

মা.হাসান বলেছেন: টোনাটুনির সংসার খুব চমৎকার চলছে। বাড়িওয়ালির এত হিংসার কারণ পরিস্কার না, হিংসা হতে পারে কি? যে দিন চলে গেছে তা নিয়ে আফসোস করে লাভ নেই। আমার যা ছিলো তা গেলো ঘুচে যা নেই তার শোকে...

১১ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১:৪৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: বাড়িউলীটা মনে হয় জীবনে ভালোবাসা পায়নি তাই তার এসব সহ্য হচ্ছে না অথবা শুভ্রের সাথে নিজের মেয়েকেই গাঁটছড়া বাঁধবার ইচ্ছা ছিলো কিনা কে জানে!



না হাসানভাই আছি সুখে হাস্য মুখে দুঃখ আমার নাই....
আমি আপন মনে মাঠে বনে উধাও হয়ে ধাই
কিন্তু আমার সোনার হরিণ চাই না ......

২| ১১ ই আগস্ট, ২০২০ ভোর ৫:০৪

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: Your writing style is very smooth..
Keep it up.

১১ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৪২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ধন্যবাদ কবিতা।

৩| ১১ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:১৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: রুটি বানানোয় উভয়ের দক্ষতা বিস্ময়কর!
ছোট ছোট সুখ স্মৃতি একে একে মনের ক্যানভাসে অনেক বড় হয়ে ছড়িয়ে পড়ে। এবং তখনই কোন লেখকের কলম থেকে বের হয়ে আসতে থাকে এমন একেকটি মধুর স্মৃতিজড়ানো গল্প।
গল্পে ভাল লাগা + +।

১৫ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৫৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা রুটি বানানোতে অদক্ষদের এমন অভিজ্ঞতা অনেকই আছে মনে হয়। শুভ্র আর তার অর্ধাঙ্গিনীরও তাই হলো। ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

৪| ১২ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৫৮

ঢুকিচেপা বলেছেন: গত পর্বের ধারাবাহিকতায় এ পর্ব খুব ভাল হয়েছে। প্রতিটা চরিত্র এবং ছোট ছোট মুহুর্তগুলি দারুণভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।

{দুইজন তো দেখি বিষুকর্মা (বিশ্বকর্মা), রুটি বানানো মেশিন কিনলেই তো হয়ে যেতো। যদি লাগে তাহলে বিদেশ থেকে ইম্পোর্ট করে এনে দিতে পারি।}

১৫ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৫৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: এটাও আর বাকী রাখবেন কেনো? এত কিছু দিলেন। একটা রুটি মেকারও দিয়েন আপা। আগেই ধন্যবাদ দিয়ে রাখলাম।

৫| ১২ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৫৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: এ পর্বটিও দারূণ হয়েছে। লেখনী গুণে চোখের সামনে ভেসে উঠেছে প্রেমে পাগল মানব মানবীর স্বপ্নময় সংসারের কাহিনী। কিন্তু সামনেও এত সুখ টিকে থাকবে কিনা সেই চিন্তায় বারবার আপনার ব্লগবাড়িতে আসতেই হচ্ছে...... :)

পোস্টে ++++++!

১৫ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৫৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: এখন একটু টাইম টানাটানিতে আছি। প্রতি শুক্রবার একটা করে পর্ব দেবো ইনশাল্লাহ পাগলা আপা। দোয়া কইরেন যেন এদের সুখী জীবন দিতে পারি। নিজেদের দোষে সুখ সহ্য না হইলে আমার দোষ নাই।

৬| ১২ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:২৬

ওমেরা বলেছেন: রুটি বানানো খুব কঠিন না চারকোনা পাচঁ কোনা হোক একটা গোল বাটি দিয়ে কেটে নিলেই তো হয়ে যাবে । আর বাঁকা চাকা হলে রুটি ভাজার পর খেতে রুটি রুটির মতই লাগবে । গল্প সুন্দর তালে এগিয়ে যাচ্ছে। ধন্যবাদ আপু।

১৫ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৫৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: নাহ আপা। গোল বাটি দিয়ে রুটি কাটলে তা শ্বাসত রুটির গুনাবলী নষ্ট করে। ওমনি করেই মা খালা দাদী নানী স্টাইলে বেলুন ঠেলে গোল বানাতেই হবে। ভালোবাসা সাথে থাকবার জন্য।

৭| ১৩ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:০৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: নভোনীল গল্পের ১১ পর্বের পর নতুন কোন পোস্ট হয়েছে কি ? যদি না হয় তবে ১২ তম পর্বটি পোস্ট দিতে চাই?

১৫ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৫৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আপনার ১২ পর্ব পড়তে যাবো।

৮| ১৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:২৫

মা.হাসান বলেছেন: ঢুকিচেপার মতো লোকেরা যৌতুক দিয়ে দিয়ে আমাদের লোভি করে দিচ্ছে। ওনার রিমান্ড চাই।

১৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৩৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: উনি নিস্বার্থ যৌতুক প্রদক। নতুন ভাষা বানালাম। উনার মত মানুষ ঘরে ঘরে জন্ম হোক। মা হাসান ভাই ধন্যবাদ।

৯| ২০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:১০

ঢুকিচেপা বলেছেন: আপনি নতুন পোস্ট লিখুন তাড়াতাড়ি, এখানে আর আসা যাবে না। বাপরে রিমান্ডের ভয়ে পালিয়ে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। ভাবলাম সামু পরিবারের মেয়ে ভুল করে পালিয়ে এসেছে, কিছু দিলে যদি সুখে শান্তিতে থাকতে পারে..... কিছু লোকের যে চোখে লাগবে কে জানতো ?
@মা.হাসান ভাই, রিমান্ডে যদি নিতেই হয় জামাই বাবুকে নিয়ে যান। কদিন খেয়ে বেশ হিষ্টপুষ্ট হয়েছে। আমি আর ক’দিন ? সাড়া শরীরে শুধু হাড় আর হাড়...............

২২ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১:৩০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: লিখবো। একটু ঝামেলায় পড়েছিলাম। তাই লেখা বন্ধ আছে। শিঘরী দিয়ে দেবো। দোয়া কইরেন আমার জন্য,

১০| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১:৩৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাসি-কান্না-উচ্ছলতায় এই পর্বটা দারুণ।

হুমায়ূন আহমেদের একটা ছবিতে (আবারও ছবিটার নাম ভুলে গেলাম) প্রেমিক-প্রেমিকার বিয়ে হবার পর নায়ক তার নায়িকাকে বলছে - এখনো তোমাকে প্রেমিকাই মনে হচ্ছে, বউ মনে হচ্ছে না। হুমায়ূন আহমেদের এই কথাটা আমার দারুণ লেগেছে। স্বামী-স্ত্রী যদ্দিন একে-অপরকে প্রেমিক-প্রেমিকা ভাবতে পারবে, সংসারে রোমান্স থাকবে ততদিনই। যদ্দিন একজন আরেকজনের গোপন চিঠি বা আগের ইতিহাস ঘাঁটতে থাকবে, এই টেনশন বা অস্থিরতার আড়ালে ততদিনই প্রেম জীবন্ত থাকবে। এসব যেদিন ফুরিয়ে যাবে, সেদিন প্রেম মরে যাবে, শুধু দুজন মানুষ কাবিননামা অনুযায়ী স্বামী এবং স্ত্রী হিসাবে গতানুগতিক কষ্টের সংসার বয়ে চলবে গন্তব্যের দিকে।

প্রথম বিয়ের পর। শ্বশুর বাড়িতে আমি। স্ত্রীর হাতে আমার কবিতার খাতা। সে পাতা উল্টাচ্ছে। হঠাৎ তার ভিতরে একটা চিঠি। আমি ছোঁ মেরে নিয়ে যাই। স্ত্রী সাথে সাথে আমার হাত চেপে ধরলো ওটা কেড়ে নেয়ার জন্য। আমার হাত থেকে ওটা ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য সে অস্থির হয়ে গেল। আমাকে বকতে শুরু করলো ওটা দেয়ার জন্য। কিন্তু আমি নাছোড়বান্দা। অনেক জোরাজুরির পর, আমার হাত চেপে ধরে রেখেই সে কেঁদে দিল। আমি হাত নরম করলাম। সে এক থাবায় আমার হাত থেকে ওটা কেড়ে নিয়ে পাতা খুলতেই কান্না থেমে গেলো। সে বোকা বোকা, হতবাক হয়ে গেল, তারপর ফিক করে হেসে দিয়ে আমাকে কিল ঘুষি মারতে লাগলো।

স্ত্রীর চিঠি আমি কবিতার খাতায় রাখতাম, কখনো ডায়েরিতে লিখতামও।

আমি আপনার লেখার ভক্ত হয়ে গেছি। রোমান্টিক পার্টগুলো খুব সুন্দর ভাবে এবং গুছিয়ে, প্রাণবন্ত করে তুলতে পারেন। গল্পের ভেতর নিজেকে নায়ক ভাবতে ভালো লাগে, অমন একজন প্রেমিকার প্রতিও লোভ হয়।

শুভেচ্ছা রইল।

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৩৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ধুলোভাই আমার লেখার ভক্ত হয়েছেন জেনে যেমনই লজ্জা পেলাম। তেমনই এই গল্পের নায়ক হতে ইচ্ছে করে জেনে ধন্য হলাম। আমার ধারণা আপনি সৌভাগ্যবান। এই গল্পের নায়িকা থেকেও ভালো একজন নায়িকা আপনার জীবনে আছে।

আপনার লেখার মধ্য দিয়ে আপনার চিঠি ও কবিতার দৃশ্যটি দেখতে পেলাম।
সময়াভাবে এর পরের পর্বগুলি দেওয়া হয়ে ওঠেনি। আমি জানি আমার যেমন সময়ের অভাব তেমনই পাঠকেরও সময়ের অভাব। তবুও মনের কথাগুলি প্রাণ খুলে না লিখলে কেমন যেন অস্থির হয়ে থাকি। কোনো কাজেই মন বসে না আর তাই একটু একটু করে লিখছি। এই গল্পের গুটিকয় পাঠকের যে ভালোবাসা আমি পেয়েছি তা আজীবন আমার মনে থাকবে।

ভালো থাকবেন। সুস্থ্য থাকবেন।

১১| ৩১ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৫৫

মিরোরডডল বলেছেন:



কি সুইট একটা সংসারের শুরু । ছোট ছোট খুনসুটি ।
জীবনটা যদি এরকমই হতো ভালোবাসার আদরে মাখামাখি ।
আবার ছোট ছোট ভুল বোঝাবুঝি মান অভিমান । খুব সুন্দর আপুটা ।

৩১ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:০১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ওহ তাইতো। আমি তো চিলেকোঠা ৫ এর দাওয়াৎ দিয়ে এসেছিলাম। অথচ এই ৪ যে পড়া হয়নি আপনার সেটা খেয়াল ছিলো না।
আপা এরপরের পর্বে দেখেন শুভ্রদের বাড়িতে গিয়ে অপ্রত্যাশিত বৌমা দর্শনে কি অবস্থা হলো শ্বাশুড়িআম্মার।

১২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জম্পেস প্রেমে ভালবাসায় পাগলামী আর খুনসুটিতে তরতর করে বইছে প্রেমের নৌকো!!!
বাহ বেশ বেশ..

তা পর্ব ৩ গেল কই?
অনেক বার ক্লিকবাজি করেও না পেয়ে চারেই থিতু হলাম!

যাই তারপর কি হলো দেখি ?

+++

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:০৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ওহ পর্ব ৩ মনে হয় দেওয়া হয়নি। আপনার কথায় মনে পড়ে গেলো।

অনেক ধন্যবাদ বিদ্রোহীভাই।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:১৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: Click This Link


এই যে তিন।

আপনার কথায় নিজেই কনফিউজড হয়ে গেছিলাম।

১৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৩৬

আমি সাজিদ বলেছেন: জামাই পাগল বউ এর সাথে জামাই পিটানো বউ এই বিশেষণও শুভ্রের স্ত্রীকে দেওয়া যায়। বেচারা যদি আগে প্রেম করতো তাহলে খবরই ছিল। আর এমন ঝগড়াটে বাড়ির মালকিন দেখি নি, যে একটা রেলিং ছাড়া বাড়ি বানিয়েছে গলিতে কেই বা আসবে ভাড়া নিতে, ভাগ্য ভালো ভালো দুটো ছেলেমেয়ে বিপদে পড়ে চিলেকোঠাটা ভাড়া নিয়েছে।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:০৯

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা ভালো বলেছেন।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:১৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: জামাই পিটানো বউও দেখা আছে আমার।

১৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:০৩

আমি সাজিদ বলেছেন: কবিতা আপু স্ত্রীর মার খাওয়া পুরুষদের গলার দড়ি দেওয়া উচিত।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আর যারা স্বামীর মার খায় তারা কি করবে?

১৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫০

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভালো লাগলো, :)

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: অনেক অনেক খুশি হলাম আরেক আপা আমার পাঠিকার তালিকায় যুক্ত দেখে।

১৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: রুটি গোল করা এক্কেবারে সোজা । শুভ্রর ত্রিভুজে স্টিলের কিছু দিয়ে সাইজ করে ফেলেন।
চলুক দুই সাদা ভূতের ছোঁয়াছুঁয়ি খেলা।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা শান্তি করে লিখতে পারলাম না আপা। একজন লরু গরু আমার লেখার মগ্নতায় ব্যঘাৎ ঘটিয়ে দিলো।

নইলে সাদা ভূত কালো ভূত কত কিছু লেখার ছিলো।

১৭| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১৯

ইসিয়াক বলেছেন: এ পর্বটাও দারুণ।

১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৪৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: এত কষ্ট করে সবগুলি পর্ব পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা।

১৮| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২০

ফয়সাল রকি বলেছেন: বাড়িওয়ালী কি বিদেশী? মানে বিদেশী ভাষায় কথা বলে? কেমন যেন অনুবাদ অনুবাদ লাগে উনার কথাবার্তা!

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: বাড়িওয়ালী মনে হয় ময়মনসিংহবাসী হবে। হা হা নেত্রকোনা টোনাও হতে পারে।

১৯| ২৪ শে মে, ২০২১ রাত ৮:৩২

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আমি গল্পটি পড়ছি আর মুগ্ধতায় হাবুডুবু খাচিছ। মনে হয় এই লেখিকার আরো কোন সিরিজ গল্প পড়েছি।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:১০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা ঠিকই মনে হয়েছে।

লেখিকা মাঝে মাঝে আত্মগোপনে লেখে।

পরিচিতি বা পরিচিত নিকে লিখে নিজেই বায়াসড হতে চায় না। :)

তবুও স্বভাব যায় না মরলেও।

পরিচিত ঢং কি সহজে লুকানো যায়?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.