নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লোকে বলে প্রথম প্রেমটা বড্ড কোমল\nএলোমেলোযায়না \nভোলা কোনোদিনও\nসত্যি কি তাই

কবিতা পড়ার প্রহর

কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে রাতের নির্জনে

কবিতা পড়ার প্রহর › বিস্তারিত পোস্টঃ

চিলেকোঠার প্রেম- ৫

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৩৪

শুভ্রদের বাড়িতে যখন পৌছুলাম। তখন বেলা প্রায় ১১টা। কলিং বেল চাপতেই দরজা খুলে দিলো ওর ছোট বোন শৈলী। ভাইকে দেখে বিস্ময় এবং খুশিতে চিৎকার দিতে গিয়েও আমাকে দেখে থমকে গেলো সে। ৬ ফুটি ভাইয়ের কাঁধের উপর দিয়ে উঁকিঝুকি দিয়ে বুঝতে চেষ্টা করলো আমিটা কে। ওর হাসি হাসি মুখ অবাক বিস্ময়ে পরিণত হয়ে বাকরোধ হয়ে যাওয়া দেখতে দেখতেই পিছে ভেসে উঠলো হাল্কা নীল সবুজ রঙ্গের শাড়ি পরা মধ্যবয়স্কা একজন রমনীর অবয়ব। বোধ হয় তিনি রান্নাঘরেই কাজ করছিলেন। কলিংবেলের শব্দে কাজ ছেড়ে এসেছেন। কে এসেছে সে কথাটা মেয়েকে জিগাসা করার এবং শুভ্রকে দেখার আগেই উনার চোখ পড়ে গেলো আমার দিকে। আঁচলে মুছতে থাকা হাতটা থমকে গেলো। চক্ষু দুটি স্থির হয়ে গেলো। অচিরেই মুখ হয়ে উঠলো আষাঢ়ের আঁধার কালো আকাশ। এসব দেখে আমার খুব মজা লাগছিলো। যেন এমনটা হবে আগেই আমার খুব জানা ছিলো।

শুভ্র এগিয়ে গিয়ে উনার পায়ে হাত দিয়ে সালাম করলো। শুভ্রকে দেখে আমিও পা ছুঁয়ে সালাম করলাম উনাকে। শুভ্র বললো, মা আমরা বিয়ে করেছি। উনি নির্লিপ্ত মুখে বললেন, ভিতরে যাও। তারপর নিজেই রান্নাঘরের দিকে চলে গেলেন। শুভ্র ফিসফিস করে কিন্তু নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে বললো, শি ইজ শকড। নো প্রবলেম। সব ঠিক হয়ে যাবে। ভিতরে চলো। শৈলী এতখন হতচকিত মুখে দাঁড়ি্যে ছিলো। হঠাৎ সে ভাবী ঈঈঈ বলে দৌড়ে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরলো। ফিস ফিস করে বললো, ভাবী তুমি আমার?? কি যে সুন্দর তুমি!! আমার কি যে ভালো লাগছে!!! আমি তো খুশিতে পাগল হয়ে যাবো! ওর খুশি বা উচ্ছাস চাপা রইলো না কিন্তু সবকিছুই সে বলছিলো ফিসফিস করে কারণ বুঝাই যাচ্ছিলো এই উচ্ছাস তার মা জানতে পেলে তার খবরই আছে। মনে হচ্ছে এই বাড়িতে তার রাশভারী মায়ের ভালোই একটা প্রভাব আছে। সে যাক। পরে এসবের খবর করা যাবে। এখন জীবন নামক নাট্যের পরের দৃশ্যে বরং অবর্তীণ হই এবং এর মজা বা কৌতুক বা আনন্দ যাই হোক না কেনো তা পুরোটাই আস্বাদন করি।

শুভ্র আর শৈলীর সাথে সাথে আমি শুভ্রের ঘরে এসে ঢুকলাম। ছিমছাম পরিপাটি করে সাজানো ঘর। খুব সামান্য আসবাবপত্র। কিন্ত চারিদিক ঘিরে সুচারুরূপ আর মমতায় ছোঁয়া। বিছানা, বালিশের কাভারে আশ্চর্য্য সুন্দর সব সূচীকার্য্য। টেবিলক্লথটা তো আরও দারুন কুরশিকাটার নক্সায় বোনা। আমি অবাক হয়ে চারদিকে দেখছিলাম। এই প্রায় দুপুরের ছায়া ছায়া সুশীতল ঘরের মাঝে কি এক অজানা মায়া! পায়ের তলায় সিমেন্টের মেঝে। কিন্তু রোজ তাতে মুছে মুছে কি অদ্ভুত তেলতেলে মসৃণ! মাধবীলতার একটা গোলাপী সাদা ফুলে ভরা ডাল ছুঁয়ে আছে জানালার শিকে। জানালার তাকে দুইটা চঁড়ুই ইড়িক চিড়িক করে ডেকে চলেছে। এমন করে তো অনেক কিছুই দেখা হয়নি আমার আগে! শৈলী সেই ঝকঝকে তকতকে করে পাতা ফুলতোলা নক্সাদার বিছানাটাই ফের ঝাড়ু দিয়ে ঝুপঝাপ ঝাড়তে লাগলো। আমাকে টেনে বসায়। এটা সরায়, ওটা সরায়। মনে হচ্ছিলো আমাকে পেয়ে ছোট্ট মেয়েটা এক আশ্চর্য্য মোহের ঘোরে ঢুকে পড়েছে।

ওর কান্ড দেখে হাসি পাচ্ছিলো। আমি ওকে টেনে বসালাম। বললাম শৈলীমনি তোমাকে এত ব্যতিব্যাস্ত হতে হবে না। সব ঠিক আছে। এখন এইখানে চুপ করে বসো। দেখো আমি তোমার জন্য কি এনেছি। ওর জন্য আনা সালোয়ার কামিজ, ওরনামেন্টস সবকিছু বের করে দিলাম আমি।আনন্দে ওর চোখ চিকচিক করে উঠলো। শুভ্রের কাছে শুনেছিলাম এই বোনটা ওর অনেক আদরের। আর শুভ্রর কাছে যা আদরের তা তো আমারও আদরের হতেই হবে। দরজায় উঁকি দিচ্ছিলো আরও একটি মধ্যবয়স্ক নারীর মুখ। শৈলী তাকে হাত ধরে টেনে নিয়ে এলো ঘরের মধ্যে। বললো, দেখো দেখো ময়নার মা। এটা আমাদের ভাবী। কত সুন্দর না বলো? ময়নার মা মুখে কাপড় গুঁজে হেসে উঠলো,এতদিনে ভাইজান একখান কামের কাম করছে। তয় বলন নাই কওন নাই হডাৎ এমুন বিয়া। নাহ এইডা ঠিক অয় নাই। বিয়া হইলো মুরুব্বীগোর দোয়া। বাড়ির হগলতের আমোদ সামোদের ব্যপার স্যাপার। মুরুব্বীগো আশীর্বাদ ছাড়া কি বিয়া অয়! নাহ ইডা ঠিক অইল না। বিজ্ঞের মত মাথা নাড়তে লাগলো সে। তার কান্ড দেখে আমার বড় হাসি পাচ্ছিলো। শৈলীর অবশ্য এসব শোনার সময় নেই। আজ সে বড়ই আনন্দে আছে। হঠাৎ খেয়াল করলাম শুভ্র আশেপাশে কোথাও নেই। হাওয়া হয়ে গেছে।

হঠাৎ কলিং বেলের শব্দে চমকালাম। তারপর পরই মা শৈলী, কই তুই, কোথায় রে? হাক ডাকে পুরো বাড়ি জেগে উঠলো যেন। শৈলী বললো বাবা এসেছে। বলেই দৌড়ে গেলো। কিছুপরেই মোটাসোটা, হাসিখুশি চেহারার, সদাই হরিশ একজন মানুষকে প্রায় টেনে টুনেই নিয়ে এলো শৈলী। বললো, বাবা এটা ভাবী আর ভাবী বাবাকে সালাম করো। আমাকে কেউ বলে দেয়নি। তবু আমি এক গলা ঘোমটা টেনে উনাকে সালাম করলাম। ঘটনার আকস্মিকতায় উনি প্রথমে হকচকিয়ে গেছিলেন মনে হয়। তারপর আমার দিকে একবার, শৈলীর দিকে একবার তাকিয়ে বললেন, ভাবী মানে ? তোর ভাবী? মানে আমাদের শুভ্রের বউ! তারপর হো হো করে বেষম জোরে হাসতে শুরু করলেন। তাই বল, এটা শুভ্রের বউ। মানে বেটা নিজে নিজেই কাজ সেরে ফেলেছে। মনে হলো ছেলের এই অপ্রত্যাশিত বিয়েতে উনার মত কৌতুক আর আনন্দ কেউ কখনও পায়নি আর পাবেও না কোনোদিন।

হঠাৎ কি মনে পড়ে যাওয়ায় উনি হন্ত দন্ত হয়ে ভেতরের দিকে ছুটলেন। আরে এই শুভ দিনে তো মিষ্টি আনতে হবে। সবাইকে খবর দিতে হবে। সবাইকে মিষ্টি মুখ করাতে হবে। শুধু মুখে কি ....
পুরো বাড়ি যেন উৎসব মুখর করে তুললেন উনি একাই। আমার চারিদিকে তখন এক অচেনা জগৎ। যে জগৎটার সাথে আমার পরিচয় নেই। একটা নতুন বাড়ি। নতুন বাড়ির মানুষগুলো। দড়জা জানালা, খাট পালং। এই কিছু সময়ের মাঝেই তাদের নানা রকমের আচরণ, মুখভঙ্গি, আনন্দ বেদনা রাগ দুঃখ আপন করে নেওয়া আমাকে ঘিরে ফেললো। আমার মনে হচ্ছিলো এ জীবনটাও খারাপ না। বরং বেশ আনন্দের। কোনো এক পারিবারিক নাটকের বাস্তব মঞ্চ যেন।

দুপুরের খাবারের পর শুভ্রর মা মানে আমার শ্বাশুড়িমা আমাকে উনার ঘরে ডেকে নিলেন। এইটুকু সময়ে দেখা এই বাড়িটার সবচেয়ে দূর্বোধ্য মানুষটিই তিনি। এ বাড়ির সকল মানুষকেই খুব সহজবোধ্য ও আন্তরিক মনে হয়েছে। শুধু ইনিই কেমন যেন অনেক দূরের মানুষ। সেই সকাল থেকে খাওয়া দাওয়া এবং এই পর্যন্ত সারাটা সময় একটি কথাও বলেননি উনি। গম্ভীর মুখে সকলকে খাইয়েছেন। তবে দুপুরের খাবার সময় মাছের মুড়োটা সবার আগে উনি আমার পাতে তুলে দিলেন যখন অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলাম আমি। একে তো আমি মাছের মুড়ো খাইনা তার উপর আজীবন শুনেছি এসব খাবার মানুষ জামাই আদর করতে জামাইকে বা বাড়ির কর্তাকে খাওয়ায়। মানে পুরুষের খাদ্য। কিন্তু আমি তো জামাই না। বরং তাদের এক টুকরো সোনার ছেলেটার অপ্রত্যাশিতভাবে বিয়ে করা অবাঞ্ছিত ও রবাহত পুত্রবঁধু।

কিন্তু এই উনিই যখন দুপুরের পর বিকেলের দিকে উনার ঘরে আমাকে ডেকে নিলেন। জানিনা কেনো অজানা আশঙ্কায় কেঁপে উঠেছিলাম আমি। উনি বড় অবসন্নভাবে বিছানার উপর বসে ছিলেন। আমাকে দেখে ইশারায় সামনে বসতে বললেন। আমি বসতেই কিছু সময় পরে বলে উঠলেন, আচ্ছা তুমি তো পড়ালেখা জানা জ্ঞান বুদ্ধিসম্পন্ণ একজন মেয়ে। তো কোন নির্বুদ্ধিতে নিজের পায়ে না দাঁড়ানো একজন বেকার ছেলেকে বিয়ে করে বসলে বলোতো? ভেবে দেখেছো এই ছেলে খাওয়াবে কি? কি পরাবে তোমাকে? তোমার কোনো দায় দায়িত্ব নিতে পারবে সে? আরে সে নিজেই তো বাপের ঘাড়ে খায়। তোমাকে খাওয়াবে কি? সে না হয় বেকুবের মত কাজ করলো। তুমি করলে কি করে?

আমি বললাম, আমাকে খাওয়াতে হবে না। আমি জব করছি। আমাদের দুজনের সংসার ঠিক ঠিক চলে যাবে যতদিন ও জব না পায় আমিই চালাবো? উনি বিস্ফারিত নেত্রে আমার দিকে তাকিয়ে রইলেন! বললেন, কি বললে তুমি! তুমি সংসার চালাবে! একি কলিকাল! তো বউ এর টাকায় এখন চলতে হবে আমার ছেলেকে! ক্রোধে ফুসছিলেন উনি। আমার চোখ ফেটে জল আসছিলো। অনেক কষ্টে দৃঢ় প্রত্যয়ে কান্নাটাকে ধরে রাখলাম আমি। উনি ক্রোধে উন্মত হয়ে আমার দিয়ে তাকিয়ে রইলেন....
হঠাৎ আমাকে অবাক করে দিয়ে চিৎকার করে হাউমাউ কান্না শুরু করলেন। সাথে ছিলো উনার বিলাপ! এত কষ্ট করে ছেলেকে খাইয়ে পরিয়ে বড় করে এই ছিলো তার কপালে! কত আশা ছিলো পড়ালেখা শিখে ছেলে তার বড় চাকুরি করবে। বাবা মায়ের মুখ উজ্বল করবে। তাদের মনের মত একটা লক্ষী ফুটফুটে বউ বিয়ে করবে। এমনকি তার জন্য তার দূর সম্পর্কের এক বোনের মেয়েকে ঠিকও করে রেখেছিলেন তিনি। অথচ আজ এ কি দেখলেন! একি শুনলেন! এখন তিনি কি করে মুখ দেখাবেন উনাদেরকে!

আমি নিশব্দে ওখান থেকে উঠে এলাম। তখন সন্ধ্যা নামছে। আমি জানালায় গিয়ে দাঁড়ালাম। দুপুরবেলার সেই গোলাপী সাদা মাধবীলতার ফুলগুলো একটু যেন ম্লান মুখে ঝুঁকে পড়েছে। দুপুরের সেই চুড়ুই পাখি দুটোর কোনো সাড়া নেই এখন। সব কিছু কেমন যেন গুমোট আর বদ্ধ লাগছিলো আমার। নিজেকে খুব অপরাধীও মনে হচ্ছিলো। আমি জানালার শিকে কপাল ঠেকিয়ে দাঁড়ালাম। হঠাৎ কাঁধে কারো স্পর্শ। ফিরে দেখলাম শুভ্র। নিজেকে আর সামলাতে পারলাম না আমি। ওর বুকের মধ্যে মুখ গুঁজে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লাম।

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:১৫

ওমেরা বলেছেন: এক নিঃস্বাসে পড়ে ফেল্লাম গল্পটা ——- খুব সুন্দর গল্প পড়ার সময় মনে হয় না গল্প পড়ছি একেবারে বাস্তব মনে হয় ।
অনেক ধন্যবাদ আপু ।

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:১৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: অনেক ভালোবাসা ওমেরা আপা।
আপনারা যারা পড়ছেন তাদের কাছে কৃতজ্ঞ আমি।

২| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:০৬

ঢুকিচেপা বলেছেন: খুবই চমৎকার হয়েছে গল্পটা।
আগের পর্ব না পড়া থাকলেও এ গল্পটা বোঝা যাবে।
শশুড়বাড়ীতে প্রথম পা দেয়ার যে বর্ণনা দিয়েছেন তা সত্যিই সুন্দর হয়েছে। অন্যসব বর্ণনাও অসাধারণ।


{“ আঁচলে মুছতে থাকা হাতটা থমকে গেলো। চক্ষু দুটি স্থির হয়ে গেলো। অচিরেই মুখ হয়ে উঠলো আষাঢ়ের আঁধার কালো আকাশ।”

কেন চক্ষু স্থির হবে কেন ? আর মুখই বা কেন কালো আকাশ হবে ? সামনে কি পেত্নী দেখেছে ?

“ আমিও পা ছুঁয়ে সালাম করলাম উনাকে।”
হুমমম, বাবা দেখতে হবে তো সামু পরিবারের মেয়ে। আদপ কায়দায় কোন কমতি নেই, শুধু রুটি বানাতে জানে না, এই যা!!!}

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:১৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আপনার কমেন্ট পড়ে অনেকক্ষন হাসলাম। আদপ কায়দা তো ভালোই শিখছে বউটা। কিন্তু শ্বাশুড়ি যে কি করে তার কে জানে!
চক্ষু স্থির হলো অপ্রত্যাশিত ছেলের বউ দেখে।

আর লেখার প্রশংসায় লজ্জিত হলেও আনন্দিত হলাম।

৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:১৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: খুব সাবলীলভাবে বলে যাওয়া গল্প, ভাষা প্রাঞ্জল, ওমেরা যেমনটি বলেছেন, একটানে পড়ে যাবার মত। কিন্তু গল্প হলেও কেন জানি মনে হচ্ছে এ গল্পটি যেন কারো জীবনের সত্য ঘটনা। অন্ততঃ ৮০% সত্য!
সবগুলো ঘটনা খুব সুন্দর বর্ণনা করেছেন, তবে শুভ্র'র বাবার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়াটা সবচেয়ে চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। সিমেন্টের মেঝে পরিষ্কার রাখার ঐ ছোট্ট বর্ণনাটুকুও অত্যন্ত বাস্তব বলে মনে হয়েছে।
আমার মাও আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন অনেক কুরশিকাঁটার কাজ করতেন।
চমৎকার পোস্টে প্রথম প্লাসটা আগেই দিয়েই গিয়েছিলাম।

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৪৯

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আপনি এত খুটিনাটি খেয়াল করেন! লেখার সময় জানতাম খরখরে সিমেন্টের মেঝে এবং মুছে মুছে তেল চকচকে হয়ে যাওয়া মেঝে বা শান। মানে এমনটাই শুনেছি আমার ছেলেবেলায়। দুটোই আমি খুব মন দিয়ে খেয়াল করেছি। আসলে সবকিছুই খুব খুঁটিয়ে দেখতাম আমি। আর সেসব মনে পড়ে যায় যখন লিখতে বসি।

ঘটনাটা কতখানি সত্য বা মিথ্যা বড় কথা না কিন্তু এমনই তো হয়। হয়না বলেন? আপনার দেখা জানা ও শোনা মানুষদের মাঝে নিশ্চয় শুনেছেন। রবাহূত বউ এর কপালে কি জুটতে পারে।

আর যেই বাবা বা শ্বশুর মশাই এর কথা লিখেছি তার ছবি দেখলেও আপনি নিজেই বুঝে যাবেন তিনি ঠিক কেমন সদাই হরিশ মানুষ। তার চির অমলিন বিকশিত দন্তের হাসি দেখলেই বুঝে যাবেন দুঃখ তাকে ছুতেই পারে না। তবে সেই তুলনায় শুভ্র বেশ ক্রিটিক্যাল। মনে হয় মায়ের মত হয়েছে।

আমার মা ছিলেন কুরশীকাটার শিল্পী। কত রকমের নক্সাজালে ঘিরে রাখতেন চারিধার। আজকাল কেউ কুরশিকাটা বুনে সময় নষ্ট করে না। আসলে সে সময়ই নেই আর কারো।
অনেক ধন্যবাদ খায়রুলভাই। অনেক ভালো থাকবেন।

৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:৪৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
প্রথম পাতায় গেলে এই ধারাবাহিকটি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকতো।+++++

৩১ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:৫৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: প্রথম পাতার কোনো আশা নেই। আপনারা দু একজন পড়েন সেই ধন্য হই।

৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:২৬

জুন বলেছেন: আমি দুঃখিত কবিতা পড়ার প্রহর । আমার পোষ্টে একটি সমস্যা থাকায় রিপোষ্ট করার জন্য আপনার মন্তব্যটি ডিলিট হয়ে যায় । আমি আন্তরিক দুঃখিত আমার ব্লগে আপনার প্রথম মন্তব্যটি মুছে ফেলার জন্য । আশাকরি আপনি আবার আসবেন :)

৩১ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৩১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: অবশ্যই আসবো। আপনার সমস্যাটা বুঝতে পেরেছি আপা। নো টেনশন। ভালো থাকবেন।

৬| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:৪০

অনল চৌধুরী বলেছেন: সবাই প্রশংসা করছে।
লিখতে থাকেন। এসব গল্প নিয়ে নাটকও হতে পারে।
যদিও আমার লেখার বিষয়বস্ত অন্য।
আমি যা করি, লেখাতেও তাই লিখি।
Action, Adventure and Fighting against all criminals..................

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১৯

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ক্রিমিনালদের নিয়ে থাকেন। তাই একটু প্রেম ভালোবাসার গল্প পড়াতে চাইলাম ভাই।

ক্রিমিনালদের নিয়ে থাকা বেশি ভালো না। আবেগ বিনষ্ট হয়।

৭| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: পড়ার আগেই লাইক দিয়েছি কেননা জানতাম চমৎকার হবে বরাবরের মতো। :) পড়া শেষ বলছি, ভুল করিনি। এখন নায়ক বউ আর মায়ের মধ্যে কাকে বেছে নেয় সেটা দেখার অপেক্ষায়....... ;)

মোঃ মাইদুল সরকার এর মন্তব্যের সাথে একমত পোষন করছি।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা পাগলা আপা। এই গল্পের পাঠকের চাইতে পাঠিকাদের জন্য আমার এই লেখা মনে হয় আগাচ্ছে। আপনি, মিররডল, ঢুকিচেপা, ওমেরা আপনারা না পড়লে ভালো লাগেনা।

সাথে থাকছেন আরও ভায়েরা। মাইদুল ভায়ের আশা মনে হয় না এই জীবনে পূরণ হবে। মডারেটর ভাইয়া মনে হয় পণ করেছে কাউকেই আর সামনের পাতায় আনা হবে না।

৮| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৫৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আজ একসাথে সব গুলি পর্ব একটানে পড়ে ফেললাম।

গল্প পড়ছি মনে হয়নি। মনে অইছে আমারি জীবনের কাহিনী আমনে কেমনে জানলেন আর জাইনা লিখখাও লাইলেন ( এই আকাম :P করছি কিনা)
গল্প সেইরম অইছে+++। লেখা আপনার সফল...।

দুনিয়ার সকল শাশুড়ি (আমার মা ) একই চরিত্রের ।
শাশুড়িদের চরিত্রের ভিন্নতা খুবই কম দেখতে পাওয়া যায়।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আপনিও একই আকাম করছিলেন? তো এখন আছেন কেমন?
দুনিয়ার সকল শ্বাশুড়িই রবাহুত অনাহু্ত আকাশ থেকে পরা গায়েবী বউ দেখলে একই রিএক্ট করবেন।

আমার ছেলে আর তার এমন বউ দেখলে আমি করবোনা। কানা হোক খোড়া হোক বলবো- আসা মা লক্ষী বসো ঘরে ...... আমার এ ঘর রেখো আলো করে......

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ওহ আরেকটা কথা একসাথে ৫টা পর্ব পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। সবগুলিই লেখা আছে। এডিট করে মাঝে মাঝে প্রকাশ করি।
প্রথম পাতায় যায় না কিন্তু কেউ কেউ পড়ে এবং মন দিয়ে পড়ে দেখে বড় ভালো লাগে।

৯| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২১

মিরোরডডল বলেছেন:



চিলেকোঠার স্বপ্নিল সময়ের পরে এখন বাস্তবতার শুরু । দেখা যাক সামনে কি হয় ।
বাবাকে খুব পছন্দ হয়েছে আমার । অনেক মাই ডিয়ার ভদ্রলোক ।
শেষ তিনটি লাইন অনেক কথা বলে দেয় ।
সবকিছুর শেষে একটা মেয়ে তার ভালোবাসার মানুষটার বুকেই পায় পৃথিবীর সব শান্তি ।
এর চেয়ে সুন্দর আর কি হতে পারে ।
এতো সুন্দর রোম্যান্টিক গল্পের জন্য আপুটাকে একটা প্রিয় রোম্যান্টিক গান দিলাম ।





০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আমার মনে হয় বিয়ে বা বউটা প্রত্যাশিত হোক বা অপ্রত্যাশিত হোক শ্বশুরবাড়িতে, খড়কুটোর মত হলেও একটা মানুষকেই আকড়ে ধরতে চায়.......
স্বপ্নীল সময়টাও বাস্তব কঠিনটাও তবুও মানুষ কঠিনের কাছে সব সুন্দর ভুলে যায়।
মানুষ সুন্দর সময়ের চাইতেও কঠিন বা দুঃখটাকেই মনে রাখে বেশি।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: গানটা দেখে তো এখন আবার চিলেকোঠা ছেড়ে ঐ রাজপ্রাসাদে যেতে ইচ্ছা হচ্ছে।

১০| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:০৮

অনল চৌধুরী বলেছেন: ক্রিমিনালদের নিয়ে থাকা বেশি ভালো না। আবেগ বিনষ্ট হয় - আমার হয় না। আর বেশী আবেগ থেকেই কি হবে?
যে যতো ভালো, তার ভাগ্য ততো খারাপ কারণ ..................valo cheleder .....................

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ভিডিও দেখে আবেগের মূল্য মূল্যহীন হয়ে গেলো।

১১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:৩৩

অনল চৌধুরী বলেছেন: কেনো?
এটা তো বানিয়েছে এদেশের বিরাট জনপ্রিয় লেখক হুমায়নপুত্র !!!!!

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: কিন্তু হরর হয়ে গেছে আর কি।

১২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:২২

অনল চৌধুরী বলেছেন: এসব বানিয়েছে বাণিজ্যিক কারণে দর্শক আকৃষ্ট করতে।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:২৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হুম। কিন্তু দর্শক তো ভয়ে পালাবে। মানে আমার মত দর্শক হয় যদি।

১৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:১৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গল্পটা চমৎকারভাবে এগোচ্ছে। এ পর্বে সবার চরিত্রই ঠিক ঠিক ভাবে ফুটে উঠেছে এবং সবাইকেই ভালো লেগেছে, তবে, শৈলী চরিত্রটাকে খুব ভালো লেগেছে। চিরায়ত হাসিখুশি, উচ্ছলতায় ভরা ছোটোবোনের মতোই, তার কাজ বা কাণ্ডগুলোও সেরকমই, যেমন গম্ভীরমুখো মাও মধ্যবিত্ত বা নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের আবহমান বাংলার চিরচেনা জননী, যিনি সংসার ও সন্তান সামলে রাখেন, সন্তান একদিন সুখ এনে দেবে এই আকাঙ্ক্ষায় বিমূঢ় থাকেন। বাবাকেও ভালো লেগেছে। আমিও ঠিক এ কাজটাই করতাম :)

ফ্যামিলি কনফ্লিক্ট (বা অন্তর্দ্বন্দ্বও বলা যেতে পারে) এ পর্ব থেকেই শুরু হচ্ছে মনে হলো। মেয়েটা নিজের বাড়িতে গেলে তার বাবা-মার কীরকম রিএকশন হয়, বা পারিবারিক ডামাডোল/কলহ, বা সামাজিক রটনা কেমন ছড়ালো - তা দেখার পালা (জানি না এরকম কিছু প্ল্যান আছে কিনা আপনার মাথায়)।

ছোটো একটা অবজারভেশন, বাসার কাজের মানুষকে বুয়া, ময়নার মা, এরকম সম্বোধন না করে একটা ভালো সম্বোধন দেখানো যায়। যাতে মনে হবে সে এ বাসায় ওয়ার্কিং স্টাফ হিসাবেই আছে। ভেবে দেখতে পারেন। ময়নার মায়ের ডায়লগটা আরো ছোটো করলে ভালো হতো। তার একটা দুটো কথাই যথেষ্ট, সব বলার কী দরকার!

অনেক অনেক ভালো লাগা গল্প।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৯

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: এই চুলচেরা বিশ্লেষন দেখলেই বুঝা যায় কি পরিমান মনোযোগী পাঠক আপনি।
শেৈলী, মা বাবা এমনই হয় বেশি ভাগ সময়। কিন্তু মেয়েটার বাবা মায়ের বাড়ি এখনই আনতে চাইনি।কারণ সেই বাড়িতে এত সেন্টিমেন্ট নেই। সকলেই সেখানে ব্যক্তি স্বাধীনতায় বিশ্বাসী।

তবুও সে কথাও পরে আসবে। এখনই না ধুলোভাই।

ময়নার মায়ের নাম জানাই হয়নি। এরপর থেকে তার নাম দিয়ে দেবো গয়না। বানিয়ে দিতেও সমস্যা নেই। গল্পের পুরোটাই দিব্য সত্য হতে হবে এমন কথাও নেই।

আর তাদের ডায়ালগ পুরোটা দেবোনা এরপর থেকে। কিন্তু বাঁচাল মানুষের তাও আবার ওমন করে বিজ্ঞ স্টাইলে কথা বলা মানুষেরা বড়ই মজার।

অনেক ধন্যবাদ ধুলাভাই।

১৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ইশরে

সবার শেষে এলে যা হয়!
কাটাকুটাই সম্বল;)

সবাইতো সব বলেই ফেলেছে। প্রিয় সিনিয়র খায়রুল ভায়ার আর সোনা ভাই'র সাথে পূর্ন সহমত।
বর্ণনার খুটিনাটি গল্পে বাড়তি ঞয়ে যায়নি, বরং অলংকার হয়েই গতিময় করেছে।

দারুন ভাললাগাতো কেবল বাড়ছেই প্রতি পর্ব শেষান্তে :)

++++

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:১৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আমি ধন্য হলাম। কৃতজ্ঞতা।

১৫| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৪০

আমি সাজিদ বলেছেন: এরপর?

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:১৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: এরপরও অনেক বাকী।

১৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভালোই আগাচ্ছে
ধন্যবাদ

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: অনেক অনেক ভালোবাসা আপু।

১৭| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রথম দিন শ্বশুরমশাইয়ের দিকটি ভালো গেলেও শাশুড়ি মায়ের দিকথেকে এলো সামরিক অস্বস্তি। মিষ্টি ননদ শেলীকে ভালো পাশে পাওয়া গেল। যাই এখন সপ্তম পর্বে।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হ্যাঁ শ্বাশুড়ি মা তো শ্বাসত চিরকালীন শ্বাশুড়ি। ননদরা ভালোই হয় তবে ননাসেরা মাঝে মাঝে পন্ডিতি করে। ভাগ্যিস ননাস নেই।

১৮| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:২৮

ইসিয়াক বলেছেন: এই পর্বটা খুবই ঝরঝরে।একটানে পড়ে ফেললাম।
চমৎকার উপস্থাপন।

১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৪৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আপনার ধৈর্য্য ভালোই আছে। অসংখ্য ধন্যবাদ।

১৯| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৬

ফয়সাল রকি বলেছেন: সিরিজ শেষ করে ফেললেন আর আমি চার থেকে পাঁচ-এ আসতে দেরি করে ফেললাম!

২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আপনি তো কচ্ছপ। জানিই আমি।

২০| ২৪ শে মে, ২০২১ রাত ৮:৪৭

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: কি এই গল্পটি আমার চোখের অগোচরে ছিল জানি না। ব্লগে আড্ডা আর গল্প পড়াই আমার একমাত্র কাজ মনে করতাম।
আপনি অনেক সুন্দর লিখেন। পুরো সেটিংটা গল্পটিকে প্রাণ দিচ্ছে।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:১১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ।

কঙ্কাবতী রাজকন্যাও আমার বোন।

সেও আমার মতই লিখে তার লেখাও পইড়েন ভাই। :D

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.