নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লোকে বলে প্রথম প্রেমটা বড্ড কোমল\nএলোমেলোযায়না \nভোলা কোনোদিনও\nসত্যি কি তাই

কবিতা পড়ার প্রহর

কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে রাতের নির্জনে

কবিতা পড়ার প্রহর › বিস্তারিত পোস্টঃ

চিলেকোঠার প্রেম- ৭

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২২

ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই শুভ্রের বাবা আমার শ্বশুরমশায় যেন পূর্ন্যদমে বঁধুবরণে উঠে পড়ে লাগলেন। সকাল হতে না হতেই তার হাঁকডাকে ঘুম ভেঙ্গে গেলো আমিসহ বাড়ির সকলেরই হয়ত। শুভ্র অবশ্য কুম্ভকর্ণের মত কাঁথামুড়ি দিয়ে ঘুমাচ্ছিলো। সারা রাত জেগে ভোরের দিকে ঘুমাতে গিয়েছিলাম আমরা। রাত্রী জাগরণ আর অস্বাভাবিক কান্নার কারণে চোখ জ্বলছিলো আমার। তবুও আরও বেলা করে ওঠাটা শোভন হবেনা ভেবে আমি মুখ ধুঁয়ে বেরিয়ে এলাম ঘর থেকে।

আমাকে দেখে আরও শোরগোল করে উঠলেন উনি। বললেন, দেখোতো বৌমা, বলা নেই কওয়া নেই এমন করে কেউ বউ এনে তোলে? আমাদের একটা সন্মান আছে না? তোমাকে কি খাওয়াবো? কোথায় বসাবো? কোনো কিছুর ঠিক নেই। কাল রাতেই কেষ্ট ময়রার দোকানে গরম গরম রসগোল্লা অর্ডার করে দিয়েছি। আর বিকালে সে দিয়ে যাবে কচুরী। হিং এর কচুরী। কই একখানা পেয়ালা দাও দেখি। খাও মা খাও গরম গরম রসগোল্লা। অমৃত বুঝলে অমৃত। ছোটকাল থেকেই খাচ্ছি। এখনও আঁশ মেটে না। এই রসগোল্লা যে না খেয়েছে তার জীবনই বৃথা। একখানা শালপাতা জড়ানো গরম রসগোল্লা উনি শালপাতা শুদ্ধু তুলে দিলেন আমার হাতে। আর একটু হলেই রস গড়িয়েপড়ছিলো। আমি হাতে নিয়ে বোকার মত দাঁড়িয়ে রইলাম। এইভাবে খাবো কি করে! ভাবছিলাম বোকা হয়ে তার আগেই উনি তাড়া লাগালেন। খাও খাও । শালপাতা। খারাপ কিছু না। আরে খাও তো। আমি তোমার তেমন শ্বশুর না। আমাকে বন্ধুও ভাবতে পারো।

কিছু দূরেই মুখ ভার করে দাঁড়িয়ে ছিলেন আমার শ্বাশুড়ি মা। তাকে উদ্দেশ্য করে উনি বলে উঠলেন, দাঁড়িয়ে থেকো না। তোড় জোড় শুরু করো। রান্নার লোক আসবে, মাছ আসবে, খাসী জবাই হবে। আত্মীয় স্বজন কম করে হলেও নেমন্তন্ন করে ফেলেছজন পঞ্চাশেক। শ্বাশুড়ি মা রাগ চেপে রাখতে পারলেন না। বিষম ক্রোধে চিবিয়ে বললেন, রোজগার নেই, পাতি নেই, বাবা মাকে বলা পর্যন্ত নেই অথচ সেই বিয়ে নিয়ে আত্মীয় স্বজন নিমন্ত্রন করে বসলে? লোকে জিগাসা করলে বলবে কি? লাজ লজ্জা মান সন্মানের কি মাথা খেয়েছো!

শ্বশুরমশাই বললেন, লোকের ধার ধারি আমি? কারো খাই না পরি? আহা রোজগার পাতি নেই তো কি হয়েছে? হবে? আর হুট করে করে যখন ফেলেছে সেটা তো অস্মীকার করার যেমন উপায় নেই তেমনই সেটা নিয়ে মন ভার করে থেকে জীবনের সুন্দর মূহুর্তটুকুও নষ্ট করে লাভ নেই। আনন্দ করো শুভ্রের মা, আনন্দ করো। আর তাছাড়া তুমি এমন করে থাকলে ওদের সুন্দর সময়গুলোও যে নষ্ট হয়। বুঝোনা কেনো? শুভ্রের মা আমার শ্বাশুড়ি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে ভেতরে চলে গেলেন। আমার শ্বশুর আবার বিরাট উৎসাহে মাছওয়ালার সাথে দামাদামি শুরু করলেন।

আমি ফিরে যেতে চাইলাম ঘরে। অমনি উনি আমাকে ডেকে পাশে বসালেন। বললেন, জানি তোমার মন খারাপ হয়েছে। কেনো হয়েছে সেটাও জানি। কিন্তু তোমাকে একটা উপদেশ দেবো। এই জীবনে কখনও কারো কথা শুনে মন খারাপ করবে না, বসে থাকবে না। নিজের কাজে এগিয়ে যাবে, নিজের আনন্দ নিজে লাভ করবে। জীবনের মূল ব্যপারই এটা। নিজের কাজে এগিয়ে যাওয়া। সব সময় যে লক্ষ্য অর্জন করতে চাও তাতে অটুট থাকবে। আমি খুব পছন্দ করেছি তোমাকে। আমার ধারণা তুমি খুবই স্বাবলম্বী মেয়ে। যদি কোনো ঝামেলায় পড়ো তো ঐ কুম্ভকর্নকে নিয়েই পড়বে। ছোট থেকেই শুভ্র খুব বি্র্লিয়ান্ট বটে কিন্তু ও নিজের মেরিট নষ্ট করে ফেলে। ও জীবন নিয়ে উদাস। তোমাকে এটা বুঝতে হবে। ওকে কাজে লাগাতে হবে । আমার ধারনা তুমি সেটা পারবে।

আমি অবাক চোখে দেখছিলাম উঠানের কোনায় শিউলী গাছটার তলাটা শুভ্র সুন্দর ফুলে ভরে আছে। শিউলী ফুলের কোমল শুভ্র পেলবতা মনে গেঁথে রইলো আমার এই আসন্ন শরতের প্রভাতে। একটা হলুদ বরণ অপূর্ব সুন্দর পাখি ওদের নিম গাছটার ডালে বসে ডাকছিলো। বউ কথা কও, বউ কথা কও। আমার শ্বশুর সেদিকে চেয়ে বললেন, দেখেছো পাখিটা তোমার সাথে কথা বলতে চায়। বলে উনি হো হো করে হাসতে লাগলেন। আমার লজ্জাই লাগছিলো। আমি নির্বাক ছিলাম। আমি উনাকে যতই দেখছিলাম ততই অবাক হচ্ছিলাম। পৃথিবীতে ভালো মানুষ বলে যদি কিছু সত্যি থাকে তো উনি তার এক নম্বর উদাহরণ হবে।

হঠাৎ শৈলীর ঘর থেকে ভেসে এলো সুমিষ্ট স্বরের রেওয়াজ বন্দিজ -
উঠো তুম জাগো রায়নু সাবেরা
বোলাতা পানসি সুন আযান পুকারা ......

সেই দিকে তাকিয়ে আমার শ্বশুর বললেন, শেৈলী। শৈলীটা যখন রেওয়াজ করে আমার দুনিয়া তখন চারিদিকে আলো হয়ে যায়। উনি হঠাৎ চুপ হয়ে গেলেন। আমিও চুপচাপ এসে শৈলীর ঘরের সামনে দাঁড়ালাম। জানালা দিয়ে এক টুকরো সূর্য্যের নরম আলো ভেতরে এসে পড়েছে শৈলীর ফুলফুল বিছানায়। শৈলী গাইছে

আল্লাহু আকবার তাকবীর সুনো তাম
আসালা আতু খায়রুম মিনানাম .......

যদিও তখন সূর্য্য উঠে গেছে। মুসুল্লীদের এবাদতের সময়ও পেরিয়েছে। তবুও শৈলীর গানটা সে সকালটাকে অপার্থীব করে তুললো। আমার নিজের ছেলেবেলার কথা মনে পড়লো। মা ডেকে দিতেন। ভোরবেলা গলা সাধতেই হবে। আমার ঘুম কিছুতেই ভাঙ্গতেই চাইতো না। মা বলতেন ভোরবেলা গলা না সাধলে তার গান হয় না। মা কি ভীষন নিয়ম মানা একজন মানুষ ছিলেন। কোনো নিয়মের বাইরে কখনও এক বিন্দু পা বাড়াতেন না। বাবা একেবারেই উল্টো যেন। আর আমি মায়ের মত তো হইনিই বাবার মতনও হয়েছে কিনা জানিনা। হঠাৎ মায়ের জন্য মন কেমনে করে উঠলো আমার। কেমন আছে আমার দুখিনী মা? একরাশ সুখ সাচ্ছন্দ্যের মধ্যে থেকেও কাউকে কাউকে বড় দুখী লাগে। আমার মাও যে তেমনই একজন। সারাজীবন ভালো মেয়ে, ভালো বউ, ভালো মায়ের দায়িত্ব পালন করে গেলেন নিজের সকল কিছু বিসর্জন দিয়ে।

মনে পড়ে মাই শিখিয়েছিলেন আমাকে ভোরের রাগ ভৈরবী, বিলাবল বিভাস, টোড়ি কাফি ইমনকল্যান দিনের বিভিন্ন ভাগের বিভিন্ন রাগ। নানা রকম রাগ সঙ্গীত গাইতেন মা তানপুরা নিয়ে। তার গলার কারুকাজে মিশে থাকতো সব সময় এক অপার্থীব বেদনা। বাবার জন্যও মন কেমন করে আমার আজকের এই বিমূর্ত সকালে। এস এস সিতে ভালো রেজাল্ট করবার পর বাবা ভীষন খুশি হয়ে কিনে দিয়েছিলেন গ্রান্ড পিয়ানো। সে সময় ধানমন্ডির মেলোডী মিউজিক শপের লোকটা বলছিলো মা এমন কপাল কয়জনের হয় বলো? এই গ্রান্ড পিয়ানো ঢাকা শহরের কজনার ভাগ্যে জোটে? আল্লাহ মালিক তোমাকে এমন একজন পিতা দিয়েছেন। অনেক বড় হও। গুণী হও।

বাবার জন্য মন কেমন করে আমার। বড় অভিমানী আর আতম্ভরী বলেই আমি চলে আসার পরে একটা খোঁজও নেননি। নাহ এবার ঢাকা ফিরেই বাবার কাছে যাবো। আমি অবাক হয়ে খেয়াল করি শুভ্রের সাথে বিয়ের প্রায় পাঁচ মাস পেরুতে চললো এমন করে কখনও বাবা মা বাড়ির জন্য প্রাণ কাঁদেনি আমার। আমি মেতে ছিলাম নতুন এডভেঞ্চারে, নতুন জীবন নিয়ে, নতুন নতুন অভিজ্ঞতা আর শুভ্রকে নিয়ে।
হঠাৎ শুভ্রদের বাড়ির মমতাময় টিপিকাল বাঙ্গালী পরিবারের ভালোবাসা, রাগ দুঃখ, আবেগ অভিমান আমাকে ফিরিয়ে নিয়ে গেলো আমার নিজের বাড়িতেই। আমি আমার বাবা মা বাড়িটাকে হঠাৎ মিস করছি।

হঠাৎ তাকিয়ে দেখি এই সাত পাঁচ ভাবনার মাঝে কখন শুভ্র উঠে এসে অপলক তাকিয়ে আছে আমার মুখে। বললো, এখনও মন ভালো হয়নি? তোমাকে খুব শক্ত মেয়ে ভেবেছি আমি। এমন করে কেউ ভেঙ্গে পড়ে! এমন করে কষ্ট পায়! আমি আছি না? আমি ওর বুকে মুখ লুকাই। শুভ্রের হৃদপিন্ডের শব্দ। আমি বললাম মা বাবার জন্য মন খারাপ লাগছে। শুভ্র আমাকে জড়িয়ে রইলো। বললো এবার ঢাকা ফিরে আমরা যাবো। উনাদের সাথে দেখা করতে।

আমি বললাম জানো? আজ শৈলীর গান শুনে আমার মনে পড়ে গেলো মায়ের তানপুরা নিয়ে ভোরবেলা রেওয়াজ করার দৃশ্য। মনে পড়ে গেলো বাবা আমাকে একদিন ভীষন আনন্দিত হয়ে উপহার দিয়েছিলেন একটি গ্রান্ড পিয়ানো। আমার সেই বাঁজনা বাসায় যেই আসতো বাবা ধরে ধরে শুনাতেন সবাইকে।

শুভ্র বললো, মন খারাপ করো না। আমিও তোমাকে একটা পিয়ানো কিনে দেবো।
আমি বললাম কবে?
শুভ্র বললো, একদিন
আমি বললাম, কোনদিন?
শুভ্র বললো, একদিন, স্বপ্নের দিন ......
আমরা দু'জনে হেসে উঠলাম......

আগের পর্বগুলি

মন্তব্য ৭৮ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৭৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫১

করুণাধারা বলেছেন: তুমি কোন কাননের ফুল...

ধারাবাহিকে আগের পর্বের লিঙ্ক না দিলে পাঠকের অসুবিধা হয়। এমনিতে এই পর্ব সুখপাঠ্য হয়েছে।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আচ্ছা দিচ্ছি।
এই পর্ব একটু তাড়াহুড়া করে লিখে ফেলায় এবং পোস্ট দেওয়ায় কোথাও কোথাও এমনিতেও কিছু ভুল ভাল দেখছি। সব ঠিক করে দেবো পরে।
অনেক ধন্যবাদ আপা।

আমার মনে হয় এই লেখার আসল পাঠকেরা বেশি ভাগ আপারাই।

যেমন সামু পাগলা আপা, মিরোরআপা,ওমেরা, ঢুকিচেপা, ছবি আপা। বেশি ভাগ আপারাই।

২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫১

লরুজন বলেছেন: একটা মাল্টি নিক অত ফাগল অইয়া চালান লাগব???
এইডাও একটা কতা???
ভাইয়ামনি কইয়া দিমুনি,,,???,,,!!!

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ব্লক করে দেবো লরুজনভাই। ইতা কিতা শুরু কইরা লাভ নাই। জীবনে তো সেইফ হইবেন নো তাই হিংসা করুইন?

৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৪

লরুজন বলেছেন: ইতা ত আনফের লেহা না,,,!!!,,,
তে আনফে মাল্টি দিয়া ইতা কিতা করতাছুইন,,,!!!,,,???

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৯

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আফনে মালটি দিয়া অন্যের পিছে লাগা ছাড়ুইন ভাইজান। মিরর আপার পোস্টে কমেন্ট দিলেই সেইখানে ছুইটা যাওনও বন্ধ করুইন। ইতা অব্যাস ভালা না।

৪| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: অনেকদিন শিউলী ফুল দেখি না।

একটা মেয়ে বাবা মা ছেড়ে নতুন একটা পরিবেশে আসে। নতুন পরিবেশে খাপ খেতে সময় লাগে। অবশ্য তখন স্বামী সহযোগিতা করলে যন্ত্রনা কম হয়।
মেয়েরা খুব দ্রুত মানিয়ে নিতে পারে। এটা তাদের অনেক বড় গুন।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হ্যাঁ মেয়েরা এইভাবেই চলেছে যুগ যুগ। বাংলাদেশের মেয়েরা মানিয়ে নিতে ওস্তাদ।

শিউলী ফুলের সময় আসছে রাজীব ভাই। রমনা পার্কে গেলেও দেখতে পারবেন।

৫| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: ছবিটা সুন্দর হয়েছে।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীবভাই।

৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০০

লরুজন বলেছেন: আনফে অরিজিনাল আইডি?
আনফে মাল্টি চালাইতাছেন না?
শিওর???

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: অরিজিনাল আইডি কাকে বলে?
আপনি মালটি চালাইতেছেন না?

শিওর কিনা আগে ইডা বলেন।

তারপর আমারটা ....

৭| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শ্বশুর মশাই অনেক উদার প্রকৃতির আর মনে হয় ভোজন রসিক। পরের পর্বে নায়িকাকে একটা গ্র্যান্ড পিয়ানো কিনে দিয়েন যদি এখনও তা বাজারে থাকে। এত টাকা তো শুভ্র দিতে পারবে না দিতে হবে শ্বশুরকেই। তাহলে শৈলীর তানপুরাতে রেয়াজ আর গ্র্যান্ড পিয়ানোর ঝংকারে, প্রাচ্য আর পাশ্চাত্যের সংমিশ্রণে আশে পাশের বাড়ির মানুষের ঘুম আকাশে উঠতে পারে। শুভ্রের কোনও টেনশন নাই সে ভালই আছে। এরকম উদার বাপ থাকলে আমি আরও আগে বিয়ে করতাম।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা চুয়াত্তরভাই। গ্রান্ড পিয়ানো কিনে দেবার কথা দেওয়াটা শুভ্রের এমনই এক আয়ত্বের বাইরে দেওয়া প্রমিজ ছিলো যা ভেবে এখনও হাসি পায় আমার। তখনও জানতাম। এখনও জানি মানুষ কখনও কখনও অতি লজিক্যাল হয়েও স্বপ্নের ঘোরে ফিরে মরে।

টেনশন নাই বলেই হয়ত এত সহজে বিয়ে করে ফেলা যায়। প্রেমে পড়ে যাওয়া যায় না পিয়ানোর মতন এমন দুসাধ্য উপহারের প্রমিজও করা যায়।

মাঝে মাঝে মনে হয় কিছু মানুষ কি এক্সপেরিমেন্টাল হয় এমনই?

৮| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২৫

লরুজন বলেছেন: বেবাক ব্লগারগরে আনফে ধুকা দিছুইন
আনফে একটা মাল্টি
আনফে কামডা ঠিক করছুইন???

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ধুকা দিছুইন কেনুইন?
ইতা আবার কিতা!
আমি কোনো কামই ঠিক ভুল ভাইবা করি না।

আপনি ধুকা খাইয়েন না ভাইছু..আর হিংসা কইরেন না। সেইফ হইবেন না কইলাম এই জীবনেও।

৯| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২৯

আমি সাজিদ বলেছেন: শুভ্রের বাবাকে বেশ নাটকীয় চরিত্রে চিত্রায়িত করেছেন।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা সে এমনই। সাজিদ কেউ না জানে আপনি তো জানেন যে সে এমনই একজন কেউ আছে এই দুনিয়ায়।

১০| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫২

মিরোরডডল বলেছেন:



শশুরমশাই দারুণ মজার ! ঘরে ঘরে মেয়েদের শ্বশুর যেন এমনই হয় ।
নিজের আনন্দ নিজে লাভ করবে , গুড অ্যাডভাইস ।

আপু শিউলি ফুল দেখলে মাথা নষ্ট হয়ে যায় এতো ভালো লাগে ।

নেক্সট পর্বে বাবা মাকে নিয়ে আসবে আশা করা যায় ।

শেষের দিক থেকে থার্ড লাস্ট প্যারা যেটা ওটাই বেস্ট । এট দ্যা এন্ড যখন ওরা দুজন দুজনের স্পর্শের মাঝে থাকে ওটাই সবচেয়ে ভালো লাগে । তখন আশেপাশে কি হচ্ছে, কেনো হচ্ছে , কোনকিছুই আর ম্যাটার করেনা । খুব সুন্দর হয়েছে আপুটা ।

কিপ ইট আপ ।


১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ডলুআপা
শ্বশুরমশায়রা সাধারণত ভালোই হয়ে থাকে। এই শ্বশুরমশায়ও তেমনই একজন।

শিউলী ফুলের কোমল পেলব শুভ্রতা দেখ খুব ছোট থেকেই মুগ্ধ আমি। যতবার দেখি ততবারই মুগ্ধ হই।

নেক্সট পর্বে বাবা মাকে আনবো অবশ্যই। ধুলোভাইয়ার পরামর্শ মোতাবেক এমনটা আমিও ভেবেছি এ কথাটাও আনতে হবে।



এত ব্যস্ততাে মাঝেও মনের আনণ্দে লিখছিলাম। লরু শয়তানের জ্বালায় লেখার ম্যুডই অফ হয়ে গেলো। বেটা লরুর লরু গরু।

আমার মগ্নতায় ব্যঘাৎ ঘটিয়েছে।

১১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: এই অংশ সেইরম অইছে+++।

বাবার সর্বজনীন রুপ এটাই ।মায়েরা বরাবরই ছেলের বউদের ব্যাপারে প্রথম প্রথম দুশ্চিন্তায় থাকে।পরে আশা করি ঠিক হয়ে যাবে।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কামরুজ্জামান ভাই।
হ্যাঁ বলতে গেলে সব বাবারাই এমন। বাবা হিসাবে কড়া থাকলেও শ্বশুর হিসাবে শ্বাশুড়িদের থেকে অনেক অনেক ভালো হয়ে থাকে।

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

১২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৫

মিরোরডডল বলেছেন:



অফ মুডটা অন করো । লরু একা একজন । আর আমরা এতোগুলো মানুষ তোমার সাথে ।
Why should you bother about him? Just think about those who care about you.
Keep continue your wonderful writing for us.
ভালো থেকো আপুটা ।


১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: এখন তোমাকে পেলে বুকে জড়িয়ে ধরতাম ডলু আপু। এই লেখা আমি শুরু করেছিলাম কোনো এক আবেগীয় মুহুর্তে। লেখা শেষে লেখার উৎপত্তি কোথায় এবং কেনো জানাতাম। কিন্তু এই শয়তানের জ্বালার লিখতেই ইচ্ছা হচ্ছে না আর। এই কারণে প্রথম পাতায়ও আসতে চাইনি আমি। নিজের মনেই লিখতে চেয়েছিলাম। মডুভাই দয়াবান সকলের কথা শুনে প্রথম পাতায় এনেছেন।

আমি জানিনা লরুর প্রবলেম কি। হি স্টার্টেড কেওয়জ ফ্রম দ্যা বিগিনিং। বাট আই ওয়াজ অলওয়েজ ফ্রেন্ডলী উইথ হিম। মালটি মালটি করে সেই কবে থেকে লেগে আছে। উনি মালটি ট্রেকার মিঃ আন্ডারট্রেকার হিরো আসছেন। হা হা অনলভাইয়া, সাজিদ, খায়রুলভাইয়া, ভৃগুভাইয়া সকলেই জানে, মনে হয় করুণাধারা আপুও জানে ।

যাইহোক এই সিরিজ আমি শেষ করবো। আর কারো জন্য না হোক তুমি, সলু আপা, ওমেরা আপা ঢুকিচেপা আপা, সামু পাগলা আপার জন্য। এরা এ লেখা না পড়লে আমার ভালো লাগে না। ধুলোভাই, কামরুজ্জামান, মা হাসাানভাইদের কারণেও লিখে শেষ করবো নিশ্চয়।

১৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২৯

মা.হাসান বলেছেন: আগের পর্বের গুমোট ভাবটা কিছুটা দূর হলো, অনেক ধন্যবাদ।

কয়েকটা বিষয়ে একটু অস্বস্তি হচ্ছে--
নায়িকার বাবার যে ছবি আকা হয়েছে তাতে তিনি মেয়েকে পিয়ানো কিনে দেবেন এমনটা ভাবা শক্ত।
বাংলাদেশে শাল পাতায় খাবার পরিবেশন দেখি নি। হাজির বিরানিতে কাঠাল পাতা ব্যবহার হয়। গ্রাম দেশে কলাপাতা । এটা ছাড়া আর কোথাও পাতার ব্যবহার দেখি নি।
কচুরি নামে যে খাদ্য ভারতে বিক্রি হয় তা বাংলাদেশে পুরি। বাংলাদেশে কোথাও কচুরি বলতে শুনি নি। বাংলাদেশে পুরি কেন, কোনো খাবারেই হিঙ ব্যবহার হতে দেখি না (আমর ভালো লাগে, নিরামিশে ব্যবহার করি)।

মাছ ওয়ালার সাথে বাসায় দরদাম করাটাও একটু অস্বাভাবিক লেগেছে। অঞ্চল ভেদে এটা স্বাভাবিকও হতে পারে।

ভৈরব, কাফি, ইমন- এসব রাগ হলেও আমার জানামতে বিলাবল একটা রাগিনি। তবে আমার ভুল হতে পারে, সঙ্গিত সম্পর্কে ধারনা আমার খুব কম।
ঘটনাপ্রবাহ এবং কাহিনী বিন্যাস মনোহর, প্রানহর হচ্ছে।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: মা হাসানভাই আপনি যেমনই মনোযোগী পাঠক তেমনই জ্ঞানী। প্রতিটা বিষয় এমন খুঁটিনাটি দেখতে পাবার যে চোখ আছে আপনার
তাতে আপনি শিল্পী হলে বড় ভালো হত মনে হয়। জানিনা আপনি শিল্পী কিনা।


নায়িকার বাবা- যত না মেয়েকে ভালোবেসে গ্রান্ড পিয়ানো দেওয়া তার থেকেও বেশি কারণ একটু শো অফ টেন্ডেনসী। মেয়ে পিয়ানো বাঁজিয়ে গান গাইবে তার সাথে পিয়ানোটাও বাড়ির মূল্যবান শোভাবর্ধক হবে এমন কিছু মেন্টালিটি আর কি।

বাংলাদেশের মাগুরা জেলায় জেইলখানার সামনে হরিপদ ময়রার ট্রেডিশনাল দোকানে এবং আরও কয়েকটিতে হয়ত আজও শালপাতায় মিষ্টি দেওয়া হয়। হিং এর কচুরীও সেই দোকানেরই। কচুরী আমিও বাংলাদেশের আর কোথাও দেখিনি।

আর একই স্থানে বাড়িতে বড় বড় হাড়ি করে মাছ নিয়ে আসে মাছওয়ালারা। জলে ভাসিয়ে হাড়ি করে মাখনও আনতে দেখেছি আমি।


বিলাবল রাগ না রাগিনী তার জবাব পরে দিচ্ছি। আগে একটু সঙ্গীত কোষ চেক করে আসতে হবে। তবে বিলাবল সবচাইতে সহজ শাস্ত্রীয় সঙ্গীত যা বাচ্চাদেরকে প্রথমেই শিখানো হয়। সারে গামা পা ধা নি সা সাত স্বরের সহজ ব্যবহারের কারণে।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: মা হাসানভাই
রাগ বিলাবল, বিলাবল ঠাটের অর্ন্তগত একটি রাগ।এই রাগের বৈশিষ্ট্য এবং রুপ ঠাটের সঙ্গে বেশী মিল সম্পন্ন বলে রাগটি বিলাবলের ঠাট রাগ হিসেবে পরিচিত্। এ রাগে সব শুদ্ধ স্বর ব্যবহৃত হয়।

ছোটবেলায় একটা ছড়া শিখেছিলাম। ১০ ঠাঁটের পরিচয় মনে রাখতে।
সেই ছড়াটা এখানে দিচ্ছি-
সাতটি স্বরই শুদ্ধ যদি তোমরা সবে মান
জনক ঠাঁট বিলাবল তোমরা সবে জানো
সপ্ত স্বরের মধ্যে যদি কড়ি মধ্যম দেখো
কল্যান ঠাঁটের জনক ইমন রাগটি শেখো
খাম্বাজ রাগ মান সবে কোমল নিষাদ হলে
শাস্ত্র মতে এই কথাটি গুণীজনেরা বলে
সপ্ত স্বরে ৃষভ ধৈবত কোমল যদি হয়
ভৈরব ঠাঁটের এ পরিচয় সর্বজনে কয়।
শুদ্ধ স্বরে আর যদি হয় গান্ধার নিষাদ কোমল
জেনে রেখো কাঁফি ঠাটের পরিচয়টি আসল
রে গা ধা নি কোমল যদি স্বরের মধ্যে দেখো
ভৈরবী ঠাঁটের এ পরিচয় মনের মধ্যে রেখ
সপ্তকে হয় কোমল গান্ধার ধৈবত নিষাদ
জনক রাগ আসাবরী মানে যে সব ওস্তাদ
মারবা ঠাঁটের পরিচয়টি বলি শুন সবে
শুদ্ধ স্বরে ৃষভ কোমল কড়ি মধ্যম হবে
স্বরের মধ্যে রে ধা কোমলকড়ি মধ্যম হয়
পূরবী ঠাঁটের এ পরিচয় শাস্ত্র মতে কয়
রে গা ধা কোমল কড়ি মা তে তোড়ী ঠাঁট যে হয়
শঙ্করঙ্গ দশটি ঠাঁটের দিলেন পরিচয়।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: এখানে আবার রাগ বিলাবল গাইছেন বাবা ও কন্যা

https://www.youtube.com/watch?v=hOuDfGscWVw

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হাসানভাই আপনি ঠিকই বলেছেন সেটা শালপাতা ছিলো না। ছিলো পদ্মপাতা। আর দোকানীর নাম ছিলো কালীপদ। সেই দোকান নাকি বেশ ক বছর আগেই হাওয়া হয়ে গেছে। সেখানে উঠেছে নতুন বাড়িঘর।
সেদিনই খবর লাগিয়েছিলাম কি পাতা ছিলো সেই মিষ্টি বেঁধে দিতে। আজ সকালে খবর পেলাম সেটা শাল নয় পদ্ম পাতায় বেঁধে দেওয়া হত সেসব মিষ্টি।
ধন্যবাদ আপনার কারণে বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে যাওয়া সঠিক স্মৃতিটাকেই খুঁজে পাওয়া হলো।

১৪| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৮

ঢুকিচেপা বলেছেন: এই পর্বটা সত্যিই অসাধারণ হয়েছে।

সব পর্বের মধ্যে ৬ নম্বর পর্বটা তুলনামূলক একটু দুর্বল ছিল, ৭ম পর্বে আবার আগের ধারাবাহিকতা চলে এসেছে।
শ্বশুরমশাইকে যেভাবে উপস্থাপন করেছেন এক কথায় দারুণ, এমনটা দেখা যেত হুমায়ুন আহমেদের লেখাতে।
শাল পাতায় সরগোল্লা খাওয়ার ব্যাপারটাতে পাঠক অবশ্যই একটা সময়ে ফিরতে বাধ্য, কারণ শুধু শালপাতা কথাটিই একটা পরিবেশ তৈরী করেছে।
অন্যান্য বর্ণনার সাথে যে বিষয়টি আলাদা মাত্রা এনেছে তা হলো সংগীত বিষয়ে কিছু কথা।
সব মিলিয়ে দুর্দান্ত হয়েছে গল্পটি।

পরিশেষে যা বলবো, মনোযোগ বিক্ষিপ্ত না করে সাবলিলভাবে লেখাটা এগিয়ে নিয়ে যাবেন এবং যেখানে সমাপ্ত হওয়ার কথা সেখানেই সমাপ্ত করবেন।

{রাগ হলো মেল এবং রাগিনী ফিমেল, কেউ কি রাগিনীকে ৭ নম্বর চিঠি দেয়ার কথা ভাবছে ?}

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: সবার আগে রাগ রাগিনী নিয়ে বলি।
ঢুকিচেপা আপা আপনি একদম ঠিক। রাগ পুরুষ বা মেল। আর তাকে আশ্রয় করে যারা উঠে তারা আশ্রয় রাগ বা রাগিনী।
আমি আবার ছোটবেলার বই খুলে বসেছি। রাগ রাগিনী ঠাট বাট আরও কত কিছু। হা হা

আপা এই পর্বের চাইতেও ভালো কিছু নিয়ে আসবো আপনার দেওয়া উপহারের বাড়িতে উঠে। হা হা হাজার হোক নতুন বাড়ি। বাড়ি সাজানোর টাকা পয়সাও দিয়ে দিয়েছেন এখন চিলেকোঠা ছেড়ে নতুন বাড়িটাকেই সাজাই। বাড়ি সাজানো আমার দারুন পছন্দের শখ।

হ্যাঁ ৬ নম্বর পর্বটা খুবই তাড়াহুঅ করে দিয়ে দেওয়া কারণ সেদিন প্রথম পাতায় আনা হলো আমাকে তাই। যদিও নিভৃতেই থাকতে চেয়েছিলাম। আর লিখতে চেয়েছিলাম গুটিকয় পাঠক যারা আমাকে খুঁজে পেয়েছেন তাদের জন্যই। নিজের মনে লেখার আনন্দ আছে। এই যে ব্যঘাৎ ঘটালো একজন। এখন লিখতে গেলে আমার আমিতে কেমনে থাকবো জানিনা।
শালপাতা মাগুরা জেলার মিষ্টির

পরিশেষে যা বলবো, মনোযোগ বিক্ষিপ্ত না করে সাবলিলভাবে লেখাটা এগিয়ে নিয়ে যাবেন এবং যেখানে সমাপ্ত হওয়ার কথা সেখানেই সমাপ্ত করবেন।


অসংখ্য ধন্যবাদ। লিখবো এবং শেষ করবো তারপর পরের কথা দেখা যাবে কিংবা ভাবাও যাবে। হা হা । ভালোবাসা রইলো।

১৫| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৭

নেওয়াজ আলি বলেছেন: অনুপম রচিত ।আমার ভীষণ ভালো লেগেছে ।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: অনেকগুলা ধন্যবাদ নেওয়াজ ভাই। আপনি ভালো পাঠক। অনেক পোস্ট পড়েন দেখেছি।

১৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩১

ওমেরা বলেছেন: আপু গল্প যদি সবটা লিখা হয়ে থাকে একবারে দিয়ে দেন পড়ে বসে থাকি। ধারাবাহিক লিখা আমার জন্য কঠিন হয়ে যায় ধৈর্য কম তো । অপেক্ষায় থাকতে ভালো লাগে না ।
অবশ্য আমিও একটা ধারাবাহিক লিখার চেষ্টা করছি ঐ যে ধৈর্যের কারনে পারছি না।

আচ্ছা আপু সত্যি করে বলেন তো শশুর গুলো কি শাশুরীদের চেয়ে ভালো হয় ।
আসলেই তো আমাদের সমাজে এত যে বউ - শাশুরীর ঝগরা হয় কখনো তো শুনিনি বউ- শশুরের ঝগরার কথা ।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা সবটা লেখা হয়নি ঠিক। ছোট খাটো করে লেখা আছে কিন্তু সেসব ঠিক পড়বার মত না। সেই লেখা পড়লে চট করে শেষ হয়ে যাবে। জীবনের গল্পের খুঁটিনাটি দেখার চোখ অন্যের চোখে দেখানো আনন্দের ব্যপার। আমি যা দেখেছি তা আমার চোখ থেকে একটু হলেও যদি লেখাের মধ্যে দিয়ে অন্যের চোখে যায় সে এক আনন্দের বিষয়।

সিরিজ পড়তে আমারও রাগ লাগে। কিন্তু সমস্যা হলো সময়। আমার ইদানিং সময় কমেছে। ব্যস্ততা বেড়েছে। শখ বা লেখার ইচ্ছেও বেড়েছে। কিনতু শুধু সময়টাই নেই।

শ্বশুরগুলো শ্বাশুড়িদের চাইতে ভালো খারাপ কিনা জানিনা তবে এই অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখবো এই লেখাটা শেষ হলেই। শ্বাশুড়ির সাথে বোঝাপড়া বা দেখাশুনার অভিজ্ঞতা খুব বেশি দিনের নয় কিনা। তাই আরও একটু পর্যবেক্ষন দরকার।
ওমেরা আপা অনেক ধন্যবাদ। সাথে থাকর জন্য। কষ্ট করে সিরিজ পড়ছেন। সেই অতলে ডুবে থাকা থেকেই। অতল থেকে উঠে আসা আসলে ঠিক হয়নি আমার। আপনারা কজনে পড়লেই আমি খুশি ছিলাম। খুশি হতাম।

১৭| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: হ্যাঁ মেয়েরা এইভাবেই চলেছে যুগ যুগ। বাংলাদেশের মেয়েরা মানিয়ে নিতে ওস্তাদ।
শিউলী ফুলের সময় আসছে রাজীব ভাই। রমনা পার্কে গেলেও দেখতে পারবেন।

রমনা পার্কে আমার যাওয়া হয় না। তবে আমার বন্ধু শাহেদ জামাল খুব যায়। তবে অনেকদিন শিউলী ফুল দেখি না। হাতে নিই না। এবার শিউলী হাতে নিয়ে গন্ধ উপভোগ করবো।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আমি দেখেছি গুলশান হর্টিকালচার এর পার্কটাতেও শিউলী ফুলেদের গাছ আছে।
সকালে গাছের তলাটা নরম কোমল ফুলে সাদা হয়ে থাকে। কি যে মায়াময়!

অনেকখানেই আজও দেখা যাবে শিউলী গাছ এই ঢাকাতেই কিন্তু শিউলী গাছে এক রকম পোকা হয় । শূয়োপোকা। দারুন ভয়ঙ্কর!

১৮| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: মনছোঁয়া গল্প। + +

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ধন্যবাদ খায়রুলভাই।
মন দিয়ে পড়েননি মনে হচ্ছে।
থাক পরে পড়লেও চলবে।

১৯| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২৩

আমি সাজিদ বলেছেন: হরিপদ বাবুর দোকানে শালপাতার মিষ্টির খোঁজ পেয়ে ভালো লাগলো। লিস্টে যোগ হলো৷ ধন্যবাদ।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৩৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: সাজিদ মাগুরার জেইলখানার সামনে সেই দোকান ছিলো। ছোট্ট একটা দোকান থেকে বড়ও হয়েছিলো পরে। কয়েক বছর আগের কথা। কিন্তু সবাই চেনে সেই দোকান।

২০| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:২৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: "মন দিয়ে পড়েননি মনে হচ্ছে" - উল্টো কথা। মন দিয়ে পড়েছি বলেই মাত্র দুটো শব্দে পাঠ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করতে পেরেছি। পাঠে ফাঁক থাকলে সে ফাঁক শব্দ দিয়ে পূরণ করতে হয় অনেক সময়।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আমার এ লেখাটা আপনারা যারা প্রথম থেকে পড়ছেন তারা মন দিয়ে পড়লেই আনন্দে মন ভরে ওঠে। কারণ অনেক কিছু দৃশ্যাবলী যা নিজের চোখে দেখে যা যা ফিলিংস হয়েছিলো তা লেখার মাঝেই ধরে রাখতে চাই।
যেমন মা হাসান ভাইয়া জানতে চাইলেন শালপাতায় মিষ্টি বাংলাদেশের কোথায় পাওয়া যায়। আমি এমনটাই দেখেছিলাম মাগুরার মেইন শহরেই আজ থেকে কয়েক বছর আগে। এমনই কোনো এক ভোরে গাছের নীচে সাদা শিউলীতে ভরে থাকার দৃশ্য বা বউ কথা কও পাখির হলুদ বরণ আর মিষ্টি সূরের ডাক মনে পড়ে যায় আমার। যা স্মৃতিপটে গেঁথে রাখি লেখায় লেখায়। জীবনের সায়াহ্নেও যেন ভুলে যেতে যেতে হলেও এই লেখাগুলো পড়ে মনে থাকে বা মনে পড়ে যায়।
অনেক শব্দ লিখে ফেললাম কিন্তু।

২১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: কবিতা পড়ার প্রহর,





১ম ও ২য় পর্বে মন্তব্য করেছি আগেই। আজ সময় করে এক বসাতে ৩য় পর্ব থেকে শুরু করে নম্বর ছাড়া পর্বে এসে দেখি পেছনের সব পর্বের সাথে ৬ষ্ঠ পর্ব সেটা। সম্ভবত প্রথম পাতার চিলেকোঠায় ঠাঁই হয়েছে বলে গল্পের ঝুড়ি সবটাই উপুড় করে দিয়েছেন সেখানে। "একদিন স্বপ্নের দিন" এর মতো টোনাটুনির ঠোটে ঠোট ঘষার শব্দ যেন গল্পের সারাটা গা জুড়ে!

অপরিসর- অপরিচ্ছন্ন ওয়াশরুমের মতো সাফ-সুতেরো হয়ে চিলেকোঠাটির সমস্ত পর্বই ঝকঝক করছে যেন এক অনাবিল প্রেমে।
প্রেমে মাতোয়ারা পাখির মতোই যেন দুটি হৃদয় ডানা ঝাঁপটে গেছে সবখানে।
ভয় হয় , ডানা ভেঙে পাখি আছড়ে পড়বেনা তো মাটিতে !!!!!!!!!!!

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ঠিক তাই প্রথম পাতায় আমাকে আনা হবে ভাবিনি একবারও। হা হা আর সত্যি বলতে আসতেও চাইনি। তাই মা হাসানভাই পাগলা আপা সোনাবীজ ভাইয়া বা ডলু আপুরা বারবার বলার পরেও কোনো চেষ্টাই করিনি। নিজের মনে নিভৃতে নীরজনে লেখাগুলো আমি চুপচাপ মন দিয়েই লিখতে চেয়েছিলাম।
কিন্তু যখন মডুভাই আমাকে প্রথম পাতায় এনেই দিলেন তো তখন সকল পাঠকের জন্যই সবগুলো পর্ব এক সাথে দিয়ে দিলাম।

একদিন স্বপ্নের দিন- পিয়ানো উপহারের সেই প্রতিশ্রুতি পূরণের অপেক্ষায় আজও আছি। হা হা আচ্ছা লেখা থেকেই জানিয়ে দেবো না হয়।

প্রেম তো মাতোয়ারা হবারই মতন কিছু স্বর্গীয় বা অদ্ভুতুড়ে ব্যপার স্যাপার। তবে ডানা ভাঙ্গা পাখিরা সেটা ভুলে যায়। কিন্তু সুন্দর সময়রের স্মৃতিগুলি কি মিথ্যে হয়!

২২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: শেষ করলাম ভাইয়া
পরের পর্ব দিয়া দিয়েন কিন্তু

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আজকালের মাঝেই দিয়ে দেবো।
খুব তাড়াতাড়ি।

২৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১০

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম।
কে কি মন্তব্য করেছে সেটা দেখতে এবং জানতে।
কে কি মন্তব্য করে সেটা জানার দরকার আছে।
আছে কিনা নাই আপনিই বলুন?

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা অবশ্যই আছে।
রাজীবভাই লেখার সাথে সাথে কমেন্টেও অনেক কিছুই জানা যায়।

২৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
প্রতিটা পর্বই অসাধারণ। পরিবেশকে আনন্দমুখর করে তোলার চমৎকার ক্ষমতা রয়েছে আপনার। প্রতিটা চরিত্রই আমার মনের মতো। শুভ্রের বাবার জায়গায় যেন আমি নিজেকেই দেখতে পেলাম, যদিও ছেলের বউ এখনো আসে নি (আসতে পারতো আরো আগেও), তবে আসবে কয়েক বছরের মধ্যেই :)

প্রতিটা পর্বই ধারাবাহিক নাটকের একেকটা পর্বের মতো ভালো লেগেছে। এভাবে প্রতিদিনের দিনযাপন নিয়েও দীর্ঘ একটা উপন্যাস লেখা যায়, যেখানে একটা পরিপূর্ণ জীবন ও পারিবারিক কাহিনি থাকতে পারে।

মাহরিনের হাত অনেক অনেক সাবলীল। শুভ কামনা প্রহরের জন্য।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ভাইয়া কদিন আগে না নায়কের জায়গায় ছিলেন? আজকে বাবা হলেন কেনো? না নায়কের জায়গাতেই দেখবেন আপনাকে। আপনি চিরদিনের গল্পের যাদুকর। সকল উপন্যাসের নায়ক।
তবে হ্যাঁ ছেলের বউ আসার পরে আপনাকে নিয়ে লেখা যাবে আবার।

একটা পরিপূর্ণ জীবন ও পারিবারিক কাহিনি লিখতে গেলে তো গজেন্দ্রকুমারের মত কলকাতার কাছেই, উপকন্ঠে বা পৌষ ফাগুনের পালার মত আজীবন বসে বসে লিখতে হবে। সেই দেখার চোখ কি আমার আছে? আর সাহিত্য একাডেমী পুরষ্কার পাওয়া সেই অনবদ্য লেখা কেউ কখনও কি এই জীবদ্দশায় লিখে যেতে পারবে?
আহা সেই অনবদ্য সৃষ্টি। জীবনেও মিছে হবে না।

২৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: কারও জীবনই সর্বদা হাসিখুশিতে ভরপুর থাকে না, কারওটাই আবার শুধু কান্নায় ডোবানো থাকে না। কমবেশি হাসি-কান্না নিয়েই আমাদের সবার জীবন। লেখকেরা কেউ কেউ কান্নাকে শৈল্পিক দ্যোতনায় পরিবেশন করতে পারঙ্গম (যেমন 'দেবদাস';), আবার কেউ কেউ হাসিখুশির, প্রেম ভালবাসার অনুভূতিগুলোকে এমনভাবে তাদের লেখায় ফুটিয়ে তুলতে পারেন যে সেসব পড়ে ঘন আঁধারে আচ্ছন্ন পাঠকের মনেও তা খুশির প্লাবন বইয়ে দেয়।
আপনার এ সিরিজটা পড়ে মনে হচ্ছে, আপনি পড়ের দলের লেখক। সিরিজের প্রতিটি পর্বে প্রস্ফূটিত মিষ্টি রোমান্টিকতার আবহ পাঠকের মন ছুঁয়ে যায়। সেজন্যই এত কিছু না বলে এক কথায়, দুটি শব্দে ঐ প্রথম মন্তব্যটি করেছিলাম। :)
আপনার লেখার হাত খুব ভাল, লিখে যাবেন....

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: খায়রুলভাইয়া
যত হাসি তত কান্না বলে গেছেন রামসন্না। আসলে হাসি আর কান্না দুই নিয়েই জীবন। কিন্তু কান্না নিয়ে পড়ে থাকা দলের লোক নয় কেউ কেউ। কান্নাকাটি দূরে ঠেলে ভয়কে জয় করে চলা বা শ্বশুরমশায়ের উপদেশ মোতাবেক জীবনের সকল বাঁধা বিঘ্ন বা পিছু টেনে ধরা মানুষ জন ঘটনা দূর্ঘটনা পায়ে দলে নিজের লক্ষ্যে পৌছানোর মানুষ কম। ফুলের আঘাতে কেউ কেউ টলে পড়ে কেউ কেউ ফুল মাথায় গুঁজে গান গায়।

ভালোবাসা বা প্রেম সদা ও সর্বদা মিষ্টি এবং ফুলের মতই কোমল রোমান্টিক। সেই প্রেমই একসময় ফুল থেকে কাঁটাও হয়ে যায়।

ফুল কি চিরদিন বেঁচে থাকে? ঠিক তেমনই ফুল ঝরে যায় প্রেমও হয়ত ঝরে কিন্তু প্রস্ফুটিত পদ্মের মত যতদিন বিকশিত থাকে সেই ক্ষনস্থায়ী সৌন্দর্য্যের মাদকতা নিয়েও বাকীটা জীবন কাটিয়ে দেওয়া যায়।

২৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:

ভাইয়া কদিন আগে না নায়কের জায়গায় ছিলেন? আজকে বাবা হলেন কেনো? আপনি চরিত্র চিত্রণে এতই দক্ষ যে, প্রতিটা চরিত্রই জীবন্ত হয়ে ওঠে। এ পর্বে নায়কের উপস্থিতি একটু কম ছিল, এবং বাবা'টা এতই উজ্জ্বল ও মহৎ হয়ে ধরা দিল যে, মুহূর্তেই আমি একজন আন্তরিক ও বন্ধুভাবাপন্ন, বাৎসল্যপ্রবণ শ্বশুরের জায়গায় নিজেকে আবিষ্কার করলাম। আমাদের ছেলেদের বউরা তাদের শ্বশুর-শাশুড়ির কত যত্ন-আতি পাবে, তা আমরা স্বামী-স্ত্রী দুজনেই খুব আলোচনা করি :) গল্পের এ পর্ব সেই আলোচনার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে এবং আমাকে 'শ্বশুর হওয়ার'ও সুযোগ করে দিয়েছে :)

বাকি কথাগুলোও খুব ভালো লেগেছে।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৫২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ঠিক তাই। এটাও ভাবছিলাম।
এ পর্বে নায়কের উপস্থিতি একটু কম ছিল, এবং বাবা'টা এতই উজ্জ্বল ও মহৎ হয়ে ধরা দিল যে, মুহূর্তেই আমি একজন আন্তরিক ও বন্ধুভাবাপন্ন, বাৎসল্যপ্রবণ শ্বশুরের জায়গায় নিজেকে আবিষ্কার করলাম।

ঠিকই ধরেছি। এই পর্বে নায়ক ঘুমায় ঘুমায় সময় কাটালো।

আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি যে আপনাদের ছেলের বউ হবে সে মহা সৌভাগ্যবতী।

তাকে নিয়েও গল্প চাই ..... বউকেও বলবো শ্বশুরকে নিয়ে লিখতে। বউকে লেখিকা বানায় দিয়েন।

২৭| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: হা হা অবশ্যই আছে।
রাজীবভাই লেখার সাথে সাথে কমেন্টেও অনেক কিছুই জানা যায়।

একদম আমার মনের কথা বলেছেন।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আপনার মনে কত কথা যে আছে ভেবে না পাই

মাথায় কত প্রশ্ন আসে দিচ্ছে না কেউ জবাব তার কবিতাটার মত...

২৮| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: কবিতা পড়ার প্রহর, আপনাকে আবারো ধন্যবাদ যে আপনি আমার নিকট একটি পরামর্শ চেয়েছেন এই জন্য।

আমি আপনাকে আমার অবস্থান এবং দৃষ্টিকোণ থেকে চেষ্টা করেছি তার জবাব দিতে।আপনি যদি নিশ্চিত করেন যে আপনি তা দেখেছেন (আমার ব্লগে প্রতি মন্তব্যে এবং সামু পাগলা০০৭ - সামু ব্লগারদের চলমান কিছু আন্ডাররেটেড রোমান্টিক সিরিজে মন্তব্য নং ২০ এর জবাবে প্রতি মন্তব্য ২২ এ)।

আপনি আমার পরামর্শ / মন্তব্য দেখেছেন এটা নিশ্চিত করলে আমি নিজের কাছে কিছুটা ভাল লাগবে। আর আমার পরামর্শ / মন্তব্যে যদি আপনার কিছুমাত্র ও উপকার হয় তাহলে নিজেকে ধন্য মনে করব।

-

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: অবশ্যই। পড়েছি। মুগ্ধ হয়েছি এবং রাতে আসছি উত্তর নিয়ে।

২৯| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৮

রামিসা রোজা বলেছেন:
শুধু রোমান্টিক বললে ভুল হবে,এটাতো দেখছি ওভার
রোমান্টিক গল্প । সংসদের প্রথম জীবনের সৌন্দর্য কি
এবং সামান্যতম অভাব থাকলেও ভালোবাসা থাকলে তার
পরিপূর্ণতা পায় । আমি প্রথম থেকেই পড়লাম ।
আর আজকের পর্বটি পড়ে একটি কথা বলতেই হবে,
চিরন্তন সত্য টি আপনি উপস্থাপনা করেছেন।
শশুরেরা খুব ভালোই হন কিন্তু শাশুড়িরাও হয়তো ভালোই
থাকেন কিন্তু উনারা বদলে যান আশেপাশের কুটনা
টাইপের কিছু মানুষের জন্য । অনেক বেশি হয়তো বকবক
করে ফেললাম । গল্পটি খুব সুন্দর হয়েছে পরবর্তী পর্ব
পড়বার। আশা রাখছি ।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: সব আপাদের পদচারণায় মুখর হলো আমার আঙ্গিনা। অজস্র ধন্যবাদ রামিসা আপা। ভালোবাসা থাকলে অভাব টভাব কিছু না। আমার কালের পরিক্রমায় চাওয়া পাওয়ার মিল অমিলেও ভালোবাসায় ভাঙ্গন ধরে হয়ত।
সবগুলো পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতার ভাষা জানা নেই।

হ্যাঁ সংসারে উসকানীদাতাদাত্রী বা মন্ত্রনাদাতা দাত্রীরাই অশান্তির শুরু করে।
সবার অনুপ্রেরনায় ভাবছি সব টাইপের লেখালুখা ছেড়ে গল্প লেখাই শুরু করবো। জীবনের গল্প।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: পরবর্তী পর্ব দিয়েছি আপা।

৩০| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০০

রামিসা রোজা বলেছেন:
সরি একটু ভুল হয়েছে,
দ্বিতীয় লাইনে সংসার হবে।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: সেটা বুঝেছি। তবে সংসারও এক সংসদই কাজেই সমস্যা নেই আপা।

৩১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এইরে ...

এত্ত এত্ত মিঠা মিঠা ভালাবাসায়তো মন জানি করাম কিরমা করে ;)
ইশশ ডায়বেটস না হয়ে যায় ;) হা হা হা হ

দারুন মানে দারুন
হতেই হবে, স্রস্টাযে অনন্য গুনিজন :)

+++

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: মনডা কিরাম কিরাম করে বিদ্রোহীভাই?
এই পর্বে ভালোবাসা তো উপহারে চলে গেলো।

৩২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: উফফ! কি অসাধারণ এক সতেজ, নিষ্পাপ, পবিত্র ভোরে নিয়ে গেলেন! এতদিন যতগুলো পর্ব লিখেছেন তার মধ্যে এটি সবচেয়ে বেশি পরিপক্ব ছিল। পরিবেশ, পরিস্থিতি ও চরিত্রগুলোর বর্ণনা এত নিখুঁত ভাবে উঠে এসেছে যে মনে হচ্ছিল পড়ছি না, দেখছি!

শুভ্রর বাবা কি ভীষন বুদ্ধিমান আর ভালো মানুষ! উনি যতটা আধুনিক তা আমরা এযুগের ছেলেমেয়েরাও হতে পারিনা হয়ত। খুবই ভালো লাগল চরিত্রগুলো। মায়ের অভিমান, বাবার উপদেশ, শুভ্রর স্বান্তনা দেওয়া, শৈলীর সুর! কোনটা ছেড়ে কোনটা বলি? জাস্ট অসাম।

লিখতে থাকুন, পাশে আছি......

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২৯

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: পাগলাআপা ভালোবাসা নেবেন। এই গল্পের প্রেক্ষাপট গল্প শেষে বলবো কিনা ভাবছি। আর কতদূর নিয়ে যাবো জীবনের খুঁটিনাটি দৈনন্দিন নাকি অল্পের মাঝেই শেষ করে দেবো ভেবে পাচ্ছিনা। চরম ব্যস্ততম দিন কাঁটছে আজকাল তবুও লিখছি। পাঠকের ভালোবাসা অবশ্য এখানে কাজ করেছে।

শুভ্রের বাবা ঠিক এমনই মানুষ। শুভ্রও কিছু এমন তবে বাবা সদাই হরিষ। গভীর জীবনবোধ থাকার পরেও বড়ই আমুদে এবং উচ্ছল। যা শুভ্রের মাঝে একটু আলাদা। শুভ্র বেসিকালী বেশ ক্রিটিকাল এবং আমার আরও কিছু আবিষ্কার ভুল কি শুদ্ধ জানিনা তবে গভীর চিন্তা ভাবনা বা জীবনবোধ খুব অবাক করা যৌক্তিক আর সঠিক।
চিরায়ত শ্বাসত ধারনাকে পুঁজি করে পথ চলে একই ভুলে জীবন বইয়ে দেওয়া থেকে নতুন কিছু ভাবতে বা সাহস করতে যা আমরা পারিনা শুভ্র তা পারে। তারপরও শুভ্র মানুষ। রক্তমাংসের মানুষ আর তাই সবকিছুড়েই দেবতা হওয়া হয় না।

৩৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫০

খায়রুল আহসান বলেছেন: আর কতদূর নিয়ে যাবো জীবনের খুঁটিনাটি দৈনন্দিন নাকি অল্পের মাঝেই শেষ করে দেবো ভেবে পাচ্ছিনা। চরম ব্যস্ততম দিন কাঁটছে আজকাল তবুও লিখছি। পাঠকের ভালোবাসা অবশ্য এখানে কাজ করেছে। - ঠিক শেষের কথাটার জন্যই অনুরোধ, মাঝপথে থেমে যাবেন না, কিংবা লেখাটা সংক্ষিপ্ত করবেন না। মন উজাড় করে লিখে চলুন। আমার বিশ্বাস, লেখাটি যদি কোথাও প্রকাশ নাও করেন, বিশ পঁচিশ বছর পর যদি নিজের লেখা নিজেই আবার পড়েন, আপনি তখন নিজেকে নিয়ে গর্বিত বোধ করবেন, এবং আরও পরিপক্ক্ব, আরও পরিণত বয়সের অভিজ্ঞতা দিয়ে লেখাটিকে পরিমার্জিত, পরিশুদ্ধ করে তখনও ছাপাতে পারবেন।
আপনার এ সিরিজটার জন্য আমার অনেক শুভকামনা রইলো।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: নাহ মাঝ পথে থামবো না। এটা আমার স্বভাবেই নেই। ঝড় ঝঞ্ঝা বন্যা ভূমিকম্প আগ্নেয়গিরি অগ্নুৎপাত যত প্রতিকূলতাই আসুক না কেনো। শুধু মনের অর্গল খুলে যা লিখতে চেয়েছিলাম সেই অর্গল পুরোপুরি খুলতে পারছি না। সেটাই কষ্ট দিচ্ছে।


ঠিক তাই এই জীবনের ফেলে আসা খুটি নাটি স্মৃতিগুলি লিখি যখন সেই মাটির সোঁদা গন্ধ, ফুলের ঘ্রান বা বাতাসের গানও বুকে বাঁজে.......
অসংখ্য ধন্যবাদ খায়রুলভাই।

৩৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৩:০৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: এই গল্পের প্রেক্ষাপট গল্প শেষে বলবো কিনা ভাবছি। আর কতদূর নিয়ে যাবো জীবনের খুঁটিনাটি দৈনন্দিন নাকি অল্পের মাঝেই শেষ করে দেবো ভেবে পাচ্ছিনা।
প্রেক্ষাপট বলবেন না মানে? অবশ্যই বলবেন, আমি অপেক্ষা করে আছি সেই কবে থেকে। প্লিজ প্লিজ গল্পের শেষে বা যখন ঠিক মনে করেন, তখন বলবেন।
অনেকদূর নিয়ে যান, পড়তে বেশ লাগছে তো। খুঁটিনাটি ব্যাপারগুলো দিলে আরো বেশি জীবন্ত লাগে পড়তে। আমার মনে হয় আপনি এতগুলো পর্ব অসম্ভব নৈপুন্যের সাথে লিখে একটা স্ট্যান্ডার্ড সেট করেছেন। সুন্দর সিরিজটি যেদিনই শেষ হোক, আমরা যেন এটা না বলতে পারি "তারাহুড়ো করে শেষ করা হয়েছে!" শেষটা পড়েও প্রথমদিনের আবেশ ও তৃপ্তিটা রাখতে পারলেই সিরিজটির প্রতি জাস্টিস হবে।

শুভ্র বেসিকালী বেশ ক্রিটিকাল এবং আমার আরও কিছু আবিষ্কার ভুল কি শুদ্ধ জানিনা তবে গভীর চিন্তা ভাবনা বা জীবনবোধ খুব অবাক করা যৌক্তিক আর সঠিক।
হুমম! শুভ্র নামক ক্রিটিক্যাল মানুষটিকে আরো জানার ইচ্ছে রইল.....

আপনি ব্যস্ত বলেই হয়ত মনের অর্গল খুলতে পারছেন না! নানা রকমের কাজে মন ব্যস্ত বলেই, নরম অনুভূতিগুলোকে টেনে আনতে পারছেনা। নিজেকে নাহয় কিছু সময় দিন! কোন একদিন হুট করে মন ফিরে যাবে সেই জগতে আর আঙ্গুল গুলো নেচে উঠবে কিবোর্ডে... :)

ওহ আমার লাস্ট পোস্টে, অন্যান্য সহব্লগারেরা আপনাকে অনেক সাপোর্ট করেছেন। সময় পেলে দেখে নেবেন।
ভালো থাকুন।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: দেখেছি দেখেছি। সবই দেখেছি পাগলা আপা। হ্যাঁ ব্যস্ত বটে তবুও লিখি আর যাই করি প্রকাশ করিনা তা সবার মনের মত হবেনা যত্ক্ষন মনে না করতে পারি।

বিধাতা বলেছিলেন নারীকে জানা নাকি তার সাধ্য না মানে নারীর মন। শুভ্রের মনও বিধাতা জানতে পারবে না আমি আর কত টুকু পারবো বলেন? যতটুকু পারবো ততটুকু জানাবো। :)

আমার একটা প্রবলেম আছে। শুরুটা যতদিল সুন্দর হয়ে না অহি আসে শুরু করা হয় না আড় শুরু করে দিলেই রেইল গাড়ি চলতে থাকে কিন্তু শেষে গিয়ে অনেক কথা বলার থাকে সব বলে কুলাতে না পেরে হ য ব র ল হলো মনে হয়। আসলে সিরিজগুলো আমিও কখনও শেষ করতে চাইনা যেমন ধরেন এই গল্পের পটভূমির সময়কাল ছিলো প্রায় সাড়ে তিন বছর। সেই সাড়ে তিন হাজার বছরের দিনগুলোর কথাসহ আজ পর্যন্ত সকল কথা কি সারে তিন হাজার পৃষ্ঠাতেও শেষ করা যায় বলেন?

যায় না যায় না ..........

এই জন্য লেখাও এক অসপূর্ণ অধ্যায়। হুট করে থেমে যায় জীবন নাট্যের মতই। জ্বর হয়েছিলো অনেক। ঐ গরুটার বদ দোয়ায় মরে না যাই তাইলে তো ভাববেন ওর ভয়ে লেখা ছেড়ে পালিয়েছি।

জেনে রাখে ভূত হয়ে এসে হলেও লেখা শেষ করে যাবো।

৩৫| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: আরেকবার!

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: কি আরেকবার ?

৩৬| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৪১

ইসিয়াক বলেছেন: যাক শুভ্রর বাবা খুব ভালো মানুষ। এ পর্বেও ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম।

১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ইসিয়াক ভাই।

৩৭| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১৪

ফয়সাল রকি বলেছেন: একদিন স্বপ্নের দিন...
শ্বশুড় মশাইকে পছন্দ হয়েছে।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা তিনি সদাই হরিষ.........

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.