নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লোকে বলে প্রথম প্রেমটা বড্ড কোমল\nএলোমেলোযায়না \nভোলা কোনোদিনও\nসত্যি কি তাই

কবিতা পড়ার প্রহর

কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে রাতের নির্জনে

কবিতা পড়ার প্রহর › বিস্তারিত পোস্টঃ

চিলেকোঠার প্রেম - ৮

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪২

ঢাকা ফিরেই ঠিক করেছি এই চিলেকোঠায় আর না। মিরপুরের দিকে কোনো দু'কামরার ফ্লাট খুঁজে নিয়ে উঠে যাবো শিঘ্রী। মিরপুরের দিকে উঠবার পিছে কারণ রয়েছে আমার এক কলিগের বন্ধুর খালি ফ্লাট। ছোট ফ্লাট কিনেছে সে। কানাডা থাকে তাই এই ফ্লাট ভাড়া দিয়ে রাখা। এক ছুটির দিন দেখে বাড়ি দেখতে বের হলাম আমরা। নাখালপাড়া থেকে মিরপুর ১২ নাম্বার। খুব একটা দূরের পথ নয় তবুও ট্রাফিক জ্যামে আটকে গলদঘর্ম হয়ে প্রায় পৌনে ৩ ঘন্টা পার করে সেখানে গিয়ে পৌছলাম।

ছোট্ট ছিমছাম ফ্লাট। দুটি বেশ বড় সড় বেডরুম। একটি ডাইনিং ও লিভিং রুম মিলিয়ে বেশ খোলামেলা। পাঁচতলার উপরে হওয়ায় আর চারিদিকে বাড়িঘর না থাকায় বেশ হাওয়া বাতাসও খেলা করে। দুদিকে দুটি লম্বা বারান্দা। এক দিকের বারান্দার সামনে এক টুকরো ডোবা জমি। আরেকদিকে রাস্তা। রাস্তার ঠিক উলটো পাশেই একটা গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ। বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখা যায় কলেজের মেয়েগুলোর ছুটোছুটি বা গালগল্প হাসি ঠাট্টার মনোরম দৃশ্য। ফ্লাটটা আমাদের অপছন্দ করার কিছু ছিলো না। একে কম দাম তার উপর এত খোলামেলা ঝা চকচকে। কাজেই সেটাই ঠিক করা হল।

অল্প কিছুদিনের মাঝেই আমরা আমাদের সেই স্মরণীয় চিলেকোঠা ছেড়ে এই ফ্লাটে এসে উঠলাম। ঝকঝকে তকতকে ফ্লাট। খুব যত্ন করে বানিয়েছে বুঝাই যায়। তবে সেই তুলনায় ভাড়াটা একেবারেই কম। আমি তো আনন্দে আটখানা। এখন এটাকে কি করে সাজাই কি করে গুছাই ভেবেই আমার দিন কাটেনা। খুব শখ করে নতুন খাট, ড্রেসিং টেবিল আর আলমারী কেনা হলো সাথে রান্নার জিনিসপাতি। আমাদের দু'জনের একটা বড় যুগল ছবি বাঁধিয়ে টাঙ্গিয়ে দিলাম দেওয়ালে। ছোট্ট একটা টোনাটুনির বাড়ি হলো আমাদের। শুভ্রের ফাইনাল পরীক্ষা চলছে। শেষ হলেই নিশ্চিন্তি। দুজনে জব করবো। আনন্দে কাটিয়ে দেবো বাকী জীবনটা।

অফিস থেকে ফেরার পথে ফ্রেশ হাউজে নেমে টুকিটাকি কিনে নেই। তারপর বাসায় ফিরে বারান্দায় বসে চা খাই আমরা দু,জনা। সামনের সরু রাস্তায় টুং টাং রিক্সা যায়। বসে বসে মানুষের চলাচল দেখি। চায়ের টেবিল কেনা হয়নি তাতে কোনোই সমস্যা নেই। এক টুকরো হার্ড বোর্ড মোড়ার উপরে রেখেই আমাদের টি টেবিলের কাজ বেশ চলে যায়। সেটাই তখন আমাদের মহা আনন্দের আসবাব।

বই আছে বেশ কিছু। শুভ্রের সকল সম্পত্তির মাঝে এটাই বেশ খানিক জায়গা দখল করে আছে শুভ্রের জীবনে। শুভ্রের মত বেশ আলসে টাইপমানুষও যে এত এত বই পড়েছে ভাবলে অবাক লাগে। শুভ্র শুধু গল্পের বই পড়েছে তা নয় দর্শন, ইতিহাস, বিজ্ঞান সব কিছু জানাতেই তার দারুণ আগ্রহ। শুভ্র তার বাবার থেকেই বই পড়ার অভ্যাসটি পেয়েছে। তবে তার বদভ্যাসের চরম দিকটি হলো তার কোনো কিছু নিয়েই সিরিয়াস না হওয়াটা। যেটা আমার একেবারেই পছন্দ নয় নিজের বেলায় কিন্তু ওর সকল কিছু পছন্দের সাথে সাথে ওর সেই সিরিয়াস না হবার ব্যপারটাও মজার লাগে। মনে হয় এমনই তো হবার কথা ছিলো সকল মানুষের। আমি কেনো এত সব কিছুতেই এত এত সিরিয়াস।

যাইহোক বলছিলাম যে কথাটা। শুভ্রের বইগুলো রাখার তখনও কোনো বুকসেল্ফ কেনা হয়নি তাই সেগুলো সুন্দর করে সাজিয়ে রাখতে এক ছুটির দিনে আমি তিনটা স্যুটকেট তাক তাক করে সাজিয়ে বেডসিট দিয়ে ঢেকে বইগুলো সুন্দর করে সাজিয়ে দিলাম। সেই স্যুটকেস কাম বুককেস দেখে আমি নিজেই হেসে গড়িয়ে পড়ছিলাম তবুও বইগুলো এলোমেলো যা তা অবস্থা থেকে তো মুক্তি পেলো। এইভাবেই তুচ্ছ কথায়, তুচ্ছ আনন্দে কেটে যাচ্ছিলো দিন। রাত করে আমরা বের হতাম ফুচকা বা আইস্ক্রিম খেতে। তারপর রাত করে ফিরতাম।

হঠাৎ একদিন চির সুস্থ্য দেহের অধিকারী এই আমি ভীষন অসুস্থ্য হয়ে পড়লাম। সেদিন ছিলো আমার ছুটির দিন কিন্তু শুভ্রের কোনো এক পরীক্ষা থাকায় সে বাসায় ছিলো না। আমি দুপুরের জন্য আমার প্রিয় চিতলমাছের ঝোল আর করলা চিংড়ি রান্না করে কেবল বেডরুমের দিকে পা বাড়িয়েছি। অমনি আমার মাথাটা কেমন টলে উঠলো। আমি ভীষন ভয় পেয়ে দেওয়ালটা ধরে বসে পড়লাম সেখানেই। আমার খুব ভয় হচ্ছিলো। পুরো বাসায় আমি ছাড়া কেউ নেই। অজ্ঞান হয়ে পড়লে কেউ জানবে না। শুভ্র ফিরে এলেও কেউ তাকে দরজা খুলে দেবেনা।

মাকে মনে পড়লো। বাবাকেও। কোনোমতে টলতে টলতে দরজা খুলে পাশের বাড়ির দরজায় ধাক্কা দিলাম। সেই বাসার আন্টি বেরিয়ে এলেন। বললেন কি হলো তোমার? বসো বসো। উনি আমাকে বসালেন। আমি বললাম হঠাৎ মাথাটা ঘুরে উঠেছে। কয়েকদিন ধরে যা খাচ্ছি কিছুই পেটে তলাচ্ছে না। বমি হয়ে যায়। আজ মাথাটা টলে উঠতে ভয় পেয়ে আপনার কাছে এসেছি। অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকলে তো শুভ্র আসলে কেউ ওকে দরজা খুলে দিতে পারবেনা। উনি হেসে বললেন, এইখানে চুপ করে বসো। এত অস্থির হবার কিছু নেই। শুভ্রকে ফোন করতে হবে না। তাকে তার সময়মতই ফিরতে দাও। তুমি আমার কাছে থাকো ততক্ষন।

দরকার হলে আমার বাসাতেই শুয়ে থাকো। রেস্ট নাও। আমার বাসায় এখন কেউ নেই। আমার বড় ছেলেটা তোমার বয়সীই হবে। ওর নাম ভাস্কর। আমার আরও এক ছেলে আছে ওর নাম নির্ঝর। ওরা ইউনিভারসিটিতে গেছে। পুরা বাসায় খালি এখন। নির্ঝর বাহ কি সুন্দর নাম।
আমার মাথায় সাথে সাথে কবিতার নামটাই এলো- নির্ঝরের স্বপ্ন ভঙ্গ
আজি এ প্রভাতে রবির কর
কেমনে পশিল প্রাণের পর,
কেমনে পশিল গুহার আঁধারে প্রভাতপাখির গান!
না জানি কেন রে এত দিন পরে জাগিয়া উঠিল প্রাণ।

উনি বললেন, তোমার মনে হয় বেবি হবে। তাই মাথা ঘুরে উঠেছে। ভয় পেয়োনা। রেস্ট নাও। তোমার হাসব্যান্ডকে ফিরতে দাও।
আমার মুখ উনার কথায় রক্তিম হয়ে উঠলো। কি বলছেন আণ্টি! আমার বেবি হবে!
আমার বেবি!
কার মত হবে?
আমার মত নাকি শুভ্রের মত?
ছেলে নাকি মেয়ে?
সাত সমুদ্র ভাবনায় ডুবে গেলাম আমি। উনি কি সব বলে চলছিলেন। এত সহজে ভয় পেতে নেই মেয়েদেরকে। মনে সাহস রাখতে হয় বুঝেছো? এখন থেকে নিজের খেয়াল রাখবে। হুট হাট যা ইচ্ছা তাই করা যাবেনা। আমি একেবারেই শিওর তোমার বেবি হবে আর তাই এই সব সিম্পটম হচ্ছে। উনার কথায় আমার কানই যাচ্ছিলো না।

আমি শুধু নিজেকেই প্রশ্ন করে যাচ্ছিলাম।
কেমন হবে বেবিটা? কি হবে? কি নাম হয়ে তার? আমার সারা শরীর থরথর কাঁপতে লাগলো। সত্যিই আন্টি ঠিক বলছেন? বেবি হবে আমার? আমি মা হবো? ছোট্ট একটা মানুষ! ছোট্ট একটা মুখ। আমার চোখের সামনে ভেসে উঠলো অজানা কোনো শিশুর মুখচ্ছবি।

জাগিয়া উঠেছে প্রাণ,
ওরে উথলি উঠেছে বারি,
ওরে প্রাণের বাসনা প্রাণের আবেগ রুধিয়া রাখিতে নারি।

আমার সেই অনুভূতিটা আমি কখনই ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। সেটা সম্ভবও নয়।

মন্তব্য ১০৬ টি রেটিং +২০/-০

মন্তব্য (১০৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৪

শেরজা তপন বলেছেন: এ অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়!
ঘটনাটা যদি আপনার হয় তবে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন আপনাকে! আপনার অনাগত সন্তানের জন্য রইল ভালবাসা আর শুভকামনা।

মা হওয়া যে কত বড় সৌভাগ্যের সেটা শুধু মায়েরা-ই অনুভব করতে পারে।
ভাল থাকুন সুস্থ্য থাকুন

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ। নিশ্চয় কিছু অনুভূতি কখনও ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। তবে হয়ত শরৎচন্দ্র বা রবিঠাকুরের মত মহান লেখকেরা সেটা পারবেন। আমি তো পারবো না। আর যেহেতু ব্লগ আর ব্লগের মানুষগুলো কিছুটা হলেও চেনা জানা তাই মনের অর্গল খুলে লেখাও হলো না।

তবে লেখাটা আমি বাচ্যে লেখা। সব মায়েদের অনুভূতি ডিফারেন্ট হলেও কোথাও না কোথাও মিল তো আছেই আর সেটাই লিখতে পারিনা। আরও কিছু লিখতে চাই। বলতে চাই। পারিনা ।

২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৬

শেরজা তপন বলেছেন: সিরিজের আগের পর্ব গুলো পড়া হয়নি- আমার মনে হল ঘটনাটা বর্তমান তাই এমন মন্তব্য করলাম।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আগেরগুলো পড়েন তপনভাই। যদিও জানি মানুষের সময়ের বড় অভাব। এই যে দেখেন আমি নিজেই সময় পাই না। জরুরী কাজ ছেড়ে লিখছি। কারণ লেখাটা যখন শুরু করেছি শেষ না করে থামি কেমনে?

মা হবার মত বাবা হবার অনুভূতিটাও মজার তাইনা? আপনি বাবা হলে সেটা বুঝবেন। শুভ্রের অনুভূতিটাও লিখবো এর পরের পর্বে।
তবে সকল বাবাই যেমন এক রকম না সকল অনুভূতিও না।
ভালো থাকবেন আর অসংখ্য ধন্যবাদ।

৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: গল্পের নায়িকাকে বলছি -
আচার জাতীয় জিনিস খাবেন। এতে রুচি বাড়বে। তবে চিলেকোঠাই ভালো ছিল। পাঠকের মনের মধ্যে ওটা গেঁথে গেছে। প্রথমে এক জায়গায় ফ্লাটের দাম লিখেছেন। দাম না লিখে ভাড়া লিখলে পরিষ্কার হত। এখন যখন সন্তান শম্ভবা তাই লিফট না থাকলে ৫ তলা উঠতে কষ্ট হবে। অফিস থেকে ছুটি না পাওয়া পর্যন্ত কষ্ট বাড়তে থাকবে।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা ওকে আচার খাওয়াবোনে নেক্সট পর্বে। ভালো কথা মনে করাই দিসেন। কিন্তু সমস্যা হলো নায়িকা টক খেতেই পারে না। সে নিয়েও গল্প আছে। গল্পে থাকবে। হ্যাঁ স্যরি দাম হবে না। ভাড়া হবে।
ওহ তাই তো লিফট নাই বাসাটায়। কষ্ট করতেই হবে। কি আর করা। বাপরে আপনারা এত মনোযোগী পাঠক কেনো? একটু ভুল করার উপায় নেই আমার।

কিন্তু খুশি হই যখন দেখি আপনাদের এই ভালোবাসাটা।

অফিস থেকে ছুটি পাওয়া না পাওয়াই কি মা হওয়া কি আর সোজা কষ্টের কথা! বাব্বা! সে যে মা হয়েছে সেই জানে।

৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: সুখের জীবন ,আহা সুখের জীবন। এমনটাই হয় বিয়ের পর কিছুদিন ।শুধুই সুখ আর সুখ।যদি দুইজনই কাছাকাছি মানষিকতার ও প্রেমে পড়ে বিয়া করে।
কিন্তু আপনি মানুষটা বহুত খারাপ।এত তাড়াতাড়ি তাদের হানিমুন পর্ব শেষ করে দিচছেন।যদি ও একটি বাচচা একটি সংসার পরিপূর্ণ হতে সাহায্য করে কিন্তু তখন স্বামী / স্ত্রীর উভয়ের মনোযোগ ডাইভার্ট হয়ে যায় বাচচার দিকে এবং তাকে ঘিরেই দিবস রজনী আবর্তীত হয়। কাজেই তখন হানির :P সাথে মুন আর মিলনের সুযোগ বেশী একটা পাবেনা।কি এমন অসুবিধা হত আর কিছুদিন পরে এ লক্ষণ টা দেখা দিলে। যাক তারপরেও খুশির খবর। উভয়েই কর্ম ফল লাভ করবে আর আমরা চাচা/চাচী হব মিঠাই খাব ।এ সাদি"কা (সাইড এফেকট ) ফলাফল।
আর প্রথম সন্তান নিয়ে প্রত্যেক স্বামী / স্ত্রীর ই অনেক আশা-প্রত্যাশা ,ভালবাসা থাকে।ছেলে হবে না মেয়ে হবে হলে কার মত হবে কি ভাবে মানুষ করবে ।এই সব চিন্তা মনের ভিতর প্রতিনিয়ত ঘুরপাক খায়।
যাক সবশেষে যদিও আপনি এখনো স্পষ্ট করে খুশ খবর দেন নাই তারপরেও আশা করছি পরের পর্বে আপনি খুশ খবর ই দিবেন খারাপ কিছু নয়।
পরের পর্বে মিঠাই খাব এই আশায় রইলাম।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা এই পর্ব লিখে তো বিপদেই পড়বো মনে হচ্ছে। তবে আপনি চাইলে এই খবর হটিয়ে হানিমুনেও নিয়ে যেতে পারি। তারপর হানিমুনের পরেই না হয় আবার সুখবর পাওয়া যাবে।

আপনাদের গল্পটা জানা থাকলে অবশ্য দুটোকে জোড়াতালি মিলিয়ে একটা উপন্যাস রচনা করা যেত।
ধন্যবাদ অসংখ্য আবারও কামরুজজামান ভাই।

৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৭

শেরজা তপন বলেছেন: একটু অবসরে ছিলাম তাই পড়েই ফেললাম সবগুলো পর্ব!

এক থেকে পাঁচ - ছয় এর মাঝে ভুত এসে পড়ল!! তারপরে ফের ভূত-কাল নিতে টানাটানি( মানে প্রথম পর্ব)। ছয় পর্ব বেমালুম গায়েব হয়ে সাতে পদার্পণ!! আপনার লেখা এত সাবলীল আর প্রানবন্ত যে এই সিরিজের আরো কয়েকখানা পর্ব থাকলেও একবারে শেষ করতাম। এর পরে আর মন্তব্যে ভুল হবে না :)

ও একটা কথা; বাবা হবার সৌভাগ্য হছে আমার!

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: প্রথমেই বাবা হবার শুভেচ্ছা।
তবে বাবা হবার খবরটা জানার পরে আপনার অনুভূতি কেমন ছিলো জানা গেলে আরও বুঝতে সুবিধা হত মনে হয়। যদিও আগেই বলেছি সবার অনুভূতি সমান নয় তবুও জানতে ইচ্ছে করে।

৬ পর্ব গায়েব না তপনভাই। দাঁড়ান লিঙ্ক দিচ্ছি। আপনি প্রথম থেকে পাঁচ পড়েছেন ওসব প্রথম পাতায় এক্সেস পাবার আগের পর্বগুলো ছিলো। এক্সেস পেতে চাইনি। নিজের মত করে লেখা এবং গুটিকয় যারা পড়ছিলেন তাদের নিয়েই সুখী ছিলাম। তবে সকলের অনুরোধে ও মডু ভায়ের চোখে পরে যখন প্রথম পাতায় এসেই গেলাম তখন সবগুলো পর্বের লিঙ্ক দিয়ে নীচে ৬ পর্ব দিয়েছিলাম সেটা আপনি খুঁজে পাননি।

আপনার লেখা এত সাবলীল আর প্রানবন্ত যে এই সিরিজের আরো কয়েকখানা পর্ব থাকলেও একবারে শেষ করতাম। এর পরে আর মন্তব্যে ভুল হবে না

এই প্রসঙ্গে বলতে চাই নিভৃতে নীরজনে বসে যে মনের অর্গল খুলে লিখতে চেয়েছিলাম একটা গরু সেখানে এসে বাঁধা দেবার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছিলো। যাইহোক আপনাদের এই ভালোবাসার কথাগুলি এই লেখা আমাকে লেখাবে। আপনার এইটুকু কথা অন্তরের গভীরে নিয়ে রাখলাম তপন ভাই। ভালোবাসা জানবেন।

৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: প্রথম দিকের কয়টা পর্ব জানি পড়েছি, মনেও নাই। একটু অবসর পেলেই নতুন-পুরানো সবগুলো পর্ব পড়ে ফেলবো। বর্তমানে মহাব্যস্ত। :((

এই গল্পটা বই আকারে বের হবে না? আমার বুক শেলফে এখনও কিছু খালি জায়গা আছে। =p~

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা বই আকারে বের হবার আগেই তো নিভৃত নীরজনে মন খুলে লিখতে যাওয়ায় ব্যঘাৎ ঘটেছে। তবুও লিখবো। আপনিই প্রকাশ করে দিয়েন বই আকারে।

৭| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সাচুর মন্তব্যের সম্বোধনটা মজার ছিল।

আমিও গল্পের নায়িকাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। ভাস্কর আর নির্ঝরের উপস্থিতিতে একটু শঙ্কিত। প্রেম কোন দিকে মোড় নেয় সেটা নিয়ে। মানুষের মন হলো নদীর স্রোতের মতো, যেদিকে ঢালু পায়, সেদিকে গড়ায়।

মনে হচ্ছে, কষ্টের জীবনের সূচনা। শিশুর জন্ম হয়ত নতুন ও সুখকর কিছু নিয়েও আসতে পারে। দেখা যাক, কী হয়।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩৯

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা শুধু সাচু কেনো সবার মন্তব্যেই মজা পাচ্ছি। গল্পের নায়িকাকে আমারও অভিনন্দন। তবে নিশ্চিন্তে থাকেন ভাস্কর নির্ঝরের সাথে নায়িকার দেখাই হয়নি। সে তো শুভ্রের প্রেমে কানা হয়ে ছিলো।

শিশুর জন্মই কি সবচাইতে আনন্দের না? একজন মায়ের কাছে সম্পূর্ণ দুনিয়াই আঁধার হয়ে যায় সন্তানের ভালোবাসার কাছে পুরো পৃথিবী অন্ধকার। শুধু সেই সন্তানই তখন পুরো পৃথিবীর আলো।

৮| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩৮

আমি সাজিদ বলেছেন: চিলেকোঠা থেকে কানাডা সিটিজেনের ফ্ল্যাট। গল্পের মজা কি মারা গেল? নাহ। বাকিটা পড়ে পরে আরও কমেন্ট করতেসি।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: মজার মারা আর বাঁচাতে কি যায় আসে? তবে জীবনের সব ক্ষেত্রেই আসলে আনন্দ। গভীর দুঃখের মাঝেও আসলে আনন্দই লুকিয়ে থাকে বা দুঃখরা আসলে ক্ষনস্থায়ী কিন্তু আনন্দ চিরস্থায়ী।

৯| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০৬

নিঃশব্দ অভিযাত্রী বলেছেন: হুট করেই আজকে আপনার এই লেখাটা পড়লাম। দাম্পত্য টুনাটুনি সংসারের গল্প বেশ ভাল লেগেছে। সময় করে বাকি পর্বগুলিও পড়ে দেখতে হবে।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ধন্যবাদ হুট করে পড়বার জন্য। বাকী পর্বগুলো পড়ে আসলে রেশটা বুঝতে সুবিধা হবে। অনেক ধন্যবাদ আবারও।

১০| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: মিরপুর কত নম্বরে বাসা নিবেন? একনম্বরে নিয়েন। আমি মাঝে মাঝে এক নম্বরে যাই। নাখালপাড়া থেকে মিরপুর যেতে ৩ ঘন্টা লাগলো? আপনি মনে হয় জ্যামের সময় ঘর থেকে বের হয়েছিলেন? বলছেন দুই রুমের ফ্লাট। ছোট্র কিন্তু সুন্দর। ভাড়া কত? পানি গ্যাস সব সময় থাকে। বাড়িতে গিয়ে সিকিউরিটি গার্ড আছে? চায়ের টেবিল কেনার দরকার নাই। এরকম বিলাসিতা বাদ দিতে হবে। ফ্রেশ হাউজ থেকে কেনাকাটা করবেন না। ওরা দাম বেশি রাখে।

শুভ্রর সাথে আমার মিল আছে। আমি প্রচুর বই পড়ি। এবং আমি দুনিয়ার কোনো কিছু নিয়েই সিরিয়াস না। হাঁ হাঁ হাঁ
বই গুলো আপাতত ঘরের চিপায়চাপায় রেখে দিন। যতদিন ভাড়াবাড়িতে থাকবেন তত দিন কিছু কেনার দরকার নাই। বেশি জিনিস হলে বাসা পাল্টাতে সমস্যা। কাজেই শুধু টাকা জমান। কিছু টাকা জমে গেলে ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিয়ে একটা ফ্লাট বুকিং দিয়ে দেন।

সুরভির সাথে বিয়ের আগেই এত এত ফুচকা আর আইস্ক্রীম খেয়েছি যে বিয়ের পর ফুচকা আইসক্রীম কম খেয়েছি। অসুস্থ হলে সবার আগে মা বাবাকেই সবার আগে মনে পড়ে। ছোট্র একটা কাজের ছেলেমেয়ে রেখে নিন। দরকার আছে। বিয়ে রপর বমি মানেই বাচ্চা । হে হে । বেবি হওয়া অনেক আনন্দের। কিন্তু দিকদারিও কম নয়।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: মিরপুর ১২ নাম্বার এটা। একটা স্কুল আছে না গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ। সেটার পাশ দিয়েই গেছে। এখন বের করেন রোডের নাম ভাই। হ্যাঁ বলেছি তো জ্যামের সময়। ভাড়া খুব কম ছিলো ১২ হাজার টাকা। পানি গ্যাস সব সময় থাকে। দুই রুম কিন্তু ড্রইং ডাইনিংও আছে। সেসব খালি পড়ে ছিলো। হ্যাঁ সিকিউরিটি গার্ড ছিলো কিন্তু গ্যারাজ ছিলো না। চায়ের টেবিল কেনাই হয়নি তাদের। অনেক পরে সোজা ডাইনিং টেবিল। আকতার থেকে। হা হা
ফ্রেশ হাউজে তখন কাটা মাছ বিক্রি হত। মাঝ কাটার ঝক্কি আর কাঁচা বাজারের ঝক্কি থেকে বাঁচোয়া।

তাই মনে হচ্ছে শুভ্র আপনার মত। কিন্তু আপনি মানুষটা সোজা সাপ্টা আর শুভ্র আসলে গভীর জলের মাছ। টাকা জমিয়ে কি হবে এটা আমি ভাবি বটে তবে তবুও জমায় কিন্তু শুভ্র বড়ই উড়নচন্ডি। এক টাকাও জমাবার ক্ষমতা নেই তার।
ফুচকা আইস্করিম বিয়ের আগে বেশি ভালো। বিয়ের পরে চাইনিজ। ওহ হ্যাঁ ভালো কথা মনে করালেন তো। মিরপুরে তখন এটাই চাইনিজ দেখতাম। ব্লু লেগুন। সেখানেও খাওয়াতে নিয়ে যাবো ওদেরকে মানে ওরা খেয়েছিলো শুভ্রের জন্মদিনে।
ছোট্ট একটা মেয়ে রাখার কি দরকার? অযথা চাইল্ড ওয়ার্কার। তার থেকে বাবু হোক তখন ভাবা যাবে। হা হা বেবির দিকডারী কি তা বাবু না হলেও আমি জেনে যেতাম মানে অলরেডি গেছি আর কি।

রাজীবভাই

আপনি এই লেখা মন দিয়ে পড়েছেন বুঝাই যাচ্ছে। যাক মন দিয়ে না পড়ার বদনাম ঘুচলো আপনার।

১১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: এটা কোনো গল্প নয়। এটা বাস্তব গল্প। লেখা পড়লেই তা বঝা যায়।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা রাজীবভাই। সারাদিনের ব্যস্ততায় উত্তর দিতে একটু লেট হচ্ছে। আপনার উপরের মন্তব্যের জবাব ধীরে সুস্থে দিচ্ছি কিন্তু একটা কথা বলি। সব গল্পই কিন্তু জীবন থেকেই নেওয়া। আর আমি কখনই কোনো কিছু আকাশ থেকে আকাশ কুসম পেড়ে লিখি না। আমি যা লিখি ৯০% আমার দেখা জানা ও শোনা মানে একেবারেই বাস্তব। আর বাকীটা কোনো কিছুর আড়ালে বলা আর কি। যাইহোক এই বাস্তব নাকি অবাস্তব গল্পটার পটভূমি কোথায় এবং কি নিয়ে লেখা গল্প শেষে বলে দেবো রাজীবভাই।

অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালোবাসা আপনাদের সবার জন্য।

১২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩২

শুভ_ঢাকা বলেছেন: কাল রাতেই সবগুলো পর্ব পড়েছিলাম। রাতের দিকে মানুষের আবেগ কি একটু বেশী থাকে। আপনার লেখা পড়ে একটা ঘোরের মধ্যে ছিলাম। মনে হচ্ছিল কোন একজন অদৃশ্য মানুষ তার শব্দের জালে ফেলে আমাকে নিয়ন্ত্রণ করছে। অন্যদের কথা বলতে পারবো না। আমি সচরাচর গল্পের বই পড়ি না বলে হয়ত আমার উপর এর প্রভাবটা একটু বেশী হতে পারে। এনি ওয়ে একবার যখন পড়া শুরু করেছি শেষ পর্ব অবধি না পড়ে নিস্তার নেই।

এই লেখা পড়ার কথা সুপারিস ছিল। কিন্তু আমি দ্বিধায় ছিলাম। এই সিরিজ গল্প পড়ার চক্করে পড়বো কিনা। সেই সংশয় দূর করেছেন ব্লগার পুলক ভাই। নজরে পড়লে কোন লেখায় উনার কমেন্ট সাধারণত আমি পড়ি। @পুলক ভাই আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার কমেন্ট অনুসরণ না করলে এই সুন্দর লেখা পড়া থেকে বঞ্চিত থাকতাম।

লেখিকা আপনার লেখা পড়ে আমি স্পেলবাউন্ড!

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: এমন কমেন্টগুলি পড়ার পর বুকের মধ্যে একটা সুশীতল স্নিগ্ধ হাওয়া বয়ে যায়। জানিনা হুমায়ুন আহমেদ, রবিঠাকুর, নজরুল বা বড় বড় লেখক সাহিত্যিকদের কেমন অনুভূতি হত তবে আমার অনুভূতিও ভাষায় প্রকাশ করবার নয়।

আপনাকে কি বলে ধন্যবাদ জানাবো? ভালোবাসা বা কৃতজ্ঞতা জানাবো তাও জানাবার ভাষা নেই শুভ ভাই।
শুধু দোয়া করি অনেক ভালো থাকেন। আনন্দে আর সাফল্যে থাকেন।

১৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ১ম সন্তানের জন্য অনেক ভাবনা মনে উকি দেয়। কেমন হবে, কি করবে, কখন হবে আর কত কি..............।

সুন্দরভাবে চলছে ধারাবাহিক।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৯

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হ্যাঁ অনেক স্বপ্ন, অনেক অজানা, অনেক অভিজ্ঞতা। মাইদুল ভাইয়া ধন্যবাদ অসংখ্য।

১৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সাহিত্যে যদি জীবনের ছোঁয়া না থাকে সেই সাহিত্য রসালো হয় না । শুভ কামনা আপনার জন্য

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: জীবন মানেই গল্প আর গল্প মানেই জীবন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ নেওয়াজভাই। খুব সুন্দর একটা লেখা লিখেছেন দেখেছি। একটু সময় করেই পড়ে ফেলবো।

১৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে চমতকার প্রতিমন্তব্যের জন্য।

আসলে হঠাত করে খুশির খবর পেলাম তাই একটু কেমন কেমন লাগছে।এমন যদি হত ,এই পর্বে উনারা যেহেতু চিলেকোটা ছেড়ে ফ্ল্যাট বাড়িতে এসেছে,বাসা গুছানোর সাথে সাথে শুভ্রর যেহেতু লেখাপড়া প্রায় শেষ তাও শেস হয়ে যেত এবং সংসারের কাজের ফাকে ফাকে রাতের প্রেমের/অবসর সময় উভয়েই কোন একবার ভবিষ্যত পরিকল্পনার পাশাপাশি বাচচা নেবার / বাচচা সম্পর্ক উভয়ের একটু :P চুকা-মিঠা আলোচনা থাকত ,তাইলে মনে হ্য় কতনা মধুড় অইত।অর্থ্যাত, প্রত্যাশা এবং পাওয়ার মাঝে একটা বেশী পরিমান আবেগ বালাবাসা জড়িয়ে থাকত বইলা মনে অয়
(আপনি রাগ কইরেন না যে ,কতত বড় সাহস -আমারে জ্ঞেন দেয় ।আসলে আমনের লেখা বড় বালাবাই ।এর লাই বলা আরকি।পাগলের প্রলাপ মনে কইরা ভূইললা যাইওন)।

সেই রম অছছে।+++।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা এই লেখার মন্তব্যগুলিই আরেকটা গল্প হয়ে যাচ্ছে কামরুজ্জামান ভাই। বাচ্চা সম্পর্কে চুকামিঠা আনা যাবে। অবশ্য সব বাবামায়েরই এই চুকামিঠা থাকে। আপনার অভিজ্ঞতা একটু শেয়ার করেন। বাবা হয়ে থাকলে কি রকম আশা প্রত্যাশা করেছিলেন।

আমি তো রাগ করিইনি বরং আরও কিছু জ্ঞানের পরামর্শ চাচ্ছি যেন গল্পে তা লিখে ফেলতে সহজ হয়। কারণ জানেনই সহজ কথা যায় না বলা সহজে। আর তাই তো মনের কথা ভাষায় আসে না আর তাই সেই সাহায্য পেলে ভালোই হত। না না কিক্সুই ভুলছি না। মনে রাখছি। দেখি কতটুকু ভাষায় আনতে পারি।
তবে একটা জিনিস দেখে আমি যেমনই মুগ্ধ তেমনই আশ্চর্য্যান্বিত! আপনাদের ভালোবাসা এবং দূর্জনকে না পাত্তা দিয়ে লাপাত্তা করে দেওয়া।

কি বলে ধন্যবাদ দেবো বলেন?

১৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৫

মিরোরডডল বলেছেন:



এই যে আমাদের কবিতাপু, এদেরকে তুমি অবশ্যই হানিমুনে নেবে । একটা রোম্যান্টিক পর্ব মাস্ট চাই । তারপর না হয় ওখানেই শুভ্রকে শুভসংবাদটা দিবে ।

ভুম কিন্তু ভালো কথা বলেছে আপু । তোমার এই লেখাটা এতো সুন্দর হচ্ছে এটা কিন্তু একটা বই হতেই পারে । কালেকশনে রাখার মতো হবে ।

আপুটা, ছবির বাবুটার পা দুটো কি যে গুল্লু গুল্লু এতো কিউট, খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে । এতো সুইট কেনো !


২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ওকে ওকে তাই হবে।

পরের পর্বেই কক্সেসবাজার নিয়ে যাই তাহলে।

ভূম শুনে প্রথমে একটু খুঁজে নিলাম ভূমিকম্প টম্প হলো নাকি! পরে মনে পড়লো মফিজ ভাই। হা হা হ্যাঁ এই বই মফিজভাই বের করবেন আমার পক্ষ থেকে। উনার সেল্ফে জায়গা আছে।

আপুটা, ছবির বাবুটার পা দুটো কি যে গুল্লু গুল্লু এতো কিউট, খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে । এতো সুইট কেনো !

হা হা আপু নীচে ঢুকিচেপা আপুর কমেন্ট দেখো। হা হা হা

১৭| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৯

জাহিদ হাসান বলেছেন:

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন জাহিদভাই।

১৮| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩২

ঢুকিচেপা বলেছেন: একের পর এক শুধু সুসংবাদই পাচ্ছি কিন্তু মিষ্টি আর পাওয়া হচ্ছে না।
চুয়াত্তর ভাই যে প্রেসক্রিপশন দিয়েছে ওটা ফলো করবেন।

“ রাস্তার ঠিক উলটো পাশেই একটা গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ।”
গার্লস স্কুল যখন বাড়ীর কাছেই তাহলে আপনার মেয়েই হবে..... হা হা হা

“ আপুটা, ছবির বাবুটার পা দুটো কি যে গুল্লু গুল্লু এতো কিউট, খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে”
এই সেরেছে!!!!
কেউ হয়তো বাবুটার মাথা খেয়ে অর্ধেক করে রেখেছে, এখন মিররডডল আপু যদি পা দুটো খেয়ে ফেলে তাহলে তো বাবুই থাকবে না!!!!!!!!!

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা হা আচ্ছা তুমি কি বলোতো আপু!! হাসতে হাসতে মরে গেলাম। কেউ বাবুটার মাথা খেয়ে অর্ধেক করে রেখেছে! হা হা হা হা
একটা ঝামেলাময় কাজের হিসাব নিকাশে আছি। মাঝে মাঝে এসে কমেন্ট দেখে যাচ্ছি। আর এর মাঝে এমন কমেন্ট পড়ে সবার কমেন্ট বাদ দিয়ে এটারই উত্তর দিতে হলো।

আমার খুবই ইচ্ছা করভছে ঢুকিচেপা আপুটা কেমন দেখতে আর কতটা দুষ্টু!

মিররডল আপু এই কমেন্ট দেখলে হাসতে হাসতে মরবে।

১৯| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০০

আহমেদ জী এস বলেছেন: কবিতা পড়ার প্রহর,




চিলেকোঠা থেকে ঝা চকচকে ফ্লাট। চিলেকোঠার মজা আর ফ্লাটে পাওয়া যাবেনা্, সে পথ কিন্তু বন্ধ করলেন। তার উপরে কাঁটাতারের বেড়া দিতে যাচ্ছেন একটা বেবী এনে।
দেখি বেবীর মতো হামাগুড়ি দিয়ে চিলেকোঠার প্রেম আর কতোদূর গড়ায় .................

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: তাই তো ভাবছি। সবাই যেভাবে চিলকোঠাকেই ভালোবেসে ফেলেছে। এত সুন্দর ঝা চকচকে ফ্লাটকে পছন্দই করছে না। আরও বেবিটাকে তো সহ্যই হচ্ছে না কারো। রোমিওজুলিয়েট প্রেমটাই মনে হয় টেনে টুনে শেষ পর্যন্ত নিয়ে যেতে হত।

কিন্তু প্রশ্ন হলো এই জীবন নাট্যের পুরোটা জুড়েই কি শুধুই মানুষ রোমিও জুলিয়েট হয়ে বাঁচতে পারে!

২০| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঢুকিচেপাকে আপু বলা হচ্ছে। উনিও না করছেন না। তার মানে ঢুকিচেপা আপু। কি বলেন।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ঢুকিচেপা তো আপুই। ঢুকিচেপা আপু শুধু আপুই না আপু নামের আড়ালে মজার একজন মানুষ। এত মজা করে কথা বলে। আর কেউ জানে না উনিই কিন্তু আমাকে এই ফ্লাটটা দিয়েছেন। বিশ্বাস না হয় আগের পর্বে গিয়ে দেখে আসেন বাড়ির চাবিটা।

২১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৮

আখেনাটেন বলেছেন: আগের পর্বগুলো পড়ি নি। তবে এই লেখা পড়ে মনে হল আগের গুলোও এমনই ঝরঝরে লেখায় হবে।

তবে টলতে টলতে পাশের বাড়ির দরজায় টোকা দিল, নাকি পাশের ফ্লাটের দরজায় টোকা দিল, কারণ বর্ণনা অনুসারে আশেপাশে আর কোনো বাড়ি ছিল না.........

আপনার লেখা এই প্রথম পড়লাম মনে হচ্ছে। ভালো লিখেন আপনি।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:১০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হ্যাঁ ঠিক বলেছেন বাড়ি হবে না পাশের ফ্লাট হবে। নাহ আপনাদের মত মনোযোগী পাঠকের ভয়ে তো আমার সবকিছুই এখন মেপে জুকে লিখতে হবে। বাড়ি মানে আর কি কথার কথা বলেছি। তাই একটু ভুল হলো। ওমন ভুলভাল আমি সব সময়ই বলি আর লেখাটাও তো ওমন স্টাইলেই বলছি। এত ধরলে কেমনে চলবে?

ভালো লিখি?
আমারও মনে হচ্ছে এখন আপনাদের আহ্লাদ পেয়ে। মাথায় উঠছি। আরও আরও লিখতে হবে।

অনেক ধন্যবাদ এমন মন্তব্যের জন্য।

২২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৫

করুণাধারা বলেছেন: চিলেকোঠার প্রেম পাঁচ তালায় এসে বদলে যাবে না তো? বেবী আসার খবরে মনে কু ডাক শুনছি, দেখি শেষ পর্যন্ত কী হয়!!

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:১২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: সবাই আমাকে চিলেকোঠা ছাড়তেই দিতে চাইছে না। ফিরে যাবো নাকি আবার এই বাসা ছেড়ে?
বেবি আসার খবর এখন শুভ্রকে দেওয়া যাবেনা মিরর আপার নিষেধ আছে। আগে শুভ্রকে না জানিয়ে কক্সেসবাজার ঘুরিয়ে আনি।

কিন্তু সেখানে আবার সুসজ্জিত হোটেল রুমে বমি টমি করে একাকার করলে কি হবে ভাবছি।

২৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: একদিন দাওয়াত চায়ের দেন।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:১৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: নীল সবুজ চুড়ি পরিয়ে ভাবীকেও আনবেন তো? কথা দেন। তো আপনাদের বাসাও কি ঐ দিকেই মানে ১২ নাম্বার মিরপুর?

২৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: খুব ভালো খবর, নুতন ফ্লাটে নুতনের আগমনীবার্তা। শুভেচ্ছা রইলো।
আপনি যে ছোট্ট ফ্ল্যাটের বর্ণনা দিয়েছেন,দুটি বেশ বড়সড় বেডরুম। একটি ডাইনিং ও লিভিং রুম মিলিয়ে বেশ খোলামেলা। দুদিকে দুটি লম্বা বারান্দা। তাহলে বড় ফ্ল্যাট বলতে কেমূ হবে মনে প্রশ্ন থেকে গেল।

প্রথম থেকে এখনও পর্যন্ত শুভ্রবাবুর চরিত্রটিকে বড় দুর্বল মনে হয়েছে। আগাগোড়া নিজের বক্তব্যকে তুলে ধরতে গিয়ে প্রধান পুরুষ চরিত্রটি ভীষণ ম্লাণ হয়ে গেছে। অবশ্য লা নুই বেঙ্গলির মির্চার মতো শুভ্রবাবু যদি আবার কলম ধরেন তাহলে অবশ্য দারুণ ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হবে। পাঠকরা চিলেকোঠার প্রেমের রস আস্বাদন করতে পারবে ষোলকলা।
যেহেতু এই পর্বে চিলেকোঠা ফেলে নতুন ফ্লাটে উঠেছেন কাজেই সিরিজের নামকরণও বুঝি এবার পরিবর্তিত হতে হতে পারে।

সবমিলিয়ে পোস্টে ভালোলাগা।
তবে একটি জিনিষ এখনও পেলাম না। সপ্তম পর্বটা আরেকবার দেখতে হবে।

শুভেচ্ছা জানবেন।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:১৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: তাহলে বড় ফ্ল্যাট বলতে কেমন হবে মনে প্রশ্ন থেকে গেল।

তাই তো । তবে এই ফ্লাট তেমন না তবে অনেক বড় বাড়ির চাইতে ছোট যেমন ধরেন ৫ হাজার স্কয়ার ফিটের তুলনায় একেবারেই ছোট। মাত্র ১৬০০ স্কোয়ার ফিট। তবুও বড় সড় রুমগুলিই বলা যায়।

শুভ্রকে বিশ্লেষন করা অবশ্য আমার কর্ম নয়। সে এক আশ্চর্য্য মনের মানুষ যেই মনের তল আসলে খুঁজে পাওয়া যায় না। এ
ব্যপারে অচীরেই বলবো।
নাহ সে কলম ধরবেনা হয়তো তবে কখনও এই সিরিজ পড়লে হয় মুচকি হাসবে নয় খেপে টং হবে।

নাহ সিরিজের নাম কেমনে পাল্টাই। হাজার হোক প্রেমের শুরু চিলেকোঠায়। আর জানেনই প্র‌থম প্রেমের সাথে আর কোনো প্রেমেরই তুলনা হয় না।

আচ্ছা কি খুঁজছেন এখনও বললেন না।

২৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৫২

ঢুকিচেপা বলেছেন: @সাড়ে চুয়াত্তর

“ ঢুকিচেপাকে আপু বলা হচ্ছে। উনিও না করছেন না।”

একে নতুন বিয়ে তাও পালিয়ে, এমন বিয়ে পাগল মেয়ের মাথা কি ঠিক আছে ?

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:০৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আপু......
নিজেকেই জামাই পাগল বলেছিলাম আজ আবার বিয়ে পাগল?
তুমি তো আচ্ছা দুষ্টু....

আমি তো ভেবেছিলাম আমার চাইতে আর কেউ নেই....

এখন দেখছি..... :-/

২৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৩৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কালকে লাইক দিছি আর আজকে পড়ছি

ভালোই লাগতেছে

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপা।
কাল রাত থেকে জ্বর আসছে। বেষম জ্বর। জানিনা কি হলো। ভয়ে আছি। দোয়া কইরেন।

২৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: অবশ্যই সুরভিকে আনবো। সুরভিকে ছাড়া বাকি জীবনে আমি কোথাও যাবো না।
না আমার বাসা মিরপুর না। আমার বাসা খিলগা, শাহজাহানপুর।
সুরভিদের বাসা মিরপুর।
তবে বিয়ের আগে টানা দুই বছর মিরপুরে ঘুরে বেড়িয়েছি। প্রেম করেছি।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: বাহ। প্রেম করে এবং বিয়ে করে আপনার মত সুখী কম মানুষই হয় হয়ত। অনেক অনেক শুভকামনা। সুরভি ভাবী আর আপনার দাওয়াৎ নতুন বাসায়।

২৮| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫১

খায়রুল আহসান বলেছেন: খুব সুন্দর গল্প! + +
চিলেকোঠা ছেড়ে নতুন বাসা নেয়ার ইতিবৃত্ত, বাসার বর্ণনা, নতুন সংসার গোছানোর বর্ণনা, বিরূপ দৈহিক আচরণের মাধ্যমে গল্পের নায়িকার মাতৃত্বলাভের আগমনী ঘোষণা, এ সবকিছুরই নিখুঁত ছবি খুব শৈল্পিক নিপুণতায় গল্পে এঁকে গেছেন। সবচেয়ে ভাল লেগেছে গল্পের সমাপ্তির দিকের শেষ ক'টি কথা- অত্যন্ত চমৎকার অভিব্যক্তি!
এ গল্পে আসা মন্তব্য এবং প্রতিমন্তব্যগুলোও খুব ভাল হচ্ছে। মন্তব্য/প্রতিমন্তব্য একটা পোস্টের প্রাণ।
এক সময় মিরপুর-১২ তে যাওয়া আসা ছিল, সেখানে আত্মীয়রা থাকতেন। তবে সেটা অনেক আগের কথা!
গল্পটা শুরুতেই একবার পড়ে গিয়েছিলাম। তখন মন্তব্য করার মত সময় হাতে ছিল না বলে শুধু ভাল লাগা + টা জানিয়ে গিয়েছিলাম।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হ্যাঁ আমারও সেই কথাকটিই মনে হয়েছে একমাত্র সেই অনুভূতির সঙ্গে যায়।
এ গল্পের মন্তব্য প্রতিমন্তব্য মজার। বলতে গেলে গল্প লিখে মজাতেই আছি। নানা রকমন আইডিয়া আর সকলের প্রানবন্ত পদচারণা আমার লেখাার ভাবনাকেও সমৃদ্ধ করেছে।
মিরপুর ১২ এর ঐ স্কুলটার নাম মনে পড়ছে না সম্ভবত ৪ নাম্বার রোডে।

অনেক ধন্যবাদ খায়রুলভাই।

২৯| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ ঢুকিচেপা - আপনি কবিতা পড়ার প্রহরের কাছে মেয়ে হিসাবেই থাকেন। আমরা কোনও আপত্তি করবো না। আপনিও আর আপত্তি কইরেন না। ওনার গল্পের নায়িকা এখন সন্তানসম্ভবা আর জামাইটাও কাজ কাম করে না শুধু বই পড়ে। এই সময় আপনি বেঁকে বসলে মানসিক চাপ সহ্য করতে পারবে না। :)

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা জামাইটা কাজ কাম করেনা শুধু বই পড়ে। হা হা আপনারা আসলেই বেশ মজার মানুষ। ঢুকিচেপা আপু তো দুষ্টু নাম্বার ওয়ান।

৩০| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২৩

ঢুকিচেপা বলেছেন: @ সাড়ে চুয়াত্তর

“ গল্পের নায়িকা এখন সন্তানসম্ভবা আর জামাইটাও কাজ কাম করে না শুধু বই পড়ে। এই সময় আপনি বেঁকে বসলে মানসিক চাপ সহ্য করতে পারবে না। :)

বেঁকে বসার প্রশ্নই আসে না। আমি ৬ টা চিঠি লেখার বদলে একটার উপর টার্গেট করে আছি। আমি শিওর মেয়ে হবে। এই মেয়েকে নিয়েই পালাবো। অনুষ্ঠান ছোট হলেও দাওয়াত পাবেন।
কবিতা পড়ার প্রহর তখন বুঝবে কত ধানে কত ............................

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ৬ টা চিঠি কাকে লিখবেন? একটার উপর টার্গেট কি? আমার তো মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে সব।

৩১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৪

মিরোরডডল বলেছেন:



ঢুকি বলেছে,
কেউ হয়তো বাবুটার মাথা খেয়ে অর্ধেক করে রেখেছে, এখন মিররডডল আপু যদি পা দুটো খেয়ে ফেলে তাহলে তো বাবুই থাকবে না!!!!!!!!!


আচ্ছা ঢুকি সত্যি করে বলবে এই বাবুর গুল্লু পা দুটো দেখে খেতে ইচ্ছে করেছে কি না ! আমি সিওর , যে ইচ্ছে করেছে :)

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা বাবুর পা খাওয়া নিয়ে ঢুকি আর ডলু আপার কান্ড দেখে হাসতে হাসতে মরলাম। নিজে এক পাগলে কিনা খায় ছাগলে কিনা বলের কমেন্ট পড়ে আরও হাসি মিরর আপা।

৩২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৮

মিরোরডডল বলেছেন:



আপুটা, আমার মনে হয় মাহার রেফারেন্সে লিখেছে যে ৬ টা না একটাই চায় আর সেটা তোমার হবু মেয়ে বাবু :)

কি করে জানে যে মেয়ে বাবু হবে ? সবজান্তা শমসের :)

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ওহ তাই হবে। হা হা

৩৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫০

ঢুকিচেপা বলেছেন: হাহাহা,,, এটা তো আপনার জন্য লেখা না, এটা সাড়ে চুয়াত্তর ভাইয়ের জন্য।

গল্পের নায়িকার যে মেয়ে হবে সেটার কথা বলেছি, আমি ওটাকে নিয়েই পালাবো। আপনি যেহেতু জেনেই গেলেন আপনাকেও দাওয়াত দিব।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ওহ তাই তো বলি। মাথার উপরে যায় কেনো?

৩৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৩

ঢুকিচেপা বলেছেন: @ মিরোরডডল

“ আচ্ছা ঢুকি সত্যি করে বলবে এই বাবুর গুল্লু পা দুটো দেখে খেতে ইচ্ছে করেছে কি না ! আমি সিওর , যে ইচ্ছে করেছে”

এতদিন তো নিহারি / পায়চা (Nihari) খেয়েছি। এখন বাবুর পা খেতে চাইলে ব্লগ তো ছাড়তেই হবে, মার একটাও মাটিতে পড়বে না। আর যাকে নিয়ে পালাবো ভেবেছি; তার পা খেয়ে কি কোলে করে নিয়ে ঘুরবো ?

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা নীহারি পায়চা বাবুচা। নীচে বাবু বাজারের কলিজাও খাওয়া যেতে পারে।

৩৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৩

মিরোরডডল বলেছেন:



মেয়ে বাবুর পাশে ঢুকি একটা বুড়ো ।
তাহলে এই মেয়ে বুড়োর সাথে কেনো যাবে B:-)
জাতির কাছে প্রশ্ন !


২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ঢুকি আপু কি বলে মিরর আপু!

৩৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৮

শাহ আজিজ বলেছেন: মন্তব্যগুলো আগে পড়ে নিলাম । গল্প পরে পড়ব । জানলাম তুমি শায়মা, ছদ্মবেশে আছ !!

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: গল্পটাও পড়েন শাহ আজিজ ভাই। এত সুন্দর প্রচারণা পেলামই যখন।

৩৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৫

শুভ_ঢাকা বলেছেন: ক্রিকেট খেলায় টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের কনসেন্ট্রেশন নষ্ট করার জন্য অপৌনেন্ট দলের প্লেয়াররা স্লেজিং করে যাতে ব্যাটসম্যান তার কনসেন্ট্রেশন নষ্ট করে নিজের উইকেট বিলিয়ে দেয়। জাঁদরেল প্লেয়াররা স্লেজিংইয়ের ফাঁদে পা দেয় না। আশা করি আপনিও তাই করবেন। :)

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: স্লেজিং কি জানিনা তবে বাবুবাজারের মত পাগলের প্রলাপ শুনে থমকে যাবো তা ভেবে ভয় করবেন না শুভভাই।
আমার লক্ষ্যে আমি সর্বদা অনড় অটল।
অসংখ্য ধন্যবাদ।

পরবর্তী পর্ব খুব শিঘ্রী আসছে।

৩৮| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০০

শাহ আজিজ বলেছেন: ভাল লাগলো তোমার ছোট গল্প ।

সবাই ছোট গল্প লিখতে গিয়ে হটাত ব্রেক করে । তুমিও করেছ , তাতে একটা আগ্রহ থেকে যায় এরপর কি হল কি হল !!


ভাল থেকো ।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৯

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ তবে এটা সিরিজ। ওহ সিরিজের লিংকগুলো দিয়ে দেওয়া উচিৎ ছিলো। আচ্ছা দিচ্ছি।

৩৯| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এক দৌড়ে পাঁচতলায়!
তা বেশ বেশ... টিপিকাল জুটির মতো মাথা ঘুরানি, বমি বমি ;) মন্দ না!
হা হা হা

ছেলে না মেয়ে মেয় নিয়ে ভাগা সবইতো শেষ! এর মাঝে আবার চারবিয়ের কিচ্ছা!
সারাদিনের ক্লান্তি শেষে যাও বসেছিলাম- সব দেখে শুনেই পুরাই হ্যাং :-B

সিরিজ চলুক আপন গতিতে - - -

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা চারটা বিয়ে হয়ে ভালোই হয়েছে। অন্তত চারটা গল্প লেখা যাবে। দরকার পড়লে আরও কয়েকটা করে নেওয়াও যেতে পারে।

৪০| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৮

আখেনাটেন বলেছেন: মন্তব্যের প্রতিউত্তর পড়তে এসে তো 'আমেরিকা' আবিষ্কার করে ফেললাম মনে হচ্ছে। :D

যাহোক, মনের আনন্দই বড় কথা। অসৎ উদ্দেশ্যে ছদ্মবেশ না ধরলে, আমি এটাতে খারাপ কিছু দেখি না। বরং ছদ্মতে যদি নয়া কংকাবতিরা চিলেকোঠার টেরেসে বসে চাঁদের রূপালী আলোয় কাল্পনিক জীবনের গল্প শোনাতে চায়। এবং অনেক মন্তব্য দেখে বুঝা যাচ্ছে অনেকেই তা শুনতে রাজি আছে। এতে নতুন কিছু সৃষ্টি হলে হোক না! এতে কেন এত হুলা-বালু!

বাবুমশাই বন্দুকবাজ দু-নলা বন্দুক নিয়ে হঠাৎ গুণী ব্লগারদের ধাওয়া দিল ক্যানে<<<<<<< :(



২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা বাবু মশাই এর হৃদয়ে বেদনা।
বড় বেদনা।

৪১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন:
জ্বর কি ভাল হইছে আপনার । দ্রুত নিরাময়ের জন্য দোয়া রইল । আর তার সাথে সাথে অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো পরের পর্বের লেখার জন্য।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ভাইয়া আপনি আমার জ্বরের খবর নিতে এসেছেন।জ্বর ভালো হয়েছে। আজ রাতেই শেষ করবো পরের পর্ব।

ভালো থাকবেন। দুষ্ট আত্মার আগমনের অপেক্ষায় আছি। ধূপ ধুনো রেডি করে রেখছি। ছেড়া স্যান্ডেলও মালা বানিয়ে রেখেছি তাকে বরণ করবো বলে।

৪২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৩:১৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমি তো পড়ার আগেই লাইক দিয়েছি, জানতাম ভালো লাগবেই। হাহা।
আমি খুব খুশি যে আপনার সিরিজটি সবার এত ভালোবাসা পাচ্ছে অবশেষে।

চিলেকোঠার কাহিনী শেষ হওয়ায় কেমন যেন খারাপ লাগছে, আহা ভালোই তো ছিল সেসব দিন। হাহা।

দেখি সামনের পর্বে কি আসে ওদের জীবনে - মেঘ নাকি রোদ? :)

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আরে সবাই দেখছি আমার চিলেকোঠার এক রুমটার প্রেমেই পড়ে গেলো। দেখো ও বাসায় কত সমস্যা ছিলো। মা বাবাকে কিভাবে আনতাম। তার মেয়ে চিলেকোঠায় এই পলেস্টারা খসা রুমে রয়েছে দেখলেই তো বাবা হার্ট এটাক করত।
এখন বেশ আনা যাবে। অবশ্য তার আগে ডাইনিং টেবিলটা কেনা দরকার। দেখি ঢুকিআপু দেয় কিনা উপহার!

৪৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:২৬

আনমোনা বলেছেন: এত্তোগুলো সিঁড়ি ভেঙ্গে উপরে উঠে দেখি চিলেকোঠায় নয়, বিশাল এক ঝা চকচকে, খোলামেলা ফ্ল্যটে এসে পরেছি। পদাতিক চৌধুরীর সাথে একমত, লেখাটা কেমন একরৈখিক হয়ে যাচ্ছে। ঝরঝরে লেখনি, তবে অন্য চরিত্রও গড়ে উঠা দরকার।

আহা, বাবু আসছে, এই সময়ে মা-বাবা, শ্বশুর-শ্বাশুরী, এদের কাছে না পেলে হয়?

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: বিশাল না তো। দুই বেড আর ড্রইং ডাইনিং মাত্র ১৬০০ স্কয়ার ফিট। তবে ঝা চকচকে বটে। কিনতু লেখায় তো কত মানুষ এলো গেলো। বাড়িউলি। তার মেয়ে, বন্ধুরা, বন্ধুর বউ, শ্বশুর শ্বাশুড়ি ননদ মাছওয়ালা। ওদের কথাও তো বলছি মানে যা চোখে দেখা যায়। ওদের মনের কথা বলবো কিভাবে? আমি তো আমার মনের কথাই লিখছি। ওদের মনের মধ্যে কেমনে ঢুকবো বলো? আমি কি ঢুকিচেপা আপু নাকি!


যাই হোক আপু ভালোবাসা আর ভালোবাসা! আমি ধন্য হয়েছি ওগো ধন্য। তোমাদের ভালোাবাসার জন্য।

তবে ওয়েট করো শুভ্রের কথা নিয়েও আসছি। ওর মনের মধ্যে যতটা পারা যায় ঢুকে আর কি। তবে শুভ্র কি আড় সোজা মানুষ? সে বলবে আরে আমি এটা ঐ জন্য সেটা সেই জন্য করেছি। স্বীকারই করবে তর্কবাগিসটা। :(

৪৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৩২

আনমোনা বলেছেন: শাহ আজিজ বলেছেন: মন্তব্যগুলো আগে পড়ে নিলাম । গল্প পরে পড়ব । জানলাম তুমি শায়মা, ছদ্মবেশে আছ !!

হাহাহা শাহ আজিজ। আমিও কিন্তু কন্কাবতীকে খুঁজছি।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: সেটাভতো থার্ড হাসব্যান্ডের মেয়ের নাম। ক্ষণজন্মটা বাবুটা বলে গেলো না!

আহারে বাবুটা। জন্মের সাথে সাথেই গলা ফেটে মরলো। :(

৪৫| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৬

আনমোনা বলেছেন: ওদের মনের কথা বলবো কিভাবে? আমি তো আমার মনের কথাই লিখছি। ওদের মনের মধ্যে কেমনে ঢুকবো বলো?

ওদের মনের কথা বলতে হবেনা। ওরা কি করে তাই বলুন। নায়িকা ঘর সাজাতে ব্যস্ত--শুভ্রও কি তাল দেয়, না বিরক্ত হয়? নাকি কোনোটাই না, নিস্পৃহ, নিজের মত পড়াশুনা নিয়ে থাকে?
আগের কয়েকটি পর্বে শ্বশুর বাড়ির লোকদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন, তাদের মিস করছি। তারাও কি আমাদের কথা মনে করছে?
শরীরের এই অবস্থায় হানিমুন হয় কি করে? মিররডডলের একদম বাস্তবজ্ঞান নেই। বরং দেখুন মায়ের সাথে সম্পর্কের বরফ গলানো যায় কিনা।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা ঠিক তাই। মিররডল ছোট মানুষ এত কিছু কি বুঝবে বলেন তাই একটু প্রবোধ দিলাম আর কি। গল্পের বাস্তব মাঝে মাঝে এদিকে ওদিকে ঠেলে দেওয়া যায় বটে। তবে এই গল্পে ঠেলাঠেলি নাই। ওকে ওরা কি কি করে এবং শুভ্রের মতিগতী সবই আসবে। শ্বশুরবাড়ির সাথে তো সবে পরিচয় করালাম। এই ঘটনা জানার পরে কি আর কোনো শ্বাশুড়ি আম্মা খবর না নিয়ে থাকতে পারবেন? বিশেষ করে কচি ছেলেটার মাথা কেমনে কড়মড় চিবিয়ে খেলো বউটা!

মায়ের সাথে সম্পর্ক সেও জানানো হবে। হা হা ধন্যবাদ আপা। চেষ্টা করবো নেক্সট পর্ব আজ কালের মধ্যে পোস্ট করে দেবার সাথে ওয়েট করবো আরও কিছু রবাহুত অনাহুত থুতো ভূতোদের জ্বলেপুড়ে মরণ দেখবার জন্য!

ভালোবাসা আর ভালোবাসা আপা!

৪৬| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৩

মা.হাসান বলেছেন: ঢুকিচেপা কি করিতেছে? এত দিন হইয়া গেলো এখনো আচার পাঠায় নাই? X((

ঐ জায়গাটা পুরবী সিনেমা হলের কিছুটা পরে , আমি চিনি। তবে এলাকাটা ভালো না। গার্লস স্কুলের ঐ দিকে কয়েকটা খারাপ জ্বিন আছে।

বাসায় বাচ্চাকাচ্চা আসিলে দুই পক্ষেরই শশুর-শাশুড়ির আচরনে পরিবর্তন হওয়ার কথা। তবে লোকজন যেরূপ বদ নজর দিতেছে তাহাতে আমার মন কু গাইতেছে।

শুভ্রর পরীক্ষা শেষ, এখন নায়িকা ছুটি পাইলে কক্সবাজার যাওয়া যায়; তবে প্রথম ট্রাইমেস্টারে ভ্রমন না করাই ভালো মনে হয়।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: বেশি দিন হয়নি তো মা হাসান ভাই। ঢুকিচেপা আপুকে দিয়ে আচার বানানো হবে।

ঐ দিকে জ্বীন থাকে নাকি? তাইতো এত মাথা ঝিন ঝিন করাইসিলো নায়িকার। তবে জ্বীনটা পিছু ছাড়ে নাই মনে হয়। রুপ পরিবর্তন করে এইখানেও হাজির হইসে। লরুজন, বাবু বাজার আবার নাকি সাত ভাই সাত বোন নিয়েও আসছে। ভাগ্যিস জ্বীনভূতে আমার ভয় নাই। নইলে যে কি হত!
যাইহোক কক্সেসবাজার যাওয়া আমারও মনে হয় ঠিক না। মিন্তু মিরর আপা তো তাইলে ঠেলে কক্সেসবাজার নিয়ে ছাড়বে। কই যে পালাই?

৪৭| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২৮

ঢুকিচেপা বলেছেন: @মা.হাসান

“ ঢুকিচেপা কি করিতেছে? এত দিন হইয়া গেলো এখনো আচার পাঠায় নাই? ”

এত কিরপিন লোক তো বাপের জনমে দেখি নাই।
চারআনার আচার হাতে করে নিয়ে গেলেও তো পারতেন!!!!!!
আমাদের মেয়ে এতবড় খাদক না যে আধাসের চালের ভাত খাবে, *তবে খেতেই যদি হয় তাহলে কচি ছেলের মাথা কড়মড় করে চিবিয়ে খায়!!!!! অল্পতেই সন্তুষ্ট।

আমি বুড়ো মানুষ, পাঁচতলা সিঁড়ি ভেঙ্গে উঠা আমার পক্ষে কি সম্ভব ?

(*সূত্র ৪৫ নম্বর কমেন্টের উত্তর)
“ বিশেষ করে কচি ছেলেটার মাথা কেমনে কড়মড় চিবিয়ে খেলো বউটা!”

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:১২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ঠিক ঠিক মা হাসান ভাই নিজে তো মহা কিপ্টা মনে হচ্ছে।

আর ছেলের মাথা কড়মড় করে খাওয়া নিয়ে সিরিজ আসছে।

ঢুকি আপা আচার বানান আপনার ওঠা লাগবে না আমি গিয়ে নিয়ে আসবো।

৪৮| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১৯

মিরোরডডল বলেছেন:



আনমোনা বলেছেন:
শরীরের এই অবস্থায় হানিমুন হয় কি করে? মিররডডলের একদম বাস্তবজ্ঞান নেই।


মোনাপু এটা কি বলে !!! :(
বেড়াতে গেলে অসুস্থ মানুষও সুস্থ হয়ে যায় । আর বাবু হওয়াতো কোনও সিকনেস না । এটাতো আনন্দের বিষয় । তাও একেবারেই শুরুর দিকে । হানিমুনে যেতে বাধা কোথায় ! :|
বেড়াতে গিয়ে শুভ্রকে এই নিউজটা দেয়া গল্পের একটা ক্লাইম্যাক্স হতে পারে ।

যাই হোক আপুটা, পরের পর্ব নিয়ে আসো ।



২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:১৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আহা কি আনন্দ! কেমন আনন্দ সেই জানে যার হয় মিরর আপা।
শুরু থেকে শেষ আবার হবার পরেও রাত জেগে ট্যা ট্যা তখন মায়ের ঘুমের কি দশা হয় ভেবে দেখো দেখি।

আর ক্লাইমেক্স?

সে তো জীবনের অংশ।

এসে যাবে শিঘ্রী।


নেক্সট পার্ট কখন দেবো বলা যাবেনা। জানতে পেলেই এসে হাজির হবে অতৃপ্ত আত্মার জ্বীন টা।

চুপি চুপি তোমাকে বলে আসবোনে।

৪৯| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: অপেক্ষা :(( আর কত।

ততদিনে ত বাচচা চৌবাচচা হয়ে যাবে ।মন যে মানে না ,তারপর কি হল জানবার মোনচায়

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: মাত্র সাত দিন লেট হয়েছে। তাও হত না জীবনে হাজারও ঝামেলা না থাকলে। আজ সব ঝামেলা পাশে ফেলে লিখতে বসেছি। তবে এই সাত দিনে ৭০০ বার পড়া হয়ে গেলো পোস্টটা ১০০টা কমেন্টও হয়ে গেলো নিন্দুকেদের বদৌলতে। সেই বা কম কি? বাচ্চা চৌবাচ্চা চাচা মামা যা ইচ্ছা তাই হোক ইহাও এক পরম প্রাপ্তি! ধন্যবাদ নিন্দুকেদের বেশি প্রাপ্য। তাই না? :)

আজই পড়াচ্ছি আপনাকে কামরুজজামান ভাই। নো মোর ওয়েট। :)

৫০| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৫

মা.হাসান বলেছেন: চারআনার আচার হাতে করে নিয়ে গেলেও তো পারতেন!!!!!!
ঢুকিচেপা যে আমার মতো কিরপিনকেও লজ্জায় ফেলিলো। চার আনার আচার? চার আনায় তো আচার নেয়ার পলিথিন পাওয়া যায় না। ঢুকির সমস্যা থাকিলে সাড়ে চুয়াত্তরের সাথে আলাপ করুক, সাড়ে চুয়াত্তর পাঁচ পয়সার জিনিসের খবরও রাখে।

মেয়ে পক্ষের এই সময় সিড়ি বাওয়া যাইবে না। ঢুকেচেপা বাইতে না পারিলে সমস্যা নাই, বিকল্প আছে।
আজ থেকে ৫০-১০০ বছর আগে ইউরোপের কোথাও কোথাও মিউনিসিপ্যাল ট্যাক্স এড়াইবার জন্য লোকে বাড়ির সিড়ি সরু রাখিতো (চওড়া সিড়িতে ট্যাক্স বেশি)। কিন্তু বড় ফার্নিচার বাড়িতে ঢোকানো হইবে কি ভাবে? এই জন্য হয়েস্টিঙ বিম ছিলো। কপিকলে বাধিয়া উঠানো হইতো। ঢুকিচেপাকে আমরা ছাদ হইতে দড়ি নামাইয়া এই ভাবে টানিয়া তুলিবো। কোনো সমস্যা হইবে না।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: মা হাসান ভাই ঢুকিআপা মনে হয় আমার গল্পটাকে সেই আদ্দিকালের বদ্দিবুড়িদের প্রেম কাহানীয়া গল্প ভেবেছে তাই আচার চার আনার যুগেই ফিরে গেলেন।

আর খুব শিঘ্রী তাইলে বাড়িতে কপিকলের ব্যবস্থা করি। ঢুকিআপাকে টেনে তোলা যাবে। আপনি চিন্তা করবেন না হাসান ভাই। আপনার তো সিড়ি ভাঙ্গার কোনো সমস্যা নাই। তাই না?

৫১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:৪৪

ঢুকিচেপা বলেছেন: “ ঢুকিচেপা যে আমার মতো কিরপিনকেও লজ্জায় ফেলিলো। চার আনার আচার? চার আনায় তো আচার নেয়ার পলিথিন পাওয়া যায় না।”

হায় হায়!! কি লজ্জা, কি লজ্জা!!!!
পলিথিন কিনতে হবে কেন ? পলিথিন তো রাস্তা ঘাটেই পড়ে থাকে। যদি চার আনার আচার না পাওয়া যায় তাহলে আনার অংকটা একটু বাড়িয়ে দিতেন, অল্প কিছু আনলেও তো মেয়েটা খুশি হতো।

“ একখানা শালপাতা জড়ানো গরম রসগোল্লা উনি শালপাতা শুদ্ধু তুলে দিলেন আমার হাতে।”

“ মা হাসান ভাই ঢুকিআপা মনে হয় আমার গল্পটাকে সেই আদ্দিকালের বদ্দিবুড়িদের প্রেম কাহানীয়া গল্প ভেবেছে তাই আচার চার আনার যুগেই ফিরে গেলেন।”

যে যুগে শালপাতা জড়ানো রসগোল্লা পাওয়া যায়, সে যুগে চার আনার আচার পাওয়া যাবে না তা কি করে হয় ?
আচার একটু পঁচা হলেও গুণাগুণ কিন্তু ঠিক থাকবে।

“ আর খুব শিঘ্রী তাইলে বাড়িতে কপিকলের ব্যবস্থা করি। ঢুকিআপাকে টেনে তোলা যাবে।”

আহ্ কি শান্তি!!!! সেই কবে উঠেছিলাম নাগর দোলায়!!!!
মানুষ আমার জন্য এত ভাবে ? ভেবেই চোখে পানি এসে গেল...
কপিকলের আয়োজনে দারুণ খুশি, খরচটা না হয় আমিই দিয়ে দেব।

“ আপনি চিন্তা করবেন না হাসান ভাই। আপনার তো সিড়ি ভাঙ্গার কোনো সমস্যা নাই। তাই না?”

সমস্যা নাই মানে ? অবশ্যই সমস্যা আছে। আধাসের চালের ভাত খাওয়া কোন মানুষ এতটা সিঁড়ি ভাংতে পারবে ? তাছাড়া কিরপিন লোকজন তো এত খরচ করে ঝুলে ঝুলে উঠার সুখ উপভোগ করতে পারবে না, তাই মা.হাসান ভাইকে আমি বগলদাবা করেই সাথে নিয়ে যাব।

আর হ্যাঁ, কপিকলটা ওভাবেই সেট করা থাকবে, মাঝে মাঝে ডাক্তারের কাছে চেকআপের জন্য ওটাই ব্যবহার করবেন। এটা বাচ্চা এবং আপনার দুজনেই জন্যই মঙ্গল।

{“ মিউনিসিপ্যাল ট্যাক্স এড়াইবার জন্য লোকে বাড়ির সিড়ি সরু রাখিতো (চওড়া সিড়িতে ট্যাক্স বেশি)।”
ফান করতে করতে কিছু শিখে বা জেনে গেলাম। ধন্যবাদ মা. হাসান ভাই।}

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৩:০৯

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা আপু আমিও জিবনেও জানতাম না মিউনিসিপ্যালের ট্যাক্সের জন্য আবার সিড়িরওকারবার ছিলো।

আপু তুমি আর হাসানভাই দুজনই কিপটা। তারপর তুমি আবার রাস্তায় পড়া পলিথিন দিয়ে মুড়ে আচার দিতে চাও?? ইয়াক থু থু.....

আবার তো বমি এসে গেলো। কি বিপদে পড়লাম। থাক আচারে কাজ নেই। তার থেকে পোলাও কোরমা রেঁধে দাওয়াৎ দাও। :)

৫২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২২

ফয়সাল রকি বলেছেন: যাহ, তাই বলে চিলেকোঠা থেকে বেরিয়ে পড়লো!!! গল্পের নাম পাল্টানো দরকার।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা না না শেষ এবং শুরু আর মেইন ঘটনা তো চিলেকোঠা ঘিরেই......ইহাকে বদলানো যাইবে না......

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.