নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লোকে বলে প্রথম প্রেমটা বড্ড কোমল\nএলোমেলোযায়না \nভোলা কোনোদিনও\nসত্যি কি তাই

কবিতা পড়ার প্রহর

কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে রাতের নির্জনে

কবিতা পড়ার প্রহর › বিস্তারিত পোস্টঃ

চিলেকোঠার প্রেম- ১০

১১ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৩


শুভ্র আমার হাতে রিপোর্টটা ধরিয়ে দিয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলো। আমি তখন কেবল ডালে বাগাড় দিয়েছি। পাঁচফোড়নের মৌ মৌ গন্ধে চারিধার মৌমিতাল। পাঁচফোড়নের মেথী কালিজিরা আরো নানা রকম মসলার ঝাঁঝালো অসাধারণ সেই গন্ধটার সাথে মৌমিতাল শব্দটা মানায় কিনা জানিনা তবে সেদিনের সেই গন্ধের সাথে মৌমিতাল ছাড়া কোনো শব্দই যেন ঠিক যায় না। কারণটা পরে বলছি। যাইহোক শুভ্রকে ওভাবে বোকার মত দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে রিপোর্টটা না খুলেই হাতে ধরেই আমি জিগাসা করলাম। কি আছে রিপোর্টে? কথা বলছো না কেনো?
শুভ্র অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে বললো, কি আবার? পজিটিভ...

আমার সারাজীবনে নাটক সিনেমায় দেখা আমি বাবা হবো? বাবা হতে চলেছি! এমনতর বলা উচ্ছসিত বা আনন্দিত বা বিস্মিত আনন্দে উদ্বেলিত কোনো নায়কের সাথেই সেই মুখের কোনো মিল নেই। একটু নির্বিকার আর একটু লজ্জা বা অপরাধী একটা ভাব বা কোনো ভাবেরই সাথেই সেই মুখের অনুভূতিটা খুঁজে পাই না আমি। কিন্তু তখন শুভ্রের মুখানুভূতি বা মনের অনুভুতি কিছুই দেখার সময় নেই আমার। আমি আপনার মাঝে আপনি হারা। আমার মনের মাঝে ততক্ষনে একশো ময়ুর নেচে চলেছে বর্ণীল পাখা মেলে। নাচ ময়ুরী নাচেরে, রুম ঝুমা ঝুম বাঁজে রে .....

আমি রিপোর্টটা খুলে বুঝবার চেষ্টা করলাম। শুভ্র বেডরুমে চলে গেলো। চারিদিকে ডাল বাগাড়ের মেথী কালিজিরা মৌরি নানারকম মসলাদার গন্ধ আর তার মাঝে আমার সাজানো গোছানো পরিপাটি কিচেনের ঠিক মধ্যিখানে রৌদ্রজ্জ্বল এক দুপুরের দিকের সময়ে সাদা হলুদ ফুলফুল কিচেন এপ্রোন পরে দাঁড়িয়ে থাকা আমি। আমার মুখে হাসি ধরে রাখতে পারছিলাম না। জানালায় একটা বোতলে মানিপ্লান্টের শিশু চারা। মনে হলো ওটাই আমার গর্ভের সেই অদেখা অজানা কিন্তু চিরচেনা শিশুটি।

আমি কোনোমতে রান্না শেষ করে বেডরুমে এলাম। শুভ্রকে খুব চিন্তিত আর বিষন্ন লাগছিলো। ও চুপচাপ চোখ বুঁজে শুয়েছিলো। আমি ওর কাছে গিয়ে বসলাম। বললাম, তোমার কি খুব চিন্তা হচ্ছে? শুভ্র বললো, না চিন্তা না ঠিক কিন্তু ভাবছি এত তাড়াতাড়ি একটা বাচ্চার দায়িত্ব নেবার সময় কি আমাদের এসেছে? আমি ভেতরে ভেতরে ফুঁসে উঠলাম। ক্রোধ চেপে বললাম, মানে কি? কি বলতে চাচ্ছো তুমি?

জানিনা আমার গলায় কি ছিলো। শুভ্র উঠে বসলো? বললো তুমি কি রেগে যাচ্ছো? দেখো ভালো করে চিন্তা করে দেখো। আমার পড়ালেখাই এখনও শেষ হয়নি। কোনো আয় নেই, উপার্জন নেই, কিছুই নেই। এই অবস্থায় একটা বাচ্চার খরচ এবং দায়িত্ব কি আমরা বইতে পারবো? আমি মাথা ঠান্ডা রেখে বললাম, শুভ্র আমি বেশ ভালো একটা জব করি। বিয়ের দায়িত্বও আমি নিজের উপরে নিয়েই করেছি কাজেই বাচ্চার দায়িত্বও আমার। তোমাকে ভাবতে হবে না। ভীষন রাগে কথাগুলো বললেও এরপরই আমি কেঁদে ফেললাম।

আজ বড় হাসি পায়। যত বাহাদূরী আর লম্ফ ঝম্ফই করি না কেনো আসলে বাংলাদেশের নারীদের ছিঁচকাদুনে স্বভাবটাই শ্বাসত। তার থেকে বুঝি বের হওয়া হয় না আমাদের। শুভ্র খুব ভয় পেয়ে গেলো। সেদিন বুঝলাম নির্বিকার শুভ্রের মাঝে কিছুটা দায়িত্বভীতি আছে তো বটেই আর সে কান্নাকে ভীষন ভয়ও পায়। আমি অবশ্য আমার কান্নাটাকে কখনও অস্ত্র বানাতে চাইনি। বরং শুভ্রসহ সকল দায়িত্ব নিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু শুভ্রের এই আগে থেকেই পিছিয়ে পড়া মনোভাবটাকে আমার ঠিক পছন্দ হলো না।

যাইহোক বিকেলে ডক্টর চেম্বার থেকে ফেরার পথে আমরা বইমেলায় গেলাম। বিশেষ কিছু বই কেনা হলো না আমার। উল্লেখযোগ্য বই এর মাঝে হাসান আজিজুল হক আর হুমায়ুন আহমেদের গল্প সমগ্র আর মনে হয় মহাদেব সাহার কবিতা কিনেছিলাম। সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে চাইনিজে গেলাম আমরা।মিরপুর ১০ নং এ সেই চাইনিজটা এখনও আছে কিনা জানিনা। তবে তখন মনে হয় ঐ একটাই ছিলো। নাম ছিলো এক বিখ্যাত সিনেমার নামে ব্লু লেগুন। এই নামের কারণ কি জানা নেই আমার।

সেই আলো আঁধারির মায়াময় পরিবেশ আর টুং টাং চামচ প্লেটের শব্দ আমি আজও কান পাতলেই যেন শুনতে পাই। কি একটা ইংলিশ গান বাঁজছিলো ঐ রেস্টুরেন্টে। খুব নরম সূর ছিলো কিন্তু গানের লাইনগুলি মনে নেই আমার। চিকেন কেশ্যুনাট সালাড, ফিসকেক আর স্যাটে খেলাম চেটে পুটে। জানিনা কেনো এত মজা লাগছিলো খেতে সবকিছু। একেবারে যেন আলাদা স্বাদ। বিধাতা কি তবে আমার জিভের স্বাদ বদলে দিয়েছিলো কিনা সে কটা দিন জানা নেই আমার। কিন্তু খানা পিনা যে এত মজাদার এত সুস্বাদু হয় কখনও জানা হত না আমার যদি না কখনও আমি ঐ পিরিয়ডটার মধ্যে দিয়ে না যেতাম। শুভ্র স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করছিলো কিন্তু পারছিলো না। সে ভেতরে ভেতরে দারুন উদ্বিগ্নতাই ভূগছিলো। সেটা তার চেহারায় স্পষ্ট হয়ে উঠেছিলো।

খানা শেষে হঠাৎ শুভ্র সাদা ধপধপে টেবিল ক্লথে সাজিয়ে রাখা টেবিলটার চিকন রুপোলী ফুলদানীটা থেকে আধফোঁটা মনোরোম একটা টকটকে লাল গোলাপের কুঁড়ি তুলে আমাকে দিয়ে বললো, নাও এই আনন্দের দিনে তোমাকে লাল গোলাপের ভালোবাসা দিলাম। আমার তো আর দেবার মত কিছু নেই তাই এই লাল গোলাপের শুভেচ্ছা। বলে সে হে হে করে হাসছিলো। যেন খুব একটা রসিকতা করতে পেরেছে। আমার মুখ গম্ভীর হয়ে গেলো। আমি জানি শুভ্রের কোনো উপহার দেবার ক্ষমতা নেই। এখন ওর কোনো দরকারী খরচ করবার জন্যও কোনো সামর্থও নেই তাই বলে এই সস্তা রসিকতাটুকু না করলেও হয়ত পারতো সে। নিজের বাগান কিংবা নিজের পয়সায় কেনা একটা মাত্র ফুলের কুঁড়ি বা নিজে হাতে কুড়িয়ে আনা কোনো ফুলের সাথেও এই রেস্টুরেন্টে সাজিয়ে রাখা বা ফ্রিতে পাওয়া বা আলগোছে পাওয়া ফুলকে আমি কিছুতেই মিলাতে পারলাম না।

আমি জানিনা আমি নিজেই ছোটলোকের মত ভাবছিলাম কিনা হয়ত এটা আমারই নীচু মনের পরিচয়। কিন্তু ভালোবাসা ফুল অবহেলায় পাওয়া হঠাৎ মনে পড়ে যাওয়া উপহার এসবের সাথে আমার ভেতরে পাওয়া এক পরম অর্ঘ্যের অস্তিত্বের অপেক্ষা আমাকে টাল মাটাল করে দিলো। আমি হঠাৎ হড় হড় করে সেখানেই সব বমি করে ফেললাম। শুভ্র, রেস্টুরেন্টের লোকজন, কাস্টমার সকলকেই এক বিতিকিচ্ছিরি পরিস্তিতিতে ফেলে দিলাম আমি। আমি ভীষন লজ্জা পেলেও সকলেই সেদিন আমাকে সহানুভূতির চোখেই দেখেছিলো। কিন্তু শুধু শুভ্র বা এই পৃথিবীর একটা মানুষও জানলো না কি তার কারণ ছিলো।

রাতে মা ফোন দিয়ে জানতে চাইলেন রিপোর্টের খবর। ফোনটা শুভ্রই রিসিভ করেছিলো। মা বললেন কালই উনি গাড়ি পাঠাবেন আমার জন্য। আর কোনো অজুহাত শুনবেন না তিনি। আমার এখন যত্নের প্রয়োজন। আমাকে উনি এ কটাদিন নিজের কাছে রাখতে চান। শুভ্ররও তাতে বেশ সায় ছিলো। সেও বললো হ্যাঁ এমনটাই হওয়া উচিৎ। তখন আমার মাথা ঠিক ঠাক কাজ করছিলো না কিন্তু আজ আমি ভাবি শুভ্রের এই দায়িত্ব এড়িয়ে যাবার ব্যাপারটি কি স্বভাবগত? নাকি তার অর্থনৈতিক সামাজিক অবস্থার অনিশ্চয়তা ছিলো? যাইহোক শুভ্রকে একা রেখে যেতে মন চাইছিলো না আমার। তাই ওকেও রাজী করালাম আমার সাথে যেতে। কিন্তু সাথে একটু ইগোও কাজ করছিলো। কই মা কিংবা বাবা একটাবারও তো বললো না শুভ্রকেও নিয়ে আসতে।

পরদিন সকালে শৈলীকে ফোন দিলাম আমি। শৈলীকে জানালাম তাদের বাড়িতে নতুন অতিথির আগমনের কথা। শৈলী শুনে ভীষন খুশি হয়ে উঠলো। চিৎকার করে আমার শ্বাশুড়িকে ডাকছিলো সে। আমি ভেবেছিলাম এই কথা শুনে উনার আবারও বুঝি বিলাপ শুরু হবে। কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে ধীর স্থির ও শান্ত গলায় বললেন তিনি। তুমি ঠিক আছো তো মা? এই অপ্রত্যাশিত কিন্তু পরম মমতাময় সম্বোধনে আমি নিজেকে সামলাতে পারলাম না। আমার গলা বন্ধ হয়ে আসলো। চোখ ফেটে জল। আমি কোনো মতে সামলে নিয়ে বললাম। আমি ভালো আছি।

উনি জানালেন পরদিনই রওয়ানা দেবেন তিনি। আমাকে নিয়ে যাবেন উনাদের কাছে। পুরোটা সময় যেন আমি সঠিক যত্নে কাটাতে পারি তাই উনাদের এই ইচ্ছা। আমি ভয়ে ভয়ে বললাম আমাকে তো ছুটি নিতে হবে আর এত তাড়াতাড়ি ছুটিও পাবো না আমি। কাজেই এখন কটা দিন বরং মায়ের কাছে থাকি। আমি ফোনের ভেতরেও উনার দীর্ঘশ্বাস শুনলাম। তবে উনি খুব বাস্তববাদী এবং বুদ্ধিমতী সেই তখনই বুঝতে পারলাম আমি। নিজেকে সামলে নিয়ে বললেন, এই কারনেই মেয়েদের চাকুরীর ঠিক পক্ষপাতি নই আমি। যাইহোক একটা কথা বলি। মা হওয়া অনেক কষ্টের। এত কষ্ট সামলে মা হতে হয়। এই সময়টুকুতে যত্নের প্রয়োজন। পারলে আমার কাছে বা নিজের মায়ের কাছে থাকো। সেটাই মঙ্গল।

গভীররাতে তখন প্রায় ঘড়ির কাঁটা বারোটা ছুঁই ছুঁই। আমার শ্বশুর মশায় ফোন দিলেন। উনি পরদিন ভোরেই রওয়ানা দেবেন। সাথে নিয়ে যেতে না পারুক তাদের পুত্রবঁধুকে আশীর্বাদ করে যেতে চান। উনার উচ্ছাস আমার বুকের গভীরে সারাজীবন গাঁথা রইলো। উনার কথা শুনে মনে হচ্ছিলো একটি ফুটফুটে সত্যিকারের শিশুর মুখ উনি ইতিমধ্যেই দেখে ফেলেছেন। শিশুটি যেন তার মুখ চেয়ে হাসছে আর সেই অপার্থীব আনন্দ তিনি কোনো ভাষাতেই প্রকাশ করতে পারছেন না। আমি দুচোখ বুঁজে একটি বয়স্ক শিশুর মুখচ্ছবির ভাঁজে খুজতে শুরু করলাম একটি অনাগত অদেখা নিস্পাপ কোমল ক্ষুদ্র শিশুর মুখ।

চিলেকোঠার প্রেম- ৯

মন্তব্য ৬০ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৬০) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:০৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে আবেগ ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচছে।তার পরেও এই সময়ে বাবা-মা,শ্বশুর-শ্বাশুরীর প্রতিক্রিয়া স্বাভাবিক ই ছিল।আর শুভ্র বরাবরই শুভ্রর মতই।শুভ্রর কাছ থেকে কিছু আশা করার মত আছে বলে মনে হয়না।

সকল প্রকার জটিলতা ছাড়া পরিবারের নতুন সদস্যের শুভ আগমনের প্রত্যাশায় ।

১১ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা শুভ্র এই পৃথিবীর সকল মানুষ থেকেই আলাদা এক স্বত্তা। এই লেখায় শুধু তার নেতিবাচক দিকগুকি ফুটে উঠেছে। কিন্তু অতি বাস্তববাদী এবং খুব অপকট যেই ব্যাপারটা আছে তার মাঝে এবং অসম্ভব বুদ্ধিমত্তা সেটা পজিটিভ হোক বা নেগেটিভ সেই দিকটা আসলে আমি ফুটিয়ে তুলতে পারছি না বা এখনও পারিনি।

অসংখ্য ধন্যবাদ কামরুজ্জামান ভাই। অনেক দেরী হলো এবারের পর্ব দিতে।

২| ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:১১

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি কি হিন্দি নাকি ডালে পাঁচফোড়ন দেন!!
বাবা হওয়া আনন্দের কিছু না। সন্তানকে মানুষ করা চারটেখানি কথা নয়।
বইমেলা?? মানে এটা পুরোনো গল্প?
ফিসকেক খেতে কেমন?

১১ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হিন্দি কি? হিন্দু বলতে চাচ্ছেন? হিন্দু ছাড়া কি ডালে পাঁচফোড়ন নিষিদ্ধ নাকি? জানতাম না তো।

হ্যাঁ বাবা হওয়া মনে হয় আসলে মা হবার চাইতেও কঠিন কিছু। যা সবাই হতে পারে না।

হ্যাঁ পুরোনো নতুন যা খুশি ভাবতে পারেন তবে পুরোনো কথাই তো লেখা হচ্ছে রাজীবভাই। গল্প তো রোজকার দিনের ডায়েরী না মানে পুরান মদ নতুন বোতলে টাইপ আর কি।

ফিসকেক খেতে দারুন মজা। আপনি জিনডিয়ানে ট্রাই করতে পারেন। ধানমন্ডি সাতাশ। আমাকে বললে আপনাকে না হয় দাওয়াৎ দিয়ে দেবো কালকেই।

৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:১৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আহা!
এমন গল্পে, এমন নিজের চেনাজানা পরিবেশ পেলে মনে হয় বুঝি আমিও ছিলাম আশেপাশেই!
হয়তো দর্শক হয়ে বা কোন চরিত্র হয়ে :)

শ্বাশুড়ি মার আবেগ টুকু বেশ লাগলো।
শুভ্রর দায় এড়ানো মনে হয় অর্থনৈতিক কারণেই বেশি ছিল। ছিল কি?
গল্পের শেষে হয়তো বুঝতে পারবো।

নবাগতের জণ্য অগ্রিম শুভেচ্ছা :)

১১ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা আমার তো সকলের কমেন্ট পড়ে পড়ে মনে হয় এই লেখার তারাও সবাই এক এক অংশ। ঢুকিচেপা আপু মা হাসান ভাই সোনাবীজ ভাই, মিররডল পাগলা আপা শুভ ভাই কামরুজ্জামানভাই রাজীব ভাই কোন দিকে যাই। কখন কি ধরে ফেলে।


হ্যাঁ শুভ্রের দায় এড়ানো অর্থনৈতিক বিপর্যয় আরও অনেক কিছুর বিপর্যয়ের কারণ আসলে অর্থনৈতিকই ছিলো। আরও কিছু ব্যাপার দেখি লিখতে পারি কিনা।

অনেক ধন্যবাদ ভৃগুভাই।

৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এই পর্বে মাহরিনের অভিমান বিক্ষুব্ধ মনের অস্থিরতা আমাকেও স্পর্শ করলো। বেশি স্পর্শ করেছে শুভ্র'র মা ও বাবার আন্তরিকতা। ভালো লেগেছে, বাবার বাড়ি ও শ্বশুর বাড়ি- উভয় বাড়ি থেকেই মাহরিনকে বাসায় নিয়ে যাওয়ার আকুলতা।

আবারও বলছি, প্রতিটা ছোটো ঘটনাকে খুব হৃদয়গ্রাহী করে উপস্থাপনের দক্ষতা আছে আপনার। এজন্য, প্রতিটা পর্বই ধারাবাহিক নাটকের মতো আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে।

'মনে হয়', 'হয়ত' এই কথাগুলো লেখাটাকে 'আত্মজীবনী' বানিয়ে ফেলছে। এগুলো এড়িয়ে লিখলে আত্মজীবনী ও গল্প - দুই ভাবেই পড়া যাবে ও উপভোগ্য হবে।

দারুণ পর্ব। শুভ্র'র ভয় ও শুকনো রসিকতার চেষ্টা মাহরিনের ভালো না লাগলেও পাঠক হিসাবে আমি এটা এনজয় করছি। ভাবছি, চালচুলোহীন ও অবস্থায় আমি হলে কী করতাম? আরো বেকুবের মতো ক্ষিপ্র হয়ে উঠতাম, শুভ্র তো তবু শান্ত ছিল। অনিশ্চিত ভবিষ্যত ভয়াবহ অনিশ্চয়তায় ভরা, যার ভেতর দিয়ে আমি নিজেও এসেছি :(

শুভ কামনা মাহরিন, শুভ্র ও তাদের প্রেমের ফসল অনাগত জাতকের জন্য।

১১ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: শুভ্রের এই রসিকতা কি ঠিক হলো?

দিতে পারেনা কিছু তাতে কোনোই ক্ষোভ থাকার ছিলো না কিন্তু রেস্টুরেন্টের টেবিলে সাজিয়ে রাখা গোলাপ নিয়ে এই ফাজলামীর মানে কি। ছোটলোকী টাইপ ব্যাপার না? আসলে শুভ্রের প্রেম আর গতানুগতিক প্রেম বা মানুষ প্রেমে পড়লে যে সব অনুভুতি হয় সেসব শুভ্রের প্রকাশ ভঙ্গিটা খুবই আলাদা। কিছুটা আবেগহীন তাই সঙ্গি বা সঙ্গিনীর জন্য দ্বিধাময়। আমি শুভ্রের আসল ব্যাপারটা আসলে ফুটিয়ে তুলতে পারছি না। কারণ শুভ্র আমার কাছেও এক রহস্যময় মনের মানুষ।

আর তার মা বাবা এরা ভালো মানুষ। চিরায়ত কিছু বৈশিষ্ঠ্য আছে আমাদের মধ্যবিত্ত সমাজের তার বাইরে নয়। তবুও সহজবোধ্য। শুভ্র মোটেও সহজ বোধ্য নয়।


অনেক ধন্যবাদ লেখার প্রশংসা করার জন্য আর মন দিয়ে পড়ার জন্য।

৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ব্লু লেগুন রেস্টুরেন্টের কথা মনে আছে। এখন আছে কি না জানি না। নাটক, সিনামাতে অন্তঃসত্ত্বা মাদের যেমন বমি করতে দেখা যায় বাস্তবে আমার মনে সবাই এরকম করে না। গল্পে নায়িকার আচরণ নায়িকা সুলভ কিন্তু শুভ্রের আচরণ নায়ক এর মত মনে হচ্ছে না। তাকে একটা গুরুত্বহীন চরিত্র মনে হচ্ছে। হয়তো আপনি তাকে নায়ক হিসাবে দেখাতে চাচ্ছেন না। গল্পটা আপনি হয়তো চাচ্ছেন নায়িকা কেন্দ্রিক। দুইজনে একসাথে জীবনের কঠিন সময় পার করছে এটা দেখতে পারলে ভালো লাগতো। শুভ্রর কোনও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না।

১১ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: শুভ্রের ভূমিকাটা কি করে ফুটিয়ে তুলবো বুঝতে পারছি না। ঠিক আছে নেক্সট পর্বে চেষ্টা করবো শুভ্রকে চেনাতে। আসলে এত বেশি ব্যাস্ততায় কাটছে দিন যে ঠিক ঠাক ভাবে চিন্তে মন খুলে যে লিখবো সে সময়টাও পাওয়া দুস্কর হয়ে পড়ছে। অসংখ্য ধন্যবাদ। নেক্সটে শুভ্রকে চিনতে পারবেন।

৬| ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আরেকটা ব্যাপার বলতে ভুলে গিয়েছিলাম। শুভ্র আর মাহরিনের মধ্যে দ্বন্দ্ব বা কনফ্লিক্টের পূর্বাভাস ছিল গল্পের শুরুর দিকে। এ পর্বে কনফ্লিক্টটা ততখানি গাঢ় মনে হয় নি, বিশেষ করে শুভ্র'র সাবস্ট্যান্ডার্ড রসিকতা, বাবা হওয়ার ব্যাপারে অনুচ্ছ্বাস বা নির্লিপ্ততা পাঠকের মনে শুভ্র'র বিরুদ্ধে খুব বিরক্তি বা রাগ সৃষ্টি করেছে বলে মনে হয় নি, বরং আমি তো এখনো তাকে পছন্দই করে যাচ্ছি :) এটা আপনার বর্ণনার গুণে হতে পারে। কিংবা, এ পর্যন্ত শুভ্রকে মাহরিনের রোমান্টিক প্রেমিক হিসাবেই দেখে এসেছি, সেজন্যও হতে পারে। শুভ্র'র বিরুদ্ধে আমাদের মন ক্ষেপিয়ে তুলতে হলে শুভ্রকে ভিলেন বানানো ছাড়া গতি নাই :) কিন্তু সেটা না হোক, তাই কামনা করছি।

১১ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: শুভ্রের বিরুদ্ধে খেপানোর কোনো ইচ্ছা নেই সোনাবীজভাই। শুভ্র ঠিক যা বা সহজে না হোক কঠিনে হলেও চিনেছি সেই চেনাটাই চেনাতে চাচ্ছি পারছি না আর কি। তবে নেক্সট পর্বে চিনানোর সর্বাত্মক চেষ্টা করবো। আর শুভ্র মাহরিনের দেখা পৃথিবীর সবচাইতে আলাদা এবং মূল্যবান মানুষ। তাকে ছোট করার কোনো ইচ্ছাই তার নেই।
শুধু অপকটে লিখতে চাইছি মনের ভাবগুলো যার যার মতন তেমন। জানিনা কতখানি সফল হবো।


শুভ্র এমনই মানুষ সবাই তাকে পছন্দ করবে। অতি সাধারণের মাঝেও অসাধারণ একজন।

৭| ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:১৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: অতুলনীয় ভাবনা । চলমান বাস্তবতা যথার্থ ও নিখুঁত লেখা

১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:২২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ধন্যবাদ নেওয়াজভাই।অসংখ্য ধন্যবাদ।

৮| ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:১৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনার গল্প লেখার স্টাইল ভালো।
আমার পছন্দ হয়েছে আপনার
চিলেকোঠার প্রেম!

১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:২৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাফ নূরুভাই।

৯| ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৩৫

মিরোরডডল বলেছেন:



মাত্র বিয়ে হলো । আর এর মাঝেই বাবু ?
Isn’t it too quick ! :|
কিছুদিন দুজনে লাভ বার্ড হয়ে উড়ে বেড়াবে, তা না , এর এখনই পাখির ছানা ?

এটা কি হলো , এর মাঝে আবার ব্লু লেগুন মুভির কথা মনে করালে ।
ব্রুক শিল্ড, এট দ্যা সেম টাইম ইনোসেন্ট এন্ড এট্রাক্টিভ । শী ওয়াজ অ্যামেজিং !

এটা কি বললে আপু, খানা পিনা যে এতো মজাদার সুস্বাদু হয় কখনও জানা হতো না এ অবস্থার মধ্যে দিয়ে না গেলে ??? আমিতো এ অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাইনি কিন্তু আমারও যে এরকম খানাপিনা অতীব সুস্বাদু লাগে , বিশেষ করে কেশ্যুনাট সালাড ।

শুভ্রটা যে একটা গাধা আবারও প্রমাণ করলো রেস্টুরেন্টের ফুলদানির ফুল দিয়ে উইশ করে, ফান করেও করা ঠিক হয়নি । খুব হালকা লাগলো বিষয়টা । এ ছেলের কপালে দুঃখ আছে ।

ছেলের চেয়ে বাবাকেই আমার বেশী পছন্দ হয়েছে । এরকম একজন মুরুব্বী পাশে থাকাও একটা ব্লেসিং ।
ভালো লিখেছো আপুটা । পরের পর্বের অপেক্ষায় ।



১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৪৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: এই কারণেই তো শুভ্রের মন খারাপ। সে মনে হয় আজীবন লাভবার্ড হয়েই উড়াউড়ি করতে চেয়েছিলো।
আর গাধা না হলে কেউ এই কাজ করে?
তবে সিনেমাটিক আবেগ মনে হয় তার মাঝে কাজ করে না এই আর কি।

আর বাবা আসলেও এক হীরার টুকরো বাবা। কোটিতে একটা মেলে। সদাই হরিষ। দুঃখ তাকে ছুঁতেই পারে না।

১০| ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৪৮

শুভ_ঢাকা বলেছেন: কবিতা পড়ার প্রহর,

এই পর্বও বেশ ভাল লিখেছেন। আপনার এই লেখার বাড়তি পাওনা হচ্ছে পাঠকদের ইনভল্বমেন্ট এবং তাদের মজাদার ও বিশ্লেষণী মন্তব্য।

আচ্ছা এই যে পাঠকরা নায়িকার "মেহরিন" বা "কবিতা" নাম দিচ্ছে। নায়িকাকে নিয়ে শুভ্র কক্সবাজারে হানিমুনে যাক। কেন এত তাড়াতাড়ি চিলেকোঠা ছেড়ে ফ্লাটে উঠে গেল ইত্যাদি ইত্যাদি ভাবে লেখার গতি প্রকৃতি নিয়ে কথা বলছে, নিয়ন্ত্রন করতে চাচ্ছে। এতে কি আপনি লেখার ক্ষেত্রে বাড়তি চাপ অনুভব করছেন। ফলশ্রুতিতে কেন বাড়িতে ফ্রিজ নেই তার ব্যাখ্যা আপনাকে দিতে হচ্ছে। আর এতে কি আপনার লেখার বা গল্পের স্বাভাবিক গতিপথ ব্যহত হচ্ছে।

আমি পাঠবিমুখতার কারণে তেমন বিশেষ কিছু জানি না। তবে এটা জানি যে অনেক সময়ই পাঠকরা লেখক/লেখিকার উপর চাপ সৃষ্টি করেন। আর লেখকরা অনেক সময় সেই চাপের কাছে নতিও স্বীকার করেন। উদাহরণস্বরূপ স্যার অর্থার কোনান ডয়েল একবার শার্লক হোমসকে মেরে ফেলেছিলেন। তিনি আর পারছিলেন না। হোমসের জনপ্রিয়তা তাকে ছাপিয়ে গিয়েছিল, প্লাস শার্লক হোমসের গোয়েন্দা কাহিনী লিখতে গিয়ে প্রচুর মাথা ঘামাতে হতো, ড্রাগ (কোকেন) নিতে হতো গভীর চিন্তার জন্য। শেষ পর্যন্ত তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন হোমস মেরে ফেলবেন। করলেনও তাই। কিন্তু পাঠকদের চাপের মুখে তাকে আবারও হোমসকে জীবিত করতে হল। একইভাবে লেখক শংকর "জন অরণ্য" উপন্যাস লিখে সমাজ মধ্যে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিলেন। সবাই বললেন, এটা উনি কি লিখলেন। মানুষ সমাজ এত খারাপ! বাধ্য হয়ে উনি জন অরণ্যের দ্বিতীয় খন্ড বের করে দেখালেন, উপন্যাসে নায়ক সোমনাথ পরিশেষে বন্ধুর কল গার্ল বোনকে বিয়ে করে। যা বাস্তবে কখনোই হয় না। অনুরূপভাবে হুমায়ুন আহমেদের উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল যেন বাকের ভাইকে ফাঁসি দেওয়া না হয়। উনি কিন্তু এই ধরনের চাপের কাছে নতি স্বীকার করেননি।

এবার বলুন আপনি কি করবেন। :D

আমিও আপনার এই গল্পের একজন পাঠক। আমারও একটা এক্সপেকটেশন আছে। আর আমিও সেটা জানিয়ে যাব। আপনি রক্ষা করবেন কিনা জানি না। আমি সত্যটা জানতে চাই। :)

১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৪২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা সে আর বলতে। একটু আগেই ফোনে আমার বোনের সাথে কথা হচ্ছিলো তাকে পরে শুনালাম সবার কমেন্টগুলো। আমি নিজেও অনেক হাসি যখন এসব দেখি। সকলের সতস্ফূর্ত সমাগম।

সকলের নানা মতবাদ, নানা ইচ্ছা অনিচ্ছা রাগ দুঃখ ভালোবাসা প্রকাশে আমাকে কোনো বাড়তি চাপ দিচ্ছে না বরং অনেক কিছু লিখতেই সাহায্য করছে। আমি যা লিখতে চাই আসলে সেখানেই আছি। পাঠকেরা চাইলেই শুভ্র আর মাহরিন কক্সেসবাজার যেতে পারবেনা আসলে। কারণ তাদের পরিস্থিতি অনুকূলে থাকতে হবে।
বাড়িতে কেনো ফ্রিজ নেই এর ব্যাখ্যা আমি জানি কারণ শুভ্র আর মাহরিন বা কবিতা তো আমার চোখের ভেতরেই আছে। তাই তার ব্যাখ্যা আমার কাছে সহজ।

না বাড়তি চাপ তো অনুভব করিই না বরং এনজয় করি। মনে হয় গল্পটা আমিও এনজয় করি। মনে হয় গল্পটা আমি আমার বাড়িতে বসেই করছি আর সবাই নানা কথা বলছে। আমার সাথেই।

আমিও হুমায়ুন আহমেদের মত নিজের মনের কথাগুলিই লিখবো কিন্তু আপনার এক্সপেকটেশন জানতে ইচ্ছা হচ্ছে।

১১| ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৫৪

মিরোরডডল বলেছেন:



আপু শুভ্রর মাথায় আমার ফুলদানিটা ভাঙতে ইচ্ছে করছে :|

শুভ্রতো একজন রোম্যান্টিক প্রেমিক এবং হাজব্যান্ড ।
এরকম পজিটিভ নিউজ হলে এজ এ রোম্যান্টিক ম্যান হোয়াট হি শুড ডু ? আবেগে মাতামাতি না করুক , সেটা ভালোও লাগে না কিন্তু এট লিস্ট বউটাকে কাছে নিয়ে একটু আদর করবে । কপালেওতো একটু চুমু খেতে পারতো । সে কি করলো ? নির্বিকার !

হতাশ আপু আমি হতাশ শুভ্রকে নিয়ে :(


১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:১৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ওহ ফুলদানী ভেঙ্গেছিলো তবে শুভ্রের মাথায় না মাহরিন বা কবিতার মাথায় এক্সিডেন্টালী পড়ে। অনেক শখের ফুলদানীটা। যাইহোক

শুভ্র একেবারেই অন্য জগতের মানুষ তার আবেগ বুঝা একটু কঠিন তায় চিন্তায় ছিলো বেচারা। হা হা ভাবছিলো এখন কি হবে? মানে রিস্ক টেকিং মেন্টালিটির না তাও বলা যাবেনা নইলে এমন করে বিয়ে করে ফেলতো না। তবে বেবির আগমনে ভীত হলো মনে হয়।

১২| ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০৭

ঢুকিচেপা বলেছেন: “ শুভ্র অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে বললো, কি আবার? পজিটিভ...”
এমন ভাবে বলছে, যেন করোনা পজিটিভ। আরে বাবা.... সিনেমা হলে এতক্ষণ খুশিতে চারতলা থেকে লাফ দিত।

“ ভীষন রাগে কথাগুলো বললেও এরপরই আমি কেঁদে ফেললাম।”
আহা রে মেয়েটার কপালে এত দুঃখ লেখা ছিল ?

“ টেবিলটার চিকন রুপোলী ফুলদানীটা থেকে আধফোঁটা মনোরোম একটা টকটকে লাল গোলাপের কুঁড়ি তুলে আমাকে দিয়ে বললো, নাও এই আনন্দের দিনে তোমাকে লাল গোলাপের ভালোবাসা দিলাম।”
এ তো দেখি কিরপিন সম্রাট!!!!!!!!!! এমন কিরপিন লোকতো ব্লগেও নেই!!!!!!!!!!!!!

“ আমি দুচোখ বুঁজে একটি বয়স্ক শিশুর মুখচ্ছবির ভাঁজে খুজতে শুরু করলাম একটি অনাগত অদেখা নিস্পাপ কোমল ক্ষুদ্র শিশুর মুখ।”
অসাধারণ একটি লাইন।

বরাবরের মত গল্প ভালো লেগেছে।

১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:২৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ঢুকিচেপা বলেছেন: “ শুভ্র অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে বললো, কি আবার? পজিটিভ...”
এমন ভাবে বলছে, যেন করোনা পজিটিভ। আরে বাবা.... সিনেমা হলে এতক্ষণ খুশিতে চারতলা থেকে লাফ দিত।

হা হা আমিও তো সেই কথাটাই বলছি। সিনেমায় দেখি কি আর শুভ্রের মাঝে দেখলাম কি।
“ ভীষন রাগে কথাগুলো বললেও এরপরই আমি কেঁদে ফেললাম।”
আহা রে মেয়েটার কপালে এত দুঃখ লেখা ছিল ?

হা হা হা দুঃখ বা ক্ষোভ বা বেদনা।


এ তো দেখি কিরপিন সম্রাট!!!!!!!!!! এমন কিরপিন লোকতো ব্লগেও নেই!!!!!!!!!!!!!
হা হা হা এখ ঘন্টা হাসলাম। কি আর করা আপা কথায় আছে অভাবে স্বভাব নষ্ট। শুভ্র কিন্তু তাকে পিয়ানো কিনে দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো। কিরপিন হলে কি আর দিত বলেন?

এটাও চিন্তার বিষয় কিন্তু।

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপা। বেবির জন্য এখনই সোনার মালা অর্ডার দেন। পরে আবার দাম বেড়ে যেতে পারে।

১৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:২১

মা.হাসান বলেছেন: নায়ক-নায়িকরা যা হয় হোক, আপনি কোথায় ছিলেন? কয়েকদিন অনুপস্থিত ছিলেন, আমার ভয় হলো রাবেয়া আপনার মতো আপনারও কিছু হয়ে গেলো কি না। বাকি পর্ব গুলো লিখে দায়িত্বশীল কারো হাতে দিয়ে রাখতে পারেন, যাতে আপনার কিছু হলে উনি পরের পর্ব গুলো পোস্ট করতে পারেন B-))

শুভ্রর রিঅ্যাকশন স্বাভাবিক বলেই মনে হয়েছে আমার কাছে। পুরুষ আর মহিলার প্রকাশ ভংগি এক হবে না। নরমাল প্রেগন্যান্সির ক্ষেত্রেও শুধু হসপিটাল বিল ষাট হাজার টাকার উপরে আসবে। হসপিটাল বিলের আগে-পরে এর কয়েক গুন খরচ আছে। এমনকি যাদের চাকরিতে হেলথ ইন্সুরেন্সের বিষয় আছে তাদের ক্ষেত্রেও ইন্সুরেন্স কোম্পানি পুরো খরচ দেয় না। আগে থাকতে সব চিন্তা করা দরকার ছিলো।

সাড়ে চুয়াত্তর ভাইয়ের মর্নিঙ সিকনেস সম্পর্কে আংশিক ধারণা, পুরা ধারনা নাই। ২০% মত কেসে মহিলারা তেমন কোনো সমস্যা অনুভব করেন না। বাকি মহিলারা প্রথম বাচ্চায় যতটা কষ্ট পান পরের ক্ষেত্রে এতটা থাকে না। সাড়ে চুয়াত্তর ভাই আর একবার বিবাহ করলে হয়তো অভিজ্ঞতা বাড়বে :P

১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:৩৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আমি খুব বেশি ব্যাস্ত ছিলাম হাসানভাই। কিন্তু চিন্তায় ছিলাম লেখাটা দেওয়া হচ্ছে না এটা নিয়েও। আপনাদের কথা মনে পড়ছিলো।

আর কি বলেন? বাকী পর্বগুলো লিখে দায়িত্বশীল কারো হাতে দিয়ে দেবো যেন আমি মরলেও লেখাটা শেষ দেখতে পান। হা হা হা হা আমাকে কি হাসতে হাসতে মেরে ফেলবেন আপনারা? তাইলে কিন্তু কারো হাতে দেবার আগেই মরে গেলে কি হলো শেষে জানতেই পারবেন না।

শুভ্রর রিঅ্যাকশন স্বাভাবিক বলেই মনে হয়েছে আমার কাছে। পুরুষ আর মহিলার প্রকাশ ভংগি এক হবে না। নরমাল প্রেগন্যান্সির ক্ষেত্রেও শুধু হসপিটাল বিল ষাট হাজার টাকার উপরে আসবে। হসপিটাল বিলের আগে-পরে এর কয়েক গুন খরচ আছে। এমনকি যাদের চাকরিতে হেলথ ইন্সুরেন্সের বিষয় আছে তাদের ক্ষেত্রেও ইন্সুরেন্স কোম্পানি পুরো খরচ দেয় না। আগে থাকতে সব চিন্তা করা দরকার ছিলো।

হা হা ভালো বলেছেন শুভ্রের মাথায় তাইলে এই কারণেই বাজ পড়েছিলো। তাই বলেন।

কিন্তু সাড়ে চুয়াত্তরভাইকে আরেক বিয়ের পরামর্শ দেন কেনো ভাই? ভাবীর হাতে কি মারতে চান?

১৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৪১

করুণাধারা বলেছেন: ঈশান কোণে মেঘ জমেছে... মন কু ডাক ডাকছে...

খুঁটিনাটি বর্ণনা খুব ভালো হয়েছে। লাইক।

১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:৩৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপা।

১৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: হিন্দি কি? হিন্দু বলতে চাচ্ছেন? হিন্দু ছাড়া কি ডালে পাঁচফোড়ন নিষিদ্ধ নাকি? জানতাম না তো।
হ্যাঁ বাবা হওয়া মনে হয় আসলে মা হবার চাইতেও কঠিন কিছু। যা সবাই হতে পারে না।
হ্যাঁ পুরোনো নতুন যা খুশি ভাবতে পারেন তবে পুরোনো কথাই তো লেখা হচ্ছে রাজীবভাই। গল্প তো রোজকার দিনের ডায়েরী না মানে পুরান মদ নতুন বোতলে টাইপ আর কি।
ফিসকেক খেতে দারুন মজা। আপনি জিনডিয়ানে ট্রাই করতে পারেন। ধানমন্ডি সাতাশ। আমাকে বললে আপনাকে না হয় দাওয়াৎ দিয়ে দেবো কালকেই।

দ্রুত টাইপ করতে গিয়ে ভুল হয়ে যায়। স্যরি। আসলে ল্যাপটপের কিপ্যাড সহ অক্ষর গুলো উঠে গেছে। একটা টাইপ করতে গেলে আরেকটা চলে আসে। ধানমন্ডির ২৭ এর জিনজিয়ানে বহুবার খেয়েছি। আমাদের ফ্যামিলির বহু অনুষ্ঠান সেখানে হয়েছে। তাছাড়া ক'দিন পর পরই আমরা পরিবারের সবাই মিলে বাইরে খাই। এভাবে ঢাকা শহরের সব রেস্টুরেন্টে খাওয়া হয়ে গেছে।

ফিশকেক কোলকাতায় খেয়ছি। এই করোনায় দাওয়াতের এর দরকার নাই। করোণাকাল আগে শেষ হোক।

ভালো থাকুন।

১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:৩৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: যত লেখা লিখেন সারাদিনে কি বোর্ডের ইন্তেকাল হবার কথা।
জিনডিয়ানে ফিসকেক আছে। থাক দাওয়াৎ লাগবেনা নিজেই গিয়ে খেয়ে নিয়েন কালকে তারপর জানাইয়েন।

১৬| ১১ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৩১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ মা. হাসান ভাই - স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞের মত চমৎকারভাবে সন্তানসম্ভবা নারীর প্রাথমিক উপসর্গ সম্পর্কে আপনার বিনা মূল্যে বিলিকৃত জ্ঞান দ্বারা আশা করি লেখিকাসহ ব্লগের সবাই উপকৃত হবেন। গল্পের নায়িকার সন্তান ভূমিষ্ঠ না হওয়া পর্যন্ত আপনার এই জ্ঞান লেখিকার কাজে লাগবে বলে প্রতিয়মান হয়। :) আশা করি লেখিকা যথা সময়ে এই ব্যাপারে আপনার সাথে পরামর্শ করে লেখালেখি চালিয়ে যাবেন যেন নায়িকাকে বারবার অসময়ে, অজায়গায় বমি করতে না হয়। আপনার অভিজ্ঞতার ঝুড়ি এত সমৃদ্ধ কিভাবে হোল এটা নিয়ে প্রশ্ন করে আপনাকে আর বিব্রত করতে চাই না। :) আমাকে যে পরামর্শ দিয়েছেন সেটা থেকেই বুঝে গেছি এই ব্যাপারে আপনি অনেক অগ্রগামী।

১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:৩৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ভাই এই লেখা ভাবী পড়লেও পড়তে পারে কিন্তু কমেন্ট যেন না দেখে শেষে হাসান ভায়ের খবর হয়ে যাবে। উনি আপনাকে দ্বিতীয় বিয়ের পরামর্শ দিয়েছেন। জানলে রক্ষা থাকবেনা।

১৭| ১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:১০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার এগুচ্ছে লেখা ! কোথায় যায় কোথাকার পানি দেখা যাক।

১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:৩৯

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মনিরা আপা।

১৮| ১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:১১

শুভ_ঢাকা বলেছেন: আপনার এক্সপেকটেশন জানতে ইচ্ছা হচ্ছে।


আমার একেপেক্টেশন হচ্ছে। আমি এই গল্পের সত্যটা জানতে চাই। আমি, ওমেরা আরও বোধহয় কয়েকজন পাঠক আপনাকে একটা প্রশ্ন করেছিলাম। উওরে আপনি বলেছিলেন গল্পের শেষে আমাদের প্রশ্নের উওর দিবেন। অধিকন্তু আপনি এও উল্লেখ করেছেন নরুজনও আপনাকে পরোক্ষভাবে উপকৃত করেছে। আপনি বলেছেন গল্পের শেষে তারও ব্যাখ্যা দিবেন। এই প্রশ্নগুলোর উওর প্রত্যাশী।

চাইনিজ রেস্টুরেন্টে একটা নরম সুরের ইংরেজি গান চলছিল। আপনি ভুলে গেছেন সেই গানের লাইনগুলো। আমি প্রচুর গান শুনি। সব ধরনের গান। ইংরেজি গান একটু বেশীই শুনি। আমার এ রকম বহুবার হয়েছে যে কোথায়ও কোন ইংলিশ গান শুনা মাত্রই মনে পড়ে গেছে, আরে এই গানটা তো আমি ছোট বেলায় শুনেছি। তারপর সেই গানের নাম উদ্ধার করার জন্য যারা বাজাচ্ছে বা কর্তৃপক্ষের কাছেও গেছি। টেলিভিশনে কোন প্রোগ্রামে গান শুনে প্রোগ্রাম প্রযোজকের কাছে ফিরতি স্টেম্পযুক্ত চিঠিসহ চিঠি লিখেছি। যাইহোক আপনারদের রেস্টুরেন্টের ইংরেজি গানটা নাম জানতে পারলে বেশ হত। কেন জানি মনে হয় আমার কমন পড়তো। এনি ওয়ে পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়।

আপনি আর মিরোরডল ব্রুক শিল্ডের কথা বলছিলেন। তার একটা...
Endless Love

১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:৪২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা ওকে সত্যটা জানানো হবে-
কোথা থেকে এই গল্পের শুরু আর লরুজন কেমনে আমার উপকার করলো।

আপনি তো দারুন জেদী। কত ভাবেই না গান মনে করেছেন।

আমার গানটাও মনে করে ফেলবো। আপনার কমন পড়বেই।

ব্রুক শিল্ড এত সুন্দর! চোখ ফেরানো যায় না।

অনেক ধন্যবাদ ভিডিওটার জন্য

১৯| ১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:৪৩

রামিসা রোজা বলেছেন:
একজন নারীর প্রথম মা হওয়ার অনুভূতি দারুন আর বাবা
দুশ্চিন্তায় আছেন ওকিছু না আশা রাখছি ঠিক হবে ।
অনেক ভালো লাগলো পড়তে ।

১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:৪৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: রামিসা আপা অসংখ্য ধন্যবাদ।

২০| ১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:৪৪

মা.হাসান বলেছেন: @ ঢুকিচেপা- এ তো দেখি কিরপিন সম্রাট!!!!!!!!!! এমন কিরপিন লোকতো ব্লগেও নেই!!!!!!!!!!!!!
আপনি ব্লগের মডুকে চেনেন না। একবার ব্লগডেতে দাওয়াত দিয়ে এক চা চামুচ ছোলা, এক মুঠ মুড়ি খাইয়েছিলো। অগ্নি সারথি ভাইকে তো আপনি চেনেন ই না। তবে এদের চেয়ে বড় কিরপিনও ব্লগে আছে। সময় হলে চিনবেন।

@ সাড়ে চুয়াত্তর-
একজন লোক চাকরির ইন্টারভিউ দিতে গেছে। নিয়োগ কর্তা জিজ্ঞাসা করছে- তোমার অভিজ্ঞতা কি রকম?
- এজ্ঞে সার ছত্রিশ বচরের অভিজ্ঞতা।
নিয়োগ কর্তা অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করলেন তোমার বয়স কত?
-এজ্ঞে সার পয়ত্রিশ বচর।
আরো অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা- তা কি করে হয়?
- এজ্ঞে সার ওভারটাইম। সতেরো বচর বয়সে কাজে ঢুকেছিলুম। গত আঠেরো বচর ধরে নিয়মিত ওভারটাইম করে যাচ্ছি।

১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:৪৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হাসান ভাই কি ওভারটাইম করছেন?

খুলে বলেন... সন্দেহ জাগছে মনে...


ঢুকিচেপা আপুর কিরপিন ব্লগেই আছে। হা হা

২১| ১২ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৩২

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: খুব সুন্দর আবেগে ভরপুর গল্প। এমন গল্পই আমি ভালোবাসি পড়তে।

১২ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৫৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: থ্যাংক ইউ সো মাচ। লেখার সময় কম তবুও লিখছি।

২২| ১২ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:০৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই কাহিনী যদি বাংলা সিনেমার হতো তাহলে শুভ্র স্ত্রী আর অনাগত সন্তানের জন্য রাস্তায় রিকশা অথবা বেবিট্যাক্সি চালিয়ে আয় রোজগার করতো। শুভ্র কি দুই একটা টিউশনিও জোগাড় করতে পারছে না।

১২ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৪২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা ঠিক তাই। সিনেমার সাথে এই জীবনযাত্রা একটুও মিললো না। সবই উল্টা পাল্টা আন প্রেডিক্টেবল। শুভ্রটা সিনেমা দেখেও কিচ্ছু শিখলো না।

না সে টিউশনীর চেষ্টাই করলো না। আলসামী নাকি ইগো নাকি উদ্যমহীনতা ভাবছি বসে আমি।

২৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: যত লেখা লিখেন সারাদিনে কি বোর্ডের ইন্তেকাল হবার কথা।
জিনডিয়ানে ফিসকেক আছে। থাক দাওয়াৎ লাগবেনা নিজেই গিয়ে খেয়ে নিয়েন কালকে তারপর জানাইয়েন।


ফিশকেক খাবো না। খেতে ইচ্ছা করছে না।
পোষ্টে সবার মন্তব্য গুলো মন দিয়ে পরলাম। ভালো লাগলো।

১২ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: কেনো খাবেন না। হালাল ভেটকিমাছে তৈরী।

খেয়ে দেখেন রাজীবভাই।

আর পোস্টের চাইতেও মন্তব্যগুলি বেশি মজার আর ইন্টারএকটিভ।

২৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৪৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: এক কথায় অসাধারণ!
জানালায় একটা বোতলে রাখা মানি প্ল্যান্টের চারাটার দিকে তাকিয়ে থেকে নিজের গর্ভজাত শিশুটির কথা ভাবার তুলনাটা অত্যন্ত নান্দনিক হয়েছে।
এটা একটা গল্পের সিরিজ হলেও, এখানে লেখক যথাসম্ভব সততার সাথে খুঁটিনাটি নানাকিছু সত্য ডিটেইলস দিয়েছেন বলে আমার কাছে মনে হয়েছে, সেটা কোন স্থান-কাল-পাত্রের বর্ণনাই হোক, কিংবা আবেগ অনুভূতির।
অভিনন্দন! আবারো বলছি, খুবই ভাল লিখেছেন। দশটি পর্বের মধ্যে এটাই এ যাবত পাওয়া দ্য বেস্ট পর্ব!

১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:০২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ খায়রুলভাই।

এত খুঁটিয়ে পড়েন দেখে অবাক হই।

আমার ধারণা কোনো লেখক এক্কেবারেই আকাশ থেকে কল্পনাপ্রসূত কিছু লিখতে পারেনা । সবই এই জীবনেরই আশেপাশে ছড়িয়ে থাকা নানা দৃশ্যাবলী থেকেই লেখা হয়।

২৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:০১

খায়রুল আহসান বলেছেন: শুভ্র'র ব্যাপারে সাড়ে চুয়াত্তর এবং সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, দু'জনের মন্তব্যই ভাল লেগেছে। যখন যারটা পড়েছি, মনে হয়েছে আমিও সেরকমই ভেবেছি।

১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:০৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা আমি তো সকলের ভাবনা দেখেও একই সাথে বিস্মিত হই, হিমশিম খায়। কতই না ভাবতে পারে সব্বাই। তবে এই লেখার প্রানই পাঠকেরা এবং তাদের মূল্যবান মন্তব্যগুলি।

২৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৮

ঢুকিচেপা বলেছেন: “ শুভ্র কিন্তু তাকে পিয়ানো কিনে দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো। কিরপিন হলে কি আর দিত বলেন?”
হায়রে.... সে আশায় গুড়ে বালি, সেই দিন তো পিঁপড়ায় খেয়ে গেছে। দোকানের পিয়ানোর কথা ভুলে যান।
দুইদিন পরে যে পিয়ানো আসছে (বেবি) ওটাই সারাদিন প্যাঁ প্যাঁ করবে, নতুন করে আর পিয়ানো কিনতে হবে না।

“ কি আর করা আপা কথায় আছে অভাবে স্বভাব নষ্ট।”
“ বেবির জন্য এখনই সোনার মালা অর্ডার দেন। পরে আবার দাম বেড়ে যেতে পারে।”
দাম বাড়া তো কোন ব্যাপার না........
যেই ছেলের স্বভাব নষ্ট সেই বাড়ীতে এত দামি সোনার মালা দেয়া একদম ঠিক হবে না, পরেই দিনই বিক্রি করে খাবে।
তার চেয়ে পিতল দিয়ে খুব সুন্দর খাঁচকাটা খাঁচকাটা ডিজাইনের উপর সোনার কালার করে মালা দিব। একদম জেনুইন।

@ মিরোরডডল
“ আপু শুভ্রর মাথায় আমার ফুলদানিটা ভাঙতে ইচ্ছে করছে :|
ইস্ আপনি যদি ফুলদানিটা ভেঙ্গে এসে বলতেন তাহলে এক চা চামুচ ছোলা, এক মুঠ মুড়ি দিতাম।

@ মা.হাসান
“ আপনি ব্লগের মডুকে চেনেন না। একবার ব্লগডেতে দাওয়াত দিয়ে এক চা চামুচ ছোলা, এক মুঠ মুড়ি খাইয়েছিলো। অগ্নি সারথি ভাইকে তো আপনি চেনেন ই না। তবে এদের চেয়ে বড় কিরপিনও ব্লগে আছে। সময় হলে চিনবেন।”

এতক্ষণ তো ভালোই ছিল, মডুকে টেনে এনে আমাকে ব্যান খাওয়ানোর বুদ্ধি ?
আমার মনে হয় এক চা চামুচ ছোলা, এক মুঠ মুড়ি দিয়ে টেস্ট করেছে আপনার হজম শক্তি কেমন।
তারচেয়ে কিরপিন কমিটি করুন, আপনি সভাপতি।

১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৩০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা প্যা প্যা পিয়ানো ?

পিতলের মালা? না না আপনি কিরপিন জানতাম না কিন্তু।

একটা কথা বলেন তো। ছোটবেলায় আর বড়বেলায় কত্ত দুষ্টু ছিলেন?

একটা গল্প চাই আপনার সকল দুষ্টামীর গল্প।

একেকটা কমেন্ট পড়ে হাসতে হাসতে মারা যাই।

মিররডল ফুলদানী ভাঙ্গুক। কিন্তু মা হাসান ভায়ের মতলব কিন্তু মডুকে টানা টানি। না বাবা সাবধান থাকতে হবে।

২৭| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:২৬

আমি সাজিদ বলেছেন: শুভ্রের মতো ছেলেদের আমার অসহ্য লাগে। গল্প ভালো হয়েছে, এই পর্বটা।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৩৯

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: জানি তুমি ওভার একটিভ ও নিজের লক্ষ্যে অবিচল। মোটেও আলসে বা উদ্যমহীন নও।


শুভ্র সবার থেকেই আলাদা। শুভ্রের মত কোনো ছেলেকেই আমি কখনও দেখিনি। একেবারেই হঠাৎ হাওয়ায় ভেসে আসা ধন। তাই হঠাৎ পাওয়ায় চমকে ওঠে মন। সে তুমি আমি বা আমাদের মত নয়। আজ থেকে ২০ বছর পরে যা হবে বা হতে পারে সে সেখানের মানুষ।


২৮| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:১২

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: ওরেব্বাপস্!! চিলেকোঠার প্রেম এত বড়!! দশম পর্বেও প্রেম চলছেই!!! সময় নিয়ে পড়া শুরু করতে হবে।

১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হ্যাঁ তা অবশ্য এখনও চলছে।

আচ্ছা সময় নিয়ে পড়েন।

২৯| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: কবিতা পড়ার প্রহর,



৯ম পর্ব পড়ে এসে এই ১০ম পর্ব শেষ করলুম। বেশ লম্বা চওড়া ফিরিস্তি দিলেন প্রথম ফোটা কুঁড়ির মৌ মৌ গন্ধ নিয়ে বেসামাল হয়ে ওঠা মৌমিতালের। এর পরে ফুল , ফুল থেকে ফল , ফল থেকে বীজ। দেখা যাক, সে কি তার শুরু না শেষ .............

১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৪৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হ্যাঁ ফিরিস্তি দিয়েও কি আর রক্ষা আছে? কত জনের কত আবদার। কত আক্ষেপ অভিযোগ। কাকে রেখে যে কাকে সামলাই?

ফুল ফল বীজ চারা নিয়ে আমিও চিন্তায় আছি। শুরু তো করেছি শেষ করবো যে কিভাবে? এট ঝামেলার মাঝে ফুরসৎ কই লেখার? :(

তবুও লিখছি কাজের ফাকে, ঘুমের আগে ....

৩০| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৭

ফয়সাল রকি বলেছেন: সব বেশ দ্রুত হচ্ছে যে আমি তো ভেবেছিলাম- এই পর্বেই বাবু হয়ে যাবে।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: না না হলোই না তো।:(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.