নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লোকে বলে প্রথম প্রেমটা বড্ড কোমল\nএলোমেলোযায়না \nভোলা কোনোদিনও\nসত্যি কি তাই

কবিতা পড়ার প্রহর

কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে রাতের নির্জনে

কবিতা পড়ার প্রহর › বিস্তারিত পোস্টঃ

চিলেকোঠার প্রেম- ১১

১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৫৭



শুভ্রকে যে এত সহজেেই বাবার বাড়িতে থাকতে রাজী করাতে পারবো সে আমি স্বপ্নেও ভাবিনি। আমি ভেবেছিলাম শুভ্র যে পারসোনালিটির ছেলে তাতে একটা দিনও শ্বশুরবাড়িতে থাকতে রাজী হবে না। আর তাছাড়া সবে তো এক মাসও পেরুইনি আমার। এখনও দীর্ঘ কয়েকমাসের অপেক্ষা। বেবি হবার আগ পর্যন্ত মা চান আমি উনার কাছেই থাকি। এমনকি আমার শ্বাশুড়িও একা আমাকে থাকতে দিতে চান না। প্রয়োজনে জব ছেড়ে দিতে হলেও কোনো আপত্তি নেই উনাদের।

যাইহোক আমার খুব ভয় হচ্ছিলো আমি যদি এতগুলো দিন মায়ের কাছে থাকি তবে শুভ্র কি করবে? একা একা থাকবে? সেটা কেমন হবে? আমি কি করে থাকবো ওকে ছাড়া? বিয়ের পরে মেয়েরাই শ্বশুরবাড়িতে যায় কিন্তু ছেলেরা তো শ্বশুরবাড়ি থাকলে আবার ঘরজামাই অপবাদ জুটে যায়। কি করবো আমি কিছুই সাত পাঁচ ভেবে পাচ্ছিলাম না। তবুও ভয়ে ভয়ে বললাম, শুভ্র তুমিও চলো আমার সাথে। তোমাকে রেখে আমার একা একা ওখানে থাকতে খুব কষ্ট হবে। একটুও শান্তি পাবোনা আমি।

ভেবেছিলাম শুভ্র না বলবে। কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে ও বললো। আমিও তোমার সাথে থাকবো। তোমাকে ছেড়ে তো আমিও থাকতে পারবোই না। আর তাছাড়া শ্বশুরবাড়ির আদর যতন তো আর ভাগ্যে জোটেনি এই সুযোগে জুটে গেলো। আবারও শুভ্র হে হে করে হাসতে লাগলো এই রসিকতায়। আমার ভেতরে সব কিছু ওলট পালট হয়ে উঠলো। আমার শুধু মনে হচ্ছিলো শুভ্রকে যেভাবে চিনি, একজন বুদ্ধিমান ও শান্ত ভদ্র এবং অসম্ভব আত্ম সন্মান জ্ঞান সম্পন্ন মানুষ হিসাবে তার সাথে এই ব্যাপারগুলো ঠিক যাচ্ছে না যেন।

যদিও শুভ্রের মধ্যে কোনো ভন্ডামী নেই। সে যা করে তাই বলে, যা ভাবে তাও বলতে এতটুকু দ্বিধা করে না সে। আমার ভেতরে যেমন রাখ ঢাক করে সব কিছুই খুলে বলার প্রবনতা কম। শুধু যেটুকু ভালো এবং সবার কাছে গ্রহনযোগ্য সেটুকুই বলি বা যা বললে অন্যের কাছে ছোট হবো বা ভুল করে হলেও মানুষ ভুল বুঝতে পারে সেসব এড়িয়ে যাই। শুভ্র ঠিক উলটো রকম। সে খুন করে আসলেও সেটা সদর্পেই বলবে হ্যাঁ খুন করেছি। কখনও লুকাবে না।

আমি জানিনা শুভ্র রাইট অর রং। কিন্তু শুভ্র যা বলে, যা ভাবে বা যা সঠিক মনে করে আমি সেসব কিছুই সঠিক মনে করি আজকাল। আমি জানি শুভ্রের এই ভাবনা চিন্তা এবং তার সকল কার্য্যকলাপ দ্বারা আমি প্রভাবিত হতে শুরু করেছি। আমার মনে হয় আমি তো শুভ্রের মত করে ভাবি না। আসলে আমি কেনো আমাদের সমাজে মনে হয় ৯৯% মানুষই শুভ্রের মতাদর্শের মানুষ না। শুভ্র সবার থেকে আলাদা। ১ পার্সেন্ট মানুষের মাঝে শুধু সেই একজন। যে যা ভাবে যা বলে বা যা করে সকল কিছুই আমার মনে হয় আসলে ওমনই হওয়া উচিৎ।

আমরা সকলেই যেন কোনো ভুল মোহের পিছে ছুটছি। যদিও একটা সময় শুভ্রের অনিয়ম ও অনিয়ন্ত্রিন জীবন যাপন এবং উদ্যমহীনতা আমি পছন্দ করিনি। তবে সেটা আমার নিজের মোহাবিষ্ঠ থাকা অবস্থাতে বুঝিনি আমি। আমার মনে হত শুভ্রই সঠিক। মানুষ কেনো এত কিছুর পিছে ছোটে? কেনো এই এতটুকুন জীবনে এত মিথ্যা, এত লুকোচুরি এই বাঁধা বিপত্তি এত অহম এবং মেকি মুখোশ?

যাইহোক, বাবা গাড়ি পাঠিয়ে দিলেন। এই ভাড়া বাসা তালাবদ্ধ করে আমরা চললাম বাবার বাসার উদ্দেশ্যে। সালাম চাচা আমাদের পুরান ড্রাইভার। অনেকগুলো দিন পর দেখলাম উনাকে। চাচা আমার দিকে তাকিয়ে জিগাসা করলেন, খুকী ভালো আছো তো? আর তারপরপরই শুভ্রের দিকে একটু বিরক্ত চোখে চাইলেন। শুভ্র রসিকতা করলো, খুকীকে দেখলেন সাথে এই খোকাটাকে দেখলেন না? সালাম চাচা কোনো কথা না বাড়িয়ে গাড়ির দরজা খুলে ধরলেন। আমরা উঠে বসলাম।

বাইরে ঝা চকচকে সকাল। প্রচন্ড গরমে আর গাড়ীর সুশীতল এয়ার কন্ডিশনে জানালার কাঁচে বিন্দু বিন্দু জলের ফোটা। শুভ্রের ডান হাতের সব কটা আঙ্গুলের ফাঁকে আমার বাম হাতের আঙ্গুলগুলো জড়িয়ে বসে রইলাম আমি। এভাবে প্রায়ই বসে থাকতাম আমরা দুজন। সেসব দিনে আজকের দিনের মত ছেলেমেয়েরা হাতে হাত বা কাঁধে হাত রেখে পথ চলতো না। এমনকি স্বামী স্ত্রীরাও জনসন্মুখে মোটামুটি ভদ্রস্থ দূরত্ব বজায় রেখেই চলতো। কিন্তু এইভাবে হাতের আঙ্গুলে আঙ্গুল জড়িয়ে বসে থাকতাম আমরা প্রায়ই। যেমন চিলকোঠার ঐ এক চিলতে ছাঁদে পূর্নিমা বা অমাবশ্যার রাতে। মিরপুরের ফ্লাটের বারান্দায় পাশাপাশি মোড়ায়, কিংবা রিক্সায় বা এমনকি পাশাপাশি শুয়ে ঘুমের মাঝেও।

ট্রাফিক লাইটে গাড়ি থামলে একটা ছোট্ট মেয়ে গাড়ির জানালায় এসে দাঁড়ালো। এক হাতে কয়েকটা হাওয়াই মিঠা আর আরেক হাতে ছোট্ট বোনকে কোলে নিয়ে এসেছে। বোনটা ঘুমে কাঁদা। এই গরমে এই প্রচন্ড দাবদাহে উস্কোখুস্কো চুলের মায়াময় মুখের মেয়েটি আর তার কোলে ঐ ঘুমে কাঁদা হয়ে থাকা বাচ্চাটা দেখে শিউরে উঠলাম আমি। আহারে বাচ্চাটা। এই ধুলো আর ধোোয়ার শহরে কি এইভাবে বেঁচে থাকার কথা ছিলো ওর?

আমার ভীষন কষ্ট হচ্ছিলো। আমি ব্যাগ খুলে ওকে ১০০ টাকা দিলাম আর বললাম আজ আর বের হবে না। বোনকে বাড়িতে নিয়ে শুইয়ে দাও। মেয়েটা হাসলো। মিষ্টি এক স্বর্গের দেবশিশুর হাসি। টাকাটা নিয়েই সবগুলো হাওয়াই মিঠা বাড়ি্যে ধরলো আমার দিকে। আমি বললাম এতগুলো হাওয়াই মিঠা কি করবো আমি সোনা? তুমি নিয়ে যাও। দুজনে মিলেই খেও। গাড়ি চলতে শুরু করলো সে আমার কথা না শুনেই সব গুলো হাওয়াই মিঠা জানালা গলিয়ে সিটের উপর ফেলে দিলো।

শুভ্র বললো, হলোতো এখন খাও হাওয়াই মিঠা। তোমার বাচ্চা বান্ধবীর উপহার। বলে একটা হাওয়াই মিঠা পলিথিন ছিড়ে খাওয়া শুরু করলো। আরেকটা সালাম চাচার দিকে বাড়িয়ে দিলো। সালাম চাচা কিছু না বলে হাওয়াই মিঠাইটা উনার পাশের সিটে রেখে দিলেন। আমার এসব কিছুই ভালো লাগছিলো না। আমার চোখে তখন শুধু ঐ ঘুমিয়ে কাঁদা হয়ে থাকা শিশুটির মুখ। আহারে বাচ্চাটা। একটু আদরে যত্নে বা শান্তিতে ঘুমানোর অধিকারটুকুও কি নেই তার?

জানিনা মাতৃত্ব কাকে বলে। পিতৃত্বই বা কি।শুধু জানি হঠাৎ আমার ভেতরে একটা পরিবর্তন এসেছে। যে কোনো বাচ্চার জন্যই মনটা কেঁদে ওঠে। এ পৃথিবীর সকল শিশু যেন আমার সন্তান। সবার জন্য কষ্ট হয় আমার সবাইকে ভালোবাসতে ইচ্ছে করে। মনে হয় পৃথিবীতে শিশুর চেয়ে সুন্দর আর কিছু নেই। আমার হৃদয় জুড়ে থাকা শুভ্রের বিশাল অস্থিত্বের একপাশে বেশ বড় সড় একটা জায়গা করে নিয়েছে আমার অনাগত অদেখা শিশুটি।

আচ্ছা আর পিতৃত্ব কি? শুভ্রের মধ্যে তো পিতৃত্বের কোনো লক্ষনই দেখছি না। সেই প্রথমদিন রিপোর্ট পাবার পরে কিছুক্ষন থমকে ছিলো। তারপর পরই স্বভাবসুলভ নিরুপদ্রক, নির্বিকার ভালো মন্দ যাহাই আসুক সত্যরে লও সহজে হয়ে গেছেন। ওর মাঝে পিতৃত্বের কোনো লক্ষন দেখছি না বটে তবে প্রেমিকত্বের প্রমান পেয়েছিলাম। হা হা প্রেমিকত্বের প্রমান সে এক মজার গল্পও বটে।

শুভ্র ভীষন স্মোক করত। সে যখন ওর সাথে প্রথম প্রথম পরিচয় হলো তখন থেকেই দেখে আসছি। শ্বাসকষ্ট আছে, সাইনাস আছে এর মাঝেও কেউ এই রকম চেইন স্মোকার হয় ভাবাই যায় না । মনে আছে উড়নচন্ডি আর অপরিনামদর্শী শুভ্র বিয়ের আগে যখন একা থাকতো প্রায়ই বাড়ি থেকে পাঠানো সব টাকা পয়সা খরচ করে ফেলতো। তখন অল্প কিছু টাকা থাকলে না খেয়ে হলেও সিগারেট কিনতো। এটা দেখে আর জেনে খুব অবাক হয়েছিলাম আমি। শুভ্র বলেছিলো সে সব ছাড়তে পারবে। তবুও স্মোকিং না। সেই শুভ্র স্মোকিং ছেড়েছিলো।


কি শর্তে?

হা হা কি করে যে বলি মানে লিখি?

সত্যিই লজ্জা হচ্ছে।

আচ্ছা চোখ কান বুঁজে লিখেই ফেলি .......

শুভ্রের সাথে বিয়ের আগে আমার সরাসরি বার কয়েক দেখা হয়েছে মাত্র। কিন্তু আমাদের রোজ দেখা হত অনলাইনেই। তো সেকেন্ড যেদিন মুখোমুখি দেখা হয়। সেদিন ওর একটা শর্ত ছিলো-

আমাকে যেদিন সে চুমু খাবে সেদিন সে সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দেবে.......

আর দিয়েছিলোও ........


চিলেকোঠা- ১০










ছবি কিন্তু নেট থেকে আর কেউ বকা দিলে সাথে সাথেই মুছে দেবো। লেখাটার সাথে মিলিয়ে এত সুন্দর একটা ছবি পেলাম কিন্তু কিছুদিন আগে গায়ে সবুজ রং আর নীল জামা পরা মেয়েটার পথ নাটক বা প্রতিবাদী বিতর্কিত ছবিটার সাথে মিল লাগছে। তাই একটু ভয়ে আছি। আবার নতুন কোনো লরুর দেখা পাই নাকি বা লরুর আত্মাই পিছু ছেড়েছে কিনা জানিনা সঠিক। :(

মন্তব্য ৯৬ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৯৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:১৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: এ পর্বকে অশনি সংকেত মনে হল !

১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:২১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আমি তো সারাক্ষনই অশনি সংকেতের মধ্যে আছি।

২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:২৪

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: ‌একটু সময় নিয়ে সবগুলো পড়ে তারপর মন্তব্য করব। আপাতত চোখ রাখছি।

১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:২৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আচ্ছা আচ্ছা তাই করেন সম্রাট ভাই। তবে ছবিটাতে চোখ রেখে কি মনে হলো? মাইর টাইর খাবো নাতো? চিন্তায় আছি।

৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৪০

মা.হাসান বলেছেন: শেষ বিকেলের সেই ঝুল বারান্দায়
তার মুখে পড়েছিল দুর্দান্ত সাহসী এক আলো
যেন এক টেলিগ্রাম, মুহূর্তে উন্মুক্ত করে
তার সুষমা
এই ওষ্ঠ ছুয়েছে তার ওষ্ঠ–
এই ওষ্ঠে সিগারেট মানায় না।


আগের পর্বে করুণাধারা আপার মন কু-গেয়েছিলো। এই পর্বে মনিরা আপাও অশনি সংকেত দেখছেন। আমার নিজের কাছেও পরিস্থিতি ভালো মনে হচ্ছে না। সালাম চাচার আচরন অনেক কিছুরই ইঙ্গিত দিতে পারে।

১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৪৯

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা আমারও মন কু গাইছে মা হাসান ভাই। সালাম চাচার আচরণ বুঝিয়ে দিচ্ছে ও বাড়িতে কপালে শনি আছে উনাদের।

এউ যথেচ্ছাচারী জীবন কি কেউ মেনে নিতে পারে? না পেরেচে কোনোদিন?

যাক বাবা ছবি দেখে মাইর দেবেনা কেউ মনে হচ্ছে।



শেষ বিকেলের এই কবিতা কার লেখা হাসান ভাই?

ভারী দারুন কবিতা।
পুরোটা পড়তে চাই। লেখাতেও জুড়ে দেওয়া যেতে পারে।

৪| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৪০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

চিলেকোঠার প্রেমের মজাই আলাদা !!
চিলেকোঠাতে সাধারণত কাজিনদের
মাঝে এই প্রেম গড়ে ওঠে। তবে
হাউজ টিউটররাও এমন সুযোগ
পেয়ে যায় :-/ !! তবে বেশ সতর্ক
থাকতে হয় !!

আগের পর্বগুলোর মতোই
সুখপাঠ্য !! ধন্যবাদ গল্পকার!

১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৫০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: নূরুভাই আপনার অভিজ্ঞতা কোনটা? কাজিন নাকি হাউজ টিউটর?

নাকি দুটোই?

৫| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৪৩

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: লেখক বলেছেন: আচ্ছা আচ্ছা তাই করেন সম্রাট ভাই। তবে ছবিটাতে চোখ রেখে কি মনে হলো? মাইর টাইর খাবো নাতো? চিন্তায় আছি।

আদার ব্যাপারীকে জাহাজের খবর জিজ্ঞেস করছেন! এসব তো আমার সিলেবাসে ছিল না। অধরোষ্ঠের এমন চৌম্বকীয় সহাবস্থানের ব্যাপারে এই বালক নিতান্তই নাদান। :`>
আমার মনে হয় এই ছবিটার ব্যাপারে আমাদের মন্ডল ভাই (হারিয়ে যাওয়া ব্লগার) ভালো বিশ্লেষণ করতে পারতেন।

১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৫২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: মন্ডলভাই আবার কে?

ওহ হ্যাঁ মনে পড়ছে কোনো মন্ডলভাই ছিলো বুঝি কোথাও কখনও।

যাইহোক নূরুভাইকে দেখেন অভিজ্ঞ বালক আর আপনি কিনা নাদান?

৬| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৪৯

শুভ_ঢাকা বলেছেন: চমক দিয়ে লেখা (প্রথম বাক্য) শুরু করেন। লেখার মানের গ্রাফ উওর উওর ভালই হচ্ছে (এটা আমার বলা সাজে না। তারপরও বললাম।)। লুরুজন কি আপনাকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। যদি করে তবে আমার মনে হয় এর থেকে বেরিয়ে আসা উচিত অতি সত্তর। লেখার সাথে ছবি যায় বলে আমি মনে করি। এত ত্বরিত এই পর্ব পাবো ভাবিনি।

১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৫৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: শুভ ভাই। আরও ৪ পর্ব হাতে আছে। মানে লিখে ফেলেছি। এডিট করে কাটাকুটি করে দিয়ে দেবো শিঘগির শিগগির।

লরু গরু আমাকে তাড়াবে! কি যে বলেন না? এমনিতেই একটু মজা নিলাম আর কি।

আর যা বললেন চমক দিয়ে আমি শুরু করি বা করতে পারি সে আমিও বুঝি। কিন্তু শেষে গিয়ে হ য ব র ল মানে কোথায় শেষ আর তল খুঁজে পাই না। স্যুইমিং পুলেই হাবুডুবু খাই।

৭| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৫৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ছবি নিয়ে সমস্যা নাই কারণ চিলেকোঠায় সব কিছু করা জায়েজ আছে শুধু কেউ না দেখলেই হয়। অনলাইনেই যেহেতু নায়ক নায়িকার রোজ দেখা হতো তাই গল্পের নাম দেয়া উচিত ছিল অনলাইনের প্রেম। শ্বাসকষ্ট, সাইনাস ইত্যাদি শুনে ব্যারাইম্মা পোলা মনে হচ্ছে নায়ককে। গাড়ির ড্রাইভার পর্যন্ত বুঝে ফেলেছে তাই নতুন ঘর জামাইকে পাত্তা দিল না। তারপরও হুশ নাই। আপনি ঠিক বলেছেন যে শুভ্রের মতাদর্শ মাত্র ১% লোকের আছে, বাকি ৯৯% অন্য চিন্তাধারার, এই কারনেই সে ঘরজামাই হতে রাজি হয়েছে। হাতের আঙ্গুলের মধ্যে আঙ্গুল দিয়ে নায়ক ও নায়িকা বসে থাকত, ঘুমাত, রিকশায় চড়তো। আমার মতে দুইজনের হাত কাঁঠালের আঠা দিয়ে একসাথে লাগিয়ে দেয়া উচিত যেন কখনও না ছোটে। শুভ্রর মধ্যে পিতৃত্বের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। আমার মনে হয় এই ব্যাপারে মা হাসান ভাই তার বিশেষজ্ঞ মতামত দেবেন কারণ আমার ধারণা স্ত্রীরোগ ছাড়াও ওনার মনে হয় পিতৃত্বের ব্যাপারেও যথেষ্ট ব্যবহারিক জ্ঞান আছে। নায়িকার ঠোটে চুমু খেয়ে সে সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে তার মানে প্রমানিত হয়, সে আসলে প্রকৃত ধূমপায়ী ছিল না। প্রকৃত ধূমপায়ীরা সামান্য চুমার ফাদে পড়ে এত বড় আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত কখনই নিতে পারে না। যাই হোক ঘরজামাই যখন হয়েই গেছে তখন আর কি করা। তবে অন্তত শাশুড়িকে খুশি করার জন্য অন্তত বাসার কাচা বাজারটা যেন শুভ্র নিয়মিত নিষ্ঠার সাথে করে। টাকা যেন আবার শশুরের কাছে না চায়, নায়িকাকে দিয়ে দিতে বলবেন যেন তার অপদার্থ স্বামীর মান বজায় থাকে। আর বেশী কিছু লিখলে হজম করতে পারবেন না। তাই এখানেই আপাতত শেষ করছি।

১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা হা হা চুয়াত্তর ভাই আপনি তো হাসাতে হাসাতে মেরেই ফেলবেন। শুভ্র এসব শুনলে তো গলায় দড়ি দেবে। না না শুভ্র আসলেই ১০০ তে একজন।

যাইহোক চিলেকোঠায় সব জায়েজ! বলেন কি! যাইহোক কেউ দেখেনি বলেই রক্ষা কিন্তু এখন যে মিলিয়ে ছবিটা দিলাম তাতেই ভয় হচ্ছিলো। কাদের ছবি জানিনা তো শুধু এই নামেই নেটে আছে। কাজেই তারা আবার এসে মাইর না দেয়।

না না অনলাইন প্রেম দেওয়া যাবেনা। বেক্কল নায়িকা চিলেকোঠায় উঠে এলো প্রেমের ফাঁদে পড়ে তাই চিলেকোঠা প্রেম নামই ভালা। তবে বিদেশ থেকে সাত সাগর পাড়ি দিয়ে শুভ্র কন্যারা চলে আসে কাউলা মাউলা বাউন্ডুলেদের প্রেমের টানে তাহলে আমার গল্পের নায়িকার কি দোষ বলেন?

শ্বাসকষ্ট, সাইনাস এসব শুনে বেরাইম্মা মনে হচ্ছে? হা হা হা আসলেও সত্য। কি আর করা প্রেমের মরা জলে ডোবে না আর প্রেমের মরা বেরাম মেরামও মানে না। চার্জ চলে যাচ্ছে। একটু পর আসছি ভাই।

১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:২৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: মা হাসানভাই কিন্তু চলে এসেছেন।

যাইহোক ছি ছি কাঁঠালের আঠা কেনো? শুভ্র মোটেও কাঁঠাল পছন্দ করে না। তার মতে বাংলাদেশের জাতীয় ফল হওয়া উচিৎ ছিলো আম।

আর প্রকৃত ধুমপায়ী ছিলো না তার প্রমান পরে আরও দেবো চুয়াত্তরভাই।

আর কি বলেন! আমার শুভ্রকে আপনিও ঘর জামাই উপাধি দিলেন!

বেচারা বাজারে যাবে? না না পড়া লেখা আছে না?

আপনি বাজারে গিয়ে সময় নষ্ট করে ওকে ফেইল করাতে চান না?

৮| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১৭

মা.হাসান বলেছেন: কবিতাটা তো আমিই লিখেছিলাম, কিন্তু এখন দেখি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এই কবিতা 'সত্যবদ্ধ অভিমান' নামে নিজের কবিতা বলে চালিয়ে দিয়েছে। পৃথিবীতে বিচার নাই।

@ সাড়ে চুয়াত্তর- আপনি চেষ্টা চালায়ে যান, আমার অভিজ্ঞতা ছাড়িয়ে যাওয়া এমন কোনো কষ্টকর কাজ বলে মনে হয় না।
আশা করি ঢুকিচেপা শরিষার তেল নিয়ে হাজির হবে, কাঠালের আঠা সব সময়ে লেগে থাকলে মুশকিল।

১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৩০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: যাক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় তার নামে চালাক। কোনোই সমস্যা নাই। আমি গিয়ে পড়ে আসি।
দরকারে নিয়ে আসি কবিতাটা।

চুয়াত্তর ভাই আমার শুভ্রকে কাজের ছেলে বানিয়ে দিচ্ছে হাসানভাই।


বেচারা শুভ্র।

না না কাঁঠালের আঠা লাগানো যাবেনা । সরিষার তেলও লাগবে না।শুভ্র কাঁঠাল দেখলেই ভয় পায় মানে একদম হিস্টিরিয়া উঠে যায় যায়। ছোটবেলায় ঐ যে লেল লেলে কাঁঠাল গলায় বেঁধেছিলো তো। গিলতে গিয়ে এপারেও যায় না ওপারেও না সেই থেকেই কাঁথাল দেখলেই তার.......

আর আপনারা কিনা আঁঠাও নিয়ে এসেছেন।

১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৩৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হাসান ভাই আপনার লেখা সুনীলের কপি করে নেওয়া লেখাটা নিয়ে এলাম


এই হাত ছুঁয়েছে নীরার মুখ
আমি কি এ হাতে কোনো পাপ করতে পারি ?
শেষ বিকেলের সেই ঝুল বারান্দায়
তার মুখে পড়েছিল দুর্দান্ত সাহসী এক আলো
যেন এক টেলিগ্রাম, মুহূর্তে উন্মুক্ত করে
নীরার সুষমা
চোখে ও ভুরুতে মেশা হাসি, নাকি অভ্রবিন্দু ?
তখন সে যুবতীকে খুকি বলে ডাকতে ইচ্ছে হয়–
আমি ডান হাত তুলি, পুরুষ পাঞ্জার দিকে
মনে মনে বলি,
যোগ্য হও, যোগ্য হয়ে ওঠো–
ছুঁয়ে দিই নীরার চিবুক
এই হাত ছুঁয়েছে নীরার মুখ
আমি কি এ হাতে আর কোনোদিন
পাপ করতে পারি ?

এই ওষ্ঠ বলেছে নীরাকে, ভালোবাসি–
এই ওষ্ঠে আর কোনো মিথ্যে কি মানায় ?
সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে মনে পড়ে ভীষণ জরুরী
কথাটাই বলা হয়নি
লঘু মরালীর মতো নারীটিকে নিয়ে যাবে বিদেশী বাতাস
আকস্মিক ভূমিকম্পে ভেঙ্গে যাবে সবগুলো সিঁড়ি
থমকে দাঁড়িয়ে আমি নীরার চোখের দিকে….
ভালোবাসা এক তীব্র অঙ্গীকার, যেন মায়াপাশ
সত্যবদ্ধ অভিমান–চোখ জ্বালা করে ওঠে,
সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে
এই ওষ্ঠ বলেছে নীরাকে, ভালোবাসি–
এই ওষ্ঠে আর কোনো মিথ্যে কি মানায় ?

৯| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:২০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

লেখক বলেছেন: নূরুভাই আপনার অভিজ্ঞতা কোনটা? কাজিন নাকি হাউজ টিউটর? নাকি দুটোই?
এই পড়ন্ত বেলায় সেই কথা ফাস করা কি ঠিক হবে !! স্মৃতি সব সময়ই বেদনার হয় ! একটা পাওয়ার এবং তা
হারিয়ে যাওয়া এর একটাতে না পাওয়ার বেদনাভ। তাই পুরনো স্মৃতি মনে করে আর বেদনাহত হতে চাইনা।

১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৩১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ফাঁস করে দেন। কি আছে জীবনে?

আমরা আপনার বেদনার সঙ্গী হতে চাই।

১০| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:২৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: বাহ সুন্দর লিখছেন I

১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৩১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ নেওয়াজভাই।

১১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:২৯

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কেমন জানি লাগছে আমারও, সব ভালোর পিছনে মন্দ সুখের পিছনে দুঃখ থাকেই, তবু যেন শুভ্র ব্যক্তিত্বহীন না হয়ে পড়ে

১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৩২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: না না এত ভয় পাবেন না। সুখ দুঃখ হাসি কান্না এই নিয়েই আমাদের এই সব দিন রাত্রী।

১২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৩২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: নুরু ভাইকে আর কষ্ট দিয়েন না। উনি ওনার কাজিন কাম ছাত্রীর সৃতির সাগরে ভাসছেন এখন। তবে আমার মনে হয় উনি ধরা খেয়েছিলেন এই জন্য বলছেন যে বেদনার স্মৃতি। উত্তম মধ্যম মনে হয় ভালোই পরেছিল।

১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৩৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা হা আমিও দিব্য দৃষ্টিতে দেখতে পাচ্ছি কাজিন কাম ছাত্রীর বড় ভায়েরা নূরু ভাইকে উত্তম মধ্যম দিয়ে হাড্ডি গুড্ডি ভেঙ্গে হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে ভালো করিয়েছিলো। সেই কষ্ট মনে করে কষ্ট পাচ্ছেন নূরু ভাই। থাক আমি আর বেদনার স্মৃতি মনে করাতে চাইছি না। ভালো থাকেন নূরুভাই।

১৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৪৫

করুণাধারা বলেছেন: এত এত মন্তব্য পড়বো না পোস্ট পড়বো!!! এখন আমার সময় নেই, পারলে রাত তিনটায় মন্তব্য করে যাবো। B-)

দুই লাইন পড়েই লাইক দিয়েছি কিন্তু!!

১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৫১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: রাত তিনটায় জেগে থাকলে শরীর খারাপ করবে আপা। না না আপনি ঘুমাবেন। ভোরে উঠে মর্নি ওয়াক সেরে চা নিয়ে বসে তারপর
মন্তব্য।

চুয়াত্তরভাই আমার শুভ্রকে কাজের ছেলে বানাবার ষড়যন্ত্র করছেন।

১৪| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৪৬

ইসিয়াক বলেছেন: প্রথম থেকে পড়ে মন্তব্য করবো। আজ প্রথম এলাম কিনা :(

১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৫১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ঠিক আছে ইসিয়াকভাই। অসংখ্য ধন্যবাদ।

১৫| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৫১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ মা. হাসান ভাই- এই লাইনে আমি আপনাকে ইতিমধ্যেই গুরু মানা শুরু করেছি। তাই গুরু মারা বিদ্যা ফলানোর ধৃষ্টতা দেখাতে চাই না। তবে আপনি যখন অনুমতি দিয়েছেন তখন দুইটা কথা বলা যায়। কথা হোল সাধারনত ঘরজামাইদের পিতৃত্বের অনুভুতি কম থাকে। কারণ তার প্রথম পরিচয় সে ঘরজামাই তার পরে কারওবা স্বামী আর কারওবা বাবা। শুভ্র বলেছে যে শ্বশুর বাড়ির আদর যত্ন তার আগে জোটেনি। সে ভেবে রেখেছে যে 'শ্বশুরবাড়ি বাড়ি মধুর হাড়ি গড়াগড়ি যায়'। শাশুড়ি কয়েকদিন কাঁচা বাজার করতে দিলেই বুঝবে কত মধু শ্বশুরবাড়িতে। আমার তো ড্রাইভারের আচরণে মনে হয়েছে যে কয়েকদিন পরে ড্রাইভার শুভ্রকে দিয়ে গাড়ি ধোয়ামোছা করাবে।

ঢুকিচেপা ভাইকে বলবেন যে সরিষার তেল যেন খাঁটি হয়। কারণ খাঁটি সরিষার তেল না হলে কাঁঠালের আঠা ছুটতে চায় না।

১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৫৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হায় হায় আরও অবনতি।

কাঁচা বাজার থেকে গাড়ির ধোয়াঁমোছা। না না আমি মেনে নেবোই না।



কাঁঠালের আঁঠা লাগাতেই দেবো না বললাম। স্যুপার গ্লুও আনা যাবে না কিন্তু।

১৬| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:০২

রাজীব নুর বলেছেন: চুমুর চেয়ে সুন্দর দুনিয়াতে আর কিছু নাই। রবীন্দ্রনাথও বলেছেন, গোপনে একটি চুম্বন দাও। ছবিটা সুন্দর। মুছার দরকার নাই। একটা ছেলে মেয়ে ভালোবাসা নিয়ে একজন আরেকজনকে চুমু খাচ্ছে। এখানে কোনো পাপ নেই।

বাচ্চা কান্না হওয়া বিরাট ঝামেলা। এই দশ মাস শুধু গর্ভবতী মায়ের কষ্ট না আশেপাশে যারা থাকে তাদের সবার কষ্ট। খুব দেখভাল করতে হয়। পর্যাপ্ত খাবার খেতে হয়। ডাব তো প্রতিদিন একটা মাস্ট।

যদিও এখন শুভ্রর কথা না ভেবে শুধু আগত শিশূর কথাই ভাবা উচিত। নতুন একটা শিশু আসবে এটা অনেক আনন্দের ব্যাপার।

শুভ্রর সাথে কিন্তু আমার মিল আছে। আপনি স্বীকার করেন আর না করেন। তবে সিগারেট এখনও চালিয়ে যাচ্ছি। সুরভি সারা দিনই এ নিয়ে ক্যাট ক্যাট করে।

সব মেয়েরাই নিজের স্বামীকে একটূ অন্যরকম ভাবতে ভালোবাসে।

১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:১২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: শুভ্রের সাথে আপনার মিল নাই। আপনি সহজ সরল মানুষ। শুভ্র দেখতে সাদাসিদা হলেও গভীর জলের মাছ। জাঁতে মাতাল তালে ঠিক।

ছবিতে কোনো পাপ নেই বটে কিন্তু বকধার্মিকদেরকে ভয় পাই।


ডাব প্রতিদিন মাস্ট নাকি? আমি তো শুনেছি ডাবের শাস খেলে চোখের মনি সাদা বয় বিড়ালের মত। বিড়াল কন্যা বা বিড়াল মানব। অবশ্য আজকাল মানুষ লেন্স পরে লেন্সের ঝামেলা বেঁচে যাবে তাই না?

১৭| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: নুরু সাহেব সব বিষয়ে অভিজ্ঞ মানুষ।
সবার মন্তব্য গুলো পড়লাম।
অশনি সংকেত আবার কি? সামনে ভালো দিন অপেক্ষা করছে। আনন্দময় সময় অপেক্ষা করছে।
সালাম চাচা কোনো সমস্যা। বুড়ো লোক হাওয়াই মিঠাই খায় না। খাবে না এটা স্বাভাবিক। তাই নিয়ে পাশের সিটে রেখে দিয়েছে। অথবা আপনাদের নামিয়ে দিয়ে খাবে।

১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:১৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা সবাই শুধু অশনি সংকেত দেখছে রাজীবনভাই।

নূরুভাই তো স্মৃতিকাতর হয়ে পালিয়েই গেলেন।

১৮| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৩০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: রাজিব নূরের সাথে আপনার গল্পের নায়কের সত্যিই অনেক মিল খুঁজে পাচ্ছি। শুভ্র বই পড়তে ভালবাসে উনিও তাই। রাজীব নূর তার স্ত্রীর ভালবাসায় সিগারেট ছেড়েছে আমাদের নায়কও তাই। শুভ্র নায়িকার হাতের আঙ্গুলের মধ্যে তার হাতের আঙ্গুল দিয়ে মোরায় বসে থাকে, রাতে ঘুমায়, রিকশায় ঘোড়ে আমাদের রাজিব নুরও তাই (মাঝে মাঝে অবশ্য গোপনে নীল পরী, লাল পরীর স্বপ্ন দেখে )। রাজীব নূরের মনোভাব বাংলাদেশের মাত্র ১% লোকের সাথে মেলে আমাদের গল্পের নায়কেরও তাই। শুধু একটা পার্থক্য হোল রাজিব নূর ঘরজামাই না।

১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:০০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা হা চুয়াত্তরভাই তাইলে কি শুভ্র নাম বাদ দিয়ে রাজীব নুর দেবো?

১৯| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: আমি ডাবের শাস খেতে বলে নি। পানি খেতে বলেছি।

সুরভি তো প্রতিদিন ডাব খাচ্ছে। তার বাঁচা হবে।

১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:০৯

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: গুড!
এই সুবাদে শুভ সংবাদটা পেয়ে গেলাম রাজীব নুরভাই।

২০| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৫৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: রাজীব নূর বলতে চাচ্ছে যে নায়িকা খাবে ডাবের পানি আর ঘরজামাই খাবে ডাবের শাঁস। শুভ্র কি ডাব কাটতে পারে?

১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:১১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: পারতো না এখন মুরগী মাছ সবই কাটতে পারে। হা হা হা হা

২১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:৫৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বাসর রাতে স্ত্রী নবগৃহীত স্বামীকে জিজ্ঞাসিল, তুমি কি জীবনে কোনো মেয়েকে চুমু খেয়েছ? স্বামী জড়তাগ্রস্ত কণ্ঠে বললো, একবার কলেজের করিডোরে একদল মেয়ে আমাকে চারদিক থেকে ঘিরে ধরলো। একজনে ছুরি নিয়ে এগিয়ে এসে বললো, চুমু খাও। আমি হাত দিয়ে চোখমুখ ঢেকে ভয় জড়ানো কণ্ঠে বললাম, না না, কিছুতেই না। আপনাগো বাপ-ভাই নাই? ওরা তখন আমার দুই গালে চড় মেরে বললো, জলদি চুমু খাও। নইলে বুকে ছুরি ঢুকিয়ে মেরে ফেলবো।

স্ত্রী জিজ্ঞাসা করলো, তারপর? চুমা দিছিলা?
স্বামী এবার নির্বিকার স্বরে বলে, দেখতে পাইতেছ না, আমি বাইচ্যা আছি?

১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:০৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: কয়জনরে দিসিলো সোনাবীজ ভাই?

এতজনরে দিলেও বেঁচে থাকার কথা না।

২২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:২২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: লেখক বলেছেন: ফাঁস করে দেন। কি আছে জীবনে? আমরা আপনার বেদনার সঙ্গী হতে চাই।

চাইলেই কি সব ফাস করা যায় !!
এ ব্যাথা কিযে ব্যাথা বোঝে কি আন্ জনে
সজনি আমি বুঝি মরেছি মনে মনে


বাঘে ছুঁলে কত ঘা, তার একটা হিসাব আছে। পুলিশে ছুঁলে কত ঘা,
তাও হয়তো অনুমান করা যায়। কিন্তু সজনী ছুঁলে জখম কতটা গভীর হবে,
আগাম অনুমান করা সম্ভব নয়। সজনী একবার দাঁত বসালে তাঁর
রক্তক্ষরণ সবাই দেখতে পায়না। তবে সেই রক্তক্ষরণ আর যে শেষ হয় না।
অশেষ যন্ত্রণা নিয়ে বলতে হচ্ছে, সজনীটা এমনই।

১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:০৯

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আহারে। সজনী তো দেখছি বেজায় রকম বাঘিনী দাঁত বসায়, রক্তও ঝরায় ........

২৩| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৩১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ সোনাবীজ ভাই- শুধু চুমু খাওয়ার জন্য ছুরি-কাচি নিয়ে এলো। আমার মনে হয় পুরোটা আপনি বলেননি।

১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:১০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আমারও মনে হয় তবে পুরোটা অনুমান করছি। বলা ঠিক হবে কিনা বুঝতে পারছি না।

২৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:১১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ সোনাবীজ ভাই- শুধু চুমু খাওয়ার জন্য ছুরি-কাচি নিয়ে এলো। আমার মনে হয় পুরোটা আপনি বলেননি।

বাকিটা দয়া করে আপনি বলে দিন :)

১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:১০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আচ্ছা আগে চুয়াত্তরভাই বলুক। আমি পরে বোলবোনে।

২৫| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:০৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ সোনাবীজ ভাই - আমি তো এটার পুরোটা জানি কিন্তু সব বললে এই পোস্টের মেয়ে ব্লগাররা আর এই মুখো হবে না। তাই বরং
এই ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ মা. হাসান ভাইয়ের জন্য অপেক্ষা করি উনি আবার এগুলি রসিয়ে রসিয়ে বলতে পারেন। মেয়েরা আবার শুনতেও পছন্দ করে। এখন আমি চুমু নিয়ে একটা অত্যন্ত শালীন জোকস বলছি-

নব বিবাহিত স্বামী-স্ত্রী রাতে ট্রেন ভ্রমন করছেন।
হঠাৎ পুরো ট্রেনের ইলেক্ট্রিসিটি চলে গেল, বেশ কিছুক্ষণ পর আবার সব আলো জ্বলে উঠলো…..
স্বামী: আগে যদি জানতাম এতক্ষণ আন্ধকার থাকবে তাহলে এর সদ্ব্যবহার করে অনেকগুলি চুমু খেতে পারতাম।
স্ত্রী: তুমি ছিলে না……. তাহলে এতক্ষণ কে ছিল …… !!!!

১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৩৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা হা চুয়াত্তরভাই কি শুনালেন এটা!

২৬| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৭

রামিসা রোজা বলেছেন:
শুভ্র পুরোপুরি ম্যাচিউরিটি আসার আগেই সংসার ও
সন্তান পাচ্ছে হয়তো সে জন্য একটু উদাসীন ।
দেখা যাক কি হয় পরবর্তীতে ।
শুভকামনা ।

১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৩৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ঠিক তাই। বাবা হবার মত ম্যাচিউরিটি তার আসেনি।

২৭| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৬

আমি সাজিদ বলেছেন: কি একটা অবস্থা!

১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৩৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা সেই তো......

২৮| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:২৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এই পর্বে কনটেন্ট কম।
সালাম চাচার গাড়িতে বাপের বাড়িতে যাচ্ছেন অনিচ্ছাসত্ত্বেও শুভকে সঙ্গে নিয়ে। কেবলমাত্র একটা বিষয়কে টেনে একটা পর্ব সম্পন্ন করা মানে গল্পের গতি হারিয়ে গেছে। এত স্লথ গতি আগামীতে পাঠকের বিরক্তির কারণ হতে পারে। আশাকরি পজেটিভ ভাবে নিবেন।
শুভেচ্ছা জানবেন।

১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৪০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: সব পর্ব লিখেই আমার মনে হয় কনটেন্ট কম। তবুও কিছু করার থাকে না। এত ব্যাস্ত থাকি যে যখন যতটুকু পারি তাই লিখতে হয়।
গল্পের গতী কি? করোনার পাল্লায় পড়ে নিজের গতীই হারায় বলে আর একটু হলে।

২৯| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১৫

মিরোরডডল বলেছেন:



শুরুতেই জটিল প্রশ্ন, ভালোবাসা না শুধুই মুহূর্তের চাওয়া ?
Kiss without love ? no way!!! ডেফিনেটলি ভালোবাসা ।
ইফ নো লাভ, নো কিস ।

হয়তো সব ক্ষেত্রে নয় কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আমাদের দেশে প্রেগন্যান্ট মেয়েদের এমনভাবে ট্রিট করে যেন ইনেকটিভ করে দেয়, এটা কেনো ? এখানে দেখেছি ডেলিভারির ওয়ান উইক আগেও অফিস করে । আমার এক ক্লোজ ফ্রেন্ড সেভেন মান্থেও সুইমিং করেছে রেগুলার । শুনেছি ডক্টর এডভাইস করে বডি যত বেশী একটিভ থাকবে, ডেলিভারি নাকি ততই ইজি হয় ।

ঠিকই বলেছো আপু, ছেলেদের বেশীদিন শ্বশুরবাড়ি থাকাটা ভাবতে কেমন যেন আসলেই ভালো লাগছে না । ভাবছি আমি থাকলে কি করতাম । শুভ্রকে শ্বশুরবাড়ি থাকতেই দিবোনা । আমি নিজেও মনে হয়না মায়ের কাছে এসময় বেশী দিন থাকবো । এন্ড অভ দ্যা ডে প্রিয়জনের বুকের মাঝে থাকাটাই সবচেয়ে ভালোলাগার আর সেটা অবশ্যই নিজের বাড়ীতে ।

আঙ্গুলে আঙ্গুল জড়িয়ে থাকার বিষয়টা অনেক সুইট আপু ।

বাচ্চা মেয়েটাকে টাকা দিয়ে বাড়ী পাঠানো আর হাওয়াই মিঠাই দেয়ার অংশটুকু এই পর্বের বেস্ট পার্ট ।

শর্তের কথা আসতেই বুঝতে পেরেছি কি হবে সেটা আর ঠিক তাই হয়েছে । ওয়েল ডান শুভ্র ।
স্মোকিং কুইটের এই কন্ডিশনটা ভালো লেগেছে । গুড জব আপুটা ।


১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: তুমিও দেখছি খুঁটিয়ে পড়া ওস্তাদ। এত খুঁটিয়ে পড়ে এত বিশ্লেষনী মন্তব্য। মুগ্ধ হলাম।

৩০| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:২২

মিরোরডডল বলেছেন:



ওহ, সাচুর কমেন্টগুলো খুবই ফানি । প্রথমে বাজারে পাঠানো , তারপর গাড়ী ধোয়ামোছা । হা হা হা, আপু সাচু তোমার শুভ্রর বারোটা বাজাচ্ছে :)
সাচুর জোকসটা অবশ্য খুবই কমন আর পুরনো । নতুন কোনও জোকস নেই সাচু ? অনেক মজার কিছু ?
স্টকে আর কি আছে, শেয়ার করা হোক ।


১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৪৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হ্যাঁ ঐ কমেন্ট পড়ে এক ঘন্টা হেসেছি।

গাড়িও নাকি ধোঁয়াবে সালাম চাচা।

৩১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:০০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
মিরোরডডলের আব্দার রক্ষার্থে সাচু ভাইয়ের পক্ষ থেকে চুমুর একটা জোকস শুনুনঃ
চুমু খাওয়ার জন্য পারিশ্রমিক
হলিউডের এক অভিনেতা তার অভিনীত ছবি দেখার জন্য স্ত্রীকে নিয়ে সিনেমা হলে গিয়ে বসলেন।
সিনেমার মধ্যে নায়িকাকে চুমু খাওয়ার দৃশ্য দেখে স্ত্রী অভিযোগ করলেন, ‘আমি এতদিন তোমার
সঙ্গে জীবন যাপন করছি। অথচ কখনো আমাকে এমন করে চুমু খাওনি।’

তখন অভিনেতা বললেন, ‘তুমি যদি জানতে যে, এই একটি চুমু খাওয়ার জন্য তারা আমাকে কত
টাকা পারিশ্রমিক দিয়েছে। তাহলে আর অমন অভিযোগ করতে না।’

১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:০৯

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হায়রে বউকেও টাকা দিতে হবে!

৩২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:৫৪

শুভ_ঢাকা বলেছেন: আপনারা মেয়েরা তো খুব ইয়ে মানে...প্রগলভ। :) খালি চুম্মা চাম্মি নিয়ে পড়ে আছেন। :D =p~ ২/১ দিন আগে অনন্ত প্রেম নামে একটা পুরানো রাজ্জাক ববিতার ছবি নিয়ে রিভিউ পোষ্ট দিয়েছিলেন একজন ব্লগার। সেখানে তিনি লিখেছেন বাংলাদেশে এই বাংলা ছবিতেই নাকি প্রথম চুম্মা প্রচলন হয়। আর এই প্রথম চুম্মার জন্য নায়িকা ববিতা এক্সটা ২০,০০০/- টাকা নিয়েছিল। হা হা হা...

এবার আসি শুভ্রের ধূমপান ত্যাগের ব্যাপারে। লেখিকা বলেছেন শুভ্র চেইন স্মোকার ছিল। এক বেলা ভাত না খেলেও চলতো। কিন্তু সিগারেট না খেলে চলতো না। এক চুম্মার বিনিময়ে ধূমপান ছেড়ে দিবে। প্রথমেই বলে নেই। ধূমপানকে আমরা সবাই খুব সাধারণ নেশা বলে মনে করি। বস্তুত: ধূমপান খুব উঁচু স্তরের নেশা। সাধারণত যুবক বয়সে বড় ধরনের ডেডিকেশন না থাকলে ধূমপান ছাড়া ভীষণই কঠিন। শুভ্র যদি এক চুম্মার কারণে ধূমপান ছেড়ে থাকে। তবে বুঝতে হবে নায়িকার উপর তার তখনকার মোহ ভালবাসা প্রগাঢ় ছিল।

১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:০০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা তা মনে হয় ছিলো। অথবা শুভ্র এমনই এক মানুষ যখন যেটা প্রয়োজন সেটা করতে দ্বিধা ছিলো না। আবার প্রয়োজন হলে ধুমপানকেও ফিরিয়ে আনার।

নাহ পরের পর্ব খুব তাড়াতাড়ি দিতে হবে নইলে এই চুম্মাচাম্মি ভূত আর ছাড়ছে না ।

৩৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৩৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ মিরোরডডল -
আমাদের ক্যাবলা শুভ্রের কাণ্ড দেখেন। বেচারা চাকরী না পেয়ে কোনও মতে একটা টিউশনি জোগাড় করলো।

শুভ্র গেল তার ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়াতে। সে তার ছাত্রীকে গণিত শেখাচ্ছে………
শুভ্র - মনে কর, তোমার কাছে ৫ টা গোলাপ আছে, আমি তোমাকে আরো ৫ টা দিলাম। তাহলে, তোমার কাছে মোট গোলাপ থাকবে ১০ টি, এটা হল যোগ ।
চান্দু - বুঝেছ ? অনেক মজা না ??
ছাত্রী - জ্বি ।
শুভ্র - এবার ধর আমার কাছে ১০ টা চকলেট আছে, আমি তোমাকে ৮ টা দিয়ে দিলাম আমার কাছে ২ টা থাকবে । এটা হল বিয়োগ ।
শুভ্র - বুঝেছ ? অনেক মজা তাই না ?
ছাত্রী - জ্বি।
শুভ্র - এবার মনে কর, তুমি আমায় তিনটা চুমু দিলে, আর আমি তোমায় চুমু দিলাম ১২ টা । তাহলে মোট ৪ গুণ চুমু তুমি বেশি পেলে, এটা হল গুণ ।
শুভ্র - বুঝেছো ? অনেক মজা তাই না ?
ছাত্রী - জ্বি ।
দরজার পাশে দাঁড়িয়ে ছাত্রীর বাপ এতক্ষণ সব শুনছিলেন । ঘরে ঢুকে শুভ্রর হাত ধরে দাঁড় করিয়ে দরজার কাছে নিয়ে গেলেন।

তারপর শুভ্রের ঘাড়টা ধরে বের ঘর থেকে বের করে দিয়ে বললেন, আর এটা হল ভাগ । :)

বেচারা শুভ্র ওর কষ্ট আমি ছাড়া কেউ বুঝলো না।

১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:০১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: এই কমেন্ট যখন পড়েছি তখন থেকেই হাসছি।

ভাগ শিক্ষাটা আসলেই এক্কেবারে এপ্রোপ্রিয়েট ছিলো। হা হা হা

৩৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৯

মিরোরডডল বলেছেন:



@ নূর মোহাম্মদ নূরু

হা হা হা......
এটা মজার ছিলো :)


১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:০২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: সবাই এত কৌতুক বলছে যা পড়ে পড়ে হাসতে হাসতে মরছি।

৩৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৪

মিরোরডডল বলেছেন:
ওহ মাই গড ! ইটস হিলারিয়াস !!!!!
হা হা হা...... সাচু, দারুণ মজার =p~






১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:০৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: এই গল্পের জন্য কোনোদিন যদি কেউ আমাকে একটা পুরষ্কারও দেয় তবে তার অর্ধেকের বেশি আমি সাচুভাইকেই দেবো।

৩৬| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:২০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: চিলেকোটার প্রেমের মাদকতা-উমমাদনা,আবেগ হারিয়ে যাচছে । তার জায়গায় ধীরে ধীরে স্থান করে নিচছে বাস্তবতা তথা ভালবাসার দূর্বল দিক গুলি।বেরিয়ে আসতে চাচছে ভালবাসার ফাঁক ফোকরগুলি বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে যা এতদিন ভালবাসা নামক চাঁদর দিয়ে ঢাকা ছিল।

তারপরেও ভালবাসা ভালবাসাই (ভাল :P বাসা নয়) ।উভয়ে যতদিন এসব দূর্বলতাগুলি এড়িয়ে, ত্যাগ করে - না দেখে চলতে পারবে ততদিন ভালবাসা নিরাপদ ।আর তা না হলে ভালবাসা খারাপ বাসায় পরিবর্তন হতে খুব বেশী দিন লাগবে বলে মনে হয়না।

আর শুভ্র !!!! কি বলব । তার জন্য কিছু বলার নেই। যাক তারপরেও তার স্বর্গীয় ভালবাসা অটুট থাকুক,এটাই চাওয়া।তার দিক থেকে দেখতে গেলে এটাও ঠিক যে ,একটা ছেলে যেই অবস্থানেই থাকুক না কেন শ্বশুর বাড়ী সম্পর্কে তার কিছু প্রত্যাশা থাকেই। আর শুভ্র বাবু ত আক্ষরিক ভাবেই শ্বশুর বাড়ী র কিছু আদর সমাদর পায়নি।সেই হিসাবে তার একটা অপূর্ণতা আছে । এ সুযোগে তার ইচছার পূর্ণতা পাক এ আশা করতেই পারে।
আর সবশেষে শ্বশুর বাড়ীতে নতুন জামাইয়ের আগমন উপলক্ষে একরাশ শুভেচছা ও অভিনন্দন শুভ্র বাবুকে।

১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:০৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা কামরুজ্জামান ভাই। দেখি শুভ্রের ভাগ্যে কেমন সমাদর জোটানো যায়।

ভালোবাসা আর মাঝে ফাকটুকুন দিয়ে ভালো বাসা আর চিলেকোঠার বাসা ভাড়ার বাসা শ্বশুরবাসা সবই বাসা বাসি। তবু মাঝ খানে তার বেজায় ফাক।

৩৭| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:১০

ঢুকিচেপা বলেছেন: লেখা বা গল্প দারুণ হয়েছে। এ বিষয়ে কিছু বলার নেই।

তবে যা বলার আছে তা হলো, ব্যারাইম্মা পোলার কথা !!!!
এতো এতো গিয়ানি লোকজন তো আর মিথ্যা বলতে পারে না। গিয়ানি লোকের কথা বাসি হলে ফলবে, এই বলে দিলাম।

“ আমার শুধু মনে হচ্ছিলো শুভ্রকে যেভাবে চিনি, একজন বুদ্ধিমান ও শান্ত ভদ্র এবং অসম্ভব আত্ম সন্মান জ্ঞান সম্পন্ন মানুষ হিসাবে তার সাথে এই ব্যাপারগুলো ঠিক যাচ্ছে না যেন।”
এই তো মাথায় ঢুকেছে ব্যাপারখানা। যতগুলো বিশেষণ দিয়েছেন এর একটাও তার মধ্যে নেই বরং ঘাটের মরাটাকে এখানেই ফেলে দিলেই হয়।

“ সে খুন করে আসলেও সেটা সদর্পেই বলবে হ্যাঁ খুন করেছি। কখনও লুকাবে না।”
কি সংঘাতিক কথা, এই ছেলে খুনও করতে পারে ? আগে করেছে কিনা সেটা জানতে রিমান্ড স্পেশালিস্ট মা.হাসান ভাইয়ের হাতে ছেড়ে দেয়া হোক।

“ চাচা আমার দিকে তাকিয়ে জিগাসা করলেন, খুকী ভালো আছো তো? আর তারপরপরই শুভ্রের দিকে একটু বিরক্ত চোখে চাইলেন।”

সালাম চাচারে লাল সালাম..... কেউ আমারে সালাম চাচার ঠিকানাটা দিক, এক চা চামুচ ছোলা, এক মুঠ মুড়ি চাচার নামে পার্সেল করে পাঠাই।

“ শুভ্র বললো, হলোতো এখন খাও হাওয়াই মিঠা। তোমার বাচ্চা বান্ধবীর উপহার। বলে একটা হাওয়াই মিঠা পলিথিন ছিড়ে খাওয়া শুরু করলো।”
একেই বলে চোখ থাকিতে অন্ধ!!!!! বাচ্চা একটা মেয়ে আইডিয়াসহ ব্যবসা দিয়ে গেল আর হাড় হাভাতে খেয়ে ফেললো ? সে তো হাওয়াই মিঠাই নিয়ে বাইরে বিক্রি করে শ্বাশুড়ীর জন্য কিছু ফল, মিস্টি কিনে নিয়ে যেতে পারতো, শ্বশুর বাড়ীতে প্রথম যাত্রা বলে কথা !!!!! এতসব বুদ্ধি কি আমাদেরকেই দিতে হবে?

“ শুভ্র বলেছিলো সে সব ছাড়তে পারবে। তবুও স্মোকিং না। সেই শুভ্র স্মোকিং ছেড়েছিলো।”
একদম মিথ্যে কথা, সে তো মাঝে মাঝে চকলেট খাওয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে যেত। তাই তো বলি শুভ্র ছেলেটা আর যাই করুক সিগারেটের সাথে বেইমানী করবে না।

@ সাড়ে চুয়াত্তর @মা.হাসান
ব্যারাইম্মা ঘর জামাইয়ের জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে খাঁটি সরিষার তেল আনতে হবে না। দুইদিন যাক আপনাদের অভিশাপে এমনিই আঠা খুলে যাবে।

যাইহোক বিয়ের পরে জামাইকে কিছুই দিতে পারিনি। একটা গাড়ী দিয়ে যাচ্ছি।

সালাম চাচার সাথে গাড়ী মোছার সাথে গাড়ী চালানো শিখে নিক। লেখাপড়ার পাশাপাশি উবারে ভাড়া খাটিয়ে শ্বাশুড়ীর জন্য অন্তত কিছু পান, জর্দা কিনে আনলে কেউ আর বলতে পারবে না বেকার ঘরজামাই।

১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আহারে আমার শুভ্রের একটু শ্বাসকষ্ট আছে তাই বলে একটু মায়া নেই কারো। এ কেমন বিচার!


তার বয়স মাত্র এখন ৩৩ চলছে তখন আরও কম ছিলো। আর তাকে কিনা ঘাটের মরা বলা? আমি কিন্তু রাগ কববো। :(

না না খুন করবে কেনো? সে তো বিশ্বের এক নাম্বার ভালো। মানে বললাম আর কি। কখনও যা করে তা লুকায়না আর কি।


আর সালাম চাচা ওমন করলো তাকেই পছন্দ হলো? নাহ তোমরা সবাই দেখছি শত্তুর হয়ে যাচ্ছো।

নাহ পরের টুকু পড়ে আর থাকতে পারলাম না।দাঁড়াও হেসে আসি নইলে আবার আমার রাগ চলে যাবে।


=p~

৩৮| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৫০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: “ শুভ্র বললো, হলোতো এখন খাও হাওয়াই মিঠা। তোমার বাচ্চা বান্ধবীর উপহার। বলে একটা হাওয়াই মিঠা পলিথিন ছিড়ে খাওয়া শুরু করলো।”
একেই বলে চোখ থাকিতে অন্ধ!!!!! বাচ্চা একটা মেয়ে আইডিয়াসহ ব্যবসা দিয়ে গেল আর হাড় হাভাতে খেয়ে ফেললো ? সে তো হাওয়াই মিঠাই নিয়ে বাইরে বিক্রি করে শ্বাশুড়ীর জন্য কিছু ফল, মিস্টি কিনে নিয়ে যেতে পারতো, শ্বশুর বাড়ীতে প্রথম যাত্রা বলে কথা !!!!! এতসব বুদ্ধি কি আমাদেরকেই দিতে হবে?


শেষ পর্যন্ত তোমরা শুভ্রকে দিয়ে হাওয়াই মিঠাইও বিক্রি করাবা? নাহ তোমাদের একটুও মায়া দয়া কিচ্ছু নেই দেখছি। এই গরমে রোদে ঘেমে নেয়ে ও হাওয়াউ মিঠা বিক্রি করবে? ওর কষ্ট হবে না? তারপর কেমন চেহারা হবে ভেবে দেখেছো এই কটকটা রোদে বিক্রি করতে গেলে? ঐ চেহারায় শ্বশুরবাড়ি যাওয়া যাবে?
তাছাড়া কেউ যদি দেখে কি ভাববে? আর সালাম চাচাই বা কি ভাববে? নাহ তোমাদের বুদ্ধি নাই।


যাইহোক চকলেটই তো খেত। তোমার কাছে তো আর এলএসডি চাইতোনা। চকলেট ভালো জিনিস। শিশু থেকে বুড়া সবাই খেতে পারে।


হায় খোদা আবার অভিশাপও দিচ্ছো। নাহ আমি নিজেই সুপার গ্লু কিনে ওদেরকে জোড়া লাগিয়ে দিচ্ছি।

৩৯| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: দূর এই সব কি হচ্ছে মাথা টাথা কি সব খারাপ হয়ে যাচ্ছে নাকি আমার!


আচ্ছা যাক যা বলছিলাম-

যাইহোক বিয়ের পরে জামাইকে কিছুই দিতে পারিনি। একটা গাড়ী দিয়ে যাচ্ছি।
সালাম চাচার সাথে গাড়ী মোছার সাথে গাড়ী চালানো শিখে নিক। লেখাপড়ার পাশাপাশি উবারে ভাড়া খাটিয়ে শ্বাশুড়ীর জন্য অন্তত কিছু পান, জর্দা কিনে আনলে কেউ আর বলতে পারবে না বেকার ঘরজামাই।


এই বুঝি উবার হলো? ভয় হচ্ছে আপা আপনি কি প্রাগৈতিহাসিক যুগের কেউ নাকি? এ মূল্যবান গাড়ি কককই পেলেন!

উবার লাগবে না এই গাড়িয়ে যাদুঘরে দিয়েই এবার শুভ্রকে কোটিপতি বানানো যাবে। গাড়ি চালানোরও দরকার নেই আর পান জর্দা কি শুভ্র শ্বাশুড়ির জন্য কিনবে হীরার মালা।

৪০| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: বাস্তবতর প্রেক্ষাপটে হয়ত শুভ্রকে হয়ত একটু সম্পূর্ণ ভিন্নরকম মনে হয় তারপরেও শুভ্র আসলে শুভ্রই যে ভালবাসার জন্য সবকিছু করতে পারে।বর্তমান অবস্থায় সে যে শ্বশুর বাড়ীতে যাওয়ার সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা সবার পক্ষে নেয়া সম্ভব হতনা ।যে যাই বলুক এতে তার একনিষ্ঠ ভালবাসার ই প্রমাণ পাওয়া যায়।কিন্তু আমাদের চারপাশের সমাজ-বিজ্ঞানের ধারক বাহকেরা,আপনজন তথা আমজনতা তা ভালভাবে বিচার করেনা ।শুভ্রর এ যাওয়াকে তারা তার অক্ষমতা হিসাবেই মূল্যায়ন করতে চাইবে এর তাদের উভয়কেই মানষিক ভাবে ক্ষতবিক্ষত হতে পারে।
আর তখনই উভয়কে তাদের ভালবাসার পরীক্ষা দিতে হতে পারে ।
শুভ্র আসলেই একটু কেমন :-B রোগা-ভোগা,স্ত্রী সোহাগে সোহাগা।আসলেই একের মাঝে ১০০ ।যে ভালবাসার জন্য কঠিন :(( যে কোন কাজ করতে পারে।

১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা কামরুজ্জামান ভাই। মনটা কি একটু খারাপ। আজকের কমেন্টগুলোতে কেমন যেন বিষন্নতার সূর।

আর সবাই যেমন আমার শুভ্রের পিছে লেগেছে সেখানে আপনার গলার একটু বিষন্নতা কেনো ভাই?

মনটা কি সত্যি খারাপ আজ?

১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:০৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: এমনি বরষা ছিল সেদিন

এ গানটা আপনার জন্য

মোর হাতখানি ধরে কহিলে হায় 'মন দিয়ে মন ভোলা কি যায়?
কাঁদিবে আকাশ মোর ব্যাথায় বাদল ঝরে প্রিয়......

৪১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:১৩

আনমোনা বলেছেন: কেন জানি মনে হচ্ছে মাহরিন, হ্যা মাহরিনই সই, সে শুভ্রকে অনলাইনের পরিচয়ে বিয়ে করেছে যতটা না তাকে ভালোবেসে, তারচেয়ে বেশী নিজের পরিবারের আন্তরিকতাহীন, দম্ভপূর্ন পরিবেশ থেকে মুক্তি পেতে।

বিয়ের আগে সে শুভ্রকে মাত্র একদুইবার দেখেছে। কিভাবে জানল, সে সিরিয়াস স্মোকার ছিল, আর কথা রাখতেই স্মোকিং ছাড়লো? মেয়েটা আবেগকে খুব প্রাধান্য দিয়ে চলে, আগ-পাছ ভাবেনা। তাও ভালো, শুভ্রর পরিবার বেশী আন্তরিক। শুভ্রর চাইতে তাদেরকেই বেশী ভালো লাগছে, এমনকি শুভ্রর মাকেও। দেখা যাক, এটুকু দিয়ে শেষ রক্ষা হয় কিনা।

বকধার্মিকদের ভয়ে ছবি সরানো চলবেনা।

১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:১৯

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা হতে পারে আবার নাও হতে পারে।

এডভেঞ্চারও হতে পারে। এমন মেয়েরা একটু বোকা হয় আসলে। সাত পাঁচ না ভেবেই ঝাঁপ দেয় আগুনে।

বিয়ের আগে দু একবার দেখলে কি হবে? অনলাইনে তো রোজ রোজ কথা হত। ফোনেও হত।

শুভ্রকে কারো ভালো লাগছে না কেনো বুঝতেই পারছিনা। শুভ্র তো কোটিতে এক। সেটা একটু অন্যরকম ধকম বলে বুঝাতেই পারছি না।

না না বক ধার্মিক কাক ধার্মিক কাউকে ভয় পাই না। সবাই আছেনা?

৪২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৩২

খায়রুল আহসান বলেছেন: হাওয়াই মিঠাই বিক্রেতা মেয়েটির প্রতি লেখিকার কাইন্ডনেস এবং তার কোলে থাকা বাচ্চাটাকে দেখে তার সস্নেহ, মাতৃত্বসুলভ অনুভূতি খুব ভাল লেগেছে।
ছাত্রীর বাবা কর্তৃক স্বয়ং টিউটরকে ভাগ অংক শিক্ষাদানের প্রক্রিয়াটিতে বড় মজা পেয়েছি।
শুভ্রকে অনেকে মজা করে পঁচালেও, আমি এখনো তাকে ভালই পাচ্ছি। আশাকরি যথাসময়ে তার নায়কোচিত গুণাবলী প্রকাশ পাবে।
অবশ্য লেখিকা তা না চিলে সেটা অন্য কথা!

১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৩৯

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হ্যাঁ ভাগ অংক শেখানোর মত ভাগ অংক কেউ শিখলে বাবার জনমেও ভুলবে না।

আর আমরা তো জীবনেও ভুলবোই না।

কিন্তু শুভ্রকে সবাই পঁচাচ্ছে দুষ্টামী করে। সবাই জানে সে এমন কিছু যা ভাষায় প্রকাশ করা লেখিকার কাজ না।

শুভ্র কোটিতে একটা। কিন্তু সকলে তা বুঝবে না.........

ঐ যে ঐ গানটার মত চিনলি নারে চিনলি না ......

১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৪০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: Click This Link

এই যে এই গানটা .....

৪৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:২৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ ঢুকিচেপা ভাই - আপনার গাড়ি উপহার পেয়ে শুভ্র অনেক খুশি হবে। গাড়ির অবস্থা আর শুভ্রের অবস্থা অনেকটা একই রকম। ইঞ্জিন না থাকলে এই গাড়ির সামনে একজোড়া বলদ বা মহিষ লাগিয়ে দিতে হবে। এই গাড়ি চালিয়ে শুভ্র প্রতিদিন নায়িকাকে অফিসে নামিয়ে দেবে। তবে অফিস থেকে গাড়ি একটু দূরে রাখতে হবে। এই গাড়ির ফিটনেস, ট্যাক্স লাগবে না কারণ গরু/ মহিষে টানা গাড়ি ট্র্যাফিক পুলিশ ধরবে না। গাড়ির মালিক হওয়ার কারণে ড্রাইভার সালাম চাচাও এখন থেকে শুভ্রকে সমীহ করে কথা বলবে।

১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৩৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা এখন আবার চাক্কা ছাড়া গাড়িকে গরুর গাড়িও বানিয়ে দিলেন চুয়াত্তরভাই.....

৪৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৯

মিরোরডডল বলেছেন:



ওহ গড !!! ঢুকিটা এমন চিপ্পু ?? এরকম একটা গাড়ী দিতে পারলো ??? এতো বড় হৃদয় তার ????

এই গাড়ীতো টাচ করলেই নাট বল্টু ডোর উইন্ডো সব হাতে খুলে আসবে । আপু এগুলো পার্ট পার্ট খুলে ঢুকির মাথায় ভাঙো । হেল্প লাগলে আমাকে ডেকো ।

ঢুকি একটা চরম কিপটুস !


২১ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৮:২৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: শুধু কিপ্পু! একজন প্রাগৈতিহাসিক বোদ্ধাও বটে।

নইলে এই গাড়ির মূল্য কেমনে বুঝলো বলো?

৪৫| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:০৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: কবিতা পড়ার প্রহর,





চিলে কোঠার প্রেম এর গল্পে দেয়া ছবিটা ঠিক চিলে কোঠার মতোই সঠিক মাপ আর ছন্দের হয়েছে ।
আর গল্পের মাঝে প্রেমটুকু বাদ দিলে যেটুকু দাগ কাটার তা পথকলি শিশুদের প্রতি নায়িকার স্নেহময় মানবিক ভাবনাগুলো।

ধুতরা ফুলের কুঁড়ি ধীরেধীরে ফুটছে মনে হয়.................

২১ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৮:২৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ওহ পথকলিদের প্রতি এ ভালোবাসা ফিলিংসটা লেখিকার নিজেও যখন ছোট ছিলো তখন থেকেই। নিজেকে ওমন জায়গায় কল্পনা করেও সে ক্পনার রাজ্যে ভেসে যেত .......

সেই রাজ্যে দুঃখ থাকুক আর সুখ থাকুক সবই সইত তার। বড় হবার পরে নিজের দুঃখ কষ্ট সইবার সাথে সাথে ওদের পৃথিবীও যে একই দুঃখ কষ্ট স্রোতেই ভাসে তা বুঝতে বাকী রইলোনা তার।

৪৬| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৩১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জীবনটাকে যদি কেবলই চিলোকোঠায় আটকে রাখা যেত
কিংবা গাড়ীতে হাতে হাত রাখা অবস্থায়- সাথে বাজতো এই পথ যদি না শেষ হয়..........
কিংবা সেই জোৎস্না ভেজা ছাদে.. কাঁধে মাথা রেখে অনন্তকাল
বৃষ্টি ভেজা ছাদে শুধু দুজনে দুজনাতে ... বৃষ্টির চাদলে ঢাকা...

হলো আর কই!
জীবন টেনে হিচরে নামিয়ে দেয়
ক্ষুধা, আর প্রয়োজনের পিচঢালা রাজপথে! বাস্তবতার গনগণে সূর্য মাথার উপর
অত:পর
জীবন মানে শুধুই জীবন বয়ে নেয়া!

বরাবরের মতোই সিরিজে +++

২১ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৮:২৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হ্যাঁ ঠিক তাই পথের শেষে দাঁড়িয়ে থাকে রক্তচক্ষু বাবা মা গোটা পৃথিবী...

৪৭| ২২ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:০৮

ঢুকিচেপা বলেছেন: @ সাড়ে চুয়াত্তর ভাই
“ ইঞ্জিন না থাকলে এই গাড়ির সামনে একজোড়া বলদ বা মহিষ লাগিয়ে দিতে হবে। এই গাড়ি চালিয়ে শুভ্র প্রতিদিন নায়িকাকে অফিসে নামিয়ে দেবে। এই গাড়ির ফিটনেস, ট্যাক্স লাগবে না কারণ গরু/ মহিষে টানা গাড়ি ট্র্যাফিক পুলিশ ধরবে না।”
কত সুন্দর একটা বুদ্ধি দিয়েছেন, প্রতিদিন নিজের গাড়িতে করে অফিস যাবে আসবে, কি মজা। সবচেয়ে বড় কথা এই গরু/মহিষ থেকে দুধও পাবে, ইচ্ছা করলে খাবে আর বাদবাকি বাড়ী বাড়ী বিক্রি করবে। পড়াশোনার পাশাপাশি রাখালের কাজ করলে কি জাত যাবে ?


@ মিরোরডডল আপু
“ ঢুকিটা এমন চিপ্পু ?? এরকম একটা গাড়ী দিতে পারলো ??? এতো বড় হৃদয় তার ????”
একটা গাড়ি দিয়েছি বলে কি চিপ্পু হয়ে গেলাম ? আপনি কি প্লেন দিতে বলছেন ? প্লেনটা নামাবে কোথায় ? আর গাড়ী তো ঠিকই আছে বাতাস খেতে খেতে যাবে আসবে।

“ এই গাড়ীতো টাচ করলেই নাট বল্টু ডোর উইন্ডো সব হাতে খুলে আসবে ।”
এই তো এইবার মাথায় বুদ্ধি এসেছে, টাচ করলেই নাট বল্টু ডোর উইন্ডো সব হাতে খুলে আসবে আর যেই মাত্র গাড়িতে বসবেন অমনি সব অটোমেটিক ঠিক হয়ে যাবে, এটা একদম নতুন প্রযুক্তির গাড়ি।

“ আপু এগুলো পার্ট পার্ট খুলে ঢুকির মাথায় ভাঙো ।”
ভাঙ্গা ভাঙ্গির কাজ চলে ধোলাইখালে, আমার মাথা কি ধোলাইখাল মনে হচ্ছে ?

“ হেল্প লাগলে আমাকে ডেকো ।”
বাবা, এখন সুদিন এসেছে আর সব শুভাকাঙ্খী বেরিয়েছে। চিলেকোঠায় নায়িকা যখন মুড়ি খেত, রুটি বানাতে পারতো না তখন এই শুভাকাঙ্খীরা কোথায় ছিল!!!!!!!!!!!!

২৩ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৩৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: গাড়ির সাথে এখন গরুও জুড়ে দিতে হবে? বলি গরুটা দেবে কে?

হা হা ধোলাইখালে গরু পাওয়া যায় আপা?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.