নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে রাতের নির্জনে
প্রায় দেড় বছর! না না এক ফাল্গুন থেকে আরেক ফাল্গুন পেরিয়ে চৈত্রের শেষ। নাহ ঠিক দেড় বছর না, এক বছরের একটু বেশি সময় পর পা দিলাম আমার চিরচেনা শৈশবের স্মৃতিমূখর বাড়িটাতে। একটা বছরের কিছু বেশি, বারো মাস বা তিনশো পয়ষট্টি দিনের কিছু বেশি সময়ে চারিদিক এত বেশি বদলে যায়! এত বদলে যেতে পারে চিরচেনা বা পরম চেনা কোনো আজন্ম লালিত স্থানের ছবি! গাড়ি থেকে পা নামিয়েই প্রথমেই মনে হলো এই কথাটিই আমার।
রেড সিরামিকের ডুপ্লেক্স বাড়িটার সামনে বোগেনভেলিয়া আর বিশাল কুলোর মত পাতা নিয়ে প্রায় আমার সমান বয়সী মানিপ্লান্ট শিকড় গেড়ে দাঁড়িয়ে আছে। সামনে বোটল ব্রাশ হাসনা হেনা আর গন্ধরাজের চকচকে পাতাগুলো দুলছে সাদর অভ্যর্থনায়। তবুও যেন বিষন্ন মলিন মুখের সেই অস্ফুট সম্ভাষন শুনতে পেলাম আমি। বলছে ওরা, এমন করে চলে যেতে হয় খুকী? আমার ভীষন কান্না পেলো। আমি সেদিন ওদের কথা ভাবিনি। চলে যাবার সময় একটাবার ফিরেও তাকাইনি ওদের দিকে। অথচ জড় ও মুক এই জীবিত গাছ পালা তরুলতারা আমাকে ভুলতে পেরেছে? নিশ্চয়ই না। আমার আগমনে আমার এই দীর্ঘ অনুপস্থিতির কষ্টটাই যেন স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে ওরা বিষন্ন মুখে।
মা বারান্দায় বসেছিলেন। আমাদের দেখে উঠে এলেন। আমাকে জড়িয়ে ধরে হঠাৎ কেঁদে ফেললেন। মনে পড়লো যেদিন চলে যাই সেদিন শুধু বিস্ফারিত নেত্রেই তাকিয়ে ছিলেন মা। একটা কথাও বলেননি। একটাবারও জানতে চায়নি কোথায় যাচ্ছি। আজ তার মনের মধ্যে কোন অজানা লুক্কায়িত অভিমানে কেঁদে উঠলেন তিনি জানা নেই আমার। আমাদের আগমনে বাড়ির পুরোনো ঝি সখিনা, নতুন ক্লিনার মালেকা, আরও আমার অজানা দুটি ছেলে মেয়ে আমাদের আশে পাশে এসে দাঁড়ালো। সবার মুখেই বিষন্নতা ছিলো শুধু নতুন ছেলে মেয়েদুটির চোখে মুখে ঝিলিক দিচ্ছিলো অজানা কৌতুক। যেন সার্কাস দেখছে। নিজেকে বড় অপরাধী মনে হচ্ছিলো। আজই প্রথম মনে হলো মানুষ একাই জন্মে একাই মৃত্যুবরণ করে কিন্তু মাঝের এই সময়টা মোটেও স্বার্থপর হওয়া উচিৎ নয়। নিজের জন্মস্থান, নিজের মানুষগুলোর কিছু দাবী থেকেই যায়। যার একটু হের ফেরেই অজ্ঞাত অভিমানে ভোগে তারা।
যাইহোক বহুদিন পর নিজের রুমে এলাম। আমার ব্যবহৃত সকল আসবাবপত্র, দেওয়ালের ছবি, চিরুনী, ফুলদানী, ল্যাম্প অবিকল একই ভাবে রয়েছে। আলমারীতে রাখা কাপড়গুলোও হয়ত সাজানোই আছে থরে থরে গোছানো পরিপাটি। মনে হচ্ছে গতকালই এই রুম থেকে গিয়েছিলাম আমি। আজ ফিরেছি। হঠাৎ চোখে পড়লো দেওয়াল ঘড়িটাতে। বন্ধ হয়ে আছে। সাথে সাথে ঘড়িটাতে চোখ পড়লো মায়েরও। বললো এই যা ঘড়িটার ব্যাটারি বদলাতে হবে জরীপ যা ব্যাটারী নিয়ে আয় শিঘরী। সব অবিকল রুমে শুধু ঘড়িটাই প্রানহীন পড়ে ছিলো। কেউ খেয়াল করেনি সেটা। হঠাৎ দীর্ঘশ্বাস পড়লো আমার। অকারণ মন খারাপ হয়ে আসলো। আমি দূর্বল হয়ে যাচ্ছি। এতদিন বাড়ি ঘর মা বাবা ছেড়ে আমি শুভ্রের সাথে ঐ এক চিলতে চিলেকোঠায় বা ভাড়া বাসায় নতুন আনন্দে মেতে ছিলাম। একটা বারের জন্যও মনে পড়েনি আমার এই আজন্ম লালিত বাসস্থানটিকে। অথচ এতগুলো দিন পরে ফিরে এসে কি এক অজ্ঞাত অভিমান বাসা বাঁধছে আমার বুকের মাঝে? কেনো বা কার উপরেই এই অভিমান জানিনা আমি।
মা তাড়া লাগালেন। তাড়াতাড়ি গোসল টোসল সেরে যেন আমরা খেতে বসি। প্রায় দুপুর হতে চলেছে। একেবারেই লাঞ্চ সেরে ফেলা উচিৎ। বাবাও ফিরছেন। আমাদের সাথে খাবেন। এরই মাঝে নতুন ছেলেটা ওর নাম জানা হয়নি এখনও সে রুপোর গ্লাসে করে সরবৎ নিয়ে এলো। রুপোর গ্লাসে চোখ পড়তেই মনে পড়ে গেলো আমার। এই একজোড়া গ্লাস আর সোনার একটা কারুকার্য্যময় চামচ সেই ছেলেবেলা থেকেই মায়ের আলমারীর তালাবদ্ধ একটি ড্রয়ারে রাখা থাকে দেখে আসছি আমি। এটা নাকি নানুর উপহার। নানুকে মনে পড়ে না আমার। আমার খুব ছোটবেলায় ইন্তেকাল করেছেন তিনি। কিন্তু শুনেছি মাকে এই দুটি জিনিস দিয়ে গেছেন নানু। তার নাতনীকে আর তার অদেখা নাত জামাইটিকে বরন করবার জন্য এই এক জোড়া রুপোর গ্লাস আর তাদের প্রথম সন্তানটির জন্য সোনার চামচটি। মা সে কথা ভোলেননি। জাক-জমক করে বিয়ে দিতে না পারলেও তার জামাই বরণের প্রথম দিনটিতে সেই রুপোর গ্লাসে করেই শরবৎ নিয়ে এসেছেন।
যদিও মা বলছিলেন তাড়াতাড়ি দুপুরের খানা খেতে বসতে তবুও শরবতের পিছে নানা রকম মিষ্টির বাহার দেখে তো আমার চক্ষুস্থির হয়ে গেলো। একে একে ট্রে করে আসতে লাগলো ছানার জিলাপী, সন্দেশ, রাজভোগ,রসগোল্লা, মালাই চাপ, রসমালাই মনে হয় প্রিমিয়াম স্যুইটসের পুরো দোকানই খালি করে নিয়ে এসেছেন আজ মা। মা বললেন এসব নাকি বাবা এনেছেন। মা সব মিষ্টি রেখে নিজে হাতে বানানো খীরের বাটি থেকে চামচে করে শুভ্রকে খাইয়ে দিলেন। শুভ্র এহেন বাড়াবাড়ি মনে হয় জীবনে দেখেনি। সে খুবই লজ্জিত হয়ে বললো। আমি তো নিজে হাতেই খেতে পারি। শুভ্রের কান্ড দেখে আমার হাসিও লাগলো রাগও লাগলো। সব কিছু চেপেই বললাম আরে বাবা নিজে হাতে তো খেতে পারবেই এত বুড়া ধাড়ী ছেলে। কিন্তু মা দিচ্ছেন এখন মায়ের হাতেই দু চামচ খাও। এটাই নিয়ম। শুভ্র কাচুমাচু মুখে আর একটু হলে মুখ থেকে ফেলতে ফেলতেই কোনো মতে দু'চামচ খেলো।
দুপুরে খাবার টেবিলে দেখা হলো বাবার সা্থে। বাবা তার চিরায়ত গাম্ভীর্য্য বজিয়ে খাবার টেবিলে বসে ছিলেন। আজীবন বাবার খাবার স্টাইল এক দেখার মত ব্যাপার বটে। কাচকি মাছ দিয়ে ভাত খেলেও বাবাকে সাজিয়ে দেওয়া লাগে ছুরি, কাটা, ন্যাপকিন সকল আনুসাঙ্গিক কেতা। তাই বাবার চেয়ারের সামনে সব সময় ওভাবেই সাজিয়ে দেওয়া হয় সকল তৈজসপত্র। আজও তার ব্যতিক্রম ছিলো না শুধু ব্যাতিক্রম ছিলো সেই ছুরি কাটা ন্যাপকিন সবগুলো চেয়ারের সামনেই সাজানো ছিলো। শুভ্র কোনো রকম বাড়াবাড়ি আদিখ্যেতা একেবারেই পছন্দ করে না। সে যে এসব দেখে কি ভাবছে এটা ভেবেই কুন্ঠিত হয়ে পড়লাম আমি। লজ্জাও লাগছিলো আমার এটা ভেবে যে শুভ্র ভাববে এই বাড়াবাড়ি রকম অপ্রয়োজনীয় আদিখ্যেতা বাড়ির মেয়ে আমি।
আমি জানি শুভ্র খুব খুব খাঁটি মানুষদের একজন। মানুষদের বলবো কি আমার তো মনে হয় সারা দুনিয়াতে শুভ্র শুধুই একজন। যে সবার থেকে আলাদা এবং আমার চোখে খুব খাঁটি আর আমার দেখা অন্যতম মানুষদের একজন। আমি আজীবন যে পরিবেশে বড় হয়েছি শুভ্রের সাথে পরিচয়ের পরে সেই পরিবেশ সেই শিক্ষা আমার অনেকটাই মিথ্যে মনে হয়েছিলো। শুভ্র বলে মানুষর মাঝে ভন্ডামী জিনিসটার কোনো মূল্যই নেই আসলে। এই যে যে যা না তাই প্রকাশ করা। এই যে যে যা পারে না তা পারি বলে বড়াই করা। খারাপ কাজ করে সেটা বলার সৎ সাহস যার নেই তার জীবনই বৃথা। শুভ্র এমনই একজন। সে মানুষ খুন করে এসেও বলতে পারে হ্যাঁ দরকার পড়েছে তাই করেছি। তার যা সঠিক মনে হয় সে সেটাই করে। বেঠিক মনে হলেও তার করতে ইচ্ছা হলে সেটাই করে সে। শুভ্রের মতে জীবন তো একটাই। আর সমাজের বেঁধে দেওয়া সব রুলই মানতে হবে ঠিক না মনে হলেও সে সেটাও মানতে রাজী না।
আর তাই সে তার থেকে বয়সে বড় বা নিজে বেকার হয়েও চাকুরীজিবী মেয়েকে বিয়ে করতে কোনোই ইগো ফেস করেনি। মাঝে মাঝে আমার মনে হয় আসলে শুভ্র নিয়ম ভাঙ্গাদের দলে। সব নিয়মকেই নিজের মত করে ভাবে। পছন্দ না হলে মানে না বা সেটা সে মানে না বলতেও দ্বিধা করে না। মাঝে মাঝেই শুভ্রের সাথে আমার তর্ক হত। সমাজ ও রাষ্ট্রের নানা বিষয় নিয়ে। যদিও সমাজ ও রাষ্ট্রের কোনো কিছুতেই আমার কখনও মাথা ব্যাথা ছিলো না বা সমাজ ও রাষ্ট্রের উত্থান পতনে আমার কিছুই যায় আসতো না। পেঁয়াজের দাম বাড়ুক আর চালের দাম বাড়ুক তা নিয়ে ভাবার কোনো দরকারই কখনও বোধই করিনি আমি। কিন্তু শুভ্রের সারা দিন দুনিয়ার মানুষকে নিয়েই যত মাথা ব্যাথা। শুভ্রের এসব আলোচনা ও বন্ধুদের সাথে তর্ক বিতর্ক দেখে মাঝে মাঝে আমার মনে হত শুভ্রের মত মানুষ আরও কয়েকজন একই রকম চিন্তা ভাবনার মানুষ পেলে ক'জনে মিলেই পুরো বিশ্ব বদলে দেবে। পালটে দেবে বহুযুগের প্রচলিত হয়ে আসা বহু বহু নিয়ম কানুন।
যাইহোক বাবা শুভ্রকে উদ্দেশ্য করে বললেন, তুমি কি করছো? শুভ্র খুবই সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে জবাব দিলো, আপাতত কিছুই করছিনা। বাবা বিস্মিত হয়ে বললেন, মানে? তার কাঁটাচামচ আর ছুরি ধরা হাত থমকে গেলো। চোখ স্থির হয়ে গেলো শুভ্রের মুখের উপর। শুভ্র হাসি হাসি মুখে জবাব দিলো, হ্যাঁ কিছুই করছি না আমি। আই বিএ শেষ হলে কিছু করার কথা ভাবতে পারি। বাবা বললেন, ভাবতে পারো? এখনও ভাবছো না? তার কথায় একটু যেন ব্যঙ্গের ছোঁয়া ছিলো। শুভ্র নির্লিপ্ত আর হাসি হাসি মুখে জবাব দিলো হ্যাঁ আপাতত ভাবছি না। বাবা ভেতরে ভেতরে ক্ষুদ্ধ হয়ে পড়ছিলেন বুঝাই যাচ্ছিলো তবে কষ্ট করে রাগটা গিলে ফেললেন তিনি। আমার দিকে এমন করে তাকালেন আমি বুঝতেই পারলাম উনি মনে মনে ভাবছেন কি করে এত বুদ্ধিমতী হয়ে আর আমার মেয়ে হয়ে তুই এই অপদার্থের গলায় মালা দিলি!
চিলেকোঠার প্রেম- ১১
১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৪০
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: বাবারা কি কখনও প্রেমিক হয়?
তারা তো বাবা আর দুনিয়ার সব প্রেমিকেরাই তাদের শত্রু।
মেয়েকে ভুলিয়ে ভালিয়ে নিয়ে যাওয়া দানো।
২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৪
করুণাধারা বলেছেন: লাইক দিয়ে গেলাম!
১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৪১
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আপা ফাঁকিবাজি হচ্ছে কিন্তু।
পড়েন পড়েন। শুভ্রের সাইডে কেউ নেই। আপনি ওর সাইড নেন একটু। বেচারা একা একা।
৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শুভ্রকে শ্বশুরের মতো কাঁটা আর চামচ দিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করতে বলবেন। মাছের মুড়োও কাঁটা আর চামচ দিয়ে খেতে হবে। খাবার সময় কাঁটা-চামচের শব্দ যেন না হয় সেটা খেয়াল রাখতে বলবেন। কারণ এটা টেবিল ম্যানারের লঙ্ঘন। কাঁটা আর ছুরি দিয়ে মাংস কাটার সময় মাংস যেন লাফ দিয়ে শ্বশুরের প্লেটে না যায় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। তাই শুভ্রকে শ্বশুরের থেকে একটু দূরে বসতে দেবেন। শ্বশুর মশাইয়ের আইবিএর ছাত্রকে অবজ্ঞা করে কথা বলা ঠিক হয় নাই। উনি মনে হয় শুধু টাকাই কামিয়েছেন, আধুনিক লেখাপড়া, শিক্ষা সম্পর্কে ওনার জ্ঞানের মনে হয় অভাব আছে। শুভ্রকে শ্বশুরের সাথে ব্যবসা বাণিজ্য নিয়ে কথা বলতে বলবেন। আইবিএর কোর্সে ব্যবসা নিয়ে যত রকম থিওরি আছে সব মুখস্ত করে শ্বশুরের সামনে জায়গা মত উগড়ে দিতে বলবেন। আশা করা যায় শ্বশুর খুশি হবেন। বেলাইনে কথা বলা শুরু করলে শুভ্রকে টেবিলের নীচে পায়ে পারা দিয়ে সতর্ক করবেন। আদর্শবাদী কথা শ্বশুরের সামনে যেন না বলে। কারণ শ্বশুরকে বিশেষ সুবিধার মনে হচ্ছে না। যে নিজের বাড়িতে কাঁটা আর চামচ দিয়ে কাচকি মাছ খায় বুঝতে হবে তার মধ্যে কোনও ভেজাল আছে। মিষ্টি, শ্বশুর সাহেব এনেছেন এই কথা আমার বিশ্বাস হয় না। আমার ধারণা নায়িকার মা নায়িকাকে প্রবোধ দেয়ার জন্য এই কথা বলেছে।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:০৬
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা আপনাদের মানে বিশেষ করে আপনার কমেন্ট পড়লে উত্তর দেবার জন্য হাত নিশপিশ করে। তবে খুবই ভেবে চিন্তে লিখতে হয়তো। সময় প্রয়োজন। আপাতত মিটিং এ গেলাম। ৮টা বা ৯ টায় আসবো আাবার। মানে এই কমেন্টের জম্পেস উত্তর নিয়ে।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৪
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: চুয়াত্তরভাই শুভ্র সেই বান্দা না যাকে এই সব শেখালেই সে করবে। বরং উলটা বাম হাতেই খেতে শুরু করে দেবে।
হা হা হা তাহলে বেদর্শবাদী কথাই বলতে শিখিয়ে দেবো।
আর আমারও ধারণা মিষ্টি মাই এনেছে। এসব বাবার কম্ম নয়।
হা হা পায়ে পারা দিয়ে শিখাতে বলেছেন। এটা মজার কিন্তু নায়িকা এমন করে কাউকে কিছু চাপিয়ে দেওয়া একদম লাইক করে না। তার বাবাও আসলে তাই। তাইতো মেয়ে জাহান্নাম গেলো কিনা সে খবরও একটাবারও নিতে যায়নি।
৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:০৮
মিরোরডডল বলেছেন:
এক বছর হয়ে গেলো ! টাইম ফ্লাইস ।
বোগেনভেলিয়া হাসনাহেনা গন্ধরাজ যে কি ভীষণ পচ্ছন্দ আপু । এগুলো শুনেই ছোটবেলার কথা মনে পরে গেলো ।
আহা মায়ের জন্য খারাপ লাগছে । মায়ের হয়েছে যত জ্বালা ।
বাবার জন্য কিছু বলতেও পারেনি আবার মেয়েকেও ধরে রাখতে পারেনি ।
খাবার টেবিলে বসেই এসব সিরিয়াস কথা, তাও আবার প্রথম বেলাতেই । এটা একটা কথা হল ?
এখন ছেলেটা খাবে কি করে বাবা এটা একদমই ঠিক করেনি
খাবার সময় কাউকে কটু কথা বলা আমার একদম পছন্দ না
শত্রুকেও না ।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৬
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা গ্লপে তো দুইদিনেও টাইম ফ্লাই করানো যায়।
হ্যাঁ এসব ফুল আমারও খুব প্রিয়।
এই মাও আসলে সর্ংসহা যতই বিত্ত বৈভবে থাকুক না কেনো।
এই সব কথাতে ছেলের কিছুই এসে যায় না। সে তো নিজে যা তাই কোনো পাত্তাই নাই কাউকে।
৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:২১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পড়তে পড়তে শুভ্রকে পাচ্ছিলাম না। শেষের দিকে এসে শুভ্র-চরিত্রের বর্ণনা পেলাম। আগের দু-একটা পর্বে শুভ্রকে নেগেটিভলি এক্সপোজ করার একটা চেষ্টা হয়ত ছিল, এ পর্বে তার প্রায়শ্চিত্র লক্ষণীয়।
শুভ্র'র সাথে মাহরিনের বাবার কথোপকথন অল্প বা সিগনিফিকেন্ট ছিল।
পোস্টটা কি একবার ডিলিট করা হয়েছিল?
১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৭
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা শুভ্রকে বর্ননা করা কঠিন আমার জন্য।
হ্যাঁ এডিট করতে গিয়ে ড্রাফটেই চলে গেছিলো।
পরে আবার ঠিক ঠাক করে দিলাম।
৬| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:২৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: শুভ্র'র সাথে মাহরিনের বাবার কথোপকথন অল্প বাট সিগনিফিকেন্ট ছিল।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৮
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হ্যাঁ বাবার তো আসলে মহা রাগ তার উপরে। পারলে ছুড়ে ফেলে দেয় জানালা দিয়ে। পারছে না আর কি।
৭| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:২৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ মিরোরডডল - শাশুড়ির আঁচলের নীচে আশ্রয় নেয়া ছাড়া বেচারা শুভ্রর মনে হয় আর কোন উপায় নাই। কম খেয়ে খেয়ে বেচারার ওজন না কমে যায়। তবে ঘরজামাই হতে হলে লজ্জা, শরম একটু কম থাকতে হয়। কানে তুলো আর পিঠে কুলো বাঁধতে হয়। আদর্শবাদী শুভ্র এগুলি পারবে কি না কে জানে।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৯
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা শুভ্র আদর্শবাদী বটে। তবে সে তার নিজের আদর্শ যা আর দশটা আদর্শের সাথে খাপ খায়না বলেই চিনতে পারা যায় না।
৮| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: আমাকে শুধু এই কথাটি বলুন, এটা কি বাস্তব গল্প? নাকি বানোয়াট।
আপনার জীবনের গল্প? নাকি অন্যের জীবনের গল্প।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫০
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা গল্পকে গল্পই ভাবতে হয়। কোনো লেখককে কি দেখেছেন এমন প্রশ্ন করতে আর করলেই কি তারা বলে?
আমি অবশ্য জানিনা হুমায়ুন আহমেদের হিমু বা শরৎ চন্দ্রের শ্রীকান্ত কি তারা ছিলেন? তাদেরকে জিগাসা করলে কি জবাব দিয়েছিলেন?
জানলে আমাকে বলেন আগে।
৯| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: শুভ্রর মাঝে কি আসলে এত গুন বিদ্যমান আছে যা শুভ্রের বউ (মাহরিন ) তার বয়ানে বলেছে।তার বয়ান শুনে মনে অইবার লাগছে শুভ্র বেটা একটা সুপার পাওয়ারের ভীন গ্রহের একটা কিছু ।আসলে ত তানা (ত্যানা )।
আমার ত মনে হয় শুভ্র বেটা গভীর জলের মাছ আর সে বিয়েটা যতটা না ভালবেসেছে করেছে তার চেয়ে বেশী তার টাইম পাসের / তার একটা কিছু ভালর জন্যই বিয়ে করেছে ।
আর আমার মনে হয় ,তার সাধারন ভদ্রতা জ্ঞানের ও অভাব আছে।কারন-
১।শাশুড়ি ভালবেসে নিজের হাতে পাক করে তার মত অকর্মণ্য জামাইকে খীর খাইয়ে দিতে চেয়েছেন। এতে মায়ের বড় মানষিকতার পরিচয় দিয়েছেন ।আর উনি নিজের হাতে খেতে পারবেন বলে ফুটানি করছেন।আরে ব্যাটা খালি তাদের মেয়ে নিজে তরে বিয়ে করছে এই জন্য এত সমাদর নয়ত তুমাকে তাদের বাড়ীর কামের লোক হিসাবেও রাখত না ।
২।শ্বশুর কি করে জানতে চাওয়া দোষের কিছুনা।বরং এটা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য আলোচনার শুরু।শুভ্র বেটা বলতে পারত ,"বাবা -আপাতত কিছু করছিনা তবে পড়াশোনা শেষ হলে কিছু করব এবং কিছু করার জন্য চেষ্টা করছি। হয়ে যাবে হয়ত কিছু একটা।
শুভ্র বেটা হয়ত তথাকথিত শিক্ষিত যার নূন্যতম সামাজিকতা সম্পর্কে /কার সাথে কিভাবে কথা বলতে হবে এই ব্যাপারে ধারনা নেই। তবে তাকে জীবনের সফলতার জন্য বাস্তবতার শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে।সে হয়ত ভালবাসায় সফলতা পেয়েছে কিন্তু এরকম আচরনে জীবনের ক্ষেত্রে সফলতা পাবেনা এটা নিশ্চিত।কারন প্রেমের ময়দান আর জীবন যুদ্ধের ময়দান এক নয়।
ব্যাটাকে পতারের (সাধারন ভদ্রতার ) ঔষধ খাওয়াইতে অইব মনে লয়।নয়ত সামনে বহুত অন্ধকার দিন অপেক্ষা করছে তার লাগি।
আর অতি বুদ্ধিমান,রুপসী বালিকা-মেয়েরাই এমন অকর্মণ্য-অপদার্থদের গলায় মালা দেয় বালাবাইয়া।(আপনি শুভ্র বেটার অনেক গুন গাইছেন এই পর্বে আর আমি বে গুন গাইছি, এর লাই আর লগে রাগ কইরেন না মেরা বহিন।দুলাভাইগ লগে বইনের ভাইয়েরা ত এরকম কিছু কইবার পারেই -তাই না?)
১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫২
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ও মাই গড!!
এই রকম বিশ্লেষন তো আমিও পারতাম না আর আপনি না দেখেই!
যাইহোক গল্প শেষে আমি কিছু প্রশ্নের উত্তর দেবো আর এই কমেন্টটাকে মনে রাখবো।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০৩
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: এতক্ষনে একটু অবসর মিললো-
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: শুভ্রর মাঝে কি আসলে এত গুন বিদ্যমান আছে যা শুভ্রের বউ (মাহরিন ) তার বয়ানে বলেছে।তার বয়ান শুনে মনে অইবার লাগছে শুভ্র বেটা একটা সুপার পাওয়ারের ভীন গ্রহের একটা কিছু ।আসলে ত তানা (ত্যানা )।
আসলেও সে ভীনগ্রহেরই মানুষ বোধ হয়। আমার চেনা জানা কেউ তো ওমন নয়।
আমার ত মনে হয় শুভ্র বেটা গভীর জলের মাছ আর সে বিয়েটা যতটা না ভালবেসেছে করেছে তার চেয়ে বেশী তার টাইম পাসের / তার একটা কিছু ভালর জন্যই বিয়ে করেছে ।
আমার কাছেও মনে হয়েছে একটা এক্সপেরিমেন্টও হতে পারে।
আর আমার মনে হয় ,তার সাধারন ভদ্রতা জ্ঞানের ও অভাব আছে।কারন-
১।শাশুড়ি ভালবেসে নিজের হাতে পাক করে তার মত অকর্মণ্য জামাইকে খীর খাইয়ে দিতে ......
হা হা হা এই অংশ পড়ে হাসলাম অনেক ক্ষন...
১০| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৮:৪০
শুভ_ঢাকা বলেছেন: বাড়ীর সদর দরজা দিয়ে ঢুকার পরেই বোগেনভেলিয়ার গাছ আর তার গোলাপি ফুলসহ শাখা প্রশাখা বাড়ীর গেইটের উপর দিয়ে ঘিরে গিয়ে দেওয়ালের সাথে জড়িয়ে ছাদ অবধি উঠে গেছে এরকম দু তলা তিন তলা বাড়ী আসলেই দেখতে দারুণ লাগে। এনি ওয়ে আজকে পর্বের লেখাও খুব ভাল হয়েছে।
আর্মি অফিসারদের ডাইনিং টেবিল বা কোন বিদেশী ডেলিগেইটের সাথে খাবার খাওয়াও না, নিজের বাড়িতে দুপুরের খাবার খাওয়া আর তারপরও নায়িকার বাবার কাচকি মাছের খাবারের সাথে ছুরি কাঁটা ও আনুষঙ্গিক পরিবেশ সো-কল্ড সফিসটিকেশন আমার কাছে ভাল লাগলো না। আরে হাত দিয়ে ভাত তরকারি না খেলে কি আর পেট মন ভরে।
মিরোরডল একদম ঠিক বলেছেন। বাবার আচরণ অসৌজন্যমূলক।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৫৬
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আসলেও বাড়িটা এমনই। দেখি একটা ছবি খুজে পেলেই দিয়ে দেবো।
হা হা কথা ঠিক তবে চামচ দিয়ে কই মাছও খাওয়া যায় যদি একটু প্রাকটিস করা হয়।
বাবার তো অনেক রাগ আসলে মেয়ের এমন বিয়েতে । আর এমনিতেও তিনি এক নায়কতন্ত্র চালানো মানুষ আর কি।
১১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:০৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আর কয়টা পর্ব আছে? সব পর্ব একসাথে পড়তে হবে।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৫৬
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: কয় পর্বে যে যায় ভূয়া ভাই কে জানে?
১২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:১৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আমি ভয়ে ভয়ে ছিলাম !!
আবার না চিলেকোঠায়
গল্প গতি পাচ্ছে !!
শুভকামনা।
সবার জন্য
১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৫৭
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: গতি পাবে হারাবে। গতির নিয়মই তো কখনও দ্রুত কখনও মন্থর।
১৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:২২
শুভ_ঢাকা বলেছেন: আমি অবশ্য জানিনা হুমায়ুন আহমেদের হিমু বা শরৎ চন্দ্রের শ্রীকান্ত কি তারা ছিলেন?
হিমুর ২/৩টা বই পড়েছি। শ্রীকান্ত পড়িনি।
ফেলুদা সিরিজের সবকটা বইই পড়েছি। ফেলুদা আর কেহ নন স্বয়ং সত্যজিৎ রায় নিজে। এ কথা তার একমাত্র সন্তান সন্দ্বীপ রায় নিজে বলেছেন টিভিতে।
চিলেকোঠার প্রেম নিয়ে আমার কোন সংশয় নেই। লেখিকা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। উনি গল্পের শেষে আমাদের সব প্রশ্নের উওর দিবেন।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৫৮
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা হুম আসলেই দেবো। তখন আবার নতুন গল্প লিখতে হয় কিনা কে জানে?
মানে সকলের রিয়াকশন নিয়ে।
আর শ্রীকান্ত পড়েন। সেটাও মনে হয় শরৎচন্দ্র নিজেই ছিলেন।
আসলে যে কোনো গল্পে লেখক কোনো না কোনো ভাবে জড়িয়েই থাকে।
১৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:২৩
নেওয়াজ আলি বলেছেন: বই হলে একসাথে পড়ে মজা পাইবো লেখাটা
১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৫৯
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আচ্ছা ফটোকপি করে একখানা হার্ড কাভার লাগিয়ে বই বানিয়ে দেবো আপনাকে।
১৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:০৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: গল্পের (পর্বের) সূচনাতে প্রায় চৌদ্দ মাস পর গৃহপ্রবেশের শুভক্ষণে 'জড় ও মূক জীবিত গাছপালা তরুলতার' প্রতি লেখকের হার্দিক অনুভূতির প্রকাশটা হৃদয়স্পর্শী হয়েছে। মা ছাড়াও বাড়ীর অন্যান্য মানুষগুলোর প্রতি স্বার্থপর না হওয়ার লেখকের বোধোদয়কে সাধুবাদ জানাচ্ছি।
দেয়ালের প্রাণহীন ঘড়িটার সবার অলক্ষ্যে বন্ধ হয়ে থাকার বর্ণনাটাও চমৎকার হয়েছে। গল্পটাকে কেউ কোনদিন সিনেমা বানালে এই প্রতীকী ঘড়িটা একটা বিশেষ ফোকাস পাবে (লংশটে) নিঃসন্দেহে।
এ গল্পের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ঘটনাপ্রবাহের আতিশয্যহীন, সাবলীল বর্ণনা, যা আমার কাছে অকৃত্রিম বলে মনে হয়েছে।
গল্পে আমি কিন্তু এখনো শুভ্রকে ভালই পাচ্ছি।
গল্পে সপ্তম ভাল লাগা ++।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:২৮
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আমিও তো শুভ্রকে ভালোই পাই। শুধু চুয়াত্তরভাই, ঢুকিচেপা আপু, মা হাসন ভাই কামরুজ্জামানভায়েরাই তার ভালো চায়না। ড্রাইভার থেকে শুরু করে পারলে তাকে কাজের লোক বানায় ছাড়ে। কেমনে যে তারে এখন বাঁচাই।
হ্যাঁ এটা আমার নিজের অনুভূতি আমি ছোট থেকেই কোথাও হতে চলে যেতে হবে এটা ভাবলেই সেই জানালার আকাশটার সাথেও কথা বলতাম। তাকে বলে যেতাম এই যে এই জানালার আকাশ তোমার সাথে আমার আর কখনও দেখা হবে না হয়ত। কিন্তু আমি তোমাকে মনে রাখবো। হা হা
আরেকটা ব্যাপার আমার বাড়িতে সব সময় নানা রকম ফুল ও ফলের বাগান ছিলো। সেই কারণে মোটামুটি সব রকম ফুল আমি চিনি।যে কোনো বর্ণনা তাই হয়ত সাবলীল মনে হচ্ছে। কারন এসব তো আমার নিজের চোখেই দেখা। কাজের লোকজনের প্রতি আমি সর্বদা সদয় ছিলাম। তারাও আমাকে আজীবন ভালোবসেছে। এ কারণে আমার লেখার পরিবারের সকল সদস্যের সাথে কাজের লোকজনও থাকে।
আর ঘড়িটা বন্ধ ছিলো কারণ ঐ ঘরের বাসিন্দার সাথে একটি অলক্ষ্য যোগাযোগ । ব্যাপারটা এক্সপ্লেইন করলে দারুণ এক গল্প হবে। সালভাদর দালী না কার যেন গলে যাওয়া ঘড়িদের ছবি দেখেছিলাম। ওমন কিছু বা তার চাইতেও বেশি কিছু। দালি বা মালি না হই কিছু তো একজন আমিও মানুষ। কাজেই ব্যখ্যা একটা দিয়ে দিতে পারবো।
১৬| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:২৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর এর ৩ নং মন্তব্যটি আর তার দ্বিতীয় উত্তর ভাল লেগেছে। মন্তব্যকারীর অন্যান্য মন্তব্যও সচরাচর আনন্দদায়ক হয়, আমি তার তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণমূলক মন্তব্যগুলো বেশ উপভোগ করি।
৮, ৯ (দ্বিতীয়টা) এবং ১৩ নং প্রতিমন্তব্যগুলো ভাল লেগেছে। আর ৪ ও ৯ নং মন্তব্যদুটোও।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৩১
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা শুধু চুয়াত্তর ভাই? মা হাসান সোনাবীজ ভাইয়া কামরুজ্জামান ভাই, ঢুকিচেপা আপু রাজীব নূর মিররডল কে কার থেকে যে কম ভেবেই পাচ্ছি না আমি। হিমশিম খাই মাঝে মাঝে।
ভালোই আছি চিলেকোঠায়। এত ব্যস্ততাতেও তাই চিলেকোঠা ছেড়ে যাইনি আমি।
১৭| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৫৪
করুণাধারা বলেছেন: শুভ্রের সাইডে কেউ নেই। আপনি ওর সাইড নেন একটু। বেচারা একা একা।
এইবার তো মুশকিল হলো, কী করে যে ওর সাইড নেই!! আপনি তো বলেই দিলেন সে মিথ্যা বলে না, ভন্ডামি পারে না... এমন মানুষকে দিয়ে এমন কী কথা বলাতে পারি যে বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে তার শ্বশুর বলে উঠবেন, "তাই নাকি বাবা শুভ্র!!"
দেখি আরেকটু ভেবে... এক কাজ করেন না, আমাকে না দিয়ে দায়িত্বটা রাজীব নুরকে দেন, উনি অভিজ্ঞ মানুষ, শুভ্রকে ভালো ভাবে সাইড দিতে পারবেন...
২০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:০১
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: রাজীবভাইয়া বলেছেন উনি নিজেই নাকি শুভ্র মার্কা। কাজেই সে কি আর পারবে?
১৮| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:১৪
আনমোনা বলেছেন: মাহরিনের চোখে মায়া-কাজল। সে শুভ্রকে লাখে এক দেখছে। কিভাবে যে দেখছে সেই জানে।
গত পর্বে যা বলেছিলাম, মাহরিনের আসল উদ্দেশ্য ছিলো ছুরি-চামচ দিয়ে কাঁচকী মাছ খাবার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া। বেচারা শুভ্রকে যে কেন আবার ছুরি চামচের মধ্যে এনে ফেললো তাই এখনো বুঝলামনা।
২০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:২৮
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা ফেলতে চায়নি। কিন্তু কেমনে কেমনে যেন হয়ে গেলো। শেকড়ের টান বড় শক্ত আপা।
১৯| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: সবার মন্তব্য গুলো পড়তে এলাম। কে কি মন্তব্য করছে সেটা জানার দরকার আছে।
২০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:১৩
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা রাজীবভাই আপনি বলেন আপনি শুভ্র বা হুমায়ুন আহমেদের হিমুর মত। কিন্তু মাঝে মাঝে আমার মনে হয় আপনি হুমায়ুন আহমেদের হিমু না আপনি তার গল্পের মামা চরিত্রটার মত।
এই যে এখন যে ডায়ালগটা দিলেন পুরাই চোখের সামনে আলী জাকের মামা যেন বলছে দেখতে পেলাম।
২০| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:০১
রামিসা রোজা বলেছেন:
বাংলার চিরাচরিত নিয়ম ছেলেরা শ্বশুর বাড়িতে জামাই
আদর পায়,মেয়েরা তার চার ভাগের এক ভাগও পায়
না অবশ্য নতুন অবস্থায় কিছু মেয়েরাও পায় ।
সুন্দর ভাবে গল্প এগোচ্ছে ।
২০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:১৪
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হুম সে কথা সত্যি বটে। তবে কিছু বাড়িতে বাড়ির বড় বৌ এরা ভীষন মর্যাদা পায়। যদিও তা খুবই কম ।
২১| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৫৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আমি ত শুভ্রকেই সাপোর্ট করতে চাই কিন্তু ১২ তম পর্বে এসেও শুভ্রর মাঝে পজিটিভ কিছু পাইনি যাতে তার প্রতি মনোভাব পরিবর্তন হতে পারে বা তাকে সাপোর্ট করা যায়।
আমি জানিনা তার একাডেমিক ক্যারিয়ারের অবস্থা কি? সে কি ছাত্র হিসাবে জিনিয়াস টাইপের কিছু যে কিনা সব লেভেলে সেই রকম ফলাফল করেছে ( তা মনে হয় না। তা হলে তার বউ অনেক আগেই এ ঢোল পিটাইত) না শারিরীক অবস্থার মত একাডেমিক ক্যারিয়ারও পীড়িত ও রুগ্ন ।আর সে এ যাবত কোথাও তার মেধা বা যোগ্যতার কোন পরিচয় দিয়েছে বা রেখেছে বলে দেখিনি।তাই আমি তাকে নিয়ে চিন্তিত।কারন কোন ভাবে সে হ্য়ত প্রেমের ময়দানে সাফল্য পেয়েছে কিন্তু জীবনের সাফল্য তার জন্য শুদূর পরাহত বলে মনে হয়।আরও চিন্তিত আনলাকি ১৩ তম পর্বেই কি তাদের প্রেমের মাঝে অশনি সংকেত বেজে উঠে কিনা তা ভেবে।
সন্ধ্যা প্রদীপের "বুকের ভেতর মৃত নদীর " এগারতম পর্বে এসে শ্রাবণী তুষারকে ত্যাগ করা সিদ্ধান্ত নিয়েছে।যদিও এ সিদ্ধান্ত শ্রাবণীর আরো অনেক আগেই নেয়া উচিত ছিল। ঠিক যে কারনে শ্রাবণী তুষারকে ত্যাগ করা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তদ্রুপ একই রকম বা এর থেকে খারাপ থেকেও শুভ্র বাবু বিয়ে করে বাবা হওয়ার পথে ।কিন্তু পরিপার্শ্বিক অবস্থায় মনে হয় তার সুখের দিন শেষের পথে যদিনা তার আচরন পরিবর্তন হয় এবং তা পরের পর্বেই হতে পারে।তাই ১৩ তম পর্বে এরকম কিছু ঘটলেও অবাক হবার কিছু থাকবেনা।
কাজেই আপনি তারে বালাবান ঠিক আছে।বালাবাইয়া তারে একটু মানুষ করার চেষ্টাত করুন।তাকে বুঝান যে সে এখন আর বাবু নয় সে বাবুর বাবা অইতে চলছে।তাকে যেমন ভাল প্রেমিক হিসাবে উপস্থাপন করেছেন এর সাথে কিছুটা ভাল মানুষ তথা দায়িত্বশীল/কর্তব্যপারায়ন স্বামী, স্নেহপূর্ণ বাবা, বাবা-মায়ের প্রতি বাধ্যগত সন্তান সর্বোপরী একজন দায়িত্বশীল নাগরিক তথা মানুষ হিসাবে তাকে উপস্থাপন করুন ।তাহলে আপনার মত সবাই শুভ্র বাবুর গুনমুগ্ধো হবে নতুবা তাকে বেশীদিন আপনারও বোধহয় সহ্য করা সম্ভব হবেনা ।পাঠকদের কথা ত বাদ।
২০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:২৩
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আমি ত শুভ্রকেই সাপোর্ট করতে চাই কিন্তু ১২ তম পর্বে এসেও শুভ্রর মাঝে পজিটিভ কিছু পাইনি যাতে তার প্রতি মনোভাব পরিবর্তন হতে পারে বা তাকে সাপোর্ট করা যায়।
বেচারা শুভ্র। এ আমার ব্যার্থতা মনে হয়। ডেসক্রাইব করতে পারছি না।
আমি জানিনা তার একাডেমিক ক্যারিয়ারের অবস্থা কি? সে কি ছাত্র হিসাবে জিনিয়াস টাইপের কিছু যে কিনা সব লেভেলে সেই রকম ফলাফল করেছে ( তা মনে হয় না। তা হলে তার বউ অনেক আগেই এ ঢোল পিটাইত) না শারিরীক অবস্থার মত একাডেমিক ক্যারিয়ারও পীড়িত ও ........
সন্ধ্যা প্রদীপের "বুকের ভেতর মৃত নদীর "
এই সিরিজটা পড়বো। তবে আমার লেখাটা শেষ হলে নয়ত এই লেখাটা বিঘ্নিত হবে। হা হা শুভ্রবাবু তো শুভ্রবাবু। তার সাথে কাউকেই মিলানো যায় না।
না না ভালো ফলাফলের কথা তো লিখেছিলাম। সে তো মেধাবী কিন্তু পরিশ্রম করে না। অটো...... আর দারুন খামখেয়ালী .......
তাকে যেমন ভাল প্রেমিক হিসাবে উপস্থাপন করেছেন এর সাথে কিছুটা ভাল মানুষ তথা দায়িত্বশীল/কর্তব্যপারায়ন স্বামী, স্নেহপূর্ণ বাবা, বাবা-মায়ের প্রতি বাধ্যগত সন্তান সর্বোপরী একজন দায়িত্বশীল নাগরিক তথা মানুষ হিসাবে তাকে উপস্থাপন করুন ।তাহলে আপনার মত সবাই শুভ্র বাবুর গুনমুগ্ধো হবে নতুবা তাকে বেশীদিন আপনারও বোধহয় সহ্য করা সম্ভব হবেনা ।পাঠকদের কথা ত বাদ।
হা হা হা এত মজা করে সত্যি কথা লেখেন কেমনে!!!
২২| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:১১
মিরোরডডল বলেছেন:
সাচু আর জামান, দুজনের কমেন্টই ভীষণ মজার । পড়ি আর হাসি
২০ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৬
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: মা হাসান আর ঢুকি আপু কি কম যায়! কিংবা রাজীব নূর ভাই?
২৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২০
মিরোরডডল বলেছেন:
মাহা আর ঢুকির মন্তব্যও হাসির কিন্তু এখানে তাদের এখনও পাইনি ।
শুভর সাথে একমত, বাসার লাঞ্চে বাবার এই রয়াল পরিবারের কাটলারী ম্যানার মেইনটেইন করাটাও একটা পেইন মনে হয়েছে । উনি করবে করুক কিন্তু সবাইকে করতে হবে, এতো স্বৈরাচারী
ঘরে খাবার সময়ও যদি মজা করে হাত দিয়ে নাই খাবে তাহলে কেমন বাঙালী
আমি কিন্তু উল্টোটা আপু । যখন আমি একা খাই, মাস্ট স্পুন ইউজ করি কিন্তু যখন বাসায় ফ্যামিলি বা ফ্রেন্ডসদের সাথে খেতে বসি মাস্ট হাত দিয়ে খাবো । মাছে হাতে ভাতে বাঙালী
শুভর শশুরকে আমার মনে হয়েছে এই ব্লগে একজন স্নব আছে তার মতন লেগেছে ।
এই ভদ্রলোক শ্বশুর হলে ঠিক এইরকম হবে
২১ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৮:১৯
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হ্যাঁ মাহা ভাই আর ঢুকি আপু এখনও আসেননি। আর পাগলা আপার জন্যও ওয়েট করছি। তারা না এলে আর নেক্সট পার্টও আসবে না।
না সবার সাথে এই সব চলে না। সেদিন শুভ্রের আগমন উপলক্ষ্যে এই ঢং ঢাং ছিলো।
ওহ আরেকটা কথা লেখা হয়নি। শুভ্র এই ঢং ঢাং এর থোড়াই কেয়ার করে। সে চামচ কাটা ছুরি কাঁচি এক পাশে ঠেলে দিলে সোজা হাত দিয়ে গপাগপ.......
আমিও নিজের বাড়িতে সব সময় চামচ কাটা। এমনকি শুভ্রের শ্বশুরের মত কই মাছও চামচ কাটায় খেয়ে ফেলতে পারি। আর মানুষের সামনে হাত দিয়ে নেইল পলিশ নষ্ট হবার দুঃখ উপেক্ষা করে।
হা হা কে সেই স্নব?
এই ব্লগে এক মাত্র লরু ছাড়া কোনো এবনরমাল তো বর্তমানে নাই মনে হচ্ছে। তবে লরুর পিছের গরুটা সেই স্নব হতে পারে।
২৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৫৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: কবিতা পড়ার প্রহর,
আপনার এই গল্পের সব পর্বে মন্তব্য করলেও যে আসল কথাটুকু বলা হয়নি তা হলো এই --- গল্পের প্রায় প্রতিটি মুভমেন্টের সাথে মনস্তাত্ত্বিক কিছু না কিছু বিশ্লেষণ রয়েছে নায়িকার যা চমৎকার করে তুলে ধরেছেন প্রতিটি পর্বে। মনে হয়, গল্পে প্রেমের ফুচকার স্বাদের চেয়েও এই মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ চাটনির টক-ঝালে টাকরায় শব্দ করার মতো স্বশব্দ ও ভারী।
বেশ গদগদ লেখা। প্রেমে।
২১ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৮:২১
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: এইটাই মনে হয় আমার আসল বৈশিষ্ঠ আহমেদভাই। সকল কিছুর পিছে এইটা মনে হয় সেইটা মনে হয়। পুরাই মনোবিদ হয়ে যাবো। অসংখ্য ধন্যবাদ পড়ার জন্য লেখাটা।
২৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৫
শুভ_ঢাকা বলেছেন: কবিতা পড়ার প্রহর,
আপনার লেখা পড়ি। আনন্দিত হই। মনটা ভাল হয়ে যায়। সময়টা ভাল কাটে।
কৃতজ্ঞতাস্বরূপ view this link
২৩ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৩০
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যও
আর গানটার জন্যও......
নিক লেখার সময় আমি এই গানটাই গাচ্ছিলাম....
২৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:০৮
ঢুকিচেপা বলেছেন: এ পর্বটাও ভালো লেগেছে। আমি মনে করি শুভ্রর শ্বশুরের যে চারিত্রিক বৈশিষ্ট দিয়েছেন এমন মানুষ অবশ্যই আছে এবং খুব সাবলীলভাবে উপস্থাপন করেছেন।
না এ পর্বে কিছু বলা যাবে নাহ। জামাই এখন শ্বশুর বাড়ি আছে। এরকম পাগলাটে শ্বশুর জামাইকে দেখতে না পেলেও জামাইয়ের অপমান সহ্য করবে না।
তবে একটা আইডিয়া দিতেই পারি, গেটের পাশে ফুলের বাগানের কাছে ছোট্র করে একটা চিড়িয়াখানা তৈরী করা যেতে পারে। পাগলা শ্বশুরকে খাঁচার বাইরে বেশিদিন রাখা ঠিক হবে না। শুভ্র গেটের বাইরে টিকেট বিক্রি করবে।
২৩ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:১১
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা শ্বশুরকে খাঁচায় বন্দী করে বাড়ি ঘর দখল করাই দেই।
তাহলে আর টিকেটও লাগবে না ।
এক দানেই বাজি মাৎ।
২৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:২৪
মা.হাসান বলেছেন: ব্যস্ততা যাচ্ছে, সময় মতো আসতে পারি নি, দুঃখিত।
বাবা কাটা চামচ দিয়ে কি ভাবে ডাল-ভাত আর পান্তা ভাত খান জানার আগ্রহ হচ্ছে। এরকম ধনী লোক ছোটো মাছ কেনো খাবেন? আমার টাকা হলে আমি তিমি মাছ খাইতাম।
শুভ্র ইজ ভেরি কুল। শশুরের বাউন্সার নির্বিকার ভাবে সামলেছে। আমার ভালো লেগেছে।
বাচ্চারা নিজেরা পছন্দ করে যদি পৃথিবীর সবচেয়ে সেরা ছেলে/মেয়েটাকেও বিয়ে করে আর মা-বাবা নিজেদের পছন্দে যদি পৃথিবীর সবচেয়ে কম যোগ্যতা সম্পন্ন ছেলে/মেয়ের সাথেও বিয়ে দেয়, তবুও মা-বাবা নিজেদের পছন্দকে এগিয়ে রাখবে বলে মনে হয়।
যারা শুভ্র সম্পর্কে উল্টো-পাল্টা বলছে এরা হিংসুক। এদের একদিন দাওয়াত করে খাইয়ে দিলে দেখবেন এরাও শুভ্রর শাশুড়ির আচলের তলায় বসে মিষ্টি খেয়ে যাবে। আমার আবার হিংসুকদের দেখতে খুব ভালো লাগে। আরো বেশি করে জামাই আদরের বর্ননা দেন, দেখি লালা ঝরাতে ঝরাতে এই সব হিংসুকরা কি করে।
২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৮
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ডাল পান্তা খায় নাতো......
তবে কাচকী মাছ খায় মাঝে মাঝে আর এটা একটা উদাহরণ আর কি......
শুভ্র কুল মানে তার কান্ডে তো কবিতা ওরফে মাহরিনের কুলকুল ঘাম ঝরে মাঝে মাঝে ভয়ে......
ঠিক তাই আমার মাও বলতো নিজের পছব্দে রাজপুত্তুর আনলেও .......
হা হা তারা হিংসুক ? হা হা হা ওকে শুভ্রের শ্বাশুড়িকেই বলি দাওয়াতের আয়োজন করতে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাবা' রা যদি নিজেদের ঐ বয়সে ফিরে যেত, তা হলেই না বুঝতেন বুদ্ধিমান/ বুদ্ধিমতী রা কেন সবসময় অপদার্থের গলাতেই মালা দেয় !!!
ভালোলাগা সিরিজে