নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লোকে বলে প্রথম প্রেমটা বড্ড কোমল\nএলোমেলোযায়না \nভোলা কোনোদিনও\nসত্যি কি তাই

কবিতা পড়ার প্রহর

কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে রাতের নির্জনে

কবিতা পড়ার প্রহর › বিস্তারিত পোস্টঃ

চিলেকোঠার প্রেম - ১৪

০২ রা নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০৯


খুব ভোরে বাসে করে রওয়ানা দিলাম আমরা। জার্নীর জন্য দিনটা মোটেও সুবিধার ছিলো না। একে আষাঢ় মাস তাই বাস জার্নী। কিন্তু সেসব দিনে আমাদের কাছে কোনো বাঁধাই আসলে বাঁধা ছিলো না। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলার অসীম সাহস ছিলো বা কোনো ভাবনা চিন্তাই ছিলোনা এখনকার মত।

ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হচ্ছিলো তার মাঝেই হেলেদুলে রওয়ানা হলো আমাদের বিশাল বাসটি। এসি বাসের ভেতরে হিমেল পরিবেশ আর ঢাকা ছাড়িয়ে গ্রামের পথ পেরিয়ে সবুজ প্রান্তর। শুভ্রের কাঁধে মাথা রেখে জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে ছিলাম আমি। আমাদের কানে বাঁজছিলো রবীন্দ্র সঙ্গীত।
তুমি আমায় ডেকেছিলে ছুটির নিমন্ত্রনে
তখন ছিলেন বহুদূরে ........ কিসের অন্বেষনে!

একই মাইক্রোফোনের দু প্রান্ত আমাদের দু'জনের কানে লাগানো ছিলো। কিন্তু শুভ্র এক কার্ল মাক্সের বই খুলে নিয়ে বসেছিলো কাজেই গানের বাণী তার কানে পৌছোচ্ছিলো কিনা জানিনা। তবে আমি শুভ্রের ডান বাহু জড়িয়ে রইলাম।
লিখন তোমার বিনি সুতোর শিউলি ফুলের মালা
বাণী সে তার সোনায় ছোঁয়া অরুণ আলোয় ঢালা.......
গানের বাণীতে ডুবে ছিলাম আমি। মনে পড়ছিলো পুরো এপিসোডটাই। শুভ্রের সাথে পরিচয়ের সেই দিনগুলো। নিতান্তই তাকে সাদা মাটা একটা ছেলে ভাবা। যখনই অনলাইন হতাম তখনই মেসেঞ্জার বা ফেসবুকে এভেইলাবল সাইনে শুভ্রকে দেখে ভাবতাম এই ছেলে কি বাইরে যায় না! এর কি কোনো বন্ধু বান্ধব নেই!

অবাক হতাম এই বয়সের ছেলেরা বিকাল সন্ধ্যাটুকুও বাড়ি্তে বসে কাটায় নাকি! দিনকে দিন শুভ্রকে নিয়ে চিন্তায় পড়ছিলাম আমি। এর কাজ কি? এ কি ফেরারী আসামী? নাকি কোনো কুনোব্যাঙ? সবচেয়ে অবাক হলাম একদিন তার ঐ চিলেকোঠার রুমে তার বন্ধুদের ড্রিংক পার্টির কথা শুনে। এটা নাকি ওদের ভার্সিটির ছেলেদের কমন ব্যপার স্যাপার মাঝে মাঝেই নাকি এর ওর রুমে মদ পার্টি, গাঁজা পার্টি এসব বসে যায়। এই কথাগুলি শুভ্র যখন অবলীলায় বলছিলো আমার চক্ষু তখন তো ছানা বড়া থেকে তাল বড়া। কারণ এই মিচকে টাইপ ভোলে ভালে ছেলেটা কি না এমন পাঢ় মাতালদের মত ড্রিংক পার্টি করে! তাও আবার বলছে অবলীলায়!

আমি বললাম, শুভ্র আমি মাতাল খুব ভয় পাই। শুভ্র বললো, নো ভয় আমি জাঁতে মাতাল তালে ঠিক। কখনই মাতলামী করে তাল হারাই না। আমার এই মাতাল ভয় পাবার পিছে একটা ঘটনা ছিলো। আমার জীবনে আমি এমন একজন মানুষকে দেখেছি মাতাল হলে তার হিতাহিত লোপ পেত। তখন তার শিক্ষা ভদ্রতা বা ভালোবাসা বা সন্মান জ্ঞান কিছুই কাজ করতো না তার মাঝে। এই ব্যাপারটা আমার চোখে আমার কাছে যেমনই অশ্লীল তেমনই ঘৃনার ছিলো। তাই যেদিন শুনলাম ওর বাসায় ওর ড্রিংক পার্টি বন্ধুরা জড়ো হয়েছে আমি এক্কেবারেই তাকে নক করলাম না। পরদিন দেখলাম সে ১০০% নর্মাল। আমার দেখা মাতালের সাথে তার কোনোই মিল নেই। শুভ্রের উপর আমার প্রথম আস্থা এলো। বুঝলাম এই ছেলে মাতাল হয়েও নিজেকে সামলাতে পারে! বাহ! এ তো দেখছি বিশাল গুন! হা হা ভাবলে হাসি পায় মানুষ মাঝে মাঝে এমন বোকামী সমর্থন করে তার পছন্দের বা ভালোবাসার পাত্র বা পাত্রীর জন্য।


এরপর ধীরে ধীরে বুঝলাম যত সাদাসিদা সহজ সরল ভেবেছিলাম শুভ্রকে শুভ্র মোটেও তা নয়। শুভ্র এক গভীর জলের মাছ। তাকে ধরা এবং ছোঁয়া সাধারণ মানুষের কম্ম নয়। সব চেয়ে মজার ব্যাপারটাই হলো কখনও তাকে খুব সোজা সাপ্টা কখনও তাকে অচেনা মনে হয়। কখনও মনে হয় ভীষন জানা কখনও অজানা। ওকে আবিষ্কারের নেশায় পড়লাম আমি। আমার নিজের আসলে কাউকে আবিষ্কার করার
ইচ্ছা বা টাইম কোনোটাই ছিলো না। আমি ছিলাম আপনার মাঝে আপনি হারা। নিজেেকে নিজেই আবিষ্কার করে টাইম পেতাম না আবার অন্য মানুষ। তবে শুভ্র তার জহুরীর চোখে আমাকে যে পর্যবেক্ষনে রেখেছে। আমার প্রতিটা পদক্ষেপেই তার আছে সতর্ক দৃষ্টি তা যখন জানলাম বা বুঝলাম খুব অবাক হলাম। প্রথমেই মনে প্রশ্ন এসেছিলো কেনো? আমাকে এত জেনে শুনে কি লাভ এই পিচকাটার? যেহেতু সে দু বছরের জুনিয়র ছিলো তাকে বন্ধু মনে হলেও পিচকাই ভাবতাম আমি। আসলে শুভ্র কোনো কোনো ক্ষেত্রে বুদ্ধিতে যে ৮০ বছরের বুড়ামানুষকেও ছাড়িয়ে যায় তখনও জানতাম না আমি।

শুভ্র যে কখনও আমার প্রেমে পড়তে পারে বা এই কথাটা মাথাতেও আনতে পারে তা আমার মাথাতেই আসেনি আসলে কোনোকালে। প্রেম যদিও জাত ধর্ম বিধি নিষেধ মানে না তবুও কোনোদিক থেকেই শুভ্র আমার প্রেমে পড়বার কথা যে ভাবতেও পারবে তা আমি স্বপ্নেও ভাবিনি। আমাদের সমাজে নিজের চাই্তে বয়সে বড় মেয়ের সাথে প্রেম এতো ভাবনাতে আনাও বিরল। কিন্তু শুভ্র যেদিন বললো, সে আমার প্রেমে পড়ে গেছে আমি আকাশ পাতাল সাগরে হাবু ডুবু খেতে লাগলাম। এই আজগুবী আচমকা কথা শুনে। আমার কোনোভাবেই বিশ্বাস হয়নি সে আমার প্রেমে পড়তে পারে কিংবা আমি। কিন্তু আমার কাছে সে ছিলো মহামূল্যবান এক বন্ধু। তার কিছু ক্রিটিক্যাল থিংকিং এবং আমার নিজের কিছু সমস্যা সমাধানে তার বাতলানি বুদ্ধি এমনভাবেই কাজ করেছিলো যে আমি তার উপর ডিপেন্ডেন্ট হয়ে পড়ছিলাম। মনে হত আমার সারাটাজীবন শুভ্রকে লাগবে। আমার পাশে বন্ধু হিসাবে। প্রেমিক বা স্বামী হিসাবে ভাবিনি।

শুভ্র আমাকে বলতো। আজ থেকে ২০/৩০ বা ৪০ বছর পরে হলেও আমি একইভাবে তোমার বন্ধু থাকতে চাই। আমার বাড়িতে আমার বউ ছেলেমেয়ের সাথে সন্ধ্যার ইভনিং টি টেবিলে তোমাকে পেতে চাই। হা হা সেই সব কথা শুনে আমি মনের আয়নায় দেখতে পেতাম। সেই ৪০ বছর পরের শুভ্রকে। একটু সাস্থ্য মোটাসোটা হয়েছে। কোকড়া চুলগুলি ব্যাকব্রাশ করে পিছে ঠেলে দেওয়া। গালে ভাজ পড়েছে। ডাবল চিন। কাঁচাপাকা চুল। সঙ্গে অপূর্ব সুন্দরী এক ছোটখাটো বউ। শুভ্র যদিও ৬ ফুটি কিন্তু বউটাকে স্বপ্নে কেনো জানি ছোট খাটোই দেখতাম আমি। সঙ্গে দুইটা ফুটফুটে শিশু। একটা ছেলে একটা মেয়ে। গোল চায়ের টেবিলটা ঘিরে বসে থাকতাম আমরা। টি পটে চা, সামনে বিস্কিট, বাদাম, নিমকী ফলমূল এসব রাখা থাকতো। নিমকী কেনো দেখতাম? কারণ মনে হত শুভ্রের বউ খুব সহজ সরল সুন্দর একটা মেয়ে হবে যে কিনা হবে খুবই সুগৃহিনী। নিজে হাতে বানানো নিমকী বয়ামে ভরে রাখবে সে।

হা হা মানুষ ভাবে এক, স্বপ্ন দেখে এক আর হয় আরেক। সেটাই হলো আমার আর শুভ্রের জীবনে। বলা নেই কওয়া নেই শুভ্র হঠাৎ বলে বসলো। সে আমার প্রেমে পড়েছে। আমাকে ছাড়া সে কিছুই আর ভাবতে পারছে না। আমার বাক রোধ হয়ে গেলো। বলে কি এই ছেলে! পাগল হলো নাকি! আমি পালালাম! পাক্কা পাঁচদিন হাওয়া হয়ে গেলাম! আর এই পাঁচদিন আমি ভাবছিলাম শুধু ভাবছিলাম। কি বলবো এখন আমি ওকে? আমার কি হ্যাঁ বলা উচিৎ নাকি না? প্রেমে পড়া মানে কি? একটা কমিটমেন্ট। তার সাথে সারাজীবন কাটিয়ে দেওয়া। তার সুখ দুঃখ ও বিপদের দিনেও পাশে থেকে সাহস জুগিয়ে যাওয়া। তার ভালো মন্দ নিয়ে বাস করা! হায় হায় আমি কি করে সেটা করবো? আমি কি ঐ চিলেকোঠায় থাকতে পারবো নাকি? নাকি ওর সাথে সব মানিয়ে নিতে পারবো? না বলে দিলে যদি শুভ্র হারিয়ে যায়। আর কখনও দেখা না করে আমার সাথে? আমি কি করে থাকবো? আমার তো রোজকার দিনলিপিতে জড়িয়ে আছে সে। শুভ্র ছাড়া একটা দিনও আমি ভাবতে পারি না। কিন্তু পাশাপাশি এও সত্যি শুভ্রের লাইফস্টাইল আর আমার লাইফস্টাউলে ব্যপক ফারাক। আমি কি বদলাতে পারবো? নাকি সেই পারবে? নিজেকে নিয়েই ভয় ছিলো আমার বেশি। এত সব নানা রকম ভাবনায় কেটে গেলো কয়েকটা দিন।

পাঁচদিন পর যখন ওকে ফোন দিলাম, শুভ্র খুব স্বাভাবিকভাবেই বললো, কি ম্যাডাম, এই দীর্ঘ সময় আপনার হৃদয়ের মাঝে কি ভাঙ্গচুর চললো, কি টানাপোড়েন চালালেন? আর চালিয়ে কি উত্তর পেলেন? এমন রাগ লাগলো। শয়তান বলে কি? এই কয়টা দিনে শুভ্র কিন্তু আমাকে একটাবারও কল করেনি। সে কাউকে কখনই বিরক্ত করা পছন্দ করে না। সবার মতামতের মূল্য আছে তার কাছে। শুধু নিজের ব্যাপারে নো কম্প্রোমাইজ। যদিও আমার জন্য সে অনেক কিছুই কম্প্রোমাইজ করেছিলো। শুভ্র আমাকে নিরুত্তর দেখে আবারও বললো, ভয় পেওনা। তুমি নির্দ্বিধায় নো করে দিতে পারো। আমি জানি এসি ছাড়া তুমি একরাতও ঘুমাতে পারো না আর আমার ফ্যানটাই ঠিক মত চলে না। তুমি সকালে খাও সিরিয়াল, মাখন রুটি, পাস্তা পনির আর আমি কি বান যেন নামটা বলেছিলো। ভুলে গেলাম এখন। ঐ যে একটা বান রুটির মত ভেতরে মিষ্টি দেওয়া একটা রুটি পাওয়া যায় না? ১০ টাকা দাম সেটা। সেটা প্রায় সকালেই নাস্তায় খেত সে। যাইহোক এমন নানা রকম অসামঞ্জস্যের কথা বলে চললো সে।

উফ বাঁচলাম হাফ ছেড়ে। সে সব অসামঞ্জস্য আমি বলতে পারছিলাম না চক্ষুলজ্জায় সে সব নিজেই বলে দিলো। কথা সত্যি হুট করে হ্যা বলে দেবো এসব না ভেবেই অতোটা গাধা আমি ছিলাম না। তবুও না করবো কিভাবে ভেবেই পাচ্ছিলাম না। শুভ্র এসব ভেবে বললো দেখে যেমনই অবাক হলাম তেমনি শান্তি পেলাম। যাক শুভ্রও তাহলে জানে সমস্যাগুলো। কিন্তু পরক্ষনেই শুভ্র বললো আমি সবই জানি, তাই কখনও তোমাকে বলবোনা আমাকে বিয়ে করো। কারণ আমার বাসায় কখনই স্যুট করতে পারবেনা তুমি। কিন্তু প্রেমে পড়ে গেছি এ কথাও তো সত্য তাই না বলে চুপ করে থাকা ঠিক না মনে হওয়াতেই বললাম। আর জানতে চাই তুমিও কি আমাকে ভালোবাসো?

হ্যাঁ ভালোবাসি। একশোবার ভালোবাসি আমি শুভ্রকে। কিন্তু সেটা কি প্রেমিকের মত? ভেবে দেখিনিতো। শুধুই একজন বিশস্ত বন্ধু। যাকে পরম নির্ভরতায় বিশ্বাস করা যায়।আস্থা করা যায়। ভালোওবাসা যায়। কিন্তু প্রেমিকের জায়গাটা কি দেওয়া যায় তাকে? কোনোদিক থেকেই মেলাতে পারিনা আমি। কিন্তু কি বলছে শুভ্র প্রেমে পড়েছে কিন্তু বিয়ে করতে বলবে না। মানে কি? বেটার মতলব খানা কি? আমি বলেও ফেললাম। মানে কি? প্রেমে পড়বা কিন্তু বিয়ে করতে হবে না মানে কি? শুভ্র হাসলো, বললো আসলে বিয়ে করাটা হয়ত ভুল হবে। তুমি মানাতে পারবেনা কিন্তু প্রেমে পড়া কি আমার ভুল বলো? দিনের পর দিন ঘন্টার পর ঘন্টা কেটেছে তোমার সাথে। আমি কি করবো?

আসলেও তো। এই দিকটাতো আমি খেয়াল করিনি। নিজেকে খুব অপরাধী লাগছিলো। আমি বললাম শুভ্র আমিও তোমাকে ভালোবাসি। অনেক ভালোবাসি। তোমাকে ছাড়া একটা দিনও ভাবতেই পারিনা আমি। শুভ্র চুপ করে থাকলো। আমি ফোন কেটে দিলাম। একটু পর ও আমাকে একটা গান পাঠালো। গানটা মনে আছে। আসলে কিছুই ভুলিনি আমি। তিল তিল করে সবই মনে আছে আমার। গানটা ছিলো-

মোর বীণা ওঠে কোন সূরে বাজি..কোন নব চঞ্চল ছন্দে ।।
মম অন্তর কম্পিত আজি নিখিলের হৃদয় স্পন্দে!!

আসে কোন তরুণ অশান্ত, উড়ে বসনাঞ্চল প্রান্ত,
আলোকের নৃত্যে বনান্ত মুখরিত অধীর আনন্দে।
অম্বর প্রাংগন মাঝে নিঃস্বর মঞ্জীর গুঞ্জে।
অশ্রুত সেই তালে বাজে করতালি পল্লব পুঞ্জে ।।


কার পদ পরশন-আশা তৃনে তৃনে আর্পিল ভাষা ।।
সমীরণ বন্ধনহারা উন্মন কোন বনগন্ধে ।।

হা হা মনে করে হাসি পায় আমার। তবে কি শুভ্রের মনের মাঝে সেই কথা কোনো অজানা বীনার সূর বাঁজিয়েছিলো? শুভ্র রোমান্টিক কথা আমার চেনা জানা বা পড়া কবি সাহিত্যিকের মত গুছিয়ে বলতে পারতো না। তাই বুঝি ঐ গান দেওয়া। তবে যাইহোক না কেনো আমার ঐ গানের দুটি কলি আজও কানে বাজে গুন গুন-
আসে কোন তরুণ অশান্ত, উড়ে বসনাঞ্চল প্রান্ত,
আলোকের নৃত্যে বনান্ত মুখরিত অধীর আনন্দে।


আজ হঠাৎ মনে হতেই আমার হাসি পেলো আর আমি শুভ্রের বাহুতে একটা চিমটি বসিয়ে দিলাম। শুভ্র উহ করে উঠলো। অবাক হয়ে চাইলো আমার দিকে। বাসের লোকজন বেশিভাগই তখন ঘুমে ঢুলছিলো। শুভ্র বইটা বন্ধ করে সকলের অগোচরে আমার কপালে চুমু দিলো। আমি গানটা ফের বাজিয়ে দিলাম। ফিসফিস করে বললাম। মনে পড়ে এই গানটার কথা? শুভ্র হা করে তাকিয়ে রইলো। বললো তুমি শুনিয়েছিলে? আমি ফের ওর পেটে আরেকটা চিমটি দিলাম। চোখ রাঙ্গিয়ে বললাম, ভুলে গেছিস?

শুভ্র চিমটি খেয়ে ভয়ে বললো, না না ভুলিনি কি যেন মেন হেন তেন .... হা হা হা হ। আমাদের দুজনের হাসিতে বাসের লোকজন নিদ্রা ভেঙ্গে কেউ কেউ চমকে আর কেউ কেউ বিরক্তিতে তাকালো......আমি বললাম, শুভ্র সেই কবিতাটা শোনাও। শুভ্র ফের বলে কোনটা? আমি বললাম আবার আরেকটা চিমটি লাগবে? শুভ্র ভয়ে আৎকে উঠে বললো না না আরে বলোই না কোনটা? আমি বললাম ঐ যে যেটা প্রথম শুনিয়েছিলে। প্রেম নিবেদনের সময় কত কবিতা, কত গান, আর এখন মনে নাই শয়তান? ওহ শুভ্র কষ্টে সৃষ্টে মনে করতে চেষ্টা করলো। আমি আস্তে করে ওর দু আঙ্গুলে ওর গালটা ধরে বললাম, চিমটি? সে আমার হাত চেপে ধরলো। তারপর কল করলো ঠিক সেই রাতের মত। কানে কানে ফিস ফিস........

সংকোচে জানাই আজ: একবার মুগ্ধ হতে চাই।
তাকিয়েছি দূর থেকে। এতদিন প্রকাশ্যে বলিনি।
এতদিন সাহস ছিল না কোনো ঝর্ণাজলে লুণ্ঠিত হবার -
আজ দেখি অবগাহনের কাল পেরিয়ে চলেছি দিনে দিনে …

জানি, পুরুষের কাছে দস্যুতাই প্রত্যাশা করেছো।
তোমাকে ফুলের দেশে নিয়ে যাবে ব’লে যে-প্রেমিক
ফেলে রেখে গেছে পথে, জানি, তার মিথ্যে বাগদান
হাড়ের মালার মতো এখনো জড়িয়ে রাখো চুলে।

আজ যদি বলি, সেই মালার কঙ্কালগ্রন্থি আমি
ছিন্ন করবার জন্য অধিকার চাইতে এসেছি? যদি বলি
আমি সে-পুরুষ, দ্যাখো, যার জন্য তুমি এতকাল
অক্ষত রেখেছো ওই রোমাঞ্চিত যমুনা তোমার?

শোনো, আমি রাত্রিচর। আমি এই সভ্যতার কাছে
এখনো গোপন ক’রে রেখেছি আমার দগ্ধ ডানা;
সমস্ত যৌবন ধ’রে ব্যধিঘোর কাটেনি আমার। আমি একা
দেখেছি ফুলের জন্ম মৃতের শয্যার পাশে বসে,
জন্মান্ধ মেয়েকে আমি জ্যোস্নার ধারণা দেব ব’লে
এখনো রাত্রির এই মরুভুমি জাগিয়ে রেখেছি।

দ্যাখো, সেই মরুরাত্রি চোখ থেকে চোখে আজ পাঠালো সংকেত -
যদি বুঝে থাকো তবে একবার মুগ্ধ করো বধির কবিকে;
সে যদি সংকোচ করে, তবে লোকসমক্ষে দাঁড়িয়ে
তাকে অন্ধ করো, তার দগ্ধ চোখে ঢেলে দাও অসমাপ্ত চুম্বন তোমার…
পৃথিবী দেখুক, এই তীব্র সূর্যের সামনে তুমি
সভ্য পথচারীদের আগুনে স্তম্ভিত ক’রে রেখে
উন্মাদ কবির সঙ্গে স্নান করছো প্রকাশ্য ঝর্ণায়।


এতদিন পরেও সেই কবিতা শুনে আমি লজ্জায় লাল নীল বেগুনি হয়ে উঠলাম এক গাড়ির মানুষের ভীড়েও। সেদিন ছিলো রাত দুপুর আর আজ ভরদুপুরেও একই অনুভুতি শির শির করে বয়ে গেলো আমার অজানা তন্ত্রীতে........ শুভ্র আমার অবস্থা দেখে দুষ্টুমীতে হাসছিলো। আমি এইবার তো লজ্জায় সাত রং গিরগিটি হয়ে মুখ লুকালাম ওর কাঁধে.......


চিলেকোঠার প্রেম- ১৩

মন্তব্য ৫৪ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৫৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩২

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: পড়তে যাচ্ছি :)

০২ রা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:১৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা ওকে।

২| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার বিয়ে-পরবর্তী প্রথম দিককার ছবি কই পাইলেন? :`>

০২ রা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:১৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: সবার বিয়ের পরপরই মনে হয় এমন ছবি থাকে।

৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪০

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হুম .... পড়লাম এবঙ ভালো লাগলো...... কবিতাটাও খুব সুন্দর
পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম :)
শুভকামনা আপি

০২ রা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:১৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: কবিতাটা জয় গোস্বামীর। কবিতার নাম স্নান।

৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সুনির্মল লিপি, ভালোবাসা I

০২ রা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ধন্যবাদ নেওয়াজ ভাই।

৫| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
এত ব্যবধান থাকা স্বত্ত্বেও দুজনে অবশেষে প্রেমে পড়েছে।

০২ রা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হ্যাঁ তাও আবার উথাল পাথাল প্রেম।

এমনই হয়। প্রেমের জোঁয়ারে ভেসে যায় আবার ভাঁটাতেও নেমে যায় হা হা।

৬| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: মানুষ যখন প্রেম ভালোবাসার মধ্যে থাকে, তখন তাদের সাহস কিছুটা বেড়ে যায়। কিন্তু তখন তখন বোকা বোকা কাজ বেশি করে।

প্রিয় মানুষের কাঁধে মাথা রেখে গান শুনতে ভালো লাগারই কথা। তাও আবার রবীন্দ্র সংগীত, বৃষ্টির দিনে।

আধুনিক যুগের ছেলেমেয়েরা বন্ধুবান্ধব নিয়ে মদ গাজা খাবে এটা স্বাভাবিক। তবে আমি এসব খাই না। তবে আপনি অনুরোধ করলে ক্ষেত্রে পারি। আমার আব্বা বিশেষ বিশেষ দিনে মদ খেত।

বলছেন, শ্রভ্রর অনেক বুদ্ধি। তো, সে বুদ্ধি দিয়ে কি কি অর্জন করেছে, আপনাকে ছাড়া?

ভালোবাসা আত আবেগে মাখামাখি। সমস্যা হলো প্রেম ভালোবাসা মানুষের জীবনে দীর্ঘদিন স্থায়ী হয় না।

০২ রা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: বাপরে!

সাংঘাতিক সব কথা!

হ্যাঁ প্রেম বা আবেগে মানুষ ভুল করে কিন্ত শুভ্র তো জাঁতে মাতাল তালে ঠিক। সে খুব একটা ভুল আসলে করে না।

হ্যাঁ একটা কথা বলি শুভ্র রবীন্দ্র সঙ্গীত তেমন লাইক করে না। যা করেছিলো বা করিয়েছিলো নিজেকে তা শুধু ঐ প্রেমে পড়েই আর কি।

হা হা আমি অনুরোধ করলে খাবেন!
কেনো?

বুঝেছি পাগলের পোস্ট লিখে এখনও পাগলামী মাথা থেকে নামেনি আর কি। সব পাগলেররা ভর করছে মাথায়।

বুদ্ধি দিয়ে অনেক কিছুই অর্জন করেছে যা পরে বলছি। নেক্সট পর্বে বা তার পরের পর্বে।

ভালোবাসা আজীবন থাকতে পারে কিন্তু প্রেমটা হয়ত দীর্ঘস্থায়ী থাকে না।

৭| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



শুরুতে একটা পোষ্ট পড়েছিলাম, আজকেরটা পড়লাম; লেখার ষ্টাইলে সমস্যা আছে কোথায়ও, আমাকে টানেনি।

০২ রা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: এরপর আপনার স্টাইলে লিখবো। প্রমিজ।

আমি সব স্টাইলই পারবো ইণশাল্লাহ।

৮| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: পর্ব ১২ এবং পর্ব ১৪ একই দোষে দুষ্ট।

দুই পর্বই অনেকটা স্বীকারোক্তিমুলক এবং চরম বিরক্তিকর কারন দুজায়গাতেই বে-গুনের গুন গানই হয়েছে।বুঝিনা এত প্রেম :P কোতা থেকে আসে উনার মনে।

১২ তম পর্বে বলেছিনু " শুভ্রর মাঝে কি আসলে এত গুন বিদ্যমান আছে যা শুভ্রের বউ (মাহরিন ) তার বয়ানে বলেছে।তার বয়ান শুনে মনে অইবার লাগছে শুভ্র বেটা একটা সুপার পাওয়ারের ভীন গ্রহের একটা কিছু ।আসলে ত তানা (ত্যানা )।
আমার ত মনে হয় শুভ্র বেটা গভীর জলের মাছ।"

১৪ তম পর্বেও তাই বলতে মুনচায়,"কোন কাজে যদিও অধ্যাবদি গুনের পরিচয় পাইনি তারপরেও অকর্মণ্য-বউআদুরীর গুনের B:-/ শেষ নাই তার সিনিয়র বউয়ের দৃষ্টিতে।"

- বয়সে বড় মেয়ে বয়সে ছোট ছেলের প্রমে পড়ার পর ভীমরতি ধরেছে মনে লয়।আগে শুনতাম বুড়া বয়সে অল্পবয়সী মেয়ে বিয়ে করার পর বুড়াকে :-B ভীমরতিতে ধরে ।আর এখানে উলটা টাই দেখতেছি। - "এ যেন অনেকটা বুড়িয়ার বাচচার প্রেমে পড়ার পর তার যা দেখি তাই ভাল লাগে টাইপ"

সুন্দরী এবং বুদ্ধিমান মেয়েরা অগোছালো-আলবোলা,নেশাখোর-সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজ টাইপের ছেলেদের নিয়ে ভালবাসার উদ্ভট কল্পনা (fantasy) য় ভোগে এবং বাবা-মাকে ছেড়ে ও যায় ।তবে আশার কথা হলো শুভ বাবু অগোছালো-আলবোলা,নেশাখোর হলেও সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজ টাইপের না । আর পালানোর পরেও বাবা-মা ফলাফল সহ B-)) (বাবু+বাবুর বাবু ) সহ মেনে নিয়েছে ।

আর প্রমোদ ভ্রমণ কালেও বে-গুনের গুন কীর্তন শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা। এ যেন ধান বানতে শিবের গীত অথবা কখনো শেষ না প্রক্রিয়া । - - -

০২ রা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা আসলেও গভীর জলের মাছ। আর এ কারনেই আবিষ্কার করতে করতে যায় বেলা।

হা হা আসলেই একই হবার কথা। বুড়িয়ার প্রেমেও বুড়ুয়া বুড়ুয়ার প্রেমে বুড়িয়া।


না না চাঁদাবাজ টাইপ না তবে আরও কঠিন কিছু..... তা আসছে.....

এখনও তো ভ্রমনের পথে তাই স্ম্বৃতি রোমন্থন আর মনে করিয়ে দেওয়া আর কি ....

এরপর ভ্রমন এবং ভ্রমনের পরের পর...

৯| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আহা!

কি লুমান্তিক ;)
হা হা হা

দারুন চলছে প্রেম রসায়ন
মুগ্ধ পাঠক করে স্মৃতিচারণ ;)

০২ রা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা স্মৃতি রোমন্থন অনেকে কিন্তু খেপে যাবে।

মিরর আপু আর সামু পাগলা শুভ ভাইয়ার ভালো লাগবে।

১০| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: গল্পের নাম আংশিক কেন (চিলেকোঠার - ১৪)? বাকি মন্তব্য পড়ার পর করবো।

০২ রা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ওহ ভুল হয়ে গেছে নামটা লিখতে গিয়ে। স্যরি এবং অসংখ্য ধন্যবাদ।

১১| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫২

মিরোরডডল বলেছেন:



জার্নিতে প্রিয়কে পাশে নিয়ে তার কাধে মাথা রেখে ট্র্যাভেল করা, সদ্য বিবাহিত কাপলের এরকম প্রেম থাকবে এটা ঠিক আছে ।
বউ ছেলেমেয়ের সাথেও ইভনিং টেবিলেও ওকে চায় এটা খুব মজা লেগেছে, ভেরি রেয়ার দো :)

মদ গাঁজা, সিরিয়াসলি !!!! :| এটা কেনো :(

সেই সময়ে শুভ্র একাবারো কল দেয়নি এটা ঠিক করেছে । বিরক্ত না করে এনাফ টাইম দিয়েছে ভাবার জন্য ।
শুভ্রর অনেস্টিকে এপ্রিশিয়েট করছি , অকপটে ভালোবাসার কথা বললো কিন্তু বিয়ের কথা বললো না । যেটা ফীল করে সেটাই বলেছে । দশে দশ আপু । আমার কাছে এটাই ভালো লাগে নো হিপোক্রিসি । সময়ই ঠিক করে দেয় কখন কি বলতে হয় ।

আজ হঠাৎ মনে হতেই......... ভুলে গেছিস? রোম্যান্টিক খুনসুটি !
বরাবরের মতোই সাবলীল লেখা ।


০২ রা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: জানতাম এই লেখা কার কার পছন্দ হবে। যারা এখনও চোখে রঙ্গিন রোমান্টিক চশমা পরে আছে। হা হা

হ্যাঁ মদ গাঁজা এটাই সিরিয়াসলী।

১২| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৭

মিরোরডডল বলেছেন:

শুধু এখন কেনো আপু, টিল ডেথ এই রঙ্গিন চশমাই চাই :)

০২ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা লেখার সময় থেকেই তোমাদের ৩ জনকে ভাবছিলাম! আর অন্যরা কে কি বলবে ভেবে ভেবে হাসছিলাম। নীচের কমেন্টগুলো পড়েও অনেক হেসেছি।

১৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১২

শুভ_ঢাকা বলেছেন: আজকের গল্পের কলেবর ঠিকঠাক ছিল। আমার স্মৃতি শক্তি বড়ই দুর্বল। যদুর মনে হয় শুভ্রর চরিত্র আজ গল্পে (কমেন্টের প্রতিউওর ব্যতীত) কিছুটা উন্মোচিত হল। গল্প পড়ে একটা প্রশ্ন মাথায় ঘুরছে। গল্পের নায়িকা লেখাপড়া শেষ করে দু বছর ধরে চাকরী করছে। তার জীবনে শুভ্র আসার আগে কি কোন প্রেম ভালবাসা আসেনি। বা তার এত প্রভাবশালী বাবা তাকে সুপাত্রস্থ করতে কোন উদ্যোগ নেয়নি।

দুই বছরের ছোট ছেলেকে বিয়ে করাটা আমার কাছে খুব একটা অস্বাভাবিক মনে হয় না। সচিন টেন্ডুলকার ২১ বছর বয়সে ২৭ বছরের ডাঃ অঞ্জলি (গোল্ডমেডেলিস্ট) বিয়ে করেছিলেন। অবশ্য ঐ বয়সেই সচিন খ্যাতিমান ও মালদার মানুষ ছিলেন। সত্যজিৎ রায় তার থেকে ২ বছরের বড় সম্ভবত কাজিন বিজয়াকে মোম্বাইতে (পালিয়ে কি????) বিয়ে করেছিলেন। তখন সত্যজিৎ রায় দ্যা সত্যজিৎ রায় হননি।

এই লেখা শুভ্রের পড়ার সম্ভাবনা কতখানি বলে নায়িকা মনে করেন।

ব্লগে গল্প লেখার এই এক হ্যাপা! চাকুরীর কাজ, সংসারের হাজারটা কাজ করে আবার এত কষ্ট করে লেখার পর নানান জেরার সম্মুখীন হতে কার ভাল লাগে। :( আরে এইজন্যই তো আমি লেখালেখি করি না। :D

আজকের পর্বের লেখাও খুব ভাল... গুড গোয়িং! :)

০২ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৯

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা সে তো অন্য গল্প হবে। গল্পের নায়িকা বড়ই কেমন কেমন। সে নিজে ছিলো আত্মপ্রেমী। নিজেকে নিজেই নিজে লিখলাম না? সে আপনার মাঝে আপনি হারা, আপন সৌরভে সারা, যেন আপনার মন আপনার প্রাণ আপনারে সঁপিয়াছে.........
যাইহোক সেই আগের গল্প এখানে আনা যাবে না। আর গল্প শেষ মনে হয় এ উত্তরও পেয়ে যাবেন। না বুঝলে তখন বলে দেবো।

হ্যাঁ আধুনিক ছেলেদের কাছে এটা মনে হয় ডাল ভাত। তবে আমি নিজে আদ্দিকালের বদ্দিবুড়ি মানসিকতার। এই রকমটা ঠিক ঠাক মনে হয় না আর কি।

এই লেখা শুভ্রের পড়ার সম্ভাবনা ১০০% তবে সে উদাসীন ও খামখেয়ালী কিনা। মনে হয় এই সব পড়ার আর সময় নাই তার।

হা হা আগেই বলেছি এই লেখা লেখার সময় আমার মাথায় ছিলো শুভ, মিররডল সামু পাগলা এই ৩ জন আরেকজন ওমেরা।


১৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আসলে যখন প্রত্যাশা বেশী থাকে তার পূরন না হলে ব্যাথা ও তীব্র হয়।

গল্পের শুরুতে যতটা আবেগ-উত্তেজনাপূর্ণ ছিল তা ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচছে ,এটাই ব্যথার ।আর শুভ্রকে ও তার বউকে এবং তাদের প্রেমকেও ভালবাসি ,অনুভব করি ।তবে ব্যর্থতাগুলি বুকে বাজে । তাইত সমালোচনা করি ।

আর কল্পনায় ছোটখাট বউটা বাস্তবে :P ৬ ফুট ?? মিলেনা হিসাব.। কি করা ।

গল্পকে গল্প হিসবে নিতে হবে ।আবেগের বেগকে নিয়ন্ত্রন করতে হবে ।

০২ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: কি করবো জীবনেরও তো আবেগ হারিয়েই যায়। এমনই হবার কথা ছিলো না বলেন?

হ্যাঁ শুভ্রের কল্পনার বউটা সত্যিই ছোটখাটো ছিলো। তার কারণ আছে। হা হা একটু আগে পরে এসে গেলো আর কি অবচেতন মনে।
আবেগ নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে না। এটা খুবই মজার। আমার পাঠকেরাই এই লেখার পাত্র পাত্রী।

১৫| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৮

ঢুকিচেপা বলেছেন: লেখা অবশ্যই ভালো হয়েছে। তবে ৩৫ লাইন কবিতা দিয়ে পাতা ভরানোর কারণে ফাঁকিবাজি করা হয়েছে। এটা পরীক্ষার খাতা না যে ফাঁকা ফাঁকা করে লিখে লুজ সিট নিবেন।

“ আজ থেকে ২০/৩০ বা ৪০ বছর পরে হলেও আমি একইভাবে তোমার বন্ধু থাকতে চাই।”
“ সেই ৪০ বছর পরের শুভ্রকে।”
তাহলে আগের বয়সের সাথে ৪০ বছর যোগ = ৭০/৮০ বছর, সেখানে তার সাথে অপূর্ব সুন্দরী এক ছোটখাটো বউ।
স্বপ্ন দেখতেও যে আপনার হিংসা হয় বুঝলাম, অপূর্ব সুন্দরী বললেন ঠিক আছে, তাই বলে ছোটখাটো বানাতে হবে ?

“ সঙ্গে দুইটা ফুটফুটে শিশু। একটা ছেলে একটা মেয়ে।”
এই দুইটা কি ৭০/৮০ বছর বয়সের শুভ্রর নাতি নাতনী ?

০২ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা কবিতা আর গানের পার্ট কিন্ত ১০০% সত্য। কাজেই না দিয়ে পারলাম না। এই গান আর কবিতাটাই ছিলো। কসম........ :P

হা হা হা আমি অংকে কাঁচা কিন্তু অত বছর পরে ওমন ছোট ছোট ছেলেমেয়ের স্বপ্ন আসলে আমি কি করবো? আমি তো শুভ্রকে অত বুড়ো দেখিনি।

আর ছোটখাটো কেনো বলেছি পরে হয়ত বলবো।

১৬| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৩

রামিসা রোজা বলেছেন:
এখনো প্রেম উথলে পড়ছে একে অপরের প্রতি । নতুন
সংসারের প্রেম চলুক আরো কিছুদিন । তারপর না হয়
ধীরেসুস্থে পরের পর্বগুলো পড়ে নিবো ।

০২ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা রোজা আপা ধন্যবাদ অনেক।

১৭| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভাগ্যিস শুভ্র ও তার প্রানপ্রিয় বউ বাসের সামনে ড্রাইভারের কাছে বসেনি। প্রেমিক-প্রেমিকার রোমান্টিক কথাবার্তায় আচ্ছন্ন হয়ে ড্রাইভার সাহেব নির্ঘাত দুর্ঘটনা ঘটাত। ঢুকিচেপা আপু বয়সের ব্যাপারে ঠিক বলেছে। আপনি অঙ্কে কাঁচা বোঝা যাচ্ছে। গল্প পড়ে মনে হচ্ছে গাঁজাখোর আর মদখোরদের প্রতি মনে হয় মেয়েদের আকর্ষণ বেশী থাকে। তবে আরও কোন নেশা আছে কি না এটা একটু খবর নিয়ে দেখা উচিত। নায়িকার নখ ছোট রাখা উচিত কারণ শুভ্র যে হারে চিমটি খাচ্ছে তাতে যাত্রাপথে রক্তারক্তি হওয়ার শম্ভবনা দেখা যাচ্ছে। বাসের যাত্রীরা মনে হচ্ছে বেরসিক অথবা নায়ক- নায়িকা মনে হয় বেহায়া। কোনটা ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। তবে নাইটকোচ হলে আরও রোমান্টিক কিছু বর্ণনা মনে হয় পাওয়া যেত।

০২ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা তা ঠিক। তারা পিছে বসেছিলো।

আসলেও অংকে কাঁচা। কিন্তু কল্পনার গরু আকাশে উড়লে দোষ আছে বলেন?

না না নায়িকা তো এটা একদমই লাইক করে না তবে গাঁজাখোর আর মদখোর যেভাবে সামলে নিলো দেখেই মুগ্ধ হয়ে গেলো। মানে তাকে যেন মুগ্ধ হ্তেই হবে। পণ করেছেন। নায়িকাকে মনে হয় তাবিজ করেছিলো।

নখ কাটতে বলবো?

না না নাইট কোচ হলে আমি এই গল্পই লিখতাম না মানে এই পার্ট বাদ দিয়ে দিতাম। হা হা

১৮| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

০২ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ রাজীবভাই। কে কি মন্তব্য করলো পড়েছেন?

১৯| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৯

করুণাধারা বলেছেন: গল্পে প্রেমের ঝর্ণা ধারা বয়ে চলেছে, কিন্তু বিটুইন দ্য লাইন্স অন্য কিছু আছে...

সেই অন্যকিছু ধরার অপেক্ষায় থাকলাম... এই ন্যাকা ন্যাকা প্রেম নিয়ে আমার কিছু বলার নেই, অন্যরা কে কী বলে দেখে যাচ্ছি...

০২ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৯

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা আপু ন্যাকা প্রেম ভালো লাগছেনা বুঝি? বুঝেছি রঙ্গিন চশমা খসে পড়েছে। ঐ যে শুভভাই মিররআপুদের দেখো রঙ্গিন চশমায় মজার দুনিয়া।

২০| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০২

খায়রুল আহসান বলেছেন: মুগ্ধপাঠ! গল্পের চেয়ে গল্প বলার চমৎকার স্টাইলটা বেশি ভাল লেগেছে। + +
উদ্ধৃত রবীন্দ্র সঙ্গীত এবং জয় গোস্বামীর 'স্নান' কবিতাটা ভাল লেগেছে এবং আমার মনে হয় ওদুটো গল্পের কাব্যিকতা অনেকাংশে বাড়িয়েছে।
ভেবেছিলাম, শুভ্র'র কার্ল মার্ক্স এর বই পড়ার কথা জেনে চাঁদগাজী সাহেব খুশি হবেন, কিন্তু মন্তব্য পড়ে বুঝলাম, তিনি তা হন নি।

০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: চাঁদগাজী ভায়ের সাইকোলজী আমি জানি। সেটা কেনো করেছে এবং ইচ্ছা করে করেছে। নইলে চাঁদগাজী ভাই প্রেমিক মানুষ ছিলেন। এখনও আছেন মনে হয় আমার।


যাইহোক কবিতা আর গান এই দুটি জিনিস এই গল্পের অতি সত্য উদ্ধৃতি।


গল্প বলার স্টাইলটা আসলে যেভাবে আমি কথা বলি সেটাই। বেশি কিছু কষ্ট করতে হয়নি।

২১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৫২

শুভ_ঢাকা বলেছেন: আরও একটা কৌতূহল... শুভ্র চিলেকোঠায় মদ্যপান ও গাজা খেয়েছিল বন্ধুদের সাথে। বিয়ের পর এই পর্ব পর্যন্ত অর্থাৎ সুন্দরবন যাত্রার পূর্বেও কি কখন মদ্যপান বা গাজা খেয়েছিল নায়িকার সামনে বা বাহিরে খেয়ে নায়িকার কাছে ধরা খেয়েছিল। বা এই পর্বের পরেও কি কখন খেয়েছিল। ধূমপানতো অবশ্যই গাজা হল এক্সট্রিম লেভেলের নেশা যা intolerable।

০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:০৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: এই পর্যন্ত খায়নি।

তবে স্বভাব যায় না মরলে.......

২২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ৩:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ রাজীবভাই। কে কি মন্তব্য করলো পড়েছেন?

আবার জিগায়!!

০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা। যাক ঠিক আছে তাইলে......

২৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪৩

শুভ_ঢাকা বলেছেন: কবিতা পড়ার প্রহর,

আমি সামুতে লগ ইন না করেই খোজ নিয়ে যাই, নতুন লেখা এসেছে কিনা। ভাল কিছু পেতে হলে ধৈর্য তো ধরতেই হয়। :)

১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আমি এতই ঝামেলায় ছিলাম যে চিন্তা করছিলাম শুভ ভাইয়া, মিরর আপুরা মনে হয় ভাবছে কি হলো কবিতাআপার??? হা হা
আসলেই মাহা ভাই ঠিকই বলেছিলো সব গুলো পর্ব লিখে কাউকে দায়িত্ব দিয়ে যেতে ......


কালকে ইনশাল্লাহ.....

আর ৫/৬ পর্বেই শেষ করে দিতে হবে মনে হচ্ছে নইলে অর্ধ সমাপ্ত থেকে যাবে........

জীবনে যে ঝামেলা বাড়ছে দিনে দিনে .......

২৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:১০

মিরোরডডল বলেছেন:



আপুটা নেক্সট লেখা দাও তাড়াতাড়ি নইলে ভুলে যাবো কোথায় ছিলাম ।
আর তাছাড়া সামু যেভাবে ঘুমিয়েছিলো, এখনও কিছুটা ঘুমাচ্ছে, একদম ঝাকানাকা একটা লেখা দাও যেনো সব ঘুম থেকে জেগে উঠে ।



১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ওকে কালকেই ইনশাল্লাহ.....

সবার ঘুম ভাঙ্গিয়ে দেবো......


মিররআপু আমি কিন্তু সত্যিই ভাবছিলাম তোমরা ভাবছো লেখা দেই না কেনো? আমিও চিন্তায় পড়েছিলাম।

আজকে লিখবো ভেবেছিলাম সাজিদ ভাইয়াকে বলেওছিলাম।

কিন্তু আজও হলো না।

মানে পাবলিশ করতে পারবো কালকে ইনশাল্লাহ।

২৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৫

শুভ_ঢাকা বলেছেন: জীবনে যে ঝামেলা বাড়ছে দিনে দিনে .......

১০০% সম্মত। মানুষের মন আকাশের মত। একেক সময় একেক রকম। লেখালেখির মত একটা এত সংবেদনশীল কাজ করা চাট্টিখানি ব্যাপার না। আর যেখানে পাঠকে প্রত্যাশা আশাতীত। যেখানে পান থেকে চুন খসলে নানান প্রশ্ন।

৫/৬ পর্বেই শেষ করে দিতে হবে মনে হচ্ছে নইলে অর্ধ সমাপ্ত থেকে যাবে.........

এই গল্প লিখেতে গিয়ে কি নতুন করে লেখিকা আবার সমস্যায় বা চাপে মধ্যে পড়েছেন। ঝটপট লেখা শেষ করলে সব কথা কি ঠিকঠাক মত প্রকাশ করা হবে।

তবে নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো কাহা তাক ভাল লাগে। লেখিকা যা ভাল মনে করবেন তাই করবেন। তাই শিরোধার্য।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা বিশ্বাস করেন আজকে সকাল থেকে লিখবো ঠিক করে রেখেছিলাম। যদিও এই পর্ব আমি ৫/৬ বার লেখা শুরু করেছিলাম। কোনোটাই ঠিক ঠাক এগুচ্ছিলো না। কাজের চাপ বা ম্যুড কিনা জানিনা ঠিক ঠাক আমি মনের কথা প্রকাশ করতেই পারি না আসলে।

যাইহোক আজ সকালে লিখবো বলে কাল সব কাজ মধ্যরাত্রী পর্যন্ত গুছিয়ে রাখলাম। সকাল বেলাই শুরু হলো নতুন কাজ। ১১ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত এক নাগাড়েই কম্পিউটারেই থাকতে হলো। তারপর গোসল খাওয়া সেরে আবার ক্লাস। ৮ টার পর আবার মিটিং। আর তারপর জোর করে বসলাম কথা দিয়েছি। আজকে লিখতেই হবে।

আর সত্যি লেখা এসে গেলো ঝর ঝর....

নতুন পর্ব আপনার জন্য আর মিরর আপুর জন্য.......

২৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১০

শুভ_ঢাকা বলেছেন: নতুন পর্ব আপনার জন্য আর মিরর আপুর জন্য.......

আই অ্যাম সো অন্যার্ড। :)

১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা সত্যিই। নইলে আজকেও পাবলিশ হত না হয়ত।

জোর করে সময় বের করেছি।

আর মাঝে একটু ছবি আঁকাআঁকি নিয়েই বিজি হয়ে পড়েছিলাম। তাই লেখায় ছেদ পড়েছিলো।

২৭| ২০ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৫৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: কবিতা পড়ার প্রহর,




চিলেকোঠার প্রেমের দেখা বাসেও মিললো। তাও রাত্তিরে!
প্রেম যেমন একটা কমিটমেন্ট তেমনি বন্ধুত্বও একটা কমিটমেন্ট । এই কমিটমেন্টে পার্থক্য এটাই যে প্রেমে একটা জৈবিক চাহিদা থাকে। আর তাই প্রেমে পড়লে মানুষ গাধা-টাধা জাতীয় জীবে পরিনত হয়। যেমন ..... ;)


২০ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা হ্যাঁ ঠিক তাই এ দু,জনও গাধা আর গাধী হয়েছিলো ....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.