নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লোকে বলে প্রথম প্রেমটা বড্ড কোমল\nএলোমেলোযায়না \nভোলা কোনোদিনও\nসত্যি কি তাই

কবিতা পড়ার প্রহর

কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে রাতের নির্জনে

কবিতা পড়ার প্রহর › বিস্তারিত পোস্টঃ

চিলেকোঠার প্রেম- ১৫

১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৪



যে আনন্দ, উচ্ছাস আর উচ্ছলতা নিয়ে এ ভ্রমনের শুরু ছিলো তার রেশটা ফুৎকারে যেন নিভে গেলো। আমি সেদিনের কথা অনেক ভেবেছি। সেই ছিলো শুরু। আমার ভেতরে অভিমান বা দুঃখবোধ, ক্ষোভ বা বেদনা যাই বলি না কেনো, হয়ত আমারই ভুল। সোজা কথায় ভুল হোক আর শুদ্ধ হোক, সেই যে দ্বিধা কিংবা দ্বন্দ সেটার শুরু আমার সে রাত থেকেই।

জাহাজে পৌছে সকলে যেন অকারণ উচ্ছলতা আর আনন্দে মেতে উঠেছিলো। সকলেই হাসি ঠাট্টা আর গল্পে মশগুল হয়ে উঠেছিলো। আমিও তাদের ব্যাতিক্রম ছিলাম যে তা নয়। কিন্তু অবাক হয়ে খেয়াল করলাম শুভ্র যাকে আমি মুখচোরা বা খুব একটা মিশুকে না বলেই জানি সে যেন এক্কেবারে খোলস ভেঙ্গে রুপকথার বেলকুমারের মত হঠাৎ অজানা অচেনা আরেক মানুষ হিসাবে আবির্ভূত হয়েছেন। এই শুভ্র আমার একেবারেই অচেনা অজানা। পাড় আড্ডাবাজদের মত অট্টহাস্য আর গাল গল্পে মেতে উঠেছে। এত অল্প সময়ে এত অজানা অচেনা লোকের ভিড়ে এত সহজেই এইভাবে মিশে যাওয়া শুভ্রকে আমার খুবই অচেনা লাগছিলো। তার আমার দিকে কোনো ভ্রুক্ষেপই ছিলো না।

ওদিকটায় ছেলেদের আড্ডা জমে উঠেছিলো। আমার অফিসের মেল কলিগস আর ফিমেলদের হ্যাসব্যান্ডদেরকে নিয়েই। আর এদিকটাতে আমরা মেয়েরা। বাচ্চারাও এরই মাঝে ওদের মত জগৎ গড়ে নিয়েছে দেখলাম। জাহাজের ডেকে একদিকে নুডুলস পকোড়া, ধোঁয়া ওঠা স্যুপ, চিপস থরে থরে সাজানো ছিলো। বাচ্চারা হই হুল্লোড় করে নিয়ে নিয়ে খাচ্ছিলো ইচ্ছামত কফি, কোল্ড ড্রিংকস। আসলে এটা হয়ত খুবই সহজাত ব্যাপার ছিলো। কিন্তু আমার বুকের মধ্যে কোথায় যেন এক খটকার শুরু হলো। মনে হলো কিছু একটার অভাববোধ। আমার মন হু হু করে কেঁদে উঠল এক ঝাঁক ভীড়ের মাঝে থেকেও।

আমার কেনো হঠাৎ এমনটা মনে হয়েছিলো? আমিই ভুল ছিলাম বার বার বলেছি নিজেকেই তবুও মানুষের মন মানে নিজের মনের তলই খুঁজে পাইনি আমি। ভেবে পাইনি কোনোই দিশা। আজও পাই না। শুভ্র এমনভাবেই মেতে ছিলো যেন আমি বলে এই জাহাজে ওর কেউ নেই। ওদের সাথেই এসেছে সে। ভোস ভোস ধোঁয়া ছাড়ছিলো সিগারেটের। অথচ সে এতদিন একটা সিগারেটও স্পর্শ করেনি। আমার খুব মন খারাপ হচ্ছিলো। দূরে সন্ধ্যা নামছিলো। একটু একটু করে সরে যাচ্ছিলো তীরের ঘন সবুজ গাছ পালাগুলো। অন্ধকার গাঢ় হচ্ছিলো।

জাহাজের লাইট জ্বলে উঠার কিছু পরেই নাসিমা আপার হাসব্যান্ড চেঁচিয়ে বললো, তারা ভেতরের হলরুমে যাচ্ছে। কার্ড খেলা হবে। শুভ্র আমাকে জানিয়ে যাওয়া তো দূরের কথা তাকিয়েও দেখলো না। ওদের সাথে চলে গেলো ভেতরে। আমি বিস্ময়ের উপর বিস্ময়ে ভেতরে ভেতরে কাঁঠ হয়ে যাচ্ছিলাম। আমার খুব কষ্ট হচ্ছিলো। এখন মনে হয় প্রেগন্যান্সীর কারণেই হয়ত ওমনটা হয়েছিলো আমার। শুভ্র বা সেদিন জাহাজের সকল ছেলেদের দল মিলে যা করেছিলো সবটাই ছিলো খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু আমার ওমন নাজুক শরীরের সাথেমা বাবা বা শ্বশুর শ্বাশুড়ি এবং কলিগদের কেয়ারিং পেয়ে পেয়ে মনটাও মনে হয় আহলাদী হয়ে উঠেছিলো। জানিনা আমি। আসলেই জানিনা।

অথবা হয়ত আমার স্বপ্নে যা ছিলো শুভ্র আর আমি সাগরের ঢেউ দেখবো। ডেকে বসে ওর কাঁধে মাথা রেখে রেখে গুনবো সন্ধ্যায় একে একে জ্বলে ওঠা হীরার মত ছোট্ট সব জ্বলজ্বলে তারা। জাহাজের কোল ঘেষে বয়ে যাবে শীতল হিমেল হাওয়া। আমাদের মন জুড়াবে। সিনেমা নাটকের মত হয়তো এমন কিছুর সাথে মিললো না বলেই আমার ওমন হলো। জানিনা আমি আসলেও জানিনা। জানতে হলে সাইকিয়াটিস্টের কাছে যেতে হবে।

যাইহোক ওরা ভেতরে যাবার পরে জাহাজের ডেকে খানিকটা স্বস্তি এলো। মেয়েলী হাসাহাসি আর রিনরিনে কন্ঠ ঘিরে জাহাজের ভটভট শব্দটা মিলে মিশে যাচ্ছিলো। সেই আনন্দ পরিবেশ সবাইকে আনন্দে ভাসালেও আমাকে ভাসাচ্ছিলো এক রাশ বিষন্নতায়। আমার ইচ্ছা করছিলো শুভ্রের কাঁধে মাথা রেখে বসে থাকি। চেয়ে থাকি অতল আঁধারে। মিনু আপা বললো, কিরে শরীর খারাপ করছে? একটু শুবি? যা ভেতরে গিয়ে রেস্ট নে একটু। বসে থাকতে হবে না।আমি বললাম না। আমি ভালো আছি। তখন শুরু হয়েছে গান কবিতার আসর। সুরুচী তার কিন্নর কন্ঠে কবিতা আবৃতি করছে।

যদিও সন্ধ্যা আসিছে মন্দ মন্থরে,
সব সংগীত গেছে ইঙ্গিতে থামিয়া,
যদিও সঙ্গী নাহি অনন্ত অম্বরে,
যদিও ক্লান্তি আসিছে অঙ্গে নামিয়া,
মহা আশঙ্কা জপিছে মৌন মন্তরে,
দিক্‌-দিগন্ত অবগুণ্ঠনে ঢাকা--
তবু বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর,
এখনি, অন্ধ, বন্ধ কোরো না পাখা।

আসলেই আশঙ্কা জাগছিলো আমার মনে। কিসের আশঙ্কা জানিনা। মনে হচ্ছিলো আর ভালো কিছু হবে না কখনও কোথাও। বুকের মধ্যে জাগছিলো অকারণ হু হু আকুলতা। সুরুচীর কবিতায় ধ্বনিত হচ্ছিলো-
কোথা রে সে নীড়, কোথা আশ্রয়শাখা!
তবু বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর,
এখনি, অন্ধ, বন্ধ কোরো না পাখা।
আমার নিজেকে নীড় হারা পাখির মতই অসহায় বোধ হচ্ছিলো হঠাৎ।

কবিতা শেষ হলো। আমাদের অফিসের সবচাইতে মজাদার আর খানিক অশ্লীল কৌতুক বলা ফারিয়া আপা সে শুরু করলো তার দুষ্টামী ভরা কৌতুক গল্প। তারপর এলো আমার পালা। আমাকে গান গাইতে হবে। যদিও আমার খুব মন খারাপ লাগছিলো। তবুও সেই বিষন্ন সন্ধ্যায় আমি গান ধরলাম-
ভালোবাসি ভালোবাসি
এই সূরে কাছে দূরে জলেস্থলে বাঁজায়
বাঁজায় বাঁশি
ভালোবাসি ভালোবাসি।
আকাশে কার বুকের মাঝে ব্যাথা বাঁজে
দিগন্তে কার কালো আঁখি আঁখি জলে যায় ভাসি ....

সবাই চুপ হয়ে গেলো। এমনকি ছুটোছুটি করা বাচ্চারাও। জানিনা কি ছিলো সেই গানে। গান শেষ না করতেই আমার বুকের মধ্যে ডুকরে উঠলো এক ঝাঁক কান্না। আমি কেঁদে ফেললাম। নাসিমা আপা ছুট এলো । কি হয়েছে কি হয়েছে। সবাই বোকা হয়ে গেলো। চেয়ে রইলো আমার দিকে.....


রাতে ডিনারের পরেও শুভ্র কেবিনে ফিরলো না। আমি নাসিমা আপাকে জিগাসা করলাম শুভ্ররা কোথায় গেছে?। নাসিমা আপা বললো, ওরে এত শুভ্র শুভ্র করিস কেনো বলতো? ওরা তাস পেটাচ্ছে, ফূর্তি করছে/ আমরাও কি কম? চল লুডু দাবা সব সাথে আছে। লতিফা আমের কাস্মীরি আচারের বয়াম এনেছে। আমরাও কি কম যাই। চল চল সুরভী ভাবীর কেবিনে চল। ওখানে লুডু খেলা হচ্ছে। আমি বললাম তুমি যাও নাসিমা আপা। আমি একটু ঘুমোই। আমার শরীরটা খুব একটা ভালো লাগছে না। নাসিমা আপা বললেন, কি হয়েছে বলতো? আচ্ছা তোদের কি বনিবনা নেই? কেমন কেমন লাগছে। আমার ভীষন লজ্জা হলো। ছি ছি সবাই কি ভাবছে!

আমার ভীষন মেজাজ খারাপ হলো। সব রাগ গিয়ে পড়লো শুভ্রের উপর। সবকিছুর জন্য শুভ্রই দায়ী। তার আচরণই সবাইকে এমনটা ভাবাচ্ছে এমনই মনে হলো আমার। রাগে দুঃখে ক্ষোভে আর লজ্জায় আমার মরে যেতে ইচ্ছে করছিলো। খুব তাড়াতাড়ি সুনিপুন অভিনয়ে সেই অনুভূতি ঢেকে ফেলে আমি বললাম নাহ শরীরটা একটু খারাপ লাগছে। আসলেই আমার বিশ্রাম দরকার। আমি কেবিনে ফিরে এলাম। কিন্তু চোখের জলে বালিশ ভিজিয়ে কখন ঘুমিয়ে পড়েছিলাম জানিনা। হঠাৎ জাহাজের ভেপু শুনেই বুঝি ঘুম ভেঙ্গে উঠলাম।

তখন মধ্যরাত। জাহাজ বোধ হয় মধ্য সাগরে। জানালা দিয়ে দেখা যাচ্ছিলো থালার মত গোল চাঁদ। আমি দরজা ঠেলে বাইরে বেরিয়ে এলাম। সব দস্যি ছেলেমেয়েদের চোখে ঘুম নেমেছে। সন্ধ্যায় সেই কলকাকলী মুখর ডেকে শান্তির নীরবতা। শুধু জাহাজের ঘুটঘুট এক টানা শব্দ আর বাতাসের শিশ ছাড়া আর কোনো শব্দই নেই কোথাও কোনো। এক সাইডে ফ্লোরের উপর মনে হয় কয়েকজ জাহাজের খালাসীরাই হবে কাঁথা মুড়ি দিয়ে ঘুমাচ্ছিলো। আমি আরেক সাইডের রেলিং এ ঠেস দিয়ে দাঁড়ালাম। আকাশে পূর্নিমার বাঁধভাঙ্গা হাসি। আর পানিতে তার আলো চিকচিক মনিমুক্তো ঝলকাচ্ছে। মনে হচ্ছিলো কোনো জলদেবী বুঝি হঠাৎ উঠে আসবে জলের নীচে থেকে আঁধার ফুঁড়ে। আমি গুন গুন করছিলাম নিজের অজান্তেই।

খেলিছে জল দেবী সুনীল সাগর জলে
আনন্দ উছলি ওঠে ফেনায়িত কল্লোলে ....

আমি আর ঘুমাইনি সে রাতে। কেবিনে ফিরে রফিক আজাদের কবিতা নিয়ে বসেছিলাম। ভোরের দিকে শুভ্র এলো। লাল টকটকে চোখ। মনে হয় সন্ধ্যা থেকেই মদ গিলেছে। খুব সন্তর্পণে দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকে আমাকে দেখে একটু থমকালো। বোকার মত হাসি দিয়ে জিগাসা করলো, তুমি ঘুমাওনি? আমি বিস্ফারিত চোখে চেয়ে রইলাম ওর দিকে। জানতে চাইলাম ও মদ খেয়েছে কিনা? শুভ্র অবলীলায় জবাব দিলো হ্যাঁ। কেনো তুমি জানোনা আই লাইক ড্রিংক পার্টি? তবে যাই হোক আমি জাঁতে মাতাল তালে ঠিক। একটুও টলবোনা। বলে সেই বোকার মত গা জ্বলানো হে হে হাসি দিলো। শুভ্র শুয়ে পড়লো। কিছুক্ষনের মধ্যে ঘুমিয়েও পড়লো বোধ হয়।

আমার নিজেকে হতাশ লাগছিলো। আজ প্রথম মনে হলো অনেক বড় ভুল করে ফেলেছি। যার হয়ত আর প্রায়েশ্চিত্ত নেই........

আমরা ওখানে পাঁচদিন ছিলাম। পরদিন ভোর হতে শুভ্র আবার মোটামুটি স্বাভাবিক আচরণ করলো। কিন্তু আমি আর স্বাভাবিক হতে পারছিলাম না। তবে পাঁচদিনই সন্ধ্যায় সে অত বড় গ্রুপটার মধ্য থেকে যে কয়েকজন ড্রিংক লাভার ছিলো তাদেরকে নিয়মিত সঙ্গ দিয়ে গেলো। আমার কিছুই ভালো লাগছিলো না। কিন্তু আমি খুব সহজে মানুষের সামনে নিজেকে নত করি না। তাই সুনিপুন অভিনয়ে হাসি মুখেই কাটালাম সে কটা দিন সবার সাথেই। শুভ্রের সাথে আমার খুব কম কথা হলো। তাতে শুভ্রের যেন কোনো ভ্রুক্ষেপই নেই।

সুন্দরবন ট্রিপের সুন্দর যে কটা দিন আমার মনে পড়ে তার মধ্যে সেই মনিমুক্তো ঝলকানো রাতের হিম হিম বাতাসে শরীর আর মন জুড়িয়ে যাওয়া সময়টুকু আর একদিন দুপুরের জাহাজের উপর দিয়ে উড়ে চলা মাছ ধরা শিকারী চিলদের ডানায় ঝলকানো রোদের অপূর্ব
সৌন্দর্যটুকু জেগে থাকে। আর একটা মজার আর সুন্দর স্মৃতি অবশ্য আছে। সেটাও ঐ হতাশাময় দুঃসময়ের এক অমূল্য সম্পদ।

যখন আমি মুগ্ধ চোখে ঐ চিলদের জল ছুঁয়ে ছুঁয়ে মাছ ঠোঁটে করে উড়ে যাবার দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হচ্ছিলাম। সেখানে আগে থেকেই বসেছিলো খাতা পেন্সিল হাতে এক নীল চোখের বিদেশী যুবক। সে আকাশের দিকেই তাকিয়ে ছিলো। হঠাৎ আকাশ থেকে চোখ নামিয়ে আমার দিকে এসে জানতে চাইলো সে আমার একখানা পোট্রেট আঁকতে পারে কিনা। আমি অনুমতি দিতেই সে ঝপঝপ করে এদিকে সেদিকে কয়েকরকম পেন্সিলের আঁচড়ে একে ফেললো আস্ত একখানা অবিকল মানুষের মুখ! আর সে মুখটাই আমার! আমি বিস্মিত হলাম। চরম বিস্মিত! এভাবে এত তাড়াতাড়ি কেউ কখনও অবিকল মুখ আঁকতে পারে। মানুষের মুখ! জানা ছিলো না আমার।

আঁকা শেষে ছবির নীচে তার দূর্বোধ্য সিগনেচার দিয়েই আমার দিকে বাড়িয়ে ধরলো আমার ছবিখানি। আমি ধন্যবাদের ভাষাও খুঁজে পেলাম না। সেই ছবিটা আমার বেডরুমের দেওয়ালে বাঁধানো আছে। প্রায়ই সেই ছবির দিকে চোখ পড়লেই আমার মনে পড়ে দেবদূতের মত আমার বিষন্ন দুপুরে হাজির হয়ে যাওয়া সেই প্রসন্ন মুখের শিল্পীকেই। সাথে সাথেই মন খারাপ হয়ে যায়। কারণ সেই শুরু। সেই আনন্দ উচ্ছাসে মাখা ট্রিপটাই আমাকে ভিন্নভাবে ভাবতে আর ভাবাতে শুরু করেছিলো। একটু একটু করে দূরে নিয়ে গিয়েছিলো আমাকে আমার শুভ্রের থেকে। কাছাকাছি পাশাপাশি থেকেও আমি সরে যেতে শুরু করেছিলাম শুভ্র থেকে যোজন যোজন দূরে ......


চিলেকোঠার প্রেম - ১৪

মন্তব্য ৫৮ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৫৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কমেডি মনে হচ্ছে ট্রাজেডিতে রুপান্তরিত হতে যাচ্ছে। এতো অল্পতেই নায়িকার ভেঙ্গে পড়া ঠিক হচ্ছে না। শুভ্রর বিরুদ্ধে অভিযোগ মনে হচ্ছে সে মদের পার্টিতে অংশ নিয়েছে, তাস খেলেছে আর নায়িকাকে সময় দেয়নি। মদের ব্যাপারে নায়িকা আগেই জানত এবং এটাকে কোন অপরাধ মনে করতো না। তাস খেলা কোনও অপরাধের মধ্যে পরে না। নায়িকাকে যদি সময় না দিয়ে থাকে এটাকে একটা অভিযোগ হিসাবে গ্রহণ করা যেতে পারে। মনে হচ্ছে নায়িকা কোলাহলপূর্ণ পরিবেশে নিঃসঙ্গ বোধ করে। নায়িকা কিভাবে সময় কাটালো সেই ব্যাপারে তেমন বর্ণনা নাই। মুখচোরা শুভ্র যে পাঁড় আড্ডাবাজ হয়ে গেছে এই জন্য তাকে নায়িকার ধন্যবাদ দেয়া উচিত। তবে শুভ্রর উচিত ছিল নায়িকার সাথে আলাদাভাবে কিছু সময় নিয়মিত ব্যয় করা। নায়িকার উচিত ছিল অভিনয় না করে শুভ্রকে বিষয়টা খুলে বলা। এই ভ্রমনের অসিলায় শুভ্রের চরিত্রের অজানা দিক জানা গেলো।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৯

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: শুভ্রকে বেশি বেশি সাপোর্ট করা কিন্তু ঠিক হচ্ছে না চুয়াত্তরভাই।

আমার দাদী বলতো এড়ের রাগ বেড়ের উপর গিয়ে পড়া।

দুঃখ, বেদনা ক্ষোভ কিন্তু লিখতে গিয়ে বাড়ছিলো। মানে ঐ যে মানুষ হিতাহিত হারায় না? মানে অতি শোকে পাথর হয় মাঝে মাঝে নায়িকার ওমন হয় আর কি।

পরে মনে হয় ...লা তখন তোরে ধরে পানিতে চুবাইছিলাম না কেন?

হা হা আমার হয়েছে সেই অবস্থা মানে আমি মানে লেখিকার আর কি। যাইহোক আপনার কমেন্ট পড়ে একটা জিনিস বুঝতে চেষ্টা করছি। হ্যাঁ কিছু কিছু মানুষের আহলাদীপনা আছে না? মনে হচ্ছে নায়িকা কোলাহলপূর্ণ পরিবেশে নিঃসঙ্গ বোধ করে। এই যে বললেন কথাটাই মনে হয় ঠিক....

আর একটা জিনিস শুভ্রের অপরাধ মার্জনীয় না অমার্জনীয় নাকি জানিনা তবে এমনই হয় মানুষের মাঝে ভুলবুঝাবুঝি বা এক্সপেকটেশনের গড়মিল সব কিছুই হ য ব র ল করে দিতে পারে।


নায়িকার উচিত ছিল অভিনয় না করে শুভ্রকে বিষয়টা খুলে বলা।
না । নায়িকা বলবে কেনো? শুভ্র বদমাইস নিজে বুঝতে পারে না? কোন দেশের লাট সাহেব আসছেন!


:P

২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৯

করুণাধারা বলেছেন: দ্বিতীয় লাইক আমি দিয়েছি। :D

১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: থ্যাংক ইউ করুনাধারা আপা। এবার পড়ে বলেন চুয়াত্তরভায়ের শুভ্রকে বেশি সাপোর্ট করা ঠিক হলো কিনা। :(
শুভ্র অবশ্যই দোষ করেছে। তার মাফ আর ইহজীবনে হবে না তাই না?

৩| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩১

রামিসা রোজা বলেছেন:
এটাই মনে হয় শুভ্রদের চিরচেনা কিন্তু আসল রূপ।
কাছের মানুষ যখন একটু একটু করে বদলে যায় তখন
ঠিকঠাকভাবে আপনি ফুটিয়ে তুলেছেন ।
ভালো লাগছে চিলেকোঠার গল্পটি পড়তে।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৯

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: থ্যাংকস রোজা আপু।

মানুষ সব সময়ই বদলায়। সবাই বদলায়। কিন্তু মানুষ চিনতে সময় লাগে। সে আমাকেও অন্যের অন্যকেও আমার!

৪| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শুভ্রের পক্ষ থেকে আমি করজোড়ে মাফ চাচ্ছি। শুভ্রর বয়স কম তাই বুঝতে পারে নাই। এই বারের মত মাফ করে দেন। শুভ্রের উচিত ছিল নায়িকার পাশে বসে চাঁদ দেখা, মশার কামড় খাওয়া, সাগরের ঢেউ আর তারা গোনা।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা আপনি মাফ চাইলে কি হবে চুয়াত্তরভাই?
আর শুভ্রের উচিৎ ছিলো মশার কামড়ে ডেঙ্গু বা চিকংনিয়া হয়ে যাওয়া। তাইলে আরও ভালো হত। হা হা

৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৬

শুভ_ঢাকা বলেছেন: ওয়াও! আজকের পর্বের লেখা অনবদ্য। চমৎকার। অসাধারণ শব্দ চয়ন, বর্ণনা ও বাক্য শৈলী। পাঠক আমি মুগ্ধ ও বশীভূত।

কয়েকদিন আগে ইউটিউবে একজন পাকিস্তানি পলেটিক্যাল এন্যাল্যাইজার প্লাস ইউটিউবারের (Qamar Cheema) টকশো দেখছিলাম। আলোচনার এক পর্যায়ে উনি পাকিস্তানের সাথে আমেরিকার এক সময়ের প্রগাঢ় বন্ধুত্বের সম্পর্কের যে বন্ডটা ছিল, তাকে "ব্যাড ম্যারেজ" বলে আখ্যায়িত করেছিলেন।

আজকের পর্বটি পড়ে আমার কাছে সেই কথাটাই (ব্যাড ম্যারেজ) যেন বারবার মনে পড়ছে।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা ব্যাড ম্যারেজ গুড ম্যারেজ কি জানিনা। আর অনেক ব্যাড ম্যারেজ মেনে নিয়েও অনেকেই থেকে যায়। তবে লেখা পড়ে মুগ্ধ হয়েছেন জেনে খুশি হলাম। আর আসলেই এই পর্ব লেখা কঠিন ছিলো।

৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১৩

অধীতি বলেছেন: নায়িকা বেশি নিঃসঙ্গ অনুভব করছে এবং অযথা আবেগকে বেশি প্রশয় দিয়েছে। শুভ্র উচ্ছল নায়িকা বিমর্ষ। গ্রীষ্ম আর বর্ষা।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: অথচ নায়িকাই বেশি উচ্ছল ছিলো যার সাথে তাল মিলিয়েছিলো শুভ্রও। হ্যাঁ নায়িকার মনোজগতে হতাশার সূর বাঁজছে।

৭| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৫৩

শুভ_ঢাকা বলেছেন: আমি এমন অনেক মানুষকে চিনি দেখেছি যারা এই জাতীয় প্রোগ্রামের তো অবশ্যই এমনকি সাধারণ পিকনিকে গিয়েও মদ খায়। নতুন বউ কি মনে করলো না করলো তা তারা ধর্তব্যের মধ্যেই আনে না বা এই ব্যাপারে তাদের কোন সেন্সই কাজ করে না। আর ধীরে ধীরে তাদের স্ত্রীরাও স্বামীর এই ধরনের আচরণের সাথে অভ্যস্ত হয়ে যায় বা মানিয়ে নেয় বা নিতে হয়। আবার অনেক স্ত্রী আছেন যারা এই সুযোগে স্বামীর সাথে দু চার পেগ নিজেও মেরে দেয়। :D পুরুষ মানুষ এই ধরনের ভ্রমণে একটু আর টু মদ্য পান করতেই পারে। :P শুভ্রকে আমি এই পর্বে বেনিফিট অফ ডাউট দিতে চাই। :)

১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:১৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: সবাই দেখছি তার দলেই চলে যাচ্ছে।
নায়িকার যে কি হয়েছিলো। এই দোষেই তার সব দোষ খোঁজা শুরু করলো এরপর থেকে।

আগামী পর্ব লিখে ফেলেছি বেশ খানিকটাই। দু একদিনের মাঝেই পাবলিশ করবো ইনশাল্লাহ।

৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:০৬

শুভ_ঢাকা বলেছেন: ৭ নম্বর কমেন্টটা মজা করে করলাম। তবে এক্সপেক্টিং সুন্দরী গুণবতী নতুন বৌকে এমন আনন্দের ভ্রমণে সময় দেওয়াটা শুভ্রর অবশ্যই উচিত ছিল।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:১৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হ্যাঁ তা তো ছিলোই। তানা সাহস কত বেটার?
হা হা এখন বুঝুক সাহস দেখাবার মজা।

৯| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:১৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আপনার লেখা মানেই সুপার হিট।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:১৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: নেওয়াজভাই কেমন আছেন?


অনেকদিন দেরী হয়ে গেলো এই পর্ব দিতে।

অনেক ধন্যবাদ।

১০| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:১৭

ওমেরা বলেছেন: গল্পের নায়িকা বার বারই বলেছে হয়ত শুভ্রই ঠিক আমিই হয়ত ভুল ছিলাম । আমার মনে হচ্ছে পুরোটা না হলেও কিছুটা ভুল তো ছিলই । এটা তো ছিল একটা গ্রপ প্রগ্রাম সবাই মিলে আনন্দ করবে মজা করবে , বউ যদি চায় শুভ্র সারাক্ষন বউ এর আচঁল ধরে থাকবে তাহলে গ্রপের সাথে যাওয়া ঠিক হয়নি । আরে আপু এটা তো গল্প!!
লেখকের ইচ্ছাই আসল ।
তবে আপু নতুন নতুন মনে হয় সব বউরাই এরকম চায়। আশে পাশের অনেকেই এরকম করতে দেখেছি ।
অনেক ধন্যবাদ আপু ।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:২৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা আমারও মনে হয় নায়িকা তখন অতি আহলাদী ছিলো।
শুভ্রকে ছাড়া কিছুই বুঝতো না। কাউকেই চোখে দেখতো না তাই সে ভাবছিলো শুভ্রও একই রকম হবে। প্রকৃত অমিশুক আসলে সে নিজেই। শুভ্র বন্ধু সৎসল আর মিশুক ছিলো।
কিন্তু ভুল বুঝাবুঝি এমনি করেই শুরু হয়। যা এখানে হলো।

১১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:৩৬

ওমেরা বলেছেন: আপু শুভ্রর ভুল যে একেবারেই ছিল না তা কিন্ত নয়। যেহেতু তার স্ত্রী প্রেগন্যান্ট তাকে তো এতটা দায়িত্বহীন হলে তো হবে না, কাছে না থাকলে খবর তো রাখতেই হবে সময় মত ।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:৪৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হ্যাঁ সেই দায়িত্ব তো তার কখনই নাই। হা হা

হাসব্যান্ডেরি দায়িত্ব নাই বাবা হলে কি করবে এই ছেলে চিন্তার বিষয়।

১২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: মনে মনে আপানর এই পোষ্টের কথাই ভাবছিলাম।

লেখায় রবীন্দ্রনাথের কবিতাটা আমার ভীষন প্রিয়। একসময় পুরোটা মুখস্ত ছিলো।
গান, কবিতা, কৌতুক আর হাসি আনন্দে দিন কাটুক এটাই কামনা করি।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৪২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আমিও ভাবছিলাম অনেকদিন লেখা হচ্ছে না। এইখানেই মন পড়ে ছিলো কিন্তু সময় ছিলো না।

১৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৫৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ছবিটাতো গ্রেট।

এই ছবি কি একেছিল সেই নীল চোখের বিদেশী যুবক। অবচেতন মনে যাকে ভালবেসে ফেলেছে নায়িকা।

একটু একটু করে মনের ছোট্ট ঘরে
কে যেন এসে বেধেছে বাসা
হয়ে গেলো বুঝি ভালবাসা..........।

+++++

১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:০২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: না এই ছবি না। সেটা দেওয়া যাবেনা এখন। তবে পরে কোনো এখ সময় দেবো।মানে এই লেখা শেষ হবার পরে। হা হা

না ভালোবাসা ঠিক না। সেই সময় সেই সুন্দর মূহুর্ত সৃষ্টির দেবদূত সেই মানুষটি। তার উপরে নায়িকার কৃতজ্ঞতা আছে। সেটা প্রেমবা ভালোবাসা নয়।

১৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জীবনের এই পরম শুন্যতাবোধ কখন যে কার জীবনে কোন ক্ষনে জেগে ওঠে কে্উ জানে না!
আর যকন জেগে ওঠে সব কেমন অর্থহীন মনে হয়!
যপিত জীবন, স্বপ্ন সূখ সব অর্থ বদলে যায়!

আগে যেটাকে ভালবাসা মনে করে হাসিমূখে মেনে নিতো, তখন সেটাই অভীমানে আহ্লাদে, অভীযোগে রুপ বদলে ফেলে
যেটা খুব ইনোসেন্ট ছেলেমি ভেবে একসময় সূখ দিতো, তাই ন্যাকামি মনে হতে থাকে
যে খুনসূটি মনে হতো আহা- কি সুইট... তখন মনে হয় আদিখলেপনা!

জীবন বদলে ভ্রমন জীবনকে কোথায় নিয়ে যায় -পাঠক রইলাম অপেক্ষায়....
+++++

১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৩৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন। এটাই বলতে চাচ্ছিলাম।
আর কবিও তাই বলেছে-
যাহা চাই তাহা ভুল করে চাই
যাহা পাই তাহা চাই না......

১৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমিও ভাবছিলাম অনেকদিন লেখা হচ্ছে না। এইখানেই মন পড়ে ছিলো কিন্তু সময় ছিলো না।

সময় কখনই থাকে না। সময় করে নিতে হয়।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: সেই তো সময় করে নিলাম কাল সন্ধ্যায়। :)

১৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৭

শুভ_ঢাকা বলেছেন: ম্যাচুউরিটি, সেন্সিবিলিটি যদিও এগুলো আপেক্ষিক বিষয়। তারপরও বলি এগুলো সমাজের খুব প্রতিষ্ঠিত শিক্ষিত মানুষের কাছ থেকেও অনেক সময়ই পাই না বা দেখি না। সাধারণ মানুষের কথা বাদই দিলাম। কেহ একজন বলেছিলেন কমন সেন্স ইজ নট সো কমন। কাজেই এইগুলোর উপর ভিত্তি করে অন্তত এই পর্ব পর্যন্ত শুভ্রকে ঢালাওভাবে খারাপ অযোগ্য বলা যায় না, খামখেয়ালি বা অন্য কিছু বলা যায় হয়তো।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: শুভ্র কখনই খারাপ না। সে আমাদের থেকে অন্যরকম। তার আবেগ কখনই বুঝতে পারা সহজ নয়। তাই আমার ধারণা সব প্রেমিকারাই কনফিউসড হবে। ভুল বুঝবে তাকে। হয়ত সেই আসলে পৃথিবীর একমাত্র সঠিক মানুষ যে কোনো ভন্ডামীর ধার ধারে না।

১৭| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৬

মিরোরডডল বলেছেন:



হায়রে শুভ্র ! দায়িত্বজ্ঞানহীনই থেকে গেলো । সে তারমতো সময় কাটাবে আনন্দ করবে, ইটস ওকে, তাইবলে প্রেগন্যান্ট ওয়াইফের একটা খবর নেবে না ! আর ওরা দুজন সুন্দর সময় কাটাবে বলে এখানে এসে একেবারেই সময় না দেয়া, নো নো ইটস নট ফেয়ার X(

ইউ নো হোয়াট ? ভোররাতে যখন আসলো তখন গল্পের নায়িকার উচিৎ ছিলো তাকে নিয়ে জাহাজের ওপর থেকে একটা টুপ করে ধাক্কা দেয়া । আর শুভ্রটা ঝুপ করে পানিতে পরে যাবে । কিছুক্ষণ পানিতে কুমিরের সাথে দাপাদাপি করে যদি ফিরে আসতো তাহলে যদি একটা শিক্ষা হতো । আর যদি অগত্যা কুমিরের পেটে চলেই যায়, তখন ওই যে নীল চোখের যুবক ও প্রক্সি দেবে :P

আপুটা আমার কেনো যেন মনে হচ্ছে এই যে শুরু হল কনফ্লিক্ট, এই গল্পের হ্যাপি এন্ডিং নেই আর বাবুটাও সম্ভবত আর আসবে না । বাকিটা আমাদের প্রিয় লেখিকা কোথায় নিয়ে যায় অপেক্ষায় আছি ।



১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ৭. ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৬০

মিরোরডডল বলেছেন:



হায়রে শুভ্র ! দায়িত্বজ্ঞানহীনই থেকে গেলো । সে তারমতো সময় কাটাবে আনন্দ করবে, ইটস ওকে, তাইবলে প্রেগন্যান্ট ওয়াইফের একটা খবর নেবে না ! আর ওরা দুজন সুন্দর সময় কাটাবে বলে এখানে এসে একেবারেই সময় না দেয়া, নো নো ইটস নট ফেয়ার X(


এই যে এতক্ষনে তুমিই বুঝলে। বেটা প্রেম করেছে কিন্তু প্রেম কি তাই জানে না......

টুপ করে ধাক্কা পুরা বাঁশ দিয়ে বাড়ি মেরে ফেলা দরকার ছিলো।


হা হা ভয় পেয়োনা। যা হবার তা কি আটকানো যাবে? যাবেনা..

১৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৪

মিরোরডডল বলেছেন:



আপু বিয়ে করলে যদি প্রেম চলেই যায়, তাহলে বিয়ে না করে প্রেম করাই ভালো ।
প্রেম শাস্বত সুন্দর । সেখানে নেগলেজেন্সির চান্স থাকেনা । ইটস পেইনফুল :|

১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: একদম ঠিক। প্রেম মানে নো বিয়ে । হা হা

১৯| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৫

মিরোরডডল বলেছেন:

ছবির মেয়েটা খুব সুন্দর । আমার মনে ধরেছে : )

১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: কার আঁকা জানিনা। নেট থেকে নেওয়া।

সেই ছবিটা পরে দেবো। লেখাটা শেষ হবার পরে। হা হা

২০| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: শুধুমাত্র এই কারনেই আমি পড়তে চাইনি তাড়াতাড়ি।

কারন ,প্রত্যাশার সাথে যদি কিছু না মেলে তা হলে না পাওয়ার কষ্টের যন্ত্রণাদায়ক বেদনা শুধু বাড়ে।আর প্রথম প্রেমের রেশটা ছিল চমতকার।যত দিন যাচছে তত ভালবাসার ফাকফোকর গুলি বেড়িয়ে আসছে ছেড়া কাথার মত বড়ই কদর্য ভাবে।তারপরেও ঠিক ছিল।চলছিল বেশ কিন্তু সমস্যা টা বেশী হয়ে যাচছে মাহরীন অপ্রত্যাশিত গর্ভবতী হয়ে যাবার পর।

গর্ভধারনের পর মেয়েরা তার স্বামী তথা আপনজনদের কাছ থেকে অতিরিক্ত যত্ন ও মনোযোগ আশা করে।এতদিন প্রেম তথা প্রথম প্রথম শারিরীক সম্পর্কের রোম্যান্সের কারনে প্রেমের ফুটা গুলি ধামাচাপা পড়েছিল এখন বাস্তবতার বেড়াজালে সেগুলি বেড়িয়ে আসছে বা আরো আসবে।

যে মানুষের নূন্যতম কাণ্ডজ্ঞান নেই একজন গর্ভবতী নারীর প্রতি কিভাবে আচরন করবে ,যে আজ পর্যন্ত কোথাও তার দায়িত্ববোধের কোন নমুনা দেখাতে পারেনি সেই বাবুর সাথে আর যাই করা যাক ভাল কিছু আশা করা যায়না।তবে ভাল নাই হউক কিন্তু সে খারাপ কতটা হতে পারে সেটাই এখন ভয়ের।কারন মুখে যাই বলুক শুভ,মদারু ( মদখোর ) দের সাধারন বোধ থাকেনা বা লোপ পেয়ে যায়।

আর মেয়েরা যেখানেই যতটুকু ত্যাগ-আপস করুক না কেন তার বাচ্চার অবহেলা সহ্য করে খুব কম।তাই শুভ বাবুর মদ ও মদারুদের সাহচর্য ছেড়ে তার বাবুর মা তথা সংসারের দিকে ভাল করে নজর দেয়া উচিত।

নয়ত সংসার সং - হার হতে খুব বেশীদিন লাগবে বলে মনে হয়না।কারন,স্বামী - স্ত্রীর মাঝের এই ছোট ছোট অভিমান গুলি মনের অগোচরে কখন যে চোরাবালির মত হয়ে যাবে এবং কখন সব কিছু নিয়ে ধসে পড়বে আগে থেকে কেউ বলতে পারবেনা।যখন বুঝতে পারবে তখন আর সেই ধস রোধের কোন উপায় থাকবেনা।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: সব রিলেশনই কি এমন হয়?

মেয়েরা তাদের সংসার সন্তান বা সংসার টিকিয়ে রাখতে যা করে ছেলেরা কি তা করে?
হ্যাঁ অবশ্যই করে তবে মেয়েদের তুলনায় তার সংখ্যাটা বেশ কম।

দিন গেলে একটু রং ফিকে হতেই পারে আর হ্যাঁ নায়িকার অবস্থাটাও শরীর আর মনের সাথে দায়ী হয়ত।

আর নায়িকার নাম মাহরীন কে বললো! হা হা

শুভকে নিয়ে শুভকামনার ভবিষ্যৎ সাজেশন আসলেও সঠিক এবং মজার হয়েছে কামরুজ্জামান ভাই।

২১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৯

করুণাধারা বলেছেন: এবার পড়ে বলেন চুয়াত্তরভায়ের শুভ্রকে বেশি সাপোর্ট করা ঠিক হলো কিনা।
শুভ্র অবশ্যই দোষ করেছে। তার মাফ আর ইহজীবনে হবে না তাই না?


এই গল্পে তো দেখি সবাই আইডিয়া সাপ্লাই করছে, আপনি বেশ সবার মন রাখা লেখা লিখে চলেছেন... শুভ্র ঠিক না ভুল করল সেটা যদি এখন বলে দেই তাহলে তো সেই মতো কাহিনী বাড়াবেন!! নাহ্, আমি টুপটাপ থেকে দেখছি শেষ পর্যন্ত রূপসার পানি কোথায় যায়!!!

১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা না সবাই আইডিয়া সাপ্লাই দিলেও আমি আমার মতই লিখছি আসলে। কিন্তু বলছি আইডিয়া শুনছি!! হা হা

২২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫৫

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আনন্দ যেন ক্ষণস্থায়ী আর দুঃখগুলো হয় দীর্ঘ

খুবই ভালো লাগলো

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫৯

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: থ্যাংক ইউ আপু।
লিখছিলাম পর্ব ১৭। কাল রাত থেকেই লিখছিলাম আর লিখতে গিয়ে কাঁদতে কাঁদতে আমার গলা বন্ধ হয়ে এলো।
আজ সকালে আবারও শুরু করলাম। চোখ ফুলে ঢোল হয়েছে। কি যে করি! কেমনে যে লিখি এখন? :(

২৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:০৯

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আল্লাহ আপনার মন ভালো করে দিন। মেয়েদের জীবনটাই কান্নায় ভরপুর। আমিও কিছু লিখতে গেলে কেঁদে কেটে শেষ হই

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: না না এত সহজে আর কান্না পায় না আমার আজকাল। সে বয়স পেরিয়ে এসেছি অনেক আগেই। কিন্তু আজ হঠাৎ লিখতে গিয়ে এমন হলো কেনো জানিনা।
কি যে বিপদে পড়লাম।

বাড়ির লোকে বলবে আমায় পাগল হয়েছি।
পাড়া পড়শী বলবে জ্বীনে ভূতে ধরেছে......

২৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৭

শুভ_ঢাকা বলেছেন: কবিতা পড়ার প্রহর,

কান্না চোখের আর মনের জন্য ভাল। কান্নার জল আপনার চোখের ড্রাই আইস সমস্যা হতে দিবে না। এটা চোখের জন্য ভাল। আর কান্না আপনার মনকে হালকা করবে। সো এটা মনের জন্যও ভাল।
view this link

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা নাহ মনের জন্য খারাপ। আমি ভালো থাকতে আর হাসতে পছন্দ করি। তাই লেখা ছেড়ে উঠে গেলাম। নীরব নার্সারীতে ফোন দিয়ে বললাম আমার ফুলবাগানের আর্চের জন্য লতা গাছ পাঠাতে। ওমনি নার্সারীম্যান তো সুযোগ পেয়ে গেলো বললো বাংলাদেশের মাধবী লতা হলে ৪০০ আর থ্যাইলান্ডের কি যেন হলে ১৫০০ মানে ঠগবাজী শুনে হাসি পেলো। পরে অনেক কষ্টে ১০০০ বানিয়ে তারপরও ঠকে গিয়ে হাসলাম ।

এখন কিছুটা দুঃখবিলাস নাশ হয়েছে।

পরবর্তী পর্বগুলো তাড়াতাড়িই দিয়ে দেবো। মানে আরও দু একটা তারপর আমাকে আবারও বিজি হয়ে যেতে হবে ২৮ থেকে। তাই চিন্তায় আছি তার আগে এই লেখা মনে হয় শেষ করতে পারবো না।

২৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রত্যেক মানুষের জীবন একেকটা চলমান চলচ্চিত্র। সেলুলয়েডের ফিতার প্রান্ত স্পুল থেকে ছিটকে বের হয় তখনই, যখন শ্বাসটা ফুরিয়ে যায়। এর আগে নয়। জীবনের শেষ অবধি চলতেই থাকে এ দীর্ঘ চলচ্চিত্র, চলতেই থাকে অভিনয়।
যার জীবন, সে এই চলচ্চিত্রের নায়ক বা নায়িকা। এর পরিচালক অদৃশ্য। সতর্ক না থাকলে পরিচালকের নির্দেশ (কাট, টেক ইত্যাদি) শোনা যায় না। চিত্রগ্রহণ চলতেই থাকে, ভুলের পর ভুল হতেই থাকে। রি-টেক এর সুযোগ নেই।
সুন্দরবনে আউটডোর লোকেশনের শুটিং দর্শকদের জন্য চিত্তাকর্ষক হলেও হতে পারে, কিন্তু নায়ক নায়িকার জন্য বোধকরি সেটা সুখপ্রদ ছিল না, তাই চলচ্চিত্রের কাহিনীতেও এর বিয়োগাত্মক প্রভাব পড়তে পারে।


১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আপনার এ কথাগুলিই প্রায় লিখছিলাম ১৭ পর্বে।
সবই হয়ত আগে হতেই সাজানো থাকে সৃষ্টিকর্তার সেই জীবন নামক নাট্যের পান্ডুলিপিতে। তাই যত কিছুই হোক ঠিক সেইভাবেই চলতে থাকে।


তবে আপনিই ঠিক বলেছেন অদৃশ্য সেই পরিচালকের কাট টেক শুনতে না পাওয়ায়াটাই হয়ত সেই গড়মিলের কারণ হয়ে যায়।

২৬| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০৭

শুভ_ঢাকা বলেছেন: সতর্ক না থাকলে পরিচালকের নির্দেশ (কাট, টেক ইত্যাদি) শোনা যায় না।

@খায়রুল আহসান

এই পর্ব পোস্ট হওয়া কিছুক্ষণ বাদের আপনি লাইক দিয়েছেন। কিন্তু কমেন্ট করলেন আজ। আমি কাল রাতে ভাবছিলাম আপনি কেন মন্তব্য করতে দেরী করছেন। আজ করলেন। আপনার প্রজ্ঞা ও দীর্ঘ জীবন দেখার অভিজ্ঞতা থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান দিয়ে কমেন্ট পড়ে ঋদ্ধ হলাম। আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

লেখিকা আপনার এই লেখা থেকে আমাদের অনেক প্রাপ্তি।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: খায়রুল আহসান ভাইয়া আমাদের ব্লগের প্রাপ্তি।

শুভভাইয়া এই গল্প নিয়ে দুইটা মজার ঘটনা দেখো-

১। কামরুজ্জামানা ভাইয়া নায়কের নাম শুভ্র থেকে শুভ বানিয়ে দিয়েছে
২। একজন জিগাসা করছিলো তুমিই এই শুভ্র কিনা। কারণ তুমি এই লেখা ছাড়া আর কোথাও কমেন্ট করো না। হা হা হা

এখন নিজের প্রাপ্তি নিয়ে চিন্তায় পড়তে হবে......

২৭| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: সব রিলেশনেই এমন হয়।আর একটা চরম নির্মম হলেও সত্য যে, " ভালবাসার সাফল্য মিলনে নয় বিরহে " - কারন বিরহে উভয়ে উভয়ের ভাল দিকগুলিই দেখতে পায় খারাপ দিক নিয়ে ভাববার অবকাশ পায়না।

কিন্তু যখনই মিলন হয় মানে বিয়ে পরবর্তী জীবনে ভালবাসার ফাকফোকর তথা উভয়ের দোষ-ত্রুটি গুলি বেরিয়ে আসে নিজেদের অজানাতেই যেগুলি নিয়ে প্রেম করা অবস্থায় অলীক কল্পনায় ও ছিলনা।

বিয়ের পর ধীরে ধীরে প্রেম ফিকে হয়ে যায় বাস্তবতার বেড়াজালে আর উভয়ে উভয়ের কাছে হয়ে যায় অভ্যাস ।তখন আর উভয়ে উভয়ের কাছে ভালবাসা হিসাবে থাকেনা।কারন কেউ তখন তাদের সম্পর্কের যত্ন নেয়না।উভয়েই ভাবে এখন ত সে আমার ।হয়ত মাসে একবারও কেউ কাউকে ভালবাসি বলেনা বা কেমন আছে তাও জিজ্ঞাসা করেনা অথচ এই উভয়েই যখন প্রেমের সম্পর্কে ছিল তখন দিনে অনেক বার এমন অনেক প্রশ্ন বা বিষয়ে আলোচনা করেছে যা তারা বিয়ের পরে কল্পনাতেও করেনা।আর এর ফলে ধীরে ধীরে প্রেমের আবেগের বা সম্পর্কের মৃত্যু ঘটে ।

আর এ জন্যই বলা যায়, - " ভালবাসার সাফল্য মিলনে নয় বিরহে " - কারন এর ফলে অন্তত:পক্ষে উভয়ের প্রতি উভয়ের ভালবাসাটা টিকে থাকে

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হ্যাঁ দেবদাসের সেই অমর বাণীই প্রকৃত প্রেম- বড় প্রেম শুধু কাছেই টানে না ...... দূরেও ঠেলে দেয়......

কামরুজ্জামান ভাই উপরে শুভভাইকে দেওয়া আমার কমেন্ট পড়েন.......

আপনি কিন্তু আমার নায়কের নাম শুভ বানায় দিসেন।

২৮| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:১১

শুভ_ঢাকা বলেছেন: এখন নিজের প্রাপ্তি নিয়ে চিন্তায় পড়তে হবে......

হা হা হা... কামরুজ্জামান ভাই শুভ্রকে শুভ বানিয়েছে সেটা লক্ষ্য করেছি। কিন্তু ২য় প্রশ্নের ব্যাপারে জ্ঞাত ছিলাম না।

শুভ্রের সাথে কি অমিল আছে তা নাই বা বললাম। কিছু বাহ্যিক ও আঙ্খাকার মিল আছে। আমাদের দুই জনেরই উচ্চতা উনিশ বিশ। শুভ্র মদ্যপান করে। আর আমার একবার আকণ্ঠ দারু খাওয়ার খুব ইচ্ছা। হা হা হা

আত্মজীবনী লেখার হিম্মত খুব কম মানুষেরই থাকে। একবার এক সাংবাদিক সত্যজিৎ রায়কে জিজ্ঞাসা করলেন "আপনি আপনার আত্মজীবনী লিখছেন না কেন।" উওরে উনি বলেছিলেন "সব সত্য তো বলতে পারবো না।"

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: দারু খাওয়ার ইচ্ছা হলে খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু একবার খাবার ইচ্ছা যদি দুই থেকে তিনবার বা বার বার হয়ে নেশা হয়ে যায় তবে মনে হয় সেটা সুখের হবে না।

শুভভাই। আজ রাতেই পর্ব ষোল দিয়ে দেবো।
আজ কোনো কাজই করিনি। শুধু কয়েকবার টেলিফোন ধরা ছাড়া।

১৮ পর্বে পৌছেছি। ভেবেছিলাম ২০ এ শেষ হবে। কিন্তু ১৯ পর্বেই মনে হয় গল্প বলা হেয় যাবে.....

২৯| ২০ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২২

আহমেদ জী এস বলেছেন: কবিতা পড়ার প্রহর,




এ যেন শুভ্র জল কেটে কেটে দুঃস্বপ্ন থেকে দুরে সরে সরে যাওয়া এক জাহাজের কথা! সে জাহাজ নিরাপদ কোনও আশ্রয়ে ভিড়বে তো!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

২০ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: স্বপ্ন থেকে দুঃস্বপ্নে প্রবেশ করছে দুইজনেই।

কিছুতেই থামাতে পারছি না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.