নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লোকে বলে প্রথম প্রেমটা বড্ড কোমল\nএলোমেলোযায়না \nভোলা কোনোদিনও\nসত্যি কি তাই

কবিতা পড়ার প্রহর

কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে রাতের নির্জনে

কবিতা পড়ার প্রহর › বিস্তারিত পোস্টঃ

চিলেকোঠার প্রেম-১৬

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৬



ঢাকা ফিরেই যে শুভ্র সেই হয়ে উঠলো। অনিয়মিত জীবন যাপন। উদ্যোগ ও উদ্যমহীন সময় ক্ষেপন। আমি মনে মনে বিরক্ত হয়ে উঠছিলাম। বাড়ির লোকজন মানে বাড়ি লোকজন বলতে আমি আর বাবা মা আর কাজের লোকজন। সেই কাজের লোকজনও তো কানাঘুষা করে তাই না? মানে নিশ্চয়ই আড়ালে আবডালে বলে জামাইটা কিছুই করে না। বেকার বসে খাচ্ছে। সেসব আমার সামনে না বললেও না শুনতে পেলেও আমি বেশ বুঝতে পারছিলাম। কিন্তু সেই প্রথম দিনের পর থেকে বাবা আর কখনও জিগাসাও করেনি। শুভ্র কেনো কিছু করছে না বা কবে করবে। আসলে বাবার সাথে দেখাই হত আমাদের খুব কম। বলতে গেলে কালে ভদ্রে। আর মা কেনো যেন শুভ্রকে খুব পছন্দ করেন। কারন কি জানিনা। শুভ্র যা খেতে পছন্দ করে তা কখনও জিগাসা না করেও ঠিক কি করে যেন বুঝে ফেলেন মা। শুভ্রের বাসায় পরা স্লিপিং স্যুট, সেভিং কিটস সব কিছুই মা নিজেই কিনে সাজিয়ে রাখেন যথাস্থানে। এমনকি শুভ্র যখন লাইব্রেরীতে বই পড়ে তখনও সেখানে পানির জগ গ্লাস থেকে চা কফি পর্যন্ত চলে যায় যথা সময়ে।

মায়ের সাথে শুভ্রের কথা হয় খুবই কম। তবুও কোথায় যেন এক অদৃশ্য যোগসূত্র তৈরী হয়েছে তার সাথে মায়ের। একদিন আমি অফিস থেকে ফিরতেই বললো, মায়ের মনে হয় আজ শরীর খারাপ। তুমি একটু খেয়াল করো না কেনো? আমি খুব অবাক হলাম। শুভ্র যে এইটুকু কেয়ারিং হতে পারে সে ভরষা আমার দিনে দিনে কমে যাচ্ছিলো। কিন্তু এই কথায় বুঝলাম সে মাকে আসলে খুব পছন্দ করে বলেই হয়ত খেয়ালটা করেছে। এছাড়াও মা একদিন আসমাকে ডাকছিলো পানি দিতে এক গ্লাস। শুভ্র সেটা শুনতে পেয়ে নিজেই পানি এনে দিলো মাকে। মা ভীষন লজ্জা পেয়েছিলো জামাই তাকে পানি এনে দিয়েছে দেখে। কিন্তু শুভ্র নির্বিকার। যেন সে এটা রোজই করে।

সে যাইহোক এছাড়া এমন নিশ্চিন্ত নিরুপদ্রপ জীবনে শুভ্র ভালোই অভ্যস্থ হয়ে উঠছে। তার মাঝে নিজে কিছু করার তাড়াই যেন নেই আর। একদিন আমি ওকে বললাম, শুভ্র নিজে কিছু করো। নিজের পায়ে দাঁড়াও। শুভ্র তার স্বভাবসুলভ রসিকতায় বললো, আমি তো নিজের পায়েই দাঁড়াই এই যে দেখো। এমন রাগ লাগলো আমার। আমি এক টান দিয়ে ওর হাত থেকে বই ফেলে দিলাম। বললাম কালকেই তুমি জব খুঁজতে বের হবে। শুভ্র বললো আরে জব কি হারিয়ে গেছে যে খুঁজে বের করবো? আমার রাগে কথা বন্ধ হয়ে আসছিলো। শুভ্র আমার অবস্থা দেখে হাসিমুখে বললো, তোমার কথা মতই আমি চলি। তোমার কথা শুনেই আমি এক হাজার সিভি সেন্ড করেছি। দেখো একটা থেকেও ডাক আসেনি। আসলে কি জানো? এইভাবে বাংলাদেশে জব হয় না। আমি বললাম তাহলে কিভাবে হয়? সে বললো ব্যাকিং বুঝেছো ব্যাকিং। ব্যাকিং ছাড়া বা গুড রেফারেন্স ছাড়া এই দেশে জব হয়না। আমি বললাম তবে আমার কিভাবে হলো? সে বললো তুমি নিজেই তোমার রেফারেন্স। আমি বললাম কিভাবে? সে বললো ভেবে দেখো। তারপর গা জ্বলানো মিটমিটে হাসি হাসতে লাগলো।

কিছুপরেই সে অবলীলায় বললো, আচ্ছা তোমার বাবাকে বলো না আমাকে একটা জব দিতে। আমি ওর কথা শুনে হা হয়ে গেলাম! বাবাকে বলবো! কি বলছে এসব শুভ্র? ওর কি এতটুকুও লজ্জা নেই। নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করেছি আমরা কাউকেই তোয়াক্কা না করে আর কিনা এখন জবের জন্য দ্বারস্থ হবো বাবার কাছেই? শুভ্রের মান সন্মান জ্ঞান যে এত কম তা আগে বুঝিনি। আমি বললাম, না আমার বাবার চাকরী তুমি করতে পারবে না। নিজের যোগ্যতায় জব খুঁজে বের করো। নইলে না। শুভ্রও অবলীলায় বলে দিলো, ওকে তাইলে না। জব যখন হেঁটে হেঁটে আমার দূয়ারে আসবে তখন করবো। সে বইটা মেঝে থেকে তুলে নিয়ে তাতে ফের মন দিলো। আমি দিন দিন হতাশ হয়ে পড়ছিলাম। আমার অস্থির লাগতো। আমি কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছিলাম না কি হবে এরপর।

মা খুব চুপচাপ নির্বিবাদী মানুষ হলেও ঠিকই খেয়াল রাখতেন সবকিছু। তা বুঝা গেলো সেদিন রাতে যখন বললেন, শুধু শুধু ছেলেটাকে এত দোষ দিচ্ছিস কেনো? জব যখন হবার তখনই করবে, যখন যার সময় হয় তখন তাই হয়। সত্যি কি জানিস? টাকার পেছনে ছোটার অভ্যাস মানুষকে মানুষ থেকে যন্ত্রে পরিনত করে। আর যন্ত্রের মন থাকে না, থাকেনা মায়া দয়া বিবে. থাক ওমন করে বলিস না ওকে। বেচারা কারো সাতে পাঁচে থাকে না। মন খুলে কথা বলে, নিজের মত করেই সব করে। ও তো আমাদের মত না। তোর আর আমার মত ইগো কাজ করে না ওর মাঝে। ও যা তাই। একদম পানির মত পরিষ্কার। ভন্ডামী নেই কোনো। মুখে এক আর কাজে আরেক এমন ভন্ড দিয়ে কি হত বল? আর সত্যি বলতে কি জানিস? আমরা অনেকেই সমাজ আর সংসারের চাপে এমন সব কাজ বা দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেই যা আসলে বোঝা। সেই বোঝা ফেলে আমরা চলতে শিখিনা। কষ্ট পাই। ইচ্ছার বিরুদ্ধে চলি।

শ্বাশুড়ি প্রায়ই ফোন দেন। খোঁজ খবর নেন। বারবার দুঃখ করেন এমন সময়ে আমাকে কাছে রাখতে পারছেননা। আবার বলেন তবে এও সত্য তুমি তোমার পরম নিশ্চিন্তের আশ্রয়স্থলেই আছো। শ্বশুর তো রোজ সকালে একবার বিকালে একবার খোঁজ নেন। উনার কথায় এত আন্তরিকতা থাকে। এত মায়া আমি মুগ্ধ হয়ে যাই! শুভ্রকে নিয়ে তার চিন্তার শেষ নেই। ছেলেকে স্বাবলম্বী দেখতে চান মৃত্যুর আগে। কিন্তু তাতে কি শুব্রের কোনো মন আছে? শ্বশুর আকারে ইঙ্গিতে বলেন আমাকে দেখতে আসার কথা। কিন্তু আমি হ্যা হু করে এড়িয়ে যাই। কেনো যেন মনে হয় উনার এখানে আসা ঠিক হবে না। শুভ্রের মত শক্ত নার্ভ তার নেই। মানুষকে সম্পূর্ণ হৃদয় দিয়ে ভালোবাসার যে হৃদয় তার আছে সেটা কি আমার বাড়ির মানুষদের বিশেষ করে বাবার আছে? উনি হয়ত খুব খুব কষ্ট পেয়ে যাবেন। উনার কষ্ট আমি কোনোভাবেই চাইনা। আমি কখনই চাইনা এই অবাক করা আশ্চর্য্য সুন্দর মানুষটা আমার বাড়িতে এসে কাউকে দিয়ে কষ্ট পাক।

শৈলী বলে জানো ভাবী মা তার পুরোনো নরম শাড়ি দিয়ে অনেকগুলি কাঁথা বানিয়ে রেখেছেন তার অনাগত নাতি বা নাতনীর জন্য। এমন কি পুরোোনো শাড়ি খুঁজতে খুঁজতে আলমারী থেকে নতুন শাড়িও নামাতে শুরু করেছেন। আমি মনে মনে হাসি। মা আর শ্বাশুড়ি মিলে কি যে শুরু করেছেন। মা কাঁথা বানাতে জানেননা । উনি মম এন্ড কিডসের দোকান নিজের আলমারীতে তুলে এনেছেন। আর শ্বাশুড়ি তার সব কটা পুরোনো শাড়ি ধুঁয়ে শুকিয়ে নরম কাপড়ে কাঁথা বুনছেন পরম মমতায়। এই ছেলে বা মেয়ে যেই হোক সে দেখছি পরম ভাগ্যবান বা ভাগ্যবতী। আমি পেটে হাত বুলোই। ডায়েরীতে লিখে রাখি এসব ভালোবাসা বা মমতার কথা। তবুও আমার মাঝে মাঝেই মন খাারাপ হয়। কোথায় যেন সব বেখাপ্পা লাগে। সবার যেমন সহজ সুন্দর স্বাভাবিক জীবন হয় আমার যেন কোথায় সেটা অস্বাভাবিক বৈষম্য হলো। অবশ্য কাউকেই বলতে পারিনা । এসব আমার নিজেরই সৃষ্টি নিজেরই গড়ে তোলা জীবন।

শুভ্রের এক ফোটাও চিন্তা নেই এসব নিয়ে। সে বেশ আছে। সেদিন সে এসে বললো, জব যখন হচ্ছেই না তখন তার বন্ধুদের সাথে সে বিজনেস করবে ঠিক করেছে। আমি বললাম বাহ! বেশ ভালো তো তো কিসের বিজনেস করবা? সে বললো মাছের। মাছের! আমি বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেলাম। মানে কি? মাছের বিজনেস কেমনে করবে? কেমনে করবে সে বর্ণনা দিয়ে চলেছিলো সে। গ্রামে যাবে, এই করবে, সেই করবে, নানা কাহিনী, কে এই কাজ করে হয়েছেন রাজা বাদশাহ। আমার মাথায় কিছুই ঢুকছিলো না। তবুও কিছু বললামনা। হয়ত সেই সঠিক। সবাইকে জব পেতেই হবে বা করতেই হবে এমন কোনো কথা নেই। যে যা করতে চায়। যা করে হ্যাপী থাকবে সেটাই করা উচিৎ।

কিন্তু সব বিজনেসেই টাকা লাগে। পুঁজি ছাড়া কোনো ব্যাবসাই আসলে শুরু হতে পারে না । সে হোক না ১ টাকাও। কিন্তু শুভ্র বললো তার লাগবে খুবই কম যৎ সামান্য টাকা। সে টাকা যৎসামান্য আমার কাছে কিন্তু তার কাছে তো যৎ সমান্যও নেই। আমি বললাম কত লাগবে? সে বললো আপাতত লাখ পাঁচেক। তারপর এই পাঁচ পঞ্চাশ হতে মোটেও সময় লাগবে না। হা হা হাসি পায় আমার এখন। ভাবি আসলে আমি ছেলেমানুষ ছিলাম নাকি শুভ্রই ছিলো অবাস্তব আর খামখেয়ালী একজন অবাক বিস্ময়! আমি বললাম ওকে, তাই করো। আমি তোমাকে পাঁচ লাখ দিচ্ছি। কিন্তু তুমি তবুও কিছু একটা করো। শুভ্র বললো আমি জানতাম তুমি এটাই বলবে। ঠিক আছে তবে কালই শুরু করি?

দুদিনের মাঝেই শুভ্র বগুড়ায় চলে গেলো। মা খুব অবাক হলেন। এখন আমার এই অবস্থাতে মা কখনই চায়নি শুভ্র দূরে থাকুক। কিন্তু মা জানেন না ওকে অকারণ নির্লিপ্ত সময় নষ্ট করতে দেখে আমি ভেতরে ভেতরে কি রকম অস্থির হয়ে উঠেছিলাম। আসলে এখন বুঝি আমি আজীবন ভীষন কর্মপ্রিয় একজন মানুষ ছিলাম। সে যে কোনো কাজই হোক না কেনো। আই ওয়াজ অলওয়েজ বিজি। আর শুভ্র ঠিক তার উল্টোটাই। নিজের মনে যা ইচ্ছে তাই করে ফেলা মানুষ। অথবা ভিষন সঠিক। মানুষের জীবন এমনই হওয়া উচিৎ। ঠিক ওর মতই। আমার মত নয়। আমি সমাজ সংসারে আর দশটা মানুষ যা করে ঠিক সেটাই মানতে শিখেছিলাম। নিজের মত করে আনন্দে বাঁচা বা যখন যেভাবেই জোটে বা চলতে হয় সেভাবেই চলা এতেই হয়ত বেশি আনন্দ হত। যেমনটা শুভ্র। আমি কেনো ওর মত হতে পারি না?


সপ্তাহ খানেকের মাঝেই শুভ্রের উচ্ছাস দেখে তো আমি মুগ্ধ! তার নতুন কাজ কারবারের খবর শুনে কান ঝালাপালা হয়ে গেলো। শুভ্র খুব মেতে উঠলো কাজ নিয়ে। সেখানে সারা দিন রাত কাজ করে তারা। রাতে বসে উনাদের আড্ডা পার্টি আরও কত কি। যেন আরেক আনন্দের নতুন জীবন পেয়েছে সে। প্রতিদিনই কথাও হচ্ছে বেশ খানিকটা সময় তার সাথে। মনও খারাপ করে। ওর সবই ভালো লাগছে শুধু আমাকে ছাড়াই নাকি দিন গড়াচ্ছে না। ওর আর কিছুই লাগতো না যদি চোখের সামনে আমার সুন্দর, হাসি হাসি কিংবা রাগী রাগী বা ওর মত অকর্মন্যকে দেখে বিরক্ত হয়ে ওঠা মুখটাই দেখতো। হা হা হা হাসি পায় আমার। কি করে বলে শুভ্র এসব নিজের কথাই এমন করে!

মাস খানেক না যেতেই শুভ্রের উদ্যম কমে আসতে লাগলো। তার ঐ কঠিন আর আরাম আয়েসহীন জীবন একেবারেই স্যুট করছিলো না। তার এজমার সমস্যাটা প্রায়ই দেখা যাচ্ছিলো। আমারও খুব খারাপ লাগছিলো। বললাম থাক চলে আসো একেবারেই সহ্য না হলে। এ কথার পরদিনই শুভ্র ফিরে এলো। তার চেহারা দেখে আমার সত্যিই মন খারাপ হলো খুব। উস্কোখুস্কো চুল আর এক মুখ দাঁড়ি গোফের জঙ্গলের মাঝে জ্বলজ্বল চোখের তারা দুটিও ছিলো ম্রিয়মান। আমার মনে হলো আমারই অন্যায় হয়েছে ওকে জোর করে পাঠানো। আমি জোরাজুরি না করলে সে মরিয়া হয়ে উঠতোনা কোনো একটা কাজের জন্য।

সেদিন সারারাত আমি শুভ্রকে জড়িয়ে রইলাম। শুভ্র খুব চুপচাপ হয়ে ছিলো। আমিও একটি কথাও বলিনি। একটি বারও জানতে চাইনি কেনো পারলে না? পরে জেনেছিলাম শুধু শরীর খারাপ বা জায়গাটা স্যুট না হওয়াটাই না আসলে ওর পার্টনারের সাথে তার খুব এক চোট গন্ডোগোল হয়ে গিয়েছিলো। শুভ্র বিশ্বাস করে ওকে পুরোটা টাকাই দিয়েছিলো কিন্তু তার বদলে তার পার্টনার তাকে দিয়েছিলো ধোকা। আমি আর কিছুই ভাবতে পারছিলাম না। সন্ধ্যা থেকেই কেনো যেন মন খারাপের সাথে সাথে শরীর খারাপ লাগছিলো। ভোরের দিকে একটু তন্দ্রা মত এসেছিলো। কি একটা স্বপ্নে ঘুম ভেঙ্গে গেলো।

তখন আমার সাত মাস চলছিলো। বেবির হার্টবিট না বুঝতে পারলেও নড়াচড়া বেশ ভালোই বুঝতাম। ডক্টরও বলেছিলো সেটা খেয়াল রাখতে। কিন্তু ভোরবেলা ঐ তন্দ্রেটুকু কেটে যাবার পরেই আমার হঠাৎ মনে হল অনেকক্ষন যাবৎ বেবির কোনো ম্যুভমেন্ট পাইনি আমি। শুভ্রকে নিয়ে দুশ্চিন্তা আর কষ্টটা এত বেশী ছিলো যে এদিকে খেয়ালও করিনি। আমার হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছিলো। এতদিন এত কষ্টের পরেও বেবিটাকে দেখতে পাবো না নাকি আমি? দৌড়ে মায়ের ঘরে গেলাম। মাকে খুলে বললাম সব। মা নিজেই পেটে হাত দিয়ে বুঝবার চেষ্টা করলেন। ডক্টরকে ফোন দেওয়া হলো। আমার বুক ভেঙ্গে হু হু কান্না আসছিলো। তবুও নিজেকেই সান্তনা দিচ্ছিলাম এসব ভুল আমার। সব কিছু ঠিকই আছে আগের মতই আছে। আমারই ভুল হচ্ছে।বেবিটার কিচ্ছু হয়নি। সে ভালো আছে.......

খুব ভোরবেলা হসপিটালে ভর্তি হলাম আমি..........

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



একটু হাইফাই, অস্হির

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই। না পড়েই কি মন্তব্য করলেন?

কার মন্তব্য কারে দিয়ে ফেললেন?

২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৪

মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন: দারুণ ভালো লাগলো। শুভেচ্ছা রইলো অবিরত।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ধন্যবাদ সখাওয়াতভাই।

৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আবার পড়বো?
চাইলেই ৫ লাখ পেয়ে যাচ্ছে, সপ্তাহের মাঝেই পার্টনারের সাথে সম্পর্ক নন্ট হয়ে যাচ্ছ, এগুলো বেশী দ্রুত ঘটে যাচ্ছে!

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: বাহ! ভালোই তো কুইক রিডার দেখা যাচ্ছে।

নাহ আপনার চোখের সমস্যা দেখছি দিন দিন ভালো হয়ে যাচ্ছে।

সত্যিই মুগ্ধ হলাম!

তবে অর্থই অনর্থের মূল তা তারা তখনও জানতো না।

৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫২

খায়রুল আহসান বলেছেন: যত দিন যাচ্ছে, আপনার গল্পগুলো ভারী হয়ে আসছে। কু-ডাক শুনতে পাচ্ছি। কিন্তু তবুও কেন জানি, এখনো পর্যন্ত শুভ্রকে ডিসলাইক করতে পারছি না।
গল্পের নায়িকা এবং তার অনাগত শিশুর জন্য শুভকামনা রেখে পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হ্যাঁ সমাজ ও সংসারের কথা মত চলতে গিয়ে আমরা নিজের কাছে পরাজিত হই। শুভ্র বা শুভ্রের মত মানুষেরা অপকট। তারা দ্বিধা দ্বন্দে না ভুগে যা বলে সরাসরিই বলে সরাসরিই চায়।লুকোছাপা পছ্ন্দ করে না একদম। তবুও মুখোশধারী আমরা সেই মুখোশহীন মানুষদের উপরে মাঝে মাঝে অবুঝ হয়ে পড়ি।

শুভ্রের জন্য শুভকামনা......

৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১৭

শুভ_ঢাকা বলেছেন: রাতের এই সময়টা সাধারণত ইউটিউবের নানান খবর টবর দেখি। আর একটা উইন্ডোতে সামুর পেজ খোলা থাকে। আপনি বলেছেন আজ রাতে লেখা দিবেন। তাই কিছুক্ষণ বাদে বাদে সামুকে রিফ্রেশ করছিলাম। অবশেষে আপনার উপস্থিতি আর নতুন পর্ব।

এই পর্বের লেখাও ভাল হয়েছে। খায়রুল আহসান ভাইয়ের সাথে এখনও আমি একমত। এখনো পর্যন্ত শুভ্রকে ডিসলাইক করতে পারছি না। এখনও ওকে বেনিফিট অফ ডাউট দিব।

এই গল্পের শেষ যে বিয়োগান্তক হবে তা আমার অবচেতন মন বলে। কিন্তু সেটা কিভাবে ঘটবে তা জানার জন্য আমি উদগ্রীব। আর আমার ধারনা যদি ভুল হয় তবে আমিই সবথেকে বেশী খুশি হব।

আচ্ছা লেখালেখি নিয়ে কি আপনি চাপে আছেন। আমি আপনার লেখা আগে খুব একটা পড়িনি, তাই আপনার সম্পর্কে খুব একটা ওয়াকিবহাল না। কেন জানি মনে হচ্ছে এই সিরিজ তাড়াতাড়ি শেষ করে আপনি ছুটকারা পেতে চাচ্ছেন।

বেবির জন্য শুভকামনা রইলো।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হ্যাঁ কথা সত্যি আমি ইদানিং খুবই চাপে আছি।

সেটা লেখালিখি না অন্যান্য কাজের চাপ। কাজের দায়িত্ব যা বেড়েছে তা আমার জন্য আসলে নস্যি ছিলো। কিন্তু সমস্যা হলো আমার চঞ্চল মন আমাকে এই কাজ থেকে ওই অকাজে টেনে নিয়ে যায়। কাজেই কাজের চাইতেও আমি অকাজেই বেশি ব্যাস্ত হয়ে পড়ি। আর সেসব আমার তখন মাথায় চুল ধরে টানে।

সে যাইহোক আমি এই লেখা নিয়ে আরো কিছুদিন থাকতে চেয়েছিলাম। মন দিয়ে লিখতে এবং এই চিলেকোঠায় আরও কিছুদিন বাস করতে। কিন্তু এর মাঝে এমন সব কাজ আসলো যে ভয় হলো এই লেখার রেশ কেটে যাবে মন থেকে। তাই সব কিছু থেকে মন ফিরিয়ে এই লেখাই আগে শেষ করছি।

আর আজ কিছুই করিনি। শুধুই লিখেছি। আর লিখতে গিয়ে চোখের জলে বুক ভাসিয়েছি। এ আমার পুরানো অভ্যাস। নিজের লেখা পড়ে নিজেই কাঁদা। হা হা


শুভ্রকে অনেকেই খুবখুব পছন্দ করে আমিও করি। যারা করে না বলে তারা দুষ্টামী করে সেও বেশ ভালো বুঝি।

৬| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১১

শুভ_ঢাকা বলেছেন: আপনি পূর্বের কোন এক মন্তব্যে বলেছিলেন যে আপনি আপনার এই লেখা সামুর প্রথম পৃষ্ঠায় আসুক তা চাননি। সচরাচর কোন লেখক/লেখিকা এমনটা চায় না। প্রথম পৃষ্ঠায় আসুক কেন চাননি জানতে পারি কি। আমি খুব গোয়ার (critical) পাঠক। হা হা হা...

১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হ্যাঁ জানতে পারেন।

এই লেখা শেষ হলে আমি প্রথম থেকে আবার পড়বো। তবে হ্যাঁ লেখাগুলো না মন্তব্যগুলো। তারপর যা যা জানতে চেয়েছে সবকটার জবাব দেবো।
তবে আপনার আজকেরটার জবাব দেই........

১। জীবনের কোনো কোনো গল্প মানে মাথায় যা ঘোরে আর কি তা নিভৃতে নীরজনে বসে লিখে যেতে ইচ্ছে করে আমার। মন্তব্য বা মানুষ কি বলবে কি ভাববে এমন সব ভাবনা থেকে খুব প্রকাশিত হয়ে লিখতে গিয়ে আটকে যাই আমি। কারণ স্বভাবগত ভাবে আসলেই আমি ইন্ট্রোভার্ট মানুষ। সেই ভাবনা থেকেই এই অচেনা অজানা নিকের সৃষ্টি। হ্যাঁ নিজের ডায়েরীর পাতাতেও লেখা যেত কিন্তু সামুর পাতায় নিজের লেখা দেখতে বড় ভালো লাগে তাই এখানেই লেখা।

২। আমি চাইনি শুভ্র কখনও এই লেখা পড়ুক। বলাও যায় না যে হারে তাকে সবাই ঢিল পাটকেল ছুঁড়ে মারছিলো তাই দেখে সে যদি আবার তেড়ে আসে? :P

তবে আশঙ্কাজনকভাবে সামুর পাঠক কমে গেছে। তারপরও এই লেখায় যেভাবে অনেকেই জড়িয়ে গেলেন ভয়ে ছিলাম কখন সেও এসে হাজির হয়। কিন্তু মনে হয় তার সময় নাই .......

৭| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৩৭

শুভ_ঢাকা বলেছেন: গোয়ার পাঠক প্রশ্নের প্রতি উওরে প্রসন্ন। লেখিকার কল্যাণ হোক। হা হা হা...

১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৪১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা ঠিক আছে। আরও যত প্রশ্ন আছে রেডি রাখেন। ২০ পর্বে সকল কিচুর আনসার দেওয়া হব.

৮| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:১৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আচ্ছা এত ভালো শুশুর মশাইকে কি দুরে সরিয়ে রাখা ঠিক হচ্ছে । অসাধারণ গল্প।

১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:১৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: নাহ হচ্ছে না। কিন্তু বিঁধি বাম।

৯| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৩:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: শুভ্রর মতি গতি ভালো ঠেকছে না।

১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আমার তো দুজনের মতিগতীই উলটা পালটা লাগে।

হুট করে সিদ্ধান্ত নিয়ে এডভেঞ্চার করতে চাইলেও এখন মনে হয় নায়িকা তার শ্বাসত চিন্তাভাবনার বেড়াজালের কাছেই আটকে যাচ্ছে।

১০| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪২

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: ভাল লেগে গেল যে!
আমার প্রীতি নিন।

১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: থ্যাংক ইউ বরকতউল্লাহ ভাই।

আপনার লেখা পড়ে শুধু মুগ্ধই হই।

১১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫১

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আশাকরি ভালোর দিকেই যাবে

খুব ভালো লাগলো

১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আমি অনেক ভেবে দেখেছি আসলে যা হয় ভালোর জন্যই হয়।

সবকিছুই......

কাল পরের পর্ব দিয়ে দেবো।

কাল রাতেই দেবো।

মাঝে মাঝে কোনোভাবেই লিখতেই পারি না এক লাইনও আর মাঝে মাঝে বানের জোয়ার আসে আমার হাতের আঙ্গুলে হা হা হা

আপনার সেই প্রিয় কবিতা ড্রাফ্টে রেখেছি। সেটাও দিয়ে দেবো এর মাঝেই। তখন মিলিয়ে নিয়েম কোন মুহুর্তে লেখা হয়েছিলো সেই কবিতাটা......

১২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২১

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমার তো দুজনের মতিগতীই উলটা পালটা লাগে।
হুট করে সিদ্ধান্ত নিয়ে এডভেঞ্চার করতে চাইলেও এখন মনে হয় নায়িকা তার শ্বাসত চিন্তাভাবনার বেড়াজালের কাছেই আটকে যাচ্ছে।

আসলে মেয়েদের প্রেম ভালোবাসায় জড়ানো ঠিক না। বাপ মা যার সাথে বিয়ে টীবে তাকেই বিয়ে করে সুখে থাকার চেষ্টা করা উচিত।
এই সমাজে ভালো পুরুষ নেই। যাদের ভালো মনে করবেন, তারাও ভালো না। ভালোর ভান ধরে থাকে।

১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা রাজীব ভাই। তবে বাবামায়েরাই কি শুধু ভালো পুরুষ খুঁজে বের করতে পারে?

১৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:০৮

শুভ_ঢাকা বলেছেন: চিন্তায় পড়ে গেলাম কাল রাতে লেখা পোস্ট হয়েছে, এখনও পর্যন্ত আলোচিত ব্লগে মধ্যে ঢুকলো কেন। না ঢুকলে চিন্তা করবো কেন, লেখিকা তো চাইই-নি এ লেখা প্রথম পৃষ্ঠায় আসুক। এটা তো পাঠকের পীড়াপীড়িতে এই লেখাকে প্রথম পৃষ্ঠায় আনেন কর্তৃপক্ষ। আর যাদের এই লেখা পড়ার নেশা হয়ে গেছে তারা হারিকেন দিয়ে খুঁজেও এ লেখা বের করে পড়বে। তা হলে আমি কেন এত চিন্তার করছি। তার কারণ এই যে, যত পাঠক মন্তব্য করবে লেখিকা তত বেশী উওর দিবেন, আর তত বেশী এই লেখা সংক্রান্ত বিটুইন দ্যা লাইনসের হিডেন কথা বের হয়ে আসবে। :P :D

ভূমিকা শেষ। এবার গোয়ার পাঠকের আরও একটি প্রশ্ন গল্পের নায়িকা কি ছাত্রী অবস্থা থেকেই লেখালেখি করেন। সামুতে লেখালেখিটা কিভাবে শুরু। উওর ২০ নং পর্বে দিলেও চলবে।

১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আলোচিত পোস্টে যায়নি। কারণ আমার পাঠকেরা নাই কদিন যাবৎ।

ঢুকিচেপা আপু, মা হাসান ভাই, সোানবীজ ভাই, সামু পাগলা আপু, মিরর ডল আপু আনমোনা আপু আরও অনেকে অনেকে। থাক নো প্রবলেম। তারা যেদিনই আসবে পড়ে ফেলবে নিশ্চয়।

আর আমি এ লেখা শেষ করতে গিয়েও শেষ করতে পারছিনা।

লিখেই চলেছি।

পিছে অনেক কাজের তাড়া তবুও.....

হ্যাঁ ছাত্রীবস্থা থেকেই করি। এমনকি কলেজে সাহিত্য সভার সিনিয়র ভায়েরা নিেজেরা কবিতা লিখেও আমার নামে চালিয়ে দিত। স্থানীয় পত্রিকার কাটতি বাড়াতে। হা হা হা অনেক নাটকই লিখতে পারবো আমি তাইনা?

তবে হ্যাঁ সামুর লেখা কি করে শুরু সেটা আমি জানাবো ২০ পর্বের পরে আর আমার লেখা প্রথম পড়ছেন? আপনাকে আরও লেখার লিঙ্ক দিয়ে দেবো। অবশ্য যে সব নিভৃতে নীরজনে লিখতে গিয়ে আর নীরজনে থাকতে পারিনি সেসবই !

১৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২৫

শুভ_ঢাকা বলেছেন: এখনও পর্যন্ত আলোচিত ব্লগে মধ্যে ঢুকলো না কেন।

১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: রাজীব নূর ভায়ের জন্য! :(

হা হা বলেন তো কেমনে?

কেমনে রাজীব নূর ভাইয়া দায়ী???

১৫| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৯

শুভ_ঢাকা বলেছেন: এই রে! বলতে না বলতেই আলোচিত ব্লগের আপনার লেখা চলে এসেছে। এর জন্য আমার অবদানকেও খাটো করে দেখবেন না। হা হা হা ......

হা হা বলেন তো কেমনে?

কেমনে রাজীব নূর ভাইয়া দায়ী???


রাজীব নুর ভাই দায়ী এই কারণে যে তার লেখা হয়তো এতক্ষণ আলোচিত ব্লগে বেশী মন্তব্য প্রাপ্ত হিসাবে ঝুলে ছিল। এখন উনার লেখা উবে যাওয়ার আপনার স্লট খালি হলো।

দেখেন আমার পরীক্ষা নিবেন না লেখিকা। আমার ঘটে তেমন বুদ্ধি শুদ্ধি নাই। :|

১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: না না আপনার অবদান অস্মীকারের কোনো উপায়ই নেই।

এ লেখার ১ নং মুগ্ধ পাঠকের উপাধী আপনাকেই দেওয়া যায়।

আর আছে মিরর আপু আর ওমেরা তারা আমার দলে আর মা হাসান ভাই কামরুজ্জামান ভাই ঢুকিচেপা আপুরা তো শুধু শুভ্রের পিছে লেগেই থাকে। সাড়ে চুয়াত্তর ভাই তো শুভ্রের তেরোটা বাঁজিয়ে ছাড়ে। হা হা হা

ওকে ভালো কথা সাড়ে চুয়াত্তর ভাই এ পোস্ট দেখেনি। যাই বলে আসি।

তবে ঢুকিচেপা আপু মা হাসান ভাই পাগলা আপুদের কেনো যে দেখা পাওয়া যাচ্ছে না বুঝতে পারছি না।:(

১৬| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: হা হা রাজীব ভাই। তবে বাবামায়েরাই কি শুধু ভালো পুরুষ খুঁজে বের করতে পারে?

না।মাঝে মাঝে বাবা মাও ভুল করেন। সেটা ভাগ্য বলে মেনে নিতে হবে।

১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: দুটোই ভাগ্য।

আর আপনি সৌভাগ্যবান।

কারণ সুরভীভাবীকে পেয়েছেন।

১৭| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: মায়ের মন।মায়ের একটা ছেলে নেই । অবচেতন ভাবে মা শুভ্রকে তার ছেলে হিসাবে কল্পনা করে নিয়েছে।কারন মেয়ের জামাই ত ছেলে ই।আর তাই তার সকল দোষ - ত্রুটি ক্ষমা করে দিয়ে তাকে আপন করে নিয়েছে এবং তার সব প্রয়োজন তথা ভাল লাগার দিকে খেয়াল রাখছে।

অকর্মণ্য ও অপদার্থ রাই বেশী বেশী অজুহাত দেয়। এমন ভাবনা বিহীন ও সুখের জীবন পেলে কেইবা কিছু করার চেষ্টা করে।আর মাঝে মাঝে মায়ের প্রতি একটু মনোযোগ এটা তার নিজের স্বার্থেই দেখায়।কারন,পাগল ও তার ভাল বুঝে বা বুঝার চেষ্টা করে।

আর শুভ্রের কিছু করার চেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে এটা স্বাভাবিকই ছিল।আসলে সে কিছু দিনের জন্য একটা ব্রেক চাচছিল গতানুগতিক জীবন থেকে।সেটা সে পেয়েছে এবং ব্যর্থ হয়েছে সেটা মেনে নেয়া যায় কিন্তু বউয়ের নিকট থেকে ৫ লাখ নিয়ে লস দিয়ে ফিরে আসল ।বউ তাকে একবার ও টাকা কি মদের পিছে খরছ করেছে -পুরাটাই লোকসান বা তার পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে কিছুই জিজ্ঞাসা না করে সারারাত মহববতের মদারু ;) স্বামীকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে ছিল -এটাই মেনে নেয়া যায়না বা স্বাভাবিক বলে হয়না।

মনে হয় পুরা সম্পর্কটাই মিথ্যার উপর দাড়িয়ে আছে যেখানে সত্যের ছিটাফোটা ও নেই। কারন প্রেমে আবেগ যেমন থাকবে, থাকবে রাগ-মান-অভিমান,থাকবে ইচছা-আকাংখা ও পাওয়া না পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন। কিন্তু এখানে শুধু একতরফা লুতুপুতু প্রেমই দেখা যাচছে ।যা আসলেই বিক্ষুব্ধকর-যন্ত্রণাদায়ক।

আর সমস্যা যখন আসে তখন চারিদিক থেকেই আসে।আমার মনে হয় বেবির কোন অসুবিধা (আল্লাহ না করুন ) হলেও শুভ্রের কিছু আসবে যাবেনা । সে হয়ত বলবে যা হয়েছে ভাল হয়েছে। কারন ,তার বউয়ের ভাষায় সে X(( সত্যিবাদী।

১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা ভেবেছিলাম এত বড় মন্তব্য পড়ে জবাব দিতে কষ্ট হবে আমার তাই সময় নেবো। কারণ ঠিক ৫ মিনিট পরে আমার ক্লাস শুরু হচ্ছে।

কিন্তু পড়ে দেখলাম। আপনি যেন আমার অন্তর্যামী। একেবারেই ঠিক বলেছেন।

১৮| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৫

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: 'অমন'কে 'ওমন' লেখা আরেকজনকে আমি চিনি। আপনি সে-ই নন তো!

১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: কামরুজ্জামান ভায়ের জবাবটা বড় তাই পরে দেবো।

আর আপনার জবাবটা দিয়েই দেই সহজে ।

হ্যাঁ আমি মনে হয় সেই ..... হা হা

১৯| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: পড়ুম না পড়ুম না করে X(( পরেই গেলাম।

পড়ে কি পেলাম ? তা নাই বললাম।তবে বালা কিছু পাই নাই এটাই কষ্টকর । অন্তর্দৃষ্টিতে আগে থেকে দেখতে ছিলাম এর বেদনাদায়ক সমাপ্তি ।তাই কি হচছে?
আপনি লেখক । চাইলেই তাকে মধুর-মিলন করতে পারেন তবে সামগ্রিক ভাবে মনে হচছে তা আর হবেনা।

আমাদের কে কি আন্দোলনে নামতে হবে হুমায়ুন আহমেদের কালজয়ী নাটক "কোথাও কেউ নেই এর বাকের ভাই"য়ের মত।যে বাকের ভাইয়ের ফাসি হলে ভাংবে টিভি ঘরে ঘরে।

শুভ্র বেডার সফলতার লাগি কি আমাদের আন্দোলনে নামতে হবে ??

১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: নেমে লাভ কি?
সত্যিটা জানাই বেশি ভালো না?

২০| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৮

মিরোরডডল বলেছেন:



মায়েরা এরকমই হয় । মেয়ের জামাইকে অনেক আদর করে ছেলের মতো করেই । আমার বোনের হাজব্যান্ডগুলো সব আমাদের ভাইয়ের মতো, লাইক বাড়ির ছেলে ।

ভণ্ডামি নেই স্ট্রেইট ফরোয়ার্ড সেটা ঠিক আছে কিন্তু কমন সেন্সেরও কিছুটা অভাব আছে । ফান করে হলেও শ্বশুরকে জব দিতে বলা বা বউয়ের কাছ থেকে নিচ্ছে, পার্সোনালিটি ভালো লাগেনি । টাকা নিতেই পারে কিন্তু এর বিষয়টা কেমন যেনো মনেই হচ্ছে টাকাটা নষ্ট করবে, কিছুই করতে পারবেনা ।

শুভ্রর বাবা যদি এ বাড়ীতে নাও আসে কিন্তু একই শহরে, নায়িকা কেনো ঘুরে আসেনা ওখান থেকে ! এতো ভালো শ্বশুর, এমনিতেও ইচ্ছে করবে কিছু সময় কাটাতে তার সাথে ।

শুভ্রর মতো যারা নিজের মতো করে আনন্দে বাঁচে তাদের আসলে বিয়ে করে সংসার করা কঠিন । তারা ভালো থাকলেও কিন্তু তাদের লাইফ পার্টনারের জন্য কঠিন হয়ে যায় এরকম মানিয়ে নেয়া । হয়তো শুভ্র মানুষ ভালো, প্রেমিক হিসেবেও ওকে কিন্তু বাস্তবতা এটাই বলে যে একদমই সংসারী না । একে মানিয়ে চলা মনে হয়না পসিবল । আর শুভ্রর ভাবখানা এরকম যে মেয়ের বাবা মা আছেই দেখার জন্য তাই তার কোনও দায়িত্ব নিতে হবেনা হুইচ ইজ রিয়েলি ব্যাড ।

লাস্ট পর্বে যা বললাম কেনো যেন মনে হচ্ছে এই সম্পর্ক আনফরচুনেটলি ওয়ার্ক আউট করবে না । স্যরি টু থিঙ্ক নেগেটিভ বাট আই বিলিভ বাবুটাও সারভাইভ করবে না । শুনেছি প্রেগনেন্সির সময় মা মেন্টালি হ্যাপি না থাকলে তার ব্যাড ইফেক্ট হয় বাবুর ওপর । সিনিয়ররা ভালো বলতে পারবে । আমি কিন্তু এটা একটা গল্প ভেবেই কমেন্ট করি আপুটা । ক্যান্ট ওয়েট ফর নেক্সট ওয়ান ।

এই গল্প শেষ হলে তুমি কিন্তু আবার নতুন সিরিজ লিখবে । আমার সিরিজ পড়া হয়না কিন্তু তোমার লেখায় নেশা ধরেছে ।

১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: নীচের মন্তব্যগুলো পড়ে হাসছি। যদিও প্রায় পুরো গল্পটাই শেষ করে এনেছি । লিখতে গিয়ে দুদিন ধরেই চোখের পাতা ফুলিয়েছি। লোকে বলবে ঢং দেখো। কিন্তু সত্যিই বলছি মিররমনি।

যাইহোক তুমি কত বড় বাকি পিচকি জানিনা কিন্তু অবজারভেশন পাওয়ার দারুন।

হ্যাঁ মায়েরা জামাইদেরকে আদর করে বটে কিন্তু শুভ্রের বেলায় নেতিবাচক মনোভাব আসতে পারতো তার কিন্তু আসেনি এই এক আশ্চর্য্য তাই না?

হা হা ঠিক তাই শুভ্র টাকা নষ্ট করবে সে তো আমিও জানতাম তবুও নষ্ট করেও যদি কিছু শিখে। বা ঐ যে হয় না চাচ্ছে যখন চেষ্টা করতে না করতে দিলে কেমন হবে আবার। তার থেকে করেই দেখুক না।

নায়িকার শরীর ভালো না। তাই ঘুরাঘুরি করেনি। যদিও সুন্দরবনে গেছিলো হানিমুনের আশায় সেই হানিমুনই তাদের কাল হলো।


শুভ্রর ব্যাপারে ঠিক বলেছো। এমন মানুষ সংসারী হয়না। হলেও তাকে সহ্য করে কেউ না নিলে সে অসহ্য হয়ে থাকবে।

(লাস্ট পর্বে যা বললাম কেনো যেন মনে হচ্ছে এই সম্পর্ক আনফরচুনেটলি ওয়ার্ক আউট করবে না । স্যরি টু থিঙ্ক নেগেটিভ বাট আই বিলিভ বাবুটাও সারভাইভ করবে না । শুনেছি প্রেগনেন্সির সময় মা মেন্টালি হ্যাপি না থাকলে তার ব্যাড ইফেক্ট হয় বাবুর ওপর । সিনিয়ররা ভালো বলতে পারবে । আমি কিন্তু এটা একটা গল্প ভেবেই কমেন্ট করি আপুটা । ক্যান্ট ওয়েট ফর নেক্সট ওয়ান ।)

আমারও এমনই মনে হচ্ছে। যদিও পরের পর্বগুলো অলরেডি লিখে ফেলেছি।
কালকেই দিয়ে দেবো এডিট করে। নো চিন্তা বিকালেই পাবে। ৪ টায়। সিডিউল করে দিলাম হা হা।

(এই গল্প শেষ হলে তুমি কিন্তু আবার নতুন সিরিজ লিখবে । আমার সিরিজ পড়া হয়না কিন্তু তোমার লেখায় নেশা ধরেছে ।)

আচ্ছা লিখবো। কিন্তু ডিসেম্বরের লাস্টের আগে শুরু করা হবেনা মনে হয়। তবুও মনে রাখবো এই কথা।

তবে হ্যাঁ আমাকে চিনে ফেলা যাবেনা কিন্তু। চিনে ফেললে আর লিখবো না। :P

২১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পড়েছি। বিয়ে খেতে যাচ্ছি। তারপর ঠাণ্ডা মাথায় কিছু মন্তব্য করবো ইনশাল্লাহ। আর যাই করেন শুভ্রকে ভিলেন/ বা ভেগাবন বানিয়েন না। একটা উইন উইন পরিস্থিতি বজায় রেখে গল্পটা শেষ করলে ভালো হয়।

১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৯

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: বিয়ে খেতে যাচ্ছেন? এই করোনায়?

আল্লাহ রক্ষা করো চুয়াত্তর ভাইকে।

শুভ্র যা তাই বলবো। তবে সে সব সময় বিজয়ী। আপনারাই তো তাকে পারলে ড্রেইনে চুবান চুয়াত্তরভাই। তবে ঢুকিচেপা আপু আর মা হাসান ভাইয়াকে মিস করছি খুব খুব।

কই গেলো তারা? সামু অফিসে ফোন দেবো নাকি একটা?

আর পাগলা আপা।

রাগ করছি তার উপরে। আসে না কেনো আর?

২২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৬

শুভ_ঢাকা বলেছেন: "চিলেকোঠার প্রেম" শীর্ষক গল্পের জন্য এই নিকের অবতারণা। এই গল্পের শেষে এই নিকের কি পরিণতি হবে। এই ব্যাপারে কি আপনার কোন চিন্তা ভাবনা আছে। এই প্রশ্নের উওর এখনও দিতে পারেন। আবার Q & A নামক পর্বেও দিতে পারেন।

মিরোরডল ও কামরুজ্জামানের কমেন্ট পড়ে বুকটা ঢিপ করে উঠলো। শেষে দিকে না আবার শুভ্রের কি ভয়ংকর চেহারা আমাদের দেখতে হয়। এই গল্প পড়তে আইসা পুরাই ধরা খাইয়া গেলাম। সারাক্ষণ এই চিন্তায় বুঁদ হয়ে আছি। আপনি কতগুলো মানুষকে নিয়ে খেলছেন। আপনার বিরুদ্ধে কেস করা উচিত। হা হা হা ......... মজা করে বললাম মাইন্ড কইরেন না প্লীজ।

১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা সেটা ভাবিনি এই নিকের পরিনতি কি হবে। মানে এই লেখার জন্যই এই নিক এরপর লেখা শেষে কোমায় পাঠায় দিতে পারি। তবে সবাই যেভাবে আমাকে টেনে ধরছেন। এই নিকের বাচ্চা কিছুতেই কোমায় যেতে চাবেনা মনে হচ্ছে।

হা হা হা গল্প পড়তে এসে ধরা?

আহারে থাক। এত কষ্ট পাবেন না শুভ্র যা তাই হবে। তবে শুভ্র ইন্টারেস্টিং। নায়িকাও কম নয় মনে হয়। পুরাই অঘটনঘটন পটিয়াসী। দেখবেন গল্প শেষে আবার ইট পাথর ছোঁড়া না খায় নায়িকা নিজেই। তবে লেখিকা খাবার আগেই পালাবে।সি ইজ এক্সপার্ট অব ডুইং দ্যাট।

তবে আপনাকে আরও সিরিজ পড়াবো। কোমায় যাওয়া নিকেদের সিরিজ।

আমার বিরুদ্ধে কেসের ভয় এখন পাচ্ছি না তবে সত্যিই একবার মহা ভয় পেয়েছিলাম। একজন তো পারলে আমাকে খুঁজে বের করে খুনই করতো মনে হয়। হা হা হা

সে ঘটনা অবশ্য ব্লগের অনেকেরই জানা......

না মাইন্ড করিনি। তবে ভালো লাগছে এ লেখা যখন শুরু করেছিলাম তারও কিছুদিন আগে আমি একটু আবেগ তাড়িত হয়ে পড়ি। তখন আমি কবিতা দিয়ে এই নিকের লেখা শুরু করেছিলাম। পরে সেসব কবিতা ড্রাফটে নেই একটা কারণে তারপর এ লেখার শুরু করি। কারণ লেখাটার প্রথম লাইনের অহি নাজেল হয় মাথায়। যতবার সিরিজ লিখেছি ততবারই আমার মাথায় প্রথম লাইনের অহি নাজেল হয়েছে হা হা হা ...... একটু পরে ড্রাফ্ট থেকে কবিতাটা আপনাকে দেবো।

২৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যা ভেবেছিলাম তাই!

জীবনবোধের শুন্যতাই মানুষকে ভিন্নরকম করে ফেলে!
নায়িকার জীবনবোধের সাথে শুভ্রর জীবন বোধের মোহ বিভ্রম কেটে যাচ্ছে দ্রুতলয়েই!
দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কে বদলায়?

২২ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ভাইয়া পরের পর্বগুলো দিয়েছি। ১৯ পর্যন্ত। ২০ এটার শেষ পর্ব। এখন চিলেকোঠার জন্য মন খারাপ হচ্ছে। :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.