নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লোকে বলে প্রথম প্রেমটা বড্ড কোমল\nএলোমেলোযায়না \nভোলা কোনোদিনও\nসত্যি কি তাই

কবিতা পড়ার প্রহর

কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে রাতের নির্জনে

কবিতা পড়ার প্রহর › বিস্তারিত পোস্টঃ

চিলেকোঠার প্রেম-১৭

২০ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৮



হঠাৎ জীবনে যেন এক বিশাল শূন্যতা নেমে এলো। কোনো বিষম কোলাহলের শহর থেকে যেন আমি চলে এসেছি কোনো নিশ্ছিদ্র নিরুত্তাপ নীরজন বনে। এখানে কোনো মানুষ নেই, জন নেই, পশু নেই পাখি নেই কিচ্ছু নেই। এখানে শুধুই আমি একা। মাঝে মাঝে মাথার মধ্যে কথা বলে যায় কারা যেন। কিন্তু পরক্ষনেই ভুলে যাই আমি। কি বলে গেলো বা কে বলে গেলো। এক পৃথিবীর আলো না দেখতে পাওয়া অদেখা ছোট্ট শিশুও যে আমাকে এইভাবে নিঃস্ব করে দিয়ে যেতে পারে ভাবিনি আমি কখনও আগে।

সাত সাতটা মাস আমার ভেতরে লালিত সেই সত্তাটির বিচ্ছেদে নিঃশেষ হয়ে পড়ি আমি। আমার কাউকে ভালো লাগে না। সবাইকেই বিরক্ত লাগে। মা কত কথা বলে যায়। শুভ্র এসে চুপচাপ বসে থাকে। বাকীটা সময় ঘুম পাড়িয়েই রাখে ওরা আমাকে। তবুও যতক্ষন জেগে থাকি। বুক ভেঙ্গে যায় কষ্টে আমার। আমার অনাগত সন্তান আমার স্বপ্নে আসে। আমাকে মা মা বলে ডাকে। আমি ওর সাথে খেলি। কখনও পুতুল নিয়ে, কখনও বা গাড়ি। কখনও পার্কে ওর হাত ধরে ঘুরি আমি। ও দেখতে যে কি সুন্দর হয়েছে। একদম পরী বাচ্চা। স্বর্গ থেকে নেমে আসা যেন এক দেবদূত।

হসপিটাল থেকেই জানতে পারি শুভ্র আমাদের সেই পুরোনো চিলেকোঠায় আবার ফিরে গেছে। ইদানিং নাকি খুব চেষ্টা করে যাচ্ছে একটা চাকুরী খোঁজার। মনে হয় আমার এ অবস্থার জন্য নিজেকেই দায়ী করছে বেচারা। অথবা হয়ত আমাকে ছাড়া ও বাড়িতে থাকাটাই ওর অসহ্য হয়েছে। থাক ও বাড়ি ফিরুক বা জব খুঁজুক। ওর যা মনে চায় করুক। আমি আর ওর মত করে চলায় বাদ সাধবো না। ও তো ওর মত করেই ওর জীবন চালাতে চেয়েছিলো। চালাক। আমি আর ওর কোনো কিছুতেই বাঁধা দেবোনা। কি হয় বাঁধা দিয়ে? কি হয় এসব করে? যা হবার তাই হয়। শত চেষ্টাতেও কোনো কোনো ভবিতব্য কখনও ঠেকানো যায় না।

আমার আজকাল খুব নিজের ছোটবেলা মনে পড়ে। মা দুই বেনী বেঁধে দিতেন। স্কুলের লাল চেক স্কার্ট আর সাদা শার্ট। খুব ছোট বেলার প্রথম বন্ধু রুনি। কি পাঁজী ছিলো মেয়েটা। আবার দারুন বুদ্ধিমতীও। কোথায় আছে সে? কোথায় হারিয়ে যায় মানুষ এইভাবে? মনে পড়ে পাতলা জিলজিলে কাগজে জড়ানো অভূত স্বাদের কুল-বরই এর আচার, মনে পড়ে হাওয়াই মিঠার অদ্ভুৎ রঙ, মনে পড়ে শোন পাপড়ির আশ্চর্য্য স্বাদ। দাদীকে মনে পড়ে। দাদীর বানানো আমসত্ব, ছোট্ট বেলার সবুজ বন-জঙ্গল আঁকা কাঁঠপেন্সিলটার ছবি চোখে ভাসে, নাকে ভাসে গন্ধওয়ালা গোলাপী রাবারের সুঘ্রান। একবার নানু বাড়িতে ঝড়ের পরে আম কুড়িয়ে স্তুপ করে রাখা ছিলো বারান্দায়......... কত কিছুই ভাবি আমি। এক পৃথিবী ভাবনায় ভেসে ভেসে যাই.......




২ মাস ১১ দিন পর বাসায় ফিরি আমি। বাড়িটাকে অচেনা লাগে।আসলে আমার জীবনটাই বদলে গেলো যেন হঠাৎ। নিজেকেই অচেনা লাগে আজকাল আয়নায় দাঁড়ালে। শুভ্র প্রায়ই ফোন দেন। আমার এ অবস্থার জন্য নিজেকে দায়ী করে সে। আমার হাসি পায়। ভীষন হাসি পায়।অট্হাস্য হাসতে ইচ্ছা করে আমার। কিন্তু আমি কিছুই বলি না, একটা কথাও না। অনেকেই ভাবে আমি বোবা হয়ে গেছি। ভাবলে ভাবুক আমার কি?আমার কথা বলতে ভালো লাগে না। মাঝে মাঝে মনে হয় আমিও শুভ্রের এই দূর্গতীর জন্য দায়ী।ওমন হুট করে বিয়ে করাটাও আমার উচিৎ হয়নি। ওর যে বয়সে স্বামী হবার কথা ছিলো না, বাবা হবার মানসিকতা গড়ে উঠেনি সেখানেই টেনে ফেলে দেওয়া হয়েছে ওকে। কিন্তু পরক্ষনেই মনে হয় সেই সিচুয়েশনটার জন্য তো আমি দায়ী ছিলাম না শুধু একা। শুভ্র আমাকে ভাবিয়েছিলো। বদলে দিয়েছিলো চিরায়ত আমার ধ্যান ধারণা, ভাবনা চিন্তা।

নাসিমা আপা ফোন দেয়। ফোন দেয় সুরুচী। হসপিটালেও দেখতে গিয়েছিলো তারা আমাকে। অফিস থেকে ছুটি নিয়েছি ৩ মাসের।পরের মাসে জয়েন করবো। ডক্টরও বলেছে আমার এই মানসিক শকটা কাটাতে ব্যাস্ততাই সব চাইতে বড় ঔষধ। যত তাড়াতাড়ি কাজে ডুবে যেতে পারি সেটাই আমার মঙ্গল। আমি ইদানিং আবার ছবি আঁকতে শুরু করেছি। চুপচাপ একা একা ছবি এঁকে চলতে আমার এখন শুধু ভালো লাগে। কারো সাথে কথা বলতে হয় না। কোনো কাজের প্রেশার নেই শুধু নিজের মনে ভাবতে পারা যায়। আমার ভালো লাগে। খুব ভালো লাগে। কিন্তু ডক্টর বলে আমাকে নাকি এই ছবি আঁকা থেকেও বের হয়ে আসতে হবে। কারণ এইভাবে ছবি নিয়ে পড়ে থাকলে আমার এই বিষন্নতা আরও প্রগাঢ় হবে। আমি স্বাভাবিক জীবনে হয়ত আর কখনও ফিরতেই পারবোনা।

ডক্টর কেনো এই কথা বলে আমি জানি। কারণ আমি শুধু দিনের পর দিন আমার অনাগত সেই সন্তানের মুখটাই আঁকি। আর কিছুই আমার আঁকতে ভালো লাগেনা আজকাল। আর কি যে এক আশ্চর্য্য ব্যপার! আমি দিনের পর দিন ওকে আঁকতে আঁকতে এখন সত্যিকারেই ওর মুখটা দেখতে পাই। ও কখনও হাসে। কখনও কাঁদে। কখনও বা অভিমানে ঠোঁট ফুলায়। হা হা বিধাতা আমাকে ওর হাসি কান্না দেখতে দেয়নি বটে। কিন্তু বিধাতা প্রদত্ত আমার এই দুই হাতে আমার জগতে আমি ঠিকই সৃষ্টি করেছি সেই অদেখা শিশুটির হাসি কান্না। আমার সন্তানের হাসি, আমার সন্তানের অভিমান, ওর ঘুমিয়ে থাকা মুখ সবই আমি সৃষ্টি করে চলি দিনের পর দিন।

আমার শ্বশুর শ্বাশুড়ি আর শৈলী এসেছিলো হসপিটালে। আমার শ্বাশুড়ি তার বুকে জড়িয়ে রেখেছিলেন আমাকে অনেকক্ষন। উনার চোখে ছিলো বিষন্ন ক্ষ্ট কিন্তু উনার বুকে মাথা রেখে বুঝেছিলাম আমি কত মায়া জমে আছে সেখানে। আমার জন্য , শুভ্রের জন্য, তার স্বামী সন্তান এবং সেই অনাগত নাতিটির জন্যও। আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে এত এত তার পুরোনো নতুন শাড়ি কেটে ফেলে তার নাতির জন্য বানানো কাঁথা কাপড় জামাগুলি কি করেছেন তিনি? আমার খুব ইচ্ছে করে সে সব ছুঁয়ে দেখতে। বুকে নিয়ে বসে থাকতে। সে সব কাঁথা কাপড় জামা নাই বা হলো সেই শিশুর ব্যবহারের জন্য তবুও সেসবে মিশে আছে আমার সেই নিস্পাপ অদেখা শিশুটি। কিন্তু কিছুই বলা হয় না আমার। এক রাশ কষ্টে গলা চেপে আসে। আমি চুপ থাকি।


আমার শ্বশুর। যাকে দেখে প্রথম দিনটিতেই সদাই হরিষ উপাধীটি মনে পড়েছিলো আমার। সেই হাসি মুখে প্রথম দেখি বিষন্ন সন্ধ্যা! চুপচাপ বসেছিলেন তিনি। বিদায় নেবার সময় ছোট্ট শিশুর মত হাউ মাউ কেঁদে উঠলেন। আমি নির্বাক তাকিয়ে থাকি। উনি হাউমাউ করে বলছিলেন, মা নাতি হারানোর দুঃখে কাঁদছি এ কথা ভেবোনা তুমি। আমি তোমার এ অবস্থা সহ্য করতে পারছি না। তুমি কেনো এমন হয়ে গেলে? কি হয়েছে তোমার আমাকে বলো? কেনো তুমি কথা বলো না? কেনো তুমি হাসো না? মানুষের কি এমন হয় না বলো? ধরে নাও এটা একটা এক্সিডেন্ট। তুমি আবারও মা হবে। তোমার কোল আলো করে জন্মে নেবে এই শিশুটিই আবারও খুব শিঘ্রী। কেনো এইভাবে ভেঙ্গে পড়ছো? কেনো নিজের জীবনটা নষ্ট করছো।


আমি মনে মনে হাসছিলাম। হায়রে জীবন। যে মানুষটির এতটুকু কষ্ট সহ্য করতে পারবোনা ভেবে, আমার বাড়িতে এলে তার সাদর সম্ভাষনে এতটুকু ত্রুটি হতে পারে ভেবে আমি কখনও চাইনি উনি আসুক। সেই মানুষটিকেই আজ আসতে হলো আর দুঃখ পেতে হলো আমারই কারণে। আসলেই পৃথিবীতে যা হবার তাই হয়। সৃষ্টিকর্তা তার উপন্যাসে আগেই লিখে রেখেছেন সব ঘটনাগুলিই। মানুষ শুধু সেই রোলগুলিই প্লে করে যায় তার সাজানো সব ঘটনার মাঝ দিয়েই। তবুও মানুষ কত আপ্রাণ চেষ্টাই না করে। সুখে থাকার....... ভালো থাকার......

মন্তব্য ৮২ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৮২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫০

করুণাধারা বলেছেন: অদ্ভুত ব্যাপার- লগ ইন করা মাত্র চিলে কোঠা...! আচ্ছা লাইক দিয়ে ধীরে সুস্থে পড়বোনে।

২০ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আচ্ছা আপু।
পরে পড়ো।

এই লেখা লিখতে গিয়ে চোখের জলে বুক ভাসলো।

লেখার ভেতর দিয়ে আমি শ্বাশুড়িমায়ের বুকের হার্টবিট শুনতে পাচ্ছিলাম।:(

২| ২০ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: আসলে মানুষের জীবন সব সময় একরকম যায় না। জীবনে ভালো সময় আশে, মন্দ সময় আসে। এটা একটা চক্র।
গত দশ বছর ধরে মিসক্যারেজ খুব বেড়েছে। এর সঠিক কারন ডাক্তাররাও বলতে পারেন না।
শুভ্রর প্রতি হঠাত দরদ কি কমে যাচ্ছে? এত সহজ? নাকি এটা ভালোবাসা ছিলো! মোহ ছিলো?

মানুষের দুঃখের সময়, অসহায় এবং হতাশা গ্রস্থ অবস্থায় ছোটবেলার কথা খুব মনে পড়ে।
মেয়েদের চেয়ে ছেলের চিন্তা ভাবনা জ্ঞান বুদ্ধি উন্নত হয়। শুভ্র ছেলে মানুষ। আবেগ বেশি। সে ভুল করতেই পারে। কিন্তু আপনার উচিত ছিলো, তাকে বুঝানো। তার আবেগে ভেসে যাওয়া বোকামি হয়েছে।

কিছু কিছু ভূলের জন্য সারা জীবন কাঁদতে হয়। আপনার সবচেয়ে বড় ভুল বেকার ছেলেকে বিয়ে করা। আবেগ দিয়ে কবিতা লেখা যায়। জীবন চলে না।

আমি ইদানিং ছবি আঁকা শুরু করেছি। যদি এই বিষয়ে আমার কোনো অভিজ্ঞতা নেই। রঙ তুলি নিয়ে আসলে সময় পার করি।
বহু মেয়েকে দেখি একাধিক বার মিস ক্যারেজ হয়েছে। আমার এক বন্ধুর স্ত্রীর সার বার মিস ক্যারেজ হয়েছে।

নানী দাদী কাঁথা সেলাই করেন। এরকম কাঁথা আড়ং এ কিনতে পাওয়া যায়।
এখন মন খারাপ করে বসে থাকলে হবে। উঠে দাড়াতে হবে। ঘুরে দাড়াতে হবে। মাথা, বিবেক বুদ্ধি কাজে লাগাতে হবে।
তবু বলল, আপনি ভাগ্যবান। অসহায় সময়ে শ্বশুর শ্বাশুরি পেয়েছেন। কাছের মানূষেরা খোঁজ খবর নিয়েছে। পরম মমতায় মাথায় ভালোবাসা নিয়ে হাত রেখেছেন। বহু মেয়ের কপালে এতটুকুও জোটে না।

২০ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আপনি যে এত মন দিয়ে কারো লেখা পড়েন। আমার এ লেখার কমেন্টগুলো না দেখলে আমি জীবনে বুঝতাম না।

অনেক অনেক ভালোবাসা রাজীবভাই।

এই লেখা লিখতে গিয়ে আমি অন্য কোথাও হারিয়ে গেছি।

৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১১

রাজীব নুর বলেছেন: কবিতা পড়ার প্রহর আমি দুঃখিত। মন্তব্য আমি গুছিয়ে করতে পারি নাই বলে। আসলে গুছিয়ে কথা বলা, বা লেখা এসব আমি পারি না।
আপনি যদি ধার্মিক হোক, বা ধর্ম বিশ্বাস আপনার থেকে থাকে তাহলে বলব- যা হয়, আল্লাহর ইচ্ছাতেই হয়। হয়তো সামনে ভালো কিছু অপেক্ষা করছে। তাই আহাজারি না করে, চুপ করে মেনে নিন। দুনিয়াতে কি হবে না হবে সব আল্লাহ আগেই ঠিক করে রেখেছেন। আমরা শুধু খেলে যাচ্ছি। এই দুনিয়া সহজ সরল সুন্দর নয়। পদে পদে দুঃখ কষ্ট থাকবেই। সেসব মেনে নিয়েই জীবন যাপন করতে হবে।

শেষে বলল, ইট, ড্রিংক এন্ড বি হ্যাপি। সকালে ঘুম থেকে উঠেই চিৎকার করে বলবেন, লাইফ ইজ বিউটিফুল।

২০ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা সে আর আমার চাইতে কে বেশি জানে?

আমার মতন সুখী কে আছে?
আয় সখী আয় আমার কাছে
সুখী হৃদয়ের সুখের গান
শুনিয়া তোদের জুড়াবে প্রাণ.......


অনেক অনেক থ্যাংকস এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

৪| ২০ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



৩য় প্যারাগ্রাফের ১ম বাক্য, "হসপিটাল থেকেই জানতে পারি।"

ইহা কি একটা সম্পুর্ণ বাক্য, নাকি অসম্পুর্ণ বাক্য?

২০ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: চাঁদগাজীভাই শুধু একটা খুঁজে পেলেন?
এমন হাজারও বাক্যে এই রচনা রচিত। ঠিক যেভাবে কথা বলি সেটাই লিখেছি। নো এডিটিং অর নাথিং এলস।
যখন যেখানে ইচ্ছা থেমেছি যখন যেখানে ইচ্ছা শুরু করেছি। আমার এই গল্পের পাঠকেরা ঠিকই আমার কথা শুনতে পেয়েছে।

নো সাহিত্যমান। আপনিও আমার মত করে শোনেন মানে যেভাবে লিখেছি।

খবরদার উল্টা পাল্টা বলতে আসবেন না।
এক কান দিয়ে ঢুকে অন্য কানে বেরিয়ে যাবে।

ঠিক আপনার মত। আপনার থেকেই শেখা। গুরু মন্ত্র।

৫| ২০ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনি যে এত মন দিয়ে কারো লেখা পড়েন। আমার এ লেখার কমেন্টগুলো না দেখলে আমি জীবনে বুঝতাম না।
অনেক অনেক ভালোবাসা রাজীবভাই। এই লেখা লিখতে গিয়ে আমি অন্য কোথাও হারিয়ে গেছি।

আমার হাতে অনেক সময়।
আমি প্রতিটা ব্লগারের লেখা খুঁটিয়ে খুটিয়ে পড়ি। তবে দরাজ দিল নিয়ে মন্তব্য করতে পারি না। মন খুলে মন্তব্য করতে গেলেই দেখা যাবে ঝগড়া বেঁধে যাবে। তাই দুই এক কথা বলে চলে আসি। তাতে সম্পর্ক ভালো থাকে।

আপনি মন্তব্যে বলেছেন অনেক অনেক ভালোবাসা রাজীব ভাই।
ধন্যবাদ। তবে, একটা বার্গার আর একটা কোক খাইয়ে দিলেই হবে। হে হে---

২০ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: রাজীবভাই যেমনে বলবেন তেমনেই উত্তর দেবো। ঝগড়া না করেই। ভয় পেয়েন না।
বার্গার আর কোক খেলেই চলবে?

কোথাকার বার্গার?

আমার বানানো?

৬| ২০ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: হা হা সে আর আমার চাইতে কে বেশি জানে?
আমার মতন সুখী কে আছে?
আয় সখী আয় আমার কাছে
সুখী হৃদয়ের সুখের গান
শুনিয়া তোদের জুড়াবে প্রাণ.......
অনেক অনেক থ্যাংকস এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

এই গানটা আপনার জন্য।

কমপক্ষে গানটা তিনবার শুনবেন।
মন দিয়ে শুনবেন। গানের কথা গুলো বুঝতে চেষ্টা করবেন। দরকার আছে।

২০ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: শুধু ৩ বার?
জীবনে ৩০০ বার শুনেছি এই গান।
প্রতিবারই সুন্দর।


আমারও বেলা গেলো এই চিলেকোঠার গানে সূর মেলাতে .......

৭| ২০ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



ওকে, ওকে! হাজার হলেও সাহিত্য!

২০ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৯

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: বলেছি না নো সাহিত্য......

এসব আমার সত্যি মিথ্যে মায়ায় ঘেরা দোলাচলের গল্প গাঁথা........
ঠিক তেমনই যেমন করে বলছি আমি যেন কথা......

২০ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ওকে মুছে দিলাম দাঁড়িটা।

৮| ২০ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২২

করুণাধারা বলেছেন: পড়লাম। আগের সব পর্ব নিয়ে এটাই সেরা!

পর্বটা পড়ে বেশ একটু দুঃখবোধ হচ্ছিল... কিন্তু প্রচুর জ্ঞানপূর্ণ মন্তব্যগুলো পড়তে পড়তে দেখি হাসতে শুরু করেছি :D

২০ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: শুভভাইয়া তোমার কাছে তো সবই সেরা..... হা হা হা
মানুষ রাইটারকে পুরষ্কার দেয় আর আমি তোমাকে সেরা পাঠক পুরষ্কার দিতাম।

হুম দুঃখ পোস্ট এটা।

আর চাঁদগাজী ভাইয়ার মজার মন্তব্য।
রাজীবভাইয়াও কম না.......

৯| ২০ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩০

শুভ_ঢাকা বলেছেন: ভুলে গেছিলাম। আপনি মনে করিয়ে দিলেন। মধ্যরাত বোধহয় রাত ৩টা। ল্যান্ডফোনটা বেজে উঠলো। মা-ই ফোনটা ধরেছিল। বড় ভাই ব্রামটন থেকে ফোন করেছে। ভাবী হাসপাতালে মিসক্যারেজ হয়ে গেছে। মা এটা শুনে চিৎকার করে বলছেন। আমাকে এ সমস্ত কথা বলবা না। আমারকে এত রাতে এসব কথা বলার জন্য ফোন করেছো। মা ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলেন টেলিফোনটা। মা বারবার বলছিলেন আহা রে! কার জানি আসার কথা ছিল। কে জানি আসছিল। মার সেই আহাজারি আর আমার কি ভীষণ মন খারাপ......সবই ভুলে গেছিলাম। আপনি সব আবার মনে করিয়ে দিলেন।

আচ্ছা সব লেখাকে কি লাইক দিতে হয়। না হয় কিছু লেখাকে লাইক নাই বা দিলাম।

২০ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ঠিক আমারও এমনটা মনে হয় দুঃখ লেখাকে লাইক দেওয়া যায় না....... কিন্তু মানুষ মৃত্যু সংবাদকেও লাইক দেয়।:(

১০| ২০ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৭

করুণাধারা বলেছেন: :||

২০ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ঠিক বলেছি না?

২০ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আপু এই লাইকে আমি খুশি। :)
অনেক খুশি।

কারণ এত কষ্টের লেখায় আর কেউ লাইক দেয়নি। আর ভাবীর মিসক্যারেজের সাথে শ্বাশুড়িমায়ের কষ্ট আমি বুঝতে পারছি।

১১| ২০ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩১

ঢুকিচেপা বলেছেন: “ হায়রে জীবন। যে মানুষটির এতটুকু কষ্ট সহ্য করতে পারবোনা ভেবে, আমার বাড়িতে এলে তার সাদর সম্ভাষনে এতটুকু ত্রুটি হতে পারে ভেবে আমি কখনও চাইনি উনি আসুক। সেই মানুষটিকেই আজ আসতে হলো আর দুঃখ পেতে হলো আমারই কারণে।”
শেষ কথা থেকেই শুরু করি, অসম্ভব সুন্দর অনুভূতি প্রকাশ। এ পর্যন্ত সব পর্বের মধ্যে এটাই সবচেয়ে দুঃখের। অনাগত সন্তান হারানোর যে কষ্ট এবং তার বর্ণনা সত্যিই অসাধারণ হয়েছে। এখন উচিৎ পরিবারের সাথে দেশের বাইরে ঘুরতে যাওয়া।

“ উনি হাউমাউ করে বলছিলেন, মা নাতি হারানোর দুঃখে কাঁদছি এ কথা ভেবোনা তুমি।”
আপনি যেন ভেবে নিয়েন না যে, আমিও ঐ কারণেই কাঁদছি। আমি কাঁদছি এত আয়োজন করে বসুন্ধরা কনভেনশন বুক করেছিলাম আকিকার অনুষ্ঠান হবে বলে, তার কি হবে ? ব্লগের কয়েক জনকে দাওয়াত দিব ভেবেছিলাম, একজন আছেন, এখানে ১দিন খেলে ১মাস না খেয়ে চলে যেত।

২০ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আপু....
কোথায় ছিলেন?

আপনাকে খুঁজতে খুঁজতে কাঁদতে কাঁদতে চোখ একটা কানা করে ফেলেছি। আরেক চোখে এই লেখা লিখতে লিখতে কাঁদতে কাঁদতে আধা কানা।

আপনি আবার বসুন্ধরা বুক দিসিলেন? এই করোনায় এইসব আকীকা টাকীকা করলে পেটের মধ্যে একটা গেলো। বাইরের জল হাওয়ার কত জনের জান যেত চিন্তা করেন।
যাক রাজীব ভাইয়ার মত ধার্মিক হন।

আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্য করেন। তা নায়িকা কাঁদুর আর তার শ্বশুরের চৌদ্দ গুষ্ঠি কাঁদুক।

১২| ২০ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শুভ্র আর নায়িকা উভয়েই অপরাধ বোধে ভুগছে একে অন্যের জন্য। মিস ক্যারেজের ঘটনার পরে অপরাধ বোধের অনুভুতি যদি উভয়ের মধ্যে আবার আগের মত ভালোবাসার জন্ম দিতে পারতো তাহলে ভালো হতো। এই ঘটনা শাপে বরও হতে পারে। মিস ক্যারিজের ঘটনা দুঃখজনক তবে বহু মেয়ের জীবনে এমন ঘটে। নায়িকাকে বাস্তববাদী হতে হবে। এর চেয়েও অনেক কষ্ট সহ্য করে অনেক দম্পতি সুখে জীবন যাপন করছে। শুভ্রর সাথে নতুন উদ্যমে সংসার করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তবে পুরো গল্পেই শুভ্রকে অনেকটাই গুরুত্বহীন একটা চরিত্র মনে হয়েছে। কারণ এমন কিছু কাপুরুষসুলভ কথা ও কাজ শুভ্রকে দিয়ে করানো ও বলানো হয়েছে যা কোনও গল্পের গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রের কাছ থেকে আশা করা যায় না। তাকে অনেকটা পার্শ্বচরিত্র মনে হয়েছে। তবে এখনও গল্প শেষ হয় নাই তাই শেষ পর্যন্ত শুভ্রকে কিভাবে দেখানো হবে তা লেখিকাই জানেন। নায়িকা ছাড়া গল্পে অন্য কোন চরিত্র গুরুত্ব পায়নি। শুভ্র গল্পের সাথে জড়িত কিন্তু তার চরিত্রটাকে নায়কোচিত মনে হয়নি। হয়তো সেটাই লেখিকা চেয়েছেন। ফলে পুরো গল্পটা একক ব্যক্তিকেন্দ্রিক স্মৃতি রোমন্থন মনে হয়েছে। একটু কড়া সমালোচনা হয়ে গেলো। আশা করি সহজভাবে নিবেন।

২০ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: নাহ ! কড়া হোক আর বড়া হোক আমি সহজ ভাবেই নিচ্ছি কারণ আমিও শুভ্রকে ঠিক যা তা প্রকাশ করতে পারছি না। তবে শুভ্রকে বুঝতে পারাটাও খুব খুব কঠিন কিছু। একজন মানুস নিজেই যখন কাউকে বুঝতে হিমশিম খায় তখন কেমনে তার কথা ঠিক ঠাক লিখবে বলেন?

শুভ্র এমনই বুঝাই কঠিন। সব কিছুর অন্তরালে ঢাকা পড়ে থাকতে ভালোবাসে। শুভ্রকে নিয়েি আসলে এ গল্পের সূত্রপাত কিন্তু নায়িকার মুখের আর মনের কথাগুলিই লেখা হচ্ছে তাই হয়ত নায়িকা গুরুত্ব পেয়ে যাচ্ছে। কি করবো বলেন? শুভ্র তো এই গল্প তারে নিয়ে লেখা হইসে আর তার চৌদ্দ গুষ্ঠি পাঠকেরা উদ্ধার করেছে জানলে পাঠকদেরকে খেপিয়ে তোলার দায়ে নায়িকাকে ছেড়ে লেখিকাকে খুঁজে বের করবে।

তারপর ফুলের মত পবিত্র ছেলেটা খুনে দায়ে জেইলে যাবে। :(
হ্যাঁ শুভ্র সদা ও সর্বদা নেপথ্যে থেকেই নায়িকাকে বিজয়ী করেছিলো .....

১৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৮

রামিসা রোজা বলেছেন:

প্রথম প্রথম সংসার জীবনে অনেক ধরনের ভুল-ভ্রান্তি হয়
এবং মনের অগোচরে অনেক ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে ।
সেটাকে ওভারকাম করে হয়তো আমরা সামনের দিকে
এগিয়ে যায় কারণ এই লড়াই করে জয় করার নামই তো
জীবন ।

২০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ঠিক তাই ...

কিন্তু অবুঝ মানুষগুলো তবুও ভুল করে..

১৪| ২০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২৫

ইসিয়াক বলেছেন: এই পর্বটা পড়লাম। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়।

২০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আচ্ছা আজ কালের মধ্যেই দিয়ে দেবো।

অনেক অনেক ধন্যবাদ ইসিয়াক ভাই।

১৫| ২০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৩

মিরোরডডল বলেছেন:



গল্পের নায়িকার জন্য আর লেখিকা যে কান্না করে চোখ ফুলিয়েছে তারজন্য অনেক অনেক আদর ।
টাইম ফিক্স এন্ড হিল এভরিথিং ।





২০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: থ্যাংক ইউ মিরর আপু।
পরের পর্ব পরশু ওকে?

১৬| ২০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৭

মিরোরডডল বলেছেন:

Okie dokie :)

২০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: তোমার আর শুভভাইয়ার জন্য এই কুইক একশন।

১৭| ২০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৯

মিরোরডডল বলেছেন:



নো মোর মন খারাপ আপুটা । ইটস টাইম টু টার্ন আরাউন্ড । শুভ্রকে আল্টিমেটাম দেয়া হবে । এজ এ লাইফ পার্টনার যদি সাপোর্টিভ হয়ে পাশে থাকে টু মেক হার হ্যাপি দেন ইটস ওকে । ইফ নট্, যদি এভাবে প্যারা দিতেই থাকে, দেন ইটস টাইম টু কুইট হিঁম । যার যার জীবন তার তার মতো যাপন করবে বাট ডেফিনিটলি নট্ আন্ডার দ্যা সেইম রুফ ।

নো রাশ আপু, টেইক ইউর টাইম ।



২০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা শুভ্রকে ভাগায় দেবো??

আহা কেমনে?

বেচারা।


মায়া লাগে না বুঝি?

১৮| ২০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৯

শুভ_ঢাকা বলেছেন: তোমার আর শুভভাইয়ার জন্য এই কুইক একশন।

আমি আর এই চাপ প্রলম্বিত করতে চাচ্ছি না। এর একটা হেস্তনেস্ত হওয়া উচিত। যত সত্বর এই চাপ থেকে বের হতে পারবো ততই আমাদের স্বাভাবিক কাজ কর্ম স্বাচ্ছন্দ্যে করতে পারবো। তার উপর আমি আবার দুর্বল চিত্তের মানুষ। আবার করোনা কাল চলছে। তারও একটা চাপ আছে। আর চাপ নিতে পারছি না। লেখিকা রহম করেন।

নো রাশ আপু, টেইক ইউর টাইম ।

ইয়ার্কি বাদ সিরিয়াসলি বলছি আপনি সময় নিয়ে আস্তে ধীরে লিখুন। আরে আমরা তো আছি এবং থাকবোই। কিপ স্মাইলিং।

২০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: না না এখন আমার মাথায় লেখার ভূত চেপেছে। এই ভূত নামলেই বেঁচে যাই।

শুভ্রের ভূতও বলা যায় অবশ্য।

১৯| ২০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৫

মিরোরডডল বলেছেন:



মায়া লাগে না বুঝি?

মায়া লাগে বলেইতো এই ব্যবস্থা । যদি মায়া নাই থাকবে, তাহলেতো কবেই হিজ হিজ হুজ হুজ ।
মায়া আছে বলেই টেইক কেয়ার করা । ভাঙ্গাচোরা সম্পর্ক ফিক্স করার ট্রাই করা । কিন্তু এই করতে গিয়ে যেটুকু আছে সেটাও নষ্ট করা যাবে না । হয় হ্যাপিলি এভার আফটার, তানাহলে রাস্তা মাপো ।

যদি কম্প্যাটিবিলিটি নাই থাকে, সেই ক্ষেত্রে বিটারনেসে না গিয়ে সুইটনেস থাকতেই স্প্লিট হওয়া ভালো । তাহলে দুজনের প্রতি দুজনের রেস্পেক্ট আর ভালোলাগা থাকে ।




২০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: একদম তাই।

আমরা ভালো করতে গিয়ে আরও বেশি তেতো করে ফেলি।

যখন সুন্দর স্মৃতিগুলিও নষ্ট হয়ে যায়।

তবে শুভ্র বুদ্ধিমান ছেলে .......

আবেগী হলে সমস্যা ছিলো ...

২০| ২০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: কোথায় হারিয়ে যায় মানুষ এইভাবে ? সত্যিই কোথায় হারিয়ে যায়। ইস যদি রিমোট থাকতো রিপ্লাই করা যেত।

২০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: একদম রিওয়াইন্ড করে সব ঘুরিয়ে দিতাম।

২১| ২০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৫

শুভ_ঢাকা বলেছেন: তবে শুভ্র বুদ্ধিমান ছেলে .......

আবেগী হলে সমস্যা ছিলো ...

এটা খুব তাৎপর্যপূর্ণ স্টেটমেন্ট। এটা কি ইঙ্গিত বহন করে। হুম! চিন্তার বিষয়।

২০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: সেটার প্রমান পাওয়া যাবে। অচীরেই .....

২২| ২০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০০

শুভ_ঢাকা বলেছেন: আমার অনুমান @খায়রুল আহসান ভাই লেখাটি পড়েছেন, সকলের মন্তব্য পর্যবেক্ষণ করছেন এবং সময় নিচ্ছেন নিজের মন্তব্যের জন্য। অপেক্ষা করছি খায়রুল আহসান ভাইয়ের মূল্যবান মন্তব্যে।

কবিতা পড়ার প্রহর,

গোয়ার পাঠকের আরও একটা প্রশ্ন, লেখিকার মনে কবে থেকে এই লেখা লেখার চিন্তা ঘুরঘুর করছে। এই লেখাটা লিখাটা কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল। না কি হুট করেই লেখার চিন্তা ও তার বহিঃপ্রকাশ। যথারীতি এই প্রশ্নের উওর Q & A পর্বের জন্য তুলে রাখা যেতে পারে।

২০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হ্যাঁ তাই হবে।
ভাইয়া ভিষন মনোযোগী পাঠক।

আজকের প্রশ্ন কিন্তু কঠিন-
ঠিক এই নিকটা যেদিন থেকে শুরু হলো তার দুদিন আগে থেকে অস্থির হয়েছিলাম। উদাসীন আর একটু না অনেক অনেক মন উথাল পাথাল...... আমি যতই কথা বলি আমি আসলে ইন্ট্রোভার্ট। তাই মনের সব কথাই সবাইকে বলি না। মানে বলতে পারি না। তাই নিজের মনে লিখে ফেলি।
তো সেই ভাবনা থেকে হৃদয়ে কবিতার উদ্রেক হয়েছিলো। হা হা ভেবেছিলাম শুধু কবিতাই লিখি।

তারপর গদ্যে চলে এলাম।
কারণ কবিতা ভাবতে ভাবতে মাথায় গদ্যই লিখে ফেলার ওহি এসে গেলো......

বলেছিলাম সেই কবিতাটা পড়াবো- তারপর ভুলে গেছিলাম। আচ্ছা এখন দিচ্ছি-

দেখতে পাচ্ছি-
ঐ যে তুমি,

তোমার চোখে মাদক ভাবুক রাত।
যাচ্ছো হেঁটে অভিসারে
অনেক দিনের অপূর্ণ সাধ
পূর্ণতা পাক।
পেতে যাচ্ছে...

দাঁড়িয়ে আছে তোমার প্রিয়া-
ঐ অদূরে,
তোমারই পথ চেয়ে -
বাড়িয়ে দিলে তোমার দু হাত।
ঘোর লাগছে...

কাঁপছে তোমার দু"চোখ তারা থরো থরো
বুকের মধ্যে বাঁজছে মাদল?
ঠিক যেমনটা বেঁজেছিলো
আমার সেদিন।
মনে পড়ছে...

তোমারও কি পড়ছে মনে
আমার কথা?
নিশ্চয়ই না
অতীত কি কেউ রাখে মনে?
তোমার মনে বিহল বিভোর
রাখতেই নেই...

বলে লোকে প্রথম প্রেমটা
বড্ড কোমল, বড্ড এলোমেলো
যায় না ভোলা সেই অনুভব কোনোদিনও-
সত্যি কি তাই?
মোটেও তা নয়...

আমি জানি
চিনি তোমায়
ওমন তুমি
খুব আলাদা অন্যরকম
বাতাস যেমন,
হুট করে যায়, আবার আসে
ভালোবাসে, স্বপ্নে মোড়ায়
আবার কোথায় যায় হারিয়ে!
কোথায় হারায়?

তোমায় বোঝা নয়কো সোজা।
সেই মেয়েটা পারবে কি আর
ঠিকঠাক ঠিক বুঝতে তোমায়!
মনে হয় না...

আমি যে চাই, সত্যিই চাই
কেউ কখনও বাসুক ভালো
অনেক তোমায়।

ঠিক তেমনই, তোমার মত
ঠিক যেমনটা চাইতে তুমি
ঠিক তোমারই মনের মত
তেমনটা কেউ
আসুক তোমার জীবন জুড়ে-
আসুক আসুক সত্যি আসুক....

কিন্তু কেনো কষ্ট হচ্ছে?
বুকের ভেতর ঝরোঝরো
ভাঙ্গছে হৃদয় দু'কূল দু'ধার।
থরো থরো ঝরো ঝরো
কেনো কাঁপছে?

এ মনটাকে করছি শাসণ
ধরবিও না ছাড়বিও না
হিংসুটে সে মানছে না তো
কোনোই বারণ
শুধু ঝরছে, শুধু ঝরছে
কষ্ট পাচ্ছে
অকারনেই কষ্ট পাচ্ছে
খুঁজছে সে তার অবাক কারণ?
অবাক কারণ, খুব অকারণ।

বাসিসনি তো সেদিন তারে
একটু ভালো
অবহেলায় হেলা ফেলায়
ভাসিয়েছিলি ঠেলেই দূরে
তার সে কোমল হৃদয় ভেলা-
অনেক দূরে, অনেকই দূর...

সেই হৃদয়ের আরশিতে আজ
অন্য কারো অস্পষ্ট ছায়া
স্পষ্ট হচ্ছে,
সুস্পষ্ট হচ্ছে
কষ্ট হচ্ছে?


যাচ্ছি আমি মুছেই এবার
হৃদয় থেকে-
তোমার হৃদয় প্রান্ত থেকে।

সেই বেদনা খুড়ছে আমায়
ঝরছি আমি ঝরো ঝরো
আমি ঝরছি আমি ঝরছি
কষ্ট পাচ্ছি-
আমি কাঁদছি-
শ্রাবন মেঘে গুমরে মরে
কোন বেদনা?
নাম না জানা?


কবিতাটা দেওয়া ঠিক হলো না। তবুও দিলাম......এটাই এই নিকের প্রথম লেখা ছিলো ..... সেই অস্থির মন থেকে....

২৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪১

খায়রুল আহসান বলেছেন: "পৃথিবীতে যা হবার তাই হয়"!!!

২০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: শুভভাইয়া বসে ছিলো খায়রুলভাইয়া কি মন্তব্য করে দেখার জন্য।

এই গল্পের সাথে সাথে খায়রুলভাইয়ার মন্তব্যেরও ফ্যান হয়ে পড়েছে শুভভাই।

২৪| ২০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: "এই গল্পের সাথে সাথে খায়রুলভাইয়ার মন্তব্যেরও ফ্যান হয়ে পড়েছে শুভভাই" - এই পাঁচ শব্দের এক লাইনের মন্তব্যে উনি নিদারুণ আশাহত হবেন, সন্দেহ নেই।

২০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হ্যাঁ সেটাই বলতে চাচ্ছিলাম।
হা হা

২৫| ২০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৬

শুভ_ঢাকা বলেছেন: কবিরা পড়ার প্রহর,

যদি মনে হয় কবিতাটা দেওয়া ঠিক হল না। তাহলে মুছে দি। খাইরুল ভাই বলেছিলেন অদৃশ্য পরিচালকের কাট এন্ড টেক। দ্বিধা নিয়ে চলা দায়। আবারও বলছি দ্বিধা থাকলে মুছে দিন প্লীজ।

২০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৯

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: না নেই।
মুছে দেবার দরকারও নেই।

২৬| ২০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: "এই পাঁচ শব্দের এক লাইনের মন্তব্যে উনি নিদারুণ আশাহত হবেন, সন্দেহ নেই" - সেটাও আবার ধার করা!!!

২১ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা সেটাই তো। তবে সব সময় কি মন্তব্য আসে নাকি? এই দুঃখের পর্বে আসলে কিছুই বলার থাকে না। যেমন কোনো মৃত বাড়িতে গেলে আমি সান্তনার ভাষাই খুঁজে পাই না।

২৭| ২১ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৩

শুভ_ঢাকা বলেছেন: এই গল্পের সাথে সাথে খায়রুলভাইয়ার মন্তব্যেরও ফ্যান হয়ে পড়েছে শুভভাই" - এই পাঁচ শব্দের এক লাইনের মন্তব্যে উনি নিদারুণ আশাহত হবেন, সন্দেহ নেই।

@খায়রুল আহসান ভাই মোটেই না। এই পাঁচ শব্দের বাক্যই হল অনেক কথার gist বা সারকথা । বরং এই ছোট বাক্যটিই আমি সহজে মনে রাখতে পারবো। অশেষ ধন্যবাদ।

২১ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা ঠিক তাই ভাইয়ার এক শব্দের কথাও অনেক মূল্যবান।

২৮| ২১ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫৬

নিয়াজ সুমন বলেছেন: এই পর্ব মাথার উপর দিয়ে গিয়েছে। আগের পর্ব গুলো পড়তে হবে। তারপন না হয়.. অনুভুতির প্রকাশ ...

২১ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: নিয়াজভাই কতদিন পড়েন নাই।
মথার উপরে যাবেই তো।

২৯| ২১ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: কবি বলেছিলেন, - " মা কথাটি ছোট্ট অতি
কিন্তু যেন ভাই
ইহার চেয়ে নাম যে মধুর
তিন ভূবনে নাই "।


মা মাই ।আর প্রথমবার যখন একজন নারী শত দুঃখ-কষ্ট-যন্ত্রণা সহ্য করে মা হয় বা হতে যায় তখন তার অনুভূতি কেমন হয় তা যে নারী মা হয়েছে সেই বলতে পারবে।তবে প্রথম সন্তুানের বেলায় স্বামী - স্ত্রী তথা সকল আপনজনদের একটা সীমাহীন আগ্রহ ও কৌতুহল কাজ করে।আর সেই সন্তুানের সময় একজন সদ্য মা হতে যাওয়া একজন মহিলা তথা কিশোরী থেকে কিছুদিন পূর্বে যুবতী হওয়া একজন নারীর শংকা-ভয়-উদ্বেগ-দুশ্চিন্তার পাশাপাশি সীমাহীন কল্পনা কাজ করে তার গর্ভস্থ সন্তুানকে নিয়ে এটাই স্বাভাবিক । আর সেই সময় তার মাঝে আবেগ ও বেশী থাকে। কারন ,মাত্র কিছুদিন আগেই সে দুনিয়া সম্পর্কে বুঝতে শিখেছে এবং তাকে তখনো দুনিয়ার পংকিলতা ছুতে পারেনি।আর তাই তার মনের শুভ্রতা ( মদারু শুভ্র নয় ) অটুট থাকার জন্য আবেগের তীব্রতাও বেশী থাকে।

আর না পাওয়া বা হারিয়ে যাওয়া জিনিষ-ব্স্তু-মানুষ-সন্তুানের ক্ষেত্রে মানুষের আবেগ বেশী থাকে ।আর সেটা যদি হয় প্রথমবার মা হওয়া সন্তুানের বেলায় ,তাহলে সেই মায়ের এ ব্যাথা-দুঃখ-কষ্ট সইবার বা বইবার জায়গা বা অবস্থা থাকেনা ।তার পরেও কারো জন্য,কোন কিছুর জন্য জীবন থেমে থাকেনা । জীবন নিয়মের মতই চলছে-চলবে।

আর তাইত গায়ক গেয়েছেন ,

"কেন এই নিসংগতা, কেন এই মৌনতা ,আমাকে ঘিরে,
কেউ না জানুক কার কারনে, কেউ না জানুক কার স্মরণে
মন পিছু টানে,তবুও জীবন যাচছে কেটে জীবনের নিয়মে"।


মন পিছু টানবেই।আর সেই পিছুটানকে এড়িয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার নামই জীবন।

জন্ম-মৃত্যু-বিয়ে এই তিন ঘটনায় মানুষের হাত বা কিছু করার ক্ষমতা সীমিত । গল্পের নায়িকার বিয়েটা যেমন দুর্ঘটনাক্রমে হয়েছে এবং মেনে নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা ছিল তেমনি সন্তুান হারানোটাকে ও দুর্ঘটনা হিসাবে মেনে নিয়ে সমানে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে গল্পের মা'কে। কারন জীবন গতিশীল ।

এই জন্য কাজের মাঝে থাকা বা কর্মব্যস্ততা তার মনকে কিছুটা হলেও এ অবসাদ থেকে বের করে আনতে সহায়তা করবে।

আর এ ঘটনার জন্য কে দায়ী,কোন ঘটনার প্রেক্ষাপটে হয়েছে বা এরকম হলে তা হয়ত হতনা এসব ভাবার কোন কারন নেই । কারন এ জীবনে আসার পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত যা কিছু ঘটবে সে সবই এক অদৃশ্য শক্তি বা সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত।যেখানে আমাদের কিছু করার সুযোগ খুবই সীমিত বা নেই বললেই চলে।আমরা শুধু কেবল আমাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে পারি তবে ফলাফল আমাদের আয়ত্তের বাইরে।তাই সেই অদৃশ্য শক্তি বা সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক ঘঠিত ঘটনার উপর এ বিশ্বাস রাখা যে ,এখন যা হয়েছে তার থেকে ভবিষ্যতে আরও ভাল কিছু আমার জন্য অপেক্ষা করছে তা ঈমানের ও দাবী।

আর এ দুনিয়ায় এখনো কিছু ভাল মানুষ আছে ,তাদের জন্যই পৃথিবী এত সুন্দর।অবশ্য সময়-ঘটনা-অবস্থার প্রেক্ষাপটে তাদের প্রতি হয়ত সঠিক আচরন সবসময় করা সম্ভব হয়না তারপরেও তাদের প্রতি ভালবাসাটা ঠিকই থেকে যায় মনের অগোচরে।


২১ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আমি সব সময় কাজের মাঝেই থাকি। তাই দুঃখ নিয়ে ভাবনা চিন্তার সময় নাই। শুধু লিখে লিখে ফেলে দেই।

৩০| ২১ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১২

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম।
কে কি মন্তব্য করেছে তা জানতে।
কে কি মন্তব্য করেছে তা জানার দরকার আছে কি নাই? বলেন?

২১ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হাহাহা কি জানলেন রাজীব ভাই?

৩১| ২১ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৩৪

রানার ব্লগ বলেছেন: সময় কে উপভোগ করতে শুরু করুন, বেদনার ও একটা রঙ আছে ওই রঙ কে আনুভব করুন, সবাই বলে কস্টের রঙ কালো আমি বলি না কালো না কস্টের রঙ বেগুনি, যার যার কস্টের রঙ আলাদা, আপনি আপনার কস্টের রঙ খুজে বের করুন, দেখবেন অদ্ভুত সুন্দর একটা রঙ পেয়ে গেছেন।

হাসুন প্রান খুলে হাসুন, কান্না পেলে হাসুন, রাগ হলে হাসুন দুঃখ পেলে হাসুন, হাসুন। হাসি এমন একটা বিধাতা কর্তৃক অমূল্য নেয়ামত যা মানুষ কে নিমিসেই সুস্থ করে দেয়। তাই বলছি হাসুন, মুচকি হাসি আট্ট হাসি খিলখিল হাসি গা দুলিয়ে হাসি হাত পা ছড়িয়ে হাসি বুঝে হাসি না বুঝে হাসি যে হাসি আপনার হাসতে ইচ্ছে করে ওটাই হাসুন। হাসুন।

২১ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: অনেক হাসি দেখেন। উপরে তাকিয়ে দেখেন।সবগুলো মন্তব্যের জবাবে হা হা হা হা ...

৩২| ২১ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৭

করুণাধারা বলেছেন: ৮ নম্বর মন্তব্য আরেকবার দর্শন করার অনুরোধ রইল। আমি শুভভাইয়া?? X((

২১ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: স্যরি স্যরি নিজের কান ধরে মাফ চাই আপু।

উঠবসও করছি। কিন্তু
সব দোষ পাঁজিটার প্রশ্নতে জ্বালিয়ে
ফালা ফালা করে দিলো কোথা যাই পালিয়ে
যেদিকেতে চলে যাই কিংবা যেদিকে চাই
চারিদিকে শুভ শুভ শুধু দেখি খালি এ ...

৩৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৩

মিরোরডডল বলেছেন:



আহারে আমার আপুটা যে কতখানি মানসিকভাবে ডিস্টার্বড, এটা বোঝা যাচ্ছে যখন ধারাপুকে শুভভাইয়া বলে এড্রেস করছে ।

এই গল্প শেষ করে এবসোলিউটলি ফরগেট এন্ড্ মুভ অন । যে গল্প লিখতে গিয়ে কষ্টের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়, দরকার নেই সেটা লেখার । আমার আপুটাকে আবারও হাসিখুশি প্রাণোচ্ছল প্রাণবন্ত আর হ্যাপি দেখতে চাই ।



২১ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা মিরর আপু ...
না না আমার কিছু হয়নি .....

আসলে তখনটা হয়েছি কি বলি শোনো
লেখা দিয়ে বসতেই ফোন এসেছিলো কোনো
এক দিকে চোখ আর একদিকে কান
মনটা আরেকদিকে নহে মোরে ফান
ভুলভাল হয়ে গেলো চোখে কানে মনেতে
কি দিয়ে কি করিলাম না পারিনু জানিতে
করুনাকে শু দেখি ভ দেখি ধারাটা
ভজঘট লেগে গেলো বেঁজে গেলো বারোটা।:(

৩৪| ২১ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৭

শুভ_ঢাকা বলেছেন: এই গল্প শেষ করে এবসোলিউটলি ফরগেট এন্ড্ মুভ অন । যে গল্প লিখতে গিয়ে কষ্টের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়, দরকার নেই সেটা লেখার । আমার আপুটাকে আবারও হাসিখুশি প্রাণোচ্ছল প্রাণবন্ত আর হ্যাপি দেখতে চাই ।

কবিতা পড়ার প্রহর,

মিরোরডল একদম ১০০% ঠিক কথা বলেছেন। আমারও ধারণা এই গল্প লেখা শেষ করার পর লেখিকার মন ধীরে ধীরে শান্ত হয়ে আসবে। আমি আপনাকে অনেক কঠিন প্রশ্ন করে বিব্রত করেছি। এর জন্য আজ আত্মগ্লানিতে ভুগছি। আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী।

কবিতাটি পড়েছি। খুব সুন্দর লিখেছেন। লেখার আপনার মনের দোদুল্যমানতা প্রকাশ পেয়েছে বলে মনে হল। আমি কখনই কবিতা পড়ি না। বুঝিও না।

আমি কাউকে উপদেশ দেই না কারণ আমি জানি আমার যোগ্যতা। এই কথাটা বলতে আমার অনেক দ্বিধা হচ্ছে। যা আমি পালন করি না। কি করে তা অন্যকে পালন করতে বলি। তারপরও বলবো

গতস্য শোচনা নাস্তি। এবসোলিউটলি ফরগেট এন্ড মুভ অন।

২১ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: না না ক্ষমা নেই ভায়া ক্ষমা করা যাবে না
কি শাস্তি নেবে বলো সাত দিন খাবে না?
মা এসে বলবেন কে দিয়েছে গাল
তাই তো শুভ রাগ করেছে ভাত খায়নি কাল ।


হা হা হা হা


ওকে যাও শাস্তি দিয়ে দেই আরও
ঘন্টা খানেক পরে দেবো আঠারো ..... :)

৩৫| ২১ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা হা সকাল থেকে ক্লাস ক্লাস আর ক্লাস। তারপর গোসল খাওয়া সেরে আর সামুর দিকে ফিরে তাকাতে পারিনি। কারণ আঁকার ভূত মাথায় চেপেছে। তাই বলে বেবির মুখ আঁকছি না কিন্তু

আঁকতেছিলাম পাতা
সবুজ ঝিরিঝিরি শাখায় রোদের মত পাঁতা
হলুষ সবুজ রঙ মিশিয়ে মনের মত করে
আঁকতে আঁকতে হারিয়ে গেলাম মনটা গেলো ভরে
একটু পরে শেষটা হলে তাঁকিয়ে দেখি পাতা
ঠিক হয়েছে দেখতে যেন কিনভুতুড়ে ছাতা.. :(

তারপর মনের দুঃখে সামুতে উঁকি দিয়ে মন্তব্যগুলো পড়ছিলাম। করুনাধারা আপুর মন্তব্য দেখে লজ্জায় জিভ কেটে
তড়িঘড়ি মেরে কেটে
ফেলে ঝেলে ছুড়ে মেরে ছাতা ভূত পাতা
খুলি এসে শিঘগিরি আমা সামু পাতা।

স্যরি স্যরি দুত্তরী আমা দোষ কি
শুভ ভাই চারিদিকে আমি দেখেছি।
বানে বানে প্রশ্নেতে শেষ করে আমাকে
তাই আমি শুভভাই দেখেছিনু তোমাকে।

কান ধরে মাফ চাই আপুমনি লক্ষী
সব দোষ শুভটার আস্ত পাঁজী পক্ষী।

৩৬| ২১ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৩

মিরোরডডল বলেছেন:



তড়িঘড়ি মেরে কেটে
ফেলে ঝেলে ছুড়ে মেরে ছাতা ভুত পাতা


হা হা হা হা......... সুপার ফান আপুটা
ধারাপুর সব রাগ চলে যাবে :)


২১ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: এইটাও ভূতেরই কাজ সেই ছড়া লেখালো
আমি ইহা পারিনাকো সেই মোরে শেখালো।

বলে যা যা শেখ শেখ কেমনে তা লেখে
না পারিস লিখে ফেল শিখে ফেল দেখে...........

৩৭| ২১ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৮

শুভ_ঢাকা বলেছেন: এপোল্যাজি গ্রান্টেড! নাক মলি কান মলি। আমার ঘাট হয়েছে। যাক বাবা বাঁচা গেল। :D

২১ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: পর্ব আঠারো দিয়েছি।

প্রথম পাতা দ্রষ্টব্য......

যদিও ছবি হয়েছে আমার ছাতার মত পাতা
নিজের আঁকা দেখে নিজের খারাপ হলো মাথা
তারপরেতে ছুড়ে রং আর ছুড়ে কাগজ তুলি
বসলাম আমি সামুর পাতা খুলি
হাসতে হাসতে এবার যাচ্ছি ছবির রাগটা ভুলি।

২১ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: শুভভাইয়া আজকের লেখার পড়ার পর মনে হয় হাত নির্বাক হয়ে যাবে।

৩৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪১

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আপু এই পর্ব আমাকে কাদিয়েছে :(

খুবই ভালো লাগলো

২২ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ১৭ থেকেই কাঁদছিলাম।

তবে এই পর্বের লাস্টের মন্তব্যগুলি পড়ো। হাসতে হাসতে মরবে।

২২ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: স্যরি আপু এই পর্ব না। পর্ব ১৮ এর কমেন্টের কথা বলেছিলাম।

২২ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আপু ১৯ ও দিয়ে দিলাম।
২০ এর শেষ পর্ব।

বেশি ঝামেলা করতে চাইনা আর।

৩৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সব্বোনাশ!

এই পর্বেতো দেখি ব্যাথার কালবোশেখি বইয়ে দিলেন!
শক! শক! এনড শক!

প্রকৃতির ঠিক এই খানটায় সব অসহায় হয়ে যায়!
আর বোবা হয়ে যায় নায়িকার মতো!

২২ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হুম ভাইয়া।

আমিও লিখতে গিয়ে শকড ছিলাম। মন্তব্যে এসে আবার হ্যাপী হলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.