নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লোকে বলে প্রথম প্রেমটা বড্ড কোমল\nএলোমেলোযায়না \nভোলা কোনোদিনও\nসত্যি কি তাই

কবিতা পড়ার প্রহর

কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে রাতের নির্জনে

কবিতা পড়ার প্রহর › বিস্তারিত পোস্টঃ

চিলেকোঠার প্রেম- ২০ এবং শেষ পর্ব

২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৫

সেদিন সোনারগাঁ হোটেলের সামনের জ্যামে গাড়ি নিয়ে আটকে আছি। হঠাৎ আইল্যান্ডে চোখ দুটোও আটকে গেলো। আইল্যান্ডে শুভ্র দাঁড়িয়ে। এক হাতে এক তাড়া কাগজপত্র আরেক হাতে জিন্স আর টি শার্ট পরা ২৫/২৬ বছরের হালকা পাতলা গড়নের একটা মেয়ে। খুব সাদামাটা পোষাক ও চেহারার মাঝে আত্মপ্রত্যয়ী ভাস্কার্য্য মুখ। আমার দুহাতের নীচে স্টিয়ারীং থমকে গেলো। চোখ দুটো স্থির হয়ে গেলো। আমি আমার চারপাশ ভুলে গেলাম। শুভ্র আমকে হাত নেড়ে থামতে ইশারা দিয়ে ঐ মেয়েটার হাত ধরে চকিতে রাস্তা পার হয়ে গেলো। ততক্ষনে সবুজ বাতি জ্বলে উঠেছিলো। পেছন থেকে তীব্র জোরে গাড়িরা হর্ণ দিচ্ছিলো। আমি সম্বিত ফিরে পেতে স্টার্ট দিলাম। খুব তাড়াহুড়া আর রোদের মাঝে শুভ্র হয়ত খেয়ালই করেনি যে ড্রাইভারকে ও ইঙ্গিতে থামতে বলে ওর নতুন প্রেয়সীকে নিয়ে রাস্তা পেরিয়ে গেলো, সেই ছিলো তার প্রাক্তন।

শুনলে হাসি পাবে মানে যারা পড়বে এই লেখা তারাও হাসবে একটা কথা জেনে যে অতি সুখ এবং দুঃখ দুটো সময়েই আমার সিনেমার মত পরিস্থিতির সঙ্গে মিলিয়ে গান মনে পড়ে যায়। সেদিনও পড়লো। আমি রাস্তার এক ধারে গাড়ি থামিয়ে ড্যাশবোর্ড থেকে খুঁজে বের করলাম নজরুল গীতির প্রিয় সিডি। তারপর প্লে করে দিলাম। আমাকে দেখতে তখন এক্কেবারের বাংলা সিনেমার পাক্কা অভিনেত্রীর মত লাগছিলো মনে হয়। হা হা ..
গাড়ি চলছে নায়িকার হাতে আর গান বাজছে ব্যাক গ্রাউন্ডে...
পথ চলিতে যদি চকিতে কভু দেখা হয় পরানপ্রিয়....
চাহিতে যেমন আগেরও দিনে তেমনই মদির চোখে চাহিও .....

না শুভ্র আমার দিকে তাকিয়েছিলো ঠিকই কিন্তু মদির চোখে নয়। অচেনা চোখে। আসলে শুভ্র তো এমনই। একটু খামখেয়ালী এবং উদাসীন। চোখের সামনে দিয়ে হাতী গেলেই টের পায় না আর এ তো দুপুরের চোখ ঝলসানো কড়া রোদে গাড়ির স্টিয়ারীং এ বসা কোনো ড্রাইভার মাত্র। কিন্তু মনে পড়লো একদিন শুভ্র বলেছিলো আমি চোখ বুঁজে থাকলেও একটা চোখ সব সময় তোমার দিকে খোলা থাকে। আজ সে কথা ভেবে আমার মুখে স্মিত হাসি ফুটে ওঠে। সাথে অস্ফুট দীর্ঘশ্বাস!
তোমারও বঁধু পাশে যদি রয়, মোরও প্রিয়া সে করিওনা ভয়
কহিবো তারে আমার প্রিয়রে আমারও অধিক ভালোবাসিও......

হা হা কি কঠিন করে কষ্টের কথাগুলি বলে গেলো নজরুল ভালোবেসে বেসে। আচ্ছা জানতে বড় ইচ্ছে করে কবি সাহিত্যকেরাও কি সৃষ্টিকর্তার মত আগে থেকেই সাজিয়ে রাখা জীবন নাট্যশালার জন্য গান আর কবিতা লিখে রাখেন? যাইহোক শুভ্র তাড়াহুড়ায় আর রোদের মাঝে আমাকে খেয়াল করেনি সে আমি নিশ্চিৎ। কিন্ত ওর হাত ধরে রাখা মেয়েটা আমার দিকে ফিরে তাকিয়েছিলো ঠিকই। মেয়েটা কখনও আমাকে দেখেনি কিন্তু মেয়েদের সিক্সথ সেন্স ঠিকই কাজ করে বা হয়ত সে আমার ছবি দেখেছে নিশ্চয়। তাই হয়ত একটু খটকা লেগে গেলো তার। মেয়েটা যে বুদ্ধিমতী ও আত্মপ্রত্যয়ী তা তার চোখ দুটোতেই ফুটে উঠেছিলো। হ্যাঁ এমনটাই হওয়া উচিৎ ছিলো। শুভ্রের সাথে এমন লড়াকু চেহারার একটা মেয়েকেই মানায়। আসলে যে কোনো একদিকের বৈষম্য সব দিকের বৈষম্য টেনে আনতে পারে যে কোনো সময়। আজ তা নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে বুঝে গেছি আমি। ঠিক যেমনটা আমাদের হয়েছিলো। ওর জন্য এই মেয়েটাই সঠিক। একদম পারফেক্ট জুটি। মনে মনে আওড়াচ্ছিলাম.....
আমি কেবল একটি দিন তোমার পাশে তাকে
দেখেছিলাম আলোর নীচে; অপূর্ব সে আলো!
স্বীকার করি, দুজনকেই মানিয়েছিল ভালো
জুড়িয়ে দিলো চোখ আমার, পুড়িয়ে দিলো চেখ
বাড়িতে এসে বলেছিলাম, ওদের ভালো হোক।

বাড়ি তখনও ফিরিনি আমি। ফিরছিলাম আর বার বার অন্যমনস্ক হয়ে পড়ছিলাম আমি। ভাগ্য ভালো এক্সিডেন্ট করিনি সেদিন। বার বার প্রার্থনা করছিলাম শুভ্র তুমি ভালো থেকো। ঠিক তোমার মত কারো সাথে। তোমার মত করেই ভালো থেকো তুমি.....তবুও ....
তবু আগুন, বেণীমাধব, আগুন জ্বলে কই?
কেমন হবে, আমিও যদি ...... সে সব খুব কষ্টের সময়ের কথা ভাবলেও আমার আজ হাসি পায়। কি পাগলটাই ছিলাম আমি। নাহ শুভ্রকে হারিয়ে আমার কোনো বেদনা নেই। বরং এমনটাই হয়ত ভালো হলো। আমার শুধু কষ্ট আছে হারিয়ে যাওয়া দিনগুলোর জন্য। হারিয়ে যাওয়া স্বর্নালী সময়গুলো আমার চোখে ফিরে ফিরে আসে। শুভ্র আমার জন্য যেমনই পারফেক্ট ছিলোনা আমিও তার জন্য না। কিন্তু আমাদের সেই দিনগুলো ...... উত্তাল ভালোবাসাবাসিময় সোনালী সময়গুলো সেসব তো খুব সত্যি ছিলো। তাতে কোনো ফাঁক ছিলো না, কোনো মিথ্যেই ছিলো না......

আমার মাঝে মাঝে খুব মনে পড়ে চিলেকোঠার সেই দিনগুলোর কথা। কি মায়াময় কি অপূর্ব আর কি অপার্থীবই না ছিলো সেসব সময়। সেসব দিনে কোনো অপূর্ণতা, কোনো অপ্রাপ্তি কোনো না পাবার বেদনাই ছিলো না বরং যা ছিলো তাই হাত পেতে আকন্ঠ পান করেছি আমরা। বুকে ধারণ করেছি সেই সূধা। বুক ভরা আশা ছিলো। চোখ ভরা স্বপ্ন। সম্পূর্ণ অজানা অচেনা কোনো পরিভ্রমনে এই পৃথিবীকে নিজের মত করে গড়ে নেবার দুঃসাহসিক যাত্রার শুরু। বিজয় সুনিশ্চিৎ জেনেই পা বাড়ানো। কিন্তু ........

হেরে যেতে হলো? আচ্ছা একে কি হেরে যাওয়া বলে? না মনে হয়। জীবনের সকল প্রাপ্তিই মূল্যবান। একটার সাথে আরেকটা না মেলানোই ভালো। প্রাপ্তি এবং অপ্রাপ্তি এবং কিছু পেয়েও হারিয়ে ফেলা তার কোনোটার জন্যই আক্ষেপ নেই আমার। হ্যাঁ এটা শুভ্রেরই শিক্ষা। তবুও রবিঠাকুরের বাণী মনে পড়ে-
মনেরে আজ কহ যে ভালো মন্দ যাহাই আসুক সত্যরে লও সহজে...... রবিঠাকুরও মুক্তচিন্তা আর ভবিষ্যতের মানুষ ছিলেন। কত কিছু অন্যরকম করে ভেবে গেলেন তিনি যা যুগ যুগ ধরেও আমাদেরকে চালিয়ে নিয়ে যায়। শুভ্রও আমাকে চালায়। আমার ভেতরে যে কোনো বিপদেই যে কোনো ডিসিশনেই আমি দৈববাণী শুনি। শুভ্রের কন্ঠ। শুভ্র আমার পাশে না থেকেও অদৃশ্যে হাত ধরে থাকে। আমার কোনো রাগ নেই, ক্ষোভ নেই, কষ্টও নেই ভাবি কিন্তু শুভ্রের কথা মনে পড়লে আমার খুব কষ্ট হয় যা আমি খুব তাড়াতাড়ি চাপা দিয়ে ফেলি এবং কখনও কাউকে বলি না। যে পথের ঠিকানা আমি মুছে দিয়েছি সে পথে আর ফেরা যায় না। ফেরা হবেও না। ফিরে যেতেও চাইনা...

যদিও শুভ্র আমাকে বলেছিলো জীবনের যে কোনো দিনেই যে কোনো কারণে বা যে কোনো প্রয়োজনে তাকে ডাকলেই সে চলে আসবে আমার পাশে। কিন্তু আমি কখনও তাকে ডাকি না। আমার ইগোর জন্য ডাকিনা তা না। শুভ্রকে ডাকতে গেলেই আমার মনে পড়ে যায় সেই দুপুরবেলা। এক তাড়া কাগজ আর একটি ২৫/২৬ বছরের মেয়ের ছবিটি। খুব তাড়াহুড়ায় শুভ্র আমাকে দেখেনি বটে কিন্তু মেয়েটি আমাকে ঠিকই দেখেছিলো। কিন্তু তাকে আমার বলা হলো না, আমার প্রিয়রে আমারও অধিক ভালোবাসিও.....

একদিন নিজের অগোচরেই আমি চলে গিয়েছিলাম নাখালপাড়ার সেই ছোট্ট চিলেকোঠার বাড়িতে। দূর থেকে তাকিয়ে ছিলাম অনেকক্ষন ইউকালিপটাস আর দেবদারুঘেরা বাড়িটার চিলেকোঠার ছাঁদে। সেই ইউকালিপটাস আর দেবদারুরা আর নেই। সেসব কেটে ফেলা হয়েছে। সেই নীচু জমিটাতে ইট কাঁঠ পাথরে বোঝাই করে রাখা। কিছুদিনের মাঝেই কাজ চলবে মাল্টিস্টোরিড কোনো বিল্ডিং এর হয়ত।

এরপর আমি এক পা দু'পা করে উঠে গেলাম ঐ চিলেকোঠার ঘরে। সেই লোহার রং চটা কড়াদুটো আজও তেমনি আছে। আস্তে করে কড়া ধরে নাড়তেই ঘুম চোখে উঠে এলো একটু গুল্লুগাল্লু আদুরে চেহারার ফুল ছাপ সালোয়ার কামিজ পরা অল্প বয়সী একটা মেয়ে। আমার দিকে জিজ্ঞাসুনেত্রে তাকিয়ে জানতে চাইলো- কাকে চান?
আমি বললাম- এখানে শ্যামা আর শুভ্র নামে কেউ আর থাকে না, না? মেয়েটা বললো, না। আমরা মানে আমি আর আমার স্বামী এখানে আছি প্রায় দু বছর হতে চললো। আমি বললাম ওহ শুভ্রের আরেকটা নামও আছে রুশো। সে বললো না বাবা রুশো টুশো এমন নামও কখনও শুনিনি আমি।

আমি ওর কথা শুনে মানে বলার স্টাইলে হেসে ফেললাম। বললাম, আমাকে এক গ্লাস পানি খাওয়াবে? সে বললো, ভেতরে এসে বসেন।
আমি বসলাম। আসলে আমি চাইছিলাম আমাদের সেই চিলেকোঠায় আরও কিছুক্ষন থাকতে। সব কিছু বদলে গেছে আজ। সেই চিলেকোঠাও বদলে গেছে আমূল। ওদের বিছানা বালিশ, টেবিল চেয়ার, ফুলের টব, বালতি মগ আমার চোখে সেলুলয়েডের ফিতার মত বদলে বদলে যাচ্ছিলো। আজও জানলা দিয়ে ভেতরে পড়েছে পড়ন্ত সূর্য্যের তির্যক আলো। ছাদের একদিকে ছায়া ছায়া বিকেল নেমেছে। আর একটু পরেই রোদ চলে গিয়ে সেখানে নামবে নির্মল সন্ধ্যা। সেই আগের দিনগুলোর মত।

এই সেই ছাঁদ। আমাদের প্রথম রাতে জ্যোস্না ঝরিয়েছিলো। ফুলে ফুলে ভরে তুলেছিলাম আমি ছাঁদের আনাচ কানাচ কিছুদিনের মাঝে। এই মেয়েটাও ভালো মালী। কিন্তু ফুলগাছগুলির জায়গায় সে গজিয়েছে মরিচ গাছ, ধনে পাতা আর টমেটো। মেয়েটা সংসারী, আমার মত অলীক স্বপ্নের ফুলবাগানে বাস করে না সে। অলীক স্বপ্নগুলি আসলে অলীকেই মিলিয়ে যায় আর বেঁচে থাকে বাস্তবতা।

দেওয়ালের যে পেরেকটাতে আমার আর শুভ্রের বিয়ের বড় করে বাঁধানো ছবিটা ঝুলানো ছিলো সেখানে ঝুলছে একটা ক্যালেন্ডার আর তার উপরে তজবীহ। কমদামী একটা টেবিলও আছে ঘরে আমাদের যেমন ছিলো সেসব দিনে। টেবিলক্লথটাতে সুইসুতোর ফুলের কাজ। নাহ মেয়েটা আসলেই সংসারী। ভীষন ভালো একটা সুখী সংসার ওদের। আমাদেরও ওমনই ছিলো। চিলেকোঠাতে যারা আসে সকলেই হয়তো ভীষন সুখী থাকে। অকারণ বাড়তি চাহিদাগুলিই দিনে দিনে আমাদেরকে অসুখী করে তোলে।

আমি ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম ঐ ছাঁদ, ঐ কলতলা, সেই ছোট্ট একরতি রান্নার জায়গাটা। ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখছিলাম রেলিং, কাপড় মেলার পুরোনো তার। রেলিং এর কোনাগুলি শেওলা জমে কালচে হয়ে গেছে। তবুও পরম মমতায় আমি ছুঁয়ে যাচ্ছিলাম সেই শেওলাগুলিই যেখানে আমার আর শুভ্রের ভালোবাসার স্পর্শ লেগে আছে। তবুও সবই বদলে গেছে। এই ছাঁদ, এই কলতলা, এই এক রুমের চিলেকোঠার ঘর, তাদের আসবাব এবং বাসিন্দারা সবাই। সবাই বদলে গেছে। বেশ খানিক সময় পর আমি মেয়েটার থেকে বিদায় নিয়ে বেরিরে এলাম।

রংচটা হাতলহীন সিঁড়িটাতে নতুন রেলিং লাগানো হয়েছে। বেশ খানিকটা নেমে আসার পর মেয়েটা দরজা বন্ধ করে দিলো। আমি ফিরে তাকালাম দরজার। সেই বড় বড় লোহার কড়াদুটোর দিকে তাকিয়ে আমার চোখ জলে ভরে আসলো। সব বদলে গেছে। ঐ চিলেকোঠার বাসিন্দারা, ছাঁদ, কলতলা, আসবাবপত্র সব।

শুধু দরজার বাইরের কড়া দুটো অবিকল তেমনি আছে। যেমনটা সেদিনও ছিলো। ঐ রংচটা রুঢ় কঠিন কড়া দুটি খুব কঠিনভাবে আটকে রেখেছে একের পর এক চলতে থাকা বিভিন্ন নায়ক নায়িকাদের জীবননাট্য বা জীবনের চলচ্চিত্রের গল্পগুলি ঐ চিলেকোঠার বদ্ধ দূয়ারের ওপাশে ......... নির্বাক অনড় অটল বিশ্বস্ততায়........



*** বলেছিলাম এই গল্প শেষে গল্পের পটভূমি এবং সকল পাঠকের সকল উত্তর বলে দেবো। কিন্তু লিখতে গিয়ে গল্পের শেষে এসে মনে হলো গল্পের পিছের নির্মম সত্যি বা বাস্তবতাটা এখুনি বলে দেওয়া উচিৎ হবে না। তবে বলবো অবশ্যই বলবো। খুব শিঘ্রীই......

সবার জন্য রইলো প্রাণ থেকে এক রাশ ভালোবাসা.......

শেষ......

চিলেকোঠার প্রেম -১
চিলেকোঠার প্রেম- ২
চিলেকোঠার প্রেম-৩
চিলেকোঠার প্রেম-৪
চিলেকোঠার প্রেম-৫
চিলেকোঠার প্রেম - ৬
চিলেকোঠার প্রেম- ৭
চিলেকোঠার প্রেম - ৮
চিলেকোঠার প্রেম-৯
চিলেকোঠার প্রেম- ১০
চিলেকোঠার প্রেম- ১১
চিলেকোঠার প্রেম- ১২
চিলেকোঠার প্রেম- ১৩
চিলেকোঠার প্রেম - ১৪
চিলেকোঠার প্রেম- ১৫
চিলেকোঠার প্রেম-১৬
চিলেকোঠার প্রেম-১৭
চিলেকোঠার প্রেম-১৮
চিলেকোঠার প্রেম- ১৯
চিলেকোঠার প্রেম- ২০ এবং শেষ পর্ব


Where do I begin
To tell the story of how great a love can be
The sweet love story that is older than the sea
The simple truth about the love she brings to me
Where do I start
With her first hello
She gave new meaning to this empty world of mine
There'd never be another love, another time
She came into my life and made the living fine
She fills my heart
She fills my heart with very special things
With angels' songs, with wild imaginings
She fills my soul with so much love
That anywhere I go I'm never lonely
With her around, who could be lonely
I reach for her hand, it's always there
How long does it last
Can love be measured by the hours in a day
I have no answers now but this much I can say
I know I'll need her 'till the stars all burn away
And she'll be there
How long does it last
Can love be measured by the hours in a day
I have no answers now but this much I can say
I know I'll need her 'till the stars all burn away
And she'll be there

love story by Shuvo bhaia

মন্তব্য ১০৫ টি রেটিং +১৮/-০

মন্তব্য (১০৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৯

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: শেষ কথাটাই কষ্ট লাগে। পড়তেছি কিন্তু

২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হুম...

কিন্তু সব কিছুই একদিন শেষ হয়ে যায়.....

২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

শেষ করে দিলেন !
কি এমন তাড়া ছিলো বলেনতো?
আর কিছুদিন চললে কিইবা এমন
ক্ষতি হতো? সবেতো মাত্র শীত
পড়তে শুরু করেছে!!

২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: অনেক তাড়া ছিলো ভাইয়া।

মাথার মধ্যে শান্তি ছিলো না..... চিলেকোঠায় পড়ে থাকি .... তায় জীবনযুদ্ধে নানা কাজ থাকছিলো। ডিসেম্বর মাসটা পুরাই ব্যস্ততায় যাবে মনে হলো আর ভাবলাম আমার এি ভালোবাসাময় পাঠকদেরও কষ্ট দেওয়া ঠিক না। তাই একটু কেটে ছেটেই শেষ করে দিলাম। তবে ভয় নাই কাটছাট গুলাও পাবলিশ করবো নে সময় পেলেই.....

আবার আছে প্রশ্নোত্তর পর্ব। পাঠকের কাঁঠগড়ায় নাকি দাঁড়াতে হবে আমাকে। জবাব দিতে হভে সকল প্রশ্নের। সব চাইতে বড় প্রশ্ন এ আমার জীবনী কিনা???


বলেন এই প্রশ্নের উত্তর কত কঠিন যখন লুকিয়েই লিখতে চেয়েছিলাম। :P

৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৪

করুণাধারা বলেছেন: আগেই বলেছি, আপনি গল্প বলতে জানেন! কি করে পাঠকের মন গল্পে আবিষ্ট করতে হয় আপনি খুব ভাল জানেন। চমত্কারভাবে গল্প বলে শেষ করলেন! তবে আমি এইমাত্র ঠিক করলাম, আপনার লেখায় আর নিবিষ্ট হব না। কষ্ট পেতে আমি মোটেই ভালবাসি না! আপনি না হয় পাথরকুচির পাথর, আমি তো তা না!

২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা ঠিক আছে এইবার জলকুঁচি হবো আর কাউকে কষ্ট দেবোনা। হাসাতে হাসাতে যদি না মেরে ফেলি তখন বলবেন আপুমনি।
তখন যেন বলবেন না, না বাবা হাসতে হাসতে আর মরতে চাইনা......

শুভভাইয়া তো চিন্তায় পড়বে সেই পাথরকুচিটা আবার কে রে?

৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৬

করুণাধারা বলেছেন: কবিতাটা কার লেখা?

২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: কোনটা? দেখেছিলেম আলোর নীচে
অপূর্ব সেই আলো?

বেনীমাধব বেনী মাধব তোমার বাড়ি যাবো-

জয় গোস্বামী- মালতিলতা বালিকা বিদ্যালয়
https://www.kobitacocktail.com/মালতীবালা-বালিকা-বিদ্যাল/

২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: দূর আসলো না লিঙ্কটা ......


মালতীবালা বালিকা বিদ্যালয় – জয় গোস্বামী
লিখেছেন- জয় গোস্বামী
বেণীমাধব, বেণীমাধব, তোমার বাড়ি যাবো
বেণীমাধব, তুমি কি আর আমার কথা ভাবো?
বেণীমাধব, মোহনবাঁশি তমাল তরুমূলে
বাজিয়েছিলে, আমি তখন মালতী ইস্কুলে
ডেস্কে বসে অঙ্ক করি, ছোট্ট ক্লাসঘর
বাইরে দিদিমণির পাশে দিদিমণির বর
আমি তখন নবম শ্রেণী, আমি তখন শাড়ি
আলাপ হলো, বেণীমাধব, সুলেখাদের বাড়ি

বেণীমাধব, বেণীমাধব, লেখাপড়ায় ভালো
শহর থেকে বেড়াতে এলে, আমার রঙ কালো
তোমায় দেখে এক দৌড়ে পালিয়ে গেছি ঘরে
বেণীমাধব, আমার বাবা দোকানে কাজ করে
কুঞ্জে অলি গুঞ্জে তবু, ফুটেছে মঞ্জরী
সন্ধেবেলা পড়তে বসে অঙ্কে ভুল করি
আমি তখন নবম শ্রেণী, আমি তখন ষোল
ব্রীজের ধারে, বেণীমাধব, লুকিয়ে দেখা হলো

বেণীমাধব, বেণীমাধব, এতদিনের পরে
সত্যি বলো, সে সব কথা এখনো মনে পড়ে?
সে সব কথা বলেছো তুমি তোমার প্রেমিকাকে?
আমি কেবল একটি দিন তোমার পাশে তাকে
দেখেছিলাম আলোর নীচে; অপূর্ব সে আলো!
স্বীকার করি, দুজনকেই মানিয়েছিল ভালো
জুড়িয়ে দিলো চোখ আমার, পুড়িয়ে দিলো চেখ
বাড়িতে এসে বলেছিলাম, ওদের ভালো হোক।

রাতে এখন ঘুমাতে যাই একতলার ঘরে
মেঝের উপর বিছানা পাতা, জ্যো‍‍‌ৎস্না এসে পড়ে
আমার পরে যে বোন ছিলো চোরাপথের বাঁকে
মিলিয়ে গেছে, জানি না আজ কার সঙ্গে থাকে
আজ জুটেছে, কাল কী হবে? – কালের ঘরে শনি
আমি এখন এই পাড়ায় সেলাই দিদিমণি
তবু আগুন, বেণীমাধব, আগুন জ্বলে কই?
কেমন হবে, আমিও যদি নষ্ট মেয়ে হই?

৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৬

শুভ_ঢাকা বলেছেন: ভীষণ মর্মস্পর্শী।

বলার মত কোন ভাষা আমার নাই। হাত পা কি ঠান্ডা হয়ে আসছে। বুকটা কি একটু ঢিপ ঢিপ করছে।

view this link

২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা না

আর করলেও কি বলবো আমি???

আমি হলাম ভাঙ্গবো তবু মচকাবো না
কাঁদবো তবু দেখাবো না......

গানটা শুনি ...... আহা সেই ভালোবাসা.....


তোমার গানটাই তো আমার গল্পের চাইতেও কষ্ট দিলো আমাকে।

মনে হচ্ছে শুভ্র গাইছে......

ঐ শয়তান মেয়েটাকে শুনাচ্ছে.....

শোন শোন দেখ যে কেমন ছিলো আর কেমন ছিলো আমাদের সেই ভালোবাসা :(

২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: এই গান এড করে দিচ্ছি আমার গল্পে .......

৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৬

আমি সাজিদ বলেছেন: নতুন প্রেমিকাকে নিয়ে রুশো রাস্তা পার হচ্ছিলো আর নায়িকা কি সুন্দর ইমোশনাল হয়ে রুশো বা শুভ্রের মদির চোখের দৃষ্টিকে স্মরণ করলো! কি এক অদ্ভুত অবস্থা। ইগো নিয়ে থাকাই ভালো। এই নাটকবাজ, দ্বায়িত্ব এড়াতে লোক দেখানো খামখেয়ালী ছেলেটাকে মনেই রাখার দরকার নেই নায়িকার। যাই হোক, চিলেকোঠার প্রেম সিরিজটা মিস করবো।

২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ডু নট মিস আবার আসবো..... শুভ্রকে নিয়ে ........

যতদিন বেটা বেঁচে থাকবে........ রক্ষা নাই তার .......

যাইহোক এত রাগ করতে হয় না ....... হি ইজ আ গুড বয়......

একটু শুধু আউলা ঝাউলা কেমন কেমন উদাস বাউল
নয় আমাদের মতনটা ঠিক ......
ধার ধারে না কোনটা সঠিক কোনটা বেঠিক মোদের চোখে
আটকে থাকা যাদের বলে.....
নিজের মনের অনিচ্ছাতেও আমরা চলি এবং বলি
সে চলে তার মনের মত
যাকে ভালোবাসে সে খুব
তাকেও চলায় ঠিক যেমনটা ভালো হত জন্যে তারও......


শুভ্র জানতো শ্যামার সাথে থাকাটা শ্যামার জন্য কষ্টের কারণ হবে। আবেগ দিয়ে ভালোবাসা হয়....... জীবন বা পৃথিবী চলে না .........

তাই সেই ভালো সেই ভালো

আমারে না হয় না জানো ........

৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৪

রানার ব্লগ বলেছেন: আপনার গল্প পড়ে আমি মহা বিরক্ত।

২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা কেনো কেনো কেনো? বলে দিলে খুশি খুশি লিখবো ......

৮| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৯

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কেমন যেন তীক্ষ্ণ কষ্ট বুকে লাগলো :(

জীবন এমন কেনো । হারিয়ে ফেলতে হয় ভালোবাসাও :(

২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ভালোবাসা হারায় না আপু......
ভালোবাসার দিনগুলো হয়ত হারিয়ে যায়......
জেগে থাকে হৃদয়ের সেলুলয়েডের ফিতায়......

৯| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪১

রামিসা রোজা বলেছেন:

জানিনা শুভ্ররা কেন এমন বদলে যায় , কষ্ট লাগলো

২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৯

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: বদলে যেতে হয় ........

১০| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: মানুষ অন্তর থেকে যা চায়, নিবেদন করে তার জোর সাংঘাতিক । সেই জোরকে উপেক্ষা করা যায় না ।

আমি কখনও অন্ধ হবো।
রাত নামলে আমার ঘরে তবু তুমি বাতি জ্বালাবে।
ঘুমুবার আগে আবার ঠিক বাতি নিভিয়েও দেবে।
এইখানটাতে ভাবার বিষয় আছে। ভাবো।

২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ভাবলাম......
ভেবে দেখলাম বাব্বাহ আমি অন্ধ হতে পারবোনা .......

সে হোক আমি বাতি নিভাবো জ্বালাবো নো প্রবলেম....

১১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন, পাঠে মুগ্ধ হলাম I শুভ কামনা ও দোয়া রইলো আপনার জন্য I

২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ নেওয়াজভাই।

১২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: শ্যামা কে? মাহরিনের নামই কি শ্যামা? নাকি এ কথা দ্বারা সে শুভ্র আর মাহরিনের কথাটাই বুঝাইতে চাইল? বুঝাইয়া বলুন।

শেষ পর্বটা বিষাদে ছেয়ে গেছে। শুভ্র চরিত্র যেভাবে দাঁড় করিয়েছেন, সেই কৌশলটায় আপনার মুন্সিয়ানা আছে। বাস্তবে ছেলেরা এমনই হয়, আর মেয়েরাও সম্ভবত মাহরিনের মতোই হয়, বুকে তাদের ক্ষতের জন্ম হয়, বিগত প্রেমিককে ভুলতে পারে না। নইলে স্মৃতিজড়ানো চিলেকোঠায় সে যেত না।

সুন্দর একটা উপন্যাস লিখেছেন। বই আকারে বের করার আগে স্রেফ ব্যক্তিগত কথাবার্তার অংশগুলো মনে করে কেটে দিয়েন।

শুভেচ্ছা রইল মাহরিন প্রহরের জন্য।

২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৯

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: শ্যামা কে? মাহরিনের নামই কি শ্যামা? নাকি এ কথা দ্বারা সে শুভ্র আর মাহরিনের কথাটাই বুঝাইতে চাইল? বুঝাইয়া বলুন।

হাহা হ্যাঁ তাদেরকেই বুঝাইলাম।

শেষ পর্বটা বিষাদে ছেয়ে গেছে। শুভ্র চরিত্র যেভাবে দাঁড় করিয়েছেন, সেই কৌশলটায় আপনার মুন্সিয়ানা আছে। বাস্তবে ছেলেরা এমনই হয়, আর মেয়েরাও সম্ভবত মাহরিনের মতোই হয়, বুকে তাদের ক্ষতের জন্ম হয়, বিগত প্রেমিককে ভুলতে পারে না। নইলে স্মৃতিজড়ানো চিলেকোঠায় সে যেত না।

হ্যাঁ আহা সেই চিলেকোঠা!


সুন্দর একটা উপন্যাস লিখেছেন। বই আকারে বের করার আগে স্রেফ ব্যক্তিগত কথাবার্তার অংশগুলো মনে করে কেটে দিয়েন।
ব্যক্তিগত কথাবার্তার অংশগুলো মানে ঐ যে গান শুনলাম হেন তেন পেনপেনগুলো? ঠিক বলেছেন। ওকে তাই হবে।

এখন খায়রুল ভাইয়ার কমেনট পড়েন ......

আমার জবাবও দেখেন-

২৮. ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২৭০

খায়রুল আহসান বলেছেন: "আমি শুধু জানতাম আমাকে যেতে হবে" - রাইট এন্ড রেস্পন্সিবল রেসপন্স, রাইট ডিসিশন!

বালাদুটো গ্রহণের পর লেখকের মনের মধ্যে খেলে যাওয়া অব্যক্ত কথাগুলো মর্মস্পর্শী; এখন বেশ বুঝতে পারছি, কেন এত অশ্রু গড়িয়েছিল এসব ভাবতে, লিখতে।

আবার, বালাদুটো শুভ্রকে ফেরত দেয়ার সময় উভয়ের ব্যক্ত কথাগুলো সুব্যক্ত, সুবিন্যস্ত। একটি হৃদয়স্পর্শী ট্রাজেডীর সুনিপুণভাবে রচিত উপসংহার, যা সাধারণতঃ বিবেক এর মুখ দিয়ে উচ্চারিত হয়ে থাকে।

এ সিরিজে এ যাবত যতগুলো ছবি/গ্রাফিক্স ব্যবহার করা হয়েছে, তার মধ্যে এ পর্বের শেষের ছবিটি সবচেয়ে বেশি বাঙ্ময়।

গল্প প্রায় শেষ পরিণতির দিকে পৌঁছে গেছে। আমার কাছে গল্পের কিছু প্রধান বৈশিষ্ট্যঃ
* গল্পটি জীবন থেকে নেয়া হয়েছে। আমার কাছে মনে হয়েছে, গল্প লেখার সময় লেখক যথাসম্ভব সত্যনির্ভর ছিলেন, কল্পনাশ্রয়ী কম ছিলেন।
* গল্পটি অত্যন্ত পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে, যদিও গল্পের লেখক অনেকগুলো পর্ব পর্যন্ত অচেনা ছিলেন।
* গল্পটির একটি সার্থক চলচ্চিত্রায়ন হতে পারে। যদি ব্লগার সোনাবীজ কোনদিন চলচ্চিত্র নির্মাণে ব্রতী হন (তার সে যোগ্যতা আছে বলে আমি মনে করি) তবে তার প্রতি অনুরোধ থাকবে এ কাহিনীটি বিবেচনা করার। কারণ গল্পের nuance গুলোর সঠিক বিশ্লেষণ করে সেগুলোকে সঠিকভাবে হাইলাইট করার দক্ষতা তার মত আর কারো হবেনা বলে মনে করি।
* শুভ্র চরিত্রটাকে সম্পূর্ণ সত্যরূপে প্রকাশ করতে লেখক পুরোপুরি সক্ষম হন নাই বলে আমার কাছে মনে হয়েছে। তবে এটা নিছক একটা ধারণা মাত্র, লেখকই এ চরিত্রের স্রষ্টা, তিনিই ভাল জানেন। আমার কাছে মনে হয়েছে, মধ্যবিত্ত বা নিম্নমধ্যবিত্ত ঘরের মেধাবী ছেলে শুভ্র অকারণ এতটা ইরেস্পন্সিবল হতে পারেনা। গল্পটা যদি সত্য ঘটা অবলম্বনে রচিত হয়ে থাকে, নির্মোহভাবে চিন্তা করে লেখক একদিন হয়তো আমার সাথে একমত হলেও হতে পারেন।
* গল্পে প্রেমের নদী ঘন ঘন আচমকা বাঁক নিয়েছে, অসফল পরিণতি পেয়েছে, জীবনের মরুপথে হারিয়ে গেছে, কিন্তু কোথাও কক্ষনো প্রেমের অমর্যাদা হয়েছে বলে আমার কাছে মনে হয়নি।

যে কথা দিয়ে শুরু করেছিলাম, সে কথাটি পুনরায় উল্লেখ করেই আমার মন্তব্য শেষ করছি। সদ্যপ্রয়াত, সদ্যসম্পর্কচ্যূত শাশুড়ির মৃত্যু সংবাদ পেয়ে একা একাই নায়িকার সে বাড়ীতে ছুটে যাবার সিদ্ধান্তের জন্য লেখককে অভিনন্দন! এটা একাধারে দায়িত্ববোধ এবং মানবিকতার পরিচয় বহন করে। ঐ পরিস্থিতিতে খুব কম সংখ্যক নারী এ সঠিক সিদ্ধান্তটি নিতে সক্ষম হতেন/হবেন বলে আমার কাছে মনে হয়েছে।



আমার জবাব-
সোনাবীজভাইয়া যদি কখনও সিনেমা বানায় সেই গল্পে হয়ত লেখিকা নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করতে পারবেনা কিন্তু টাইটানিকের বুড়ি থুত্থড়িটার চরিত্রে পারবে আর ঐ নীলমনি লকেটের মত বালা দুটি ফেলে দেবে জলে........

তারপর চোখ মুদবে। বালার সাথে ভালোবাসা আর জীবন দুই জলাঞ্জলী দেবে ..... হা হা

১৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: 'শেষ পর্ব' দেখে যে কি শান্তি লাগলো! কি বলবো!! বহুদিন ধরে মাথার উপর খাড়ার মতো ঝুলে ছিল এই চিলেকোঠা!!! চিলেকোঠার চিপায় কি একটা ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা! ;)

এখন আস্তে-ধীরে আয়েশ করে পড়বো। দেখি, সম্পূর্ণটা পড়া হলে আবার এসে একটা রিভিউ দিয়ে যাবো নে। আপাততঃ শেষের শান্তিটা একটু উপভোগ করতে থাকি। :P

না পড়েই একটা এডভান্স লাইক দিলাম। অভিজ্ঞ মানুষদের গল্প (???) দারুন না হয়ে কি পারে!!! =p~

২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা রাজকুমার ভাইয়া...

চেনা যাবে না কাউকেই কিন্তু

তাহলে আর লিখবোই না

এই লেখা লিখতে গিয়ে অনেকগুলো প্লট পেয়ে গেছি পাঠকদের কৃপায়...

সবাইকেই দেখতে পাচ্ছি নায়ক নায়িকাদেরকে...

কাজেই আরও লিখতে চাই সময় পেলেই ....

ছায়ার ভেতরে লিখতে চাই ......

১৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



ঢাকার ভুঁইপোড় শ্রেণীর কিছু একটা হয়েছে হয়তো, শ্বাশত বাংগালী মেয়ের হৃদয় দেখছি না।

২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই। অতীব সত্য। সেই আদ্দিকালের বদ্দিবুড়ি শ্বাশত বাঙ্গালী হৃদয় হারিয়ে যাচ্ছে। আপনার এই শ্রেনীর হৃদয়ের খবর জানা নেই।

১৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধুসসস
ইটা কি হলো?

নদী চলতে চলতে যেমন ক্লান্ত হয়ে ভেঙ্গে পড়ে
যেন কোথাও বুঝি..খুব জলদি ছিল--- তেমনি হুড়োহুড়িতেই গড়িয়ে পড়লে সমাপনী ঝর্ণা হয়ে! ;)

প্রথম দিকে মনে হচ্ছিল বুঝি বাংলা মুভিই দেখছি :P হা হা হা

শেষটায় চিলেকোঠায় যাওয়াতে বেশ লাগলো! দু:খ গুলো পৃথক ভাবেই খুবই টাচি
কিন্তু বউচি খেলায় ছোঁয়ার মতো শেষ দৌড়ে যেন ছুঁতে ছুঁতেও ছুঁতে পারেনি!
অনেক মেঘ জমেছিল, ঘনঘটায় গভীর কালো.. কিন্তু ঝুম বৃষ্টির পরশটুকু যেন ইলশেগুড়িতে
আমার না মিটিল সাধ অনুভবে রয়ে গেল ।

হয়তো বাংগিং জাম্পিং ক্লোজিং না হলে তেমনই পেতাম যেমন করে স্বপ্ন এঁকেছিলাম :)

দারুন সিরিজে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
লুকোচুরিটাতো বরাবরের মতোই দারুন শুরু হয়েছিল..
আবার নতুন কোন শুরুর অপেক্ষায়!

++++++

২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা লুকোচুরির কথায় হাসছি। শান্তিতে লিখতে দিলো না বদমাইশটা এসে একটা।

না না ক্লোজিং দরকার ছিলো। এক মাথায় কত্ত আটকায় বলেন?

১৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩২

শুভ_ঢাকা বলেছেন: স্কুলের ফাইনাল পরীক্ষা দিয়ে বিকেলের দিকে বাড়িতে এসে, নিজের ঘরে ঢুকে শরীরটা বিছানায় এলিয়ে দিয়ে নিজেকে যেমন হালকা লাগতো, সাথে এক ধরনের শূন্যতাও অনুভব করতাম, এখন 'চিলেকোঠার প্রেম' এর শেষ পর্ব পড়ে ঠিক তেমনই লাগছে। বিছানায় শরীরটা এলিয়ে দিয়ে ভাবতাম আহা দুই একটা সাবজেক্টে আরও একটু ভাল দিতে পারতাম। চিলেকোঠার প্রেম সম্পর্কেও হয়ত একই কথা খাটে। জঙ্গলে যেমন হঠাৎই করেই জুম করে সন্ধ্যা নামে, চিলেকোঠার প্রেমও ঠিক তেমনি হঠাৎ করেই শেষ হয়ে গেল। আরও একটু সফট ল্যান্ডিং হতে পারতো। কিন্তু না আর নিতে পারছিলাম না। মাথার উপর লোটকে থাকা ঝুলন্ত খড়গটা...... আনবেয়্যারঅ্যাবল ছিল। দুই পর্ব আগে আর পরে যে লাউ সেই কদুই তো হত।

শেষ পর্বের সাথে সব পর্বের লিংক জুড়ে দেওয়াটা ভাল হয়েছে। পোস্টটা দেখতে পরিপাটি লাগছে।

২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: শুভভাইয়া শেষ করে দিয়ে হালকা লাগছে। নয়ত সময় নাই কাজ আছে এসব ভাবতে ভাবতে অস্থিরতায় ভুগতাম।
আজকে রাতের কাজ দুইটা প্রশ্নের উত্তর রেডি করা। একটা কাল রাতে করেছি আজ একটা কাল আরেকটা করবো। শনিবার সন্ধ্যায় প্রশ্নোত্তর পর্ব আছে জীবনের কাজের।

চিলেকোঠার সেই দু একটা পর্ব রিভাইজ করা যেতে পারে। অবশ্যই পারে। আচ্ছা করবো।
মানে গল্পটা ঝুম করেই সন্ধ্যা নেমেছে। এখনও রাত্রী বাকি। দেখি রাত্রীর গল্প এনে ফেলবো তাড়াতাড়ি। এই সপ্তাহে আমি মহা মহা বিজি। শনিবারের পর থেকে ইনশাল্লাহ .....

১৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন:
সময়মতো পড়তে না পারার জন্য দুঃখি। সারাদিন শেষে মাত্র কেবল কামলা দেয়া শেষ হল। গাড়িতে বসে পড়ব আর পড়ে পরে
মন্তব্য করব। এটা হাজিরা হিসাবে গন্য করার অনুরোধ রইল।

২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৯

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ওকে ওকে কামরুজভাই।

এত কষ্ট করে এত বড় নাম আর লিখবোনা ভাবছি।

এখন থেকে কামরুজভাই হয়ে থাকেন।

১৮| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চিলেকোঠার প্রেম কে উৎসর্গীকৃত কবিতাঃ

তোর সংগে স্রোতে ভাসতে যেয়ে
আমাকে কেবল অতলের টানে’ই ডুবতে হয়েছে
নাকে মুখে জলচুবানী ই খেয়েছি আমি।

অথচ দেখ দু’ হাতে আগলে রেখেছিলাম
তোকে ; ডুবসাতরে তুই আনাড়ী !
আর আমি পায়ে পায়ে জলকাটতে পারি তাই।


সবুজাভ ঘাস গালিচার মোহে
আদরে আদরে নেমে আসে এক নীলকন্ঠী পালক করে রেখেছিলাম
মুগ্ধ দৃষ্টির আনত কাজল, কখন শূন্যতা হয়ে থেকে যায় জানিস !!!
লুকানো মেঘফুল বর্ষনে বর্ষনে কখন নুইয়ে রাখে তার প্রস্ফুটন -
সে হাহাকারে দ্বীপ জ্বালাতে পারিস !


তোর আবেগের ফুলঝুঁরি তো ফানুসআলো
রঙমুছলেই এক চিলতে উঠোন-
এক্কাদোক্কা সারাবেলা!


আমিই রইলাম সেই জঙধরা
পুরানো লোহার মত হয়ে।
পা বাড়ালে’ই ক্যাচক্যাচ শব্দনাচন।



জল প্রেয়সী শ্যাওলা আর
বন্যটিয়ার মনের সবুজ হতে
পারলো না রে ......

২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা আসলেই মন বন্যটিয়া.....
অনেক অনেক সুন্দর কবিতা
আর এই পোস্টে উৎসর্গ করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।

১৯| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৫

শুভ_ঢাকা বলেছেন: হলিউড বলিউড ফিল্মে তো অবশ্যই, এমন কি আজকাল টিভি সিরিয়ালের মেকিং নিয়েও এক আধতা এপিসোড করে। এই উপন্যাস লিখতে গিয়ে অনেক ঘটনা লিখার পরও কাঁটা ছেঁড়া করেছেন। যা উপন্যাসে ঠাই পাইনি, তা নিয়েই এক আধটা পর্ব হতে পারে। এতে সফট ল্যান্ডিংয়ের আমেজটা পাওয়া যেতে পারে। তারপর তো আপনাকে Q & A পর্ব ফেইস করতে হবে। হা হা হা্‌....

এগুলো আপনার চিন্তা ভাবনা কি।

দারুণ একটা উপন্যাস পড়লাম। লেখিকা আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। আপনার কল্যাণ হোক। :)

২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ওকে
ডান তাই হবে তাই হবে

Q & A পর্বও হবে
বেঁচে থাকলে সবই হবে।

কিন্তু আমার মাহা ভাইয়া কই?

উনার জন্য চিন্তা হচ্ছে।


দারুন একটা উপন্যাস কিনা জানিনা তবে দারুন সব পাঠক মানে এমনও মন দিয়ে পড়া পাঠক সকল যে এই ব্লগে ছিলো ভুলেই গেছিলাম আমি। লিখতে গিয়ে লেখক ভুলে যায় কিন্তু পাঠক ভুলে না। বাপরে। কম সামলাতে হয়নি আমাকে। হা হা

২০| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: নতুন ধারাবাহিক কখন শুরু করবেন?

২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা
কয়েক সপ্তাহ পর। একটু ব্যাস্ততা কমে যাক।

২১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার গল্পের প্লটটা খুব ভালো ছিল। কিন্তু শুভ্রের চরিত্রটা ভালোভাবে ফুটে ওঠেনি। তাকে ব্যক্তিত্বহীন মনে হয়েছে। নায়িকার তুলনায় শুভ্রের মান অনেক ক্ষেত্রেই অনেক নীচে ছিল। প্রেমের বিয়েতে এরকম হওয়ার কথা না। কিন্তু নায়িকা বারবার বলার চেষ্টা করেছে যে শুভ্র খুব ভালো এবং সে সবার চেয়ে আলাদা। সে সবার চেয়ে আলাদা এটা গল্প পড়ে পাঠকের পক্ষে বোঝা সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। তবে এই ধরণের ঘটনা আমাদের সমাজে অনেক ঘটে থাকে। আপনার শেষের দিকের লেখাগুলি আরও বেশী পরিপক্ক মনে হয়েছে। শুভ্র ছাড়া অন্যান্য চরিত্রগুলি ভালোভাবে প্রকাশ পেয়েছে, যদিও তাদের ভূমিকা কাহিনীতে খুব কম। লেখার কিছু কিছু জায়গায় সংস্কার করে এটাকে আরও আকর্ষণীয় করা সম্ভব। এই ধরণের লেখা সময় নিয়ে লেখা দরকার। লেখিকা অনেক ব্যস্ততার মধ্যে লেখা সত্ত্বেও পাঠককে ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন। তবে আমার মনে হয়েছে ছেলে হিসাবে এই গল্পের মর্ম পুরোটা বোঝা সম্ভব না। মেয়েরা মনে হয় গল্পটা মর্মে মর্মে অনুধাবন করতে পারবে। কারণ ছেলেদের অনেক অনুভুতি মেয়েরা পুরোটা বুঝবে না তেমনি মেয়েদেরটাও ছেলেরা পুরোটা বুঝবে না। আমি ঠিক বললাম কি না জানি না। তবে এটা আমার ধারণা।

২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আসলে গল্পের প্লটটার শুরু ছিলো একটা ঘটনা থেকেই। হ্যাঁ শুভ্রকে ফুটিয়ে তোলা গেলো না। তাকে বুঝতে পারাটাই একটু কষ্টের আসলে।

হ্যাঁ প্রথম দিকে ফান ফান স্টাইলেই লেখা ছিলো। কিন্তু লেখাটার শুরু ফান ফান হলেও মনের গভীরে যে পরিপক্ক দুঃখ বা বেদনাবোধটা ছিলো সেটুকু আসলে এত বেশি প্রগাঢ় ছিলো যেটা ১৭ পর্ব থেকে মন থেকে বের হয়েছে। যার শুরু আসলে প্রথম পর্ব লেখার সময়ই ভেতরে ছিলো। তাই শেষের লেখাগুলো পরিপক্ক কারন সেটার বুকের গভীর থেকে এসেছিলো।

হ্যাঁ ছোট ছোট চরিত্রগুলি ছোট বলেই বেশি করে বুঝাতে চেয়েছিলাম যা শুভ্রকে বুঝানো হলো না। আরও একটা ব্যপার আছে হয়ত মনের কোনে একটু রাগও কাজ করেছে বা শুভ্র এই লেখা নিজে দেখলেও যেন বুঝতে না পারে এমন কিছু কাজ করেছে। হা হা

তাই তাকে ফুটিয়ে তোলা হয়নি।

হ্যাঁ চেষ্টা করবো আরও সুন্দর করে তোলবার।

আমি যখনই সময় পেয়েছি লিখেছি । এমনকি দুই ক্লাসের ফাকে ২০ মিনিট সময়েও লিখেছি। হা হা কত্ত কষ্ট করেছি চিন্তা করেন!

তবে পাঠককে আমি ধরেছি নাকি তারাই উলটা আমাকে আষ্টেপৃষ্ঠে ধরেছে তাই ভাবছি। হা হা কত জেরা কত বকা ঝকা বদনাম!!
এই লেখার প্রাণই ছিলো পাঠকেরা.......

ছেলে হিসাবে বুঝবে না কে বলেছে? শুভ ভাইয়া রাজীব ভাইয়াকে দেখেন। হাহা
অনেক অনেক ধন্যবাদ চুয়াত্তরভাই। আপনারা মিশে থাকবেন আমার এই লেখায় প্রাণ হয়ে।

২২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৮

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: এক কথায় ভালো লেগেছে। আপনার লেখার হাত অনেক ভলো। চালিয়ে যান।

২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: লেখার হাত ভালো?
ভাগ্যিস বাংলা হান্ড রাইটিং দেখেননি।

তাহলেই হয়েছিলো। অনেক ধন্যবাদ। যদিও সেই প্রথমদিন বলেছিলেন সবগুলো পর্বেই থাকবেন। আর আসলেন আজ লাস্ট পর্বে।
একদম ফার্স্ট টু লাস্ট হলো কিন্তু।

২৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৮

আনমোনা বলেছেন: আহারে চিলেকোঠা। কষ্ট লাগছে শ্যামার জন্য। তবে, এরকমই তো হবার কথা ছিলো, তাইনা?

২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আরে আপু তোমার কথাই ভাবছিলাম।
হারিয়ে যাওয়া পাঠক বা লুকি্যে থাকা পাঠকগুলিকে এই গল্প আবার খুঁজে বের করবে।

আমার পাগলা আপা যে কই গেলো?

২৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪০

খায়রুল আহসান বলেছেন: জীবনের সকল প্রাপ্তিই মূল্যবান - কথাটা সত্য। তবে এটাও সত্য যে আমরা 'অপ্রাপ্তি'র কোন মূল্যায়ন করি না। অপ্রাপ্তিরও কিন্তু একটা মূল্য আছে, যেমন আছে পেয়ে হারানোরও।

একহাতে এক তোড়া কাগজপত্র এবং অন্য হাতে সেই 'ভাস্কর্য'মুখির হাত ধরে ত্রস্ত ব্যস্ত শুভ্র'র রাস্তা পার হবার দৃশ্যটা সিনেমাটিক হয়েছে। তার বিপরীতে নায়িকার সাহস করে একা একা সেই নাখালপাড়ার চিলেকোঠাটা আরেকবার দেখে আসার দৃশ্যটা খুবই জীবনমুখি এবং বাস্তবসম্মত হয়েছে। সে সময়ে তার মনের ভাবনা এবং অনুভূতিগুলো অত্যন্ত হৃদয়স্পর্শী এবং জীবন্ত হয়ে ফুটে উঠেছে। সেই বর্ণনাগুলো সাহিত্যমানের দিক থেকেও উন্নত মানের হয়েছে। বিদায় নিয়ে চলে আসার সময় নায়িকার এবং সেই সংসারী মেয়েটার মুখে কিছু সংলাপ জুড়ে দিলে হয়তো তা আরও বাস্তবসম্মত হতো।

শুভ্রকে বুঝানো হলো না (২১ নং প্রতিমন্তব্য) - এ আক্ষেপ হয়তো অনেকদিন রয়ে যাবে, কিন্তু যদি কখনো এই সিরিজটাকে বই আকারে প্রকাশ করতে চান, তখন আরেকবার এফোর্ট দিয়ে দেখতে পারেন, তখন হয়তো পারবেন। এই সিরিজের মাধ্যমে ইতোমধ্যে অসংখ্য পাঠকের সাথে আপনার যথেষ্ট মতবিনিময় হয়েছে। সেগুলোও হয়তো আগামীতে 'শুভ্র' চরিত্রটিকে ঠিকমত প্রকাশ করতে সহায়ক হবে।

সব মিলিয়ে একটা চমৎকার সিরিজের উপর যবনিকা টানা হলো। সময়ই বলে দেবে, এটা কি 'ইন্টারমিশন' এর যবনিকা, নাকি 'দ্য এন্ড' এর। তাড়াহুড়ো করে লেখা আপনার এ সিরিজটা যেভাবে পাঠক টেনেছে, আমার মনে হয় আরও ধীরে সুস্থে লিখলে এর পরিসর আরও বড় হতো। আশাকরি, এ সিরিজের পর থেকে আপনি গল্প লেখায় আরো বেশি আত্মপ্রত্যয়ী হবেন, এবং এ ব্লগের অনেক বিখ্যাত গল্পকারের তালিকায় আমরা আরও একটি নতুন নাম যুক্ত হতে দেখবো। আগামীর সে গল্পকারের প্রতি শুভকামনা....

২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: জীবনের সকল প্রাপ্তিই মূল্যবান - কথাটা সত্য। তবে এটাও সত্য যে আমরা 'অপ্রাপ্তি'র কোন মূল্যায়ন করি না। অপ্রাপ্তিরও কিন্তু একটা মূল্য আছে, যেমন আছে পেয়ে হারানোরও
হ্যাঁ আমারও মনে হয় প্রাপ্তি তো পেয়েই যাওয়া অপ্রাপ্তিই তাই বেশি মূল্য নিয়ে থাকে।

(একহাতে এক তোড়া কাগজপত্র এবং অন্য হাতে সেই 'ভাস্কর্য'মুখির হাত ধরে ত্রস্ত ব্যস্ত শুভ্র'র রাস্তা পার হবার দৃশ্যটা সিনেমাটিক হয়েছে। )
সিনেমাটিক হলেও এ ঘটনা ১০০% সত্যি। শুভ্র বলেনি ঐ মেয়ের কথা। নিজেই জেনে গেলো নায়িকা এভাবেই। শুভ্র কেনো বলেনি তা পরে বুঝেছিলাম। ভাবছি সেসব নিয়ে আরও কিছু লিখে ফেলবো কিনা। কিন্তু গল্প তো শেষ।

( বিদায় নিয়ে চলে আসার সময় নায়িকার এবং সেই সংসারী মেয়েটার মুখে কিছু সংলাপ জুড়ে দিলে হয়তো তা আরও বাস্তবসম্মত হতো।)
ভেরী গুড আইডিয়া। এখনও জুড়ে দেওয়া যায়। কিন্তু সেটা বানাতে হবে। কারণ ঐ মেয়ে তো বেশি কথা বলেনি। নায়িকাও পানি চেয়ে নিজের ভাবনায় মশগুল ছিলো। ঐ মেয়ের কথা শুনবার সময় কই?

অবশ্যই যদি কখনও বই আকারে ইচ্ছা হয় আর কি তবে শুভ্রকে নিয়ে আবার ভাববো। নয়তো পরের কোনো লেখায়...
শুভ্রের পোস্ট মর্টেম না করে ছাড়ছি না। বেটা জ্বালায় মারলো। পুরো গল্পে সেই আমার একমাত্র অক্ষমতা।

(তাড়াহুড়ো করে লেখা আপনার এ সিরিজটা যেভাবে পাঠক টেনেছে, আমার মনে হয় আরও ধীরে সুস্থে লিখলে এর পরিসর আরও বড় হতো।)

ব্লগে তো মানুষই নেই। আর টানবো কাকে? যারা আমার সাথে ছিলো তারাই আমার সব ....

(আশাকরি, এ সিরিজের পর থেকে আপনি গল্প লেখায় আরো বেশি আত্মপ্রত্যয়ী হবেন, এবং এ ব্লগের অনেক বিখ্যাত গল্পকারের তালিকায় আমরা আরও একটি নতুন নাম যুক্ত হতে দেখবো। আগামীর সে গল্পকারের প্রতি শুভকামনা....)

কি গল্প লিখবো ভাইয়া?
যে কোনো কিছু নিয়ে নাকি লাভস্টোরী অনলি?

যাইহোক অনেক অনেক ভালোবাসা আর শুভকামনা। সবাই এই সিরিজে যে ভালোবাসা জানালো তার অবদান কখনও আমার ভোলা হবে না....

২৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৮

ঢুকিচেপা বলেছেন: চমৎকার।

“ সেই ছিলো তার প্রাক্তন।”

২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা তোমার দুষ্টামী আর গেলো না কখনও

২৬| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:২০

শুভ_ঢাকা বলেছেন: সিনেমাটিক হলেও এ ঘটনা ১০০% সত্যি।

খাইরুল আহসান ভাইয়ের মত আমি এটিকে সিনেমাটিক মনে করেছিলাম। ভাগ্যিস উনি প্রসঙ্গটি তুলে ছিলেন। সত্যটা জানতে পারলাম।

ভাবছি সেসব নিয়ে আরও কিছু লিখে ফেলবো কিনা। কিন্তু গল্প তো শেষ।

এখনও লিখা যায়। উল্লেখ করা যায়। অনেক সময় দেখা যায় না, কোন নাটক বা ফিল্মের শেষে আনকাট, আনএডিটেড কিছু দৃশ্য সিনেমা বা নাটকের শেষে জুড়ে দেয়। সে রকমভাবেই এক্সটা বা বোনাস হিসাবে যে নামেই বলি না কেন একটা বা দুইটা পর্ব করে পাবলিক ডিম্যান্ড হিসাবে সিরিজের সাথে সংযুক্ত করা যেতে পারে। তাতে অন্য রকমের আনন্দ পাঠকরা পেতে পারে। অবশ্য সবই লেখিকার ইচ্ছা ও চিন্তা ভাবনার উপর নির্ভর করে।

২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:১৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আচ্ছা ঠিক আছে। তবে থার্সডে নাইট..... হা হা পরদিন ছুটি আছে। কাজেই রাত ৯ টায় এক্সট্রা বোনাস শুভ্রবাবু তারপর কি করেছিলো .......

২৭| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:৪৮

সোহানী বলেছেন: একে একে সবগুলো পর্ব একটানে পড়ে ফেল্লাম। এবং যথারীতি অবাক হলাম ঠিক এরকম থিমে আমার একটা গল্প আছে। যদিও ছোট গল্প হিসেবে।

ভালো লাগলো কেউ যে আমার মতো করে ভাবতে পারে তা জেনে। গল্পটা গত ৩ মাস আগেই মলাটে বন্দীর জন্য অপেক্ষায়।

২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: থ্যাংক ইউ সো মাচ আপু সবগুলো পর্ব একসাথে পড়ার জন্য।
হা হা এই গল্পের থিম বুঝতে নাকি বিজ্ঞানী হতে হয় না। শুভ ভাইয়া মিররডল রাজীব ভাইয়া ঢুকিচেপা আপু সবাই একই কথা বলেছে। এই বৈষম্যের বিয়ের পরিনতি কি হবে সকলেরই জানা ছিলো। তবে ঘটনার নানা চক্রে পাঠকেরা নিজেদের আটকে ফেলেছিলো। হা হা রোজ রোজজ কত উপদেশ কত নিন্দামন্দ। আমি বলবো এই গল্লের সাথে কমেন্টগুলো পড়লে গল্পটা আরও সার্থক হবে।

তবে সব কমেন্টেই শুভ্রের বাারোটা বাজিয়েছে সবাই মিলে। আল্লাহ করে শুভ্র যেন এই লেখা না পড়ে। যদি পড়ে তো শুভ্র টুভ্র এই ছদ্ম নামে কাজ চইলতো না সোজা এসে আমার গলা টিপে দেবে। হা হা হা

যাইহোক মলাটবন্দী ছোট গল্পটাও পড়তেচাই আমরা। অনেক ভালোবাসা..

২৮| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:১৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
শেষ পর্বের ছবি দেখেই বুঝা যাচ্ছে গল্পের সফল সমাপ্তি।

জীবনের রূপ কখনো কখনো এমন হয় দুজন দুদিকে চলে যায়।

তবুও প্রেমের মৃত্যু হয়না, গভীর গোপনে মনের গহীনে বেঁচে থাকে।

সত্য ঘটনা অবলম্বনে রচিত, কিন্তু কার গল্পের নায়ক নাকি নায়িকার, নাকি লেখকের ?

বলেছিলাম আপনি সেফ হলে এই গল্প পাঠকপ্রিয়তা পাবে সত্য হলো ধারনা এবং এই একটি গল্পই আপনাকে ব্লগে বাচিয়ে রাখবে যদি আর পোস্ট না দেন।

আপনি ভাল ছবি আকেন সে আমি জানি? কিন্তু একটা ছবি গল্পে ব্যবহার করতে পারতেন ?

স্কুলতো বন্ধ তবুও ব্যস্ত হয়ে পড়বেন !

২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা একটা ছবি ব্যভার করলেই তো ধরা খেতাম। :P

মানে প্রকাশিত হতে চাইনি তো।

তবে সেইদিন রাতে বাগানের জন্য পাতা আঁকতে গিয়ে যে ছাঁতা এঁকেছি সেটা দিচ্ছি........



ছাঁতা মার্কা পাতাটা আঁকার পর


সেটা আবার ব্যালকনীতে গাছেদের সাথে সাজিয়ে দেবার পর......

২৯| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৪

জুন বলেছেন: শায়মা এন্ডিং টা বড় কষ্টের। আমি সব সময় মিলনাত্মক গল্প ভালোবাসি। বিরহ না পসন্দ। পথ চলিতে,যদি চকিতে গানটা শুনে মনের মাঝে আমারও কেমন কষ্ট জেগে উঠলো । এটাও ছাপিয়ে ফেলো এই বই মেলায়।
অনেক অনেক ভালো লাগা রইলো।

২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: চিনে ফেললে আমি কিন্তু আর লিখবো না এমন গল্প আপু!!! কাজেই চেনা যাবে না... চেনা যাবে না ... :P

আচ্ছা এবার বলি। এই গল্পের সূচনা এমন এক ঘটনা থেকে যখন বিরহ না বলতে গেলে বিচ্ছেদই হলো। যদিও বিচ্ছেদের আগে থেকেই শুভ্রের কথাই ছিলো আজীবন ফ্রেন্ডশীপ থাকবে অটুট অনড়। কথা দিলেও শুভ্র কিন্তু সেটা খুব একটা রাখতে পারেনি। বরং নায়িকামনিই তাকে আজও বন্ধুই মনে করে। যদিও তাকে কোনো কাজে ডাকবে এমন ভাবে না।

এইখানেও শুভ্র রাইট। একটা সম্পর্ক ভেঙ্গে দেবার পরে আর লুতুপুতু থাকলে অযথা কষ্ট বারে বৈ কমে না। বরং এমনই থাকুক সখা এমনি থাকুক.... হৃদয়ের কথাগুলি আড়ালে রাখুক .....

৩০| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪৩

ওমেরা বলেছেন: যাক অবশেষে শেষ হল, আমি এটার অপেক্ষায়ই ছিলাম শেষ পরিণতি জানার । গল্প সম্পর্কে জ্ঞানি জ্ঞানি ব্লগারা অনেক কিছু বলেছেন আমি আর কি বলবো সবার কথাই আমার কথা।

২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: তোমাকে অনেক মিস করছিলাম ওমেরা আপু।

৩১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়ম এই যে, - "যার শুরু আছে তার শেষ ও আছে"।

৩ রা আগস্ট রাত ১১:১৩ মিনিটে যে "চিলেকোটার প্রেমের " গল্প শুরু হয়েছিল তার সমাপ্তি হল ২৩ শে নভেম্বর সকাল ১১:৫৫ মিনিটে।দিনের হিসাবে ১১২ দিন ।আমার মনে হয়,এই ১১২ দিন ব্লগের পাঠক মাত্রই বুদ হয়েছিল চিলেকোটার প্রেমে।নবীন-প্রবীন সবাই উপভোগ করেছে তাদের প্রেম কাহিনী আর উদ্বেগ-উৎকনঠায় থেকেছে এর পরে কি ঘটবে তা নিয়ে।সেই হিসাবে লেখিকা সফল।আর এই সীমিত সময়ে যদিও ভালবাসায় বুদ হয়ে থাকারই কথা ছিল তারপরেও আমরা এই ভালবাসার কোমল রুপ যেমন দেখেছি তেমনি বিচছেদের মত কঠিন কাজও দেখেছি এবং মেনে নিয়েছি।

একটি গল্প-উপন্যাস তখনই সফল হয় যখন এটি পাঠকপ্রিয়তা পায় এবং পড়তে পড়তে কখনো মনে হয়না যে সে গল্প-উপন্যাস পড়ছে । তার মনে এ ধারনাই আসে যে আরে এত আমারই জীবন কাহিনী । মানে গল্পের চরিত্রের মাঝে লেখকের লেখার চমতকার লিখন শৈলিতে ভাবতে বাধ্য হয় লেখার চরিত্রকে নিজের মাঝে ধারন করতে।আর ক্ষেত্রে লেখিকা শতভাগ সফল ।আর অবিশ্বাস্য ও অকল্পনীয় এবং ভাবনার বাইরের চেয়ে সুন্দর একটি গল্প উপহার দেয়ার জন্য লেখিকাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

প্রথম দিকের পুরো লেখা জুড়ে নায়িকার একতরফা অন্ধ ভালবাসার রুপ দেখতে দেখতে বিরক্ত বোধ করলেও শেষ দিকে এসে সেই নায়িকার ই কঠোর কঠিন রুপ দেখে শংকিত বোধ করতাম।নারী যে শুধু কোমল মনের প্রেমিকাই হয় তা নয় কখনো কখনো সে কঠোর কঠিন প্রতিপক্ষের চেয়েও কঠিন হতে পারে তা দেখে রীতিমত আতংক বোধ করতাম। আর পরিশেষে বিচছেদের মাধ্যমে তাদের ভালবাসার যে সমাপ্তি দেখলাম এতে নায়িকার কোমল মনের পাশাপাশি একটি কঠোর কঠিন মনেরও পরিচয় মিলে।এজন্যই হয়ত কথায় আছে , " যে রাধে সে চুলও বাধে"।

অবিশ্বাস্য ও অকল্পনীয় এবং ভাবনার বাইরের চেয়ে সুন্দর এই গল্প লেখিকার চমতকার লেখা,কাহিনী বিন্যাস ও উপস্থাপনের কল্যানেই সম্ভব হয়েছে তার পরেও আমার মনে হয় এতে আর কিছু ঘটনা প্রবাহ সহায়ক ও নিয়ামক হিসাবে ভূমিকা পালন করেছে এ গল্পের সাফল্যের পিছনে। তা আমার ধারনা ।জানিনা লেখিকা বা বাকি পাঠক আমার সাথে একমত হবেন কিনা?

*এই লেখার সফলতার পিছনে আমি লেখিকার বাইরে আরো ২ জনকে ধন্যবাদ দিতে চাই ।তারা হলেন - ১।লরুজন (আশা করি পাঠকরা কেউ লরুজনকে ভুলেনি ) ও ২। সামু পাগলা০০৭ বা পাগলা বহিন কে ।

** লরুজনকে এ কারনে ধন্যবাদ দিতে চাই যে, লরুজন যদি লেখিকাকে উত্তেজিত বা বিক্ষুব্ধ না করত তাহলে লেখিকা হয়ত এত মনোযোগ দিয়ে লিখত না আর লরুজনের বিরক্তকর কাজের জন্যই অধিক সংখ্যক পাঠক এ গল্প তথা লেখিকার সাথে সংযুক্ত হয়ে ,লেখিকাকে তথা তার লেখাকে ভালবেসে তাকে সফল করে তুলেছে।তাই লরুজনের জন্য রইল উষ্ণ অভিনন্দন।

** আর সামু পাগলা০০৭ বহিনের কথা কি বলব!!! তার একটি লাইন-একটি লেখা "সামু ব্লগারদের চলমান কিছু আন্ডাররেটেড রোমান্টিক সিরিজ (প্লিইইই চেক দেম আউট, মিস করবেন না! :) )" ই অনেককে একবার হলেও এই ৩ গল্পে চোখ বুলাতে বাধ্য করেছে ।

আর একই সময়ের এই ৩ গল্পের মাঝে সন্ধ্যা প্রদীপ এর "বুকের ভেতর মৃত নদী" একটি নিটোল প্রেমের গল্প ।তার পরেও অনিয়মিত লেখার কারনে আমার মনে হয় ততটা পাঠকপ্রিয়তা পায়নি বলে আমার মনে হয়।

বিপ্লব০০৬ -এন ইডিয়ট ইন ম্যারিজ - কি কমু। ভাই মনে হয় বিয়া না করতে পাইরে কোমায় চলে গেছে ।তাই পাঠক এটাও মিস করেছে।

***কবিতা পড়ার প্রহর এর " চিলেকোটার প্রেম " -আহা!!! গল্প পড়ে আমার মনে হয় কারোও এমন মনে হয়নি যে তারা গল্প পড়ছে। সবারই মনে হয় তাই মনে অইছে যে , "আরে এত আমারি জীবনের কাহিনী!!! লেখিকা কেমনে জানল আর জাইনা লিখখাও লাইল।

গল্প সেইরম অইছে+++। লেখিকার লেখা সফল...।আর এই সফলতার জন্য সামু পাগলা ০০০৭ বনির জন্য রইল উষ্ণ অভিনন্দন হৃদয়ের গভীর থেকে।

আর সবশেষে লেখিকার জন্য শুধু ভালবাসা ( চিলেকোটার না ) আর অপেক্ষা পরে কোন একসময়ের আবারো এরকম আরেকটি হৃদয় ছোয়া লেখার যা হবে মিলনের ,বিরহের নয় অবশ্যই :P

২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: সকাল থেকেই নানারকম কাজ ছিলো।

এই মন্তব্য পড়ে ভাষা হারালাম ভাইয়া। তুমি যদি লিখতে তো মনে হয় আরও সুন্দর হত। তবে আমার মনের বেদনা কষ্ট বা ভালোবাসা কি কের বুঝতে জানিনা.......
আমিও তো পারিনি ১০০% বুঝাতে ......

ভাইয়া এই গল্প যদি প্রকাশিত হয় তোমার এই লেখা মুখবন্ধে থাকবে সাথে আরও থাকবে যারা যরাা এি গল্প নিয়ে মূল্যবান মন্তব্য দিয়েছিলো। পরে আসবো কোনোদিন সেসব নিয়ে।

আমি সাফল্য পছন্দ করি। সেই জন্য হেরে যাওয়া কাজও আমি করার সময় মন দিয়ে করি। তার জন্য লড়াই করি।

কিন্তু এই লেখা শুধু নিজের জন্যই ছিলো।

তবুও এই লেখার সাফল্যে আমি নিজেকে নিজেই মুগ্ধ হলাম।

কিছু পাঠকের পাগলা ভালোবাসা আমার জামাই পাগলী বউ এর মত তাদের উপাধী দিলাম পাঠক পাগলা .....

৩২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:০৪

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: আগেই বুঝতে পেরেছিলাম এই নিকের অধিকারীনি কঙ্কাবতী রাজকন্যার ভূত!

এর আগেও তুমি কঙ্কাবতী রাজকন্যার ছদ্ম পরিচয়ে গল্পের শেষে কাঁদিয়েছিলে এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। পার্থক্য শুধু এতটুকুই যে এবারের গল্পে বিচ্ছেদটা মেনে নিতে কষ্টটা আগের চাইতে বেশি হচ্ছে। তবে নায়িকার নিখাদ ভালোবাসাটা মনে দাগ কেটে রয়ে যাবে বহুদিন। অনুভূতির বর্ণনাগুলো এত বেশি স্পষ্ট হয়েছে যে পড়তে গিয়ে নিজের আবেগকে ধরে রাখা মুশকিল। অনেকদিন পর কারো লেখা পড়ে আজ আবার বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হলাম। তবুও তোমার লেখা পড়ে এমন বিষণ্ণতায় বারবার আক্রান্ত হতে কখনও বিরক্তি আসবে না।

লিখতে থাকো।

২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা আমি তো ভূত। কিন্তু রাজকন্যার ভূত নাকি?

বাহ বাহ ভেরী গুড!

সেই বিচ্ছেদ আর এই বিচ্ছেদ এক নহে। তবে আরও বিচ্ছেদ জানতে চাও। লরুজন বলে গেছে পাঁচ পাঁচটা হ্যাসব্যান্ড আছে নাকি এই লেখিকার । হা হা নিজেকে দৌপ্রদী মনে হচ্ছিলো অবশ্য। তবে লরুজনের কথা মত আরও ৩/৪টা গল্প লেখা যেতে পারে।

যাইহোক স্যরি বিষন্নতায় ভোগানোর জন্য। তবে এই লেখার সূচনায় আমিও বিষন্নতায় ভুগেছিলাম আর তাই লেখা শুরু হলো।

অনেক ধন্যবাদ সম্রাট শাহজাহান.....

৩৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: কবিতা পড়ার প্রহর,




প্রহরে প্রহরে যে কবিতা পোস্ট করলেন তার সিঁড়ি বেয়ে চিলেকোঠায় এসে দেখি - " ইয়ে জিন্দেগী ঝুটা হ্যায়..." হয়ে গেছে।
এতো কি দরকার ছিলো !!!!! :(
তিন লাইনে এত্তো বড় প্যাথেটিক গল্প না লিখে লিখতে পারতেন এভাবে - " চিলেকোঠায় বসে মনের সুখে ফুচকা খাওয়া হচ্ছিলো দুজনে। ফুটকা শেষ । টাকরায় ফুচকার স্বাদ টাক টাক করতে করতে মুখ মুছে দুজনেই চিলেকোঠা ছেড়ে নেমে গেলুম যে যার পথে।" :P
খামোখা পাবলিককে সারা রাস্তা ঘুরিয়ে পেরেশান করলেন। :|

জীবনটাই এমন । কখন যে কোন পথে ঘুরে ঘুরে মরে !!!

২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা সেই তো.....
এমন করে শুরু হলে এমনই হয় .....
তিন লাইনেই পুরো গল্প শেষ হয়ে যায়। যদিও মাঝে বসে যায় সুখ দুঃখ হাসি কান্নার নদী.....

৩৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২৯

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: লরুজন বলে গেছে পাঁচ পাঁচটা হ্যাসব্যান্ড আছে নাকি এই লেখিকার । হা হা নিজেকে দৌপ্রদী মনে হচ্ছিলো অবশ্য।


বলো কী!!! একটা নয় দুটো নয় একেবারে পাঁচটা!!!! তা এই লরুজন ব্যক্তিটা কে? লোকটাকে ফালতুমীতে কামেল মনে হচ্ছে!!!!

২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ফালতুমীর কি দেখেছো? তাকে দেখলেই বুঝতে। তবুও তার জন্য এই গল্পের পাঠক বেড়ে গেলো। পুরা বিজ্ঞাপন করে মাইক নিয়ে দোরে দোরে ঘুরে বেড়ালো বেচারাটা। আহারে ...তারপর কিনা তাকেই বিদায় নিতে হলো।

জানোই আমি বড় মায়াবতী। আমার মায়া হচ্ছে...

৩৫| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২৬

মিরোরডডল বলেছেন:



শেষ পর্বটা খুবই সুন্দর করে লেখা হয়েছে । মনে থেকে যাবে । একসময়ের সবচেয়ে্ কাছের মানুষকে, ভালোবাসার মানুষটাকে এভাবে পথে অচেনা মানুষের ভিড়ে দেখলে, তাও আবার নতুন সঙ্গীর সাথে, নো ওয়ান্ডার ইটস হার্ট ব্রেকিং । তখন নিমিষেই চোখের সামনে তার সাথে কাটানো সব পুরনো সুন্দর স্মৃতিগুলো মনে পড়বে আর বুকের ভেতর কষ্ট হবে , এটাই যেনো স্বাভাবিক । গল্পের নায়িকাকে এর মধ্যে দিয়েই যেতে হয়েছে ।

তারপরও বলবো যা হয়েছে ভালো হয়েছে কারণ দুদিন আগে বা পরে এই কষ্টটা তাকে পেতেই হতো । যত তাড়াতাড়ি মুক্তি ততই মঙ্গল । সময়ের পরিধি বেশী হলে কষ্টের গভীরতা আরও অনেক বেশী হতো । সো আই’ড সে, ইটস গুড ফর হার টু টেইক রাইট ডিসিশন ইন রাইট টাইমিং ।


২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হ্যাঁ তুমিও ভালোই কঠিন কঠোর লাইক দ্যা নায়িকা মিররমনি। রিয়েলস্টিকও বটে। শুভভাইয়ার আর দেখা নেই। মনে হয় গল্প শেষে পালাবে এমনই প্ল্যান ছিলো ভাইয়ার।

এই গল্পের সাথে সাথে ভাইয়ার কথাও মনে থাকবে অনেকদিন।

তোমাকেও মনে থাকবে। :)

৩৬| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৬

মিরোরডডল বলেছেন:



নাহ! এটাকে কখনোই হেরে যাওয়া বলে না । আমিতো বলবো গল্পের নায়িকা জিতে গেছে ।

কাছে থাকলে যার মূল্যায়ন হয়না, তার কাছ থেকে দূরে থাকাটাই বেটার । মনে রেখো এটা হিউম্যান সাইকোলজি , যে নেই তার জন্যই মন কেমন করে । শুভ্র তাকে ধরে রাখতে পারেনি এটা শুভ্রর ব্যর্থতা । যদি কখনও কারো জন্য মন কেমন করে, তাহলে শুভ্রর কিন্তু তার পাশে থাকা বউয়ের জন্য না, ফেলে আসা স্মৃতি-জর্জরিত এই নায়িকাকেই মনে করবে । মানো আর না মানো এটাই ফ্যাক্ট । কোনও এক পূর্ণিমা রাতে, শীতের ভোরের কুয়াশায়, বৃষ্টি ভেজা দিনে যদি কাউকে শুভ্র মনের অজান্তে খুঁজে বেড়ায়, তবে এই নায়িকাকেই খুঁজবে । কোনও এক গানের মাঝে অথবা কোনও পারফিউমের সুঘ্রাণে যদি কাউকে মিস করে, তবে তাকেই করবে । এটাই প্রাপ্তি, এখানেই ভালোলাগা ।

গল্পটা শেষ হয়েছে, মনে হচ্ছে কি যেনো নেই নেই ! আমাদের শুভটা ঠিক আছেতো ? আড্ডাগুলো মিস করবো ।
তোমার নতুন গল্পের অপেক্ষায় আপুটা ।


২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: না শেষ হয়নি।

আমি শেষ করে দিয়েছি লেখাটা।

গল্পটা এখনও আছে.....

চলছে.....

কিন্তু ব্যাস্ততার কারণে শেষ করে দিতে হলো......

আড্ডা মিস করবো না। আবার একটু ব্যাস্ততা কমুক।

কিন্তু শুভভাইয়া উড়াল দিচ্ছে আকাশে কিছুদিনের মাঝেই। মনে হয় তোমার ওখানেই কোনো ইউনিভার্সিটিতে। সেখান থেকে সময় হলে যাদি না আসে তো আবার গল্প দিয়ে তাকে ফেরানো হবে.......

আমি রূপে তোমায় ভোলাবো না ভালোবাসায় ভোলাবো
আমি মুখ দিয়ে তোমায় ডাকবোনা শুভ ভাইয়া গল্প দিয়ে আনাবো...

৩৭| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৮

মিরোরডডল বলেছেন:



শুভভাইয়ার আর দেখা নেই। মনে হয় গল্প শেষে পালাবে এমনই প্ল্যান ছিলো ভাইয়ার।

এই গল্পের সাথে সাথে ভাইয়ার কথাও মনে থাকবে অনেকদিন।

তোমাকেও মনে থাকবে। :)


শুভ মনে হয় বিরহে আছে । নতুন নিক নিয়ে আসবে হয়তো । বেচারা খুবই সফট হার্টেড ।
এমনভাবে বলছো কেনো মনে থাকবে :(
কোথাও যাচ্ছ না আপুটা । থেকে যাও এই নিকেই ।
ব্যাস্ততা কমলে আবার নতুন গল্প নিয়ে এসো ।
আবার সবাই এভাবে আড্ডা দিবো ।





২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: নেক্সট মান্থে ব্যস্ততা কমাবো। ১৭ থেকে ছুটি আছে।

কিন্তু শান্তি কি আছে? হয় ট্রেইনিং নাও নয় ট্রেিইনিং দাও।

ট্রেইনিং এ ট্রেইনিং এ জীবনটা গেলো.......

এরই ফাকে লিখে ফেলবো। ডোন্ট ওয়ারী......

কোথায় যাবোনা ....... যদি বেঁচে থাকি .......

৩৮| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১১

মিরোরডডল বলেছেন:



কিন্তু শুভভাইয়া উড়াল দিচ্ছে আকাশে কিছুদিনের মাঝেই। মনে হয় তোমার ওখানেই কোনো ইউনিভার্সিটিতে। সেখান থেকে সময় হলে যাদি না আসে তো আবার গল্প দিয়ে তাকে ফেরানো হবে.......

আমি রূপে তোমায় ভোলাবো না ভালোবাসায় ভোলাবো
আমি মুখ দিয়ে তোমায় ডাকবোনা শুভ ভাইয়া গল্প দিয়ে আনাবো...


হা হা হা…… ভালো বলেছো । তোমার গল্প দিয়েই তাকে আবার ফিরিয়ে নিয়ে এসো ।

তোমার এই গল্পটা পড়ে যে গানটা মনে হচ্ছে শেয়ার করলাম । কথাগুলো ঠিক যেনো সেরকম ।

I'm trying so hard to forget you.
And leave the life we had behind.
You're more than just a memory in the past,
You're still a part of me.
So how do I stop loving you?
Forget things that we used to do?
Forget all the dreams that we shared?
And how my life was knowing you cared?







২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: বাপরে!!

তোমার গানটাও শেয়ার দিয়ে দেবো মানে জুড়ে দেবো ভাবছি গল্পে!!!!!!!!

তোমরা দেখছি গানের রাজা রানী বাদশা সম্রাট!!!!!

আমার সঙ্গেও পারবে না যদি রবীন্দ্রসঙ্গীতে আসো। হা হা হা

এত সুন্দর একটা গানের জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা........

২৬ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: মিরর আপু শুভভাইয়ার কথা শুনে ছেটে কেটে ফেলা অংশ নিয়ে পোস্ট দিয়ে আমি এখন মাইরের অপেক্ষায় আছি.... :((

৩৯| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১৫

শুভ_ঢাকা বলেছেন: আবার গল্প দিয়ে তাকে ফেরানো হবে.......

কবিতা পড়ার প্রহর,

ন্যাড়া একবারই বেল তলায় যায়। নাকি বার বার!!! আমি আর আপনার কোন গল্পের খপ্পরে পড়তে চাই না। আমার ঘাট হয়েছে। হা হা হা......

এত সহজে যাচ্ছি না। বিবিসি হার্ড টক কখন দেখেছে।

Q & A আছে না। :D আগে এগুলো শেষ হোক। তারপর বিদায় টিদায়ের চিন্তা করা যাবে।

২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১৯

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ওকে ওকে দেখা যাবে......

ইউ নো আই লাভ সাকসেস........

অসফলতা আমার পছন্দ নহে তাই ছলে বলে কৌশলে আমি তোমাকে আবার আনাবো ভাইয়া.. :P

যাইহোক কাল রাত ৯ টায় সেই কাট ছাট পর্ব আর তারপর রবিবার সন্ধ্যায় প্রশ্নোত্তরের টাইম দিয়ে দেবো ওকে?

৪০| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২৬

শুভ_ঢাকা বলেছেন: কাল রাত ৯ টায় সেই কাট ছাট পর্ব আর তারপর রবিবার সন্ধ্যায় প্রশ্নোত্তরের টাইম দিয়ে দেবো ওকে?

ঠিক আছে।

মিরোরডল,

বন্ধুত্ব এক যায়গায়। আর হার্ড টক আরেক যায়গায়। :D :P কাজেই প্রশ্ন নিয়ে তৈরি থাকুন।

২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: কোনো হার্ড টকেই কাজ হইবেক না সোনামনিরা.....

আমি যেমন তিল থেকে তাল বানতেও এক সেকেন্ড সময় নেবোনা তেমনি তাল থেকে তিল বানাতে আধা সেকেন্ডও না হি হি ......

তবে এই লেখা লেখার সময় সেই সিরিয়াস ম্যুড বা দুঃখ ম্যুড অন হয়ে গেলেই বিপদ....... :((

৪১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৮

শুভ_ঢাকা বলেছেন: কোনো হার্ড টকেই কাজ হইবেক না সোনামনিরা.....

নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়াবো। আবার বক্র প্রশ্ন!!!

আরে ভয় পাওয়ার কিছু নাই। যত গর্জায় তত বর্ষায় না। আমরা মানবিক মানুষ। আমি আর মিরোরডল লেখিকাকে উল্টা পাল্টা প্রশ্ন করে বিব্রত করবো না। তবে অন্যদের কথা বলতে পারবো না। বিশেষ করে সাড়ে চুয়াত্তর ভাই, কামরুজ্জামান ভাই, ঢেকিচেপা, সম্রাট ইজ বেস্ট এদের গ্যারান্টি আমি দিতে পারবো না। :D

২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা সে তো জানাই আছে। তোমরা কত লক্ষী। ওদেরকে আমি দেখবো নে..... নো চিন্তা।

৪২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫১

শুভ_ঢাকা বলেছেন: কবিতা পড়ার প্রহর,

আরে লেখিকা কি সেলিব্রেটি না পাবলিক প্রোপার্টি যে তাকে পাঠকরা (লরুজন) সুযোগ পেলেই রোস্ট করবে। একবার এক ইন্ডিয়ান নিউজ পেপারে না ম্যাগাজিনে কোথায় যেন পড়ছিলাম যে, ইন্ডিয়ান ক্রিকেট প্লেয়ারদের একটা অরিয়েন্টেশন ক্যাম্প হয় ব্যাঙ্গালোরে । সেখানে এনডিটিভির সিইও জাঁদরেল সাংবাদিক প্রণয় রয় প্লেয়ারদের একটা ক্র্যাশ কোর্স করায় কিভাবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের হ্যান্ডল করতে হবে। কোন প্রশ্ন উওর দিতে হবে আর কোন প্রশ্নকে (বাউন্সার) এড়িয়ে যেতে হবে। কাজে Q & A নিয়ে চিন্তার কোন কারণ নাই।

২৬ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:০৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা হা রোস্ট করতে গিয়ে নিজেই কাচ্চি হয়ে গেলো..... এখন মনে হয় পাথর চোখের দৃষ্টি দিয়ে ওপার থেকে আমাকে দেখছে.....আহারে মৃত আত্মাটির জন্য ভালোবাসা.....

ওহ আর কমেন্ট আনসারে আমিই কোর্স করায় দিতে পারবো আমার এসব লাগবেনা.....

যাইহোক টুডে ইজ থার্সডে নাইট...... আসিতেছি রাত ৯ টু ৯ ৩০ তে ...... কাট ছাট প্রজেক্ট লইয়া .....

২৬ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আসো আসো শুভভায়া তোমার জন্য আমার এখন ঝাঁটাপিটা খেতে হবে।

গল্পের পিছের গল্প বলায় সোনাবীজ ভাইয়া ঝাঁটা নিয়ে মাইর দিতে গিয়েও অনেক কষ্টে থেমেছে।

৪৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট টি সরিয়ে ফেললেন কেন?
দুইবার পড়লাম খুব মন দিয়ে।
বিশাল বড় মন্তব্য করলাম। তখন দেখি পোষ্ট টি হারিয়ে গেলো।
খুব রাগ লাগছে।

২৬ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: স্যরি স্যরি..... সোনাবীজ ভাইয়ার বকা খেয়ে সরিয়েছি। লিভ টুগেদার আর শেষ পর্বের পরেও আবার পরিশিষ্ঠ আনায় বকা দিচ্ছিলো আর বকা দিচ্ছিলো তাই সরালাম। হাজার হোক গুরুর কথা কি আমি ফেলতে পারি?

সেই মন্তব্য মনে করে করে আবার লিখেন ভাইয়া.. আমি দেখি আপনিই দা বটি কুড়াল এনেছিলেন কিনা.....

৪৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: একটা পপ্রশ্নের উত্তর দেন, শুভ্রর সাথে আমার এত মিল ক্যান?

২৬ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৯

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হায় হায় কি সর্বনাশ! শুভ্রের মত আপনিও কি ড্যাম কেয়ার কে কি বললো না বললো কিচ্ছু যায় আসে না নাকি?
আপনি বড়ই নরম মনের মনে হয় আমার।

৪৫| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:১৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
গত রাতে আমিও আঁকলাম পতা তবে আপনারটার মত সুন্দর হয়নি। তবু যত্ম করে রেখে দিব।


০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আপনারটা নিঁখুত হয়েছে।

আমারটা ছাতা মার্কা পাতা হয়েছিলো।

এতই ব্যস্ত আছি কিছুই আঁকতে পারছি না। কিছুদিনের মাঝেই আঁকবো ইনশাল্লাহ......

৪৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৩৮

ঢুকিচেপা বলেছেন: ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর আবার চিলেকোঠায় তাল খুলতে এসেছেন ব্যাপার কি ?

১২ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৪৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: তারপর কি হলো তাই নিয়ে জানাবো ভাবছি। জানাবো?

৪৭| ১২ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৪৯

ঢুকিচেপা বলেছেন: ওহো ওটা তালা হবে, দেখতে পাইনি, চিলেকোঠা এমন অন্ধকার যে কিছুই চোখে পড়ে না।
ভাবার কি আছে ? কীবোর্ড নিয়ে শুরু করে দেন।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:০৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা চিলেকোঠায় তাল পড়লে তো ভালোই। তালের বড়া খাওয়া যাবে। বা তাল ছুড়েও মারা যাবে।


কি বোর্ড নিয়ে বসেছি। আসলেই। কত কিছুই লিখি। পাবলিশ করবো কিনা ভেবে পাইনা.......

৪৮| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:১৯

ঢুকিচেপা বলেছেন: ভাবিয়া করিও না, করিয়া ভাবিও... এই কথা কি ভুলে গেছেন ?
ভাবনাটা আমাদের উপর ছেড়ে দিয়ে আপনি পাবলিশ করেন।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৩২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ঠিক আছে তাই হবে। তবে কাল সকালেই পাবলিশ হয়ে যাবে। আর একটু লিখি সারা রাত ধরে। এক পর্বেই সমাপ্ত হোক আজকের লেখা। আবারও কখনও আবারও কোনোদিন...... কথারা জমুক...... লেখারা আসুক....

৪৯| ২২ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:০৯

আরোগ্য বলেছেন: এটাও পড়ে শেষ করলাম। শুভ্র চরিত্রটা বেশ চেনা পরিচিত। বেশ বিচক্ষণ, তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন, সেই সাথে বর্ণচোরা। আর নায়িকা চরিত্র গতানুগতিক বোকা ও অপরিনামদর্শী। শুভ্রর সাথে ঐ মেয়েটার সম্পর্ক পরিস্কার হলো না। আর এতো সময় পার হবার পরও নায়িকার সেই চিলেকোঠায় যেয়ে স্মৃতিচারন অতীতে আটকে থাকার নিদর্শন। এ ব্যাপারটা আমার পছন্দ হয় না যে মানুষ অতীতের তীক্ততা আঁকড়ে ধরে বর্তমানকে বিষিয়ে তোলে। আকাশে মেঘ জমলে বৃষ্টি এসে আবার আকাশটা পরিস্কার হয়ে যায় কিন্তু হৃদয়ে মেঘ জমলে তা অযথাই সারা জীবন বয়ে বেড়ায়। হোক না এক পশলা বৃষ্টি, হৃদয়ের আকাশটা আবার পরিস্কার ঝলমলে হয়ে উঠুক।

বর্তমানে কুফু বজায় না রাখলে জীবনে খাপ খাওয়ানো বেশ কঠিন হয়। এর পরবর্তী অংশ লিখবেন বলেছেন। আছে কি কোন লিংক? B:-)

৫০| ২২ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:১৮

শায়মা বলেছেন: আছে তো !! আছে তো!!!!!!!!!


খুঁজো এর পর!!!:)

অনেক আছে। :)

৫১| ২২ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:১৯

শায়মা বলেছেন: Click This Link


আরোগ্যভাইয়া এইটা পড়ো। :)

৫২| ২২ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:২০

শায়মা বলেছেন: Click This Link

এরপর এইটা :)

৫৩| ২২ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:২১

শায়মা বলেছেন: Click This Link

তারপর এইটা.......

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.