নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লোকে বলে প্রথম প্রেমটা বড্ড কোমল\nএলোমেলোযায়না \nভোলা কোনোদিনও\nসত্যি কি তাই

কবিতা পড়ার প্রহর

কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে রাতের নির্জনে

কবিতা পড়ার প্রহর › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই গল্পের কি নাম দেবো?

১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৪১



আমি সব সময় চেয়েছি শুভ্র ভালো থাকুক। সুখী হোক। ওর সকল চাওয়া পাওয়া এবং সকল অপূর্ণতা পূর্নতা পাক। ও হোক জগতের সবচেয়ে সুখী মানুষ। আসলেইএমনটাই চেয়েছিলাম। এখনও চাই। হয়ত বাকী জীবনও এটাই চাইবো। আর তাই সারাটাজীবন ওর পা্শেই থাকতেই চেয়েছিলাম আমি। শুভ্রের চাওয়াটাও একই রকম ছিলো। কিন্তু তা হলো না । বিঁধি বাম। আসলে মানুষ চায় এক হয় আরেক। ভাবে একরকম হয় অন্যরকম। এসব তেমন অস্বাভিক কোনো কিছু নয়। জীবন নামে এই নাট্যশালায় এমনই সব নাটকের জন্ম হয় রোজ রোজ কত শত হাজারে হাজারে লাখে লাখে। শুধু সেসব কোনো মঞ্চে বা পর্দায় অভিনী্ত হয় না।

চিলেকোঠার সেই দিনগুলোকে আমার চলচ্চিত্র বা স্বপ্নে দেখা কোনো অবাস্তব দৃশ্যের মতই মনে হয় আজকাল। এসব যে আমার জীবনে কখনও ঘটেছিলো আমার তা বিশ্বাসই হতে চায় না আর। মনে হয় অনেকদিন আগে দেখা মনে গেঁথে যাওয়া কোনো এক প্রিয় ম্যুভি এর দৃশ্য বা কোনো প্রিয় গল্পের বই এর মাঝে লিখে রাখা মনে থেকে যাওয়া ঘটনাবলী। মাঝে মাঝেই কারণে অকারণে প্রায়ই আমার সেসব দিনের নানা ঘটনাগুলো মনেও পড়ে যায়। আমার মন খারাপ হয় না। যেমন কোনো নাটক বা সিনেমার দৃশ্য থেকে অতি বাস্তবের সাথে মিলিয়ে ফেলে কাঁদি আমরা বা কোনো অকারণ কোনো হাসির দৃশ্যেও হেসে ফেলি ঠিক তেমনই এই স্মৃতিগুলি আমাকে কাঁদায় হাসায়। আবার চকিতে মিলিয়েও যায়।

সেদিন সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে দেখলাম এক নতুন দম্পতি রিকশা করে শপিং সেরে বাড়ি ফিরছেন। বুঝাই যায় নতুন বিয়ে হয়েছে ওদের। হাসি হাসি সুখী চেহারার একটি অল্প বয়সী মেয়ে। হাতে মেহেদী, গলার সোনার সরু মালা, এলোখোঁপা পড়ে রয়েছে ঘাড়ের উপরে। ভারী মিষ্টি চেহারা। স্বামীটিও সুদর্শন সাদাসিদে চেহারার। বউটার হাতে মানে কোলের উপর ধরা একটি গ্যাসস্টোভ আর স্বামী বেচারা একগাদা প্লাস্টিক এলুমিনিয়ামের গামলা পাতিল নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। রিকশাটা জ্যামে আটকে ছিলো। আমার নজর পড়লো সেদিকে। এত কিছু নিয়ে হিমশিম খাবার মাঝেও কি নিয়ে যেনো হাসিতে গড়িয়ে পড়ছিলো বউটা। এই অতি সুন্দর দৃশ্যটা দেখেও আমার বুকের মাঝে অলখে একটা ছোট্ট নিশ্বাস পড়লো। নাহ ওদের সুখী দেখে নয়। নিশ্বাসটা পড়েছিলো বুঝি শঙ্কায়। এমনই কত স্বপ্ন আর সাধ নিয়ে শুরু হয় কত মানুষের নতুন জীবন কিন্তু নিয়তির করাল গ্রাসে বা নিজেদেরই চাওয়া পাওয়ার দোলাচলে ছিড়ে যায় সেই সুখের বাঁধন। মনে মনে প্রার্থনা করলাম সুখে থাকুক ওরা।

মনের ফ্লাশব্যাকে ভেসে উঠলো চিলেকোঠার সেই ছোট্ট এক কামরার একটি সন্ধ্যার কথা। সেদিন আমরাও কাওরান বাজার থেকে এমনই সব হাড়ি বালতি আর নতুন গ্যাসস্টোভ নিয়ে হিমশিম খেতে খেতে ফিরেছিলাম। সেই খেলা খেলা নতুন এক রত্তি কামরা আর সামনের ছাঁদটুকু সাঁজিয়ে তুলতে আমাদের সে কি আপ্রাণ চেষ্টা ছিলো। নানা রকম ফুলের গাছে ছাঁদটা প্রায় ভরে ফেলেছিলাম ঐ কটা দিনেই।
ঐ এক রতি কামরাটি কমদামী আসবাবে সাঁজিয়ে তুলতে আমাদের চেষ্টার ত্রুটি ছিলো না। সেই যেন ছিলো আমাদের স্বর্গরাজ্য। কোনো দুঃখ কষ্ট আর অভাবই স্পর্শ করেনি আমাদেরকে যেন সেই চিলেকোঠার দিনগুলোতে।

কিন্তু তারপর। চাওয়া আর পাওয়ার মাঝে দ্বিধা দ্বন্দের শুরু। কিন্তু সব কিছুর পর আমার আজ নিজেকেই দায়ী মনে হয়। মনে হয় শুভ্রকে তার পাশে থেকে বন্ধুর মত মন নিয়ে যে সাহায্যের হাতটুকু বাড়ানো উচিৎ ছিলো আমার, আমি মনে হয় সেটা একেবারেই করিনি। বরং দিন দিন বিরক্তই হয়ে উঠেছিলাম ওর খামখেয়ালী উদাসীন জীবন যাপনে। শুভ্রের জন্যও সে সময়টা হয়ত সঠিক ছিলো না। একজন স্ত্রী বা সন্তানের দায়িত্ব নেবার মত মানসিকতা গড়ে উঠবার আগেই সব শেষ হয়ে গিয়েছিলো।

খুব আবেগী ও বাস্তবতা বিবর্জিত আমিও ছিলাম কি তখন? মাঝে মাঝেই নিজের কাছে এ প্রশ্নটাও করি আমি। উত্তর খুঁজে পাইনা। সকলেই বলবে অবশ্যই তাই ছিলাম নইলে কথা নেই বার্তা নেই হুট করে ওমন করে কেউ চালচুলোহীন একটা ছেলের সাথে চিলেকোঠার ঐ এক কামরায় গিয়ে ওঠে? কথা ঠিক। তবে আমার মনে হয় বাস্তবতা বিবর্জিত আমি কোনোকালেই ছিলাম না। আসলে সেটা ছিলো আমার নতুন এক বাস্তবতাকে মেনে নেবো বলেই সেই পথ চলাটার শুরু। নতুন এক অন্য জীবনের হাতছানি। যাকে ভালোবাসি তার সাথে সকল দুঃখ কষ্ট ভাগাভাগি করে পাশে থেকে লড়াই এর ইচ্ছা। কিন্তু ঐ যে মানুষ ভাবে এক হয় আরেক। তাই হলো.....

তবে যাই হোক বলছিলাম সেই মহানন্দময় এডভেঞ্চার থেকে ক্রমে বিষাদে পরিনত হওয়া আমাদের সেই গল্পটা আমাকে আর এখন দুঃখ দেয় না। শুধু যেন মনে গেঁথে যাওয়া কোনো প্রিয় গল্পের বই বা কোনো ভীষন পছন্দের ম্যুভি যা অভিনীত হয়েছিলো কোনো একদিন কোনো এক আমার হারিয়ে যাওয়া জীবনে এমনই মনে হয় আমার। শুধু শেষদিনের সেই দৃশ্যটাই আমাকে মাঝে মাঝে কাঁদায়। এমনকি আমার স্বপ্নেও ফিরে ফিরে আসে। সেই পড়ন্ত বিকেলের ছায়া ছায়া ঘরটার মাঝে শুভ্র আর আমার শেষ সিদ্ধান্তের কথপোকথন। আমাদের শেষ বিদায়ী চুম্বন। ঘুমের মাঝেও ডুকরে কেঁদে উঠি আমি। ঘুম ভেঙ্গে যায়। সেইসব মাঝ রাতে আমি বারান্দায় গিয়ে বসি। সেসব রাতগুলোতে আমার ঘুমই আসেনা আর।

এত তিক্ততা নিয়ে শেষ হবে এই সম্পর্কটা কখনও ভাবিনি আমি। আমাদের কখনও ঝগড়া হয়নি। কেউ কাউকেই কটু কথাও বলিনি কখনও। তবুও আমাদের বিচ্ছেদ হলো। তিক্ততাটা আমার মনের মধ্যেই গড়ে উঠেছিলো। শুভ্র সেটা বুঝতে পেরেওছিলো। কিন্তু আমি শুভ্রের ব্যবহারে কখনও তারতম্য দেখেিনি। তবুও শেষ পর্যন্ত আমাদের একসাথে থাকা হলো না। কিন্তু শুভ্র তার কথা রেখেছে। সেই শেষদিনে বলে যাওয়া কথাটা। এই জীবনে আমাদের মাঝে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কটা শেষ হয়ে গেছে বটে তবে বন্ধুত্বটা যেন নষ্ট না হয় কখনও সেই ছিলো শুভ্রের চাওয়া। সেই বন্ধুতের জায়গাটা আজও আছে তবে কোথায় যেন একটা বাঁধা। কোথায় যেন একটা কাঁটা।

শেষ পর্যন্ত ভালো একটা চাকুরীতে ঢুকেছে শুভ্র। খুব কম হলেও যোগাযোগ হয় ওর সাথে এখনও আমার। তবে হ্যাঁ নিজে থেকে সে কখনই আমাকে আর ভালো মন্দও জিগাসা করে না। জানিনা কি ভেবে। তবে আমি কখনও মেসেজ বা ফোন দিলে উত্তর দেয়। আগের চাইতে অনেকটাই থিতু হয়েছে মনে হয় আমার ওকে। চাকুরীতে মন দিয়েছে। লাইফস্টাইলটাকে বদলাবারও চিন্তা ভাবনার করছে আজকাল। আমার সাথে খোলামেলা্য আলোচনা হয়েছে কিছুদিন আগে। বাসা থেকে ওকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছে। ওর এই ছন্নছাড়া একাকী জীবনে যেন আর কোনো ভুল মানুষ না আসে সেই ব্যপারটা নিয়ে খুবই চিন্তিত ওর পরিবার পরিজন। ওদের চেনাজানার মধ্যেই মেয়ে দেখছে তারা।

আমিও এমনভাবেই ওর সাথে কথা চালিয়ে যাই যেন ব্যপারটা খুবই সহজ কিছু। একজন বন্ধু ঠিক যেভাবে আলোচনা করে এই ব্যপারে ঠিক তেমনই। মেয়ে মোটামুটি ঠিক করাই আছে। তবে শুভ্রকেই কনফিউসড লাগে আমার। মনে হয় আমাদের ঐ বিয়েটা এবং তার পরবর্তী মেয়েটার সাথে বিচ্ছেদ তাকে নিজের উপরেই কনফিডেন্স হারিয়ে ফেলতে বাধ্য করেছে। মেয়েটার নাম জলমোতী। আজকের দিনে এমন সেকেলে নামেরও মানুষ আছে জানতাম না আমি। তবে সেকেলে হোক আর যাইহোক নামটা কিন্তু দারুন। অনেক দ্বিধা ও দ্বন্দ নিয়ে খুবই স্বাভাবিকভাবে জানতে চাইলাম কেমন দেখতে মেয়েটা? ছবি দেখাবে? হা হা মাঝে মাঝে নিজের উপর হাসি পায় আমার। যত বড়াই করিনা কেনো কিছু কিছু শ্বাসত মেয়েলীপনা বা কৌতুহল ছাড়তে পারিনা আমি। ঠিকই ইচ্ছে হলো দেখি তো কেমন সেই মেয়েটা? আমার চাইতেও কি বেশি সুন্দর বা অন্য কিছু!

শুভ্র ছবি দেখালো সাথে সাথেই । কি মিষ্টি আর প্রানচাঞ্চল্যে ভরপুর মেয়েটার চোখের তারা। ভীষন আহলাদী আর আদুরে মনে হলো ওকে দেখে। ফের বুকের মাঝে সেই চাপা দীর্ঘশ্বাস চেপেই বললাম বাহ! খুব সুন্দর তো মেয়েটা। মনে হচ্ছে খুব সংসারী মেয়ে। শুভ্র কিছু বললো না। শুধু বললো, জানিনা কি করবো? আমি বললাম, একে বিয়ে করো শুভ্র । মেয়েটা অনেক ভালো মনে হচ্ছে। আর তাছাড়া অতীত অভিজ্ঞতা থেকে তোমারও নিশ্চয় কিছু অর্জন আছে। শুভ্র কোনো কথাই বললো না। নিশ্চুপ রইলো।

আমি বললাম, শুভ্র যাই বা না যাই আমাকে কিন্তু দাওয়াৎ দিতে ভুলোবে না। খুব খারাপ হবে কিন্তু তাহলে। শুভ্র হেসে উঠলো। বললো আচ্ছা দেবো।

শুভ্র আমাকে ওর বিয়ের কার্ড পাঠিয়েছে। কিন্তু জানতে চায়নি আমি যাবো কিনা। জানিনা আমি নিজে যেচে না বললে এ কার্ড সে আমাকে পাঠাতো কিনা। মনে হয় না। সে যাইহোক আমি সেই দাওয়াৎ পত্রের দিকে চেয়ে থাকি। আমার চোখ নিজের অলখে জলে ভরে ওঠে। আমার চোখে ভাসে আমার মৃত শ্বাশুড়ির মুখখানা, আমার অদেখা হারিয়ে যাওয়া সন্তানের মুখটিও। ভেবে দেখেছি খুব দুঃখের দিনে আমার এই দু,জনকে খুব মনে পড়ে যায়। শৈলীকেও মনে পড়ে আমার। ওর খুব ভালো ঘরে আর বরে বিয়ে হয়েছে। সে আজকাল গিন্নীবান্নী মানুষ। বাবাকেও তার সাথেই নিয়ে রেখেছে। আমার খুব ইচ্ছে করে শৈলীর সাথে একটু কথা বলি। ফোনটা হাতে নিয়েও স্থবির বসে থাকি আমি। আমার মনে হয় শৈলীর আমার উপরে বড় অভিমান। কখনও সে আর আমার সাথে যোগাযোগের কোনো চেষ্টাই করেনি। আমার মনে পড়ে আমার সদাই হরিস শ্বশুরমশায়ের মুখখানা।

আমার খুব ইচ্ছে করে আরেকটাবার ফিরে যাই সেই মায়াময় বাড়িটিতে। যেই বাড়িটির মৃত্তিকা উঠোনের শীতল স্পর্শ অনুভব করি পায়ের তলায়। চোখে ভাসে ফুলে ভরা শিউলী তলা আর তার ডালে বসা বউ কথা কও পাখিটার ডাক আমার কানে ভাসে। কি এক মায়া ঘিরে থাকে আমাদের চারপাশে তাইনা ! নিজেকেই প্রশ্ন করি। সেই শুনশান মায়াঘেরা বাড়িটির ক্ষনিক পাওয়া স্নেহ ভালোবাসার জন্য মন উতলা হয় আমার। কিন্তু কোনো কিছুই করা হয়ে ওঠে না। কোনোভাবেই আর ফিরে পাওয়া যায় না। শুধু আমার চোখে জল ঝরে। যেন কোনো প্রিয় চলচ্চিত্রে দেখা কোনো দৃশ্য অভিনীত হয় আমার দুচোখের পাতায়।


শুভ্রের বিয়েতে আমি যাইনি। যাওয়াটা অবশ্য খুবই অস্বাভাবিক আর অশোভন হত। ওর আত্মীয় স্বজনদের মাঝে এমবারেসিং পরিবেশের সৃষ্টিও হত এ কথা তো বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু সেদিন সারাটাদিন আমর মন পড়েছিলো সেখানেই। ওখানে কি হচ্ছে না হচ্ছে সবই নিজের মনের কল্পনায় গড়ে চলেছিলাম আমি। শুভ্রের সাথে আর কোনো যোগাযোগ হয়নি এরপর। আমি বহুরাতে শৈলীর ফেসবুকে তন্ন তন্ন করে খুঁজে বেড়াই বিয়ের ছবিগুলি । কিন্তু আমাকে হতাশ করে দিয়ে একটি ছবিও খুঁজে পাইনা সেখানে শুভ্রের বিয়ে সংক্রান্ত। শুভ্রও কোনো ছবি দেয়নি তার নিজের ফেসবুকে। শুভ্রের পাগড়ীপরা বা বর সাজা ছবি তো আমি দেখিনি। খুব দেখতে ইচ্ছে করে আমার ওকে ঐ সাজে। আর এমনটাও না আমাকে হাইড করে শুভ্র ছবি রাখবে ওর ফেসবুকে। শুভ্রের স্বভাবের সাথে এমনটা যায়ই না।

যাইহোক কয়েকদিন পর শৈলীর ফেসবুকে পেয়ে গেলাম শুভ্রের বর সাজা ছবি। সাথে নতুন বউ। ওদের দুজনকে পাশাপাশি দেখে খুব অন্যরকম এক অনুভূতি হচ্ছিলো আমার। অনুভুতিটা খুব গোলমেলে। এতদিন একভাবে চেনা ও জানা শুভ্র যেন এই বিয়েটার সাথে সাথেই বদলে গেছে। ওর চেহারা থেকে শুরু করে বডি ল্যাঙ্গুয়েজ বসবার বা দাঁড়াবার ভঙ্গি, চোখের চাউনি সবই অচেনা এখন আমার কাছে। সত্যিই শুভ্র যেন সেই মূহুর্তটি থেকে আমার কাছে অচেনাই হয়ে গেলো......

কয়েক মাস কেটে গেছে। নতুন জীবন নিয়ে শুভ্র বড় ব্যাস্ত এখন। সে আমার সাথে আর যোগাযোগের কোনো চেষ্টা করেনি আগের মতই। তবুও আমি জানি আমি ডাকলেই সাড়া দেবে শুভ্র। খুব স্বাভাবিক বন্ধুর মত আচরনও করবে। কিন্তু আমি আর ওকে ডাকি না.......

একই ছাদের নীচে থেকেও চেনা হলো না যাকে....
তখন না হয় বাকী জীবনেটাতেও সে অচেনাই থেকে যাক ........
অন্য কারো ভূবনে, অন্য কারো হয়ে, অন্য কোথাও, .......
কোনো এক জলমোতীর চোখের পাতায় ......

হ্যাঁ গল্পটার নামটা হওয়া উচিৎ ছিলো হয়ত - জলমোতীর মালা...... তাই না??

এত জল ও কাজল চোখে পাষানী হানলে বল কে ???

কে দেবে তার উত্তর?

শুভ? সোনাবীজভাই? নাকি মিররডল?

নাকি খায়রুলভাই/ মা হাসানভাই/ সাড়ে চুয়াত্তরভাই/ ঢুকিচেপা / আনমোনা/ সামু পাগলা/ মাইদুলভাই/ ছবি আপু/ করুণাধারা আপু/ নুরুভাই/সাজিদ/রানারভাই/ রামিসা/রাজীব নূর/ নেওয়াজ আলী/ ভূয়াভাইয়া/ আখেনাটেনভাইয়া/ভৃগুভাইয়া/ চাঁদগাজীভাই/ হাসুভাই/
সোহানীআপু/ মনিরা আপু/জুন আপু/ সম্রাট ভাই/আহমেদ জি এসভাই/কলাবাগানভাই/ স্থিতধী/ইসিয়াকভাই/নিয়াজ সুমনভাই/ বি এম বরকতুল্লাহভাই/অধীতি/ ওমেরা এবং আরও কে কে ?

যাইহোক নিশ্চয় কামরুজ্জামানভাই জানেন......

মন্তব্য ৬৪ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৬৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:১১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: বনি, প্রথমেই ধন্যবাদ অনেক অনেক দিন পরে লগ ইন করার জন্য।

আমি কি কমু। তয় কবি বলেছেন,"বড় প্রেম শুধু কাছেই টানেনা , অনেক সময় দূরেও ঠেলে দেয়"।

আর বিচছেদের জন্য মারামারি-ঝগড়া জরুরী নয়।যখন দুটি মনের মাঝের তাল-লয়-সূর কেটে যায় তখন দুটি মানুষ কাছাকাছি কিংবা একছাদের নীচে - এক বিছানায় থাকলেও তা মনের দিক থেকে কোটি কোটি মাইল দূরের।

আপনি আবারো ভালবাসার (চিলেকোটার) বেলাভূমির নুরি-বালু খুড়ে খুড়ে পুরনো ভালবাসা মনে করিয়ে দিয়ে নিজেও ব্যাথার সাগরে অবগাহন করছেন আর আমাদের ও মনে করিয়ে দিচছেন সেই অমোঘ সত্য বাণী,"ভিন্ন হলেই ছিন্ন হওয়া যায়না বা হয়না"

আসলে অনেক অনেক চাওয়া ছিল শুভ্রের সুখী-সুন্দর দায়িত্বপূর্ণ জীবন । তবে আমরা চাইলেই হবেনা তাতে অদৃশ্য কেউ একজনের চাওয়াও মিলতে হবে।তবেই আমরা পেতে পারি সুখী-সুন্দর জীবন। আর ভাংগা-গড়া দুনিয়ার এক প্রতিষ্ঠিত নিয়ম। কাজেই যে সম্পর্ক ভেংগে গেছে তাকে আকড়ে ধরে রাখা বা প্রতিনিয়ত তা মনে করে হৃদয়ের রক্তক্ষরণ ও কাম্য নয়। কারণ এ দুনিয়ায় "সমস্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তবে সর্বজনীন নয়"। কিছু জিনিষ হারিয়ে গেলে আর ফিরে পাওয়া যায়না । আর এগুলোর মাঝে মানুষের মন সবচেয়ে আগে চলে আসে। করো মন যদি একবার কোন জিনিষ বা কারো উপর থেকে উঠে যায় শত সহস্র চেষ্টা করার পরও তা আর আগের অবস্থায় ফিরে আসেনা।

যে গিয়েছে ,সে গিয়েছে।তাকে নিয়ে আবার/বার বার আলোচনা শুধু কষ্টই বাড়াবে কোন সমাধান বা ভাল কোন কিছু নয়।

সবশেষে, "নামে কিবা যায়বা আসে" ।আর তাইত কবি বলেছেন,"বৃক্ষ, তোমার নাম কি? বৃক্ষ বলে, নামের প্রয়োজন কি? ফলেই পরিচয়"।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:২০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: তাইলে ফলের নাম কি হবে কামরুজ্জামান ভাই?

চিলেকোঠার চিলেফল মাকি জলমোতীফল?

২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:২৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবার কেন প্রশ্ন? মুই যামু কনে?

যা ছিল তাই ভাল । " চিলেকোঠার প্রেম " - এতেই বুদ হয়েছি ভালবাসার পাগলামীতে তথা কিছু অপার্থিব ভাললাগায় এবং এতেই পেয়েছি হৃদয় ভংগের বেদনাও।

যার শুরু এবং শেষ যাকে ঘিরে তার আর পরিবর্তন বা অদল-বদল বা পরিবর্তিত আকার-আকৃতি কিংবা নামকরন কি খুব জরুরী?

১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৩৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: তবে নামহীনই থাকুক এ গল্প! :)

৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:২৯

রোকসানা লেইস বলেছেন: শ্রভ্রর জন্য মায়া ! নিজের জন্য কি তা হলে অবহেলা ?

১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৩৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা না তা নয়। তবে শুভ্রের জন্য মায়া এবং তাকে বুঝি অবহেলা করা হলো এই নিয়ে মর্মবেদনা.....

কিন্তু বাস্তব বড় কঠিন.... :(

৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৩৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বিরহের গল্প আমার ভালো লাগে না। যদিও এসবই জীবনের অতি স্বাভাবিকতা, তারপরেও........!!

গল্পটার নাম, সেইদিন, আমার অন্যরকমের দিন হতে পারে। দিনগুলো তো অন্যরকমেরই ছিল। তাই না!!!

১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৩৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: বিরহের গল্প হলো শেষে কিন্তু সূচনাতে কি কখনও বিরহ থাকে!

৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:২০

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: বিরহের গল্প আমার ভালো লাগে না। যদিও এসবই জীবনের অতি স্বাভাবিকতা, তারপরেও........!! -২

:(

মানুষ বড় অদ্ভুত, অদ্ভুত মানুষের মন। একসাথে নাই বা থাকা হলো, কিন্তু একসাথে থেকেও তো কাউকে কাউকে চেনা যায় না । আমাদের জীবন বড় গোলমেলে

অনেক দিন পর আপনার গল্প পড়ে ভালো লাগলো আপি। প্লিজ যা ইচ্ছে লিখে পোস্ট করবেন তাহলে ভাববো আছেন আমাদের মাঝেই কাছেই

১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৩৯

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আমি তো এখনও মাঝেই আছি। মরে গেলে আর কোথাও থাকবো না ....

যা ইচ্ছে লিখি কিন্তু ড্রাফ্টেই থেকে যায়। পোস্ট করা হয় না।

৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৪৫

শুভ_ঢাকা বলেছেন: কবিতা পড়ার প্রহর,

নামে কি আসে যায়। what's in a name? কামরুজ্জামান ভাইয়ের কমেন্টটা আমার খুব ভাল লেগেছে। এইভাবে নিয়ত মনের ভিতরে অন্তক্ষরণের শেষ কবে। সত্যিকার অর্থেই move on হওয়া যায় না। নাকি তুমি নিজেই এই স্মৃতির আবর্ত থেকে বেরিয়ে আসিতে চাও না। আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে শুভ্রর পর নায়িকার জীবনে কেহ আসেনি। যে শুভ্রের শূন্যতা বা ক্ষত ভুলিয়ে দিতে পারে।

সোনাবীজ ভাইয়ের খুড়্গ মাথার উপর নিয়েও কায়দা করে যথারীতি খুব ভাল লিখেছো।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:৩৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা সত্যিই এই গল্পের নাম নেই কোনো। এটা শুধুই আমার অবজারভেশন...... নিজেকে এবং শুভ্রকে নিয়ে এখনও ভাবনাটা।
শুভ্র হয়ত জানেই না আমৃত্যু আমি তার পিছু ছাড়ছি না....... তার পুরো গল্পটা যতখানি পারি জানতে চাই....... লিখবো কতদিন জানিনা ......
এটা অন্তক্ষরণ কিনা জানিনা তবে
শ্যায়ানের গান আছে না এক হারিয়ে যাওয়া বন্ধু..... শুভ্র তো আমার মনের উপরে গভীর রেখাপাত করা এক বন্ধু ছিলো। সেটাই সবচাইতে বড় পরিচয়.......

হ্যাঁ স্মৃতির চর্চ আমার অবসরের এক বিনোদনও বটে...... অথবা দুঃখবিলাস.....

হ্যাঁ সেটা নিয়েও লিখবো..... তবে অন্য ব্রান্ডের প্যাকেটে....... খুব শিঘ্রীই হা হা

সোনাবীজভাইয়ার জন্য তো পরিশিষ্ঠ আজও ড্রাফ্টে লুকিয়ে রেখেছি......

০৫ ই মে, ২০২১ দুপুর ২:৫১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আরও দুপর্ব লিখে বেশ কিছুদিনের বিরতি নেবো ভাবছি।

গল্পগুলো জমা হোক। সময়ে সময়ে এসে আপডেট জানিয়ে যাবো।

আজ কালকের মধ্যে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে লেখা নিয়ে আসছি।

০৫ ই মে, ২০২১ দুপুর ২:৫৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে শুভ্রর পর নায়িকার জীবনে কেহ আসেনি। যে শুভ্রের শূন্যতা বা ক্ষত ভুলিয়ে দিতে পারে।<<<<<<<<<<<<<<<<<<<< এই পর্বটা না হয় কোনো এক কঙ্কাবতী লিখবে।

কাজেই আর একটি পর্বের পর শীতনিদ্রায় যাবো।

অবশ্য কবিতা আপা কবিতা নিয়ে আসতে পারে। তবে এ লেখার কনটিনিউয়েশন নহে।

৭| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৫০

শুভ_ঢাকা বলেছেন: *খড়্গ

১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:৩৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: খড়্গ তোমার আরও মনোহর লাগে বাঁকা বিদ্যুতে আঁকা সে ........

বলো এটা কোন রবীন্দ্র সঙ্গীত থেকে নেওয়া এই লাইন .......

৮| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:৪৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: শায়মা :P (কবিতা পড়ার প্রহর ) বনি,

যদি একান্তই নাম পরিবর্তন চান ,তাহলে " সে আছে হৃদয়ে সংগোপনে " - এ নামকরণ কেমন হয়?

এ পাগলের প্রলাপ !!! ভূলে যাওয়া বা তা বিবেচনা না করাই ভাল।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:৪৯

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ঐ ভাইয়া

বলছিনা

চিনে ফেললে আমি কিন্তু আর লিখবোনা।

লজ্জা লাগে না বুঝি আমার!!! :P


এই নামটা তো ভালোই কিন্তু তারপরেরটার নাম কি দেবো?

৯| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:৪৮

রানার ব্লগ বলেছেন: চিলেকোঠার গল্প।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:৫০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হ্যাঁ কনটিনিউয়েশন অব চিলেকোঠা...

মানে ঠিক কনটিনিয়েশন না ...... গল্পের পরের গল্প আর কি .......

সব মিলিয়ে চিললেকোঠার গল্প নাম দিলেই সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।

১০| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:০২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আমিও পড়লাম শাহেদ জামাল গোবেচারা মানুষটার গল্প!!!

১১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:০১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গল্পটা খুব মনোযোগ দিয়ে পড়েছি। শুরুতেই বলে নিই, কমেন্টগুলো ও রিপ্লাই এখনো পড়ি নি, পরে সময় করে পড়বো।

প্রথমত- এটাকে গল্প হিসাবে যদি বলি, তাহলে 'চিলেকোঠার প্রেম' উপন্যাসের পর্যালোচনা বলা যায়।

দ্বিতীয়ত, গল্পের নায়িকা মাহরিনের আগের বিবাহিত জীবনের একটা সুন্দর পর্যালোচনা, বিচ্ছেদ-পরবর্তী জীবনের অনুভূতি, মানসিক অবস্থা, খুব সুন্দর ভাবে উঠে এসেছে। মাহরিনের ভাবনাগুলো খুব বাস্তবসম্মত। একজন সুশিক্ষিত, বিবেকবোধ সম্পন্ন নারী এভাবেই সবসময় চিন্তা করে থাকে।

আমি আগেও বহুবার বলেছি, শুভ্র'র উদাসীনতা সত্ত্বেও শুভ্র চরিত্রটাকে আমার কাছে সর্বাবস্থায়ই ভালো লেগেছে। আমার বৈশিষ্ট্য যে শুভ্র'র মতো, তা না। ব্যক্তিজীবনে আমি খুব একরোখা, আবার খুবই নিরীহ, এবং জেদি। শুভ্র'র সাথে আমার নিজ বৈশিষ্ট্য না মেলা সত্ত্বেও তাকে আমার ভালো লাগার কারণ হলো আপনার লেখনিশক্তি। শুরু থেকেই গল্পের আবহ এবং চরিত্রগুলো এত সুন্দরভাবে গড়ে তুলেছেন যে, আমি নিজেই যেন একেকটা চরিত্রের ভেতর ঢুকে গেছি। আমার ভালো লেগেছে শুভ্রর বাবার চরিত্রটা। এ চরিত্রটা বাবা হিসাবে পুরোপুরি আমার ভেতরে বাস করে। আমার ছেলের বউ, মেয়ের জামাই, সবার সাথে যে আমি এমন আচরণই করবো, এবং আমার আন্তরিকতা এরকমই থাকবে, তাতে কোনো দ্বিধা নেই।

শাশুড়ির মৃত্যুর প্রসংগটা, অদেখা ছেলেটার কথা যেখানে লিখেছেন, ঐ অংশটা খুব করুণ ও বিষাদময়।

প্রায় ১৮-২০ বছর আগে আমার খুব নিকটাত্মীয়া একবার একটা গল্প লিখে দিতে বলেছিলেন, যার সাথে এ গল্পের অনেক মিল আছে। আমি তার গল্প লিখি নি, কিন্তু তা থেকে আমার মাথায় অন্য একটা প্লট ঘনীভূত হচ্ছে অনেক আগে থেকেই। সব প্লটই গল্প হচ্ছে, সেই প্লটটি লেখা হয় নি আজও।

সব গল্প লেখা হয় না। যে গল্পটি লেখা হয় নি, সেটিও হয়ত কেউ একজন একদিন লিখে ফেলবেন।

শুভ্র'র এই অংশটা বিষাদ ছড়িয়েছে অনেক। স্মৃতিচারণে রোমান্টিসিজম ঘনীভূত হয়েছে যেমন, তেমনি তা বেদনারও সঞ্চার করেছে।

সব গল্প শেষ হয় না। এ হলো সেই গল্প - যে গল্প কখনো শেষ হয় না। গল্পটা শেষ হবে সেদিন, যেদিন গল্পের মানুষটা আর থাকবে না। শুভ্র'র আরো অনেক গল্প আসবে। সেই গল্প আরো সুখপাঠ্য, সাবলীল হবে, এই প্রত্যাশা।

শুভ কামনা মাহরিনের জন্য। শুভ কামনা প্রহরের জন্য।


১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:০৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ঠিক তাই।

এ গল্প জীবনের শেষ দিন পর্যন্তই চলবে।
এখনকার দিনে যোগাযোগ না থাকলেও চাইলেও কে কোথায় কেমন আছে জেনে নেওয়া আসলে তেমন কঠিন নয়......

শুভ্রের বাবাকে নিয়েও লিখবো একদিন........ উনাকে নিয়েও লেখার ছিলো অনেক কিছুই। এই পর্বে আনতে পারিনি......

১২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:৩৬

ইসিয়াক বলেছেন: মনটা কেমন যেন বিষন্ন হয়ে গেল। আসলেই কত সহজেই যে পর হওয়া যায়।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:৪০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: কিন্তু আপন হওয়া বড় কঠিন ......

১৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:



গল্পের নাম,"রংধনু"।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:৫৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: কেমনে! 8-|

কেউ যদি নামাকরণের সার্থকতা জিগাসা করে কি বলবো ভাই?

১৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৫:৫৮

শুভ_ঢাকা বলেছেন: "চিলেকোঠার গল্প" নামটা আমারও পছন্দ হয়েছে। তুমি কি একটা নতুন ধারাবাহিক লেখতে শুরু করলে যা এক ধরনের "চিলেকোঠার প্রেম" এর কন্টিনিউয়েশন। কন্টিনিউয়েশন হোক বা নাই হোক নতুন ধারাবাহিক হলে অনেক আগ্রহ নিয়ে পড়বো।

না। এই রবীন্দ্র সংগীত আমি শুনিনি।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: না নতুন ধারাবাহিক লিখছি না। মাঝে মাঝে আপডেট লেখা ডায়েরী টাইপ আর কি .....

আচ্ছা রবীন্দ্র সঙ্গীতটা একটু পরে এসে দিচ্ছি...

১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: এই নাও গানটা..... রবিঠাকুরের প্রেমের গানের অনবদ্য গানখানি

১৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:



লেখক বলেছেন, " কেমনে! 8-| কেউ যদি নামাকরণের সার্থকতা জিগাসা করে কি বলবো ভাই? "

-উত্তর সোজা, বলবেন যে, চাঁদগাজী দিয়েছে।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা হা থ্যাংক ইউ উত্তর বলে দেবার জন্য। :P

১৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৫৯

শুভ_ঢাকা বলেছেন: আরে এই রবীন্দ্র সংগীত তো আগে আমি অনেকবার শুনেছি। কিন্ত গানের lyrics এর মধ্যে যে ঐ বাক্যটি ছিল, তা আমার জানা ছিল না।

যাই হোক আগামীতে "চিলেকোঠার প্রেম" গল্পের কিছু extended ঘটনা ডাইরিতে লেখা আকারে নিয়মিত পোস্ট হিসাবে পাবো, এই প্রত্যাশা কি করতে পারি। বস্তুত এই গল্পের পরবর্তী অধ্যায় সম্পর্কে জানার ব্যাপারে আমার কৌতূহল আছে।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:০৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: মনে হয় পারো। আমারও কৌতুহল আছে। শুভ্র জীবন চরিত ঠিক কিভাবে যায় সেটা যতদিন পারি দেখতে চাই আর মাঝে মাঝে লিখতেও চাই।
তবে লেবু যেমন বেশি কচলে তিতা হয় এই পেন পেনানী কি হবে কে জানে?

১৭| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৩৭

মা.হাসান বলেছেন: আমাদের গেছে যে দিন
একেবারেই কি গেছে
কিছুই কি নেই বাকি?


বাকি না থাকাই ভালো। দু জনের কষ্ট মেনে নিয়ে দূরে থাকাটাই নিরাপদ; না হলে কষ্ট ভোগকারি লোকের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। তা কারো কাম্য হওয়া উচিৎ না।
প্রথম প্রেম ভোলা কঠিন। মেয়েদের জন্য মনে হয় আরো অনেক গুন বেশি কঠিন। কিন্তু বাস্তব মেনে নেয়াই ভালো। আর 'বন্ধুর মতো থাকবো' এটা বাস্তব সম্মত মনে হয় না। নিজেকে শুভ্রর নতুন পার্টনারের জায়গায় রেখে চিন্তা করলে হয়তো নায়িকার চোখে পড়বে। এক্ষেত্রে খলিল ভাইয়ের ১১ নম্বর মন্তব্যের সাথে কিছুটা দ্বিমত করতে হলো।

শুভ্র মনে হয় কিছু হিন্টস দিয়েছিলো। সরাসরি বলতে পারার গুনটা আমাদের কালচারে কম দেখা যায় । সরাসরি বললে অনেক সময়ে কিছু বিচ্ছেদ এড়ানো যায়।

আপনাকে অনেক দিন পর দেখে খুব ভালো লাগলো। কোথায় হারিয়ে গিয়েছিলেন? ব্লগে থিতু হবার অনুরোধ রইলো।

আপনার জন্য একটা গান-

১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৪৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হারিয়ে আর যাবো কই মা হাসান ভাই? আপনাদের ছেড়ে কি যেতে পারি? আমি তো আছি আপনাদের সামনেই।

বন্ধুর মত থাকবো এটা আজকালকার দিনে হয়ত কঠিন না। আমি অবশ্য সেকেলে কিন্তু শুভ্র ভবিষ্যতের মানুষ। সে যা পারে আমরা তা অনেকেই পারিনা। অনেকবার বলেছি কেউ মানতেই চায় না।

আমার মনে হয় বন্ধুর মত থাকা যেত যদি না অন্য কেউ এর মাঝে এসে যেত। নাহ তাই তো আর ডাকিনা..
ডাকবো না ডাকবোনা ওমন করে বাইরে থেকে ডাকবো না ......
পারি যদি অন্তরে তার ডাক পাঠাবো আনবো ডেকে......

এইবার যাই গানটা শুনে আসি।

১৮| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৫১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: এই গান কে লিখে রেখেছিলো আমার জন্য মা হাসান ভাই!

১৯| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:১৪

মা.হাসান বলেছেন: গানটা টেইলর সুইফট, জাস্টিন ভারনন (বন ইভ্যার-এর লিড সিঙ্গার) আর জো অ্যালউন মিলে লিখেছে, প্রথম দুজন গেয়েছে, শেষের জন্ টেইলরসুইফটের প্রেমিক।
এক্সাইল ভালো লাগলে এভারমোর-ও মনে হয় ভালো লাগবে--

১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:২২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: একটা গানের পিছে এক একটা গল্প থাকে। এত জানা কথাই।

মনে হয় হারিয়ে যাওয়া প্রেম থেকেই এই গান.......

এই গানটাও শুনে কাঁদবো নাকি!

২০| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৩৪

মা.হাসান বলেছেন: ধনী-গরিব, সাদা-কালো, অল্প শিক্ষিত-বেশি শিক্ষিত- সব অনুভুতি সম্পন্ন মানুষের বেদনার মাঝে একই সুর পাবেন। আর টেইলর সুইফট বা যে কোনো সেলিব্রেটির ক্ষেত্রে মনে হয় কষ্টটা আরো কিছুটা বেশি, কেনোনা সেলিব্রেটিদের বিচ্ছেদ বা খারাপ খবরও অন্যদের জন্য বিনোদন।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৪৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হায় হায় সে আবার কাকে দা নিয়ে তেড়ে গেলো!

২১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: বাঙ্গালী মেয়েরা মনে হয় পৃথিবীতে সবচেয়ে দুঃখী।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৩৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: মায়াময়ও.....

২২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:২৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: গল্পের নাম হতে পারে 'চিলেকোঠার নতুন যুগল'। তবে শুভ্রর যা স্বভাব, তার এই তিন নম্বর বিয়ে কতদিন টেকে সেটা আগে দেখতে হবে। আর নায়িকার 'কাবাব মে হাড্ডি হওয়ার দরকার নাই'। নায়িকারও বিয়ের ব্যবস্থা করেন যেন তাকে চোখের জল আর নাকের জল এক করে জীবন পার না করতে হয়।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৪৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা বিয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

নায়িকার জীবন এই ব্রান্ডে লিখলে চলবে???

নাকি অন্য ব্রান্ডে নেবো সেই দোটানায় পাবলািশ করা হচ্ছে না ......

২৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:১৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: গল্পটার নাম হতে পারে “জলমোতির মুখে হাসি, চপলার চোখে জল”!

১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৪৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা ভাইয়া ঠিকই চপলা আবার শয়তানের লাঠি আছে কোনটা জল আর কোনটা শয়তানী হসি ভাবছি.....

২৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:০৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আপনার গল্প লেখার হাত পাকা

১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:৪৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: থ্যাংক ইউ নেওয়াজভাই

২৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৫১

ঢুকিচেপা বলেছেন: ভালোবাসার চিতায় চিলেকোঠা

আপনার এই গল্পের জন্য শিল্পী মমতাজ অনেক আগে গান গেয়েছেন, “বন্ধু যখন বউ লইয়া ......” আর বলতাম না।

“বউটার হাতে মানে কোলের উপর ধরা একটি গ্যাসস্টোভ”
এই জায়গাতেই শুভ্রর সাথে সবার পার্থক্য।
শুভ্র নিজের কোলে গ্যাসস্টোভ রেখে তার উপর বউটাকে বসিয়ে টাইটানিকের মতো দু’হাত মেলে রিক্সায় যেত।


যা বলছি, এই গল্পসহ প্রতিটি পর্ব সামান্য এডিট করে বই প্রকাশ করতে পারেন। আমি একটা বই কিনবো আগাম অর্ডার দিলাম।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৫৯

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা কিনতে হবে না ভাইয়া।

আমি যদি কোনোদিন বই বানিয়েই ফেলি এটা দিয়ে তো সবার আগে বইটা ঢুকিচেপা আপুর ঠিকানায় যাবে। :)

২৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৩২

খায়রুল আহসান বলেছেন: এ সিরিজে আমি গল্পের নায়ক শুভ্রকে ভালই পেয়েছি। আমরা সবাই দোষে গুণে মানুষ, তবে তার বড় ধরনের কোন দোষ আমার চোখে ধরা পড়েনি। যেটুকু অপূর্ণতা কিংবা অসামঞ্জস্য ছিল, সংসার করতে করতেই তা কাটিয়ে উঠা যেত বলে মনে করি। এটা হতে পারে লেখকের উদারতার কারণে, কিংবা তার গভীর ভালবাসার কারণেও। তিনি হয়তো শুভ্রকে এর চেয়ে বেশি খারাপ বানাতে চান নি, তাই পারেন নি।

ছবিটা সুন্দর এবং অর্থবহ।

শুভ্র ও জলমোতির জন্য শুভকামনা!

১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৪৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আর লেখিকার জন্য শুভকামনা হবে না ভাইয়া?

২৭| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:১৪

করুণাধারা বলেছেন: দুই দিন হয়ে গেল এখনও গল্পের নাম পাওয়া গেল না! আশ্চর্য!

আমার কাছেই তো নাম আছে, আমার স্বামীর দ্বিতীয় বিবাহ। ব্র্যাকেটে প্রাক্তন লেখা যেতে পারে, তবে তাতে পাঠকের আগ্রহ কমে যেতে পারে।
ভালোবাসার মানুষ আরেকজনের হয়ে যাচ্ছে, বড় দুঃখের কাহানি। বর্ণনার গুনে পড়তে ভালো লেগেছে...

১৬ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৫৯

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা এই নাম দিলে দুঃখ ফানি হয়ে যাবে।
পাঠকের আগ্রহ কমার চাইতেও আমার দুঃখটাকে কেউ পাত্তাও দেবে না।

হ্যাঁ এটা আসলে বর্ননাই মানে চিঠি বা ডায়েরীর মত।

অনেক অনেক ভালোবাসা...

২৮| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৪

মোবারক বলেছেন: অনেক ভালো লেগেছে পড়ে।

১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:২৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মোবারকভাই।

২৯| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:১৬

মিরোরডডল বলেছেন:




হাসির ছলে অনেক কথা বললেও আসলে ভীষণ কষ্টদায়ক !
এই গল্পের অনুভূতিগুলো এতো সূক্ষ্ম যেন বুকের ভেতর থেকে উঠে আসা ।
তাই এর নাম হতে পারে পরানের গহীন ভিতর ।


হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসা বুকের ভিতরে থেকে যায় ।
এটা পড়ে যে কবিতাটা শেয়ার করতে ইচ্ছে করছে...







১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:২৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা হতে পারে।

আসলে অনুভূতিগুলো ধরে রাখাই এ লেখার উদ্দেশ্য।

জীবনের ১০/১২ বছরে আগের লেখাগুলো পড়ে আজ মনে হয় আমি এসব লিখেছিলাম। বিশ্বাসই হয়না।

অনুভূতিরা হারিয়ে যায়। নয়ত ভোোতা হয়ে যায়। তাই তাদেরকে ধরে রাখতে হয় লেখার মাঝে।

তবুও অনেক খানেই থমকে যাই। আটকে যাই।

আরও কত কথা বলার ছিলো।

৩০| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:১৮

মিরোরডডল বলেছেন:

আজ যে কি হয়েছে, একটা লিংকও ঠিকভাবে যাচ্ছে না , এখানে আবার দিলাম


১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:২৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হ্যাঁ আগেরটা শোনা যাচ্ছিলো না। এটা যাচ্ছে।

শুনি আগে...

৩১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৫৯

মিরোরডডল বলেছেন:



আরও কত কথা বলার ছিলো।

ছিলো বলছো কেনো, বলবে তোমার লেখার মধ্যে দিয়ে ।
আমরাতো পড়তেই চাই ।

লাস্ট ইয়ার করোনাকালেও আমাদের খুবই ভালো সময় কেটেছিলো সেই চিলেকোঠায় ।
আবারও হবে সেরকম ।


১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ২:১৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আসলে এখন একটু অবসর আছি আর কি! লিখবো জলমোতীর কথা অবশ্যই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.