নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লোকে বলে প্রথম প্রেমটা বড্ড কোমল\nএলোমেলোযায়না \nভোলা কোনোদিনও\nসত্যি কি তাই

কবিতা পড়ার প্রহর

কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে রাতের নির্জনে

কবিতা পড়ার প্রহর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজ আবার সেই পথে দেখা হয়ে গেলো

২৯ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:১৮


শুভ্রের সাথে হঠাৎ এইভাবে আবার দেখা হয়ে যাবে এ আমি স্বপ্নেও ভাবিনি। কারণ একই শহর, একই আকাশ, একই পৃথিবী তবুও কত শত আপনজনদের সাথে আমাদের দিনের পর দিন, বছরের পর বছর দেখা হয় না। এ ব্যপারটা ভাবলে আমার বড় অবাক লাগে! শুভ্রের সাথেও গত পাঁচ বছরের এতগুলো দিনে একটাবারও দেখা হয়নি আমার, কথাও হয়নি আর। তাই আমি সে আশা ছেড়েও দিয়েছিলাম। শুভ্র আসলেই আজও আমার কাছে এক অবাক বিস্ময়! কি করে পারলো? কি করে পারলো মানে এই এতগুলো দিন আমার সাথে একটা কথাও না বলে থাকতে পারলো কি করে শুভ্র? মাঝে মাঝে এমনই ভাবি আমি আর বিস্মিত হই! আসলে আমার নিজেরই বড় কষ্ট হয়। শুভ্রকে ভীষন মিস করি আমি। তবুও নিজের ইগোর কাছে পরাজিত হতে পারিনি। আশা করেছি শুভ্রই যোগাযোগ রাখবে বা যোগাযোগের চেষ্টা করবে। কিন্তু শুভ্র তা করেনি।

অবশ্য কেনো করেনি এর উত্তর আমি জানি। মানে শুভ্রকে যদি প্রশ্ন করি তো সে এই জবাবটাই দেবে। সে বলবে আমি ঠিক যেভাবে পেরেছি সেভাবেই সেও পেরেছে বা তাকে পারতে হলো। কারণ শুভ্র কখনও কারো ইচ্ছা বা অনিচ্ছার মাঝে এন্টারফেয়ার করাটা পছন্দ করে না আর তাই আমি যেহেতু কোনো যোগাযোগের চেষ্টাই করিনি তাই সেও সেটাই করেছে। তবে আমি এও জানি যে আমি একবার ডাকলেই পৃথিবীর যত বড় কাজ থাকুক আর তার পরের যত প্রেমিকাই তার আসুক না কেনো শুভ্র সব ফেলে ঠিকই আমার কাছেই চলে আসবে। আর তাই আমি ওকে আর ডাকিনা। জানিনা কোন অভিমানে? আসলেই আমার ওর উপর কিসের অভিমান জানিনা আমি। বরং অভিমান তো ওরই হবার কথা ছিলো তাইনা?? ১০০ ভাগের ৮০ ভাগ দোষটাই আসলে আমার নিজেরই ছিলো এমনই মনে হয় আজকাল আমার। হয়ত এ আমার অন্ধ ভালোবাসা। নিজেকেই ক্ষমা করতে পারিনা আমি। নিজেকে ক্ষমা করিনা ওর জীবনটা নষ্ট করে দেবার জন্য।

কিন্তু আসলেই কি জীবনের কোনো কিছুই নষ্ট হয়? মনে হয় না কথাটা সঠিক। জীবনের প্রতিটি মূহুর্তই তো আসলে মূল্যবান! এই যে হাসছি, এই যে কাঁদছি, এই যে আনন্দে ভাসছি। এরই নামই তো জীবন। প্রতিটা মূর্হর্ত, প্রতিটা ঘটনাই এখানে মূল্যবান। শুভ্র আমার জীবনের সবচাইতে বড় মূল্যবান অধ্যায়। ঐ অধ্যায় আমাকে অনেক শিখিয়েছে। ঐ অধ্যায় আমাকে অনেক ভাবিয়েছে। ঐ অধ্যায়ই আমাকে শিখিয়েছে ভালোবাসা নামে কি এ এক অমূল্য রতন আমাদের জীবনে অদৃশ্যে আসে। তারপর দৃশ্যমান হয়। সেই দৃশ্যমান অদৃশ্যের দোলাচলে বয়ে চলে যায় আমাদের এই নশ্বর জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত।

মাঝে মাঝে ভাবি শুভ্রের এই আরেকজনের সাথে গাঁটছড়া বাঁধা জীবনে আমি যে আজও অজান্তে উঁকিঝুঁকি দেই এটা কি সঠিক? আমারও নতুন করে যে জীবনটা শুরু হলো সেখানে মন না দিয়ে ফেলে আসা দিনে বার বার ফিরে যাওয়াটাও কি ঠিক হচ্ছে আমার? যদিও সশরীরে নয় মনে মনে চলে যাই আমি আমার পুরোনো অতীতে। কিন্তু সেই অতীত আর তার আর আমার বর্তমান মিলিয়ে কি এক কষ্ট, কি এক হাহাকার আমার মনে জেগে ওঠে। যা আমি কাউকেই কখনো বলতে পারিনা। আমি শূন্যতায় ভাসি। এ কি পাপ? এ কি অন্যায়! খুব ভালো করেই জানি লোকে শুনলে বলবে এ বড় অন্যায় এ অনেক বড় অপরাধ। যাদের সাথে নতুন করে পথ চলা শুরু হলো তাদের সাথে অন্যায়। তাদের কাছে অপরাধী আমি। কিন্তু মনের তো কোনো হাঁত পা বা শরীর নেই যে খাঁচায় বন্দী করে রাখবো তাকে।


সে যাইহোক, যে কারণে আজকের এই লেখার সূচনা। সেদিন আড়ং এ গিয়েছিলাম অনেকদিন পর। ইদানিং তেমন কোথাও যাই না আমি আর। ঘর আর অফিস আর মাঝে মাঝে কিছু সামাজিকতা ছাড়া প্রায় সব কিছু থেকেই গুটিয়ে নিয়েছি নিজেকে। তো সেদিন কোনো কারণে নয় অকারনেই বের হয়েছিলাম। জরুরী কিছু নয় তবে খুব ঘনিষ্ঠ একজনের জন্মদিন উপলক্ষে উপহার কিনতেই সেখানে যাওয়া।

পাঞ্জাবীর সেকশনে নিজের মনেই ওদের ডিসপ্লের সার্কেলটাতে ঘুরিয়ে চলেছিলাম। পছন্দ হচ্ছিলোনা ঠিকঠাক তাই ঘুরিয়েই চলেছিলাম একটার পর একটা পাঞ্জাবী। হঠাৎ সামনে চোখ পড়তেই থমকে গেলাম। কিছু দূরেই শুভ্র আর তার সাথে হাসিখুশি বউটা । ক্ষনিকের জন্য থমকে গেলাম আমি। ওরা আমাকে দেখেনি তাই চোখ নামিয়ে মাথা যতদূর সম্ভব নীচু করে আড়াল করা যায় নিজেকে সেভাবেই ফের অকারণ পাঞ্জাবী নির্বাচনে মন দিলাম। এদিকে এগিয়ে আসতে আসতেই ঐ চঞ্চলমতী মেয়েটা আবার অন্যদিকে চলে গেলো। ওরা আমার খুব কাছাকাছি ছিলো হঠাৎ শুভ্র ঘুরে দাঁড়ালো। এগিয়ে আসলো আমার দিকে। আমি মাথা তুললামই না।শুভ্র উল্টোদিকের রডটা ধরে থামিয়ে দিয়ে দাঁড়ালো আমার মুখোমুখি। হঠাৎ আমার চোখ জলে ভরে উঠেছিলো। তাই তাকাতে পারছিলাম না মানে মুখ তুলে তাকাতে চাইছিলাম না। অনেক কষ্টে সেটা সামলে ওর দিকে হাসিমুখে চাইলাম। যেন দেখিনি। হঠাৎ দেখলাম এভাবেই গলায় অভিনয় ফুটিয়ে বললাম।
- আরে তুমি? শুভ্র হাসলো। সেই ভুবন ভোলানো হাসি।
- হ্যাঁ আমি। কেনো গন্ধ পাওনি? দুষ্টুমী ওর চোখে। কি আশ্চর্য্য! এই নির্লিপ্ততা কোথায় পেয়েছে শুভ্র! নিজেকেই প্রশ্ন করি মনে মনে।
- গন্ধ আবার কি? জানতে চাইলাম আমি।
- চেনা মানুষের গন্ধ। এই যে আমি তো পেলাম। এ দিকটায় আসতেই গন্ধ পেলাম তুমি আছো কোথাও আশেপাশেই। চেনা চেনা তুমি তুমি গন্ধ। ঘুরে দাঁড়ালাম নিশ্চিৎ হতেই। ওর বলার স্টাইলে হেসে ফেললাম আমি। ওর বউ এগিয়ে আসলো। আমাকে আরও অবাক করে দিয়ে বলে উঠলো,
- বাব্বা কি ভাগ্যি। আপনার সাথে দেখা হয়ে গেলো। কতবার বলেছি শুভ্রকে একটা বার একটু দেখতে চাই, কথা বলতে চাই আপনার সাথে। সে ফোন নাম্বারটা পর্যন্ত দিলো না। আচ্ছা বলেন দিলে কি হত? আজ দেখা যখন হয়েই গেলো। আপনাকে ছাড়ছি না। আজ ছুটির দিন আপনাকে যেতেই হবে আমাদের সাথে। আমাদের সাথে আজ খাবেন। একদম সন্ধ্যায় ছাড়া পাবেন।

ঘটনার আকস্মিকতায় আমি হত বিহবল হয়ে পড়েছিলাম। কি হচ্ছে না হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছিলাম না আমি। শুভ্র তখনও মিটি মিটি হাসছিলো। বললো,
- পড়েছো রাবনের হাতে, খানা খেতে হবে এক সাথে। জলমোতীকে তো চেনোনা। কোনোই ছাড় নেই আজকে। ইউ আর এরেস্টেড।
আমার কি যে হলো। আমি না করলাম না। হয়তোবা কৌতুহল কেমন আছে তারা? আমার গাড়িতেই উঠিয়ে নিলাম ওদেরকে। শুভ্র আবারও অবাক করে দিয়ে জলমোতীকে পিছের সিটে বসিয়ে নিজে বসলো সামনের সিটে। আমার ড্রাইভিং সিটের পাশেই। আমার বুকের মধ্যে হাতুড়ি বাঁজছিলো। ভাবছিলাম জলমোতী মেয়েটা নিশ্চয় ভীষন মাইন্ড করবে এই উড়নচন্ডী পাগলাটে শুভ্রের কান্ড কীর্তি দেখে।

কিন্তু জলমোতীর যেন শুভ্রের কান্ডে কোনোই মাথা ব্যথাই নেই। সে হাসি মুখে অনর্গল কথা বলে যাচ্ছিলো। আমি বুঝলাম শুভ্রকে ভালোবাসতে গেলে ওর মত করে ওকেই ভালোবাসতে হবে এটা এই পুচকে মেয়েটা কদিনেই বুঝে গেছে। যা আমি বুঝিনি আমাদের সেসব দিনে। শুভ্রকে আমি আমাদের মত করে দেখতে চেয়েছি, জোর করেছি, রাগ অভিমান অবশেষে বিসর্জন। কিন্তু ভালোবাসা তো একে বলে না। ভালোবাসা বলে জলমোতী শুভ্রকে যেভাবে ভালোবেসেছে ঠিক তেমনটাই। তবে কি আমি শুভ্রকে ভালোবাসিনি? দীর্ঘশ্বাস পড়ে আবারও। বার বার আনমাইন্ডফুল হয়ে যাচ্ছি আমি। বার বার ব্রেক চাপছি উল্টা পাল্টা। শুভ্র চুপচাপ বসে আছে। কিন্তু মুখে ফুটে আছে সেই চিরায়ত হাসি।

প্রায়ই আমার ইচ্ছে হত দেখতে শুভ্র কেমন আছে তার নতুন জীবনে? প্রায়ই আমি কল্পনায় ঘুরে বেড়াতাম শুভ্র আর জলমোতীর অদেখা কোনো বাসা ঘর বাড়ি এবং ভালোবাসায়। সেই ইচ্ছেটাই পুরোন হলো আজকে আমার। আমি খুব খেয়াল করে দেখেছি আমি মন দিয়ে যা চাই তাই পাই। আমি আসলেই বড় ভাগ্যবতী। এমন কপাল নিয়ে খুব কম মানুষই জন্মায় পৃথিবীতে। এই পৃথিবীর অনেক অসফলতার মাঝেো তাই আমার সফলতার গল্পও কম নয়। শুভ্রের সাথে ডিসকনটিনিয়েশন এটাও আমারই চাওয়া ছিলো।

জলমোতী মেয়েটা আসলেই একটা লক্ষী মেয়ে তা তার সুচারু পরিপাটি ঘরবাড়ি আর চেহারা দেখে কাউকে আর নতুন করে বলে দিতে হবে না। সে অপরিসীম দক্ষতায় বাকী একঘন্টার মাঝে ৩ রকমের মাছের কারী আর ভর্তা ভাজী এমনকি গরুর মাংসের দোঁপেয়াজাও রান্না করে ফেললো। শুভ্রও তাকে টুকটাক সাহায্য করছিলো। আর আমি বসে বসে দেখছিলাম ওদের ঘরকন্যার গল্প। ছোট্ট দু'কামরার সে সংসারে দেখা হয়ে গেলো যেন তিন ঘন্টার পূর্ণ দৈর্ঘ্য এক চলচিত্র।

নাহ ওরা আর চিলেকোঠায় থাকে না।ঠিক ওদের জন্যই বুঝি বানানো হয়েছে এ বাড়িটা। দুটো ঘর, এক চিলতে বারান্দা, কিচেন টয়লেট দিয়ে যেন টোনাটুনির সাজানো সংসার। আমি মুগ্ধ হয়ে দেখছিলাম জলমোতীর চোখ মুখ নাক, হাতের আঙ্গুল, পায়ের পাতা। ওর কথা বলা, ওর হাঁটাচলা। ওর ঐ ছিপছিপে দুহাতে ও জড়িয়ে ধরে শুভ্রকে। যেই শুভ্রকে আজ আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে দেবার অধিকারটুকু হারিয়েছি আমি।

জলমোতী শুধু আমাকে দুপুরে খাইয়েই ছাড়লোনা। সন্ধ্যার পর চা খাইয়ে সাথে মুগ পাকনের জীভে লেগে থাকা স্বাদ লাগিয়ে আমাকে বিদায় দিলো। শুভ্র আমাকে এগিয়ে দিতে এলো ।গলির মুখের এক কোনে দাঁড়া করিয়ে রাখা গাড়িটার কাছে এসে দাঁড়ালাম আমরা। সরু পথের গলি ধরে হেঁটে আসার মুহুর্তটুকুতে শুভ্র একটা কথাও বলেনি আমার সাথে। পিছে দোতলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে হাসিমুখে হাত নাড়ছিলো জলমোতী।

গলির মুখে বাঁক নিয়ে গাড়িতে ওঠার আগ মুহুর্তে ফিরে দাঁড়ালাম আমি। হাসিমুখে শুভ্রকে বললাম, যাই শুভ্র। জানিনা কখনও আবার হঠাৎ কোনোদিন কোথাও কোনোখানে অপ্রত্যাশিত দেখা হয়ে যাবে কি যাবে না আবার। তুমি ভালো থেকো। তাড়াতাড়ি সংশোধন করে নিলাম। তোমরা ভালো থেকো। চোখে জল ভরে আসছিলো আবার আমার অকারণ স্বভাব দোষে। দ্রুত গাড়ি্তে উঠতে গেলাম।

শুভ্র বললো, দাঁড়াও। আমি থমকে দাঁড়ালাম। শুভ্র আমাকে বুকে টেনে নিলো। নির্দ্বিধায়, অবলীলায় নিশংকোচে। কানের কাছে মুখ নিয়ে বললো, তোমাকে সব সময় ভালোবাসি। এই কথা বলতে কোনোই দ্বিধা নেই আমার। সারাটা জীবনই তুমি আমার ভালোবাসা হয়েই বেঁচে থাকবে আমার কাছে। দেখা হোক বা না হোক। সন্ধ্যার আবছায়া আলো আঁধারীতে আমরা দুজন ছায়ামূর্তী দাঁড়িয়ে রইলাম একসাথে কিছুক্ষন।

এরপর গাড়িতে স্টার্ট দিলাম। ঝাপসা জলভর্তি চোখে কিছুই দেখা যাচ্ছিলোনা । তবুও এগিয়ে গেলাম সামনে। শুভ্র আর জলমোতীকে পিছনে ফেলে। হয়ত সারাজীবনের জন্যই।



বারবারই ভাবি এ গল্প আর লিখবো না। তবুও যখনই লিখতে বসি তখনই মনে পড়ে যায় একলব্য, শুভভাইয়া, মিররমনি, চুয়াত্তরভাইয়া, কামরুজ্জামান ভাইয়া ঢুকিচেপা আপু,খলিলভাইয়া এমন অনেক ভাইয়া আপুকেই। মাহা ভাইয়াকে মিস করি অনেক অনেক। যদি কোনোদিন চিলেকোঠার প্রেম বই আকারে প্রকাশ করি সেটা আমি তার জন্যই করবো হয়ত। কিন্তু এ গল্পের শেষ কোথায়? আজও জানিনা আমি।

মন্তব্য ৭৯ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৭৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:০৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ক্যাবলাকান্ত শুভ্রের ভুত আপনার মাথা থেকে এখনও নামেনি দেখছি। গল্প পড়ে জানতে পারলাম যে প্রেম প্রথমে থাকে অদৃশ্য তারপর হয় দৃশ্যমান। তারপরে মনে হয় আবার অদৃশ্য হয়ে যায়। জীন, ভুত আর পেত্নির মত মনে হয়। অন্ধকার জায়গায় প্রথমে অদৃশ্য থাকে তারপর দুর্বল কাউকে দেখলেই ভয়ংকর রূপে দৃশ্যমান হয়। ঘাড় মটকানোর পর আবার অদৃশ্য হয়ে যায়। ভুত পেত্নির কাজ কারবারের সাথে প্রেমের অনেক মিল খুঁজে পাচ্ছি আমি।

আমার প্রশ্ন হোল শুভ্র না আপনি কে কার ঘাড় মটকাল। শুভ্রর সাহস নাই আপনার ঘাড় মটকায়। তার মানে আপনিই শুভ্রের ঘাড় মটকে এখন নাকি কান্না করছেন। এতো বছর পর মনে হচ্ছে যে ৮০% দোষ ছিল আপনার। আমার ধারণা ১০০% দোষই আপনার ছিল। শুভ্র যে রকম ক্যাবলা তার পক্ষে কোন দোষ করাই সম্ভব না।

শুভ্র আরেকজনের সাথে সুখে আছে। ভালো কথা। আপনি কেন উঁকিঝুঁকি দিতে যান। এটা সঠিক কি না আবার জিগায়!!! আল্লায় শুভ্ররে বাচাইসে আপনি শুভ্রের বাড়িতে মনে মনে যান, সশরীরে যান না। সশরীরে আপনারে দেখলে শুভ্র ভুত দেখার মতো হার্টফেল কইরা মরতো।

শুভ্রের নাক এলসেশিয়ান কুকুরের চেয়েও মনে হয় শক্তিশালী। আমার মনে হচ্ছে জলমতি লক্ষ্মী মেয়ে কিন্তু তার উপরের খুপরি খালি। নইলে শুভ্রর মতো একটা বাদাইম্মা ছেলের প্রেমে পড়ে কিভাবে। আর আপনার খুপরিতে কি আছে সেইটা তো আপনার পূর্ব ইতিহাস আর এই গল্প পইরাই বুঝতে পারতেসি।

এখনও ভালবাসি এই কথা বলার জন্য বিদায় বেলায় রাস্তার মাঝখানে বাংলা সিনেমার মতো জড়াজড়ি না করলেও চলতো।

আপনার এই গল্পের ভবিষ্যৎ পরিণতি আপনি না জানলেও আমি জানি। আপনি কিছু দিন পর পর কোন না কোন অসিলায় শুভ্রের জন্য নাকের জল আর চোখের জল এক করবেন আর বলবেন ৮০% দোষ ছিল শুভ্রর আর ২০% দোষ ছিল আমার। এরপরের বার হয়তো দেখা হবে লিফটে। লিফটে আর কেউ নেই শুধু শুভ্র আর নায়িকা। হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেলো এবং ক্যাবলা শুভ্র ………… :)

২৯ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:২৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা চুয়াত্তর ভাইজান।

এরপরের পর্ব আপনাকেই লিখতে হবে।

তবে এর পরবর্তী যে চিন্তাটা ভাবাচ্ছে শেষ দৃশ্যে এসে কাগজে কলমে সব শেষ করে দিলেই কি এই অদৃশ্য আত্মা হতে সব মুছে ফেলা যায়?

ইহা কেমন নিয়ম?

সেই নিয়ম নিয়ে গবেষনা করে আবারও হয়ত কিছু দিন পরেই আরেকখানা লেখার অবতারণ করবো। যদি বেঁচে থাকি আর কি।

ফার্স্ট প্যারার উত্তর প্রেম ভালোবাসা আসলেই ভূতের আসরই ভাইজান। কুনো সন্দেহ নাইকা! :(

তবে ভূতের ঘাড়ে ভূত চাপিলেই বিপদখানা।


তবে ১০০% দোষ আমার ছিলো না? X((

কেমনে ১০০% হলো শুনি?
আমার মত একজন কর্মপ্রিয় উদ্যমী মানুষ যদি চোখের সামনে একখানা আলসে বাবা দেখে তো মাথা কি ঠিক থাকবে নাকি?

তাই বলে ভালোবাসা কি চলে যায় বলেন? :(

আরে স শরীরেই গেলাম তো। মনে মনে গেছি গেছি করতে করতে সশরীরে চলে আসিবার শুভক্ষন আসিলো। আর তাই নিয়েই তো গল্পা।

ঠিক বলেছেন মনে হয় ঐ মেয়েও আরেক......


হা হা আমিও এই গল্পের পরিনতি জানি যতদিন বেঁচে থাকবো বা বেঁচে থাকবে বেটা গল্পরা এসেই যাবে কখনও না কখনও এখহান নয় ওখানে নাহয় অন্য কোথাও।

কি করবো...... মনের কি হাত পা শরীর আছে নাকি?

হাত বান্ধিবি পা বান্ধিবি, চক্ষু বান্ধবি, কান কান বান্ধিবি

কিন্তু মন বান্ধিবে কে?

২| ৩০ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:১৬

কামাল১৮ বলেছেন: জীবনে কারো উপর কোন দিন অভিমান করিনি,তাই মান অভিমানের ব্যপার সেপার ভালো বুঝি না।

৩০ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:২১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: সত্যি বলছেন?
এটা হতেই পারে না।

মিছা কথা কইয়েন না।

ভেবে দেখেন আবারও।

৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:১৭

ঢুকিচেপা বলেছেন: “তবে আমি এও জানি যে আমি একবার ডাকলেই পৃথিবীর যত বড় কাজ থাকুক আর তার পরের যত প্রেমিকাই তার আসুক না কেনো শুভ্র সব ফেলে ঠিকই আমার কাছেই চলে আসবে।”
শুভ্র কি আকাশে উড়া ঘুড়ি যে আপনি টান দিলেই চলে আসবে ?
উঁকিঝুঁকি দিয়ে লাভ নেই, সেই দিন শেষ, জলমোতী আপনার থেকে দুই কাঠি উপরে।
তবে একটা ভবিষ্যৎ বলতে পারি তা হলো এখন থেকে অকারণে আড়ং –এ আপনার পদধূলি পড়বে।

৩০ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:২৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হুম ঘুড়িই।

উল্টোঘুড়ি। শুভ্র তো এক উল্টোঘুড়ি........

এতো সহজেই ভালোবেসে ফেলি কেন!
বুঝি না আমার রক্তে কি আছে নেশা-

দেবদারু-চুলে উদাসী বাতাস মেখে
স্বপ্নের চোখে অনিদ্রা লিখি আমি,
কোন বেদনার
বেনোজলে ভাসি সারাটি স্নিগ্ধ রাত?

সহজেই আমি ভালোবেসে ফেলি,
সহজে ভুলিনা কিছু-
না-বলা কথায় তন্ত্রে তনুতে পুড়ি,
যেন লাল ঘুড়ি একটু বাতাস পেয়ে
উড়াই নিজেকে আকাশের পাশাপাশি।

সহজে যদিও ভালোবেসে ফেলি
সহজে থাকি না কাছে,
পাছে বাঁধা পড়ে যাই।
বিস্মিত তুমি যতোবার টানো বন্ধন-
সুতো ধ’রে,
আমি শুধু যাই দূরে।

আমি দূরে যাই-
স্বপ্নের চোখে তুমি মেখে নাও ব্যথা-
চন্দন চুয়া,
সারাটি রাত্রি ভাসো উদাসীন
বেদনার বেনোজলে…

এতো সহজেই ভালোবেসে ফ্যালো কেন?


জলমোতী আমার থেকে ছাই কাঁঠি উপরে।

পারবে নাকি আমার সাথে!!! :P


আর আমি আড়ং এ কোনো দিনই যাবো না! :P

৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:৩৩

ঢুকিচেপা বলেছেন: এটা তো এখন বলছেন কিন্তু দেখা যাবে সকালে ঘুম থেকে উঠে সাজুগুজু করে বাইরে বের হয়ে নিজেকে আবিষ্কার করবেন আড়ং-এ।

৩০ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:৩৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: না না না আড়ং এ যাওয়া বারণ।

নেড়া কি বার বার বেল তলায় যায়?

আর কবিতা আপা কি বার বার আড়ং এ যায়!


এইবার এমন জায়গায় যাবো। মানে কই যাওয়া যায় ভাবছি। যদিও চুয়াত্তরভাইয়া বলছেন নাকি লিফটে যাবো। দূর দূর লিফট একটা জায়গা হলো?

বদ্ধ লিফটোফোবিয়া আছে আমার এমনিতেই। :(

৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ২:৫৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আপনার নিক গল্প লিখার কারিগর হওয়া উচিত।

৩০ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:৫৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: নেওয়াজভাই আপনার দাওয়াৎ আমার বাড়িতে।

মানে এই কমপ্লিমেন্টের জন্য।

আসলে মাথায় কত গল্প ঘোরে পাচ্ছি নাতো সময় তার মানে লেখার সময় আর কি।

নাইলে দেখতেন কারিগর কেমনে কারিগরি করে করে সবাইকে পাগল বানায় দেয়।

৬| ৩০ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ৭:০১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এবার আপনার ওদেরকে দাওয়াত দেয়ার পালা। শুভ্রর লজ্জা, শরম, জড়তা তো চলেই গেছে বোঝা যাচ্ছে। আর নায়িকার লজ্জা শরমের কথা আর কি বলবো আপনি ভালোই জানেন :)

তবে মনে হচ্ছে শুভ্রর এই সুখী জীবনের বারোটা বাজাতে আপনি কাবাবের মধ্যে হাড্ডি হতে যাচ্ছেন।:)

৩০ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:০২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: দাওয়াৎ দেবো কেনো?
আমাকে কি ওরা দাওয়াৎ দিয়েছিলো?

ওমন করে দেখা না হলে কি ডাকতো জীবনেও?

যাইহোক আবার দেখা হলে আমিও একই স্টাইলেই দাওয়াৎ দেবো কিনা ভেবে দেখতে পারি। জানেন না আমি বড়ই প্রতিশোধপরায়ানা! :)


এহ রে কিসের সুখী?
ওমন দুদিনের সুখী সবাই থাকে.......
আর শুভ্র কি পারবে? হুহ

আমাকে ভালবাসার পর আর কিছুই আগের মত থাকবে না তোমার,
যেমন হিরোশিমার পর আর কিছুই আগের মতো নেই
উত্তর থেকে দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত।

যে কলিংবেল বাজে নি তাকেই মুর্হুমুহু শুনবে বজ্রের মত বেজে উঠতে
এবং থরথর ক’রে উঠবে দরোজাজানালা আর তোমার হৃৎপিন্ড।
পরমুহূর্তেই তোমার ঝনঝন-ক’রে ওঠা এলোমেলো রক্ত
ঠান্ডা হ’য়ে যাবে যেমন একাত্তরে দরোজায় বুটের অদ্ভুদ শব্দে
নিথর স্তব্ধ হ’য়ে যেত ঢাকা শহরের জনগণ।

আমাকে ভালবাসার পর আর কিছুই আগের মত থাকবে না তোমার।
রাস্তায় নেমেই দেখবে বিপরীত দিক থেকে আসা প্রতিটি রিকশায়
ছুটে আসছি আমি আর তোমাকে পেরিয়ে চ’লে যাচ্ছি
এদিকে-সেদিকে। তখন তোমার রক্ত আর কালো চশমায় এত অন্ধকার
যেনো তুমি ওই চোখে কোন কিছুই দ্যাখো নি।

আমাকে ভালবাসার পর তুমি ভুলে যাবে বাস্তব আর অবাস্তব,
বস্তু আর স্বপ্নের পার্থক্য। সিঁড়ি ভেবে পা রাখবে স্বপ্নের চূড়োতে,
ঘাস ভেবে দু-পা ছড়িয়ে বসবে অবাস্তবে,
লাল টুকটুকে ফুল ভেবে খোঁপায় গুঁজবে গুচ্ছ গুচ্ছ স্বপ্ন।

না-খোলা শাওয়ারের নিচে বারোই ডিসেম্বর থেকে তুমি অনন্তকাল দাঁড়িয়ে
থাকবে এই ভেবে যে তোমার চুলে ত্বকে ওষ্ঠে গ্রীবায় অজস্র ধারায়
ঝরছে বোদলেয়ারের আশ্চর্য মেঘদল।

তোমার যে ঠোঁটে চুমো খেয়েছিলো উদ্যমপরায়ণ এক প্রাক্তন প্রেমিক,
আমাকে ভালবাসার পর সেই নষ্ট ঠোঁট খঁসে প’ড়ে
সেখানে ফুটবে এক অনিন্দ্য গোলাপ।

আমাকে ভালবাসার পর আর কিছুই আগের মত থাকবে না তোমার।
নিজেকে দুরারোগ্য ব্যাধিগ্রস্ত মনে হবে যেনো তুমি শতাব্দীর পর শতাব্দী
শুয়ে আছো হাসপাতালে। পরমুহূর্তেই মনে হবে
মানুষের ইতিহাসে একমাত্র তুমিই সুস্থ, অন্যরা ভীষণ অসুস্থ।

শহর আর সভ্যতার ময়লা স্রোত ভেঙে তুমি যখন চৌরাস্তায় এসে
ধরবে আমার হাত, তখন তোমার মনে হবে এ-শহর আর বিংশ শতাব্দীর
জীবন ও সভ্যতার নোংরা পানিতে একটি নীলিমা-ছোঁয়া মৃণালের শীর্ষে
তুমি ফুটে আছো এক নিষ্পাপ বিশুদ্ধ পদ্ম-
পবিত্র অজর।


বুঝে দেখেন.... উহা সম্ভব নহে।

৭| ৩০ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ৯:৪৬

শেরজা তপন বলেছেন: ~ 'মুগ পাকনটা' চিনিনি!

লেখার দুটো অংশ- প্রথমটা আত্মকথন আর দ্বীতিয় অংশে ঘটনার বিবরন!
আত্মকথন পড়তে গিয়ে একটু বিরক্তবোধ হচ্ছিল- মনে হচ্ছিল প্যাচাল বেশী হয়ে যাচ্ছে কিন্তু ঘটনার বিবরন পড়ে মনে হল প্রথম অংশটা ঠিক আছে- প্রয়োজন ছিল না হলে মুল গল্প বুঝতে কষ্ট হোত।
মনে হচ্ছেনা এটা সত্য কাহিনী(হতেও পারে)-কিন্তু একেবারে সত্যের কাছাকাছি গিয়েছে। দু'জনের রসায়নটা অন্যরকম ছিল।
জলোমতির মত বউ পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার। শুভ্র সত্যিকার অর্থে ভাগ্যবান যে, এমন একটা বউ আর এমন একটা আজীবনের প্রেমিকা পেয়েছে।
লেখায় ভাল লাগা

৩০ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:১৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: মুগপাকনের ছবিটা আনছি একটু পরে খুঁজে পেতে। না চিনিয়ে ছাড়বোনা।

আত্মকথন লেখার সময় আমি কসম জানতাম কেউ কেউ এই পেনপেনানি শুনে বিরক্ত হবেই। কিন্তু কি করবো আমার এই আত্মকথন জানাতে ইচ্ছে হলো। আর ইচ্ছের কাছে পরাজিত আমি।


মূল গল্প বুঝিতে হইলে আপনাকে আরও পিছে যাইতে হইবে।

আমি উহার লিঙ্কও এনে দিচ্ছি একটু অপেক্ষা করুন। :)


হ্যাঁ জলমোতীর মত বউ এটলিস্ট শুভ্রের জন্য বড়ই দরকারী ছিলো।

আর আমি প্রেমিকা হিসাবেই ভালা। বউ হলে সহজ নহে আমার সাথে চলা।

যেমন- বালিশ কাহানি-

দু তিনমাসের মাঝেই খেয়াল করিলাম আমাদের বালিশগুলি অন্যদের মত সুঠামদেহী না রহিয়া ভাঙ্গচুর অশীতিপর বৃদ্ধা বৃদ্ধার নাগাল হইয়া পড়িতেছে। এরপর গবেষনায় বাহির হইলো। এর কারণ শুভ্রের মত আলসাবুড়া সে বালিশ দুইভাজ করে এক হাতে ঠেকনা দিয়া কখনো তাহার উপর মস্তিস্ক রাখিয়া ল্যাপটপ, বা পুস্তক পড়িয়া বালিশের ঐ ভগ্ন দশা করিয়াছেন।

ব্যাস। এইবার একশন-
পরদিন সকালে দুইটা বালিশ ঝকঝকা তকতকা কিনিয়া আনিয়া যথাস্থানে প্রতিস্তাপিত করিয়া পুরান দুইটা তাহার ঘাড়ে ছুড়িয়া মারিলাম। ঘাড়ে না লাগিয়া গিয়া পড়িলো ঘরের বাইরের মেঝেতে। মানে অন্য ঘরে।

এরপর আদেশ হইলো এই দুই বালিশ আর এই বেডে সাজানো রহিবেক না। আর আমার চক্ষুর সন্মুখেও নহে। তবে এই ঝকঝকা তকতকা বালিশে মস্তক ঠেকানোও চলিবেক না। উহা শো পিস। আর পুরান দুইটা লইয়া এখন সারাদিন মেঝেতেই পড়িয়া থাকিবা না কি সিড়িতে বসিয়া থাকিবা আমার জানিবার আগ্রহ মাত্র নাই।

কি আর করা? এরপর সারাদিন ঐ বালিশ লুকানো থাকিবেক আর রাত্তিরে বালিশ বগলদাবা করিয়া তাহাকে বিছানায় পিঠ ঠেকাইতে হইবেক। এই নিয়ম সাবাস্থ হইলোক। :)

এখন বলেন এই রুপ অতি ঝকঝকা তকতকা বউ লইয়া কি চলে। প্রেমিকাই ভালা। দূরে থাকে। বালিশ নাই তাহার সাথে।

৩০ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:২৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: চিলেকোঠার প্রেম- ২০ এবং শেষ পর্ব

আর এই নেন ভাই ঘটনা বুঝার লিঙ্ক :)

৩০ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:৩১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন:


আর এই নেন ভাই নায়িকা কেমনে জামার সাথে ম্যাচ করা কান্না কাঁদিতে কাঁদিতে হাসি মুখে বাড়ি ফিরিতেছিলো।

৮| ৩০ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:২১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন:

এই নেন ভাই মুগপাকন।

৯| ৩০ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:৪৫

শেরজা তপন বলেছেন: ওক্কে এখন বুঝলাম :) ধন্যবাদ

৩০ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:৪৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা ভাইয়া।

কত্ত কষ্ট করে বুঝাতে হলো আমার!

:P

১০| ৩০ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৪৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সিট বেল্ট ছাড়া গাড়ি চালানো দণ্ডনীয় অপরাধ!!! :P আমার তো মনে হয় লাইসেন্সও নেই!! :) শুধু ছবি তোলার জন্য দাঁত বের করে গাড়ির সিটে বসেছেন।

৩০ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৫৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ওহ তাই নাকি!!!!!!!!

তাইলে ভিডিও আনছি ওয়েটাং......

১১| ৩০ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:২৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কেবলই ভিডিও করতে বাইরে বের হয়েছেন মনে হয়। সিটে সিটবেল্ট বেঁধে বসে ভিডিও করবেন দয়া করে। আর ভিডিও এখন করতে না পারলে লাইসেন্সের ছবি দেখালেও চলবে। অনেক মেয়ের অবশ্য লাইসেন্স আছে কিন্তু গাড়ি ব্যাক গিয়ারে চালাতে পারে না। :) আমার বাসাতেই এমন মেয়ে আছে।

আশা করি আপনাকে যথেষ্ট পরিমান উত্যক্ত করতে পেড়েছি। :P দরকার হলে আরও করা যাবে, অনুমতি সাপেক্ষে।

৩০ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:০৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: না না কে ভিডিও করতে বের হয় এখন এই ছুটির দিনে।

একটা মজার কথা বলি- আজকে যে আমার ছুটির দিন সে আমি ভুলেই গেছিলাম।

ওক্কে নো প্রবলেমো লাইসেন্সের ছবি দেওয়া হবে। আর পুরান ভিডিও খুঁজে নিয়ে আসছি।

আর কি যে বলো ভাইয়া? তখন মনের দুঃখে কি সিটবেল্ট বাঁধার কথা মনে থাকবে!
তখন তো হাসি মুখে কাঁদতে কাঁদতে ঝাপসা চোখে সিটবেল্ট খুঁজেও পাচ্ছিলাম না আমি নায়িমামনি.....

তোমার বাসার মেয়েদেরকে আমার কাছে পাঠায় দাও ব্যাক পার্কিং পর্যন্ত শিখায় দেবো। দরকার পড়ে অনলাইন কোর্স!!!


আমার উত্যক্ত করা! কার ঘাড়ে কয় মাথা? সবগুলাই মটকায় যাবে ভাইয়া! :)

৩০ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:০৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন:


নেন নেন মিলায় নেন।

১২| ৩০ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৫১

মিরোরডডল বলেছেন:




বুঝলাম জলমোতী মেয়ে ভালো কিন্তু আমার মনে হয়েছে তার কমনেন্সের সামান্য অভাব আছে ।
তানাহলে প্রথম দেখায় অনর্গল এতোগুলো কথা বলে কেউ !!!!!!

ওর বউ এগিয়ে আসলো। আমাকে আরও অবাক করে দিয়ে বলে উঠলো,
- বাব্বা কি ভাগ্যি। আপনার সাথে দেখা হয়ে গেলো। কতবার বলেছি শুভ্রকে একটা বার একটু দেখতে চাই, কথা বলতে চাই আপনার সাথে। সে ফোন নাম্বারটা পর্যন্ত দিলো না। আচ্ছা বলেন দিলে কি হত? আজ দেখা যখন হয়েই গেলো। আপনাকে ছাড়ছি না। আজ ছুটির দিন আপনাকে যেতেই হবে আমাদের সাথে। আমাদের সাথে আজ খাবেন। একদম সন্ধ্যায় ছাড়া পাবেন।


কথা বলবে কিন্তু ব্রেক নিয়ে । অপর পক্ষকে কথা বলার সুযোগ দেবে । সেতো জানে গল্পের নায়িকা শুভ্রর এক্স ওয়াইফ ।
তার রিএকশন কি হচ্ছে এতদিন পর দেখা হয়ে যাবার পর, সে কিভাবে নিচ্ছে বিষয়টা এটাতো একটু বোঝার সময় দেবে । সেতো পালিয়ে যাচ্ছে না যে প্রথমেই বলছে, আমাদের সাথে আজ খাবেন। একদম সন্ধ্যায় ছাড়া পাবেন।
এই কথা কনভারসেশন কনটিনিউ হবার পরে বললে লজিক্যাল হতো ।



৩০ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:০৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ঠিক ঠিক এত্ত বাঁচাল মেয়ে যে আমিও ফেইল! :(

ভালো হইসে জান জ্বালায় খাক এইবার! কমনসেন্সও জিরো হোক তার। :)
এক্কেবারে ইললজিক্যালও হোক।

শুভ্রও বুঝুক ওমন হলে কি হয়!

হা হা হা

আরও কিছু অভিশাপ দেবো নাকি?

১৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:০৪

মিরোরডডল বলেছেন:




জলমোতীর কথা জেনে আমার এক বন্ধুর ওয়াইফের কথা মনে পড়লো ।
বন্ধু আবার খুবই ক্লোজ কিন্তু শুনেছি তার ওয়াইফ ইন্সিকিউর ফিল করে আমাকে নিয়ে ।

বন্ধু তার ওয়াইফের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো । মেয়েটি আমাকে এতো এতো এতো বেশী আদর আপ্যায়ন করলো,
চলে আসার পরও এমনভাবে ফোন করে খোঁজ খবর রাখে, পারসেল করে গিফট পাঠায়, আরও কতো কি,
দেখা গেলো She became my very good friend and her husband is out of the frame, of the picture.
It’s called strategic game.

কি বুঝলে ? আমার বন্ধুর ওয়াইফকে প্রশংসা করতেই হয় ।
পথের কাঁটা এমনভাবেই সরাতে হয় ।

যে সুখের সংসার নায়িকা দেখে এসেছে আর জলমোতী যেভাবে তাকে করেছে, স্বাভাবিকভাবেই নায়িকা এখন দুরেই থাকবে, তাদের উইশ করবে তারা যেনো ভালো থাকে ।



৩০ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:০৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: কি যে বলো মিররমনি!!!!!

অনেক ভালো বুদ্ধি দিসো। দাঁড়াও এখন থেকে রোজ রোজ না হলেও সপ্তাহে অন্তত একবার করে ওদের বাড়ি পাঠায় দেবো।
স্ট্রাটেজী ফেইল করায় দেবো।

১৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:২১

মিরোরডডল বলেছেন:




শুভ্র বললো, দাঁড়াও। আমি থমকে দাঁড়ালাম। শুভ্র আমাকে বুকে টেনে নিলো। নির্দ্বিধায়, অবলীলায় নিশংকোচে। কানের কাছে মুখ নিয়ে বললো, তোমাকে সব সময় ভালোবাসি। এই কথা বলতে কোনোই দ্বিধা নেই আমার। সারাটা জীবনই তুমি আমার ভালোবাসা হয়েই বেঁচে থাকবে আমার কাছে। দেখা হোক বা না হোক। সন্ধ্যার আবছায়া আলো আঁধারীতে আমরা দুজন ছায়ামূর্তী দাঁড়িয়ে রইলাম একসাথে কিছুক্ষন

This is the best part of the story.
শুভ্রর বিরুদ্ধে যত অভিযোগ ছিলো সেটা তুলে নিলাম ।
এটার খুবই দরকার ছিলো ।
এই ভালো আপুটা, কেতকি না হয়ে লাবণ্য হয়ে থাক সারাটা জীবন ।
দূরে থাক তবু ভালোবাসা বেঁচে থাক, এটাই ভালো ।


৩০ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:৪৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: মিররমনি
আরও কিছু লেখার ছিলো।

কিন্তু লিখতে পারলাম না চুয়াত্তর ভাইয়ার জ্বালায়।

শয়তান ভাইয়া এসে আবার যদি হার্ট এটাক খায় সেসব পড়ে।

হাজার হোক তার প্রাণটা তো বাঁচাতে হবে আমাকেই । হাজার হোক শত্তুরভাই! :)

১৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:৫৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি আর কিছু বলবো না। আপনি কাঁদেন আর লেখেন। চোখের জল আর নাকের জলে কি বোর্ড ভাসাইয়া দেন। :)

খালি একটাই আবদার শুভ্ররে আপনি ছাইড়া দেন। :P

৩০ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৩০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: না! না ! না শুভ্রের ছাড়াছাড়ি নাই।

যে তারে ছাড়ে ছাড়ুন আমি তারে ছাড়বো না না না

তারে হৃদমাঝারে রাখিবো ছেড়ে দেবো না।



আর তুমি বলো বলো আরও বলো লাগছে মন্দ নয়

এই বলাবলিতেও আমার নিউ নিউ আইডিয়া যদি ক্রিয়েট হয়! :)

১৬| ৩০ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:০৩

মিরোরডডল বলেছেন:

হা হা হা...... সব দোষ এখন সাচুর :)
বেচারা !!!

৩০ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৩৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা সাচু ভায়া আমার এই অনন্ত প্রেমের গল্পকে কচু ঘেচু বানায় দেয়। তাই একটু চেপে গেলাম আর কি। :)


শুনো একবার মেয়েটা বললো, জানো তুমি আমার জীবন, তুমি আমার মরন, তুমি আমার জান, তুমি আমার প্রাণ এমন কি কি সব ..
ছেলেটা তাই শুনে কি বললো জানো? কচু? তোমারে চেনা আছে আমি তোমার কচু।

মেয়েটা এমন আবেগের এই অকস্মাৎ বাঁধাপ্রাপ্তিতে বেজায় অপমানিত হলো। কিন্তু কিছু বললোনা।

পরে একদিন এই কচু বলা নিয়ে কাট অফ হয় হয় অবস্থা।
পুরাই কনটাক্ট অফ।

তারপর অনেক মাফ চাওয়াচাওয়ি, কানে ধরাধরি আর কচু শব্দের নাম আনবে না।

এরপর আরেকদিন তুমি আমার কলিজা তুমি আমার কোকিল, তুমি আমার ময়না তুমি আমার গয়না।

ছেলেটা বলে কি জানো? ক .. মানে কো...
মেয়েটা একটু বোকা কিসমের ছিলো তখন তো বললো কো কো করো কেনো? মানে কি?

ছেলেটা বললো, পরের অংশ বললে কান কাটা যেতে পারে তাই শুধু কো কো কো ...

১৭| ৩০ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:২০

দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: কি যে বলবো আপুনি!!!!



প্রথমে ভাবলাম এত বড় গল্প এখন পড়বো না। কিছুটা পড়ে বাকিটুকু পরবর্তীতে পড়ে নেব কিন্তু আমি যে এক্কেবারে আটকা পড়ে গেলাম!! খুব ভালো লেগেছে একেবারে মনে দাগ কেটে যাবার মত! তবে একটি কথা বলতে চাই, ভালোবাসা পাওয়া বা না পাওয়ার চেয়ে ভাগ্যবতী তারাই যারা কারো ভালোবাসা হয়ে চিরজীবন থাকে। কারো ভালোবাসা পাওয়া বিশাল ভাগ্যের। এ ভাগ্যটা সবার হয় না!

অনেক অনেক ভালোলাগা। পোস্টে লাইক।

শুভকামনায়,

- দেয়ালিকা বিপাশা

৩০ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৩৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ভালোবাসা পায়না এমন মানুষ আছে নাকি?

সবাই পায়

কিন্তু হাত বাড়াইয়া ধরতে গেলে নাই হয়ে যায় ....মানে ধরা যায় না আর কি মাঝে মধ্যে।

১৮| ৩০ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:২৫

একলব্য২১ বলেছেন: আরে নতুন লেখা দিয়েছো দেখছি। খুব ভাল। একটু পর সুস্থির হয়ে পড়বো। তোমার লেখা পড়ার সময়টা আমার অনেক আনন্দে কাটে। :)

৩০ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: যাও এখন থেকে শুধু তোমার জন্য লিখবো পুচ্চি ভাইয়ু!!!!!!!!

তবে কি চাও বলো দুঃখ পেতে নাকি বেদনা পেতে?

যেটা চাও সেটাই আনবো।

সব রকম ইমোশনের আঁধার আছে আমার কাছে। যেটা চাও সেটাই বের করবো ঝাঁপি খুলে। :)

১৯| ৩০ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৮

শুভ_ঢাকা বলেছেন: তোমার লেখা ও সকলের মন্তব্য পড়লাম। জলমোতী বললো আর তুমিও তোমার সুপ্ত বাসনা মানে শুভ্র ও তার বউ কেমন সংসার করছে দেখার জন্য তাদের বাড়ীতে চলে গেলে। সচারাচর কারো এক্স ওয়াইফই এটা করবে না। অথচ তুমি করেছো। মানুষ ইউনিক প্রাণী। আর ইউনিক বলেই তো পৃথিবী এত বৈচিত্র‍্যময়। এত আকষর্নীয়। তুমি ঠিক করেছো বা ভুল করেছো, এটা আমি জাজ করতে চাই না। ইন ফেক্ট কোন বিশেষ কারণ ছাড়া আমি কোন মানুষকেই জাজ করতে চাই না। "Who am I to jodge another.... when I walk imperfectly"

তুমি আমাদের সমাজের মেয়ে হওয়া স্বত্ত্বেও তোমার অতীত সবার সম্মুখে লেখার courage রাখো, তারজন্য তোমাকে কুর্নিশ জানাই।

বরাবরের মতো আমি পাঠক তোমার লেখা পড়ে মুগ্ধ। লেখিকার সার্বিক কল্যাণ কামনা করি।

৩০ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা হা হাসতে হাসতে কিন্তু মলে গেলাম ভাইয়ু পিচ্চু!


লাভ ইউ সো মাচ!

তোমার ভয়ে আমি কত কত কমেন্টের জবাব লিখতে গিয়ে থমকেছি জানো??

মানে তুমি যেন কষ্ট না পাও।

ঘোরে থাকতে ভালোবাসো তুমি।

আমি চাইনা তোমার ঘোর কেটে তুমি দা কুড়াল নিয়ে আমাকে কাটতে আসো।

দেখোনা চুয়াত্তর ভাইয়া কেমন শয়তানের লাঠি পাঁজির পাঝাড়া।
তার ভাবীজির জন্য সারাবাড়ির বুয়ার কাজ করার ঘটনা ফাস হয়ে গেছে বলে লেগেই আছে আমার পিছে।
আমি কি কম যাই এরপর দিন ছবি তুলে আনবো। ঐ যে ঐ ছবিটা।
শার্ট টাই পরে উপরে মুখে অনলাইন ক্যামে অফিস আর নিচে হাতে ঝাঁড়ু আর হাফপ্যান্ট।:)

২০| ৩০ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি দুই নম্বরি কাজে যে সিদ্ধহস্ত এইটা আপনার দুই নম্বর লাইসেন্স দেইখা আবার নিশ্চিত হইলাম।:) জন্ম তারিখটা মনে হয় ইংরেজি আর বাংলা মিলিয়ে লিখেছেন। মানে আপনার জন্ম ১৯৪০ সালে। ৮১ বছর বয়সে একা গাড়ি না চালানোই ভালো। :)

সমস্যা নাই, বাংলাদেশের পুলিশরা রাস্তায় মেয়েদের গাড়ি চালাতে দেখলে ড্যাবড্যাব করে চেয়ে থাকে। লাইসেন্স চাইবে কোন সময়। :) আর আপনাকে থামালে আপনি পুলিশের গলাও টিপে দিতে পারেন। :P পুলিশও এটা বোঝে। তাই আপনার জন্য লাইসেন্সের দরকার নাই।

৩০ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ভাবো ভাবো মনে মনে ১০০ বছর ভাবলেও নো প্রবলেমো? অনলাইন ফেস রিটাচ আছে না?? ভুই কি? :P
ঠিক ঠিক নো প্রবলেম। আমারে লাইসেন্স চায় সে সাহস কি পুলিশের আছে???

অনলভাইয়াকে মনে পড়ে সে সন্দেহ করেছিলো আমার বাবা মন্ত্রী কিনা!!!!!!! তাও নাকি দূর্নীতিবাজ মন্ত্রি!!!!!!! হা হা হা

৩০ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ভাইয়া বাংলাদেশের লোকজন কেমনে তাকায় থাকে দেখো। :)


৩০ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন:

আরেকটা :P

২১| ৩০ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:০০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আসলে সব মেয়ের দিকে তাকায় না। যারা একটু সুন্দরী তাদের দিকে তাকায়। :) মানুষের দোষ না।

৩০ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:২২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আরে ভাইয়া সুন্দর বান্দর আসল কথা না । আসল কথা অন্য খানে ... গায়ে উঠাই দেই কিনা সেই ভয়ে পাশের গাড়ি থেকেও মানুষ দৌড়ায় পালাবে কিনা চিন্তা করে। দেখছোনা চেল শার্ট আরেকটু হলে ঐ গাড়ি থেকে জানালা দিয়েই লাফ দিতো!!! হা হা হা

ভাবছি মিররআপুনি পিচ্চিটা এই ছবি দেখার পর হাসতে হাসতে অজ্ঞান হয়ে যায় কিনা!

২২| ৩০ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:২৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মিরর আপুনি পিচ্চি হলে আপনি কি???!!! :P

গাড়ি কি সব সময় মুখ হা করে চালান? :)

৩০ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:৪১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা হা মিররআপু পিচ্চুই মনে হয় এখনও পড়ালেখা কলে। আমি তো পলাই। বাবুদেরকে।

যাইহোক আমি হলাম ননস্টপ মাউথ সাথে একজন সিঙ্গার বটে। তাই গাড়ি চালানোর আমি গান গাই। সব সময়।

তখন গাচ্ছিলাম- এই পথ যদি না শেষ হয় তবে কেমন হত তোমরা বলোতো?

২৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:৫৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: গাড়ি চালানোর সময় গাবেন -

ওকি গাড়িয়াল ভাই
কত র′বো আমি পন্থের দিকে চাইয়া রে?
যেদিন গাড়িয়াল উজান যায়
নারীর মন মোর ছুইরা রয় রে

অথবা গাবেন ;

আমার গরুর গাড়ীতে বউ সাজিয়ে
তু্ততুর তুততুর তুততুর তু সানাই বাজিয়ে
আমার গরুর গাড়ীতে বউ সাজিয়ে
তু্ততুর তুততুর তুততুর তু সানাই বাজিয়ে
যাবো তোমায় শশুর বাড়ী নিয়ে
যা যা তোমার বাঙ্গা গাড়ীতে আমি যাব না
কারো ঘরের ঘরণী আমি হবনা
করবো নাতো কোন দিন বিয়ে
হে হে যাবো তোমায় শশুর বাড়ী নিয়ে

৩০ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:০৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: চুপ কুটনাবুড়া। আমার গাড়িকে তোমার গরুরগাড়ি মনে হলো!!!!!!!! X((

হায় হায় চোখের ডক্টর! ঠিকই বলেছিলো মিররমনি। ইউ নিড টু গো টু আই স্পেশালিস্ট! :) B:-)

ভাইয়া আর দেরী নহে।

নাইলে কোনদিন আবার পা হড়কে সিড়ি থেকে পড়ে পা ভাঙ্গো তখন আবার ভাবীজি কাজ না করার অপরাধে বেতনের বদলে তোমার বাকী পাও না কেটে রাখে কে জানে? :(

২৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: এটা গল্প নয় বাস্তব গল্প।

৩০ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:০৯

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: অনেক অনেক থ্যাংকস পড়ার জন্য রাজীবভাই। :)

২৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:০৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মেয়েরা যে গতিতে গাড়ি চালায় তার সাথে গরুর গাড়ির তুলনা করা যায়। রিকশা পর্যন্ত গাড়িকে ওভারটেক করে। X(

৩০ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:১২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ওকে তাইলে রেস হবে কবে বলো???


আমি চোখ বেন্ধে আসবো নে। কার ঘাড়ে উঠে গরুর গাড়ি তারপর দেখা যাবে। নাকি ঘোড়ার গাড়ি?

আর তোমার ভাঙ্গা গাড়িকে গুড়া গুড়া করে
চুরচুর চুর চুর চুরচুরা করে যাবো তোমায় ভাঙ্গড়ীর বাড়ি নিয়ে ..... :)

২৬| ৩০ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:২১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি চাচ্ছেন আমি আপনার কাছে রেসের জন্য যাই আর আপনি অমনি আমার গলাটা টিপে ধরেন। এতো বোকা আমি না। আর আপনি রেস কি করবেন, আপনি গাড়িতে উঠে সিট বেল্ট খুঁজে, সিট বেল্ট বাঁধতে বাঁধতে দেখবেন আমি গন্তব্যে পৌঁছে গেছি। আপনি তো সিট বেল্ট বাধাই শেখেন নাই। একটা ছবিতেও দেখলাম না যে সিটবেল্ট পড়েছেন। তাই আপনি শুরুতেই ডিসকোয়ালিফাইড। :)

৩০ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:২৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: সিটবেল্ট খুলে রাখছি ভাইয়া।
যেন সিটবেল্ট দিয়ে এক্কেরে গলা পেচাই পরপারে পাঠাবার ব্যবস্থা করতে পারি। নো ক্লু, নো এভিডেন্স। পুলিশের বাবাও খুঁজে পাবে না কেমনে মারলো এইটারে! :)

হু হু ক্রাইম পেট্রল দেখে শিখছি।

২৭| ৩০ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:৩৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তবে আপনার গল্পটা খুব ভালো হয়েছে। একটা বই আপনি প্রকাশ করতে পারেন কিছু সংস্কার করে।

৩০ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:৪০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: কাকে বললে ভাইয়ু?

মানে কার পোস্টের কমেন্ট কার পোস্টে দিয়ে ফেলিলে!!!!!! দেখি তো চমশাটা আনি খুঁজে পেতে।

২৮| ৩০ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:৫১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনাকেই তো করলাম!!! প্রশংসাও যদি হজম না করতে পারেন তা হলে আগেই বলতেন, করতাম না। :-B

গল্প তো খারাপ না, ভালোই লেগেছে। নইলে আমার মূল্যবান সময় ব্যয় করি!!! :)

পুরো কাহিনী নিয়ে একটা বই বের করতে পারেন। কিছু উনিশ বিশ করে।

৩০ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:০০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আবার উনিশ বিশ কেনো??

দেখলে না শুভভাইয়া আমার এই সত্য ঘটনা পড়ে আমার কত প্রশংসা করলো। আর তুমি আবার কুবুদ্ধি দাও। উনিশ বিশ কব্বো কেনো?

অনেস্টি ইজ দ্যা বেস্ট পলিসি। নো উনিশ বিশ। আমি শুধু বিষ খাওয়াবো। :)

২৯| ৩০ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:৪৪

কালো যাদুকর বলেছেন: ভাল , সময় নিয়েই পড়লাম। জানতাম না যে এটা একটি সিরিজ। যাওয়ার আগে মূল চরিত্র বলল" যাই শুভ্র...."। এটি একটু অবাস্তব ও লম্বা মনে হল। এত ইমোশন থাকলে মানুষ সাধারনত বেশী বলতে পারে না।

আপনার বর্ণনা বেশ সাবলীল।

৩০ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:৫৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা থ্যাংক ইউ ভাইয়া।

শুভ্র অবাস্তব মনে হয় কারণ সে আমাদের মত না। অন্য গ্রহের অন্য প্রাণী!

৩০| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:১১

মিরোরডডল বলেছেন:




লেখক বলেছেন: হা হা হা মিররআপু পিচ্চুই মনে হয় এখনও পড়ালেখা কলে। আমি তো পলাই। বাবুদেরকে।


নাহরে আপুটা, আমি পিচ্চু না ।
পড়ালেখা শেষ ।
অলরেডি আই’ম এ ক্যারিয়ার উইমেন ।
প্রফেশন্যালি ফাইন্যান্সে আছি ।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৫৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: না!!!!!!!!!!!!!!

হবে না!!!!!!!!!!!!!!!

তোমাকে পিচ্চুই থাকতে হবে!



কারো কারো বড় হওয়া বারণ
কারণে অকারণ!!!!!!!


আমিও হবো না ওকে!!!!

৩১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:১৪

আখেনাটেন বলেছেন: নাহ....এ যে দেখছি জলমোতীর সঙ্গে চিটিং করছে শুভ্র মিঞা। X(

আর প্রাক্তনকে কিছুটা নির্লজ্জ মনে হলো...বললো আর চলে গেলাম তাদের বাসায়... B:-)

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:২০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: শুভ্রমিয়ার মন বরফের মতন শুভ্র, জলের মত তরলং, পাহাড়ের মত উচ্চ, সাগরের মত বিশাল। সে কেমনে চিটিং করবে! ওমা মা মা! তাজজব কথা। এই জন্যই বলি তাকে বুঝা কি আর যে সে মানুষের কম্ম!


প্রাক্তন যে কি সে আমি ভালোই জানি। তিনি একজন মহিলা শার্লক। তার গোয়েন্দাগিরির জন্য এমন সহজ সুযোগ হাতছাড়া করবে নাকি? আপনি তো আর গোয়েন্দা না গোয়েন্দা হইলে বুঝতেন। :)

৩২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:২৬

একলব্য২১ বলেছেন: আমি যখন 5/6 ক্লাসে পড়তাম। তখন আমার এক অবাঙালি বন্ধুর বড় বোনের প্রতি আমার এক ধরনের ভাললাগা জন্মে। হা হা হা। 3/4 বছর এই ভাল লাগা ছিল। ওদের বাবা মারা যাওয়ার পর ওরা করাচী চলে যায়। ওরা আগা খানি সম্প্রদায়ের ছিল।

view this link

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৩৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আহালে। হা হা আমাকে গল্পটা বলে ফেলো।

আমি তাতে ইট কাঁঠ সুরকী লাগিয়ে , রং ঢেলে টাইলস দিয়ে রাজপ্রাসাদ বানিয়ে ফেলি। :)


আজ একটা কবিতা লিখলাম। মনের দুস্কে। রাগ করে কিন্তু কবিতাটাও কেনো যেন রাগ করে প্রথম পাতায় আসছেি না আসছেই না। :(

৩৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৩৫

আখেনাটেন বলেছেন: তিনি একজন মহিলা শার্লক। ---- তা মহিলা শার্লকেরা বুঝি বিদায় বেলায় গলি ঘুপচির অন্ধকারে হাগ করে বিদায় নেয়। দেশে মহিলা শার্লকের সংখ্যা বাড়লে দেশি ছাত্রভাইদের সুবিধা হতো মনে কয়। X((

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৩৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ছাত্রভাইদের দফারফা হত। মহিলা শার্লক বাড়ুক আরও। ছাত্রভাই্দের হাগ দেবার বদলে গলাটা কুচ করে পোচ দিয়ে কেটে নেওয়া হবে।

৩৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৪২

আখেনাটেন বলেছেন: ছাত্রভাই্দের হাগ দেবার বদলে গলাটা কুচ করে পোচ দিয়ে কেটে নেওয়া হবে। -- ওরে বাবা, এ যে দেখছি ছাত্রবোন। /:)

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৪৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ছাত্রভাই থাকবে আর ছাত্রবোন থাকবে না কেনো?
সব কি মগার মুলুক নাকি?

৩৫| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৫১

আখেনাটেন বলেছেন: না, না মগের মুল্লুক হবেক ক্যানে? তবে মনে রাখবেন একজন ছাত্রভাইয়ের বিপরীতে চারজন ছাত্রবোন (শর্ত সাপেক্ষে)। সো, সাবধান। B-)

আচ্ছা, ভালো কথা.....বদ শুভ্রটা কী এই সুযোগটাই নিতে চাচ্ছে না কি? X(

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৫৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা একজনের বিপরীতে চার লাগে নাকি?

নারীর অষ্টকলা তথা ষোলকলা গল্প পড়েন নাই?

বদ শুভ্র বলেন কেনো?

সে তো আমার দেখা অপার্থীব মানব।

কোন সুযোগ যে নিতে চাইছিলো আর চায় সেই ঘটনা খুঁজতে খুঁজতে আমি ঘোল খেয়ে ঢোল হয়ে গেছি।

তবুও আমার অনুসন্ধিৎসু মন জ্ঞানলিপ্সা থামায় না। :(

৩৬| ০২ রা নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:০৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: বনি, মাহরীন-শুভ্রের দেখা হোক , এটা প্রতিনিয়ত চেয়েছি এখনো চাই তবে :(( এভাবে চাইনি।

এটা আপনি :( কি করলেন ?

অবশ্য লেখক হিসাবে আপনার পূর্ণ স্বাধীনতা আছে আপনার লেখাকে আপনার মনের মত করে লিখার তবে সেটা যে এত কঠিন করে-কঠিন ভাবে লিখবেন তা জানলে কখনো আর লিখতে বলতাম না। কারন, এতদিন তাও একটা আশা ছিল , পান্থপথের ট্রাফিক সিগনালে দূর থেকে কি দেখতে কি দেখেছে মাহরীন তা সঠিক নাও হতে পারে এবং জীবনের চলার পথের কোন এক বাকে আবারো তাদের মিলনের সম্ভাবনায় যদিও ব্যাকুল ছিলাম তবে এখন আর সে আশা করা অন্যায় হবে ।

কারন ? কারন - শুভ্রের জলমোতির মত এত চমতকার একটা মানুষের সাথে এখন জীবন-যাপন এবং জলমোতি এত ভালো একজন মানুষ যে স্বামীর প্রাক্তন স্ত্রী'কে এতটা আপন করে নিতে পারে সামান্য কিছুটা সময়ে ও যার জীবনাচরনে হিংসার কোন
স্থান নেই - এমন একজন ভাল মানুষের আর যাই হোক অমংগল চাওয়া কোনভাবেই ঠিক নয় এবং ধর্মেও তা সইবেনা। যদিও এত দিন চেয়েছিলাম, যেভাবেই হোক (তালাক-মরণ-আত্মহত্যা-সড়ক দুর্ঘটনা) শুভ্রের দ্বিতীয় স্ত্রীর মরণ হলেও যেন মাহরীণ-শুভ্রের মিলন হয় তবে জলমোতি শুধুমাত্র তিন ঘন্টায়ই প্রমাণ করে দিল সম্পর্কের জন্য,নিজের ভালো প্রমাণের জন্য তিন যুগ জরুরী নয় তিন ঘন্টা'ই যথেষ্ট । আর তাইতো এখন মনে হচছে , যতটা না শুভ্র - মাহরীণ এই শব্দটা শুনতে ভালো লাগে তার থেকে অনেক অনেক বেশী মানানসই শুভ্র - জলমোতি শব্দটা ।

আর কাউকে ভালবাসলেই একসাথে-একজীবন কাটাতে হবে এমন কোন কথা নেই,দূর থেকেও ভালবাসা যায়।কারন, ভালবাসা একসাথে থাকার ফলেই হারিয়ে যায়। বিরহে-দূরত্বে নয় বরং বিরহে-দূরত্বে ভালবাসার গভীরতা,একের প্রতি অন্যের পজেটিভ উপলব্ধি বৃদ্ধি পায়।

সবশেষে, শুধু এটাই বলব - " বড় প্রেম শুধু কাছেই টানেনা অনেক সময় দূরেও ঠেলে দেয়"। আর তাই শুভ্র - মাহরীণের ভালবাসা থাকুক সেভাবেই ,যেভাবে পানি থাকে সাগর পাড়ের বালিয়াড়ির মাঝে ।সাগর পাড়ের বালিয়াড়ি, যেখানে শুধু ধু ধু বালিচড় দেখা যায় কোথাও কিন্তু পানির কোন চিহ্নই দেখা যায়না তবে বসে সামান্য একটু হাত বা কাঠি দিয়ে বালিয়াড়ি খুড়লেই স্বচ্ছ পানিতে ভরে উঠে গর্ত , ঠিক তেমনি আপাতভাবে তাদের ভালবাসা না দেখা গেলেও তাদের না দেখা ভালবাসা বইতে থাকুক বালিয়াড়ির নীচের পানির মত মনের চোরা গলিতে।

০২ রা নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:০০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: এত বড় একটা কমেন্টের উত্তর শুধুই
-হুম।

কেনো?
শেষ কথা নামে আমার শেষ লেখাটা পড়ে আসেন তাহলে হয়ত উত্তর পাবেন।

৩৭| ০২ রা জুন, ২০২২ বিকাল ৪:২৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: হুম! সুগভীর আবেগ এবং সুতীক্ষ্ণ অনুভব দিয়ে আপনি গল্প লিখতে পারেন। বলা অনাবশ্যক যে আপনার লেখাগুলো পাঠকের মন ছুঁয়ে যায়। আর জীবন থেকে তুলে আনা গল্প হলে তো কোন কথাই নেই!

সাড়ে চুয়াত্তর একজন সিরিয়াস পাঠক কিন্তু হিউমারাস মন্তব্যকারী। তার মন্তব্যগুলো আমি বেশ উপভোগ করি, বিশেষ করে আপনার এবং আরও কয়েকজনের পোস্টে।

অনেকগুলো প্রতিমন্তব্য চমৎকার হয়েছে। পোস্টে প্লাস তো সেই প্রথম পাঠেই দিয়ে গিয়েছিলাম! মন্তব্য কিভাবে যেন বাদ পড়ে গিয়েছিল।

ভালো থাকুন, শুভকামনা---




১৮ ই জুলাই, ২০২২ রাত ২:৪৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আমার তো মনে হয় সব গল্পই জীবন থেকে তুলে আনা গল্প এই পৃথিবীতে। নইলে গল্প আর আসবে কই থেকে? আমাদের এক একটা জীবনই তো এক একটা গল্প।

সাড়ে চুয়াত্তর ভাইয়ার সাথে নির্দ্বিধায় যা খুশি তাই বলে ফেলা যায়। ভাইয়া মাইন্ড করে না আবার আমাদের মানে যারা ভাইয়ার আপন তাদের মাইন্ডের ধারও ধারেন না আর তাই মন্তব্যগুলো মজার হয়ে যায়।

আর মন্তব্য প্রতিমন্তব্য তো শুধু মনে হয় এইখানে লেজ ধরে টানাটানিই ছিলো হা হা ।

১৮ ই জুলাই, ২০২২ রাত ২:৫৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ২৩. ৩০ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:৫৭০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: গাড়ি চালানোর সময় গাবেন -

ওকি গাড়িয়াল ভাই
কত র′বো আমি পন্থের দিকে চাইয়া রে?
যেদিন গাড়িয়াল উজান যায়
নারীর মন মোর ছুইরা রয় রে

অথবা গাবেন ;

আমার গরুর গাড়ীতে বউ সাজিয়ে
তু্ততুর তুততুর তুততুর তু সানাই বাজিয়ে
আমার গরুর গাড়ীতে বউ সাজিয়ে
তু্ততুর তুততুর তুততুর তু সানাই বাজিয়ে
যাবো তোমায় শশুর বাড়ী নিয়ে
যা যা তোমার বাঙ্গা গাড়ীতে আমি যাব না
কারো ঘরের ঘরণী আমি হবনা
করবো নাতো কোন দিন বিয়ে
হে হে যাবো তোমায় শশুর বাড়ী নিয়ে
৩০ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:০৩০

লেখক বলেছেন: চুপ কুটনাবুড়া। আমার গাড়িকে তোমার গরুরগাড়ি মনে হলো!!!!!!!! X((

হায় হায় চোখের ডক্টর! ঠিকই বলেছিলো মিররমনি। ইউ নিড টু গো টু আই স্পেশালিস্ট! :) B:-)

ভাইয়া আর দেরী নহে।

নাইলে কোনদিন আবার পা হড়কে সিড়ি থেকে পড়ে পা ভাঙ্গো তখন আবার ভাবীজি কাজ না করার অপরাধে বেতনের বদলে তোমার বাকী পাও না কেটে রাখে কে জানে? :(


ভাইয়া এই কমেন্ট আর উত্তরটা পড়ো। মিররমনি তো ভাইয়াকে কুটনাবুড়া বলেছি দেখে আর একটু হলে হাসতে হাসতে অক্কা পেত। :P

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.