নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে রাতের নির্জনে
এই আসন্ন শীতে আমি অবসাদে চলে যাবো
শূন্যতা, হাহাকার এবং বিষন্নতায়।
আমার এ দগ্ধ হৃদয়-এস্রাজে বাঁজবে তখন
পাতা ঝরার হুহু তান।
সেই মর্মর ধ্বনি আর আমার নিস্তব্ধ নিসঙ্গতা
মিলেমিশে একাকার হবে।
আমার শুস্ক ত্বকে খড়ি উঠবে,
কুঞ্চিত চোখের কোনে পড়বে হতাশা ও বঞ্চনার ছায়া,
আমার সুকোমল সুডৌল হাত রুপান্তরিত হবে জীর্ণ এবং শীর্ণতায়,
জেগে উঠবে সেখানে শিরা ও উপশিরার কুৎসিত মানচিত্র।
আমার অস্থি, মজ্জা, মাংস এবং তন্ত্রীতে জন্মাবে স্থবিরতা।
বিষাদ এবং অবষন্নতায় ম্রীয়মান ক্ষীন তখন আমার কন্ঠবর।
আমার শ্রবননেন্দ্রীয় তখন বিকল হতে চলেছে,
গাড়ি ঘোড়া বা হ্যামিলনের বাঁশি কিছুই পৌছুবে না আর আমার কর্ণকুহরে,
আমি উদভ্রান্ত হৃদয়ে বসে রইবো চলৎশক্তিহীন অশত্ত্থ বৃক্ষের ন্যয়,
আমার শূন্য দৃষ্টি পড়ে রইবে সামনে অবিদ্ধ,
আমার মনে হয়ত ভেসে আসবে হঠাৎ কোনো চেনা গানের সূর
আমি উতল হবো, এলোমেলো চাইবো কিন্তু .....
কিছুই খুঁজে পাবে না আমার দু'চোখ,
কিছুই ভেসে আসবে না আমার কানে,
কারো দেওয়া প্রতিশ্রুত কোনো ডাক
কিংবা কোনো পুরোনো জন্মে কারো দেওয়া কোনো কথা
কারো গাওয়া কোনো গান
কিছুই মনে পড়বে না আমার।
আমার তখন এলঝেইমার হবে-
আমি তখন সব ভুলে যাবো,
তোমার নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর,
তোমার দেওয়া সকল সত্যি এবং মিথ্যে প্রতিশ্রুতি
তোমার রাগ ক্রোধ, অভিমান এবং ভালোবাসা,
সব ভুলে যাবো আমি-
আমি তোমাকে ভুলে যাবো -
তোমাকে আমি একেবারেই ভুলে যাবো....
নিশ্চয়ই...
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৪৭
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: জীবন সায়াহ্নের আগেই রাগ করে সায়াহ্ন বানায় দেওয়া কবিতা।
মানে কবিতা আসার আগে ভাব আসে না সেই ভাবের কবিতা আর কি অকপটভাই।
২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৫৩
একলব্য২১ বলেছেন: এই ধরনের কষ্টের কবিতা আমি পড়তে চাই না। তাই ভাল হলেও এই ধরনের কবিতাকে লাইক দিতে চাই না।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৫৭
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: কি কব্বো!
কষ্ট না থাকলে কাব্য আসে না।
পৃথিবীর তাবৎ কবি কষ্টিত হয়েই কাব্য লেখা শুরু করিয়াছেন ভাইয়ু।
আমি অবশ্য এই কবিতা রাগান্বিত হইয়া লিখেছি।
৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৫৬
হাবিব বলেছেন: দারুণ একখান কবিতা পাঠ করলাম
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৫৮
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: মানে ওয়েট করতে করতে বুড়া হই গেলাম!
সেই রাগে এই কবিতা
থ্যাংক ইউ ভাই পড়ার জন্য আর আমার কষ্টে কষ্টিত হইবার জন্য।
৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১২
আখেনাটেন বলেছেন: সুন্দর+
আলঝেইমার এর রোগী হওয়ায় ভালো...ঝামেলা থাকে না রাশি রাশি মেমোরি'র জটিল প্যাঁচ নিয়ে....। বুড়োকালে কোটি কোটি স্মৃতির ঝাঁপি... এ জিনিস মনে কয় ভয়ঙ্কর...গাজীদা ভালো বলতে পারবেক মনে কয়.....।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৮:১৬
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা কথা সত্য।
এমনিতে তো ভুলিতে পারিনা তারে ভোলা যায় না .....
তাই এলঝেইমার হওয়াই ভালা।
তাইনা???
অনেক গবেষনা করে বাইর করিয়াছি। কিন্তু সমস্যা হলো আমার এই রিতীমত মেমোরি চর্চা কি আর আমাকে এলঝেইমার হতে দেবে??
গাঁজীদার যে এলঝেইমার আগে বুঝি নাই বরং ভেবেছিলাম ও মাই মাই কেমনে এত কটু কথা বলে পরক্ষনেই আবার ভুলিয়া যাইতেছে!
এ দেখি এখ বিশেষ গুন!
পরে বুঝলাম ওহ
এই তবে কাহানী !!!
৫| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৩
মিরোরডডল বলেছেন:
ডোন্ট ওয়্যারী আপুটা ।
সেই সময় নিশ্চয়ই সেও ডিমেনশিয়ার রোগী ।
তোমার আগেই হয়তোবা তোমাকে ভুলে যাবে সে ।
সো ভুলে ভুলে কাটাকুটি ।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৮:১৯
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হোক হোক তার ডিমনেশিয়া হোক মুরগীশিয়া হোক খেকশিয়ালশিয়া হোক!
সব হোক শয়তানটার!
তবে আমাকে ভুলে যাবে!
এইটা কেমন হলো! ;(
মানিতে পারিনা ইহা মানা যায় না !
৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৮
মিরোরডডল বলেছেন:
@ আনা, আলঝেইমার বা ডিমেনশিয়া রোগীর কষ্ট কতখানি তা জানিনা কিন্তু
তাদেরকে হ্যান্ডেল করতে তাদের কাছের মানুষ পাশের মানুষের কষ্ট সীমাহীন ।
অনেক কঠিন । হৃদয়বিদারক !
একটা শিশুর মতো হয়ে যায় ।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৮:২১
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: তাইলে নেক্সট কাব্যে তাহারে একখানা শাস্তি দেওয়া যায়।
এলঝেইমার হয়ে তাহার কাঁধে চাপবো।
রোগী হ্যান্ডেল করতে করতে করতে করতে তাহার তেরোটা বাঁজবে।
ঠিক শিক্ষা হবে!
৭| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৪
মিরোরডডল বলেছেন:
আচ্ছা এই কাহিনী । অপেক্ষায় থেকে থেকে সাময়িক রাগের বহিঃপ্রকাশ ।
এই নাও তোমাকে আমার সন্ধ্যার আকাশটা দিলাম ।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৮:২২
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: কি সুন্দর মিররমনি!
কিন্তু আকাশে বাতাসে চল সাথী উড়ে যাই চল ডানা মেলে রে!!!!!!!
আকাশে বাতাসে পাতালে সব খানেই কাকে দেখি?
৮| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৭
*আলবার্ট আইনস্টাইন* বলেছেন: আপনি খুব সুন্দর কষ্টের কবিতা লিখতে পারেন।
কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে চিরহরিৎ/চিরসবুজ বৃক্ষের বনে শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা যেই ঋতুই আসুক- পাতা ঝরে যাওয়ার কথা কখনো শুনেছেন???
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৮:২৫
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: সত্যি?
আমি হাসির রাগের দুস্কের সব কবিতাই পারি জানেন?
আচ্ছা শুনাবো।
কিন্তু পাতা ঝরবে না কেনো???
বাংলাদেশের গাছের পাতা অশেষ ঝরতে ঝরতে নি্শেষ হবার আগেই শীত বিদায় নেয় কিন্তু বৈদেশে পাতা ঝরে। ঝরে ঝরে একদম নাড়া গাছ বানায় দেয়।
তবে বাংলাদেশের পাতা ঝরার অনেক গান আছে। পাতা ঝরার শব্দও আছে মর্মর ধ্বনী।
শুস্ক দুস্কের হৃদয়ে এই ধ্বনী শোনা যায়।
সেই ধ্বনী শুনতে হলে আপনাকে প্রেমে পড়তে হবে।
আরও ভালো শোনা যাবে ছ্যাকা খেলে।
ফান না কিন্তু সত্যি কথা বললাম।
৯| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি অনেক কষ্ট এবং অভিমান থেকে যে কবিতাটা লিখেছেন এটা বোঝাই যাচ্ছে। কিন্তু আমার প্রশ্ন হোল অভিমান করে তাকে কি সত্যিই চিরদিনের মত মন থেকে মুছে দিতে পারবেন? আর আপনার এই অভিমান কি সে বুঝবে? আপনার আবেগের প্রতি যদি তার শ্রদ্ধা না থাকে তাহলে এই অভিমানে আপনিই মনে হয় বেশী কষ্ট পাবেন।
আপনার দুঃখ পুরোটা তো আমার পক্ষে বোঝা সম্ভব না। শুধু সমব্যথী হওয়ার চেষ্টা করতে পারি। তবে আমি আশা করবো এই শীতের অবসাদ, শূন্যতা, হাহাকার, বিষণ্ণতা কেটে আপনার জীবনে আবার নতুন করে বসন্ত আসুক এবং তিনি আপনাকে যে সব সত্যি এবং মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি যেন তা পূরণ করেন।
আপনার এস্রাজে আবার যেন বেজে ওঠে নব কিশলয়ের তারুণ্যের সুর। সেই কচি পাতার গান আর আপনার জীবনের সুর যেন মিলেমিশে একাকার হয়।
সময় করে পরে আরও কিছু লিখবো।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৮:২৭
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: দূর তার বুঝা না বুঝাই কি ?
আমি ভুলবো সেটাই বড় কথা।
নিজের উপর আর কেউ আছে নাকি?
থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ সমব্যথী হবার চেরেষ্টার জন্য।
কিন্তু ভাই মনটা কি খারাপ?
এত ভালোমানুষী কমেন্টো!
চিন্তায় পড়লাম।
১০| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৪
শেরজা তপন বলেছেন: আমার বাবার আলঝেইমা ছিল- খারাপ নয়!
কবিতায় ভাল লাগা- তবে আসুন অতদিন বাঁচি না হয় আগে
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৩৩
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: এলঝেইমার এই রোগটা শুনলেই আমার মনে হয় বেঁচে থেকেও মরে যাওয়া। মান জীবন্মৃত।
খুবই খারাপ একটা ব্যপার।
ভীষণ কষ্টের।
মানুষ যখন সূরা পানে বোধ শক্তি হারায় তখনও যেমন নিজের উপরে নিজেই থাকে না ঠিক তেমনই কিছু চিরস্থায়ী নিজের উপর নিয়ন্তন হারানো ব্যপার।
কি যে খারাপ লাগে ভাবতেই।
এই কবিতাও আমার বোধ শক্তি হারানোর অনুপ্রেরনা।
কিন্তু তারাই জানে বা তাদেরকে নিয়ে যাদের অভিজ্ঞতা আছে তারাই জানে এ কোন কবিতার গল্প।
১১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: কবিতা পড়ার প্রহর,
এক সময় না একসময় বুড়ো/বুড়ী হয়ে যেতে তো হবেই কিন্তু সময় বেঁধে দিয়ে কবি বুড়ি হবে এটা ভাবতে কষ্ট হচ্ছে।
আলঝেঁইমার না হলেও চোখে যে ছানি পড়বে এটা শিওর, তাই আরেক কবি লিখে গেছেন ----
কিছুই পড়েনা মনে আর , শালা !
একদিন যে, এই পথে হেটেছি অনেক,
দেখেছি কিছু ঘর-বাড়ী, বাগান-সড়ক,
ঝুলে থাকা বারান্দার গরাদে তিথীর ব্রা
কিছু কায়া , কিছু ছায়া সবই ছাড়া ছাড়া,
বেওয়ারিশ কুকুর, পথের ফকির সবই
ছানি পড়া চোখের ভেতরে জলকেলিতে মাতোয়ারা.............. ।
লিংক কিছুই পড়েনা মনে আর , শালা !
কবিতার ভাব ভালো লেগেছে বলেই এতো কথা লিখতে হলো।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৪০
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হ্যাঁ আমি রাগে বুড়িই হবো।
মানে এখনও বুড়ি তখন হবো যক্ষী বুড়ি।
হাতে পায়ে শিরা পড়া কুঁচকানো ছানি পড়া চোখ....
হায় হায় কোন শালাকবি এটা লিখেছে!!!
তাই তো তাই তো
যাই তো
পড়ে আসি।
জানি জানি এই কবিতা ভালো লাগতেই হবে।
অনেক লুতুপুতু হলো এইবার শুধু কবিতায় অভিশাপ দেবো।
এরপরের কবিতার নাম হবে অভিশাপ।
যাই এইবার সেই কবিতা পড়ে আসি।
১২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৫৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার এই বিরহের কবিতা নিয়ে আমি মশকরা করবো!!! আপনি কি আমাকে এতটাই কঠিন হৃদয়ের মানুষ ভাবেন!!! জানেন ভারতের রাজস্থানে মানুষ মারা গেলে কান্নাকাটি করার জন্য মানুষ ভাড়া পাওয়া যায়। এদেরকে রুদালি বলে। আপনার এই ঘটনা তো তারচেয়েও মর্মান্তিক। ওদের ডাকবো নাকি বলেন। অবশ্য আমিও ভালো কান্নার অভিনয় করতে পারি। এমন কান্নাকাটি করবো যে আপনার সব দুঃখ দূর হয়ে যাবে। আপনার কবিতা পড়ার পর অনেকক্ষণ অঝোর ধারায় কান্নাকাটি করেছি। এই কারণে মন্তব্য করতে দেরী হয়ে গেলো। আমার স্ত্রী জিজ্ঞেস করলো কি হয়েছে, আমি বললাম যে করোনায় একজন মারা গেছে।
কিন্তু মিরর আপু কেন আপনার প্রেমিককে ডিমেনশিয়ার জন্য বদদোয়া করলো???!!!! হাজার হোক আপনার প্রেমিক, রাগ কি সারাজীবন থাকবে নাকি! ওনার বুদ্ধি দিন দিন কমতেসে নাকি। উনি আপনার কোন প্রেমিকের ভালো চায় না। এই ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:০৫
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হায় হায় আপনি তারে করোনায় মেরে ফেললেন কেনো??
আপনি মানুষ তো সুবিধার না।
যান এখুনি তওবা পড়ে আসেন।
আর আপনার শয়তানী বুঝিনা?
কি ভাবেন আমি বোকা?? না??
আপনি কায়দা করে বলছেন মিররডল নাকি আমার কোনো প্রেমিকের ভালো চায় না।
'
মানেটা কি হ্যাঁ!!
আমার কত প্রমিক শুনি?
১৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:০১
রাজীব নুর বলেছেন: অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:০৫
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: প্রান থেকে ধন্যবাদ ভাই।
১৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:০৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বউয়ের হাত থেকে বাঁচার জন্য আরও কত মিথ্যা কথা বলতে হয়! আপনি এইগুলি কিভাবে জানবেন! হাজবেন্ডদের এইগুলি জানতে হয়। নইলে অনেক কঠিন বিপদের সম্মুখীন হতে হয়। আমার এক বন্ধু দাঁতের ডাক্তারের কাছে গেছে। ডাক্তারের সাথে কথোপকথন শোনেন তাহলেই আপনি বুঝবেন কেন মিথ্যা বললাম;
চিকিৎসক: আপনার দাঁত ভাঙল কী করে?
আমার বন্ধু: আর বলবেন না, আমার বউয়ের বানানো রুটিগুলো এত শক্ত হয়…
চিকিৎসক: বউকে বলবেন, যেন একটু নরম করে রুটি বানায়।
আমার বন্ধু : বলেছিলাম বলেই তো এই দশা!
বুঝছেন তো ব্যাপারটা!
আর আপনার প্রেমিক কয়জন এই ব্যাপারে আমার পরিষ্কার ধারণা নাই। কম বললে যদি রাগ করেন তাই বেশী করে বলেছি। প্রেম বেশী থাকা ভালো না??? কি বলেন! তবে মিরর আপু কখনো আপনার দুঃখটা ঠিক মত বোঝে না। আপনার এই কঠিন শোকের মধ্যে সে অপ্রাসঙ্গিকভাবে অস্ট্রেলিয়ার সন্ধ্যার আকাশের ছবি দেয় কেন। তাকে তো স্কুলে নদীর রচনা লিখতে দিলে সে টেনে সেটাকে গরুর রচনা বানাতো মনে হয়। সে কি লিখতো জানেন? আচ্ছা আমি একটা নমুনা দেই তাহলেই বুঝতে পারবেন;
রচনার নামঃ আমাদের ছোট নদী
আমাদের গায়ে একটা ছোট নদী আছে। নদীর পাশে একটা মাঠ আছে। মাঠে একটা গরু আছে। গরু একটি গৃহপালিত পশু। গৃহস্থালির কাজে গরু একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাণী। গরু আমাদের নানা উপকারে আসে এবং তার দ্বারা অনেক কাজ সাধন করা হয়। প্রাণী হিসেবে গরু একটি শান্তশিষ্ট এবং নিরীহ প্রাণী। গরু একটি পাঁচ পা ওয়ালা প্রাণী। উচ্চতায় এটি ত্রিশ হাত এবং দৈর্ঘ্য পনেরো হাত হয়ে থাকে। গরুর তিন চোখ, তিন কান, একটা শিং, দুইটি দীর্ঘ মাথা এবং পিছনে এক জোড়া লেজ থাকে। গরুর সারা শরীর ছোট এবং ঘন লোমে আবৃত থাকে। গরু লাল,কালো, সাদা ইত্যাদি বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে এবং বিশ্বের সবজায়গায় পাওয়া যায়। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়ায় গরু বেশী পাওয়া যায়। তবে এরা দুধ বেশী দিলেও মাথা ভর্তি গোবর থাকে।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:১২
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা গরুর রচনা বড় সরু হইয়া গেলো।
আর বন্ধুর দাঁতের গল্পটা মনে হচ্ছে বন্ধুর নামের আড়ালে আপনি স্বয়ং।
যাহাই হোক আপনার দেয়ালিকা আপা কই?
তিনারে দেখছিনা কেনো ?
মিসিং হার।
১৫| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৩৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: উনি আমাকে বলেছেন যে উনি একটা ব্যতিক্রমী লেখা লিখছেন। আমার ধারণা উনি একটা মহাকাব্য লেখায় হাত দিয়েছেন। মহাকাব্য লিখতে গেলে আগে বিখ্যাত মহাকাব্যগুলি তো পড়া প্রয়োজন। উনি মনে হয় মরুভূমির জলদস্যুর লেখা মহাভারত পড়া এবং দেখা শুরু করেছেন। উনি লাজুক ও বিনয়ী মানুষ, মহাভারতের অপ্সরাদের বেহায়ার মত কাজ-কাম আর পোশাক-আসাক দেইখা উনি মনে হয় সাময়িক ভারসাম্য হারাইয়া ফেলেছেন। জ্ঞান ফিরলেই উনি চলে আসবেন। আপনার কান্না তো অনেক কষ্টে থামালাম। কিন্তু ওনারটা যে কিভাবে থামাবো এটাই নিয়াই তো আমি ভীষণ চিন্তায় আছি। তবে ওনার কান্না একেবারে খাঁটি। মিরর আপুর মত লোক দেখানো কান্না উনি কাঁদেন না। তাও আপনার কপাল ভালো যে মিরর আপু আপনার এই দুঃখের মধ্যে কোন উরা ধুরা গান ধরাইয়া দেন নাই। এইটাই রক্ষা।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৪৮
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আমি এখন আপাতত অন্য এক প্রেমিকের কথা স্মরণ করিয়া মহা কাব্য রচনা করিতেছি।
আর আকুল হইয়া কাঁদিতেছি।
কেনো এই আকুলতা আপনারে পড়াইবোনে। যান
আজ কালকার মধ্যেই পড়াই দেবো।
আর ততখনে দেয়ালিকা আপার জ্ঞান ফিরা আসুক।
আমার কান্নাও যে কতখানি খাঁটি সেই মহা কাব্য পড়িলেও আপনি বুঝিবেন।
১৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৫৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার এই কবিতার সাথে কুনো ব্যাঙের শীতনিদ্রার খুব মিল আছে। কুনো ব্যাঙ অবশ্য শীতনিদ্রায় যাওয়ার আগে কবিতা লেখে না। তবে এরা শীতনিদ্রায় গেলে এদের মধ্যে অবসাদ, শূন্যতা, হাহাকার এবং বিষণ্ণতা বিরাজ করে। ব্যাঙের এস্রাজে তখন শুধু ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর আওয়াজ হতে থাকে। ব্যাঙের ত্বকে তখন খড়ি ওঠে ( মানে জানি না)। এদের চোখে তখন থাকে হতাশা আর বঞ্চনার ছায়া। বিষাদ এবং অবসন্নতায় ম্রিয়মান এদের কণ্ঠ থেকে তখন ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর ছাড়া আর কোন আওয়াজ বের হয় না। তবে আপনার মত এদের কানে তখন উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের সুর প্রবেশ করে না। কারণ কুনো ব্যাঙ শাস্ত্রীয় সঙ্গীত কম বোঝে। আরও কিছু মিল আছে। কিন্তু সবগুলি বললে আপনার শোক দূর হয়ে যাবে এবং তার জায়গায় ক্রোধের আবির্ভাব ঘটতে পারে। তাই ঐগুলি পরে বলি। একবারে বেশী নিতে পারবেন না। শীতনিদ্রা কি জিনিস?
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০৯
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: না না আমি শীতনিদ্রায় যাবো না।
আমি জেগে থাকবো। আমি বাইরে বেড়াবো। আমি একা একা ফুচকা চটপটি খাবো। কেউ আসে পাশে আসলেই ল্যাং মেরে তাকে ব্যাং বানাই দেবো।
আর তাকে ভুলে যাবো। তার জন্য যদি ব্রেইন ট্রান্সফার করে ব্যাঙ রাজকুমারীর ব্রেইনও লাগানো হয় আমি রাজী।
তবে আই লাইক ব্যাঙ রাজকুমার মানে ফ্রগ প্রিন্স।
কি সুন্দর কি সুন্দর!
১৭| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৫৬
নেওয়াজ আলি বলেছেন: এই শীতে কী করোনা নিপাত যাবে। তাহলে আমি হবো সমুদ্র তীরবর্তী। পড়বো কবিতা ভোর হল‘ দোর খোল ।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১২
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: করোনা নিপাত যাক আর পপাৎ যাক।
আমি তবুও রেগেই থাকবো।
এই রাগ আর আমার যাবে না।
আমি যেতেই দেবো না।
১৮| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: কবিতা চমৎকার হয়েছে।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:২৭
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জলদস্যুভাই।
১৯| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৪৭
কালো যাদুকর বলেছেন: অতিরিক্ত প্রোটিনের কারনে মাথার সেলগুলো শুকিয়ে গেলে "আলঝাইমার" হয়(উকিপিডিয়া)
"আলঝাইমার" একটি উপায় হতে পারে ভুলে যাওয়ার। তবে কেউতো আর ইচ্ছে করে ভুলতে আলঝাইমার হওয়াতে পারে না।
তবে রাগ করে সে আশা করা যায় অবশ্য।
....
ভেবেছিনু মনে মনে দুরে দুরে রব
চির জন্ম সংগোপনে....
এই গানটি মনে পরে গেল, এই কবিতাটি পরে।
কবিতা ভাল লেগেছে।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৪৯
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা থ্যাংক ইউ যাদুকরভাই।
হ্যাঁ রাগ করে এলঝেইমার হওয়াবো। যেন ভুলে যাই একেবারে। সারা জন্মের মত।
এই গানটা বড়ই প্রিয়।
অনেক ধ্যনাদ।
২০| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:২২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এক জায়গায় ভুলে গাড়ি ঘোড়া লিখেছেন। এই যুগে রাস্তায় ঘোড়া থাকে না। তাই ঘোড়া শব্দটা একদম বেমানান।
আরেক জায়গায় কণ্ঠবর লিখেছেন। এইটা কি ধরণের বর, বুঝলাম না। বর মানে তো জামাই। কণ্ঠ বর মানে কি গলায় ঝুলে থাকা জামাই???!!! অনেকটা ঘর জামাইয়ের মত!!
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:১৩
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা হা ঘোড়া স্বপ্নে থাকে।
এ যুগের গাড়ির হর্ন আর পুরব জনমের ঘোড়ার চিহি। আপনি কেমনে জানেন ঘোড়াগাড়িতে চড়ে আমার রাজকুমার আসছিলো কি না?
ঘোড়ার চিহি ডাক কানে পৌছুবে না লিখেছি একদম ঠিক আছে।
আর কন্ঠবর মানে বুঝলেন না??
ছি ছি এত বোকা আপনি!!!!!!!!!
বর মানে জামাই কিন্তু দেখেন না আজকাল প্রেমিকাকে বিয়ের আগেই কতগুলান বেহায়া বউ বউ করে তেমন আর কি আমি তো বেহায়া না তাই বর বর করতে পারলাম না তাই কবিতায় এট্টু সুযোগ নিলাম আর কি।
২১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৩০
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আসন্ন শীতে আরও চাঙ্গা হয়ে উঠুন, আরও কবিতা লিখুন।
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:০১
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: না না আসন্ন শীতেই আমি থুত্থুড়ি হয়ে যাবো।
২২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:০৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঢুকিচেপা ভাই আপনাকে আর শুভ্রকে চিলেকোঠায় পিকনিকের দাওয়াত দিয়েছেন। আমার এই পোস্টের ১১ নাম্বার মন্তব্য- প্রতিমন্তব্য পড়লেই বিস্তারিত জানতে পারবেন। এই সুযোগ হেলায় হারাইয়েন না।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১:৫৪
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: দূর দূর চিলেকোঠায় আবার কে যায়?
আমার রাজপ্রাসাদে আপনাদের দাওয়াৎ
২৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৩৪
একলব্য২১ বলেছেন: চিলেকোঠায় তুমি কতদিন ছিলা। চিলেকোঠার ঘরে গরমের দিনে খুব গরম হয়, তাই না।
আশা করি পুতুলের সব অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:২৬
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা চিলেকোঠার ঘরে থাকা কেনো পাও দেইনি জীবনেও।!!!!!!!!!
মানে জীবনেও ছিলাম না !!!!!!!!!
হা হা হা হা এই কথা শুনে নিশ্চয়ই তোমার হৃদয়ে বেদনা লাগবে তোমার জানি ভাইয়ু.....
আসল কথা আমি এই প্রশ্নের উত্তর দেবো না মানে কতদিন ছিলাম এটা।
তবে হ্যাঁ চিলেকোঠা কেনো যে কোনো বাড়ির টপ ফ্লোর এসির মধ্যে থাকলেও গরম ভূত।
শীতেও গরম ভূত থাকে।
এখন যেখানে আছি সেটাও রুফটপ কিন্তু তার উপরে বাগান আর স্যুইমিং পুল।
কিন্তু চিলেকোঠাও বড় সুন্দর। বড় মায়াময়.....
রাজপ্রাসাদের সাথে তার তুলনা করলে সেই হয়ত ১০০তে ২০০ নাম্বার পাবে।
বিশ্বাস করো শেওলা ধরা সেই পুরোনো মোটা ইটের দেওয়ালের ছাদের রেলিং এর সেই শীতল মায়ার সাথে এই ঝা চকচকে এস এস রেলিং এ পড়া গনগনে আগুনের তাত ওয়ালা শোভা ঠিকরে বের হয় ঠিকিই কিন্তু হৃদয় পোড়া গন্ধ তাতে দূর হয় না ভাইয়ু.......
কিন্তু বেঁচে থাকাটাই একটা দারুন ব্যপার।
২৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:৩০
মিরোরডডল বলেছেন:
সাচু বলেছে :
আপনার কবিতা পড়ার পর অনেকক্ষণ অঝোর ধারায় কান্নাকাটি করেছি। ( এই কারণে মন্তব্য করতে দেরী হয়ে গেলো। আমার স্ত্রী জিজ্ঞেস করলো কি হয়েছে, আমি বললাম যে করোনায় একজন মারা গেছে। (
হা হা হা ...... সাচু একটা বদ
কিন্তু মিরর আপু কেন আপনার প্রেমিককে ডিমেনশিয়ার জন্য বদদোয়া করলো???!!!! হাজার হোক আপনার প্রেমিক, রাগ কি সারাজীবন থাকবে নাকি! ওনার বুদ্ধি দিন দিন কমতেসে নাকি। উনি আপনার কোন প্রেমিকের ভালো চায় না। এই ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।
২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:৩৪
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: সাচুভাইয়া এখন কচু বা ঘেচু হয়ে মুখখানা হুনুমান বানিয়ে গুরু গম্ভীর হয়েছেন ভাবীর বকা খেয়ে।
এখন তার কাজ সকালে উঠে বাসন মাজা, ঘর ঝাড়ু দেওয়া বাজার করে তারপর অফিস যাওয়া। সারাদিন হাড়ভাঙ্গা অফিস খাটুনির পর বাসায় এসে বাচ্চাদেরকে পড়াতে বসানো। তার নিজের পড়ালেখা (মানে ব্লগ পড়ালেখা) শিকেয় উঠেছে তাই।
সাচু ভাইয়ার বকা খাওয়ার কারণ আমার কোনো প্রেমিকের তার দেখতে না পারাটা ভাবী সন্দেহের চোখে দেখেছেন।
বেচারা ভাইয়ু। বিনা দোষে দোষী হলো হিংসা করে।
২৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:৪৩
মিরোরডডল বলেছেন:
আমার মনে হয় বিষয়টা অন্যকিছু ।
বিপাশাকে খুব আপু আপু করতো ।
পরে মনে হয় বুঝতে পেরেছে যে ওটা আসলে আপু না, ওটা হচ্ছে পাশা দাদাভাই
২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:৫৪
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: দাবা পাশা লুডু কোন দাদাভাই?
থাক থাক দাদা ভাই হোক আর দিদি বোন হোক প্রবলেম কি???
আহারে কোথায় গেলো আপুটা ????
ওমেরা আপু একটা নাম দিয়েছিলো ভাইয়া না হোক আপু বুঝার দরকার নেই বলা যেতে পারে ভাপু।
কিন্তু সেটা আবার শুধু মলাভাইয়ার জন্য। আমরা ডাকলে মাব্বে কিনা জানিনা।
২৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:৪৮
মিরোরডডল বলেছেন:
তবে মিরর আপু কখনো আপনার দুঃখটা ঠিক মত বোঝে না। আপনার এই কঠিন শোকের মধ্যে সে অপ্রাসঙ্গিকভাবে অস্ট্রেলিয়ার সন্ধ্যার আকাশের ছবি দেয় কেন। (
মন খারাপের সময় এরকম সুন্দর সন্ধ্যার আকাশ দেখে যে মনটা ভালো হয়ে যায় এটা সবাই বোঝে না
২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:৫৫
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা হা সাচুভাইয়ু শুধু হিংসা লাগাচ্ছিলো।
দেয়ালিকা আপুকে দলে নিচ্ছিলো ......
দেয়ালিকা আপুর অবশ্য সাহস নাই আমাদের দল ছেড়ে তার দলে যাবে।
২৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:৫৭
মিরোরডডল বলেছেন:
উনি মনে হয় মরুভূমির জলদস্যুর লেখা মহাভারত পড়া এবং দেখা শুরু করেছেন। উনি লাজুক ও বিনয়ী মানুষ, মহাভারতের অপ্সরাদের বেহায়ার মত কাজ-কাম আর পোশাক-আসাক দেইখা উনি মনে হয় সাময়িক ভারসাম্য হারাইয়া ফেলেছেন। জ্ঞান ফিরলেই উনি চলে আসবেন।
হা হা হা......
মিরর আপুর মত লোক দেখানো কান্না উনি কাঁদেন না।
আমিতো কান্না করিনা । এটা কোত্থেকে এলো ???? আজীব ............
তাও আপনার কপাল ভালো যে মিরর আপু আপনার এই দুঃখের মধ্যে কোন উরা ধুরা গান ধরাইয়া দেন নাই। এইটাই রক্ষা।
তাই? সাচুর জন্য নো মোর গান শেয়ার ।
২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:০০
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ঠিক ঠিক
উনি মনে হয় মরুভূমির জলদস্যুর লেখা মহাভারত পড়া এবং দেখা শুরু করেছেন। উনি লাজুক ও বিনয়ী মানুষ, মহাভারতের অপ্সরাদের বেহায়ার মত কাজ-কাম আর পোশাক-আসাক দেইখা উনি মনে হয় সাময়িক ভারসাম্য হারাইয়া ফেলেছেন। জ্ঞান ফিরলেই উনি চলে আসবেন।
বড়ই ঠিক......
জ্ঞান না ফিরলে আমি ওঝা আনছি দাঁড়াও। রাফায়েল ওঝা......
সাথে একখানা মন্ত্রপুত বক।
২৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:০৬
মিরোরডডল বলেছেন:
আহারে কোথায় গেলো আপুটা ????
আমিও মিস করছি আপুর লেখা এবং আপুকে ।
Wish she’ll be back soon ঝলুন্ত নিষ্পাপ শিশু
২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:১৬
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আরে কি বলো?
নিস্পাপ শিশুকে ঝুলানো ঠিক না মিররমনি।
সবার আগে সাচুভাইয়া ফিরে আসুক নাইলে কিন্তু পোস্টু দেবো না। লাগ কববো!!
২৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:২০
মিরোরডডল বলেছেন:
আমি বলিনি, সেতো নিজেই নিজেকে ঝুলন্ত নিষ্পাপ শিশু বলেছে ।
আমার মজা লেগেছে তাই আপুকে আমি ওই নামেই ডাকি
পোষ্ট দিলেই সাচু আসবে ।
২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:২৫
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ওহ তাই নাকি?
মাঝে অনেক কিছু মিস করেছিলাম।
ডুবে ছিলাম অন্যদিকে......
ডুবাডুবির সময় আমার আবার হুশ থাকে না......
লেখায় ডুবি, আঁকায় ডুবি, সাজুগুজুতে ডুবি, বেড়াবেড়িতে ডুবি......
তখন আমি নাই হয়ে যাই ....
৩০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:৩৫
মিরোরডডল বলেছেন:
তখন আমি নাই হয়ে যাই ....
নাই হলেও আবার ফিরে ফিরে এসো ।
Okie dokie
চললাম
ভালো থেকো আপুটা
২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:৩৮
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হ্যাঁ তাই তো ফিরে ফিরে আসি।
ওকে ওকে আবার দেখা হবে।
৩১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:৪০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনারা যত যাই বলেন না কেন দেয়ালিকা বিপাশা আপু একজন খুব ভালো একজন লেখিকা আর খুব বিনয়ী একজন মানুষ। অতি শীঘ্রই সে তার লেখা নিয়ে হাজির হবে। সে একজন জেনুইন আপু। আপনাদের মত না। আমি তাকে মিস করছি। উনি মনে হয় শিক্ষিকা (আমার ধারনা)।
@ মিরর আপু, আপনার দেয়া গানের তুলনা হয় না। আপনি গান দেয়া বন্ধ করবেন না। আমিও গান ভালবাসি। আপনার সাথে কিছু ভালো গান শেয়ার করবো।
২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:৫০
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: যাক ভাইয়া এসে গেছে। এইবার যাই কিছুমিছু লিখে ফেলি।
৩২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:৫২
খায়রুল আহসান বলেছেন: "জীবন সায়াহ্নের আগেই রাগ করে সায়াহ্ন বানায় দেওয়া কবিতা" - কেন এত রাগ জীবনের এই ভরদুপুরে?
"কষ্ট না থাকলে কাব্য আসে না" - সঠিক। মানব এবং অন্যান্য প্রাণীজগতের জন্ম থেকে শুরু করে যে কোন সৃষ্টিই বেদনা থেকে।
৭ নং মন্তব্যের ছবিটা খুব সুন্দর! বিপাশা 'দাদাভাই' কেন (২৫)?
কবিতা চমৎকার হয়েছে। তবে, 'বসন্তদিন' ফিরে আসুক!
২৬ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:৫৮
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: "জীবন সায়াহ্নের আগেই রাগ করে সায়াহ্ন বানায় দেওয়া কবিতা" - কেন এত রাগ জীবনের এই ভরদুপুরে?
হা হা সে অনেক কাহানী ভাইয়া। বলতে চাই বলবার ভাষা নাই। ভাষা খুঁজে যাও বা পাই সময় নাই সময় নাই......
বসন্তদিন.....
আমার হেথায় ফাগুন বৃথায়
বারে বারে ডাকে যে তাই গো....
এমন রাতে ব্যকুল ব্যথায়
কেনো সে দেয় ফাঁকি....
কেনো কেনো কেনো??
৩৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৩:৪৫
একলব্য২১ বলেছেন: আমি যখন তোমার 'চিলেকোঠার প্রেম' পড়া শুরু করলাম একটা recommendation এর ভিত্তিতে। তখন আমি মনে করেছিলাম কোন একজন ভাল লেখিকা যে ব্যক্তি জীবনে লেখালেখি চর্চা করে কিন্তু সামুতে এই প্রথম লিখছে। তারপর একদিনেই ৮/১০ পর্ব পড়ে একটা ঘোরের মধ্যে ঢুকে যাই।
আমি গল্প উপন্যাস খুব একটা পড়ি না। কিছুটা সত্য আর বাকীটা বানানো গল্প কাহিনীতো পড়ার প্রশ্নই উঠে না। (সব গল্প উপন্যাসই কিছু সত্য ঘটনার আধারে লিখা হয়।) আমার পড়ার বা জানার চাহিদা বর্তমানে মিটাই ইউটিউব এবং বিভিন্ন পত্রপত্রিকা পড়ে। মূলত প্রবন্ধ বা আর্টিকেল।
এখন তো আমি তোমার লেখার মুরিদ হয়ে গেছি। এখন সত্য মিথ্যা বানানো যাই লিখ না কেন সময় সুযোগ করে পড়বো।
চিলেকোঠায় তুমি কোনদিন থাকোনি। এটা বুঝতেই পারিনি। কিন্তু কেহ একজন হয়তো থাকতো যিনি কালো ফ্রেমের চশমা পরতেন। এ রকম একটা কবিতা তুমি লিখেছিলে।
বাবনিক নামে একটা গল্প সামুতে নিয়মিত ছাপছে। তোমার সবাই পড়। আমার ধারণা কাহিনী সত্য। কিন্তু ঐ যে এত পড়ার অভ্যাস তো নেই।
২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:০৬
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা ভাইয়ু...
সত্যি আর মিথ্যা ঢাকার জন্যই তো গল্প বলা।
সব সত্যি তো বলা যায় না।
তাই গল্পে গল্পে বলে হালকা হতে হয়।
শরৎচন্দ্রের জিবনী নাকি শ্রীকান্ত, হুমায়ুন আহমেদের হিমু নাকি তিনি নিজেই একইভাবে মোনালিসার মোনালিসা নাকিও লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চি।
তাহলে চিলেকোঠার মেয়েটা কে ?
অথবা কঙ্কাবতীর কঙ্কা?
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৪৫
অক্পটে বলেছেন: আহা কি সুন্দর করে সাজানো জীবনের সায়াহ্নের কথা। জীবনের ঐ সময়টায় অবহেলা বড় বেশি আঘাত দেয় মনে।