নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লোকে বলে প্রথম প্রেমটা বড্ড কোমল\nএলোমেলোযায়না \nভোলা কোনোদিনও\nসত্যি কি তাই

কবিতা পড়ার প্রহর

কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে রাতের নির্জনে

কবিতা পড়ার প্রহর › বিস্তারিত পোস্টঃ

শেষ কথা

৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:২১

শুভ্রের সেদিনের সেই শেষ কথাটা বহুদিন ভাবিয়েছে আমাকে। শেষ কথা মানে শেষ দিনে দেখা হবার শেষে বলা কথাটা। আসলে মানুষের এই নশ্বর জীবনে অবিনশ্বর বা শেষ কথা বলে কি আদৌ কিছু আছে বা শেষ কথার কি আসলেও কোনো মানে আছে? এই যে আমাদের সম্পর্কগুলোর মাঝে সবচেয়ে সুন্দর কিন্তু দ্বিধা ও দ্বন্দের সম্পর্ক ভালোবাসা। সেই ভালোবাসা কি আসলেও কোথাও কখনও শেষ হয়? হয়ত হয়, হয়ত না । কিন্তু আমরা অতি সহজেই ধরেই নেই সব শেষ হয়ে গেলো বা জোর করে শেষ করে দেই। শুভ্রই একমাত্র সেই মানুষটা যে আমাকে এত দিনের সেই শ্বাশত চিন্তা ও ভাবনার থেকে মুক্তি দিয়ে গেলো। আমি এখন নিশ্চিন্তে বসে ভাবতে পারি আমার আর শুভ্রের পুরোনো দিনগুলোর গল্প। আসলে শুধুই যে ভাবি তাই নয় লিখেও ফেলতে পারি।

এ কারণেই এক পৃথিবী মানুষের মাঝে শুভ্রই আমার জীবনের এক ধ্রুবতারা হয়ে থাকবে। শুভ্র নিজেও বোধ হয় সে কথা ভালোই জানে। আমার আজও মনে হয় আমার জীবনের যে কোনো চরম দূর্যোগেও আমি সবার প্রথমে শুভ্রকেই ভাববো। যে কোনো বিপদেও আমি তাকেই ডাকতে পারি অবলীলায় নির্দ্বিধায়। শুভ্র আমাকে ঠকাবে না। আমাকে তার যতটুকু দিয়ে সম্ভব তাই দিয়েই করবে সে আমার জন্য। এমনই বিশ্বাস আমার। সে তো শুধু আমার প্রেমিক বা হাসব্যান্ডই ছিলো না সে ছিলো আমার পরম বন্ধুও। আর ছিলো মানে অতীত হয়ে গেলেও সে আসলে আমার চিরজীবনের বন্ধুই। হয়ত এভাবেই থাকবো আমরা সারাজীবন।

লোকে বলবে তা কেনো? যেই সম্পর্ক ভেঙ্গে দিয়েছো তার সাথেই আবার কিসের এত দহরম মহরম। নির্লজ্জ বেশরম বলতেও বিন্দুমাত্র দ্বিধা হবে না কারো। সে আমি বেশ জানি। কিন্তু ভাবি, পৃথিবীতে মা ছেলের সম্পর্ক নষ্ট হয় না, ভাই বোনের সম্পর্কও নষ্ট হয় না বলতে গেলে কোনো সম্পর্কই নষ্ট হয় না তেমন কিন্তু হাসব্যান্ড ওয়াইফ বা স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক সে নষ্ট হলে সে চিরতরে চিরনষ্ট হতেই হবে। এমনকি নানী দাদী মা খালারাও এই সম্পর্ককে ভাঙ্গা থালা বাটি কাঁচের গ্লাস প্লেটের সাথে তুলনা করেন। স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক নাকি কাঁচের গ্লাস থালা বাটির মত। একবার ভাঙ্গলে জোড়া লাগে না। লাগাতেও হয়না। মানে সোজা কথা স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক নষ্ট হওয়া মানেই নাকি তারা দুজন শত্রু। মুখ দেখাদেখি হওয়া তো দূরের কথা তাদের কথা মনেও আনা বারণ সে নাকি পাপ! আমিও সেটাই জানতাম এবং মানতামও ।

কিন্তু শুভ্রই আমাকে বুঝিয়েছিলো এসব আসলে ভন্ডামী। আর এই ভন্ডামী জিনিসটাই দুনিয়াতে না থাকলে দুনিয়া অনেক সহজ ও সুন্দর হত। হ্যাঁ আসলেই তাই। শুভ্রই সঠিক। ভন্ডামী শিখেছি আমরা আমাদের অজান্তেই খুব ছোট থেকেই আমাদের মাথায় কিছু ভন্ডামী ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে যা চিরসত্য বা ধ্রুবসত্য হয়ে আমাদের মস্তিস্কে প্রোথিত হয়ে গেছে। লুকিয়ে চুরি করে যে জন লক্ষ টাকা চুরি করছে সেই জনই আবার দুইটাকার চোরকে পিটাতে পিটাতে মেরেই ফেলে। মাথায় ঘোমটা টেনে ওড়না না পরা মেয়েদেরকে ধিক্কার দেয় যে জন সেই আবার ঘোমটার আড়ালে খেমটা নাচে। হায়রে ভন্ডামী। ভন্ডামীর জালে আটকা পড়ে থাকি আমরা। তাই এই নশ্বর জীবনে অবিনশ্বর কষ্ট দুঃখ ও কিছু ক্ষোভ নিয়ে নিরানন্দে কেটে যায় জীবন। কিন্তু এই ভান্ডামী কার জন্য? সমাজ, সংসার, পৃথিবীর কাছে নিজেকে ভালো প্রতীয়মান করার জন্য নিজের কাছেই হেরে থাকা?

সে যাইহোক আজ আমার মনটা ভীষন খারাপ। মনে পড়ছে সেই দিনটার কথা। সন্তান হারাবার দুঃখ সন্তানের মুখ সেদিন না দেখেও আমি যা অনুভব করেছিলাম সেই অনুভূতিটাই চির স্মরনীয় হয়ে আছে আমার জীবনে। আজও মাঝে মাঝেই আমার মন কাঁদে সেই অনাগত সন্তানটির জন্য। ঠিক একই সাথে আমার মনে ভাসে আরও একটি মুখ। আমার চাইতেও বুঝি সেই শিশুটির জন্য তার চাওয়াটাই অনেক বেশি ছিলো। তার সেই চাওয়া এবং পাওয়া অপূর্ণ রেখেই চিরবিদায় নিতে হলো তাকে পৃথিবী থেকে। আমি বুঝিনা এই জগত সংসার এত বিচিত্র কেনো? এত বিচিত্র কেনো আমাদের অনুভুতিগুলো?

সেই চিলেকোঠার বাড়ি, সেই মফস্বল এলাকার ঝিমধরা ঘুঘুডাকা শীতল মেঝের শান্তিময় বাড়িটা কেনো বার বার আমার হৃদয়ে ভাসে?
সেই কঠিন কঠোর শ্বাসত চেহারার শ্বাশুড়িমায়ের মুখ, সদাই হরিষ শ্বশুরমশাই, চঞ্চলা হরিনীর মত কিশোরী ননদ শৈলী। সবাই তারা কেনো প্রায়ই আমার স্বপ্নে আসে? ঘুম ভেঙ্গে যায় আমার। জেগে উঠে দেখি চোখের জলে বালিশে ভিজে গেছে। লজ্জা লাগে, দ্রুত চোখ মুছে ফেলি আমি। সেসব রাতে হয়ত আমার আর ঘুম আসে না। জেগেই কেটে যায় বাকিটা রাত্রী।

এক ছুটে চলে যেতে ইচ্ছে করে সেসব দিনগুলোতে। সেই চিলেকোঠার প্রথম দিন, সাজিয়ে গুছিয়ে তোলা স্বর্গরাজ্য, শুভ্রের সাথে খুনসুটিময় ভালোবাসার গল্পগুলি এবং চিলেকোঠার শেষ দিন যখন তখন মনে পড়ে যায় আমার। মনে পড়ে শুভ্রের শেষ কথাগুলিও। আসলে শুধু শেষ কথা না শুভ্র বলেছিলো শুধু একটা না আমার অনেক কথাই কখনও ভোলা হবে না তোমার কখনও। শুভ্র অনেক কিছুই বুঝতে পারে, অনেক কিছুই জানে শুধু জানেনা অনেক কথাই না কোনো কথাই তার কখনও ভোলা হবে না আমার। এসব ভুলতে চেষ্টা করিনা আমি আর। আমি নিজের সাথে আর কোনো ভন্ডামীতে নেই। এই প্রতিজ্ঞাই আমার। শুভ্রের শিক্ষা।

মাঝে মাঝে আরও একটা কথা ভাবি। একটা মেয়ের জীবনে বিয়ে দাম্পত্ত্য বা সংসার বলতে কি শুধুই একজন মানুষ নাকি তাকে ঘিরে থাকা সব ক'টি মানুষই থাকে আসলে। শুধু মানুষগুলিই নয় এই জীব ও জড়ের সংসারে প্রতিটা ইট কাঁঠ পাথর আসবাব এমনকি তৈজসেও যে মায়া জড়িয়ে থাকে সেই মায়া নিয়েও তো একটা বাঙ্গালী মেয়ের সংসার জীবন তাই নয় কি? তাই নিয়ে নিমগাছের মত শেকড় প্রোথিত হয়ে যায় তার সংসারের উঠোনের মধ্যিখানে। আর সেই সংসারের মায়া কাটিয়ে আসা মানে জীব ও জড় স্থাবর ও অস্থাবর সকল কিছুর মায়া কাটিয়ে আসা। এতই কি সহজ? এত মায়া কি কাটানো যায়? কিছুতেই না কোনো ভাবেই না। তবুও আমরা ভন্ডের মত মায়া কেটে গেছে এই অভিনয় করে চলি।

এই ভন্ডামী আর করবো না আমি। নিজের সাথে নিজের এই মিথ্যে অভিনয়ে আমি আর নেই। এই জগতে যা যা আমার ভালো লেগেছিলো যাকে যাকে আমি ভালোবেসেছিলাম যেখানে যেখানে আমার মন ঘুরে বেড়ায় সবকিছু নিয়েই ভাববো আমি। আর কোথাও না হোক মনের ক্যানভাসে রং আর তুলি দিয়ে স্পস্ট রঙ্গিন করে আঁকবো সে সব ছবি। সাজিয়ে রাখবো মনের দেওয়ালে সেই সব গল্পগুলি। যতদিন বেঁচে থাকবো আমি আমার মত করেই বাঁচবো।

কিন্তু এই যে শুভ্রকে নিয়ে আমার জীবনের এক বিশাল অধ্যায় শুভ্রের বর্তমানে বা অবর্তমানে গেঁথে রইলো আমার জীবনে এই অধ্যায়ের শেষ নেই। শেষ হবে সেদিনই যেদিন আমার জীবনের শেষ হবে। জীবন শেষ হয়ে যাবে কিন্তু রয়ে যাবে এই স্মৃতির পাতা। কেউ হয়ত পড়বে না। পড়ুক বা না পড়ুক কি যায় আসে? তবুও কেনো লিখি আমি। এ প্রশ্নের উত্তর জানিনা। হয়ত লিখতে গিয়ে স্মৃতির রোমন্থনটাই আমার এক রহস্যময় ভালো লাগা। তবুও কি এই বিশ্বসংসারে এতটুকু সময় আছে মন খুলে লেখার। শুধু হঠাৎ চিন্তায় এসে যাওয়া স্মৃতিগুলি উথাল পাথাল করে আমার হৃদয়ের মনিতটে।


কি লিখতে এলাম আর কত কথাই না বলে গেলাম। আজ এই লেখার কারণটাই ছিলো গতকাল থেকে হঠাৎ মন খারাপের কারনটাই।
সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বেশ ভালোই কাটছিলো আমার নিত্য নৈমত্তিক ঝামেলাগুলি নিয়ে, কাজগুলি নিয়ে।হঠাৎ দুপুরের দিকে শুভ্র জানালো জলমোতী এবং তার আজ ভোরে আগত সন্তান দুজনকেই হারিয়েছে সে। স্মম্ভিত হয়ে গেলাম আমি। সকল কিছুর মাঝে আমার অনেক বড় একটা সান্তনা ছিলো যেই শুভ্রকে মূল্য দিতে পারিনি আমি সঠিক সময়ে। যেই শুভ্রকে হারিয়েছি আমি বড় অবহেলায়। সেই শুভ্রকে যতনে আদরে রেখেছে যেই মেয়েটি সেই মেয়েটির উপর শ্রদ্ধা ছিলো আমার। আমি যা পারিনি সে তা পেরেছিলো। বলতে গেলে তার কাছে হেরে গিয়েছিলাম আমি। আমি হারতে ভালোবাসিনা। সকল কিছুতে জয় পেতে চাই আমি। কিন্তু তার কাছে হারে আমার কোনো লজ্জা ছিলো না । সেই জলমোতী হারিয়ে গেছে। ঐ চঞ্চলমতী সদা হাস্যজ্জ্বল মেয়েটা আর কখনও হাসবে না, কথা বলবে না। স্বপ্নেও কখনও ভাবিনি এমনটা হতে পারে।

শুভ্র খুব অবলীলায় বলে যাচ্ছিলো কি কি হয়েছিলো। কিভাবে এত বড় দূর্ঘটনাটা হলো। সে কতটা শকড। কিন্তু আমি অতবড় একটা মর্মস্পর্শী ঘটনার পরেও শুভ্রের এই নির্লিপ্ত অবিচল ভাব দেখে বিস্মিত হলাম। মনে অনেকগুলো প্রশ্ন জাগলো। শুভ্র কি আসলেই কাউকে কখনও ভালোবেসেছিলো। নাকি সে এই জীবন পথের এক মূর্তমান চলন্ত রেলগাড়ি। যে রেলগাড়িতে কিছু সময় পর পর যাত্রীরা ওঠে এবং নেমেও যায় আর তাতে রেলগাড়ির কোনো কিছু যায় আসে না।

আমি জানতাম এবং আজও জানি আমার যে কোনো বিপদে অথবা আনন্দে সবার আগে যার নামটা মনে পড়বে সে শুভ্র। শুভ্রেরও হয়ত তাই। তার বাবা এবং বোন সেখানে আছে বলে তারা সবই জানেন কিন্তু তারা এবং কিছু খুব কাছের আত্মীয় ছাড়া শুভ্র সবার আগে আমাকেই মনে করেছে। কিন্তু হায়! কি করে ওর এই বিপদে সাহায্য করবো আমি? এই ব্যথার সান্তনার বাণী কি? জানা নেই আমার.....

মন্তব্য ৬০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৬০) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: শুভ্র দুনিয়ার শুদ্ধতম পুরুষ নয়। অতি সাধারণ একজন। বরং সে একটা মুখোশ পরে আছে প্রথম থেকেই। তার মুখোশের ব্যাপারটা আপনি ধরতে পারছেন না। কারন আপনি বোকা। কারন আপনি নরম মনের মানুষ। কারন আপনার আবেগ এবং ভালোবাসা বেশি।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:২৯

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: তার মত আরেকটা মুখোশ তো আর কাউকে পরতে দেখিনা ।

:(

২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৫৫

উদারত১২৪ বলেছেন: খুব সুন্দর লাগলো

এক জান্নাতী সাহাবিয়ার ধৈর্য কতটুকু ছিল দেখুন

০১ লা নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:১১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: দেখলাম
অনেক সুন্দর ভিডিও।

লাইক দিয়েছি। আরও দেন ভাই।

৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:০৮

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: কিসের থেকে মুক্তি দিয়ে গেলো?

০১ লা নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:১২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ফার্স্ট প্যারা আবার পড়েন।
পড়ে অন্তর্নিহিত অর্থ বের করেন।

৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:২২

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: রেলগাড়ির উপমাটা খুবই সুন্দর।

০১ লা নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:২৯

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ফার্স্ট প্যারা পড়লেন না তাই না?

তবে লাস্ট প্যারা পড়েছেন এবং উপমাটা মনে ধরেছে তাই ধন্য হলাম।

৫| ০১ লা নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৩৭

একলব্য২১ বলেছেন: এখন বুঝতে পারছি কেন তোমার মন কাল থেকে এত অস্থির ছিল। শুভ্রর জলমোতী আর তার অনাগত সন্তানকে হারিয়েছে মানে কোন দুর্ঘটনা। তারা জীবিত নেই। মাই গড!

০১ লা নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৫৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: মিররডল বলেছে সব কথা না বলতে।


:(

৬| ০১ লা নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৫০

একলব্য২১ বলেছেন: অনাগত শব্দ না তুমি বলেছ আগত তার মানে বাচ্চা ডেলিভারি সময় কোন complication হয়েছে।

০১ লা নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৫৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: মেইল করে বলতে হবে না বলা কথা তোমাকে। :(

৭| ০১ লা নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:১১

একলব্য২১ বলেছেন: মেইল করে বলতে হবে না বলা কথা তোমাকে।

ওকে। ডেলিভারির সময় অনেক মা eclampsia বা অন্য কোন জটিল কারণেও মারা যায়। যাই হোক আমি আর wild guess করতে চাই না।

বড় মাপের মানুষরা জটিল পরিস্থিতিতেও শান্ত থাকে। তুমি বলছ শুভ্রর কোন হেলদোল নেই। মানে নির্লিপ্ত। ভাল। মাথা ঠান্ডা রাখা ভাল। শুভ্র মহান পুরুষ।

০১ লা নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:২৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: মেইল করে বলবো না?

কেনো ?

এইখানে কি হয়েছে জলমোতীর সেই কষ্টের কথাটা আসলে আনতে চাইনি। লিখতে পারিনি।

৮| ০১ লা নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:১৯

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: গল্প পুরোটাই পড়েছি।প্রথম কমেন্ট করেছিলাম প্রথম প্যরাটাতে চোখ বুলিয়ে।গল্প সুন্দর হয়েছে।

০১ লা নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:২৬

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: থ্যাংক ইু সো মাচ।

আমি কোনো গল্পই আসলে একদম হাওয়ায় ভেসে লিখতে পারি না। নিজের দেখা জানা ও শোনা এবং কিছু কিছু ভাবনা থেকে লিখি।

ভেবেছিলাম লেখাটা পড়েন নি।

যাইহোক এখন উত্তর দিচ্ছি।
ভালোবাসা কি আসলেও কোথাও কখনও শেষ হয়? হয়ত হয়, হয়ত না । কিন্তু আমরা অতি সহজেই ধরেই নেই সব শেষ হয়ে গেলো বা জোর করে শেষ করে দেই। শুভ্রই একমাত্র সেই মানুষটা যে আমাকে এত দিনের সেই শ্বাশত চিন্তা ও ভাবনার থেকে মুক্তি দিয়ে গেলো। আমি এখন নিশ্চিন্তে বসে ভাবতে পারি আমার আর শুভ্রের পুরোনো দিনগুলোর গল্প। আসলে শুধুই যে ভাবি তাই নয় লিখেও ফেলতে পারি।

০১ লা নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:২৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: মানে গড়ে তোলা ভালোবাসা বা সম্পর্ক আসলে কখনও হারিয়ে যায় না। ফুরোয় না বা শেষ হয় না। আমরা জোর করে শেষ করে দেই। বলি আর কোনো কথা বলা ঠিক না।

৯| ০১ লা নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:২৮

একলব্য২১ বলেছেন: তুমি আমাকে মেইল করতে পারো। নো প্রবলেম এট এল।

০১ লা নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:২৯

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ওকে তাই হবে। তাই হবে।

১০| ০১ লা নভেম্বর, ২০২১ রাত ২:২৪

নেওয়াজ আলি বলেছেন: বাঙ্গালী মেয়ের জীবনে বিয়ের পর সংসার নামক যুদ্ধে জড়াতে হয় সেখানে ভালো মানুষ পেলে জয় হয় না পরাজিত হয়ে ডুবে যায়।

০১ লা নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৩০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: জয় পরাজয় ছেড়ে আজ সময় হয়েছে নিজের মত করে ভাববার।

মান্ধাতার আমলের ভাবনা রেখে নিজে ভালো বুঝে চললেই মনে হয় সেটা ভালো হয়।

মানে নিজের মাথাটাকে খাটাতে হবে।

১১| ০১ লা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:২৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন আমাদের মধ্যে অনেক ভণ্ডামি আছে। কিন্তু আমরা স্বীকার করতে বা বুঝতে চাই না।

কখন গল্প লেখেন আর কখন সত্যি কথা লেখেন বোঝা কঠিন। সত্যি সত্যি জলমোতি আর তার সন্তান পৃথিবী থেকে চলে গেলে ব্যাপারটা কষ্টদায়ক। আপনার উচিত শুভ্রের সাথে কথা বলা। আমার মনে হচ্ছে শুভ্রের চেয়ে আপনি বেশী কষ্ট পেয়েছেন। তাই শুভ্রই হয়ত আপনাকে সমবেদনা জানাবে।

০১ লা নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৩২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: না আমি আমার মত করেই কষ্ট পাচ্ছি।
কিন্তু শুভ্র সমবেদনা জানাবারও মানুষ নয়।

সে এক্সেপ্টেবল পারসন।

মনেরে আজ কহ যে
সত্যরে লও সহজে।মানুষ।

১২| ০১ লা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:২৪

ইসিয়াক বলেছেন: কোন কোন সম্পর্ক থেকে যায় মনের কোনে। বারবার মুছলেও জলছাপ হয়ে তবু রয়ে যায়। বিশেষ করে প্রথম প্রেম প্রথম ভালোবাসাটুকু। শুভ্র তেমনই এক সম্পর্ক। বারবার সে ফিরে আসবে নব রুপে নব সাজে নতুন স্বপ্ন নিয়ে ধ্রুবতারার মত।সবার জীবনে তাই হয় কিন্তু ভণ্ডামির মুখোশ পরে আমরা সমাজের ভয়ে স্বীকার করতে চাই না। লোক সমাজ, পারিপার্শ্বিকতা সব উচ্ছন্নে যাক। ভালোলাগা টুকু টিকে থাক আজীবন ।সম্পর্ক ছিন্ন হলেও টিকে থাকুক পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ।

০১ লা নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৩৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: সম্পর্ক ছিন্ন হলেও টিকে থাকুক পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ।

বড় সত্য কথন।

১৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:২০

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: খুব সুন্দর গল্প লেখেছেন গল্প লেখার চেষ্টা করি না কারণ সময় পাই না যাক অনেক শুভেচ্ছা রইল

০১ লা নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৩৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আলমগীরভাই।

১৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৪৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: প্রথম শব্দটাই কেমন খটমট হয়ে গেল শুভ্রর হবে পড়তেও আরাম লাগবে।

আমাদের ভন্ডামী, ‍মুখোশ নিজেরা খনছো ছিড়ে ফেলিনা অন্য যতক্ষন না ছিড়ে ফেলে তাইতো এত অশান্তি।+++++

০১ লা নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৩৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: শুভ্র + এর = শুভ্রের হয়। শুভ্রর লিখলে কথ্য ভাষা হয়ে যায়।

ঠিক তাই নো ভন্ডামী।
আমাদের মনকে চিনতে হবে।

১৫| ০১ লা নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৫৮

মিরোরডডল বলেছেন:



ভালোবাসা শেষ হতে হবে কেনো । পাশাপাশি রাগ অবিমান ক্ষোভ ঘৃণা হতেই পারে কিন্তু যে ভালোলাগা ছিলো সেটাতো মনের ভেতরে থেকেই যায় কিছুটা হলেও, তাতে সমস্যা থাকবে কেনো !
ট্রু লভ থাকলে, যতদুরেই থাকুক, প্রিয়জনের বিপদেও যেমন ছুটে আসে আবার নিজের সবচেয়ে ভালো বা খারাপ সময়েও তাকেই মনে পড়ে । এটা হয় ।

হাজব্যান্ড ওয়াইফ সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হলেই একে অপরের নিন্দা করবে বা শত্রু হয়ে যাবে আমি কখনোই এটা মনে করিনা ।
দুজন মানুষের অনেক কারনে বিচ্ছেদ হতে পারে কিন্তু পারস্পারিক সমঝোতা বন্ধুত্ব রেস্পেক্ট থাকতেই পারে, থাকা উচিৎ ।
দেটস দ্যা বিউটি অভ রিলেশনশিপ ।

হ্যাঁ, তবে এটা সত্যি একটা সম্পর্কে যদি ট্রাস্ট নষ্ট হয়ে যায়, তখন সেটা কখনোই সম্পূর্ণ আগের অবস্থায় আর ব্যাক করেনা । বিশ্বাসভঙ্গের একটা কষ্টবোধ ভেতরে থেকে যায় । তারপরও মানুষ আবারও সুযোগ দেয়, ট্রাই করে ।

গল্পের নায়িকা চাইলে আবারও সেই মফস্বল এলাকার ঘুঘুডাকা শীতল মেঝের শান্তিময় বাড়িতে যেতেই পারে । নায়কের সাথে তার ডিভোর্স হয়েছে, শ্বশুর ননদ তাদের সাথেতো কিছু হয়নি । তারাতো খুশী হবে যদি যোগাযোগ থাকে , আমার তাই মনে হয় ।

জোলমোতী আর বাবুটার চলে যাওয়া অবশ্যই স্যাড নিউজ । মৃত্যুর চেয়ে কষ্টদায়ক আর কি হতে পারে । কিন্তু সময় সবকিছু ঠিক করে দেয় । একটা সময় ঠিক এই শোক কাটিয়ে উঠবে । হয়তো এমনটাই হবার কথা ছিলো । গল্পের নায়ক নায়িকা বাকি জীবন দূরে থেকেও কাছে থাকবে, একসাথে কাটিয়ে দিবে । জীবন যে কাকে কখন কোথায় নিয়ে যায় কে জানে !!!



০১ লা নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৪০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: দুজন মানুষের অনেক কারনে বিচ্ছেদ হতে পারে কিন্তু পারস্পারিক সমঝোতা বন্ধুত্ব রেস্পেক্ট থাকতেই পারে, থাকা উচিৎ ।
দেটস দ্যা বিউটি অভ রিলেশনশিপ ।

ঠিক তাই। কিন্তু আমরা শিখেছি যার সাথে সম্পর্ক থাকেনা তাকে মনে আনাও মহাপাপ।

না অনেক চাওয়ার পরেও কেনো যেন হয় না। তবে দৃঢ় ইচ্ছা থাকলে তাই হবে।

আসলেই এক জীবনে কত কিছুই দেখতে যে হয়।

প্রথম দেখা শেষ দেখা ও মাঝের দেখাগুলো সবই জীবন নাট্যের নানা দৃশ্যপট।

কখনও যা স্বপ্নেও ভাবিনা তাই দেখতে হয়।

১৬| ০১ লা নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:২৮

একলব্য২১ বলেছেন: প্রচ্ছদ নিয়ে কিছু বল।

এখন কেমন আছ। সময় মানুষ অনেক ক্ষতের প্রলেপ লাগিয়ে দেয়।

আমার কমেন্ট যথাসময়ে না মুছে তুমি রাষ্ট্র করলে। খুব মজা পাইছো তাই তো। ওটা একটা খসড়া চিন্তার কথা। তারপর অনেক যদি, কিন্তু, পরন্তু আছে। তবে মজার ব্যাপার কি জানো তারা অনেকেই না না প্রায় সবাই স্বাভাবিক সম্পর্ক চায়। অথচ কৃত কর্মের জন্য সরি বলবে না। চোখে লজ্জা দেখতে পারি। কিন্তু ঐ যে সরি বলবে না। সরি বা দোষ স্বীকার করলে convicted হয়ে যাবে। আবার নিজেকে সংশোধনও করবে না। আমিও অতৃপ্ত মানুষ। খসড়া নিয়েই পড়ে আছি। যাক এগুলো তোমাকে বুঝানোর দরকার নাই।

০১ লা নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:২৯

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: প্রচ্ছদ নিয়ে কিছুই বলার নেই। জাস্ট একটা হাতের মাথায় খুঁজে দিয়ে দিলাম।

না কমেন্ট যখন দেখেছি তখনই মুছেছি।

আসলে লগ করে পাতা খুলে দেখিনি সকাল থেকেই এডমিশন টেস্ট অনলাইনে ছিলাম । ভুলেই গেছিলাম সামুর পাতা।

যখন শেষ হলো তখন দেখি রাত পেরিয়ে দুপুর গড়িয়েছে।

তুমি পিচ্চু তাই ইমোশন নিয়ে কষ্ট পাও।

আমার কোনো কষ্ট নেই দুঃখ নেই বেদনাও নেই কারো কাছে কিছু চাইবারও নেই।

সবই করি নিজের জন্য।

১৭| ০১ লা নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৩৮

একলব্য২১ বলেছেন: এইসব আমি কি লেখতেছি মোবাইল দিয়ে। আমার অনেক বিশ্রাম দরকার। মাথা আউলিয়া গেছে। :( এই যাই একটু চোখ বন্ধ করে বিশ্রাম নেই।

০১ লা নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৩০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আমারও অনেক বিশ্রাম দরকার।

আমি ঘোরে আছি তার মাঝে আবার এত কাজ।

একটু পরেই ক্লাসও আছে।

হয়ত পাতা খোলা থাকবে কিন্তু আমি থাকবো ক্লাসে।

১৮| ০১ লা নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:১৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আরে এটা কখন পোস্ট করলা এখন আলোচিত পোস্টে দেখে আসছি

পড়মু ইংশাআল্লাহ

০১ লা নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৩০

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ওকে পড়ো।

১৯| ০১ লা নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: তার মত আরেকটা মুখোশ তো আর কাউকে পরতে দেখিনা ।

আপনি চোখ বন্ধ করে রেখেছেন।

০১ লা নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৫৫

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আসলেই তাই।

অন্ধ ভালোবাসা।

ভালোবাসা অন্ধ।

২০| ০২ রা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১২

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আপু কেমন করে লিখো যে, হৃদয়ে বিষ পোকা কামড় মাড়ে।
খুব সুন্দর আর খুব দুঃখ গাথা পড়লাম

০২ রা নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:০২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: দুঃখ থেকে লিখলে দুঃখের ছোয়া পেয়ে যাও আর আনন্দ থেকে লিখলে আনন্দ।

কিন্তু অবাক লাগে এক ঝড়ো হাওয়া এক নিমিসে কেমন করে যে সব আনন্দ ফুৎকারে মিলিয়ে দেয়।

২১| ০২ রা নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৫৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আমিও এই পর্বে বেশী কিছু বলব না , শুধু এতটুকু বলবো - তারা না চাইতেও (যদিও আমি সবসময়ই চেয়েছে যে কোন ভাবে তাদের মিলন) সৃষ্টিকর্তা (লেখক) শুভ্র-মাহরীন কে তাদের নিয়তির দিকে এগিয়ে নিয়ে গেলেন আরো এক ধাপ।

তবে এখন কষ্ট লাগছে জলমোতি ও তাদের অনাগত বাচচার জন্য । তাদের পূর্ণমিলন চেয়েছি এখন তো আরো বেশী করে চাইবো শুভ্র-মাহরীনের মিলন তবে এত কষ্টের মাঝে নয় , নয় এত ত্যাগের মাঝে। কিছুটা অন্যভাবেও ঘটনা এগোতে পারত তাদের মিলনের সম্ভাবনায়।

তবে এই পর্যায়ে এসে বনি একটা জিনিষ উপলব্ধি করছি বা কেন যেন মনে হচছে যে, " চিলেকোটার প্রেম " আমাদের কাছে হয়ত শুধু গল্প তবে আপনার কাছে তা গল্পের থেকেও বেশী ও বিশেষ কিছু।

আর সবশেষে শুধু এতটুকুই বলবো, " যেভাবেই হোক, হোক না তাদের মিলন - সব ভূল-মান-অভিমানের অবসান ঘটিয়ে। আমার কি এটা খুব বেশী কি চাওয়া - হোক গল্পে কিংবা বাস্তব জীবনে।

০২ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:২৯

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: যা একবার শেষ হয় তা আবার ফিরিয়ে আনলেও আগের মত হয় না।
রবিঠাকুরের মধ্যবর্তিনী গল্পটা পড়লেই তা বুঝে যাবে।

২২| ০২ রা নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:২১

একলব্য২১ বলেছেন: কেমন আছ কবিতা আপু। প্রচুর ঘুমাও। বিশ্রাম নাও। আমরা চেষ্টা করতে পারি, পরিশ্রম করতে পারি। কিন্তু যা হবার যা ভবিতব্য তা তো হবেই। কাজেই দুঃচিন্তা টেনশন বাদ দাও। ভাল থাকো আনন্দে থাকো।

০২ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৩৯

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ঘুমানোর সময় নাই ভাই।
একের পর এক কাজ আর কাজ।
হ্যাঁ ভবিতবয় কখনও খন্ডানো যায় না।
না আমিও এক্সসেপ্টেবল।

সামনে যা আসে তাই মেনে নেই।

২৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:১১

খায়রুল আহসান বলেছেন: এ এক জটিল সমীকরণ!
গল্পটা যদি সত্যিই সত্য হয়ে থাকে, তবে তা সত্যিই বড় হৃদয়বিদারক!
বেচারা জলমোতির জন্য মায়া হচ্ছে।
"সুখের লাগিয়া এ ঘর বাঁধিনু, অনলে পুড়িয়া গেল"! ঘটনার বিস্তারিত তথ্য গল্পে ব্যক্ত হয় নাই, তবে মনে হচ্ছে জলমোতির সুখের ঘরটা অনলে পুড়ে নাই, অশ্রুজলে ভাসিয়া গেল!

০২ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৪২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: সবচেয়ে অবাক লাগে একটা কথা ভেবে।
আমরা ভাবি এক হয় আরেক।

দূরদর্শিতা খুব ভাগ্যবানের বেলায় খাঁটে।

নয়ত অভাগা যেদিকে চায় সাগর শুকিয়ে যায়।

২৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:০৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: " কি আশায় বাধি খেলাঘর বেদনার বালুচরে, নিয়তি আমার ভাগ্য নিয়ে যে নিশিদিন খেলা করে" - বোধহয় কারো কারো জীবন এ এটাই নিয়তি।৷৷ যেমন - প্রায় একই রকম ঘটনা অভাগার জীবনে।

০২ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:১৩

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হ্যাঁ তাই তো দেখছি।

২৫| ০২ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:১৫

একলব্য২১ বলেছেন: क्या हाल हो गया है ये मेरा?
आँखें मेरी हर जगह ढूँढें तुझे बेवजह
ये मैं हूँ या कोई और है मेरी तरह?
कैसे हुआ? कैसे हुआ?
तू इतना ज़रूरी कैसे हुआ?
कैसे हुआ? कैसे हुआ?
तू इतना ज़रूरी कैसे हुआ?
कैसे हुआ? कैसे हुआ?
तू इतना ज़रूरी कैसे हुआ?

আমি খুড়িয়ে খুড়িয়ে হিন্দি পড়তে পারি। গানের লিরিক্স পড়ে গানের মানে বুঝার চেষ্টা করছিলাম।

হাঁসতা রহতা হু তুজসে মিলকর কিউ আজকাল?
বদলে-বদলে হ্যাঁয় মেরে তেবর কিউ আজকাল?
আখে মেরী হর জাগা ঢুন্দে তুজে বেবাজাহ্
য়ে মেয় হু য়া কৈই হ্যাঁয় মেরে তারহা?

কৈসে হুআ? কৈসে হুআ?
তু ইতনা জরুরী কৈসে হুআ?
কৈসে হুআ? কৈসে হুআ?
তু ইতনা জরুরী কৈসে হুআ?

ম্যায় বারিশ কো বোলে সমজাতা নহী থা
হবাঅো সে ম্যায় য়ুঁ উলজাতা নেহী থা
হো সীনে মে দিল ভী, কহাঁ থী মুজে য়ে খবর

কহী পে হো রাতে, কহী পে সবেরে
আবারগী (loafing) হো রহী সাথ মেরে
"ঠাহর জা, ঠাহর জা, " য়ে কাহাতী হো রেরী নজর
কেয়া হাল হো গয়া হো য়ে মেরা?

আখে মেরী হর জাগা ঢুন্দে তুজে বেবাজাহ্
য়ে মেয় হু য়া কৈই হ্যাঁয় মেরে তারহা?

কৈসে হুআ? কৈসে হুআ?
তু ইতনা জরুরী কৈসে হুআ?
কৈসে হুআ? কৈসে হুআ?
তু ইতনা জরুরী কৈসে হুআ?

কৈসে হুআ? কৈসে হুআ?
তু ইতনা জরুরী কৈসে হুআ?

০৬ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৩৪

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: থ্যাংক ইউ সো মাচ ভাইয়ু!!!!!!

২৬| ০২ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৩৫

অপ্‌সরা বলেছেন: একলব্যভাইজান
এইবার হিন্দি বাংলা করি দেন।

২৭| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:০২

একলব্য২১ বলেছেন: Kaise Hua
Vishal Mishr

हँसता रहता हूँ तुझसे मिलकर क्यूँ आजकल?
बदले-बदले हैं मेरे तेवर क्यूँ आजकल?

आँखें मेरी हर जगह ढूँढें तुझे बेवजह
ये मैं हूँ या कोई और है मेरी तरह?

कैसे हुआ? कैसे हुआ?
तू इतना ज़रूरी कैसे हुआ?
कैसे हुआ? कैसे हुआ?
तू इतना ज़रूरी कैसे हुआ?

मैं बारिश की बोली समझता नहीं था
हवाओं से मैं यूँ उलझता नहीं था
है सीने में दिल भी, कहाँ थी मुझे ये ख़बर

कहीं पे हो रातें, कहीं पे सवेरे
आवारगी ही रही साथ मेरे
"ठहर जा, ठहर जा, " ये कहती है तेरी नज़र
क्या हाल हो गया है ये मेरा?

आँखें मेरी हर जगह ढूँढें तुझे बेवजह
ये मैं हूँ या कोई और है मेरी तरह?

कैसे हुआ? कैसे हुआ?
तू इतना ज़रूरी कैसे हुआ?
कैसे हुआ? कैसे हुआ?
तू इतना ज़रूरी कैसे हुआ?

कैसे हुआ? कैसे हुआ?
तू इतना ज़रूरी कैसे हुआ?

এই গানের সরল বাংলা আমি করে দিতে পারি। কারণ এই গানের সব শব্দের অর্থ আমি জানি, কিন্তু ভাবার্থ করা আমার পক্ষে সম্ভব কিনা জানি না। কারণ আমি কখনো লেখালেখি করিনি। মূলত সামুতে আসি পছন্দসহ বিষয় পেলে পড়ার জন্য। তবে আমি সরলভাবে গানের মানে লিখে দিতে পারি। তবে সেটা কি ভাল লাগবে।

০৬ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৩৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: লাগবে!!!!!!

তুমি দিয়ে দেখো।

হা হা আমিও একই কাজ করতাম কারণ লিখতে পারতাম না।

সেকেন্ড স্টেপ হলো তারপর সেই গানের লাইনগুলো তোমাকে কি ভাবাচ্ছে । ব্যস এইভাবেই শুরু.....

২৮| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:২৫

একলব্য২১ বলেছেন: hansta rehta hoon
tujhse mil kar kyun aajkal
badle badle hain
mere tevar kyun aajkal

why do I keep smiling
after meeting you these days?
Why is my mood
entirely different these days?

aankhein meri har jagah
DhoonDhein tujhe bewajah
ye main hoon
ya koi aur hai meri tarah

My eyes look for you everywhere
for no reason.
is this me,
or is it someone else instead of me?

kaise hua, kaise hua
tu itna zaroori kaise hua

how did it happen?
how did you become so important to me?

main baarish ki boli samajhta nahi tha
hawaaon se main yoon ulajhta nahi tha
hai seene mein dil bhi
kahaan thi mujhe ye khabar

I didn't understand the language of the rain,
I didn't use to get entangled in the winds.
there is a heart in my chest too,
I didn't have an inkling of that.

kaheen pe hon raatein
kaheen pe savere
aawaargi hi rahi saath mere
Theher ja, Theher ja
ye kehti hai teri nazar

wherever be nights,
wherever be mornings,
with me there was just my vagrancy.
"Stop, Stop," your eyes keep saying to me.

kya haal ho gaya hai ye mera
aankhein meri har jagah
DhoonDhein tujhe bewajah
ye main hoon ya koi aur hai meri tarah

what a condition I am in now!
My eyes look for you everywhere
for no reason.
is this me, or someone else instead of me?

kaise hua, kaise hua
tu itna zaroori kaise hua

how did it happen?
how did you become so important to me?

০৬ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৩৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: মন খারাপের সময় মন খারাপের গান ভয়বহ!!!

২৯| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:২৭

একলব্য২১ বলেছেন: Keyse Hua Lyrics In Bengali



এ বৃষ্টি কি বলে বুঝিনি কখনো
হাওয়ার সাথে ঝগড়া খুঁজিনি কখনো
আমার ফাঁকা মনে ছিলি যে তুই বুঝিনি

কোথাও ওঠে সূর্য, কোথাও তারা দেখা
না ছিল পাশে কেউ, শুধুই হাঁটা একা
থেমে যা থেমে যা, বলে যে তোর ওই নজর।

কি হাল হলো যে এখন আমার।

দুচোখ আমার সারাক্ষণ
খোঁজে তোকেই অকারণ
এটা আমি, না অন্য কেউ , ঠিক আমার মতই

কি করে হলো, কি করে হলো
তোর এত প্রয়োজন কি করে হলো।

কি করে হলো, কি করে হলো
তোর এত প্রয়োজন কি করে হলো।

হাসতে থাকি যে
দেখলে তোকেই আজকাল
বদলে গেছি কি আমি এতটাই আজকাল

দুচোখ আমার সারাক্ষণ
খোঁজে তোকেই অকারণ
এটা আমি, না অন্য কেউ , ঠিক আমার মতই

কি করে হলো, কি করে হলো
তোর এত প্রয়োজন কি করে হলো।

কি করে হলো, কি করে হলো
তোর এত প্রয়োজন কি করে হলো।

৩০| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৩১

শায়মা বলেছেন: ভেরি গুড।
বাংলা ভালো হয়েছে।
এই বাংলা নিয়ে একখানা পোস্ট দাও একলব্য ভাইজান।

৩১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:১৮

একলব্য২১ বলেছেন: কবিতা আপু,

২৫ নম্বর কমেন্টটা মুছে দিও। :)

০৬ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৩২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আবারও দেরি হলো।
কারণ লগ ইন করিনি এই আইডিতে। :P

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.