নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে রাতের নির্জনে
আজকে বলছি চিলেকোঠার প্রেম এর পিছনের গল্পটা। হুট করেই বিয়ে করে ফেলেছিলো এই গল্পের নায়িকা। বাবার রাজপ্রাসাদ ছেড়ে উঠে এসেছিলো চালচুলোহীন কিন্তু খুব মেধাবী শুভ্রের চিলেকোঠার এক কামরার ঘরে। এডভেঞ্চার এবং এক্সাইটমেন্টে সাজিয়েছিলো সেই ভালোবাসার টোনাটুনির এক কামরার নীড়। ভেবেছিলো অসাধারণ মেধাবী শুভ্রের অর্থনৈতিক দিক কিছু কম হতে পারে তবে মেধা ও বুদ্ধির জোরে শুভ্র ছাড়িয়ে যাবে সবাইকে একদিন। প্রেমে পড়লে বুঝি এমনই পাগল হয় মানুষ। তবে স্বপ্ন ও বাস্তব বেশিভাগ সময় দু রকম হয়। তাই হয়েছিলো এ গল্পের নায়িকার জীবনেও। অবশেষে যা হয় তেলে আর জলে মিশ খায় না। শুভ্রের দৈন্যতা ও নায়িকার শ্বাসত সামাজিক অর্থনৈতিক বৈষম্য দ্বন্দে নিয়ে গিয়েছিলো দু'জনকেই। অবশেষে যা হবার তাই হলো- বিচ্ছেদ। সেটাই অবধারিত ছিলো। সেটাই হয়েছিলো। কিন্তু গল্পের পিছনের গল্পের মত বিচ্ছেদের পিছনেও অনেকগুলো সুমধুর দিন থাকে। মায়াময় স্মৃতি থাকে আর থাকে কিছু বেদনাময় ইতিহাস।
এই গল্পের সত্যিকারের নায়ক কোনো কবিতা বা গানের মানুষ না। সে রক্তমাংসে গড়া এই রং রসের অপরূপ পৃথিবীরই এক আশ্চর্য্য মানুষ ছিলো। তার বুদ্ধিমত্তা, অসাধারণ বিশ্লেষনী ক্ষমতা ও আউট অব দ্যা বক্স ভাবতে পারার দক্ষতা আমাকে মুগ্ধ করেছিলো। যে কোনো সমস্যার সমাধান ছিলো তার আঙ্গুলের ডগায়। ভীষন পড়ুয়া আর সব সময় আমার পাশে আমার সকল আনন্দ বেদনা গান ও বিপদে বা আপদে ছায়ার মত ছায়াসঙ্গী হয়ে থাকা এক বন্ধু ছিলো সে। শুভ্র এমন একজন মানুষ ছিলো যার উপরে অনায়াসে নির্ভর করা যায়। নির্ভার হওয়া যায়। তবে সে শুধু আমার বন্ধুই ছিলো অনেক কটা বছর জুড়ে। ভীষন বিশ্বস্ত একজন মানুষ। যাকে বিশ্বাস করা যায় এবং একজন খাঁটি মানুষ ভাবা যায়। সে ছিলো বন্ধুর চেয়েও অনেক বড় এক বন্ধু সজন যাকে মনের কথা সবই নির্দ্বিধায় বলা যায়। তাকে কখনও ভাবিনি কোনো মেয়ে বন্ধু বা ছেলে বন্ধু সে ছিলো শুধুই একজন বন্ধু।
তাই তো আমি প্রথম পর্বে লিখেছিলাম- তাকে আমার কখনও ছেলে বা মেয়ে বন্ধু এমন করে জেন্ডারের হিসাবেও বন্ধু মনে হয়নি। সে নারী পুরুষ সকল কিছুর উর্ধে আমার বন্ধু হয়ে উঠেছিলো। সে ছিলো আমার অতি বিশস্ত শুধুই এক বন্ধু। যাকে দিয়ে আমি প্রভাবিত হয়েছিলাম। সে দিন বললে দিন আর রাত বললে রাতই মনে হত আমার। এত বিশ্বাস আমি আমার জীবনে কাউকেই করিনি। এত কনভিন্স আমি কখনও কাউকে দিয়ে হইনি। যাইহোক এই বন্ধুটাই ছিলো সেই গল্পের শুভ্র। তার সকল স্বভাব চরিত্র তার অনেক কথকতা আমি যেমন এই গল্পে এনেছি তেমনি অনেক কিছু কল্পনা বা অন্য কোনো বাস্তব ঘটনা থেকেও আর কিছু অবাস্তব ঘটনা থেকেও। যেমন প্রথম পর্বে আমি লিখেছি -
যেদিন বিয়ে করলাম সেদিন সকালবেলায় যখন মাকে জানিয়েছিলাম। মা তখন সবে মর্নিং ওয়াক সেরে এসে তার বেডরুমের প্রিয় বারান্দায় বসে তার প্রিয় পাখিদের সাথে মর্নিং টিকাপ হাতে বসেছিলেন। আমি যখন জানালাম আজ আমি একজনকে বিয়ে করতে যাচ্ছি। মা হা করে আমার দিকে তাকিয়ে ছিলেন। আমি বললাম মা এত অবাক হবার কিছু নেই। তুমি যে তোমার আনিসভাইকে ছেড়ে আমার বিত্তশালী বাবার সাথে বিয়ে করে ফেলেছিলে একদিন, তোমার বদরাগী বাবার ভয়ে সেটা আমি জানি। আর সেই কারণে তোমার আনিস ভাইও যে সেই রাতেই আত্মহত্যা করেছিলো সেই কথাটাও আমি জানি। এ নিয়ে সারাজীবন তুমি এক গোপন দুঃখ বয়ে বেড়াচ্ছো......
এই কথাগুলি এতটাই কাল্পনিক যে আমার ইহজীবন তিহ জীবন বা ইহলোক পরলোক, তার পরের পরের লোকেও কোথাও আমি আমার বদরাগী মাকে বলতে পারি তা স্বপ্নেও ভাবতে পারিনা। তবে আমার গল্পে ভেবেছি এবং লিখেছি কারণ এটা আমার সুপ্তমনের ইচ্ছা ছিলো। আজ মনে হয় অনেক কিছু যদি ভয় না পেয়ে মাকে মনের কথা খুলে বলতে পারতাম। হা হা না পেরেছি তো কি আমার লেখায় তো বলে দিলাম!
পর্ব ২ ছিলো পুরোটাই কল্পনা। অমন রাত কখনও কোনোদিন আমার জীবনে এসেছিলো কিনা সেটা বলছি না তবে এই পর্বের পুরোটুকুই ছিলো মস্তিস্ক প্রসুত কাল্পনিক।
পর্ব- ৩ - এখানে আমার ঘরবাড়ি গুছানোর যে একটা চিরায়ত অভ্যাস আছে তা দিয়েই কল্পনা ও দিব্য দৃষ্টি দিয়ে কেমন করে সাজাবো গুছাবো ঘর সেসবই লিখেছিলাম- এই সাতদিনে আমি শুভ্রর এই চিলেকোঠার ঘরটার হতচ্ছাড়া চেহারাটা অনেকটাই বদলে দিয়েছি। প্রথমে অবশ্য শুভ্রই এর সূচনা ঘটিয়েছে। আর সব কিছু সহ্য হলেও ওয়াশরুমের ভয়ংকর অবস্থাটা আমি কিছুতেই সহ্য করে উঠতে পারছিলাম না। ওয়াশ রুমে যেতে হলেই আমার করুন চেহারা দেখে শুভ্র ঠিকই বুঝে ফেললো আমার মনের অবস্থা। তাই একদিন সকালে নিজেই ঝেঁড়ে মুছে ঝেঁটিয়ে বিদায় করলো সব ভাঙ্গা চোরা পুরান বালতি মাগ, কাপড়ের দড়িদাড়া সব কিছু। উফ হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম আমি। আর সেই সুযোগে তড়িঘড়ি আমিও সেদিন বিকেলেই ওর সাথে গিয়ে নিয়ে এলাম নতুন ঝকঝকে তকতকে যা কিছু প্রয়োজন ওয়াশরুম আর কিচেনের জন্য। এর পর এই চিলেকোঠার চেহারা বদলাতে উঠে পড়ে লাগলাম। মেঝেতে ফ্লোরম্যাট বসিয়ে জানালার পর্দা বদলে ফেলে, চাদর বালিশ টেবল ক্লথ বদলে সাফ সুতরো করে বলতে গেলে একেবারেই গ্রান্ড সুলতান লুক না হলেও গাজীপুরের যেকোনো সুন্দর রিসোর্ট লুক বানিয়ে ফেললাম।ঘরের সামনে রঙ্গিন ফুলের ছোট ছট টবও বসিয়ে দিয়েছি। এখন এই এই চিলেকোঠাই আমার স্বর্গ। মাঝে মাঝে নিজেই তাকিয়ে মুগ্ধ হই নিজের কারিশমায়।
আর এ পর্বের বাড়িউলী বউটা তাকে এঁকেছি আমার পড়া শ্রেষ্ঠ উপন্যাসগুলির মাঝে একটি উপন্যাস গজেন্দ্রকুমার মিত্রের উপকন্ঠের শ্যামা ঠাকুরনের বাড়ির বাড়িউলি বৌ মঙ্গলার আদলে। সেদিন বাড়িওয়ালার বউ এসে তো তার এই বিদঘুটে রুমের বদখত চেহারার ভোল পালটে যাওয়া দেখে একেবারেই টাসকি খেয়েছিলো। গালে হাত দিয়ে বসেছিলো সে আমার দেশী শপগুলো থেকে কিনে আনা রঙচঙা রিক্সা পেইন্টের ছোট টি-টেবল সেটের টুলটাতে । চারিদিকে তাকিয়ে তুকিয়ে শেষে পান দোক্তা খাওয়া মুখে বলেই ফেললো, বাব্বা ধন্যি মেয়ে বটে। চোখের পলকে দেখতেছি রাতকে দিন বানায় ফেলছো। তা বাবা তোমাকে দেখে তো বড় ঘরের মেয়ে মনে হয়। কোন বুদ্ধিতে এই নির্বুদ্ধির কাজটা করলা বলোতো! রোজগার নাই, পাতি নাই তো তোমার স্বামী খাওয়াবেটা কি?
পর্ব ৪ এর কথা বলতে চাই না। অর্ধেক তার গড়িয়াছি সত্যে অর্ধেক তার কল্পনায়। হা হা
পর্ব ৫ - যদিও বলতে গেলে ৯০% কল্পনায় লেখা তবে শুভ্র ও তার বাবা আর মায়ের ছবি দেখে এবং তাদের ফেসবুকের কার্য্যকলাপ ও ছবিগুলি দেখে আন্দাজ করে নিয়ে লিখেছিলাম।
পর্ব ৬ এই পর্বের অনেকখানিই জীবন থেকে নেওয়া। কার জীবন থেকে নাই বা বললাম।
পর্ব ৭ এর সদাই হরিশ শ্বশুর মশায়ের সাথে আমি মিশিয়ে দিয়েছি আমার নিজের খাদ্যরসিক বড়মামার স্বভাবটিকে। আর পিয়ানোর কথা সত্যিই শুভ্র বলেছিলো একদিন। তবে সে কথা রাখেনি। তাই আজ আমি আমার নিজের পিয়ানোই বাজাচ্ছি।
পর্ব ৮- গল্পে বর্নিত এমন একটি বাসায় আমি সত্যিই কখনও ছিলাম। আর বাকীটুকুর বিষয়ে বলতেই চাই না। হা হা
পর্ব ৯ এবং ১০- পর্ব ৯ এবং ১০ ভীষন ভীষন সত্যি সব ঘটনায় ঘেরা। তবে আমার জীবন থেকে নাকি অন্যের জীবন থেকে তা খোলাসা করলাম না। কিন্তু অমন সব খানাপিনা খেতে ইচ্ছে করেছিলো আমার কোনো এক সময়। এখনও করছে।
পর্ব১১ ) ১২- ভীষন রকম কল্পনায় ঘেরা লেখা।
পর্ব ১৩ - কাল্পনিক বটে তবে শুভ্র ঠিক অমনই ছিলো। অমনই স্বভাবের আর অমনই সব কান্ড করতো।
পর্ব ১৪- খুব একটা কাল্পনিক না। অমন করেই কখনও কোনোদিন সুন্দরবন বা কুয়াকাটা গিয়েছিলাম আমরা।
পর্ব ১৫ - প্রায় এমন করেই দেখা কুয়াকাটা ভ্রমন একটু অদল বদল করে লেখা
পর্ব ১৬ - কাল্পনিক কিন্তু শুভ্র ঠিক অমনই ছিলো উদাসীন ও ভীষন নির্লিপ্ত।
পর্ব - ১৭ অধিকাংশই কাল্পনিক। তবে অনেক কেঁদেছি এ পর্ব লিখতে গিয়ে।
পর্ব ১৮- সত্য এবং কাল্পনিকের মিশেলে রচিত।
পর্ব ১৯- সবচেয়ে বেশি মন দিয়ে মনে হয় লিখেছিলাম এই পর্বটাই। বলতে গেলে পুরোটাই কল্পলোকের এই লেখাটা তখন আমার হৃদয় মাঝারে জীবন্ত হয়ে উঠেছে। এত কেঁদেছি লিখতে গিয়ে।
পর্ব ২০ ও শেষ পর্ব- পুরোটাই বলতে গেলে কাল্পনিক নহে। শুভ্রের সাথে আমার বন্ধুত্বের বিচ্ছেদের কারণ ও ডায়ালগগুলোই জুড়ে দিয়েছি এখানে।
প্রথম পর্বে লিখেছিলাম- দেবতা বা মহাপুরুষের প্রেমে মানুষ পড়তে পারে না। শুধুই শ্রদ্ধা করতে পারে। সেও কারো প্রেমে পড়তে পারে, তাও আবার আমার এও আমি স্বপ্নেও ভাবিনি। কিন্তু এরপরেও বুঝলাম সে আমার প্রেমে পড়েছে মানে সে প্রেমে পড়েই গেলো এবং সে কথা আমাকে জানালো। এভাবে এক সাথে থাকতে থাকতে কখন সে আমাকে এইভাবে ভালোবেসে ফেলেছে নিজেও তা বুঝতে পারেনি। আমি তাকে ভালোবাসতাম ঠিকই কিন্তু তা ঠিক প্রেমে পড়ার মত নয়। কিন্তু তার সেই আহ্বান আমি উপেক্ষা করতে পারলাম না। এতদিনের এমন একজন বিশস্ত নির্ভরযোগ্য বন্ধুকে কি করে ফেরাবো আমি? কি করে উপেক্ষা করবো তাকে? তাকে ছাড়া জীবনে চলাটা তখন প্রায় অসম্ভব আমার কাছে।
আমি গভীর চিন্তায় পড়লাম। আমি বুঝতে পারছিলাম তার প্রস্তাবে রাজী না হলে আমাদের এই বন্ধুত্ব শেষ হয়ে যাবে। কারণ আমি তাকে বন্ধুর জায়গায় প্রেমিক না ভাবতে পারলেও সে যথারিতী ভাবতে শুরু করেছে। এই ভাবনা থেকে তার আর পরিত্রান নেই।
গল্পে লিখেছি- এরপর আর দূরে থাকতেই চাইলাম না আমরা। আর তাই এক আলো ঝলমল বসন্ত সকালে আমরা কাজী অফিসে গিয়ে বিয়েটা সেরেই ফেললাম।
হ্যাঁ গল্পটা জীবনেরও এমনই হতে পারত বা হত যদি আমি সেদিন শুভ্রের প্রস্তাবে রাজী হয়ে বাবার রাজপ্রাসাদ ছেড়ে এসে শুভ্রের হাত ধরে ঐ চিলেকোঠায় উঠতাম।
তবে না আমি কোনো কাজী অফিসে যাইনি। কোনো চিলেকোঠাতে জীবনে এক পাও দেইনি। শুধু শুভ্রের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেবার পর বসে বসে ভেবেছি। যদি এমন হত, চলেই যেতাম আমি শুভ্রের সাথে ওর ঐ চিলেকোঠার কামরায় তবে কেমন হত। সেই কেমন হত নিয়েই একের পর এক কল্পনায় ভেসেছি আমি আর লিখে গেছি চিলেকোঠার প্রেম।
কাজেই চিলেকোঠার প্রেমের শুভ্রর অস্তিত্ব ঠিকই ছিলো আমার জীবনে কিন্তু তার সাথে চিলেকোঠার প্রেমটা ছিলো শুধুই কল্পনা। এই সব কল্পনাই সত্যি হত যদি শুভ্রের প্রস্তাবে সেদিন রাজী হয়ে যেতাম। তারপর কি হত জানিনা। তবে দিব্য চোখে দূরদৃষ্টিতে যাহা মনে হত তাহা নিয়েই রচনা করেছি আমার চিলেকোঠার প্রেম।
সবাইকে ভালোবাসা.....
২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:৪৮
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: পোস্ট কি পড়েছো ভাইজান???
নির্বহন ডিমভাইয়া বলেছে আমি নাকি পিয়ানো বাঁজাতেই পারি না!
আমাকে নাকি ভিডিও দিয়ে পরীক্ষা দিতে হবে.......
২| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:৫৫
একলব্য২১ বলেছেন: জ্বী না শায়মা আপু। আরামসে এখন পড়বো। তুমি গানাবাজানা শুনো। আর কা কে দেখে এই পিয়ানো নিয়ে সাদাকালো ছবি দিয়েছ সেটা বল।
২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:০০
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা আরামসে পড়ো কিন্তু রেগে মেগে কাই হয়ে যেওনা তাহলে কিন্তু সত্যিকারের গল্প আর লিখবো না।
আমি ছবি আঁকছি। অনেকদিন পেন্সিল স্কেচ করিনি। ভুলে যাচ্ছিলাম প্রায়।
কিছুদিন আগে ইউনাইটেড ক্লাবে ইফতারের দাওয়াৎ ছিলো। ইফতার নামাজ এই সব শেষ হতে কেউ কেউ বললো প্লিজ প্লিজ পিয়ানো বাঁজাও। গানা গাও।
আর আমিও তাই....... ইফতারে বসে গানা বাজনা বুঝো তাহলে অবস্থা।
৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:০৯
জটিল ভাই বলেছেন:
লিখালিখির এ এক মহাগুণ। না বলা অনেক কথায় অবলীলায় বলে ফেলা যায়। আর সেই বলে ফেলার মাঝে রয়েছে অনন্য এক প্রশান্তি। কিন্তু সেইসাথে এক টানটান উত্তেজনাও রয়েছে যে, আমি যা বলেছি জানিনা তাতে কি বুঝতে পেরেছে!
তবে ইহা পাঠককে বোকা বানানোর এক কৌশল! আবার ভয় হচ্ছে! কবে জানি দেখা যায় যে, "গল্পের পিছনের গল্প" নামে যে সিরিজ শুরু হয়েছে সেটাো পিছনেও আবার কোনো গল্প আছে!!!
তাছাড়া সিরিজে আমার এক অন্যরকম এলার্জি আছে নিশ্চই জানেন। তাই আপাতত এই সিরিজ হতেও বিদায় নিচ্ছি
২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:১২
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আবার ভয় হচ্ছে! কবে জানি দেখা যায় যে, "গল্পের পিছনের গল্প" নামে যে সিরিজ শুরু হয়েছে সেটাো পিছনেও আবার কোনো গল্প আছে!!!
হা হা হা আমারও ভয় হচ্ছে। সেটাও হতে পারে। হা হা
মানে ধামাচাপা দেওয়া খুনের মত।
৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:১৩
মিরোরডডল বলেছেন:
জানতাম চিলেকোঠা একটা গল্প। আর সব গল্পের মতো বাস্তব থেকে নেয়া কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার কল্পনার মিশেল, কিছু বাস্তব চরিত্রের প্রতিফলন। আর বাকিটা কল্পনা। এটাই মনে হয়েছিলো। তোমার লেখা সিরিজ এটাই আমি প্রথম্ পড়েছিলাম, ভালো লেগেছিলো।
কিছুদিন আগে কোন এক প্রসঙ্গে তোমাকে বলেছিলাম তোমার গল্পের তিনটা চরিত্রের কথা মনে হয়েছে।
তুমি জানতে চেয়েছিলে কোন তিনটা। এই গল্পের তিনটি প্রধান চরিত্র। গল্পের নায়িকা, শুভ্র আর জলমোতি।
জলমোতি চলে গেছে না ফেরার দেশে। শুভ্র আর লেখিকা ফ্রেন্ডস ফরেভার।
এটা আমার অনুমান।
২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:১৭
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা হা তুমি বুদ্ধিমতী বালিকা। তুমি তো বুঝবেই। কিন্তু আমাদের একলব্য ভাইয়ুকে বুঝাও একটু। সে তো পারে আমাকে খুন করে। মানে এসব আমার জীবন হতেই হবে তার কাছে। আমাকে চিলেকোঠায় বাস করাবে। বিয়ে দেবে আবার ডিভোর্সও করিয়েই ছাড়বে।
হা হা আমি মায়াবতী কইন্যা! এইসব করতে পারি বলো???
ওহ একটা কথা বলি আমাকে যারা ভালোবাসে তারা কখনই ছেড়ে যায় না।
২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:১৮
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: মিররমনি
অপ্সরা পড়ো।
খোকাভায়ের পিছের গল্প লিখেছি।
৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:৩১
একলব্য২১ বলেছেন: পড়লাম।
শুভ্র কি এখন সফল মানুষ।
শুভ্রকে ফিরিয়ে দিয়েছিলে বলে কি আফসোস হয়।
এই পর্বের লেখার মান আমার কাছে ভাল লেগেছে।
২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:৩৮
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: যাক বাবা !! ভালো লেগেছে!!
নাকি কাল ছিলো অল্প শোকে কাতর আর আজ অধিক শোকে পাথর হয়েছো?
না আফসোস হয় না। আমি জাঁতে মাতাল তালে ঠিক। কোনো কিছু করার আগে ১০০বার ভাবি। যেটা হবার নয় সে পথে আমি আর পা বাড়াই না।
ফিরিয়ে দেওয়া তাতে আমার কোনো আফসোস নেই। আফসোস এটাই তারপর সেই প্রগাঢ় বন্ধুত্বে বেশ চিড় ধরে গেলো।
সেই প্রজ্ঞা সেই মেধা শুধু শুভ্রেরই থাকে আর কারো নয়।
৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:৩৮
অপু তানভীর বলেছেন: শুনো চিলেকোঠা যাও নি খুব ভাল করেছো । এই গরমে চিলেকোঠায় গেলে আর রক্ষে ছিল । সেখানে যা গরম টের পেতে খুব !
সেই শুভ্রের এখন কী খবর বল দেখি !
২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:৪০
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা ঠিক তাই । আমি কি বোকা নাকি চিলেকোঠার গরমে মরতে যাবো???
সেই শুভ্র এখন আছে যেমন তার থাকবার কথা ছিলো। শুভ্ররা নিজেদেরকে হেলায় ফেলে দেয়। সামনে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ থাকবার পরেও অন্ধকারে নিমজ্জিত থেকে যায়।
৭| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:৩৮
একলব্য২১ বলেছেন: হঠাৎ এই সিরিজ লেখার তাগিদ কেন অনুভব করলে। হালকা হতে চাইলে কি।
তোমার এই সিরিজ নিয়ে বক্র কাকু নিরব কেন। তোমার কি মনে হয়।
২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:৪২
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: বন্ধুত্বে ফাটল ধরার পর হঠাৎ জলমোতীর আবির্ভাব আমাকে মনে হয় ক্ষুব্ধ, দুঃখিত এবং ঈর্ষান্বিত করে তুলেছিলো। সর্বোপরি বিমর্ষ।
সেই বিমর্ষে কোনো আক্ষেপ ছিলো না কিন্তু হাহাকার ছিলো।
দাঁড়াও একটা জিনিস পড়াই.....
২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:৫০
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: এই নিকের প্রথম লেখা
তারপর এটা
https://www.somewhereinblog.net/blog/Mahrin/30303576
তারপর
https://www.somewhereinblog.net/blog/Mahrin/30303846
তারপর লিখতে শুরু করেছিলাম চিলেকোঠার প্রেম.....
৮| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৩:০৩
মিরোরডডল বলেছেন:
True love is rare but still exists.
ভালোবাসা মানেই এই না যে আমার পছন্দের মানুষকে নিজের করে পেতে হবে।
ভালোবাসা মানে আমার প্রিয় মানুষটা ভালো থাকুক তার মতো করে। যেটা তারজন্য মঙ্গল সেটাই হোক।
নো ম্যাটার সে কোথায় আছে কার সাথে আছে, যেখানেই থাকুক সে যেন ভালো থাকে, হ্যাপি থাকে That’s all I’d want.
মানুষ তার প্রিয় মানুষের কাছে থাকতে, স্পর্শে থাকতে পছন্দ করে, খুব স্বাভাবিক।
কিন্তু অনেক সময় যতই ভালোবাসা থাকুক না কেনো, হয়তো একসাথে থাকার কম্প্যাটিবিলিটি ম্যাচ করে না।
সেক্ষেত্রে সুন্দর সম্পর্কটা অসুন্দর করার চেয়ে দূরে থাকাই ভালো।
২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৩:০৫
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: মিররমনি!!
তোমার জজ ব্যারিস্টার নিদেন পক্ষে উকিল বা ফিলোসফার হওয়া উচিৎ ছিলো!!!
এই জিনিসগুলো মানুষ বুঝে না বলেই পৃথিবীতে এত কষ্ট এত হানাহানি।
৯| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৩:০৮
একলব্য২১ বলেছেন: শুভ্রর সাথে তোমার প্রেমের স্থায়িত্ব কাল কত দিনের ছিল।
২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৩:১৯
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: বলেছি না সে আমার শুধু বন্ধুই ছিলো........ প্রেম দেখলা কোথায়!!!!!!!!
এই গল্প তো বন্ধুত্ব যদি প্রেম বা বিয়েতে গড়াতে তবে কেমন হত তুমি বলোতো??? এই নিয়ে গপ্পো!!!!!!!!!!!! হা হা
বন্ধুত্ব ছিলো ৫ বছর আর ৫ বছর পর বন্ধুত্ব প্রেমত্ব হয়ে গেলো আর সেটাই সব কিছুর কাল হলো।
১০| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৭:১৪
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তোমার বন্ধু প্রেমিক চরিত্র একটাই । মানুষের চরিত্রের বৈপরীত্য তাকে আলাদা করে দুটি চরিত্রে রূপদান করার বিষয়টি সুস্পষ্ট। লেখক নিজেই নিজের সৃষ্টির বিশ্লেষণ করে পাঠকের মনে উদ্ভুত প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেছেন।
বিষয় টি প্রশংসার। তবে কবিতা পড়ার প্রহর ও গল্প লিখতে শুরু করলো। কবিতা যদি প্রেম হয় তাহলে গল্প সংসারের গালগপ্প। সহজ ভাষায় বলতে গেলে ওগো আর কেহ নয় আমি তোমাতেই ফিদা যে যাই বলে বলুক না। তোমাকেই আগলে রাখবো ভালোবাসার অধরে । কবিতার জয় হোক। সুন্দর
২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:০৮
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: বাপরে!
ভাইয়ু মাথায় আবার ভূত চাপলো নাকি ঈদের ছুটি পেয়ে?
১১| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: মানুষ তার অভিজ্ঞতার বাইরে লিখতে পারে না।
গল্পের পেছনের ইতিহাস ধারনা করতে পেরেছিলাম।
২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:০৯
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা ভাইয়ু!!! সবাই তো কিছু না কিছু ধারনাই করেছে তাই তো উত্তর নিয়ে আসলাম।
১২| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:৩১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই ভাবেই লেখকরা লিখে থাকে। আমি বিস্মিত হয়নি কখনও। সত্য মিথ্যার মিশ্রণেই গল্পের কাহিনী হয়। কোন লেখাকেই পাঠকের বেশী সিরিয়াসভাবে নেয়া উচিত না। আনন্দের জন্য পড়া।
২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:১১
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা তুমি তো একলব্য ভাইয়ুর মত পিচ্চু না হলে বিস্মিত হতে। তাছাড়া আমাকে তো তুমি পাঁজির পাঝাড়া মনে করো।
কোন লেখাকেই পাঠকের বেশী সিরিয়াসভাবে নেয়া উচিত না। আনন্দের জন্য পড়া।
এ কথা সত্যি নইলে গান গেতে হয়- আমি কষ্ট পেতে ভালোবাসি তাই তোমার কাছে ছুটে আসি।
১৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:২২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঠিকই বলেছেন, আসলে বয়স একটা ব্যাপার। তরুণ বয়সে কত সাধারণ জিনিসে বিস্মিত হয়েছি। কত কি জিজ্ঞাসা। সেটা নিয়ে কত গবেষণা করেছি। মানুষের মনস্তত্ত্ব আর আত্ম উন্নয়ন নিয়ে বই পেলেই পড়েছি। আমি বেশী প্রশ্ন করতাম বলে আমার আম্মা আমাকে মাঝে মাঝে বকা দিতেন। তার একটা কারণ আমার বিদঘুটে প্রশ্নের জবাব উনি দিতে পারতেন না।
আপনাকে আমার শ্রী দেবীর মত মেধাবী মনে হয়। শ্রী দেবী খুব হিউমার করতে পারতো। যেমন সুন্দর তেমন মেধাবী। ওর মত হাসাতে আর কোন নায়িকা পারতো না। আমি শ্রী দেবীর ফ্যান ছিলাম। শ্রী দেবীর মধ্যে কিছু দুষ্টুমি বুদ্ধি ছিল। যেটা মনে হয় আপনার মধ্যে আছে।
আয়ুব বাচ্চুর সব গানই ভালো। তার মধ্যে এই গানটা আমার আরও প্রিয়।
২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:৩৬
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ভাইয়া পা দুইটা দাও। একশো সালাম না না হাজার কোটি লক্ষ্য সালাম তোমার পায়ে। ( ভয় নেই সালামীর জন্য সালাম করছি না) শ্রীদেবীকে আমার বড়ই পছন্দ। যেমনই সৌন্দর্য্যে তেমনই তার মজার অভিনয় আর ঢং ঢাং এ।
তার মত বলেছো আমাকে!!!!!!!! আরে আমার পিঠে এতদিন অদৃশ্য ডানা ছিলো এখুনি দেখলাম দুইটা সত্যিকারের ডানা গজিয়েছে। আমি আকাশে উড়ছি!
১৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:৪৫
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন:
শ্রীদেবী আমার এতই প্রিয় যে দেখো তার ছবি এঁকেছিলাম আমি।
১৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:৫৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি জানি আপনিও শ্রী দেবীর ফ্যান। এই ছবিটা আরেকবার দিয়েছিলেন। আমি বলেছিলাম যে চোখ দুটো পারফেক্ট হয়েছে।
খুব সুন্দর এঁকেছেন পুরো ছবিটাই। আসলে পুরোটাই পারফেক্ট হয়েছে। হুবহু শ্রী দেবীর মত হয়েছে। আগেরবার অবশ্য আপনাকে একটু খ্যাপাতে চেয়েছিলাম। সেটা আর এখন মনে করার দরকার নাই। ইশ আমি যদি এতো সুন্দর আঁকতে পারতাম।
'মিস্টার ইন্ডিয়া' আর 'চাঁদনী' না দেখে থাকলে অবশ্যই দেখবেন। আপনি মনে হয় আগেই দেখেছেন অবশ্য। ১৯৮৫ সালে 'সদমা' দেখেছিলাম। আপনি এগুলির সবই হয়তো দেখেছেন। স্মৃতি কাতর করে দিলেন তাই বললাম।
২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:১৭
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: কয়েকদিন আগে আমি সদমা দেখে কাঁদতে কাঁদতে কাঁদতে কাঁদতে। মিস্টার ইন্ডিয়া আর চাঁদনী দেখেছি। আমি আমারও শ্রীদেবীকে আঁকবো ভাবছি। আজকালের মাঝেই।
ভাবীজির জন্য বাচ্চাদের জন্য কেনা কাটা শেষ?
ভাইয়া কাল সকালে ভাবীর খানা পিনা টেবিলের ছবি তুলে এনো। দেখি ভাবীজি কি নান্না বান্না পারে। ননদিনীদের কাছে টেস্ট!
১৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:২১
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ঈদ মুবারক প্রহর।
২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:৩১
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ঈদ মুবারাক কবি ভাইজান!
১৭| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:৩৫
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার চিলেকোঠার প্রেম পড়ে মুগ্ধ হয়েছিলাম আপনার লেখার শৈলী দেখে। একদিকে লেখা ছিল খুবই সাবলীল, একজন পরিণত লেখকের কলম থেকে যেরকম পরিণত লেখা বের হয়, সেরকম। গতানুগতিক খুনসুটিময় প্রেমের গল্পের মধ্যে আপনার এ গল্পটি ছিল গভীর জীবনবোধ ও রোমান্টিসিজমের এক অপূর্ব ব্লেন্ডিং। আপনার প্রতিটা চরিত্রই ছিল বাস্তব থেকে উঠে আসা একেকটা ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রের মানুষ। প্রতিটা চরিত্রই পাঠকের মন কেড়ে নেবার মতো করে গড়ে উঠেছিল। শুভ্র গল্পের মূল চরিত্র হলেও শুভ্র'র বাবার চরিত্রটা আমার খুব বেশি প্রিয় ছিল, নিজেকে অমন একজন শ্বশুরের ভূমিকায় ভাবতে খুবই ভালো লাগতো আমার, মোট কথা, আমার নিজেকে খুঁজে পাচ্ছিলাম ঐ চরিত্রের ভেতর। আবার, শুভ্র'র কিছু বৈশিষ্ট্য নায়িকার পছন্দ না হলেও তার সেই স্বভাবগুলো আবার আমাকে আকৃষ্ট করতো (হয়ত সব পুরুষকেই), যেহেতু আমি নিজেও ওরকম করি অনেক সময়
কিছু কিছু মুহূর্ত খুবই বেদনাময় ছিল, যেমন, এ মুহূর্তে একটার কথা মনে পড়ে- শুভ্র তার পরের প্রেমিকা কিংবা বউকে নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছিল হাত ধরে, মূল নায়িকা তাকে দূর থেকে দেখে ফেলে এবং বিষাদময় চোখে সেই নায়কের চলে যাওয়া পথের দিকে তাকিয়ে থাকে, আর তার বুক হুহু করে ওঠে বেদনায়।
খুব ভালো ছিল গল্পটা। আপনার সিগ্নেচার গল্প ওটা, আমার বিবেচনায়।
অসাধারণ কল্পনাশক্তি ও সৃজনীশক্তি আপনার; যার ফলে বাস্তবের ছায়া অবলম্বনে কল্পনাকে বাস্তবের মতো ফুটিয়ে তুলতে পারেন।
অনেক অনেক শুভ কামনা থাকলো আপনার জন্য।
২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:৫৬
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: থ্যাংক ইউ সো মাচ ভাইয়া।
চিলেকোঠার প্রেম গল্পটা লিখবো এটাই ভেবেছিলাম যখন শুভ্র তার পরের প্রেমিকা কিংবা বউকে নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছিল হাত ধরে, মূল নায়িকা তাকে দূর থেকে দেখে ফেলে এবং বিষাদময় চোখে সেই নায়কের চলে যাওয়া পথের দিকে তাকিয়ে থাকে, আর তার বুক হুহু করে ওঠে বেদনায়।
এই ঘটনার পরই...... হা হা
ভাইয়া
তারপর আমি প্রথমে লিখলাম এই লেখাটা
এরপর আরও দুটো তারপর ভাবলাম বাস্তবে না হোক অবাস্তবে ভেবে ফেলি শুভ্রর হাত ধরে চলে গেলে কি হত সেদিন।
আর তারপর লিখতে গিয়ে সেই ভাবনাটা গভীর হলো।
সত্যিকারের এই বাস্তবে যে ভুলের মাশুল গুনতে গিয়ে আরও বড় ভুল হয়ে যেত সেই ভুল না করে আমি যে ঠিকই করেছি সেই ভাবনাটাই ভেবে নিয়ে মনকে প্রবোধ দিলাম। হা হা হা
তবে হ্যাঁ শুভ্রের বাবা অমনি সদাই হরিশ। এই লেখা লিখতে গিয়ে তার ফেসবুকে গোয়েন্দাগিরি করেছি। তার মাকে চিনেছি বোনকে চিনেছি চৌদ্দ গুষ্ঠিকে চিনেছি। সাধে কি আর অমন বাস্তব হয়েছে। এসব তো আসলেই বাস্তব চরিত্র ভাইয়া!
২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:৫৭
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: তারপর এটা
https://www.somewhereinblog.net/blog/Mahrin/30303576
তারপর
https://www.somewhereinblog.net/blog/Mahrin/30303846
তারপর লিখতে শুরু করেছিলাম চিলেকোঠার প্রেম.....
১৮| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:১১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হ্যা, সবার কেনাকাটা শেষ। তবে আপনার সাথে খাবার দাবারের প্রতিযোগিতায় আপনার ভাবি পাড়বে বলে মনে হয় না। তাই সেই রাস্তায় না যাওয়াই ভালো।
২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:২২
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আরে প্রতিযোগীতা করতে বলিনি তো। বলেছি শুধু এট্ট খানাপিনার ছবি দিতে!
১৯| ২২ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:১৮
করুণাধারা বলেছেন: গল্পের পিছনের গল্প জানতে ভালোই লাগছে। চিলেকোঠার প্রেম আগ্রহ নিয়ে পড়েছিলাম, গল্পের মূলকথা, চরিত্রগুলো মনে আছে কিন্তু তুমি যেভাবে পর্ব- পর্ব করে পিছনের গল্প বলছ, সেটা পড়তে গিয়ে দেখলাম অনেক কিছু ভুলে গেছি...
অথচ পাথরকুঁচির অনেক কিছু স্পষ্ট মনে আছে!! এই গল্প অধীর আগ্রহ নিয়ে আমি পড়তাম ব্লগে নাম লেখাবার আগে থেকে। লেখার শৈলী, আবেগ সবকিছু মন ছুঁয়ে গিয়েছিল। এরপর কঙ্কাবতী পড়তে গিয়ে আবারো স্পর্শিয়াকে মনে পড়লো! এই দুটো গল্পই আমাকে খুব ভাবিয়েছে। জানতে ইচ্ছে করে চরিত্রগুলোর পিছনের গল্প। কঙ্কাবতী নাহয় নাই এলো, স্পর্শিয়া যেন অবশ্যই তার গল্প নিয়ে আসে...
ঈদ মুবারক!
২২ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:৫৭
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হা হা আপুনি তারপর স্পর্শিয়ার পাথরকুচি নিয়ে যে তুলকালাম হয়েছিলো সেটা কি তুমি জেনেছিলে??
আমি স্পর্শিয়া এটা অনেকেই মানতে পারেনি এবং আমাকে প্রতারনার দায়ে ফেলতে একেবারে মামলাই করে দিতে চেয়েছিলো কেউ কেউ । হা হা হা
আচ্ছা বলো আমি একজন এসিড ভিকটিম মেয়ের দুঃখ কষ্ট ভালোবাসা নিয়ে লিখেছিলাম আমি বাচ্যে কারন আমি বাচ্যে লিখলেই আমি সেই চরিত্রটাকে ঠিক ঠাক ফিল করতে পারি। স্পর্শিয়া লিখতে আমার বুক ফেটে যেত। সব সময় কাঁদতে কাঁদতেই শেষ হতাম আমি এই লেখার সময়। তাই বলে কি আমাকে স্পর্শিয়া হতেই হবে বাস্তবেও।
কি মামা বাড়ির আবদার বাবা। আমি কেনো নতুন নিকে লিখলাম স্পর্শিয়া আর কেন কেউ বুঝলোনা সেটা আমি সেটাই নাকি আমার প্রতারণা। আরে!!!!!!!!!!!!!!!!!! মালটিবাজগুলো গন্ডগোল করতে করতে মালটি দিয়ে ধরেই নিয়েছিলো মালটি নিকে ভালো কিছু করাই যায় না। আমাকে বিশ্ব মালটিবাজ বানায় দিয়ে কি একখান হনু সাজতে চেয়েছিলো।
যাইহোক পাথরকুচি কেনো লিখেছিলাম বললে একজন আমাকে খুন করার জন্য আমার রেডি হতে পারে । যদিও সে ব্লগে আসে না মানে লুকায় লুকায় আসে কিনা জানিনা তবে যদি তাকে কেউ জানায় তো চাকু নিয়ে হাজির হতে পারে। তবে যে জন্যই লিখি আমি লিখেছি লেখিকা হয়ে আমাকে সেই গল্পের নায়িকাই হতে হবে এমন কোনো কথা নেই তবে আমি যে তার কষ্টটা অনুভব করলাম সেটা বুঝি কিছু না???
না করলে কি লিখতে পারতাম??
যাইহোক ঠিক আছে আমি পাথরকুচির পেছনের ইতিহাসও লিখবো তবে কঙ্কাবতীর পেছনের কোনো ইতিহাস নেই। কঙ্কাবতী নিজেই ইতিহাস।
২০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:০২
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: গল্পের পিছনের গল্প জানতে ভালোই লাগছে।তুমার প্রায় সবকয়টি সিরিজ পড়তে পেরেছি সায়মাপু প্রথমে খটকা লেগে থাকলেও সিরিজিরে ভেতরে গিয়েই ঠিকি অনুমান করতে পারতাম।
অনেক দিন থেকে যদিও ব্লগ ওঠোনে আসা হয়না। তাই তেমন কাউকে দেখিনা। তবে যখনি আসি খুঁজে নেই প্ররিচিত জনদের। খুবি ভালো লাগে পরিচিত জনদের ব্লগে ঠু মেরে যেতে। যারা গত হয়ে গেছেন ওদের জন্য কথা অনেক মনে পড়ে। আর আমার মতো কিংবা একেবারেই ব্লগ পাড়ায় থেকে মূভ ফিরিয়ে নিয়েছে তাদেরকেও মন খুঁজে ফিরে। যে যেখানে রয়েছে ভাল থাকুক।
তুমাকে ঈদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
২৬ শে জুন, ২০২৩ রাত ৯:৫৪
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ভাইয়া তুমিও অনেক অনিয়মিত হয়ে পড়েছো।
আমিও আমার সিরিজ লিখলেই তোমাকে খুঁজি।
চাই তুমি আমার লেখা পড়ো।
২১| ২৬ শে জুন, ২০২৩ রাত ১০:১৫
একলব্য২১ বলেছেন: কি ব্যাপার আপু। এই নিকে। নতুন কোন লেখা আসছে কি। দেখলাম তোমার কমেন্ট। ভীষণ ব্যস্ততার মধ্যে আছ।
ডলের কি খবর। ঈদে দেশে চলে এসছে কি। সামুতে দেখি না যে।
২৬ শে জুন, ২০২৩ রাত ১০:৪৫
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: এই নিকে নাকি কোন নিকে যে কিছুমিছু লিখবো ভাবছিলাম।
পরে ভাবলাম কঙ্কাবতী রাজকন্যা থেকে লিখি।
লিখতে গিয়ে দেখি লগ ইন হয় না। আবার ইমেইল খুঁজতে গেলাম।
কোন ইমেইলে যে কোন আইডি। মনে করতেই হিমশিম খাই।
মিররমনিকে দেখলাম তো এই সেদিনই। না মনে হয় দেশে আসবে না ঈদে.....
২২| ২৬ শে জুন, ২০২৩ রাত ১০:৪৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মিরর মণির বোন মারা গেছেন। ওনার মানসিক অবস্থা এখন ভালো না।
২৩| ২৬ শে জুন, ২০২৩ রাত ১০:৫৫
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: হায় হায় ভাইয়া। কি বলো!
ইন্নিনিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাহে রাজিউন!
কবে এমন হলো? কয়েকদিন আগেও তো মিররমনিকে দেখলাম এইখানেই। যদিও কিছুদিন আমি একেবারেই আসতে পারিনি।
২৪| ২৬ শে জুন, ২০২৩ রাত ১০:৫৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মিরোরডডলের শেষ পোস্ট পড়েন। সেখান থেকে জানলাম। আপনার শায়মা নিকে কিছুক্ষণ আগে আমি বলেছি। কিন্তু আপনি ওখান থেকে লগ আউট করেছেন কিছুক্ষণ আগে তাই জানতে পারেন নাই।
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:১১
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: হ্যাঁ ভাইয়া তারপর জেনেছিলাম।
২৫| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২৯
মিরোরডডল বলেছেন:
একলব্য২১ বলেছেন: কি ব্যাপার আপু। এই নিকে। নতুন কোন লেখা আসছে কি। দেখলাম তোমার কমেন্ট। ভীষণ ব্যস্ততার মধ্যে আছ।
ডলের কি খবর। ঈদে দেশে চলে এসছে কি। সামুতে দেখি না যে।
আহা!!! আমাদের শুভটা কোথায় হারিয়ে গেলো!!!!!!!!!!!
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৪৯
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: সোনালী বিকেলগুলো হারিয়েই যায়!
আর আমাদের ছিলো সোনালী রাত দিন ভোর সন্ধ্যা!!!
খুব খুব আনন্দময় সময় পার করেছিলাম আমরা।
অবশ্য চাইলেই আবারও সেটা করা যায়।
২৬| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:০০
মিরোরডডল বলেছেন:
অবশ্য চাইলেই আবারও সেটা করা যায়।
তাহলে করছো না কেনো?
মানুষ বাঁচে কয়দিন।
একটু আনন্দে হেসে খেলে যাওয়া।
মাত্রতো কয়টা দিন।
করো আপু, আবার শুরু করো।
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:২৭
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: ওকে তথাস্তু!!!!!!!!!!
২৭| ২১ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখককে জানার জন্য গল্পের পেছনের এ গল্পগুলো জানার ভীষণ প্রয়োজন ছিল। লেখকেরও বলার প্রয়োজন ছিল।
আপনার সব নিক মিলিয়ে সব পোস্টের মধ্যে এ সিরিজটা অন্যতম শ্রেষ্ঠ সিরিজ, এবং সিরিজের শেষে এসে দেয়া 'গল্পের পেছনের এ গল্পগুলো' শ্রেষ্ঠতম নিবেদন।
একলব্য২১ এর দেয়া লিঙ্কগুলোর গানগুলো সুন্দর, এবং মন ছুঁয়ে যাওয়া।
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: "আপনার সিগ্নেচার গল্প ওটা, আমার বিবেচনায়" - আমারও।
৪,৭,৮, ৯ ও ১৯ নং মন্তব্য ও প্রতিমন্তব্যগুলো ভালো লেগেছে। +
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৩৪
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: অনেক অনেক থ্যাংকস ভাইয়া।
এই নিকে লগ ইন করিনি বলে এই মন্তব্যের কথা জানতে পারিনি।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:৪৫
একলব্য২১ বলেছেন: Grand piano বাজিয়ে গাই গাইতাছো। কাকে দেখে অনুপ্রাণিত।
view this link
view this link
view this link