![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঝুনা পাগলার সামনে দিয়া মে দিবস শ্রমিক দিবসের একটা মিছিল যাচ্ছে। সে ঠ্যাংয়ের উপর ঠ্যাং তুইলা বসে আছে আর ঝিমুচ্ছে। ঝুনা পাগলা শ্রমিক দিবসের ভাবনায় ডুবে গেল….
“একজন মানুষের একদিনের কর্মদক্ষতা এবং তার পরিশ্রমের উপর তার উপার্জন নির্ভর করে। যে যত চৌকষ পরিশ্রমী সে তত বেশি উপার্জন করতে সক্ষম কিন্তু ঐ একজন মানুষের একদিনের কর্মদক্ষতা এবং পরিশ্রমকে পুঁজি করে অন্য আরেকজন ছোঁ মেরে খুব চৌকষে তার কর্মদক্ষতা এবং পরিশ্রমে ভাগ বসায় । ফলাফল এই অন্য আরেকজন ফুলে ফেঁপে বড়লোক হতে থাকে কারণ এক এক জন করে অনেকের পরিশ্রম এবং কর্মদক্ষতা যখন একসাথে যোগ করা হয় তখন ফলাফল আঙুল ফুলে কলা গাছ।
বলা হয়ে থাকে গরিব মানুষকে রক্ত শোষণ করে বড়লোক হওয়ার প্রধান চাবিকাঠি। কারণ খুজলে দেখা যায় গরিব মানুষের কর্মদক্ষতা এবং পরিশ্রমের সঠিক প্রাপ্য না দিয়ে ধাপ্পা মেরে অর্ধেকের বেশি ছিনিয়ে নেয়া হয়। আর বাকি সিকি ছটাক নিয়ে তারা যাযাবর জীবন যাপন করে। দিন আনে দিন খায়। সঠিক পারিশ্রমিক,ভাগ না হওয়ায় সমাজে দেখা যায় কেউ উপূর্যপুরি,অঢেল সম্পত্তির মালিক আবার কারো হিমসিম করে চলতে হচ্ছে দিনের আলো অথবা রাতের অন্ধকারকে পুঁজি করে। গধির উপর ঠ্যাংয়ের উপর ঠ্যাং তুলে বসে যখন তারা আয়েসি ভঙ্গিতে পান চিবোয় কিংবা সিগারেট ফুকাচ্ছে তাদের গধি কিন্তু পরিশ্রমের ফল তার না, খেটে খাওয়া মানুষের।
এই কারণে দেখা যায় পৃথিবীতে বোকা লোকেরই বসবাস বেশি চতুর লোক সে তুলনায় অতি নগণ্য। কারণ চতুর লোক বেশি হলে সেয়ানে সেয়ানে টক্কর হতো আর সেটা হয় না বিধায় মুখ বুঝে মেনে নেয় শ্রমিক দল। ভাগ হয়, বিভক্তি হয়, পায়ের তলায় পিষ্ট হয়। নিজের অবস্থান পরিবর্তন করতে পারে খুব কম লোকেই। আর সেভাবেই সংখ্যায় অল্প উচ্চশ্রেণীরা সাজিয়ে গুছিয়ে সমাজ তৈরী করে নিয়েছে তেলের মাথায় তেল ঢালতে।”
ঝুনা পাগলা ঠ্যাংয়ের উপর ঠ্যাং তুলে ভাবে আর মাথা চুলকায়। যারা শ্রমিক দিবসের মিছিল নিয়ে এরকম লম্ফঝম্প করছে তাদের মাথায় ঘিলু কতটুকু নাকি পুরোটাই উর্বরা বর্জ্য! যারা অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে তারা কি কোন কালে তা প্রতিষ্ঠিত করে পারবে। বোকারাম কোথাকার! বুদ্ধির অক্ষমতার কারণেই আমরা কখনো সক্ষম হতে পারবো না এটাই সত্য। বুদ্ধির জোর তারা যেমন তাদের গধি শক্ত করছে আমাদেরও ঐ বুদ্ধির জোরে আমাদের অধিকার ছিনিয়ে আনতে হবে। তারা যেমন করে আমাদের কর্মদক্ষতা,পরিশ্রম ছিনিয়ে নিয়ে মিনিয়ে খেলা খেলে। ভাগ বিভক্তির বলয় থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে একসাথে বিস্ফোরিত ভাবে। আর তা না হলে ঝুনা পাগলার মতো পাগল বনে যাও…….পাগলের সুখ যে মনে মনে……..!
০১ লা মে, ২০১৮ রাত ৯:২২
মাকসুদ আলম মিলন বলেছেন: উদাহারণ সাপেক্ষ্য ব্যখ্যা... অতি চমৎকার। ধন্যবাদ।
২| ০১ লা মে, ২০১৮ রাত ১০:৩৬
শামচুল হক বলেছেন: সহমত
০২ রা মে, ২০১৮ দুপুর ২:৪২
মাকসুদ আলম মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ০১ লা মে, ২০১৮ রাত ১০:৪৪
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: লাল আগুন ছড়িয়ে পড়েছে দিগন্ত থেকে দিগন্তে,
কী হবে আর কুকুরের মতো বেঁচে থাকায়?
কতদিন তুষ্ট থাকবে আর
অপরের ফেলে দেওয়া উচ্ছিষ্ট হাড়ে?
মনের কথা ব্যক্ত করবে
ক্ষীণ অস্পষ্ট কেঁউ-কেঁউ শব্দে?
ক্ষুদিত পেটে ধুঁকে ধুঁকে চলবে কতদিন?
ঝুলে পড়া তোমার জিভ,
শ্বাসে প্রশ্বাসে ক্লান্তি টেনে কাঁপতে থাকবে কত কাল?
মাথায় মৃদু চাপড় আর পিঠে হাতের স্পর্শে
কতক্ষণ ভুলে থাকবে পেটের ক্ষুদা আর গলার শিকলকে?
কতক্ষণ নাড়তে থাকবে লেজ?
তার চেয়ে পোষমানাকে অস্বীকার করো,
অস্বীকার করো বশ্যতাকে।
চলো, শুকনো হাড়ের বদলে
সন্ধান করি তাজা রক্তের,
তৈরী হোক লাল আগুনে ঝল্সানো আমাদের খাদ্য।
শিকলের দাগ ঢেকে দিয়ে গজিয়ে উঠুক
সিংহের কেশর প্রত্যেকের ঘাড়ে।
সুকান্ত ভট্টাচার্য, ১লা মে-র কবিতা
০২ রা মে, ২০১৮ দুপুর ২:৪২
মাকসুদ আলম মিলন বলেছেন: সুকান্ত ভট্টাচার্য আমার প্রিয় কবিদের মধ্যে একজন
৪| ০১ লা মে, ২০১৮ রাত ১০:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: বেশ ভালো লিখেছেন।
০২ রা মে, ২০১৮ দুপুর ২:৪৩
মাকসুদ আলম মিলন বলেছেন: কৃতজ্ঞ
৫| ০২ রা মে, ২০১৮ রাত ১:১৫
রাসেল উদ্দীন বলেছেন: ভালো বলেছেন!
০২ রা মে, ২০১৮ দুপুর ২:৪৩
মাকসুদ আলম মিলন বলেছেন: কৃতজ্ঞ
৬| ০২ রা মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৯
আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা; ভালো লিখেছেন।
লেখককেও ঝুনা পাগলার মতো সুখি মেন হচ্ছে...।
০২ রা মে, ২০১৮ দুপুর ২:৪৪
মাকসুদ আলম মিলন বলেছেন: তা যদি আর বলতেন....
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা মে, ২০১৮ রাত ৯:০৯
কবি হাফেজ আহমেদ বলেছেন: সহমত। একদম ঠিক বলেছেন।
একজন শ্রমিককে প্রতি ঘন্টায় ২ টাকা করেও যদি ঠকাতে পারে তাহলে ১০ ঘন্টায় ২০ টাকা মালিকের পকেটে। আর কারখানায় ১০ হাজার শ্রমিক থাকলে (১০০০০ গুন ২০) = ২০০০০০ দুই লাখ প্রতিদিনে।
আর আমাদের দেশের মালিকেরা ২ টাকা না নিয়ে ৫ টাকা এমনকি বেতন কেটে খাওয়ার চিন্তা করে।