![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার বাবা আওয়ামীলীগের স্থানীয় (বিয়ানীবাজার,সিলেট) অন্যতম নেতা ছিলেন।বঙ্গবন্ধুর অন্ধ অনুসারী ছিলেন এবং বঙ্গবন্ধুর ডাকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে সরাসরি যুদ্ধ করেছিলেন। সপরিবারে বঙ্গবন্ধু ও জাতিয় চার নেতা নিহত হওয়ার পর জাতিয় রাজনীতি ছেড়ে দিয়ে স্বেচ্ছায় প্রায় গৃহবন্ধি জীবন কাটিয়ে মারাযান।বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার,যুদ্ধাপরাধের বিচার এই বিষয় গুলো নিয়ে সকল মুক্তিযোদ্ধাদের মতো তাঁরও আফসুস ছিলো কিন্তু দেখে যেতে পারেননি।আওয়ামীলীগের নেতৃত্বের অযোগ্যতা ও নেতৃত্বশুন্যতা তাঁকে নিরাশ করেছিলো কিন্তু কিছু বলতেন না বা বলার প্রয়োজন মনে করতেন না।আমি সেই বাপের ছেলে,কেমন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাহিরে অন্য কিছু চিন্থা করবো;তবে আমার বাবা মনে-প্রাণে ঈমানদার মোসলমান ছিলেন,নামাজ-রোজা করে, কলিমা পড়ে মারা গেছেন।সেই বাপের ছেলে কেমন করে নাস্তিক হই বা নাস্তিকদের সঙ্গ ধরি সেই হিসেবও মিলাতে পারিনা।তাছাড়া আমার বাবার আরেকটি পরিচয় হলো,তৎকালিন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদস্য হয়ে ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে ‘পাকিস্তান রক্ষার’ যুদ্ধ করেছিলেন।এখন আমার নিজের প্রতি নিজের প্রশ্ন যদিও প্রশ্নটি সবার মনের এবং বহুবার বহুভাবে উত্থাপিত তা হলো- আমাদের বাবারা যে দেশ আমাদের জন্য যুদ্ধ করে স্বাধীন করে গেলেন সে’ দেশ কি এখন সম্পূর্ণ স্বাধীন,অর্থাৎ যে কারণে তাঁরা পাকিস্তান থেকে আমাদেরকে মুক্ত করে রেখে গেলেন সে কারণ গুলো কি দূর হয়েছে? বলতে পারেন কী কারণ? অজস্র কারণের মধ্যে সব চেয়ে প্রধান প্রধান কারণ ছিলো- পাকিস্তানিরা আমাদের প্রতি সকল ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক আচরণ করতো।আমাদের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার ছিলোনা,সকল বিষয়ে ছিলো তাদের নিয়ন্ত্রন।এক কথায় আমরা ছিলাম নিজ দেশে পরবাসী।তাই আমাদের নেতারা আমাদের বাবাদেরকে বুঝাতে সক্ষম হলেন, প্রাণ দিয়ে হলেও দেশ স্বাধীন করতে হবে।যে দেশে আমরা আমাদের পছন্দের নেতা নির্বাচিত করতে পারবো,আমাদের স্বজাতির সরকার হবে যে আমাদের সকল দুঃখ-কষ্ট বুঝবে এবং সকল চাহিদা ও সকল সমস্যার সমাধান করবে,আমাদের দেশে কোনো জুলুম-অত্যাচার থাকবেনা – থাকবেইবা কেমন করে?কারণ আমরাতো আর অন্য জাতির কেউ না সকলেই একই জাতির,একই মায়ের সন্তান। ভাই ভাইয়ের উপর কি জুলুম করতে পারে?জনগনের এই বোধ,এই প্রত্যাশা ও এই স্বপ্নের নাম নেতারা এবং বুদ্ধিজীবীরা দিলেন ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’।আর সাড়ে সাত কোটি বাঙালি এই চেতনায় একজন নেতার একটি মন্ত্রের মত নির্দেশ “এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম” মেনে একটি পতাকা ঊর্ধ্বে উড়ানোর লক্ষ্যে, “একটি শিশুর হাসির জন্য”যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়লেন। একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি মুষ্টিবদ্ধ শক্তিতে গর্জে উঠলো “জয় বাংলা” এবং ছিনিয়ে আনলো ‘বাংলার জয়’। কিন্তু স্বাধীনতার চেতনা বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সংজ্ঞা এখন পরিবর্তিত ও বিকৃত হয়ে, হয়ে গেছে গণতন্ত্রের বদলে ‘পরিবার বা দলিয় তন্ত্র’ ধর্মনিরপেক্ষতার পরিবর্তে ‘ধর্মহীনতা বা নাস্তিকতা’ এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদ বিবর্তিত হয়ে (এই বিবর্তন ‘ইউ টার্ন’ পদ্ধতিতে) বিকশিত হয়েছে ‘জংলী জাতীয়তাবাদে’।আর আমার এই বক্তব্যের প্রমাণ – (আগামী অংশে)
২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:২০
চাঁদগাজী বলেছেন:
সব ছেলে কি বাবার মতো হয়?
৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:১৭
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: খুঁটিটাই শক্ত ছিলো না । বঙ্গবন্ধু স্বাধীন দেশে চোর-বাটপারদের সাথে রাজনীতি করেছেন, তাঁকে ঢেকে রেখেছিলো একদল স্তাবক । তৎপরবর্তী সরকারগুলো অারো দুই ধাপ করে এগিয়েছে । কেন্দ্রীয় পর্যায়ে যোগ্য নেতৃত্ব অাসলে কখনোই ছিলো না ।
পরিবারতন্ত্র থেকে নিষ্কৃতি সহজেই মিলছে না । যে দেশের নেতৃত্ব যেমন সে দেশের জনগণও তেমন । জনগণ বিকল্প চায় না, চোর-বাটপারদেরই অন্ধ সমর্থক ।
স্বাধীনতার উদ্দেশ্য ছিলো রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি । রাজনৈতিক মুক্তি ঘটেছে বটে, অর্থনৈতিক মুক্তি এখনো হয়নি ।
অামরা যেমন নেতৃত্ব চেয়েছিলাম, তেমন নেতৃত্ব বোধহয় কল্পনাতেই থেকে যাবে । এখন অন্তত তুলনামূলকভাবে যে ভালো তাকেই সমর্থন করতে হবে, অন্যায়, দুর্নীতি, অরাজকতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে ।
৪| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৩
চলন বিল বলেছেন: আহা পড়ে একেবারে মোহিত হয়ে গেলাম, ওরে কে আছিস, এনার জন্য চা পানির ব্যবস্থা কর।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:০০
চাঁদগাজী বলেছেন:
জগা খিচুড়ি হয়ে গেছে আপনার মগজ; যারা দেশ স্বাধীন করেছিলে, শেখ সাহেব ও তাজুদ্দিন তাঁদের নিয়ে দেশ চালনা করেননি; করেছিলেন পাকী প্রশাসনের লোক দিয়ে; ওদের সহায়তায়, উনাদের ২ জনকে হত্যা করে, দেশকে আবার পাকী লাইনে নেয়া হয়েছে; এখন দেশ পাকীদের মতো চলছে।