নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনেক কথার কিছু কথা

মালেক চৌধুরী

মালেক চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলাম কি এবং প্রকৃত ইসলামি জীবন - ১

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:৫৯

আমাদের দেশ সংখ্যাগরিষ্ট মোসলমানের দেশ কিন্তু আমরা ইসলাম সম্পর্কে কতটুকু স্বচ্ছ ও সঠিক ধারনা রাখি তা আমাদের বিভিন্ন আচরণ থেকে বুঝা যায়্।যাঁরা ধর্মিয় শিক্ষায় শিক্ষিত তাঁরাও নিজে জানার চেয়ে অন্যের কাছে বুজুর্গ হওয়ার চেষ্টায় বেশি ব্যস্ত থাকেন্।তাই আমি আমার ঈমানি দ্বায়িত্ববোধ থেকে ইসলাম সম্পর্কে স্বচ্ছ ও দালিলিক ধারনা সকলের কাছে উপস্থাপন করে সংশ্লিষ্ট দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত বুজুর্গ গণের প্রতি আরও অধিক ব্যাখা-বিশ্লেষণ সম্বলিত আলোচনা আশা করছি।

ইসলাম কি ?
---------------------

ইসলাম হলো মানব জাতির সকল প্রশ্নের আল্লাহ প্রদত্ব উত্তর ।ইসলাম হলো মানব জাতির সকল সমস্যার সমাধান্।ইসলাম হলো মানব জাতির সকল কাজের দিক নির্দেশনা।ইসলাম হলো মানব জাতির সকল কর্মের লক্ষ্য্।ইসলাম হলো মানব জাতির কল্যান ও অকল্যানের মধ্যকার সীমানা।ইসলাম হলো মানব জাতির সকল মানুষের ব্যক্তি পর্যায় থেকে শুরু করে সমাজ্,রাষ্ট্র ও সমগ্র পৃথিবী ব্যাপি শান্তির একমাত্র সঠিক পথ্।(আমার ভাষায় যে কথাগুলো লিখলাম একথা গুলোর ভিত্তি ও সত্যতা সম্পর্কে সকল মোসলমান অবহিত্।এভাবে আমি যাকিছু লিখবো তা সকলের জানা বিষয়ের উপর এবং সন্দেহাতিত দালিলিক প্রমাণের উপর ভিত্তি করেই লিখে যাবো,কোনো জটিল ও বিতর্কিত বিষ্য়ের অবতারনা করবোনা)

শুরুতে বলেছি ইসলাম হলো মানব জাতির সকল প্রশ্নের উত্তর,সকল সমস্যার সমাধান--------।ইসলামি জীবনে প্রবেশের পূর্বে যে প্রশ্ন প্রথম মানুষের মনে জাগে তা হলো- এই জগত এবং জগতের যাবতীয় সৃষ্টির রহস্য কি,কে আমাদের সৃষ্টিকারি,কেনো এই জগতের সৃষ্টি,কি তাঁর উদ্দেশ্য ইত্যাদি অনেক প্রশ্ন।সকল প্রশ্নের উত্তর মানুষ তার জ্ঞান-বুদ্ধি,চিন্থা-ভাবনা ও বিবেক দ্বারা খোঁজে।উত্তর কেউ খোঁজে পায়,কেউ পায়না,কেউ ভুল সিদ্ধান্তে পৌঁছে,কেউ পা বাড়ায় ভুল পথে।তবে যাঁরা সঠিক উত্তর খোঁজে পায়,যাঁরা এই মহাজগতের সৃষ্টির পিছনে কোনো এক সৃষ্টিকারি সত্বার অস্তিত্ব উপলব্ধি করে এবং ভাবনা-চিন্থার দ্বারা চুড়ান্ত বিশ্বাসে উপনিত হয় তারাই হলেন আস্তিক,আর যারা ব্যর্থ হলেন তারা নাস্তিক।এবার সৃষ্টিকারি সত্বায় বিশ্বাসিদের মধ্যে দুটি ভাগ দেখা দিলো,এক দল মনে করলেন একাধিক সৃষ্টিকর্তা ছাড়া এতো বড় জগতকে সৃষ্টি বা পরিচালনা সম্ভব নয়,আন্যদল একই সত্বাই এই জগত সৃষ্টির মূলে তা বিশ্বাস করলেন।এঁদের মধ্যে বিভিন্ন দল থাকলেও সর্ব শেষ দলটি হলো মুসলিম যাঁরা মহাম্মদ মোস্তফা (সঃ) এর দ্বারা প্রবর্তিত ধর্ম ইসলামের আনুসারী।মহাম্মদ (সঃ) তাঁদেরকে বললেন, মূখে বলো ও মনে-প্রাণে বিশ্বাস করো – “ লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ,মহাম্মদুর রাসুল আল্লাহ”-(নাই কোনো প্রভু আল্লাহ ছাড়া,মহাম্মদ আল্লাহর রাসুল)।যাঁরা মূখে বললেন ও মনে-প্রাণে বিশ্বাস করলেন তাঁরা ইসলামি জীবনে প্রবেশ করলেন।

“ লা ইলাহ ইল্লাআল্লাহ,মহাম্মদার রাসুলাল্লাহ” (নাই কোনো প্রভূ আল্লাহ ছাড়া,মহাম্মদ আল্লাহর রাসুল) – এই বাক্য পাঠের মাধ্যমে একজন মানুষ ইসলামি জীবনে প্রবেশ করলেন।ইসলামের পথে যাত্রা শুরু হলো।লক্ষ্য করে দেখবেন যে বাক্যটি তিনি পাঠ করলেন (ইসলামি পরিভাষায় বলা হয় ‘কলিমাহ লিল ঈমান’ যা আল্লাহ কোরানের মাধ্যমে শিখিয়েছেন)সেই বাক্যটি প্রথমে শুরু হলো অন্য সকল প্রভূর প্রভূত্বকে আস্বিকার করে,বলা হলো “ লা ইলাহ”(নাই কোনো প্রভূ)অর্থাৎ আল্লাহ তাঁর প্রতি ঈমান আনার পুর্বে সকল প্রভূর সাথে সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দেওয়ার জন্য আদেশ করলেন।ঈমানদার তাই করলেন,মুখে বললেন ও মনে-প্রাণে বিশ্বাস করলেন অন্য কোনো প্রভূ নাই।দ্বিতীয় শব্দ “ ইল্লাল্লাহ”-(আল্লাহ ছাড়া)।অর্থাৎ প্রথমে সকল প্রভূর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে পরে আল্লাহর একাত্বতা ঘোষণা করা হলো।এবার ঈমানদার বিশ্বাস স্থাপন করে ঘোষণা দিলেন- “মহাম্মদ আল্লাহর রাসুল”।অর্থাৎ এই ঘোষণাকারি একজন মুসলিম হিসেবে নিজেকে ঘোষণা করলেন।এখন তাঁর কাজ হলো নিজের জীবনকে আল্লাহর আদেশ মতো যাপন করা এবং বিনিময়ে আল্লাহ প্রদত্ব সকল সুযোগ-সুবিধা গ্রহন করা।স্বাভাবিক ভাবে তাঁর মনে প্রশ্ন জাগবে – আল্লাহর আদেশ মতো জীবন যাপন করবোতো ঠিক আছে তবে কিভাবে আল্লাহর আদেশ পাবো?সেই ব্যবস্তা আল্লাহ নিজেই করে রেখেছেন।আল্লাহ তাঁর প্রতিনিধির মাধ্যমে মানুষের জীবন যাপনের যাবতীয় বিষয় সম্বলিত বিধান ‘কোরান’ অবতীর্ন করেছেন এবং তা চীরকাল অবিকৃত ভাবে সকল মানুষের হাতের নাগালে, তাঁর স্বজাতি,স্বিয় ভাষাতে বুঝার ও বুঝানোর ব্যবস্তা করে রেখেছেন।কোরানে বর্নিত মানুষের জীবন যাপনের সাথে সম্পর্কিত সকল বিধি-বিধান,পথ ও পন্থা বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করে এর প্রায়োগিক আন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয়,ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ সহ দিক নির্দেশনা প্রদানের জন্য তাঁর প্রেরিত প্রতিনিধি মহাম্মদ (স)-কে ‘রাসুল’ (প্রতিনিধি) হিসেবে প্রেরন করেন এবং তাঁর রাসুলকে আনুসরণ করে জীবন যাপন করার আদেশ করেন।তাই একজন মুসলিম তাঁর জীবিন যাপনের যাবতীয় দিকনির্দেশনা গ্রহন করবে কোরানে প্রদত্ব আল্লাহর আদেশ দ্বারা এবং আল্লাহর রাসুল কর্তৃক বর্নিত পথ ও পন্থা দ্বারা।আর এইসব বিষয় স্বচ্ছ ধারনা ও জ্ঞান অর্জনের জন্য আল্লাহর রাসুলের আদেশ মোতাবেক দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ হলেন এই যুগের জন্য কোরান ও হাদিসের উপর গভীর ও প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞানি,আমলদার,সকল আলীম সমাজ ও ইসলামি শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সমর্থিত সম্মানিত আলীমগণ।(চলবে)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.