নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনেক কথার কিছু কথা

মালেক চৌধুরী

মালেক চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলাম কি এবং প্রকৃত ইসলামি জীবন - ৩

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০৯

আল্লাহ ও আল্লাহর কুদরত এবং ইসলাম সম্পর্কে বিভিন্ন মহল থেকে নানা প্রশ্ন অতীতে তুলা হয়েছে এখনও তুলা হয়।প্রশ্ন কারিদের উদ্দেশ্য যা-ই হোক কিন্তু ঈমানদারদের ও আলিম সমাজের উচিত তাদের সকল প্রশ্নের উত্তর আল্লাহর কালাম ও রাসুলের হাদিসের ভিত্তিতে এবং আল্লাহ প্রদত্ব পন্থা অনুসরণ করে প্রদান করা।তাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে মুমিনদের ভীত হওয়ার কোনো কারণ নেই,কারণ আল্লাহ সকলের সকল প্রশ্নের উত্তর নিজেই তাঁর পবীত্র কোরানে প্রত্যক্ষ ভাবে দিয়েছেন কিংবা তাঁর রাসুলের মাধ্যমে দিয়েছেন।সুতরাং,প্রকৃত মুমিন সকল প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য সর্বদা প্রস্তুত।

ইসলামে ঈমানের পরে আল্লাহ যে কাজটি মোসলমানের জন্য ফরজ করেছেন তা হলো নামাজ।নামাজ আদায়ের উপর আল্লাহ এতো গুরুত্ব দিয়েছেন যে নামাজ আদায় না করলে কঠিন শাস্তির ভয় দেখিয়েছেন।তাই আনেকের প্রশ্ন নামাজ আদায় করলে বা না করলে কি এমন অসুবিধা যে আল্লাহ এতো গুরুত্ব দিলেন?প্রশ্ন গুলো অনেকটা এই ধরনের যা আমরা অনেকের মূখ থেকে অনেক ভাবে শুনি তবে ভাবার্থ একই।এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার আগে একটি বিষয় আলোচনা করে নেওয়া প্রয়োজন- আল্লাহ কোরানে বিভিন্ন বিষয় বুঝিয়ে বলার জন্য খুব সাধারণ উপমা,উদাহরণ,অতীতে ঘটে যাওয়া ঘটনার বর্ননা,নিদর্শন ইত্যাদি কৌশল আবলম্বন করে মানুষের বোধগম্য করে তাঁর বাণি উপস্থাপন করেছেন।আল্লাহর রাসুল (স)-ও উদাহরণ,উপমার আশ্রয় নিয়ে বিভিন্ন বিষয় বুঝানোর পন্থা ব্যবহার করেছেন।সুতরাং,আমরাও আল্লাহর আদেশ ও রাসুল(স)-এর হাদিস আমাদের মতো করে বুঝা ও বুঝানোর জন্য উদাহরণ,উপুমার আশ্রয় নেবো এতে নিশ্চয় দুষের কিছু নেই – আল্লাহ আমাদের উদ্দেশ্য ভালো জানেন।

নামাজ কে আল্লাহ পাক এতো গুরুত্ব দেওয়ার কারণ-
কোনো লোক ঈমান আনার পরে তার কার্যকলাপের প্রমাণ ও প্রয়োগের একটি ব্যবস্তা হলো নামাজ। এতে অবহেলা প্রমাণ করে সে তার প্রভূ কর্তৃক দায়িত্বে অবহেলা করছে এবং আল্লাহর যেকোনো আদেশ অমান্য করা তার দ্বারা সম্ভব। অতী হালকা একটি কাজও সে বিশ্বস্ততার সহিত করলো না।ভীতি প্রদর্শন করা হলো আল্লাহর প্রতি ভয় যাচাই করার জন্য।কারণ ভয় ততক্ষণ থাকে বিশ্বাস যতক্ষণ আছে।আর যে নামাজ আদায় করলো তাঁর আল্লাহ ভীতির প্রমাণো পাওয়া গেলো এবং দৈনিক পাঁচবার পাক-পবীত্র হয়ে আল্লাহর সম্মুখে হাজীর হওয়া প্রমান করে সে আল্লাহর পথে অটল আছে।
এভাবে অনেক গুলো যুক্তিসংগত কারণ আছে যা বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোন থেকে প্রমানিত যে নামাজ উপকারি এবং অনেক গুলো মনস্তাত্বিক বিষয় আছে যা নামাজ আদায় মানুষের জন্য কল্যাণকর তা প্রমান করে।তাছাড়া নামাজ,রোজা,হজ্জ,যাকাত প্রতিটি ফরজ কাজই মানুষকে আল্লাহর পথে শৃঙ্খলাবদ্ধ রাখার একটি উপায়,এতে আল্লাহর কোনো লাভ-লোসকানের বিষয় থাকার কোনো প্রয়োজন নিশ্চয়ই নাই;যা লাভ আমাদেরই। ( চলবে )



মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:

"ইসলাম সম্পর্কে বিভিন্ন মহল থেকে নানা প্রশ্ন অতীতে তুলা হয়েছে এখনও তুলা হয়।প্রশ্ন কারিদের উদ্দেশ্য যা-ই হোক কিন্তু ঈমানদারদের ও আলিম সমাজের উচিত তাদের সকল প্রশ্নের উত্তর আল্লাহর কালাম ও রাসুলের হাদিসের ভিত্তিতে "

-আর প্রশ্ন করা ভুল হবে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.