![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তকদীরের উপর বিশ্বাস-
সকল ভাল-মন্দ যা কিছু আমাদের জীবনে ঘটবে তা আমাদের জন্মের পূর্বেই আল্লাহ ভাগ্য হিসেবে নির্ধারন করে দিয়েছেন-এই বিশ্বাসকেই ইসলামি পরিভাষায় বলা হয় তাকদীর।তকদীর ঈমানেরই অংশ এবং তকদীরের উপর বিশ্বাস না থাকলে ঈমান থাকবেনা।কিন্তু কিছু কিছু মানুষ মুসলিম হওয়া সত্বেও তকদীরের উপর বিশ্বাস নিয়ে ভাবতে গিয়ে ভাবনাকে এলোমেলো করে ফেলেন।এর কারণ অতী যুক্তিপ্রিয়তা,নাস্তিকদের দ্বারা প্রভাবিত হওয়া,ইসলাম সম্পর্কে অসম্পূর্ণ ধারণা,চিন্থার সীমাবদ্ধতা,তর্ক করার মানসিকতা ইত্যাদি কারণে তাকদীর কি, এর বিস্তৃতি কতটুকু এবং তকদীর ও কর্মফলের তফাৎ নির্ণয়ে দু’টু আলাদা বিষয়কে একত্রে গুলিয়ে ফেলেন।তাই তকদীর বিষয়ে কোরান ও হা্দিস এবং জ্ঞানের সর্বোচ্চ প্রয়োগ দ্বারা তকদীর সম্পর্কে সঠিক ধারণা আর্জন প্রতিজন মুমিনের নিজের ঈমানকে বাহিরের আক্রমনের (শয়তানের ধোকা,নাস্তিকদের বিভিন্ন মতাদর্শ-মতবাদের উপদ্রব ইত্যাদি বিপরীত শক্তির বিরুদ্ধ চিন্থার আক্রমন)হাত থেকে রক্ষার জন্য জরুরী।
যাইহোক,তকদীর আসলে আল্লাহ কর্তৃক জীবের ভাগ্য যা জন্মের পূর্বে নির্ধারিত।সে কখন জন্ম নেবে,কখন কিভাবে মৃত্যু হবে,তার জীবিকা,ধন-সম্পদ,তার ধর্ম বিশ্বাস,স্বভাব-চরীত্র,শারীরিক-মানসিক ভারসাম্যতা ও সক্ষমতা,জ্ঞান-বুদ্ধি,বিবেক-বিবেচণা,প্রভাব-প্রতিপত্তি ইত্যাদি জীবের জীবনের সাথে সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয় আল্লাহ কর্তৃক জীবের জন্মের পূর্বে আলাদা আলাদা ভাবে প্রতিটি জীবের জীবনের পথপরিক্রমা বা পূর্ব পরিকল্পনা হিসেবে নির্ধারন করে পৃথিবীতে পাঠানো হয়ে থাকে।কিন্তু তা অবশ্য আল্লাহ চাইলে পরিবর্তন করে থাকেন,তবে সাধারণত পরিবর্তন হয় না (প্রার্থনা করলে ভাগ্য বা তকদীর পরিবর্তিত হয়ে থাকে যদি আল্লাহ দয়া করে প্রার্থনা কবুল করেন এবং তিনি মুমিন বান্দার প্রার্থনা কবুল করেন কারণ তিনি পরম দয়ালু ও প্রার্থনা কবুল কারি,তিনি তাঁর সৃষ্ট জীব বিশেষ করে মানুষ জাতিকে অত্যন্ত ভালোবাসেন।তবে যদি কেউ তাঁর ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য প্রার্থনা ও চেষ্টা না করে তাহলে সে তার পূর্ব নির্ধারিত প্রাপ্যটুকু থেকে বঞ্চিত হবেনা কারণ আল্লাহ কারো প্রতি কোনো অবিচার করেন না বা তিনি তাঁর ওয়াদার বরখেলাপ করেন না) ,যার যে ভাবে লিখা সে ভাবেই জীবন অতিবাহিত হয়;কিন্তু যেহেতু আমরা তা জানিনা বা আল্লাহ তা আমাদের কাছে গোপন রেখেছেন সেজন্য এটি আল্লাহর এখতিয়ারের বিষয় আমরা আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন এবং দৈনন্দিন জীবন যাপনের প্রয়োজনীয় কাজ-কর্ম আল্লাহর নির্দেশিত পথ ও পন্থায় করে যাওয়াই আমাদের ‘তকদীর’।আর জীবনে চলার পথে যখন যে পরিস্থিতীর সম্মূখিন হবো সেটাই ‘তকদীর’হিসেবে স্বাভাবিক বলে মেনে নেবো।এর বেশি বুঝার চেষ্টা করা শিশুদের ‘ইচড়ে পাঁকামো’-র সমান।কারণ আল্লাহ আমাদের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতাও ‘তকদীর’এর আওতা নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন,তাই আমরা শত চেষ্টা করেও আল্লাহর কুদরতের সকল বিষয় বুঝতে পারবোনা – আমরা ততটুকু বুঝবো যতটুকু আল্লাহ আমাদের বুঝার ক্ষমতা ‘তকদীর’-এ লিখে দিয়েছেন।বাবুই পাখির ‘তকদীর’ হিসাবে যে কৌশল শিখিয়েছেন মৌমাছির ‘তকদীর’-এ তা লিখেননি।অর্থাৎ তকদীর হলো পৃথিবী ও পৃথিবীর যাবতীয় সৃষ্টি বিষয়ে আল্লাহর পূর্ব পরিকল্পনা,আর এর আওতা ব্যাক্তি ও বস্তু পর্যায়ের প্রতিটি ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতম এককের উপরও নির্ধারিত।(চলবে)
২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৫
শোভ বলেছেন: "হানিফ ঢাকা"
৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৬
শোভ বলেছেন: "হানিফ ঢাকা"আপনাকে ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫৬
হানিফঢাকা বলেছেন: শিরোনাম দিয়েছেন "ইসলাম কি এবং প্রকৃত ইসলামি জীবন"- আর লিখেছেন সব শয়তানি কথাবার্তা।
"সকল ভাল-মন্দ যা কিছু আমাদের জীবনে ঘটবে তা আমাদের জন্মের পূর্বেই আল্লাহ ভাগ্য হিসেবে নির্ধারন করে দিয়েছেন"- মানুষকে পশু বানানোর এর চেয়ে ভাল চেস্টা আর হয় না। সবকিছু আল্লাহ আগেই ঠিক করে রেখছেন? কোথায় পাইলেন?
১। কেউ যদি আপনার স্ত্রীকে ধর্ষণ করে তবে সেটা আপনার স্ত্রীর তকদিরে ছিল। সুতরাং ঐ নিয়ে আপনি কোন বিচার চাইতে পারবেন না।?
২। আপনি যদি কাউকে হত্যা করেন সেটাও আগে থেকে নির্ধারণ করা ছিল। সুতরাং আপনার কোন বিচার করে লাভ নেই।
৩।সব যেহেতু আগে থেকে নির্ধারণ করা দুনিয়াতে কেন নবী পাঠালেন?
৪। আমি দুনিয়াতে যা খুশি করে বেরাব কারন এই সব আমি করছিনা, আমার তকদীরে লেখা ছিল বলে করছি। কি বলেন?
৫। কিয়ামতের পর কোন বিচার হবে না। কারন আমিত নিজের ইচ্ছায় কিছু করিনি। আল্লাহ লিখে দিয়েছেন বলে করেছি। সুতরাং আমার বিচার হবে কেন? বিচার করতে আল্লাহর বিচার করতে হবে (নাউযুবিল্লাহ!!)
৬। বেহেস্ত দোজখ আগে থেকেই নির্ধারণ করা। সুতরাং দুনিয়াতে যাই করেন কোন লাভ নেই। আর আপনার তকদীরে না থাকলে আপনি ত চেস্টাও করতে পারবেন না।
আপনি মিনমিনিয়ে আরও বলেছেন "কিন্তু তা অবশ্য আল্লাহ চাইলে পরিবর্তন করে থাকেন,তবে সাধারণত পরিবর্তন হয় না "- আল্লাহ তার নিজের সিদ্ধান্ত/কথা পরিবর্তন করেন? কোন পুরোহিতের কাছে ধর্ম শিক্ষা নিয়েছেন?
কোন ইসলাম বিদ্ধেসী বা ইসলামের শত্রু যতটুকু ইসলামের ক্ষতি করেছেন তার চেয়ে হাজার গুন বেশী ক্ষতি করেছেন আপনার মত অন্ধ এবং মূর্খ পাবলিকেরা।