![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শেখ হাসিনা আসলে কি চান ?
- মালেক আহমেদ চৌধুরী
আমার আগের একটি লেখার শীরনাম দিয়েছিলাম, “আমরা বিশ্বাস করি আওয়ামীলীগ এ’দেশ ধ্বংস করতে পারেনা”।কারণ,এদেশ স্বাধিন যারা করেছে তারা দেশের সর্বনাশ করতে পারেনা,যে দলের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু কন্যা সে’দল জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে মেনে নিতে পারিনা,যিনি আপনজনদের হারিয়েছেন তাঁর ক্ষমতার লোভ থাকতে পারে বিশ্বাস করিনা।তবে বর্তমান আওয়ামীলীগ ও শেখ হাসিনার আচরণ আমি সহ অনেক উত্তরাধিকার সূত্রে আওয়ামীলীগারদের বিশ্বাসকে নিষ্টুরভাবে আঘাত করছে।বার বার মনে একটি প্রশ্ন ঘোরপাক খায় “শেখ হাসিনা আসলে কি চান?” তিনি কি আসলে ‘বাকশাল’প্রতিষ্ঠার দিকে এগুচ্ছেন?কারণ কি,তিনি কি বাকশালই এদেশের উপযোগি শাসনব্যবস্থা মনে করেন,নাকি বাবার আদর্শ বা অন্তীম ইচ্ছার বাস্তবায়ন করে যেতে চান?নাহ!বাবার মূল আদর্শতো ‘বাকশাল’ নয়,বাকশাল ছিলো তৎকালীন সার্বিক পরিস্থিতিতে একটি সাময়িক ব্যবস্থা।আর অন্তিম ইচ্ছা বঙ্গবন্ধুর ‘বাকশাল’ নয়,তাঁর সারা জীবনের রাজনৈতিক স্বপ্ন ছিল এদেশের স্বাধিনতা,তা তিনি পূরণ করতে পেরেছিলেন।সুতরাং বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির কোনো অপূর্ণতা ছিলোনা যা আওয়ামীলীগ বা শেখ হাসিনা পূরণ করতে হবে।আর যদি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বাস্তবায়ন করতে চান তাহলে এদেশের জনগণের সার্বিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে, অধিকার হরণ করে নয়;কারণ বঙ্গবন্ধু এ’দেশের জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দলনের রাজনীতি আজীবন করে গেছেন।তাই এইসব দিক বিবেচনা করে নিজে নিজেকে প্রশ্ন করি তাহলে শেখ হাসিনা দেশটাকে দলিয়করণ,একদলিয়করণ ও আওয়ামীলীগায়ন ইত্যাদি অগণতান্ত্রিক আচরণের মাধ্যমে কি চান?ধরে নিলাম তাঁর নিজের নিরাপত্তা ও আওয়ামীলীগের অবস্থানকে অপ্রতিরুদ্ধ রাখার প্রচেষ্টা,এটা কি চীরদিনের জন্য সম্ভব?ইতিহাসতো না বলে।আর কি আপনি গণতন্ত্রে ফিরিবেন না বা না ফিরে পারবেন?বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে একনায়ক তন্ত্রের স্বপ্ন নিজের জন্য ও দলের জন্য আত্মঘাতী নয় কি?যদি গণতন্ত্রে ফিরতে চান ফিরিবেন কেমন করে?রাস্থা কোনটি?তত্বাবধায়কের রাস্থা বন্ধ,স্বছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের রাস্থাও বন্ধ করে দিলেন,এখন আসুন কিভাবে আসবেন গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতায়।আছে কোনো পথ,চরম মূল্য দেওয়া ছাড়া?এবার হাত দিয়েছেন স্থানিয় সরকারে।ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বরদেরকেও যেভাবে দলিয় উর্দি পরাচ্ছেন, এরা সাধারণ জনগণের উপর যেসব নির্যাতন-নিপীড়ন ভবিষ্যতে চালাবে সেসব অপকর্মের বদদোয়া আপনাকে কবরে জ্বালাবে আর আওয়ামীলীগ জ্বলবে জনগণের ঘৃণার আগুনে।তাই আওয়ামীলীগের রক্তে-মাংসে সমর্থক ও শুভাকাঙ্খি হওয়াতে আপনার প্রতি সবিনয় অনুরোধ বেরিয়ে আসুন অগণতান্ত্রিক রাজিনীতির অন্ধকার থেকে জনগণের মাজে।
২| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:১৮
বিজন রয় বলেছেন: দেখা যাক কি হয়।
৩| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:২৫
বিপরীত বাক বলেছেন: ধর তক্তা
মার পেরেক।
মগের মুল্লুক বাংলাদেশ।
যেমন জাতি
তেমনি তার শাসকেরা।
যে যায় লঙ্কায়,
সেই হয় রাবণ।।
অতঃপর,, স্বামী বিশুদ্ধানন্দ যাহা বলেছেন: তাতে সহমত।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:৫৫
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: যে যায় লঙ্কায় সেই হয় রাবন ! শুধু শেখ হাসিনাকে এককভাবে দোষ দিয়ে লাভ কি - তার আগে যে সকল মহামান্যরা ক্ষমতায় ছিলেন তারাও কি ক্ষমতার দম্ভে অন্যায় অত্যাচার করেন নি ? ক্ষমতায় থাকার সময় কারো মনেই এটা আসে না যে পিছনে যত বড় শক্তিই থাকুক না কেন এক সময় মহাশক্তিধর একনায়ককেও চলে যেতে হয়েছে - ইতিহাস স্বাক্ষী ! গাদ্দাফি, পলপট, বা হিটলার কেহই পার পান নি ! এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের একপর্যায়ে আওয়ামী লিগ ও তার প্যারাসায়িট কয়েকটি দল যখন এরশাদের সাথে আঁতাত করে বসে তখন আমার একবার মনে হয়েছিল ওই ব্যাটাকে বোধহয় আর কেউ ক্ষমতা থেকে টেনে নামাতে পারবে না ! আজ কোথায় সেই বিশ্ব বেহায়া ? যতই নামসর্বস্ব বিরোধী দল সে করুক, তার ছ্যাচরামো দেখে কি মনে হয় না ওই ব্যাটা এখন মানুষ নামের একটি সম্মানিত জীবের জন্য কতটুকু অসম্মানের প্রতিক ? তার পরে আসে বিএনপির ক্ষমতাকাল ! তারাও কি কম করেছেন ? আজ কোথায় সেই দম্ভকারী নেতা ও তার চেলাচামূন্ডোরা ? পদে পদে কি পরিমান অসম্মানিত হচ্ছেন তাহারা যা ক্ষমতায় থাকার সময় কি কোনদিন কল্পনাও করেছিলেন ! দুঃখজনক হচ্ছে ইতিহাসে এত ভূরিভূরি উদাহরণ থাকা সত্বেও ক্ষমতাসীনরা কখনো এটা ভাবতে চায় না যে তাদেরও একদিন চরম অসম্মানিত হয়ে বিদায় নিতে হবে তাদের কর্মফলের কারণে ! বাংলাদেশের বর্তমান ক্ষমতাসীনরাও এর ব্যতিক্রম নয়