![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের নতুন প্রজন্ম ও প্রচলিত ধারণা –
-মালেক আহমেদ চৌধুরী
নতুন প্রজন্ম আমাদেরই ভাই-বোন, আমাদেরই সন্তান।এদের আনন্দে আমরা আনন্দিত হই,এদের কষ্টে আমরা কষ্ট পাই।মা-বাবা ও বড়দের স্বপ্ন এরা বড় হবে,উচ্চ শিক্ষিত হবে,অনেক কিছু জানবে,অনেক কিছু শিখবে,অনেক কিছু করবে।তাদের দ্বারা পরিবার,সমাজ,দেশ,জাতি উপকৃত হবে। আমরা পুরাতনদের কাছ থেকে তারা জানবে,শিখবে কিন্তু করবে নতুন কিছু যা পুরাতন থেকে উন্নত।তারা বলবে উন্নত ও আরও মার্জিত ভাষায়।কিন্তু,বর্তমান প্রজন্ম তাদের বাবা-মাকে,সমাজ ও জাতিকে তাদের চিন্তা-ভাবনা,স্বভাব-চরিত্র ও আচার-আচরণ দিয়ে দারুণ ভাবে হতাশ করছে।তবে সব দুষ যে তাদের তা বলছিনা কিন্তু ক্ষতিটা যে তাদের জীবনের সব চেয়ে বেশী হচ্ছে তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে।
সব যুগে এবং সব কালেই নতুন প্রজন্ম ও পুরাতন প্রজন্মের মধ্যে ভাবনা-চিন্তা ও আচার-আচরণে কিছুটা তফাৎ বা দুরত্ব ছিলো যা ‘জেনার্যা শন গ্যাপ’নামের ইংরেজী শব্দের দ্বারা আমাদের দেশে বহুলভাবে পরিচিত।এই ‘জেনার্যাশন গ্যাপ’অত্যন্ত প্রখট ভাবেই আমাদের ছোটদেরকে বড়দের থেকে দূরে সরিয়ে রাখে।এই দূরত্বটি এমন পর্যায় চলে যায় যেনো দুই প্রজন্ম একে অন্যের প্রতিপক্ষ কিংবা কোনো কোনো ক্ষেত্রে শত্রু ভাবাপন্নতায় চলে যায়।আর এই বিকৃত ‘সামাজিক মানসিকতা’র পিছনের কারণ হলো আমাদের ভারত উপমহাদেশীয় সামাজিক সংস্কৃতিক ‘রেওয়াজ’বা আচার।আমরা গুরুজনদের ভক্তি-শ্রদ্ধা করি বিশ্বের যেকোনো জাতির চেয়ে অনেক বেশী।এটি ‘বশ্য আমাদের একটি বিশেষ গুন তবে তা অনেক ক্ষেত্রে মাত্রাতীরিক্ত হয়ে ‘প্রভু-ভৃত্যে’র পর্যায় পৌঁছে।আমরা চাই আমাদের ছোটরা মাথা হেট করে পায়ের দিকে চেয়ে কথা বলবে ‘গুরজন’যত বড় মূর্খ হইনা কেনো। ছোটদের কোনো বক্তব্য বা মতামত নেই যা বলার আমরা বলবো,সব সিদ্ধান্ত আমরা দেবো,তারা শুধু বিনা বাক্য ব্যয়ে হুকুম তামিল করবে।এদিকে ছোটরা বা নতুন প্রজন্মের কিছু কিছু ইঁচড়ে পাকা ছেলে-মেয়েদের পাকামো বেয়াদবির পর্যায় চলে যায় যা তারা নিজেদের অপরিপক্ষতার কারণে বুঝতে পারেনা।আরও কিছু কিছু আছে তারা বুঝেইনা যে তারা যা এখন দেখছে বা যা এখন করছে তা যে তাদের গুরুজন রা একি বয়েসে দেখেছে বা করেছে।অর্থাৎ যা তারা এখন ‘শুরু’ করেছে তা যে বড়দের অনেক আগে ‘সারা’ হয়ে গেছে।এইসব বিষয় বিবেচণায় রেখে নতুন- পুরাতন প্রজন্মের মধ্যকার দূরত্ব অবশ্যই দূর করতে হবে।দুই প্রজন্মের মধ্যে সহযোগিতা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।গুরুজনদের প্রতি ভক্তি-শ্রদ্ধার চিরায়ত সামাজিক নিয়ম-নীতি ও আচার-আচরণকে বজায় রেখে সকলের জন্য উপভোগ্য ও সম্মান-সম্প্রীতির সম্পর্কের একটি সামাজিক বন্দন সৃষ্টি করতে হবে।আর এই কাজে সকল প্রজন্মের সকল নারী-পুরুষ সচেতন হলে আমাদের সমাজ সুন্দর একটি ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাবে।
©somewhere in net ltd.