নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Mamun MySelf

দূর্গম গিরি কান্তার মরু দুস্তর পারাবার, লঙ্ঘিতে হবে রাত্রি নিশিথে যাত্রিরা হুশিয়ার।

মামুন বিদ্রোহী

এখনো নিজেকে জানার চেষ্টায় আছি...

মামুন বিদ্রোহী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সৌদি আরব: আমার অভিজ্ঞতার আলোকে....

১৬ ই অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৪:৫৬

সৌদি আরবকে যারা মুসলিম বিশ্বের একমাত্র ধারক- বাহক, রক্ষক হিসেবে জেনে, শুনে এবং মনে প্রাণে বিশ্বাস করে আসছেন এবং ভাবছেন বিশ্ব মুসলমানদের কিছু হলে এই সৌদি আরবই তাদের রক্ষা করবে তাহলে, এক কথায় বলতে হয় আপনারা পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্ভাগা মুসলমান।



আমার জন্ম সৌদি আরবে। ১৯ বছর বয়সে দেশে আসি। এই ১৯ বছর সপরিবারে সেখানে থাকার পরও আজ আমার জন্মভূমির জন্য বিন্দুমাত্র টান অনুভব হয়না। আমি চইনা একমুহূর্তের জন্যও সৌদি আরবে ফিরে যেতে। কিন্তু কেন? কেন এত ঘৃণা সৌদি আরবের প্রতি? কেন এত অশ্রদ্ধা? আসলে সৌদি আরবের প্রতি আমার কোন ঘৃণা বা অশ্রদ্ধা থাকতে পারেনা। যত সব ঘৃণা, যত সব ধিক্কার ঐ দেশের মানুষগুলার প্রতি।এরা মানুষ না, এরা মানুষ ছদ্ধবেশি মাংশস্তুপ মাত্র। এরা মুসলমান না, মুসলমান ছদ্ধবেশি জানোয়ার। এদের শিক্ষা. মনুষত্ব, বিবেক বলতে কিছু নেই। এরা সর্বদা যৌন উত্তেজনায় মেতে থাকে আর ডজনে ডজনে বিয়ে করে।



সপরিবারে জেদ্দায় থাকতাম। জেদ্দাসহ পুরো সৌদি আরবে বাঙালিদের একটা বড় আতঙ্কের কারণ ছিল "কালা জাত" যাদের স্থানিয় ভাষায় তুকরনি বলা হত। এই তুকরনিরা মুলত সুদান, আফ্রিকা থেকে আগত, এদের বাপ দাদা ১৪ গোষ্ঠি জন্ম থেকে সৌদি আরবে। তাই এরা এখানে অনেকটা স্থায়ী হয়ে গেছে এবং সৌদি সরকারও তাদের তেমন কিছু করেনা। এদের কাজ হল গাড়ি চুরি, মোবাইল চুরি, ছিনতাই, ডাকিতি ধর্ষন ইত্যাদি, কি নাকরে এরা। আমাদের বাংলা মিড়িয়াম স্কুলটা আমার বাসার পাশেই ছিল। ঘর থেকে কমই বের হতাম। বের হলে ৪/৫ জন বন্ধু মিলে বের হতাম। তবুও সবসময় আতঙ্কে থাকতায় কখন কালা জাত গুলা আসে আর....... । ভয়ে কখনও মোবাইল বের করতামনা। সৌদি ছোট পোলাপাইন গুলাও মারাত্নক বেয়াদব। বাঙালিদের দেখলেই কুরুচিপূর্ণ ইঙ্গিত করে, পাথর ছুড়ে মারে, চেইন খুলে......। একদিন আমরা স্কুলের পাশে ১০/১২ জন বন্ধু আড্ডা দিচ্চিলাম। ২/৩ টা সৌদি পিচ্চি এসে হঠাৎ আমাদের দিকে পাথর ছুড়তে শুরু করল। আমরা অতটা কেয়ার করিনাই। অনেকে দেখেও না দেখার ভান করে ছিলাম। সাইজে পিচ্চিগুলা আমার হাটুর সমান হবে। সাহস করে গিয়ে যদি সজোরে একটা চড় মারতাম সেখানেই মারা যেত। কিন্তু এই সাহস কারও নেই। একসময় পিচ্চিগুলা বৃষ্টির মত পাথর ছোড়া শুরু করল। আমার এক বন্ধু দৌড়ে গিয়ে পিচ্চটাকে মারতে গেলে আমরা সবাই তাকে থামিয়ে দেই। তাকে বোঝানোর চেষ্টা করি এরা সৌদি আমরা আজনবি, এখানে এরা মানুষ আমরা না, আমরা খালি দেখতে মানুষ। এখানে এদের রাজতন্ত্র। কারণ এই পিচ্চির গায়ে হাত তুললে, পিচ্চির মা-বাপ আমাদের চৌদ্দ গুষ্ঠি উদ্ধার করবে। দেখবেনা তার ছেলে কি অপরাধ করেছিল। এই পিচ্চগুলাকে কখনও শাসন করা হয়না। এদের কখনও আদব কায়দা শেখানো হয়না। এরা বেড়ে ওঠে বনের জন্তু, জানোয়ারের মত।





(চলবে)



মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +২৪/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:০৭

আরিফুর রহমান বলেছেন: ইন্টারেস্টিং...

আমি লন্ডনে মাঝে মাঝেই সৌদি শেখদের আসতে দেখি শপিং করতে, তাদের ঔদ্ধত্য সীমাছাড়া।

রাস্তার মাঝখানে গাড়ি থামিয়ে তারা তাদের তাম্বু-আবৃত হাতিগুলোকে নামায় উঠায়, তাদের হাতে থাকে বস্তা বস্তা শপিং... তেল বেচা পেট্রোডলারে এরা নিজেদের দুনিয়ার ও জান্নাতের অধীশ্বর মনে করে।

পেছনে যে বিশাল জ্যাম লেগে যায় তার কোন খেয়াল থাকে না।

অসভ্য এইসব আরব জানোয়ারগুলো...

২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:১৬

মিজান মল্লিক বলেছেন: চালিয়ে যান। একজন পাঠক হিসেবে আমি আশা করব আপনি রাগ সংযত করে, আপনার দেখা ঘটনাগুলোর বর্ণনা করবেন। নির্মোহ থাকা হয়তো আপনার জন্য গলায় ফাঁসের মতো মনে হবে। তবু জানান দেন।

৩| ১৬ ই অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:১৮

বৈকুনঠ বলেছেন: আর বেশিদিন মনে হয় বাকি নাই। তেল ফুরাইলেই কুত্তার বাচ্চাগুলা কুত্তার মৌত মরবো তাগো বাপ আম্রিকার হাতে।
খাজুরগো মতন নিকৃস্ট মন মানষিকতা মনে হয় সারা দুনিয়ার আর কোনো জাতের মধ্যে নাই। কর্মসূত্রে কিছু খাজুরের সাথে পরিচয় আমার হৈসে। এদের বিশ্বাস করার চাইতে পাগলা কুত্তারে বিশ্বাস করনো ভালো।

৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:৪০

আবদুল্লাহ্-আল-মামুন (সোহাগ) বলেছেন: সৌদিদের প্রকৃত স্বরুপ জানতে পেরে ওদের প্রতি ঘৃণা জন্মাল। আরো লেখেন। লেখাটা অসম্পূর্ণ তাই পড়ে তৃপ্তি হলো না....

৫| ১৬ ই অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:৪৭

আরিফুর রহমান বলেছেন: এইটা পাইলাম.. হাসতে হাসতে শ্যাষ...

১৬ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৮:৩৮

মামুন বিদ্রোহী বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬| ১৬ ই অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:৫৯

সততার আলো বলেছেন: ৬১০ খ্রীস্টাব্দের আগে আরবরা ছিল সবচে দুষ্ট প্রকৃতির লোক। হাতে গোনা কিছু মানুষকে নিয়ে এর পরিবর্তন আনার আন্দোলন করলেন মুহম্মদ (স)। সফলও হলেন। বিশ্বের সেরা জাতিতে পরিবর্তন করে দিলেন আরবদের। ক্ষমতা তাদের হাতে এল ইসলামের শক্তিতে। মুহম্মদ (স) এখন নেই। নেই তাঁর সাহাবীরা। তাঁর আদর্শের ধারকের সংখ্যা কমতে কমতে এখন নগন্য সংখ্যায় পরিণত হয়েছে। আরবের এখন অনেক টাকা, কিন্তু নেই আদর্শ। আর এরই কারনে আল্লাহ তাদের হাত হতে ক্ষমতা তুলে নিয়েছেন। আর আল্লাহ তো এরকমই কথা দিয়েছিলেন।

তবে সৌদী আরবের সকলেই যে একদম নষ্ট হয়ে গেছে তা নয়। সৌদী আরবের বেশ কিছু সংগঠন মুসলিম বিশ্বে তাদের অবদান রাখার চেষ্টা করছেন। ওয়ামী সেরকমই একটি সংগঠন, যারা বাংলাদেশে কোটি কোটি টাকা খরচ করছে বাংলাদেশের দারিদ্র দুরীকরণ ও এতিম শিশুদের কল্যানে।

৭| ১৬ ই অক্টোবর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:০২

তোমোদাচি বলেছেন: এক সময় সৌদি নাগরিক দেখলে শ্রদ্ধা ভরে তাকিয়ে থাকতাম- নবীর দেশের মানুষ!!
এখন বাইরে এসে ক্যাম্পসের কিছু ছেলে-মেয়েদের দেখে আর সৌদিতে বসবাসকারী বন্ধুদের কাছ থেকে তাদের সম্পর্কে জেনে আমার মোহ কেটে গেছে। আপনার নিচের মন্তব্য যথার্থ।
"এরা মানুষ না, এরা মানুষ ছদ্ধবেশি মাংশস্তুপ মাত্র। এরা মুসলমান না, মুসলমান ছদ্ধবেশি জানোয়ার। এদের শিক্ষা. মনুষত্ব, বিবেক বলতে কিছু নেই। এরা সর্বদা যৌন উত্তেজনায় মেতে থাকে আর ডজনে ডজনে বিয়ে করে।"

আমি শুনেছি, এরা বাংগালীদের মিস্কিন বলে
এবং সেই রকম ব্যবহার করে।

মিজান মল্লিক এর সাথে একমত।

এদের সম্পর্কে সকলের জানা উচিত, কিন্তু আপনার বর্ণনা হতে হবে সঠিক।

মুসলমানদের দুর্ভাগ্য, যাদের আমরা অনুসরণ করব তাদেরই কোন ধর্ম জ্ঞান নেই, নেই কোন মনুষত্ব ।




৮| ১৬ ই অক্টোবর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:১৪

তোমোদাচি বলেছেন: @আরিফুর রহমান, অনেক ধরজ নিয়ে ভিডিওটা দেখলাম।

এরা মানুষ না- আর কিছু বলার নেই।

৯| ১৬ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৮:১৭

ইন্ঞ্জিনিয়ার বলেছেন: তেল ফুরালে ওদের "তেল বের হয়ে যাব!"

চালিয়ে যান।

১০| ১৬ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৮:১৭

ইন্ঞ্জিনিয়ার বলেছেন: তেল ফুরালে ওদের "তেল বের হয়ে যাবে!"

চালিয়ে যান।

১১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৮:৩৭

দ্যা ডক্টর বলেছেন: তুকরানি দের দিয়ে সব সৌদিদের বিচার করলে কি হবে? শালা গুলা আমরা ফেরার দিন কোন ফাঁকে গাড়ির পেছন দিক থেকে একটা ব্যাগ চুরি করে নিয়ে যায়.....

আর জেদ্দায় বাংলাদেশ স্কুল চিনতেছিলাম না বলে সিগনালে এক সৌদি ছেলের কাছে যখন জানতে চেয়ছি সে তার গাড়ি চালিয়ে আমাকে পথ দেখিয়ে সেখানে নিয়ে গেছে।

টেকনাফফা দের কথা লিখলেন না যে?? মক্কায় কিছু টেক পিচ্চি সিগারেট বেচতেচিল, আমার হাতে ক্যাম দেখে বলে কি " ছবি উডাইলে পুলিশত দিউম!"

এইটা পরে মোবাইলে তোলা!

১৬ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৮:৪৪

মামুন বিদ্রোহী বলেছেন: হা হা হা.... সব লিখব...... সাথে থাইকেন। ধন্যবাদ

১২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১:৩৯

লুৎফুল কাদের বলেছেন: Most of them are bad. I saw a lot of Saudi in my University in U.S.A. They go to bar, night club. Friend of mine asked one Saudi about drinking beer. His answer was "this is America it's ok to drink beer". Even in U.S.A they are rude. I almost had a fight with one them.

১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:৩৯

মামুন বিদ্রোহী বলেছেন: আমি যতটুকু সম্ভব এদের থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনিও এদের থেকে দূরে থাকবেন। এরা বর্বর........ শুধু আমেরিকা কেন, দুনিয়ার কোন জায়গায় এদের সভাব পরিবর্তন হবে না।

১৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:০৮

ফিউশন ফাইভ বলেছেন: আমার আগেই ধারণা ছিল, আরবরা হল বর্বর এবং অসভ্য। আপনার লেখায় তার প্রমাণ মিলল আবারও। এই সৌদি কুত্তার বাচ্চা তেল এবং হজ-পর্যটনের ওপর বেঁচে আছে।

১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:৪১

মামুন বিদ্রোহী বলেছেন: এদের বর্বতা লিখে শেষ হবার নয়.....

১৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৮:০৬

আরিফুর রহমান বলেছেন: হজ্ব পর্যটন... হাহাহাহাহাহ!!

১৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৪:২৩

হুমায়রা হারুন বলেছেন: ভাল পোস্ট। +++++

১৬| ১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১:২৪

মোহাম্মদ লোমান বলেছেন: মামুন বিদ্রোহী, আপনার লেখাটা মনোযোগ দিয়ে পড়লাম। আমিও প্রায় ২০ বছর সপরিবারে আরব দেশে আছি। সৌদিতেও সপরিবারে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে।

ঢালাও ভাবে সব সৌদিদের তথা আরবদের ব্যাপারে ওভাবে মন্তব্য করা কি ঠিক হয়েছে? আপনি জন্মের পর থেকে ১৮ বছর থেকেছেন, সম্ভবত সেখানথেকে উচ্চ মাধ্যমিাক পাশ করেছেন। আমার মেয়েও এইচ সি পাশ করেছে আরব দেশে থেকে।

আমার জানা মতে ১৮ বছরের উপর হলে ছেলেদের ভিসা লাগায়না। এটা যদি আপনার ক্ষোভের প্রধান কারণ হয়, অথবা কোন সৌদি কফিল কতৃক আপনার পরিবারের বিজনেস বা চাকুরী নট করে দেয়া হয় তা অবশ্য ভিন্ন কথা। এমন অবস্থার শিকার হয়ে থাকেন ৫-১০% (আমার হিসাব মতে) তা না হলে সকলেই যদি খারাপ হতেন বাঙ্গালীরা সে দেশে ব্যবসা-চাকুরী করে লক্ষ-কোটি টাকা আয় করতে পারতেন না। আপনি নিজেও জন্ম থেকে ১৮ বছর থাকা সহজ ছিল না।

আরিফুর রহমানের কমিকের অংশ টা মনোযোগ দিয়ে দেখলাম। তিনি নাস্তিক মানুষ মুসলমান আর ইসামের নাম শুনলেই তিনি এমনিতেই জ্বর জ্বর অনুভব করেন। তাই পাঠকদের অবগতির জন্য বলছি - সব নাটক-কমিক ইত্যাদি স্বস্ব দেশের সংখ্যা গরিষ্ট মানুষের প্রতিচ্ছবি নয়। আমাদের দেশের সব নাটক-কমিক কি সংখ্যা গরিষ্ট জনগনের প্রতিচ্ছবি? মোটেই না।

অতএব আপনি যদি বিশেষ উদ্দেশ্যে বিশেষ গোষ্টিকে খুশী করার জন্য লিখে থাকেন, তা আপনার অধিকার আছে। তবে যদি সত্য ইতিহাস সকল মানুষের জন্য লিখতে চান আরো সংযত হয়ে লিখুন।

আমি হজ্জে গিয়ে ঐ কালদের মাধ্যমে সমস্যায় পড়ার উপক্রম হয়েছিল। তারপরও সে জন্য আমি গোটা সৌদি জনগোষ্টিকে দোষারোপ করি না। ওরা আসল সৌদি নয়।

মক্কা এলাকায় রোহিঙ্গার ছদ্বাবরণে অনেক বাঙ্গালীও সে দেশে নান অপকর্মে জড়িত। তাই বলেকি আমরা সৌদিদের দোষারোপ করব? দোষারোপ এজন্য করা যায় যে সৌদিরা ওদেরকে আশ্রয় দিল কেন?

২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৯:২৮

মামুন বিদ্রোহী বলেছেন: দয়া করে লেখাটি আরেকবার পড়ে নিবেন। আমার পাসপোর্ট অনুযায়ী আমি ১৯ বছর বয়সেই বাংলাদেশে এসেছি। আমার বয়সের হিসাব আমি ঠিক মতই রাখি। আমার অনেক বন্ধু যাদের বয়স ১৯, ২০, ২১, ২২.......বছর তারা এখনও সৌদিতে অবস্থান করছে।

আপনি যে আইনের কথা বল্লেন তা আমি জানি। কিন্তু সৌদি আরবের কোন আইনই সবার ক্ষেত্রে কখনই সমান ভাবে প্রয়োগ করা হয়না।

সৌদি কফিল কতৃক আমার পরিবারের চাকুরি নট হওয়ার কনো প্রশ্নই আসেনা। আমার বাবা ২৫ বছর যাবৎ সৌদিতে ব্যবসা করছেন। আমরা সেখানে ভালোই স্টাব্লিস। আমার বাবার কফিলের ছেলে আমাদের ফার্নিচার শোরুমের সেলসম্যান। এখনও আমার পরিবার (বাবা, মা ২ ভাই ও দুই) বোন সৌদিতেই অবস্থান করছে। আমি দেশে এসেছি আমার নিজের ইচ্ছায়। আপনি হয়তো জানেন না সৌদির আরবে বাঙালি ছাত্ররা এইচ.এস.সির পর সাধরণত দেশে চলে আসে। আমি সৌদি আরবে ১৯ বছর কারো দয়ায় ছিলাম না। মাসে ছমাসে বস্তা বস্তা টাকা দিয়ে একামা আপডেট করেতে হয়ছিল। কমেন্ট করার আগে একটু ভেবে চিন্তে কমেন্ট কইরেন।

আমর লেখার উদ্দ্যেশ্য সৌদি জনগোষ্টিকে হেয় পতিপন্ন করা নয়। এটা আমি ক্লিয়ার করলাম। আমার লেখার উদ্দেশ্য আমি প্রথম লাইলে উল্ল্যেখ করেছি।

"""মক্কা এলাকায় রোহিঙ্গার ছদ্বাবরণে অনেক বাঙ্গালীও সে দেশে নান অপকর্মে জড়িত"""
রোহিঙ্গা রা কি করে বাঙালি হল। এইটা বললেই তো চলেনা। আর আপনি আছেন আরব দেশে (কোন্দেশে আছেন ক্লিয়ার করলেন না) তাই সৌদি আরব সম্পর্কে বেশি কিছু জানার কথা না।
ঐ যে বলেছিলমা না....... অন্ধ সৌদি ভক্ত না জেনে শুনে। সৌদি আরবের প্রতি আপনার এত মায়াকান্নার কারণটা একটু ব্যক্ষ্যা করবেন। আমার যতটুকু মনে হয় আপনি ঐ দূর্ভাগা মুসলমানদের ক্যাটাগরিতেই পড়েন যারা কিনা এখনও ভবছেন মুসলিম বিশ্বর কান্ডারি, ধারক, বাহক সেই সৌদি আরব।

আপনি সহজ ভাষায় একটা কথার জবাব দেন, সৌদি আরব থেকে যারা ছুটিতে দেশে আসে তারা সৌদিদের সম্পর্কে এত নেতিবাচক মন্তব্য করে কেন?

অবশ্য আমার জানা মতে, সৌদি আরবে কিছু বাঙালি আছে যারা সৌদিদের চামচামিতেই বেহেস্তের সান্নিধ্য পায়, ধন্য হয়। এথেকে কিছু উপরি ইনকামও যে হয়না তা কিন্তু না। এরা ছিল আছে থাকবেই যুগ যুগ ধরে।

আর অবশ্যই এই ব্লগ একজন আস্তিকের ব্লগ। কিন্তু এই ব্লগের বিষয়বস্তু আস্তিক বা নাস্তিক নিয়ে নয়। যেখানে সেখানে হিন্দু-মুসলিম, আস্তিক-নাস্তিক...... বিভেদ বৈসম্য সৃষ্টিকরা কিছু লোকের জন্মগত অভ্যাস। আপনি যাকে নাস্তিক বলে আমাদের সাবধান করলেন পারলে তার অভিযোগ গুলি খণ্ডন করুন।


ধন্যবাদ.....

১৭| ০২ রা নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:২০

মামুন বিদ্রোহী বলেছেন: আমি ব্লকড। তাই চালিয়ে যেতে পারছিনা। খুবশিঘ্রই লিখব।

১৮| ০৫ ই মার্চ, ২০১০ বিকাল ৫:৫২

আহম্মদ িশবু বলেছেন: সততার আলো বলেছেন: ৬১০ খ্রীস্টাব্দের আগে আরবরা ছিল সবচে দুষ্ট প্রকৃতির লোক। হাতে গোনা কিছু মানুষকে নিয়ে এর পরিবর্তন আনার আন্দোলন করলেন মুহম্মদ (স)। সফলও হলেন। বিশ্বের সেরা জাতিতে পরিবর্তন করে দিলেন আরবদের। ক্ষমতা তাদের হাতে এল ইসলামের শক্তিতে। মুহম্মদ (স) এখন নেই। নেই তাঁর সাহাবীরা। তাঁর আদর্শের ধারকের সংখ্যা কমতে কমতে এখন নগন্য সংখ্যায় পরিণত হয়েছে। আরবের এখন অনেক টাকা, কিন্তু নেই আদর্শ। আর এরই কারনে আল্লাহ তাদের হাত হতে ক্ষমতা তুলে নিয়েছেন। আর আল্লাহ তো এরকমই কথা দিয়েছিলেন।

তবে সৌদী আরবের সকলেই যে একদম নষ্ট হয়ে গেছে তা নয়। সৌদী আরবের বেশ কিছু সংগঠন মুসলিম বিশ্বে তাদের অবদান রাখার চেষ্টা করছেন। ওয়ামী সেরকমই একটি সংগঠন, যারা বাংলাদেশে কোটি কোটি টাকা খরচ করছে বাংলাদেশের দারিদ্র দুরীকরণ ও এতিম শিশুদের কল্যানে।


আপনার অবগতির জন্য বলছি আল্লাহ নিশ্চয়ই বলেননি যে, একই এলাকায় মুসুল্লি ক্যাপাসিটির কয়েকগুন ও একাধিক মসজিদ বানাতে, আর আল্লাহ নিশ্চয়ই আমেরিকার ব্যাপারেও একই কথা বলতে পারতেন, ক্ষমতা চিরদিনই পরিবর্তনশীল।

আর এতিমখানার নামে যে সমস্ত মাদ্রাসা ও এতিমখানা গড়ে উঠেছে তাদের বেশীরভাগ ছাত্রদের ভবিষ্যতে কি হয় জানেন কি? তাদের জীবিকা কি হয় জানেন কি? নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা তাদের অন্নের সংস্থান করবেন? কি বলেন?

১৯| ১৯ শে জুন, ২০১০ রাত ১০:৪২

আলী প্রাণ বলেছেন:

দুঃখের কতা কারে কই...

আছি দাম্মামে, আইছি প্লাম্বার হইছি মেশন লেবার, কিছু বললে " আনা ওয়ার্দি সফর"। কাজের কথা আট ঘন্টা করছি এগারো, বেতন নয়টা গাড়ি কয়টায়।

এখানে এক মুসলমান অন্য মুসলমানকে মানুষ মনে করেনা- এটাই সবচেয়ে বড় বেদনার! আমি বাঙ্গালী আমার পরিচয় আমি মেসকীন! আমি মুসলমান আরবারও মুসলমান। কোথায় আমাদের ভ্রাতৃত্ব!!

২০| ১৯ শে জুন, ২০১০ রাত ১১:০২

একটু বর্ষা... বলেছেন: এক সময় সৌদি নাগরিক দেখলে শ্রদ্ধা ভরে তাকিয়ে থাকতাম- নবীর দেশের মানুষ!! আর এখন ...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.