![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
https://mamunrashid.com
প্রশ্নকর্তা: বিশাল জনসংখ্যার একটি দেশ – পরাধীনতার সুদীর্ঘ নিষ্ঠুর শৃঙ্খল, প্রলয়ংকরী সাইক্লোন আর রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধ করে ফেলেছে পঙ্গু, তবু নিঃশেষ করতে পারেনি – চেষ্টা করছে প্রচণ্ড আশাবাদিতায় মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে। এই দেশের জন্য তাৎক্ষণিক কী দরকার: বৈদেশিক ঋণ না বৈদেশিক অনুদান?
আহাম্মক: বিশ্বব্যাংকের বিলিয়ন ডলারের ঋণ। এই ঋণ না নিয়ে আমাদের জাতীয় নেতারা যে নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দিয়েছেন, অর্থনীতিতে তাদের যে জ্ঞানহীনতা, এর জন্যই দেশ এত পেছনে পড়ে আছে। তা না হলে আমরা আজকে জাপানের পর্যায়ে থাকতাম।
প্রশ্নকর্তা: কিন্তু জাপান নামে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী যে দেশটি, তার ব্যালেন্স অফ পেমেন্ট পর্যালোচনা করলে তো দেখা যায়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঠিক পরপর, ১৯৪৫ থেকে ১৯৫১ সাল পর্যন্ত, তার বিশাল যে বাণিজ্য ঘাটতি ছিল, তা মূলত অর্থায়ন হয়েছে বৈদেশিক অনুদানে, যার সিংহভাগই এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে। এ সময়টিতে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ছিল প্রায় অকিঞ্চিতকর। তা অর্থনীতি ও ইতিহাসে আপনার কোনো পড়াশোনা আছে? এছাড়া বিশ্বব্যাংক যে ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিতে চেয়েছিল, এ তথ্যের উৎস, বিস্তারিত কী?
আহাম্মক [বেয়াড়া ভঙ্গিতে]: পড়াশোনা করতে ভালো লাগে না। তাতে নাপিতের মতো নাড়ি কাটা যায় না, কাটতে হয় ডাক্তারের মতো।
প্রশ্নকর্তা: বিষয়টা কিছু পরিষ্কার হচ্ছে এখন। আপনি কি জানেন বিশ্বব্যাংকের ম্যাকনামারা আসলে কেন এসেছিলেন?
আহাম্মক [বিরক্ত হয়ে]: পড়াশোনা টক লাগে, বললাম তো একবার। ইচ্ছেমতো অন্যদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা যায় না যে।
প্রশ্নকর্তা: তাহলে কীভাবে আপনি জানবেন, বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তা এসেছিলেন পূর্ব-পাকিস্তানের নামে বিশ্বব্যাংক থেকে পশ্চিম-পাকিস্তান যে ঋণগুলি নিয়েছিল তা নবীন বাংলাদেশের ঘাড়ে চাপিয়ে দিতে? সেসঙ্গে সূক্ষ্ম-স্থূল হুমকি, ঋণের বোঝা ঘাড়ে না দিলে সহায়তা, অনুদান সব বন্ধ!
আহাম্মক:
প্রশ্নকর্তা: ন্যায়বৎসল বঙ্গবন্ধু, আপনার মতো খাটাশ তাঁর মর্যাদা ধারণা করতে পারবে না, বলেছেন, "ঠিক আছে, আমরা সেসব প্রকল্পের ঋণভার নেব বাংলাদেশে যেগুলোর বাস্তব অস্তিত্ব আছে।" তারপর প্রত্যেক দাতা দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক, ব্যস্ত আলোচনা হয় অনেক দিন এবং দাতাদের ১২০০ মিলিয়ন ডলারের দেনার প্রাথমিক দাবি শেষে দাঁড়ায় ৪০০ মিলিয়ন ডলারে।
আহাম্মক [কান খাড়া করে]: তারপর কী হলো?
প্রশ্নকর্তা: আরও আলাপ-আলোচনার পর সাব্যস্ত হলো, বাংলাদেশ প্রতি ১০০ মিলিয়নে ১৬ মিলিয়ন ডলার শোধ করলেই হবে, বাকিটা অনুদান। আপনার মতো কূপমণ্ডূকের জন্য এ-ই হচ্ছে সার-সংক্ষেপ; বিস্তারিত পড়তে গেলে আপনার তো আবার মস্তিষ্কে প্রদাহ শুরু হয়, কারণ ইতিহাস, অর্থনীতি, সংস্কৃতি, রাজনীতি এগুলো অনুধাবনের বিষয়, হৃদয়ঙ্গম করার ব্যাপার, ইন্টারনেট থেকে শুধু বানান করে পড়ার জিনিস নয়। আশা করা যায়, জনাব তাজউদ্দীন আহমদের ব্যাপারে ফালতু বাত বন্ধ হবে। অবশ্য তাজউদ্দীন আহমদ নামটি যে রাসভ শুদ্ধ করে লিখতে পারেন না, অন্ন উপার্জন করার জন্য মুখ দিয়ে অপান বায়ু নির্গত করার মতো নিচে নেমে যান যিনি, তিনি মনে হয় নাপিতের মতোই নাড়ি কাটা চালিয়েই যাবেন।
যে সকল রাসভ তাজউদ্দীন আহমদের জ্ঞান নিয়ে অনর্থক তর্ক করে, তাদের জন্য ১৯৭২ সালে বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক সভায় তাঁর প্রদত্ত ভাষণ(পৃষ্ঠা ৩৬):
http://documents.worldbank.org/curated/en/602141468156870809/pdf/534080BR0board101Official0Use0Only1.pdf
২৪ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৩
এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: আপনার মন্তব্যে যুক্তি আছে। কারণ তথাকথিত গুরুর ব্যাপারটি আসলে প্যাথোলজিক্যাল পর্যায়ে চলে গেছে।
২| ২৫ শে জুলাই, ২০১৭ ভোর ৪:৫৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
পড়লাম, কিছু নেই
২৫ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:৪৪
এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: ইতিহাস, অর্থনীতি, সংস্কৃতি, রাজনীতি এগুলো অনুধাবনের বিষয়, হৃদয়ঙ্গম করার ব্যাপার, শুধু বানান করে পড়ার জিনিস নয়। তবু ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
৩| ২৫ শে জুলাই, ২০১৭ ভোর ৪:৫৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
ব্লগে স্বাগতম; লিখুন।
২৫ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৮
এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: আপনিও স্বাগত আমার ব্লগে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:২৪
কাউয়ার জাত বলেছেন:
খবরদার!
কেহই মগজওয়ালা গুরুকে লজ্জা দিতে আসবেন না। তাহাতে লাভ হবেনা। তার দুই কান আগে থেকেই কাটা।