নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আমিনুল ইসলাম মামুন। ভালবাসি অলস সময় পার করতে, আর এক আধটু লেখালেখি করতে।

মামুন আমিন

ধর্ম যদি শুধু বিশ্বাস হত, তবে আমি নাস্তিক হতাম।

মামুন আমিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

রেস্টুরেন্টে কম এবং ভাল খাবার খাওয়ার ৬ টি কার্যকর পদ্ধতি

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:২৭

বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারনে আমাকে আপনাকে রেস্টুরেন্টে খেতে হতে পারে। সেটা সাধারন দিনে সাধারন কারও সাথে হোক কিংবা বিশেষ কোন দিনে বিশেষ কার সাথেই হোক। কখনো ভিন্নতা আনার জন্য হলেও আমরা পরিবার অথবা বন্ধুদের সাথে রেস্টুরেন্টে গিয়ে থাকি। আপনি যদি স্বাভাবিক ওজন এবং স্বাস্থ্যের কেউ হয়ে থাকেন তাহলে খাবারের ক্ষেত্রে একটু কম বেশি আপনার উপর কোন প্রভাব ফেলবে না। কিন্তু আপনি যদি একজন ডায়েটার হয়ে থাকেন কিংবা নিজের ওজনের ব্যাপারে সচেতন হয়ে থাকেন তাহলে আপনার উপর প্রভাব পড়ুক আর না পড়ুক কিছু ব্যাপারের দিকে লক্ষ্য রেখেই আপনাকে খাবার গ্রহন করতে হবে। আর সেই ব্যাপার গুলো নিয়েই আজকের এই আয়োজন।

১) কার সঙ্গে যাবেনঃ
কার সঙ্গে বলতে আপনি যার সাথে রেস্টুরেন্টে যাবেন তাকে বোঝাচ্ছি। আর এক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে সর্বোত্তম হল আপনারই মত একজন যে স্বাস্থ্য সচেতন এবং ডায়েট করছে। কিছু গবেষণার ফলাফল, আপনি যদি অনিচ্ছা থেকে কারো সাথে রেস্টুরেন্টে যান, তাহলে অনিচ্ছা থেকেই আপনি অনেক খাবার খেয়ে ফেলেন। আর তাই, নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বাইরে খেতে যাওয়া উচিৎ হবে না। আর আপনার যদি খাদ্যরসিক কোন বন্ধু থাকে আর সে যদি আপনাকে রেস্টুরেন্টে যাওয়ার অফার করে, তাহলে আপনি তাকে ভিন্ন কোন অফার করুন। যেমন একসাথে কিছুক্ষণ হাঁটা, কফিশপে কিছুক্ষণ আড্ডা দেওয়া কিংবা বসে বসে রিক্সার চাকা গণা।

২) কি পড়ে যাবেনঃ
এই টেকনিকটা একটু অদ্ভুত কিন্তু খুব ভাল কাজ করে। স্বাভাবিক অবস্থায় আপনার কোমড়ের সাথে পুরোপুরি ফিট হয় এরকম কোন প্যান্ট কিংবা পায়জামা পড়ে খেতে যান। খেতে খেতে যখন একটু অস্বস্থি অনুভব করবেন , তখন বুঝবেন এটি আপনাকে জানাতে চাচ্ছে, “যথেষ্ট খেয়েছ, আর না”। আর আপনি যদি ডায়েটের প্রতি যথেষ্ট আন্তরিক হয়ে থাকেন তাহলে এই পদ্ধতি আপনার জন্য ফলদায়ক হবেই।
৩) হালকা ব্যায়াম করে নিনঃ
গবেষণায় দেখা গেছে, রেস্টুরেন্টে যাওয়ার আগে আপনি যদি হালকা ব্যায়াম করে নেন তাহলে টা স্বাস্থ্যকর খাবার বাছাইয়ের ক্ষেত্রে যথেষ্ট প্রভাব ফেলে। এবং একটি বিষয় অবশ্যই নিশ্চিত করবেন, আপনি যাতে খুব বেশি ক্ষুধার্ত না হন। সেক্ষেত্রে এসব টেকনিক খাটানোর মত মানসিক অবস্থায় আপনি থাকবেন না।
৪) যা কিছু খাবেনঃ
রেস্তুোরা গুলোতে কি ধরনের খাবার থাকে তা আপনার জানা আছে। আর ভাল মানের রেস্তোরা গুলো তাদের ওয়েবসাইটে মেন্যুলিস্ট দিয়ে রাখে। সেখান থেকে আগেই নির্বাচন করে রাখুন আপনি কি খাবেন। আর এক্ষেত্রে অবশ্যই ক্যালরির প্রতি খেয়াল রাখবেন। কোন খাবারে কতটুকু ক্যালরি আছে তা খুব সহজেই গুগল থেকে জেনে নিতে পারেন। সেদ্ধ করা খাবার গুলোকে প্রাধান্য দিতে পারেন। আর ডুবো তেলে ভাজা খাবার পরিহার করাই উত্তম।
৫)জানালার পাশে বসুনঃ
খোলা জায়গা কিংবা জানালার পাশে বসা আপনার জন্য পজেটিভ হতে পারে। ডায়েট এক্সপার্ট ব্রায়েন ওয়ানসিঙ্কের মতে, যখন আপনি অন্ধকার কোন রুম কিংবা টেলিভিশনের সামনে খাবার খান তখন আপনার ক্যালরির গ্রহন যোগ্যতা বেড়ে যায়। দেখা গেছে জানালার পাশে যারা বসে, তুলনামূলক ভাবে তারা বেশি স্বাস্থ্যকর খাবারের অর্ডার দিয়ে থাকে। এই পদ্ধতি আপনার জন্য নাও খাটতে পারে, তবে জানালার পাশে বসতেতো ক্ষতি নেই।
৬)ডেজার্ট বাছাইয়ের ক্ষেত্রেঃ
খাবারের সাথে সফট ড্রিংক কিংবা আইসক্রিম নেয়া যেতে পারে। এবং অবশ্যই দুটো একসঙ্গে নয়। এগুলোতে পুষ্টি শুন্যের কাছাকাছি এবং ক্যালরি যথেষ্ট বেশি থাকে। তবে বিশেষ দিন গুলোতে কালে ভদ্রে দুএকবার খেলে তা আপনার ডায়েটে প্রভাব ফেলার কথা নয়।
আর অবশ্যই মনে রাখবেন ডায়েট মানে নিজের ইচ্ছাকে জলাঞ্জলি দেয়া নয় বরং নিজের দরকারকে প্রাধান্য দেয়া।
ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন।

তথ্যসুত্রঃ
Info: http://bit.ly/1NIWAh4
Photo: http://bit.ly/21lkMse

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৫১

মশার কয়েল বলেছেন: কম খরচে কীভাবে খাওয়া যাবে সেই পদ্ধতিটা বললে উপকৃত হতাম

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৭

মামুন আমিন বলেছেন: ;) এই ব্যাপারে আপনি যদি কিছু জানতে পারেন তাইলে আমারে একটু জানাইয়েন।
ভবিষ্যতে কাজে লাগতে পারে। B:-/

২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৯

মহা সমন্বয় বলেছেন: এত কিছু মেনে কি আর জীবন চলে?
আমি মনে করি কম খাওয়াই হচ্ছে সর্বোত্তম পন্থা। :)

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৪১

মামুন আমিন বলেছেন: :) :) ;)

৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:২২

জনৈক অচম ভুত বলেছেন: আর আপনার যদি খাদ্যরসিক কোন বন্ধু থাকে আর সে যদি আপনাকে রেস্টুরেন্টে যাওয়ার অফার করে, তাহলে আপনি তাকে ভিন্ন কোন অফার করুন। যেমন একসাথে কিছুক্ষণ হাঁটা, কফিশপে কিছুক্ষণ আড্ডা দেওয়া কিংবা বসে বসে রিক্সার চাকা গোনা।

এই জায়গাটায় এসে মজা পেয়েছি। B-))
কিন্তু খাদ্যরসিক বন্ধু কি আর রিক্সার চাকা গুনতে রাজি হবে? :#)

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৫

মামুন আমিন বলেছেন: ধন্যবাদ।
ভূতদের বিনোদন দিতে পেরে আমিও আনন্দিত। ;)

৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৩২

রোষানল বলেছেন: মশার কয়েল বলেছেন:কম খরচে কীভাবে খাওয়া যাবে সেই পদ্ধতিটা বললে উপকৃত হতাম

শুনছি, বগুড়াতে আকবরীয়া হোটেল নামে এক হোটেল আছে সেখানে আল্লাহর ত্রিশ দিন ফ্রী খাওন মেলে।

৫| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৪১

মানবী বলেছেন: অনুবাদ ভালো হয়েছে। পোস্টের শেষে মূল পোস্টের লিংক বা সুত্র উল্লেখ করলে আরো ভালো হতো।


মশার কয়েল, কম খরচে খাবার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো বাসায় রান্না করে খাওয়া :-)
এমনকি অফিসে দুপুরের খাবার বা বাইরে পিকনিকে বাসায় রান্না বা তৈরী খাবার শুধু খরচে সাশ্রয় নয় বরং স্বাস্থ্যসন্মতও।।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৩২

মামুন আমিন বলেছেন: ধন্যবাদ।
সূত্র উল্লেখ করা হল।

৬| ০১ লা মে, ২০১৬ রাত ১২:১৯

রিপি বলেছেন: সচেতন মুলক পোস্ট। কিন্তু এতু চিন্তা মাথায় নিয়ে কি আর রেস্টুরেন্ট যাওয়া যায়। /:)

৭| ০১ লা মে, ২০১৬ বিকাল ৪:২৪

মশার কয়েল বলেছেন: জনাব রোষানল,আপনি সঠিক শুনেছেন ৷যখন ইন্টারমিডিয়েটে পড়তাম তখন কয়েকজন বন্ধু মিলে খাইছিলাম ;) ৷কিন্তু খাওয়াটা ফকির মিসকিনদের জন্য :P

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.