নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আরব্য উপন্যাসের সেই মরুচারী যে সত্যান্বেষণে জীবন উৎসর্গ করে। সেই উপন্যাসের চরিত্র নিজের ভিতরে লালন পালন ও প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে এই পথচলা।

মামুন রেজওয়ান

মামুন রেজওয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

"আমরা মানবিক দিক দিয়ে এগিয়ে নাকি পিছিয়ে?"

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৫৫


দৃশ্য ১:-এক বাবা ধবধবে সাদা পাঞ্জাবি
পড়ে জুম্মার নামাযে যাচ্ছেন।একা
যাচ্ছেন না সাথে নিয়ে যাচ্ছেন তার তিন
বছরের পুত্র সন্তানকে।যে কিনা কিছুদিন
হল নিজ পায়ে হাঁটতে শিখেছে।পুত্র
সন্তানও ধবধবে সাদা পাঞ্জাবী পড়েছে।
পায়জামার গিট বারবার ঢিল হয়ে যাচ্ছে
আর কিছুক্ষন পরপর বাবা রাস্তায় হাটু
গেড়ে বসে পুত্রের পায়জামার গিট ঠিক
করে দিচ্ছেন।পুত্র বারবার টুপি মাথা
থেকে খুলে ফেলছে আর বাবা ধৈর্য
সহকারে বারবার টুপি ঠিক করিয়ে
দিচ্ছেন।
<
এই পুত্রটির কাছে বাবার সাথে
কোথাও যাওয়াটাই একটা আনন্দের
ব্যাপার।বাবার সাথে মসজিদে যাওয়ার
সময় বাবা সাহাবীদের জীবন কাহিনী
শোনান, এটাও শিশুটির কাছে বিরাট এক
আকর্ষন।
<
এভাবে আমরা খুব অল্প বয়স থেকেই একটা
শিশুকে শিক্ষা দিয়ে থাকি। ধর্মীয়
অনুশাসন মেনে চলার শিক্ষা, ধর্মীয়
রীতিনীতি পালন করার শিক্ষা।
নবী,রাসুল,সাহাবাগনের জীবনী থেকে সত্য
পথে অটল থাকার শিক্ষা।
<
দৃশ্য ২:-আকাশ কালো করে প্রচন্ড বৃষ্টি
পড়ছে।দাদী বারবার পিছিয়ে পড়ছেন।
তার পাঁচ বছর বয়সী নাতনী স্কুলে যাবার
পথে বারবার তার ছাতা থেকে বেরিয়ে
বৃষ্টিতে ভিজছে।আর দাদী অসহায়ের মত
তার পিছু ছুটছেন। দাদীর বকাঝকা শুনে
নাতনী আবার ছাতার নিচে চলে আসছে।
<
দাদী নাতনীকে গল্পের ছলে বিভিন্ন
রাজা বাদশাহর কাহিনী শোনাচ্ছেন। আর
কাহিনী বলা শেষ হলে জিজ্ঞাস করছেন
বলতো দাদু ভাই এই কাহিনী থেকে আমরা
কি শিখতে পারি??
দেখেছ রাজা মশাই কত দয়ালু?এভাবে
দয়ালু হতে হয়।দেখেছ এই কাহিনীর গরীব
কাঠুরে কত সৎ?এভাবে সৎ হতে হয়।দেখেছ
এই গল্পের খারাপ গ্রামে থেকেও
মহিলাটা কত ভাল??সবসময় মেয়েদের
এভাবে ভাল হয়ে চলতে হয়।
<
এভাবেই আমরা আমাদের শিশুদের শিখাই।
আমরাই হয়তোবা একমাত্র জাতি যাদের
সন্তানেরা আট,নয় বছর বয়স হয়ে গেলেও
মায়ের কোলে ঘুমাই।দশ বছর বয়স হয়ে
গেলেও মসজিদে যাওয়ার সময় বাবার হাত
ধরে না গেলে কেমন খালি খালি লাগে।
ইন্টারের ছাত্রী হওয়া স্বত্তেও দাদীর
হাত না ধরে কলেজে যেতে ভাল লাগে
না।
<
আমরা ভাল শিক্ষা না পেলে কারা
পাবে?যারা পাঁচ বছর বয়স হলেই বাবা মার
বিছানায় ঘুমানোর সুযোগ থেকে বঞ্চিত
হয় তারা??নাকি যাদের দশ বছর বয়স হলেই
পিতা মাতা এডাল্ট ম্যাগাজিন পড়তে
দেয় তারা??নাকি যে সন্তানরা ছোট
থেকেই চিন্তিত হয়ে পড়ে,আঠার বছর বয়স
হলেইতো তাকে নিজের খরচ নিজে বহন
করতে হবে এই ভেবে।
<
আমি বিশ্বাস করি মানবিকতার শিক্ষায়
আমরাই বেশী শিক্ষিত। হয়ত এটা প্রকাশ
পায় না বা সচারচর চোখে পড়ে না।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৫১

ধমনী বলেছেন: অভাব প্রয়োজনীয়তা বোঝায়।

২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমি বিশ্বাস করি মানবিকতার শিক্ষায়
আমরাই বেশী শিক্ষিত। হয়ত এটা প্রকাশ
পায় না বা সচারচর চোখে পড়ে না। - ভাল বলেছেন।

তাদের হয়তো সামাজিক নিরাপত্তাটুকু অনেক ভাল!
কিন্তু আমাদের যে প্রেম, মানবতা, শ্রদ্ধা এসবের চর্চা তা অনেক উত্তম। শুধূ সাথৈ সামাজিক নিরাপত্তাটুকু দিতে পারলে আমরাই শ্রেষ্ঠ!

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৪৯

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন।

৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৬

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: শিরোনমে যে প্রশ্ন রাখলেন, তার উত্তর কই?

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৪৭

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: উত্তর কি সত্যিই লাস্ট লাইনটা নয়??

৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫১

মনস্বিনী বলেছেন: ভালো লাগল।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৪৮

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.