নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কতগুলো ছেলের কথা বলি। একটা প্রত্যন্ত
অঞ্চলের ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া কিছু
ছেলের কথা। বিভিন্ন পরিবেশ থেকে উঠে
আসা ছেলেগুলো ক্যাম্পাসে এসেই পড়ে
প্রতিকুল এক পরিবেশে। ক্যাম্পাসটা
প্রত্যন্ত অঞ্চলে হওয়াই আশেপাশে গরীব
দুস্থ পরিবারের সংখ্যা বেশী। ছেলেগুলো
চিন্তা করে এদের জন্য কিছু একটা করার।
শুরু হয় পথ চলা। একজন দুইজনের হাত ধরে
"অনির্বাণ" নামক একটা আর্ত মানবতার
সেবায় নিয়োজিত সংগঠনের সুচনা।
<
সেই সুচনার সাক্ষী এই অঞ্চলেরই
ইমরান হোসেন, পেশায় একজন ভ্যান চালক।
দৈনিক পাঁচশ টাকা ভাড়ায় তিনি শফিক
মহাজনের কাছ থেকে ভ্যান নেন। সেই
সকাল থেকে এই রাস্তার মোড় ঐ রাস্তার
মোড় ভ্যান নিয়ে ঘুরে বেড়ান যদি কোন
ভাড়া পাওয়া যায় সেই আশায়। দিনশেষে
দেখা যায় মহাজনের ভাড়ার টাকাও উঠে
না। বাড়ি ফিরতে হয় মলিন ধুলায়িত মুখে।
ইমরান হোসেন চেষ্টা করেন খুব রাতে
বাসায় প্রবেশ করতে। যাতে করে ছেলে
মেয়েদের অভুক্ত মুখ দেখতে না হয়।
<
এক সন্ধ্যায় ইমরান হোসেনের অঝোর
ধারায় কান্না চোখে পড়ে ছেলেগুলোর
একজনের। কারন জানা যায় ইমরান
হোসেনের ছোট মেয়ের শরীর খারাপ অথচ
ডাক্তার দেখানোর মত টাকা তার কাছে
নেই। এদিকে ভ্যানে তেমন খ্যাপও পাওয়া
যাচ্ছে না।
<
পরেরদিনই এই সমস্যার সমাধান।
ইমরান হোসেনকে একটা ভ্যান কিনে
দেওয়া হয় আর সেদিনই তার মেয়ের
চিকিৎসা করানো হয়। কিভাবে??????
ঘটনা শুনে সেই ক্যাম্পাসের রাফসান তার
টিউসনির পুরো টাকাটাই তুলে দেয় ইমরান
হোসেনের ভ্যান কিনার পিছনে। সাদমান
হাত খরচের জন্য তুলে রাখা সমস্ত টাকা
দিয়ে দেয়। দুইজনের কেওই চিন্তা করে না
পুরো মাস তাদের চলবে কিভাবে। হয়তোবা
একবেলা করে না খেয়ে থাকতে হবে।
কিংবা অনেকগুলো রাত শুধুমাত্র পানি
খেয়েই পার করতে হবে।
<
অবাক হওয়ার কিছু নেই। মানব সেবায়
নিজেকে উৎসর্গ করার মাঝে যে আনন্দ
সেই আনন্দ একবেলা ভাত বেশী খেয়ে
পাওয়া যাবে না। ছেলেগুলো জানে
দিনশেষে তারা অসহায় মানুষটার হৃদয়
জুড়ানো হাসিটা ছাড়া কিছুই পাবে না।
তারপরেও তারা বিলিয়ে যাবে নিজেদের
সর্বস্বটুকু। এই ছেলেগুলো সবসময় গল্পের
আড়ালে থেকেই গল্পটা চালিয়ে যায়।
কেউ চিনে না তাদের কিন্তু দেশের ভিত
দাঁড়িয়ে আছে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ক্যাম্পাস
গুলোর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র এই হাতগুলোর উপর। যেই
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র হাত একত্রিত হয়ে তৈরি
করেছে অনেকগুলো সংগঠন। আপনি কিছু
করুন বা না করুন, আপনার যেকোন বিপদে
প্রতিটা ক্যাম্পাসের এই ধরনের
ছেলেগুলোকে আপনার মাথার ছাতা
হিসাবে পাবেন। আপনি কেন চেষ্টা
করছেন না আপনার অবস্থান থেকে?
২| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:১৮
শাহরীন মাহাদী বলেছেন: চমৎকার
৩| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:২৯
আহলান বলেছেন: খুবই এপ্রিশিয়েবল .... চালিয়ে যান .... এটাই তো মানুষের ধর্ম ..
৪| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৪০
মানবী বলেছেন: রাফসান সাদমানদের সাথে কেউ হাত মিলিয়ে এদের সাহাযভ করতে চায়, তাঁরা গ্রহন করবেন কিনা জানতে ইচ্ছে করছে।
রাজনীতির ছোবলে অমানুষ হয়ে উঠা ছাত্র নামের মনুষত্বহীন একপাল অ্পদার্থের ভীড়ে এমন সব সুন্দর মানুষরা আছেন তা সকলকে মনে করিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ মামুন রেজওয়ান।
*পোস্টের শিরোনামটা পোস্টের কন্টেন্টের মতো বিনয়ী ও উদার হলোনা। ব্যক্তিগতভাবে এই ব্লগের একাধিক জনকে জানি যাঁরা নিজের সাধ্যের বাইরে গিয়ে আর্তমানবতার সেবা করেন নিয়মিত*
৫| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৩৫
মামুন রেজওয়ান বলেছেন: আমি শিরোনামটা ব্যবহার করেছি নিজেদের অবস্থানটা যাচাই করার জন্য। আমরা কি নিজ নিজ অবস্থান থেকে এরকম কিছু মহৎ উদ্যগ গ্রহন করতে পারি না???
৬| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৩৯
মামুন রেজওয়ান বলেছেন: এদের চাওয়া শুধু মানব সেবা করা। এই সেবার হাতকে যদি আপনারা সাহায্যের মাধ্যমে বৃদ্ধি করতে পারেন তবে অবশ্যই গ্রহন করা হবে।
আমি শিরোনামটা ব্যবহার করেছি নিজেদের অবস্থানটা যাচাই করার জন্য। আমরা কি নিজ নিজ অবস্থান থেকে এরকম কিছু মহৎ উদ্যগ গ্রহন করতে পারি না???
৭| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৪৭
বিজন রয় বলেছেন: ভাল পোস্ট।
++
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:৩৬
মামুন রেজওয়ান বলেছেন: এই ছেলেগুলোর আত্মত্যাগ আসলে ভাষায় প্রকাশ করে বুঝানো সম্ভব না।
৮| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৫২
আরজু পনি বলেছেন: খুব ভালো লাগলো পড়ে ।
আমি আমার খুব কাছ থেকে দেখা অল্প কিছু মানুষের জন্যে নিয়মিত করার চেষ্টা করছি।
৯| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:৪১
মামুন রেজওয়ান বলেছেন: আমাদেরই তো উচিৎ নিজেরা না পারলেও যারা চেষ্টা করছে তাদের দিকে আমাদের হাতটা বাড়িয়ে দেয়া। তাদেরকে প্রতিনিয়ত উৎসাহ দেওয়া।
১০| ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:১৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: ভালো উদ্যোগ। এমন কথা জেনে মনে বড় আশা জাগে।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:৫৩
গোধুলী রঙ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। আপনাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকুক। ইউনিভার্সিটি কোনটা?