নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষের সাথে সুখের কেমন একটা অদ্ভুত সম্পর্ক। সুখকে পাওয়ার জন্য প্রত্যেকটা মানুষ আকুল হয়ে থাকে। কিন্তু সুখের ওজন সব কপাল নিতে পারে না। মানুষ কত কিছুই না করে সুখের নাগাল পেতে। কেউ নিজের বিশাল ভুঁড়িতে হাত বুলিয়ে সুখ পান, কেউ ঘুমের সময় তোষকের নিচে কোটি টাকার বান্ডিল রাখলে সুখ পান, কেউ ফুটপাতে নিজের টুকরিটার ভিতর ঘুমাতে পারলে সুখ পান, কেউ নিজের পরনের একমাত্র জামা কোন বস্ত্রহীনকে দিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে সুখ পান, কেউতো নিজের সন্তানের নামও রাখেন সুখী যাতে সারা জীবন সুখ সুখীর সাথে লেগে থাকে।
.
অনেক পদ্ধতি অবলম্বন করতে দেখা যায় মানুষকে এই সুখকে খুঁজে পেতে।
এত পদ্ধতি প্রয়োগ করেও কি সবাই সুখী হতে পারে? নাকি যে সারাজীবন সুখে থাকার চেষ্টাই করল না সেই সুখী। চলুন সুখে থাকার কিছু পদ্ধতি বলি।
.
মনে করুন আপনার কোষাগারে বিপুল পরিমান অর্থ। সব অর্থ একত্রিত করে বালিশের কভার, তোষক ভর্তি করে রেখেছেন।তারপরেও মনে হচ্ছে আর কয়েকশ কোটি টাকা কোলবালিশটায় ঢুকাতে পারলে ভাল হত। এই নিয়ে আপনার মনকষ্ট, ফলে সুখ উধাও। তাহলে আপনাকেই বলছি দুই প্যাকেট চকলেট কিনুন। খুব দামী চকলেট কিনতে হবে এমন না। এক টাকা পিস করে যেই চকলেট পাওয়া যায় ওগুলোই দুই প্যাকেট কিনুন। খুব বেশী হলে ১০০ টাকা লাগবে।
.
এবার প্যাকেট দুইটা নিয়ে কাছেপিঠের কোন রেল স্টেশনে চলে যান। স্টেশনে ময়লা কাপড় বা কাপড় ছাড়া যতগুলো বাচ্চা আছে তাদেরকে একত্রিত করুন। তারপরে চকলেট দেওয়া শুরু করুন ধুলোমলিন পিচ্চি পিচ্চি বাচ্চাগুলোকে। তাদের দুষ্টামি এবং কৃতজ্ঞতার আনন্দ দেখে আপনি নিশ্চিত খুশী হবেন পক্ষান্তরে সুখ পাবেন। এই সুখ আপনি যদি আরও কয়েকশ কোটি টাকা কোলবালিশে ঢুকাতেন তাও পেতেন না। তখন মনে হত সোফার বালিশতো ফাঁকা পড়ে আছে।
.
মনে করুন আপনি একজন বডিবিল্ডার মানে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী। সব সময় নিজেকে আয়নায় দেখতে পছন্দ করেন। প্রতিদিন রুটিন করে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে মাসেলের প্রসারনশীলতা পর্যবেক্ষণ করেন। যেকোন জায়গায় নিজের বাহুর জোর দেখাতে পছন্দ করেন। কিন্তু কোন কারনে আপনার মনে হল যে আপনার মাসেল ঠিক সালমান খানের মত ফুলছে না। এটা নিয়ে আপনি খুব চিন্তায় পড়ে গেলেন। বিভিন্ন জিম ইন্সট্রাকটর, ডাক্তারের কাছে ছোটাছুটি করছেন কিভাবে সাল্লু মার্কা বডি বানানো যায়। এই দু:শ্চিন্তায় আপনার ঘুম লাটে উঠেছে। ফলে সুখও আপনার থেকে উধাও।
.
তাহলে আপনাকে বলছি পাশে কোন পঙ্গু হাসপাতাল থাকলে এখনই চলে যান। প্রত্যেকটা ওয়ার্ডে প্রত্যেকটা রুগীর সাথে কথা বলুন। খুব খেয়াল করে রুগীদের কথা শুনুন। দেখবেন এক্সিডেন্টে যে রুগীটার আঙ্গুল কেটে গেছে সে রুগী তৃপ্তি সহকারে বলছে আল্লাহ বাঁচাইছে আর একটু হইলে পুরা হাতটাই গেছিল। তার চোখে মুখে সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ পাচ্ছে। কথা বলা শেষ হলে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসুন। তারপর নিজের শরীরের প্রত্যেকটা অঙ্গ প্রত্যঙ্গ লক্ষ্য করুন। এবার পঙ্গু রুগীগুলোর শরীরের সাথে নিজের শরীর তুলনা করে দেখুন। যে সাল্লু মার্কা বডি আপনাকে সুখ দিতে পারবে না সেই সুখ আপনি পাবেন নিজের শরীরে যা আছে তাতেই সন্তুষ্ট থাকার মাধ্যমে।
.
পরিশেষে একটা হাদীসের কথা বলে সমাপ্ত করি।
"বান্দার মুখ মাটি ছাড়া পূর্ণ হবে না।"
ঠিকই ধরেছেন বান্দা যত পাবে তত চাবে। যেহেতু তার চাওয়ার শেষ নেই সেহেতু তার কপালে সুখও নেই। একমাত্র সুখ সেই বান্দার কপালে থাকবে যে পাবে ও পাওয়ার সাথে সাথে কৃতজ্ঞতা আদায় করবে সৃষ্টিকর্তার প্রতি এবং নিজের চাওয়ার লাগামটা নিয়ন্ত্রন করবে। সর্বোপরি যা আছে তাতেই সন্তুষ্ট থাকবে, অন্তর থেকে বলতে শিখবে আলহামদুলিল্লাহ।
১১ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৬
মামুন রেজওয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
২| ১১ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৭
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ।
১১ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৯
মামুন রেজওয়ান বলেছেন: শুকরান।
৩| ১১ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:৩০
সিগনেচার নসিব বলেছেন: দারুন বলেছেন । ভাল লাগা +++++
১১ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৯
মামুন রেজওয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার ভালো লাগার অনুভুতি প্রকাশ করার জন্য।
৪| ১১ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৯
ক্লে ডল বলেছেন: মানুষ অভাবজাতক প্রাণী। অভাববোধ থেকেই যাবতীয় অসুখের সৃষ্টি।
খুব ভালো লাগল।
১১ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৫
মামুন রেজওয়ান বলেছেন: এই অভাব বা চাহিদাটাকে প্রয়োজনীয়তার মাপকাঠিতে বাঁধতে জানাই আসলে সুখে থাকার মুল মন্ত্র।
৫| ১২ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:১৬
মাদিহা মৌ বলেছেন: পুরোনো, কিন্তু শক্তিশালী উদাহরণ। ভালো লেগেছে …
১২ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪০
মামুন রেজওয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য আসলে এই পুরাতন সমস্যাটাতেই জর্জরিত বেশীরভাগ মানুষ।
৬| ১২ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৯
জুন বলেছেন: সুন্দর উদাহরণ দিয়েছেন। চাই চাই আরো চাই টাকা চাই, বাড়ি চাই, গাড়ী চাই, সুন্দরী নারী চাই আরো রুপসী, আমাদের চাওয়ার কোন শেষ নেই যেন। শুকরিয়া শব্দটি মুছে গেছে সব জায়গা থেকে।
ভালো লিখেছেন।
+
৭| ১২ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫১
মামুন রেজওয়ান বলেছেন: ঠিক তাই কৃতজ্ঞতার অনুভুতিটা মানুষের চরিত্র থেকে বিলিন হয়ে যাচ্ছে দিন কে দিন।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:২১
সুমন কর বলেছেন: উদাহরণগুলো ভালো ছিল। +।