নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আরব্য উপন্যাসের সেই মরুচারী যে সত্যান্বেষণে জীবন উৎসর্গ করে। সেই উপন্যাসের চরিত্র নিজের ভিতরে লালন পালন ও প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে এই পথচলা।

মামুন রেজওয়ান

মামুন রেজওয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

"আমাদের দেশের সাধারন চিত্র " (Middle Class)

২১ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:১৬

মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তানগুলো সব সময় "লাগবে না" রোগে আক্রান্ত থাকে। ঈদের সময় যদি বলা হয় চল তোকে একটা সার্ট কিনে দেই এক কথায় উত্তর দিবে আগেরটা তো এখনও নতুন হয়ে আছে এবার আর লাগবে না।
.
কখনও বাড়ি থেকে বের না হওয়ার পরেও যদি সন্তানকে বলা হয় আজ তো ছুটি চল তোকে নিয়ে কোথাও ঘুরে আসি। উত্তর দিবে লাগবে না। আমার কোথাও যেতে ভাল লাগে না।
.
যদি দুই তিনদিন ধরে ছেলেটা / মেয়েটা প্রচন্ড জ্বর শরীরে বিছানায় পড়ে থাকে আর তাকে যদি বলা হয় চল ডাক্তার দেখিয়ে নিয়ে আসি তখনও বলবে লাগবে না এই জ্বর এমনিতেই ভাল হয়ে যাবে।
.
স্কুল ব্যাগ দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে ঘাঁড়ে নেওয়ার একটা হাতল ছিঁড়ে গেছে তারপরেও যদি বলা হয় আর কতদিন একটা ব্যাগ ব্যবহার করবি চল তোকে নতুন ব্যাগ কিনে দেই। এক্ষেত্রেও সন্তানের উত্তর লাগবে না একটা হাতল দিয়ে এখনও তো ব্যাগ ঘাঁড়ে নেওয়া যায়।
.
কি মনে হচ্ছে কেন মধ্যবিত্ত সন্তানের ছেলেরা "লাগবে না" রোগে আক্রান্ত অর্থাৎ এসব থেকে দূরে থাকে।
এর একটাই উত্তর টাকা। এবং একমাত্র উত্তর টাকা।
.
যে পরিবারের মা একটা শাড়ি পড়ে দুই তিন বছর দিব্যি পার করে দিতে পারে সে পরিবারের সন্তানের প্রতি বছর নতুন কাপড় নেওয়ার ইচ্ছাকে গলা টিপে মারতে হয়।
.
যে পরিবারের বাবা টাকার অভাবে গাড়িতে না চড়ে অনেকটা পথ হেঁটে অফিস করেন সেই পরিবারের সন্তানদের কোথায় ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছাকে দমন করতে হয়।
.
যে পরিবারকে এক বেলা খাওয়ার আগে আরেক বেলা খাবার আছে কিনা এই চিন্তা করতে হয় সে পরিবারের সন্তানদের চিকিৎসা করার মত খরচ যোগান দিতে গেলেও পরিবারকে আরেক বেলা না খেয়ে থাকতে হয়।
.
প্রয়োজনীয় সামগ্রী একজনেরটা দিয়ে আরেকজন চালিয়ে নিতে হয় আজীবন তা নাহলে মধ্যবিত্ত পরিবারের প্রত্যেকটা সন্তানের পড়ার খরচ জোগাড় করা সম্ভব হয় না।
.
এরপরেও কি খুব কষ্টে আছে সন্তানগুলো? উহু কষ্টে থাকে না এই পরিবারের সদস্যগুলো। সার্ট লাগবে না বলার পর মা ছেলেকে বুকে জড়িয়ে যে চুমোটা দেন সেটা এই সার্টের তুলনায় কোটি কোটি গুন দামী।
ঘুরতে যাবে না বলার পর বাবার বুক থেকে পাথর সরে যাওয়ার যে দৃশ্য, বাবার চোখে ফুটে ওঠে সেটার দাম অর্থ দিয়ে বিচার করা যায় না।
ডাক্তারের কাছে গিয়ে দুটো প্যারাসিটামল খাওয়ার চেয়ে মায়ের দেওয়া জলপট্টিতে যে আদর ভালোবাসা মিশ্রিত থাকে তা পাওয়ার জন্য সন্তানগুলো বিনা ভিজিটের ডাক্তারও দেখাতে যায় না।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:৩৪

অরুনি মায়া অনু বলেছেন: ঠিক বলেছেন, মধ্যবিত্ত জীবনে টাকার টানাটানি থাকলেও শক্তিশালী একটি পারিবারিক বন্ধন ঠিকই থাকে |

২২ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১:২৮

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: আসলে এই টানাটানি করে চলার মধ্যেও অসাধারন একটা সুখানুভূতি আছে।

২| ২২ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১:৪০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: লেখার সাথে ভীষনভাবে একমত। অল্পতেও সুখে থাকা যায় যদি পরিবারের মানুষের মায়া, মমতা, ভালোবাসা সাথে থাকে। আমরা মধ্যবিত্তরাই এর জ্বলন্ত উদাহরন।

২৬ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১:২৩

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: একদিম তাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.