নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আরব্য উপন্যাসের সেই মরুচারী যে সত্যান্বেষণে জীবন উৎসর্গ করে। সেই উপন্যাসের চরিত্র নিজের ভিতরে লালন পালন ও প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে এই পথচলা।

মামুন রেজওয়ান

মামুন রেজওয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

"প্রথম মিস্ট্রি জাতীয় অনুগল্প লিখলাম"

০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৩:৩৪

মুখোমুখি বসে আছি আমি আর থান্ডার বোল্ড। থান্ডার বোল্ডের হাতে হ্যানডকাফ লাগানো। অনেক কাটখড় পুরিয়ে তাকে আমি গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। বেশ কয়েকদিন যাবৎ ট্রেস করে আসছি এই থান্ডার বোল্টকে। লাস্ট যে ব্যাংক ডাকাতি হল সেটা থেকেই ক্লু নিয়ে তাকে ধরার ফাঁদ পেতেছিলাম নিউ ইয়র্কের সেন্ট্রাল ব্যাংকে। আর থান্ডার বোল্টও খুব সুন্দরভাবে এই ফাঁদে পা দিয়েছে।

.
কাঁচ ঘেরা রুমে আমি ডিটেকটিভ জন হপকিন্স থান্ডার বোল্ডকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলাম। এই জিজ্ঞাসাবাদের সকল কার্যক্রম বাইরে থেকে মনিটরিং করছে স্পেসাল ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চের সব সদস্য।
--তো থান্ডার বোল্ড ওরফে.... কি?
--হা হা হা! থান্ডার বোল্ড নামেই সন্তুষ্ট থাক আর কিছু জানতে পারবে না আমার কাছ থেকে।
--আর কিছু জানার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। চৌদ্দ সিঁক তোমার আজীবনের সঙ্গী হতে যাচ্ছে।
--হো হো হো খুব হাসালে ডিটেকটিভ। থান্ডার বোল্ডকে আটকে রাখার মত ক্ষমতা তোমাদের পৃথিবীর কারও নেই।
.
আমি তখন সদ্য সহকারী ডিটেকটিভ হিসাবে সি.আই.এ এর স্পেসাল ব্রাঞ্চে রিক্রুট পেয়েছি। জয়েন করার আগে থেকেই থান্ডার বোল্ড নামক আতঙ্কের নাম শুনতাম। ব্যাংক রোবারিতে সে তুঙে ছিল সব সময়। সব স্ট্যাটের সেন্ট্রাল ব্যাংকগুলোকে ধুলোয় মিশিয়ে দিতেই যেন তার জন্ম। প্রায় চারটা সেন্ট্রাল ব্যাংকে সে ডাকাতি করেছে সফল ভাবে। আমি ব্রাঞ্চে আসার পর তার টেকনিক ধরে ফেলেছি। তার পদ্ধতি ফাইয়ার ফ্লাইস নামক মিথের উপর ভিত্তি করে। ফাইয়ার ফ্লাইস পদ্ধতির তিনটি ধাপ আছে। যার সর্বশেষ ধাপ হল কোলাহল সৃষ্টি করা। অর্থাৎ সে যে ব্যাংকে ডাকাতি করত তার আশেপাশে গন্ডগোল সৃষ্টি করত। কখনও গাড়ির জ্যাম লাগিয়ে বা কখনও বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে। আমি এখন পর্যন্ত তার সকল পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছি, যদিও হাতে নাতে তাকে ধরতে পারি নি। পরিশেষে তাকে আজ ধরতে পারলাম। প্রথম যখন তার পরিকল্পনা ধরতে পেরেছিলাম তখন থেকেই আমি সমস্ত পত্রিকা আর টিভি চ্যানেলের হেড লাইনে ছিলাম। আর আজতো আমি ন্যাশনাল হিরো হয়ে যাব।
.
আজ প্রায় সে সফল হয়ে গিয়েছিল। নিউ ইয়র্ক সেন্ট্রাল ব্যাংকের পাশের স্ট্রিটে বিস্ফোরণের মাধ্যমে সবার দৃষ্টি সেদিকে ঘুরিয়ে দিয়েছিল। এমনকি ব্যাংকের ভল্টের পাসওয়ার্ড পর্যন্ত বের করে ফেলেছিল কিন্তু যখনই পাসওয়ার্ড ইন করাতে যাবে তখনই তাকে এরেস্ট করি।
.
ইন্টারোগেশনে থান্ডার বোল্ট মুখ খুলল না। তাকে নিউ ইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের কাছে তুলে দেওয়া ছাড়া আমার আর কিছুই করার নেই। ইন্টারোগেশন রুম থেকে বের হয়ে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিলাম। সে যাওয়ার সময় পেছন দিকে ঘুরে বলল সকাল ৬ টা থেকে ১০ টা, জোড় শেষে। সবাই হা করে তাকিয়ে থাকল। কিন্তু যা বুঝার আমি বুঝে গিয়েছি। সকাল ৬ টা থেকে ১০ টা মানে ৬৭৮৯১০ আর জোড় শেষে দিলে হয় ৭৯৬৮১০ অর্থাৎ ভল্টের পাসওয়ার্ড এবং এটা সে আমাকে উদ্দেশ্য করেই বলেছে।
এখন আমার কাজ শুরু গোপনে সেন্ট্রাল ব্যাংকে ঢুকব পাসওয়ার্ডটা দিয়ে ভল্ট খুলে টাকা পয়সা সব নিয়ে বের হয়ে আসব। ও আরেকটা কাজও করতে হবে থান্ডার বোল্ডকে ছাড়াতে হবে। কিছু খরচ করলেই এটা হয়ে যাবে।
.
আমার এই ব্রাঞ্চে ঢোকা আর এই সকল সফলতা সবই ছিল থান্ডার বোল্টের পরিকল্পনা। আমি জাস্ট সেট আপ। সমগ্র নিরাপত্তা সংস্থাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আমি জন হপকিন্স আর থান্ডার বোল্ট, আসল নাম স্টুয়ার্ড কার্লসন খুবই সফলতার সাথে ব্যাংক ডাকাতি করছি।ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বুঝতেও পারছে না থান্ডার বোল্ট গ্রেফতার হওয়ার দিনই আবার কিভাবে ব্যাংক ডাকাতি হচ্ছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.