নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আরব্য উপন্যাসের সেই মরুচারী যে সত্যান্বেষণে জীবন উৎসর্গ করে। সেই উপন্যাসের চরিত্র নিজের ভিতরে লালন পালন ও প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে এই পথচলা।

মামুন রেজওয়ান

মামুন রেজওয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

"সামু এবং আমি"

২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৩:৩৩

নিজেকে নিয়ে কিছু বলি। খুবই ক্ষুদ্র মাপের মানুষ আমি। আবেগ একটু বেশীই কাজ করে আমার ভিতরে। তবে সবই বৈধ আবেগ। একটা উদাহরন দিলে বুঝতে পারবেন।
বেশ কয়েক বছর আগে হুমায়ন স্যারের "উঠোন পেরিয়ে দুই পা" বইটি পড়ছিলাম ট্রেনে বসে তাও আমার ছোট মোবাইলে পিডিএফ আকারে। সেদিন বড় আপুকে নিয়ে সিলেট যাচ্ছিলাম চিটাগাং থেকে।বইয়ের দেশপ্রেম সম্পর্কিত একটা ঘটনায় এসে দেখি আমার মোবাইলের স্ক্রিনে দুই ফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়ল। আমারই চোখের পানি। সেদিন চিন্তা করলাম মানুষ এত ভাল লেখে কিভাবে? এত এত ভাল লেখা কিভাবে সম্ভব? একজন মানুষ অন্য মানুষকে কাঁদাতে পারে কিভাবে শুধুমাত্র লেখার মাধ্যমে?
সেদিন থেকেই আমার এই জগৎ মানে লেখালেখির জগতে প্রবেশ। সেই থেকে আমার খুব ইচ্ছা আমার লেখা পড়ে অন্তত একজন মানুষ ওয়াক বলে উঠলেই আমার জীবন স্বার্থক । অত্যন্ত মানুষকে আমার লেখা পড়িয়ে ওয়াক থুহ তো বলাতে পারব এই বা কম কিসের এই ক্ষুদ্র জীবনে?
.
সেই অনুপ্রেরণা থেকে ফেসবুক দিয়ে প্রবেশ করলাম অদ্ভুত এক কল্পনার জগতে। যার লেখা পেলাম গো গ্রাসে গেলা শুরু করলাম। তাদের লিস্টে প্রবেশের জন্য উঠে পড়ে লাগলাম। কতজনের লেখা পড়ে যে থ হয়ে গেছি, কত জনের লেখা পড়ে যে ঘোরের মধ্যে চলে গেছি তার কোন ইয়ত্তা নেই। আমি বরাবরই লাজুক স্বভাবের তাই নিজের আবেগ দ্বারা অন্যকে প্রভাবিত করতে পারি না তেমন একটা। তাই লেখার মাধ্যমটাকেই আবেগ প্রকাশের মাধ্যম হিসাবে বেছে নিলাম।
আর এভাবেই পড়তে পড়তে ইচ্ছা হল অমুক ভাইয়ের অমুক লেখার থিমের উপর বেস করে দেখি আমি ভিন্ন ভাবে কিছু লিখতে পারি কিনা? সেই যে মোবাইল হাতে উঠল আর নামানামি নেই। বেশ কয়েকটা বইয়ে গেল আমার গল্প। পেজের কথা নাই বা বললাম। এই লেখালেখির হাত ধরে বেশ কয়েকটা পেজের এডমিন হিসাবে সদস্যপদ পেলাম। বেশ কয়েকটা পেজের পরিবারের সাথে যুক্ত হতে পারলাম।
.
এবার আসি সামুর দুনিয়ায়। লেখকদের এবাউট ঘুরতে ঘুরতে কয়েকজনের এবাউটে দেখলাম Works at sonewhereinblog লেখা। খবরত পত্রিকার মাধ্যমে ব্লগিং ভালই আলোচিত হয়েছিল বেশ কিছুদিন ধরে। কৌতুহল বশত সামু ব্লগে ঘোরাঘুরি করতে লাগলাম। কয়েকজনের লেখা ভ্রমন কাহিনী পড়ে এতই মুগ্ধ হলাম যে তৎক্ষণাৎ সামুতে একাউন্ট খোলার জন্য অস্থির হয়ে গেলাম। এক ভাইয়ের সহযোগীতায় চলে আসলাম এই দুনিয়ায় একেবারে আনাড়ী একজন সদস্য হিসাবে। কিভাবে যেন সামুকে ভালবেসে ফেললাম। এখন প্রতিদিন একবার করে সামুতে না ঢুকলে কেমন অস্থির অস্থির লাগে।
.
আমার চিন্তা চেতনা আমার মননশীলতা আমার কল্পনা আমার আকাঙ্ক্ষা সব কিছু প্রকাশ করি এই সামুর মাধ্যমে। সামু কিছু করুক না করুক কারও মনের না বলা কথা বলার জন্য তো একটা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে এই বা কম কিসের? নতুন হিসাবে সবাই কম বেশী অসুবিধায় পড়ে নিজেকে নতুন জগতে খাপ খাইয়ে নিতে। আমিও বিভিন্ন অসুবিধায় পড়েছি এখনও পড়ি। সামুকে ভালবাসি বলে সামুর অসুবিধাগুলোও ভালবাসি। জানি না আমার দেখা সেরা সেরা লেখকদের পায়ের কাছে যাওয়ার কখনও সুযোগ পাব কিনা? কিন্তু সামুর মাধ্যমে যদি আমি একটা পাঠক তৈরি করতে পারি যিনি আমার প্রত্যেকটা লেখা পড়ে "ওয়াক থুহ!! এটা কোন লেখা হল? " বলতে পারবে তাতেই আমি কৃতজ্ঞ থাকব।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৫:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:




ওয়াক থু, এই ধরণের লেখা কেহ লিখে?

২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:০৪

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: আমার পাঠক তালিকায় প্রবেশের জন্য ধন্যবাদ। আমি স্বার্থক স্যার।

২| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:২৯

মিশু ইমতিয়াজ বলেছেন: ওয়াক থু..

২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:০৭

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: আমি স্বার্থক।

৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:২২

fa siam বলেছেন: ভাল লাগল

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫৮

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.