নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আরব্য উপন্যাসের সেই মরুচারী যে সত্যান্বেষণে জীবন উৎসর্গ করে। সেই উপন্যাসের চরিত্র নিজের ভিতরে লালন পালন ও প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে এই পথচলা।

মামুন রেজওয়ান

মামুন রেজওয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্মৃতির একটি পাতা.....

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৩৮


দুইটি ঘটনা আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বা স্মরণীয়। একেবারে ছোটবেলার কিছু কিছু স্মৃতি থাকে যা মানুষের মনে আজীবন দাগ কেঁটে রাখে। মানুষ চাইলেও ভুলতে পারে না এরকম কিছু অনুভূতি তৈরি হয় মনের অজান্তে। আমার জীবনে এরকম দু'টি স্মৃতি আছে।
.
প্রথমটি হল জীবনে প্রথম কোর'আন পড়া। একটু বিস্তারিতই বলি। তখন আমার আব্বু নৌ-বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। মাদ্রাসার ছাত্র হওয়ার দরুন নিয়মিত ফযরের পর কোর'আন তিলাওয়াত করতেন। পাকিস্তানের নামকরা এক ক্বারির নিকট কোর'আন তিলাওয়াত শিখেছিলেন। আব্বুর তিলাওয়াত এত সুন্দর (মাশা-আল্লাহ) যে, প্রায় আমাদের সামনের বিল্ডিং এর বড় ভাই, আংকেলরা আমাকে জিজ্ঞাস করত," কিরে তোদের বাসায় সকালে রেডিওতে প্রতিদিন কোর'আন তিলাওয়াতের আওয়াজ শোনা যায়। কে শোনে? আমি মুচকি হেসে বলতাম, "রেডিওতে না, আমার আব্বুই কোর'আন পড়ে।"
যাই হোক আমরা তিন ভাই-বোনকে আব্বু নিয়মিত আরবী বর্ণমালা, তাজবিদ শিখাতেন। আমার সাথে আমার দুই বোনের মৃদু প্রতিযোগিতা হোত সব সময়, কে আগে পড়া দিবে এই নিয়ে।
.

.
এখানে বোখারি শরীফের একটি হাদিস উল্লেখ করি , মহানবী (সাঃ) বলেছেন, "তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যাক্তি সর্বশ্রেষ্ঠ , যে আল-কোর'আন নিজে শিখে এবং অন্যকে শিক্ষা দেয়।"
যাই হোক এক সকালে, তখন আমার বয়স সম্ভবত ছয় বা সাত। আব্বু রুমে ঢুকেই বললেন, "আজকে মামুন কোর'আন থেকে পড়বে। ওর আমপারা আর পড়া লাগবে না। "
ঠিক সেই মুহূর্তের আনন্দটা কখনও ভুলবার নয়। যতটা না বোনদের পরাজিত করে আগে কোর'আন পড়া শুরু করার আনন্দ তারচেয়ে বেশী আলাদা একটা আনন্দ লেগেছিল, যেটা বলে বুঝানো যাবে না। আমার কোর'আন পড়ার হাতেখড়ি আমার আব্বুর কাছে। মক্তবে পড়ার সৌভাগ্য আমার হয় নি। তাই বলে মনে কোন আফসোস নেই। এখন খুব কষ্ট হয় যখন পাশের মসজিদগুলো থেকে বাচ্চাদের চিৎকার করে কোর'আন পড়ার আওয়াজ পাই না।
.
আরেকটা স্মৃতি না হয় আরেকদিন হবে......

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৫৮

ওমেরা বলেছেন: দুইটা বলতে চেয়ে একটা বল্লেন তবু মাফ করে দিলাম শুধু কোরআন শিখার কথা বলেছেন বলে ।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৬

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: আরেকটা নাহয় আরেকদিন হবে। ধন্যবাদ ক্ষুদ্র ভুলটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে বিবেচনা করার জন্য।

২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৪:৩৩

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ছোট থেকেই সবার কোরআন পড়া শেখা উচিত। সুন্দর স্মৃতিচারণা...

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৭

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: হুমম, অবশ্যই আমাদের দায়িত্ব আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে কোর'আনের সাথে বড় করা।

৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:১৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার এবং আমার ভাইবোনদেরও ক্বুর'আন শিক্ষার তা'লিম শুরু হয়েছিল আব্বার কাছে। আমার ছেলেদের আমার কাছে।
আপনার স্মৃতিকথা পড়ে ভাল লাগলো।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৮

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: সত্যিই অসাধারণ স্মৃতি, যাদের জীবনে এরুপ ঘটেছিল তারা কতই না ভাগ্যবান।

৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর।

খুব ভালো কাজ।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৯

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ অনুপ্রেরনামুলক মন্তব্যের জন্য।

৫| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: এখন আর নিয়মিত কুরআন পড়া হয়না। তবুও সপ্তাহে ১/২ বার পড়ি।

একটা সময় এদেশে সকালে শিশুরা গুনগুন করে কুরআন পড়তে শুরু করত। তখন কি ভালইনা লাগতো।

এখন মানুষ কুরআন ছেড়ে হাবি যাবি নিয়ে ব্যস্ত।দুনিয়ামুখিতা আমার পরকাল বিমুখ করে দিয়েছে।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৫

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: মানুষ এখন বস্তুতান্ত্রিক হয়ে গেছে। তাদের কাছে সফলতার সংগা বিএমডাব্লিউ, মার্সিডিস, অডির মালিক হওয়া। বিশাল বড় মাপের ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট হওয়া। কিংবা মিডিয়ায় বিশাল মাপের ব্যক্তিত্ব হওয়া । চায় সেটা ইসলামিক বিধানকে অনুসরন করে হোক বা নাহোক। তাইতো মানুষ এখন তাদের সন্তানের জন্য সকালে কোর'আন চর্চা করার চেয়ে গান শিক্ষাকে বেশী প্রাধান্য দিতে পছন্দ করে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.