নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইউটিউবে GOD Level Fast Worker লিখে সার্চ করলে অনেকগুলো ভিডিও আসে। যেগুলোতে কিছু মানুষ দেখানো হয় যারা নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে অত্যন্ত দ্রুততার সহিত তাদের কাজগুলো সম্পন্ন করেন। যেমন একজন ক্যাশিয়ারকে দেখানো হয়েছে যার কয়েক লক্ষ টাকা গণনা করতে এক মিনিটের বেশী সময় লাগে না। আরেকজন একাউন্ট অফিসারকে দেখানো হয়েছে যার ২০০০ পৃষ্ঠার একটা লেজার খাতায় সিল মারতে সর্বোচ্চ এক মিনিট সময় লাগে। এরকম অসংখ্য কাজে দ্রুততার স্বাক্ষর রাখার জন্য এদেরকে সুপার হিউম্যান বলা হয়ে থাকে।
।
এবার এই মানুষগুলোর শরীরের দিকে তাকাই চলুন। হাত, পা, মাথা এগুলোর দিকে নয়। শরীরের আরও গভীরে যাই,দেখি কি পাওয়া যায়। শরীর গঠনের মৌলিক একক কোষ। কোষের মূল উপাদান প্রোটিন এবং অন্যান্য বিভিন্ন জৈব ও ক্ষুদ্র পরিমাণে অজৈব পদার্থ। আমরা জানি প্রোটিন মূলত পাঁচটি মৌলিক পদার্থের উপর ভিত্তি করে গঠিত সেগুলো নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, সালফার, হাইড্রোজেন এবং কার্বন।আপনি কি জানেন মানুষের শরীরে কতগুলো কোষ থাকে এবং একটা কোষ কতগুলো প্রোটিন অনু দিয়ে গঠিত ।
বিজ্ঞানীদের আনুমানিক ধারনা যখন একটা শিশু জন্ম গ্রহণ করে তার শরীরে ৬০০ কোটির অধিক কোষ থাকে। প্রতিটি কোষে কয়েকশ কোটি প্রোটিন অনু থাকে।
এবার দেখি একটা শিশু জন্মগ্রহণ করতে কতটা সময় লাগছে? সহজ হিসাব ১০ মাস ১০ দিন তাইতো? আসলে কি তাই? শিশুর শরীরের পিছনে তাকাই। বিজ্ঞানী চার্লস গাইয়ের মতে ৯৯ টি স্বাধীন মৌল থেকে শুধুমাত্র একটা প্রোটিন অনু আবার বলছি শুধুমাত্র একটা প্রোটিন অনু তৈরী হতে সময় লাগে 10 to the power 263 বছর। [1] মানে কি জানেন ১ এর পরে ২৬৩ টা শুন্য বসালে যে সংখ্যাটা হয় ঠিক তত বছর। যেখানে ১ এর পর ৭ টা শুন্য বসালে হয় এক কোটি বছর। এবার একটু চিন্তা করেন একটা প্রোটিন অনু তৈরী হতে সময় লাগছে 10 to the power 263 বছর। এভাবে কোটি কোটি অনু গঠন হতে কতটা সময় প্রয়োজন? এভাবে প্রতিদিন সারা পৃথিবীতে প্রতি মিনিটে লাখ লাখ শিশু জন্মগ্রহণ করছে।
।
এবার বলুন দেখি এই GOD Level Fast Worker কে যিঁনি সৃষ্টি করলেন তিঁনি কতটা ফাস্ট। সময় দিয়ে সেই মহান আল্লাহর কাজের গতি কি পরিমাপ করা সম্ভব? যেই আল্লাহ পুরো বিশ্ব-ভ্রমান্ড সৃষ্টি করেছেন মাত্র ছয় দিনে।
Indeed, your Lord is Allah, who created the heavens and earth in six days and then established Himself above the Throne.[2]
লাখ লাখ মানুষ সৃষ্টি করছেন মুহূর্তের মাঝে।
।
মূল কথায় আসি আমরা সৃষ্ট কোন কিছুর অসাধারণত্বে মুগ্ধ হই, আবেগে আপ্লুত হই, তাদেরকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রাখি। অথচ এই সৃষ্ট কোন কিছুর স্রষ্টাকে একেবারে ভুলে যাই। দিনশেষে আল্লাহর নাম আমাদের স্মরণের তালিকায় থাকে শুন্যের কোঠায়। তারপরেও তিঁনি রহমানুর রাহিম। এত যত্ন করে, মমতা, ভালোবাসা দিয়ে আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন। শুধু সৃষ্টিই করেন নি, আরাম আয়েশের ব্যবস্থা করেছেন। আলো বাতাসের ব্যবস্থা করেছেন। মা নামক এক মমতার সাগর তৈরি করে দিয়েছেন। কি করে ভুলে থাকি সেই পরম দয়ালু আল্লাহ তা'আলাকে!!
.
[1] Quran and Modern Science
Dr. Zakir Naik
[2] The holy Quran
Sura Al-A’Raf, Verse-54
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০১
মামুন রেজওয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৪:২৩
মলাসইলমুইনা বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার লেখাটা
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০২
মামুন রেজওয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ কষ্ট করে পুরোটা পড়ার জন্য
৩| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০২
মামুন রেজওয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ , ঊৎসাহ প্রদানের জন্য
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৫৫
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ভালো...