নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আরব্য উপন্যাসের সেই মরুচারী যে সত্যান্বেষণে জীবন উৎসর্গ করে। সেই উপন্যাসের চরিত্র নিজের ভিতরে লালন পালন ও প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে এই পথচলা।

মামুন রেজওয়ান

মামুন রেজওয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

"বেঁচে থাকার জন্য আর কি দরকার??"

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:১২

প্রত্যেকটা মানুষের নির্দিষ্ট কিছু লক্ষ্য থাকে। অভাবে বড় হওয়া ছেলেটার লক্ষ্য থাকে একটু স্বাচ্ছন্দ্যে শেষ জীবন অতিবাহিত করা। টাকার অভাবে বাসে চড়তে না পারা ছেলেটার লক্ষ্য থাকে চাকরী জীবনে একটা গাড়ীর মালিক হওয়ার। টাকার অভাবে ভাল স্কুলে পড়তে না পারা ছেলেটার লক্ষ্য থাকে ভাল কোন কলেজে ভর্তি হওয়ার। মোট কথা মানুষ তার লক্ষ্য বা গোল ঠিক করে না পাওয়াকে পাওয়া করার মাধ্যমে।
.
একসময় চিন্তা করতাম যে মানুষটার কোন পিছুটান নেই তার লক্ষ্য কি থাকতে পারে? বা যে মানুষটা সারাজীবন কাওরান বাজারের টুকরীতে ঘুমিয়ে অভ্যস্ত তার কি কোন চাওয়া বা লক্ষ্য থাকে? ইন্ডাসট্রিয়াল ম্যানেজমেন্টে মার'স ল বলে মানুষের প্রয়োজনীয়তার একটা চার্ট পড়েছিলাম। যেখানে মানুষের প্রথম প্রয়োজন ছিল ফিজিওলোজি বা আবশ্যক প্রয়োজন। যেমন খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা এগুলো।
কি আশ্চর্য! ভেবে দেখেছেন? আমাদের মৌলিক প্রয়োজনীয়তা গুলোই এখন আমাদের মুল লক্ষ্য। এগুলো অর্জন করার জন্য আমাদের সারাজীবন সংগ্রাম করতে হচ্ছে।
আমরা মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তানেরা আমাদের বাবাকে দেখেছি সারাজীবন বাইরে বাইরে ভাড়া বাসায় আমাদের নিয়ে কাটাতে। ক্রাইং নিড বা অবশ্যই প্রয়োজন যে বাসস্থান সেটা বাবারা পুরন করছেন শেষ জীবনে রিটায়ারমেন্টের পর হয়তোবা পুরন করতে পারছেন না কিংবা পুরন করলেও ভোগ করতে পারছেন না। আপনার আমার জন্য রেখে দুনিয়া ত্যাগ করছেন।
.
একটু চিন্তা করে দেখুন। মনে করুন আপনি সোনার চামচ মুখে দিয়ে জন্মানো একজন সন্তান। আপনি প্রচুর অর্থ এবং ঐশ্বর্য্যের মাঝে বড় হয়েছেন। আপনার বাড়ী, গাড়ী বা টাকা পয়সার কোন অভাব নেই। কিছুদিন হল আপনার লেখাপড়া শেষ হয়েছে।
এখন আপনার লক্ষ্য কি হতে পারে? টাকা পয়সার পরিমান বাড়ানো? কিন্তু কার জন্য বাড়াবেন? আপনার যে পরিমাণ অর্থ সম্পদ আছে তা দিয়ে তিন পুরুষ কিছু না করে খেলেও ফুরোবে না। তাহলে আর কি করতে পারেন আপনি? এই ধাপে এসে আপনার চিন্তা হবে বেঁচে থেকে আর কি লাভ? কোন নতুনত্ব নেই এই জীবনে।
.
খুব ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করুন। মনে করেন আপনি খুব ধার্মিক একজন মানুষ এবং বিপুল সম্পত্তির মালিক। এই অবস্থানে আপনার চিন্তা কেমন হবে? যদি আগের মতই ধরি আপনি ভাববেন বেঁচে থেকে কি লাভ?কিন্তু এক্ষেত্রে আপনি কখনও বাঁচার আশা ছাড়তে পারবেন না কারন আপনি ধার্মিক। আপনার কাছে বেঁচে থাকা মানে আরও ঈবাদতের সুযোগ পাওয়া জান্নাতের আরও নিকটবর্তী হওয়া।
.
মনে করুন আপনি সোনার চামচ মুখে দিয়ে জন্মানো কোন সন্তান না। অভাব অনটনে আপনার বেড়ে ওঠা। এই অভাব দূর করাই আপনার লক্ষ্য। অভাব খুব কম সময়ে দূর করতে পারেন অসৎ উপায়ে অথবা ধর্মের উপর থেকে ধৈর্য সহকারে সৎ উপায়ে। কিন্তু যদি আপনি বিবেচক হন তাহলে অবশ্যই ধর্মের পথই বেছে নিবেন কারন এটা আপনাকে জান্নাতের নিকটবর্তী করে দিবে। আর আপনি খুব ভালভাবেই জানেন অসৎ পথ দীর্ঘস্থায়ী নয়।
.
জিনিসগুলো খুবই সাধারন। এজন্য আমাদের ধর্ম আমাদেরকে যেকোন অবস্থানে আলহামদুলিল্লাহ বলতে শিখিয়েছে। আপনার অভাব আছে তারমানে আপনার বেঁচে থাকার কারন আছে। একইভাবে আপনার অভাব নেই তবুও আপনার বেঁচে থাকার কারন আছে।
আর একজন মুসলমান কিভাবে আত্মহননের পথ বেছে নিতে পারে যেখানে আল্লাহ নিম্নোক্ত
কথাটি কোর'আনে বলেছেন , "আর তোমাদের মধ্যে এমন একটি দল থাকা উচিৎ যারা আহ্ববান জানাবে সৎ কর্মের প্রতি , নির্দেশ দিবে ভাল কাজের এবং বারণ করবে অন্যায় কাজ থেকে। " [১]
উপরের আয়াতে বর্ণিত কাজগুলোতো আমাদের বেঁচে থাকার মূলমন্ত্র।
.
[১] মহাগ্রন্থ আল কোর'আন ০৩ঃ১০৪

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৫১

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ জনাব

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.