নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আরব্য উপন্যাসের সেই মরুচারী যে সত্যান্বেষণে জীবন উৎসর্গ করে। সেই উপন্যাসের চরিত্র নিজের ভিতরে লালন পালন ও প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে এই পথচলা।

মামুন রেজওয়ান

মামুন রেজওয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

"বেঁচে থাকার জন্য আর কি দরকার /২??"

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:১৪

আত্মহত্যাকে যদিও সবাই প্রচন্ড পরিমানে ডিপ্রেশনে ভোগার মুল কারন হিসাবে বিবেচনা করে। তবে আমার দৃষ্টি ভঙ্গি আলাদা। আমি প্রথমেই এই ক্ষেত্রে Maslow's Hierarchy এর Human Need মডেলের কথা বলব। মডেলটার মত করে বলতে গেলে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, টাকা, ক্ষমতা, পরিবার সব পাওয়ার পর মানুষ তার চাহিদার শেষ ধাপ Self actualization এ উত্তীর্ণ হয়।
এই ধাপে এসে সে চিন্তা করে আমারতো সবই আছে। এখন আমি কি করতে পারি? হয়তোবা আরও বেশী বেশী টাকা ইনকাম করতে পারি অথবা আরও বেশী ক্ষমতার পিছনে ছুটতে পারি। এই ধাপে এসে হয়তো ব্যাক্তিটি আরও টাকা আরও ক্ষমতার পিছনে ছোটেন। কিংবা এই ধাপে এসে তৃপ্ত হয়ে যান বা হতে বাধ্য হন। কিন্তু তৃপ্ত হয়ে গেলেই জীবনের প্রতি আগ্রহ থাকে না ফলে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।

এবার Maslow's থেকে বেরিয়ে আসি। মনে করেন কেউ কোন কিছু হারিয়ে কিংবা প্রচন্ড কষ্টের কারনে ডিপ্রেশনে ভুগছে। সে চিন্তা করছে এই দুনিয়ায় বেঁচে থেকে তার কোন লাভ নেই বা সে চলে গেলে কারও কারও জন্য ভাল হতে পারে। সে ক্ষেত্রে এই ব্যাক্তিটি আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।


ফটোঃ- গুগল
সূর্যাস্তের ছবি

তাহলে আত্মহত্যার হাত থেকে কিভাবে একটা মানুষকে আমরা বাঁচাতে পারব? একটা উপায় হতে পারে যে আত্মহত্যা করতে চাচ্ছে আমরা তাকে উৎসাহ, উদ্দীপনা দিয়ে জীবনের মানে কি বোঝাতে পারি। কিন্তু তাতে কি খুব একটা লাভ হয়? যদি লাভ হোত তবে কি ডেল কার্নেগী, যার সমস্ত গবেষণা, চিন্তা, চেতনা যা সব সময় মানুষকে জীবনের মানে বুঝতে শিখিয়েছে, বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে তা কখনও তারই আত্মহত্যার মাধ্যমে নি:শ্বেষ হয়ে যেতো?

মুলত সমাধান দিয়েছে ইসলাম এবং এটিই পরিপূর্ণ সমাধান। আত্মহত্যা মহাপাপ এই দিকে আমি যাব না। লজিকালি চিন্তা করি। আপনি যদি Self Actualization ধাপে আসেন এবং আপনি যদি ধার্মিক হন তখন আপনি চাইবেন বেহেস্তের আরও নিকটবর্তী হতে তখন আপনার লক্ষ্য হয়ে দাঁড়াবে আপনাকে আরও আমল করতে হবে জান্নাতে যেতে গেলে। এই জন্য আপনাকে বেঁচে থাকতে হবে যতদিন আল্লাহ তাঁর ঈবাদতের জন্য আপনাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।
আর কোন কিছু হারিয়ে যদি আপনি ডিপ্রেশনে নামক ব্যাধিতে আক্রান্ত হন তখন আপনার চিন্তা হবে নিশ্চয়ই আল্লাহ পরকালে এই হারানো জিনিসের প্রতিদান হিসাবে এরচেয়েও উত্তম কিছু দিবেন। কিংবা এটা নিশ্চয়ই আপনার কোন পাপের শাস্তি। আল্লাহ চাচ্ছেন আপনাকে পাপমুক্ত অবস্থায় দুনিয়া থেকে নিয়ে যেতে। এই চিন্তাধারার ফলে আপনি আত্মহত্যা নামক কলুষিত অধ্যায় থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
মনে হয় কি, ইসলামই পূর্ণ সমাধান দিতে পারে?


ফটোঃ-গুগল
সূর্যোদয়ের ছবি।
.
সিদ্ধান্ত আপনার হাতে নিজের জীবনের সূর্যাস্ত নিজের হাতেই ঘটাতে চান নাকি নিজের জীবনের নতুন একটা প্রভাতের সূচনা দেখতে চান।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি মানুষ থেকে একটু উন্নত কোন নতুন স্পেসিস বলে মনে হচ্ছে!

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:২৯

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: প্রথমত অনেকদিন পর আপনাকে পেলাম তাই স্বাগতম। আর মন্তব্যের ব্যাপারে বলতে গেলে সবই বিবর্তনের ফসল।

২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৩:৩৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ধর্ম মানলে জীবন সুন্দর হয়। আত্মহ্ত্যার কথা মাথায় আসবে না...

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:৩৩

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: ঠিক তাই।

৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: শুধু এককভাবে চিন্তা ভাবনা করলে হবে না।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:৩৫

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: লেখাটি সামগ্রিকই ছিল আমি ইসলাম দিয়ে সমাধান পেয়েছি তাই শেয়ার করেছি। সমাধানের অন্য কোন পথ পেলে ইন-শা-আল্লাহ অবশ্যই গ্রহণ করব।

৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৪১

ইমরান আশফাক বলেছেন: আপনার ইদানিং কালের পোষ্টগুলি অনেকটা ভাববাদী বা আদ্ধাত্নিক পর্যায়ে চলে গেছে বলে মনে হচ্ছে।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:৩৬

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: তাই নাকি? ভাববাদী বা আদ্ধাত্নিক হোক আমি কি ঠিক ট্র্যাক এ আছি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.