নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাত ১১:৪৫ বাজার সাথে সাথেই বিশাল একটা ফুলের তোড়া নিয়ে বেরিয়েছিলাম শহীদ মিনারে দিব বলে। আজকের দিনে একজন চেতনাধারী সুনাগরিক হিসাবে এটা আমার দায়িত্ব। আজকে আমি হিন্দিতে যতই মাত করতে পারি না কেন উর্দু আমার জন্য রাজাকারের সিল। তাই উর্দুদে জুনায়েদ জামশেদের গান মনের ভিতর বেজে উঠলেও মনকে টিপে ধরতে হয়েছে। কারণ আমি চেতনার ধারক বাহক। একইসাথে চেতনা ফেরী করা আর উর্দুতে গান আমার জন্য নিষিদ্ধ।
.
যাইহোক রাস্তায় যেতে যেতে পাশের একটা হোটেল থেকে শেখ মুজিবর রহমানের ৭ঈ মার্চের ভাষন শুনতে পাচ্ছি। যদিও মনে হঠাৎ উঁকি দিয়েছিল ৭ই মার্চের সাথে ৫২ এর একুশে ফেব্রুয়ারির কি সম্পর্ক। কিন্তু আবার মনকে টিপে দিয়েছি কারণ আমি যে চেতনার পোশাক পড়ি সেটা আমার নিজের না। আরেকজনের দেওয়া চেতনার পোশাক পরে আর যাই হোক নিজের ভাবনা বাস্তবায়ন করার সুযোগ থাকে না।
ও বলতে ভুলে গেছি শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষনের সাথে সাথে হিন্দিতে কি একটা ডিজে গান চলছে। হিন্দিতে ডিজে গান আর বাংলায় রক্ত উত্তপ্ত করা ভাষনের কম্বিনেশন খুব একটা খারাপ নয়।
কেমন একটা তাল খুঁজে পাচ্ছিলাম গানের সাথে ভাষনের। হয়তো শেখ মুজিবুর রহমান বুঝতে পেরেছিলেন আমরা তার চেতনাকে এতটা প্রবলভাবে আঁকড়ে ধরতে পারব।
.
হোটেল থেকে এক কাপ চা পান করে আরও কিছুটা পথ যেতে হবে। হাতে ধরা ফুলের তোড়ার কয়েকটা গাঁদা ফুল কেমন কালো কালো হয়ে গেছে। চিন্তা করছি এতে ভাষা শহীদরা আবার মাইন্ড করবে নাতো? ফুলগুলো কি পরিবর্তন করব? মনে হয় পরিবর্তন করার কোন দরকার নেই কারন এক ঘন্টা পরেই এই ফুলের তোড়াটা ছুড়ে ফেলা হবে ডাস্টবিনে। এই এক ঘন্টার জন্য ভাষা শহীদরা কিছু মনে করবে না।
ফুলের চিন্তা বাদ দিয়ে আর-রহমানের কম্পোজ করা "জ্যায় হো" গানটা গুনগুন করে গাইতে গাইতে মিনারের নিকট পৌঁছে গেলাম।
.
এবার ফুল দেওয়ার পালা। শ্রদ্ধা, এবং চেতনার ভারে ঘাঁড়টাকে নুইয়ে রাখতে হবে এখন। নয়তো যথাযথ সম্মান জানানো হয় না ভাষা শহীদদের। ভুল করে চপ্পল পড়ে উঠে গিয়েছিলাম মিনারের সিঁড়িতে। পরক্ষনেই জিভে কামড় দিলাম। ইশ! কি করলাম ভাষা শহীদদের এভাবে অসম্মান! হঠাৎ মনে পড়ল আরে গতকালকেতো আমার দুই বন্ধুকে এখানে জুতা পড়ে সিগারেট খেতে দেখেছিলাম। হয়তো এবারও ভাষা শহীদদের রক্তচক্ষুতে ভষ্ম হতে হবে না আমায়। জুতা পড়েই পোজ দিলাম ছবি তোলার। কারণ আমি চেতনা ফেরী করি। আর চেতনা ফেরী করার প্রথম শর্ত হল চেতনা আপনার পাশের মানুষকে দেখাতে হবে। সেটা যেভাবেই হোক। নয়তো নিশ্চিত আপনি রাজাকার ট্যাগ খাবেন।
.
ফিরে আসছি গুনগুন করতে করতে সেই "জ্যায় হো" গলার ভিতর নিয়ে। সেই আগের হোটেলের সামনে আবার আসলাম। এখন শুধু হিন্দি গানই বাজছে। ভাষনটা কোথায় যেন হারিয়ে গেছে। হয়তো ভাষনটা ১২:০১ থেকে পাঁচ মিনিট পর্যন্ত বাজানোর নিয়ম। ও এসব নিয়ম কানুন আবার আমাদের জন্য না। আমরা যারা চেতনা ফেরী করি তাদের কাজ শুধু ঘাঁড় নিচু করে ফুল দেওয়া। আর হিন্দিতে "ভারাত হামারি দোস্ত হ্যায়" জপ করা। এটাও চেতনার একটা অংশ।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৩৮
মামুন রেজওয়ান বলেছেন: হয়তো কারন এক একজনের পছন্দ এক এক রকম।
২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:২৯
খাঁজা বাবা বলেছেন: কথা সত্য
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:২৮
মামুন রেজওয়ান বলেছেন: এগুলোই আমাদের চেতনার জগৎ ।
৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:২৯
খাঁজা বাবা বলেছেন: কথা সত্য
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: বিরক্তকর একটি লেখা পড়লাম।