নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আরব্য উপন্যাসের সেই মরুচারী যে সত্যান্বেষণে জীবন উৎসর্গ করে। সেই উপন্যাসের চরিত্র নিজের ভিতরে লালন পালন ও প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে এই পথচলা।

মামুন রেজওয়ান

মামুন রেজওয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

"বাস্তব সত্য কিছু দৃশ্য................"

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:১২

(বান্দরবান স্বর্ণশিলা হোটেলে শুয়ে শুয়ে চার বছরের কিছু হিসাব নিকাশের চিত্র মাথায় উঁকি দিল।)
প্রায় চার বছরের ভার্সিটি লাইফ পার করতে যাচ্ছি। পাওয়া, না পাওয়ার অনেকগুলো গল্প বুকের ভেতর দাঁনা বেঁধে আছে। অভিজ্ঞতাতো আর কম হল না। সেই অভিজ্ঞতারই আলোকে ভার্সিটি লাইফ একজন যুবকের মধ্যে নতুন কি কি সঞ্চার করে তারই একটি লিস্ট। লিস্টটি সবার জন্য বা সব ভার্সিটির জন্য প্রযোজ্য নয়।
.
১. যে ছেলেটা ইন্টার লাইফ থেকে "I hate the smell of smoking" বলে বলে তার আশেপাশের বন্ধুদের কথা শোনাত। ভার্সিটি লাইফের ১ম কি ২য় বছরেই ছেলেটা গাঞ্জা সেবনে পারদর্শী হয়ে ওঠে।

২. যে ছেলেটা ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার আগে পাড়ার ছোট বড় সকলকে সালাম দিয়ে অভ্যস্থ ছিল, ভার্সিটি লাইফের ২য় বছর থেকেই ছেলেটা তার জুনিয়রের কাছ থেকে সালাম নেওয়ার জন্য জুনিয়রের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে। আর সিনিয়রদেরকে সালাম দেওয়ার ভয়ে না দেখার ভান করে।

৩. ইন্টার লাইফ পর্যন্ত যে ছেলেটা সব সময় শান্তশিষ্ট হিসাবে সুপরিচিত ছিল, ভার্সিটি লাইফে একটা বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সেই ছেলেটা চরম রগচটা, মারকুটে এবং আত্ম- অহংকারে পরিপূর্ণ এক মানুষে পরিণত হয়।

৪. যেই ছেলেটা লোকে খারাপ ভাবতে পারে এই চিন্তায় অন্যের কোন দোষ জানলেও গোপন রাখত, ভার্সিটি লাইফে এসে ছেলেটা ক্ষমতা, ব্যাক্তিগত মুনাফার উদ্দেশ্যে অন্যের নামে চরম মিথ্যা বদনাম রটানো রপ্ত করে ফেলে।



চিত্রঃ-মেঘলা, বান্দরবান।

৫. যে ছেলেটা বাবার মারের ভয়ে বা আল্লাহর ভয়ে টুকটাক সলাত আদায় করে এসেছে আজীবন, সেই ছেলেটা ভার্সিটি লাইফে উঠে নিজেকে প্রাপ্ত বয়স্ক এবং অধুনিক স্বাধীনচেতা হিসাবে উপস্থাপনের জন্য সম্পুর্ণ সলাত থেকে অবসর নিয়ে নেয়। (অবশ্য কিছু আছে যারা শুধুমাত্র জুম্মা'আর সলাত আদায় করে)।

৬. যে ছেলেটা ইন্টার পর্যন্ত লজ্জায় কোন মেয়ের কাছ থেকে একটা কলমও চাইত না, সেই ছেলেটা ভার্সিটি লাইফে এসে স্মার্টনেসের দোহায় দিয়ে ছেলে মেয়ে ফ্রি-মিক্সিং এ অভ্যস্ত হয়ে পড়ে।

৭. যে ছেলেটা মিশরী আল আফাসী , যেইন বিখা, আহমদ বুখাতিরের গান শুনত। পাশাপাশি মাহের যেইন, হামযা নামিরা, সামি ইউসুফ এদের গান শুনলেও বাজনা ব্যবহার হয় বলে সব সময় দূরে থাকার চেষ্টা করত। ভার্সিটি লাইফে এসে সেই ছেলেটার জুনায়েদ ইভানের তামাক পাতা, কিংবা এমিনেমিনের র‍্যাপ, কিংবা কেটি প্যারির হাফ নিউড ভিডিও কিংবা হেভী মেটালিক গানগুলো না শুনলে বা না দেখলে রাত অতিক্রান্ত হয় না।

৮. যে ছেলেটা বিয়ের আগে কোন প্রেম করবে না বলে ঠিক করেছিল, ভার্সিটি লাইফে এসে সেই ছেলেটা তিন চারটা গার্লফ্রেন্ড কিভাবে ম্যানেজ করা যায় সেই সংক্রান্ত বিষয়ে একজন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ক্যাম্পাসের বড় ভাই হিসাবে সুপরিচিতি লাভ করে।
.
পোস্টটি জন্মলাভের সময় :
২০/০২/২০১৮
রাত ১২:৪২

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:০২

নতুন বলেছেন: ক্ষমতা অনেক সময় মানুষকে পাল্টে দেয়...

আর কাউকে সালাম না দেওয়ার মন মানুষিকতা তো অহংকারে আক্রান্ত হওয়া।

আপনি যেই কাহিনি বলেছেন সেটা কি বেশির ভাগ ছেলের কাহিনি?

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৩৪

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: ভার্সিটি লাইফে এটা ট্রেডিশন যে, জুনিয়ররা সিনিয়রদের সালাম দিবে। যদিও গাঞ্জা খাওয়ার বেলায় জুনিয়র, সিনিওয়র ভাই ভাই। কিন্তু সালাম গ্রহনের বেলায় এটা শুধুমাত্র সিনিয়রদের অধিকার।

২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: সত্য কথা।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৩৫

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ একাত্মতা পোষনের জন্য।

৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৪১

পদ্মপুকুর বলেছেন: নিজের বিষয় বললেন কি? :-B

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৩২

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: এখন পর্যন্ত ৮টা গুণের কোন একটি অর্জন করা সম্ভব হয় নি। তবে সত্যি কথা বলতে ভর্তি হওয়ার সময় ইচ্ছা ছিল ২য় বর্ষ থেকে স্মোকিং করার কিন্তু কেন যেন , সলাতের কারনে করা হয়ে ওঠে নি। এখন আর লিস্টে ঢোকার কোণ ইচ্ছা নাই, বাকীটা আল্লাহর ইচ্ছা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.