নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আরব্য উপন্যাসের সেই মরুচারী যে সত্যান্বেষণে জীবন উৎসর্গ করে। সেই উপন্যাসের চরিত্র নিজের ভিতরে লালন পালন ও প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে এই পথচলা।

মামুন রেজওয়ান

মামুন রেজওয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাদাকালো ক্যানভাসের কিছু কথা.......

১৫ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১:১৯

একটা জিনিস লক্ষ্য করে দেখলাম মানুষের ভিতরে পরিবর্তনের ফলাফল মানুষকেও পরিবর্তন করে দেয়। আর এই পরিবর্তন হয় দুইভাবে।
১. উগ্রতা,খামখেয়ালিপনা, অহমিকাবোধ একেবারেই স্থিরতা, নম্রতা এবং কোমনীয়তায় রুপান্তর হয়ে যায়।
যেমন:- কেউ নন প্র‍্যাক্টিসিং থেকে যখন প্র‍্যাক্টিসিং হয়ে যায়। তার মত কোমল আর কেউ পৃথিবীতে হতে পারে না।
.
২. একটু মেলামেশা, হাসিমুখে কথা বলা, কেউ দেখা করতে আসলে অধিক ব্যাস্ততা সত্ত্বেও কপাল থেকে বিরক্তির ভাব মুছে ফেলা গুনগুলো আমিই আমিই ভাব করা, আত্ম-অহংকারে কাউকে পাত্তা না দেওয়া, সর্বাদা কপালে একটা বিরক্তির ভাব ফুটিয়ে তোলার মত নিকৃষ্ট অভ্যাসে পরিবর্তিত হয়ে যায়।
যেমন:- যখন কেউ পরীক্ষায় মোটামুটি মানের ফলাফল থেকে আকাশ ছোঁয়া ফলাফলে পৌঁছে যায় কিংবা কেউ দীর্ঘদিন বেকার থাকার পরে যখন নতুন একটা চাকরী পায়। তখন তার মত অহংকারী হয়তো দুনিয়াতে আর দ্বিতীয়টি থাকে না।

আমি খুব ভয় পাই দ্বিতীয় প্রজাতিকে। এরা তার আশেপাশের মানুষকে কতটা কষ্ট দিচ্ছে নিজেরাও বুঝতে পারে না।
তাইতো নবী (আঃ), রাসূল (সাঃ) এবং সাহাবার সর্বদা দুনিয়ার খ্যাতি বা কর্মফল নিয়ে উদাস থাকতেন। তাঁরা এই ভয় পেতেন যে, আমার এই দুনিয়াবি সম্পদ, খ্যাতি না জানি আমার ভিতর কখন আত্ম অহমিকার বীজ বুনে ফেলে। নিজেদের সম্পদ সবসময় দান করার মাধ্যমে খরচ করতেন।
.
আমিও কিছুটা অহংকারী হয়ে যাওয়ার ভয়ে ভীত। তাই আমার ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে আল্লাহর কাছে চাওয়া হল আল্লাহ যেন মাথা গোঁজার মত জাস্ট একটুকরো ছাদ দেন আর দুই বেলা যেন শুধু ডাল ভাতের ব্যবস্থা করে দেন। আর কিছুই আমার চাওয়া নেই। কারণ আমি আমার পরিবারকে অল্পতেই আলহামদুলিল্লাহ বলতে দেখে অভ্যস্ত।
আল্লাহ কবুল করুন সকল নেক আমল। এবং রক্ষা করুন অহংকার নামক সায়ানাইড বিষ থেকে যেটা অন্তরকে পঁচিয়ে শেষ করে দেয়।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মার্চ, ২০১৮ ভোর ৬:৫৫

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: সুন্দর উপলব্ধি।

কেউ দীর্ঘদিন বেকার থাকার পরে যখন নতুন একটা চাকরী পায়। তখন তার মত অহংকারী হয়তো দুনিয়াতে আর দ্বিতীয়টি থাকে না।

একটু বেশী হয়ে গেছে।

১৫ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:০৪

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় এটাতো স্বাভাবিক বিবেচনা। তবে হয়তো মাত্রাটা বেশী হয়ে গেছে। ধন্যবাদ।

২| ১৫ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। পড়লাম।

১৫ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:০৪

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ার জন্য।

৩| ১৫ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:০৪

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: মানুষের চাওয়ার কোন শেষ নেই। আপনি যদি অল্পতে তুষ্ট থাকার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেন তাহলে তা হবে বিরাট সফলতা।

১৫ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:০৫

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: অল্পতে তুষ্টিই মুলত সুখের প্রকৃত সংগা।

৪| ১৫ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৪৯

আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: ভালো লাগলো।

১৫ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:০৬

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.