নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চিত্রঃ বইয়ের কভার
১.
গত পোস্টে বলেছিলাম দেখতে ক্লিক করুন
আমার বইয়ে প্রকাশিত লেখাগুলো যেগুলো কখনও অনলাইনের মুখ দেখেনি সেগুলো শেয়ার করব আপনাদের সাথে। সেই কথা অনুসারে আমার লেখা সায়েন্স ফিকশন মানোবট আজকে কিছু অংশ এখানে প্রকাশ করছি। যদিও এটা "র" ফাইল ছিল। অনেক বানান ভুল থেকে যেতে পারে।
চিত্রঃ বইটির সূচিপত্র
চিত্রঃ বইটিতে আমার গল্প
"মানোবট "
কৃ আজ একটু আগেই ঘুম থেকে উঠে গেছে। ঘুম থেকে উঠে কৃর জানালা দিয়ে বাইরে কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকা অভ্যাস। আজকেও তাকিয়ে আছে। চারেপাশ গাঢ় সোনালী রঙে ছেয়ে আছে।ক্ষেতের সব যব পেঁকে গেছে এই বছর। তাদের বাড়িটা একটা ফাঁকা স্থানে। আর চতুর্দিকে যবের খেত। কৃ পরিবারের একমাত্র পুত্র সন্তান। তার নাকি ছোট একটা বোন ছিল।কিন্তু কৃ তার বোন সম্পর্কে কিছুই জানে না। কি এক অজানা কারনে তার মা তার ছোট বোনের কথা তুলে না। আশ্চর্যের বিষয় হল এই এলাকায় কোন বাচ্চার বয়স যখন পাঁচ থেকে সাত হয়ে যায় কোন এক অজানা কারনে তারা অদৃশ্য হয়ে যায়। বিশেষ করে যে বাচ্চাগুলো একটু চটপটে প্রকৃতির হয় তারাই নিখোঁজ হয়।কৃর এখন এসব ভাবলে হবে না। তাকে দ্রুত নাস্তা সেরে স্কুলে যেতে হবে। স্কুলটা তাদের বাড়ি থেকে বেশ খানিকটা দূরে। নাস্তার টেবিলে বসল কৃ। সামনে যবের রুটি , সকালের নাস্তা। এখন পৃথীবির একমাত্র খাদ্যবস্তু যব। যব ছাড়া অন্য কোন উদ্ভিদ আর জন্মে না এই পৃথিবীতে। কয়েক হাজার বছর আগে কোন এক ভাইরাসের সংক্রমনে সব উদ্ভিদ একে একে মারা যেতে শুরু করে। কিন্তু আশ্চর্য জনক ভাবে যব বেঁচে যায়। এখন সারা বিশ্বে যব চাষ করা হয়। এই যবের আটা দিয়েই তাদের তিন বেলার খাবার সারতে হয়।
কৃর স্কুলে আজ রেজাল্ট দেওয়ার কথা। কৃ স্কুলে ঢুকেই বারান্দায় সুশান আর পৃহাকে মনমরা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখল। বুকটা ধক করে উঠল কৃর। পরীক্ষায় সে কি খারাপ ফলাফল করল? একটু জোর কদমে হেটে বারান্দায় আসল কৃ। এসেই সুশানের পিঠে থাবড়া দিয়ে জিজ্ঞাস করল...
--কিরে মনমরা হয়ে বসে আছিস কেন?
--সুশান উত্তর দিল। তুইতো খুবই বাজে রেজাল্ট করেছিস।তোর গ্রেড সবচেয়ে কম।
--যাহ তোরা ঠাট্টা করছিস।
--সুশান ঠিকই বলেছে। (পৃহা)
--কিন্তু এত খারাপ হওয়ার তো কথা না??
কৃর খুবই মন খারাপ হয়ে গেল। ঠোঁট চেপে কান্না আটকানোর চেষ্টা করল কৃ। এই বয়সে কি কেউ কাঁদে? সেতো বড় হয়ে গেছে। তার মুখের এই অবস্থা দেখে পৃহা হাসতে হাসতে বলল আরে গাধা তুই সবচেয়ে বেশী গ্রেড পেয়েছিস। তোর দেয়া যবের জিনেটিকাল ইকুয়েশনটা সবচেয়ে বেশী পছন্দ হয়েছে শিক্ষকদের। তোর ইকুয়েশন পরীক্ষামুলক ভাবে কাজে লাগাতে নির্দেশও দিয়ে দিয়েছেন আমাদের টিচার। কিন্তু আমারতো এগ্রিকালচার ভাল লাগে না। আমি নিউরোলজিকাল সাইন্স পড়তে চাই। সুশান তাকে চুপ চুপ বলে থামিয়ে দিল। তুই জানিস না নিউরোলজি সাবজেক্ট নিয়ে আলোচনা করা নিষিদ্ধ? কিন্তু আমার এগ্রিকালচার একদমই অপছন্দ। বাবার নিউরোলজির একটা বই দেখেছিলাম। কয়েকবছর আগে প্রথমদিকের কিছু অংশ খুবই ভাল লেগেছে কিন্তু পরের অধ্যায়গুলো কিছুই বুঝি না।
পৃথীবিতে যখন অজানা এক ভাইরাসের আক্রমণ হল আর উদ্ভিদ সব মারা গেল তখন থেকে নতুন খাদ্য উৎপন্ন করা মানুষের একমাত্র লক্ষ্য হয়ে দাঁড়াল। সেই সাথে সকল স্কুলে নিউরোলজি বিষয়টা পড়ানো নিষিদ্ধ করা হল। এও নির্দেশ দেয়া হল যে ,যদি কেও নিউরোলজি নিয়ে কোন প্রকার আলোচনা করে তাকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।
সব শিক্ষার্থী মহলেই এই প্রশ্নটা বিদ্যমান। এগ্রিকালচার এখন মুখ্য বিষয় হওয়া উচিৎ ঠিক আছে। অন্য সকল বিষয় থাকা সত্ত্বেও কেন নিউরোলজি সাবজেক্টটা নিষিদ্ধ করা হল? এর উত্তর কৃ, পৃহা, সুশান তাদের কারও জানা নেই। এমনকি এলাকার বয়স্ক কারও জানা নেই। এই নিয়ে কৃর মনে বিভিন্ন প্রশ্ন খুরপাক খায়। সবাই বিষয়টাতে তেমন গুরুত্ব না দিলেও কৃ এই প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য উঠে পরে লেগেছে।
(চলবে)
২৩ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:৪২
মামুন রেজওয়ান বলেছেন: আজকে দ্বিতীয় পর্ব পরিবেশন করেছি আমার বাড়িতে দাওয়াত থাকবে।
২| ১৪ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:০৭
খাঁজা বাবা বলেছেন: ভাল লাগল
আশা করি পরের পর্ব টা তারাতারি আসবে
২৩ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:৪৩
মামুন রেজওয়ান বলেছেন: খুব বেশী দেরী করে ফেলেছি বলে দুঃখিত। কিছু কাজ জমা হয়ে গিয়েছিল শেষ করে আজ একটু সময় পেলাম।
৩| ১৪ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: দেন ব্লগে দেন।
মন দিয়ে পড়বো।
২৩ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:৪৪
মামুন রেজওয়ান বলেছেন: আমি জানি আপনি পড়বেন। আজকে ২য় পর্ব, দ্রুত পড়ে ফেলে জানান।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৩:০১
রাকু হাসান বলেছেন: ভাল...চলুক ........শুভকামনা এবং শুভরাত্রি