নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চিত্র: গুগল হতে ডাউনলোডকৃত
অন্ধকারে হাঁটতে আমি পছন্দ করি। অন্ধকারে হাঁটলে আমার অসাধারন একটা অনুভুতি কাজ করে। এর একটা মজার দিক আছে। আমি যখন আলোতে হাঁটব তখন আমি আমার চোখ তথা দৃষ্টি শক্তির উপর কনফিডেন্স থাকব, এবং ভুলে যাব এই দৃষ্টিশক্তির মালিক আসলে আমি নই। তারমানে মনে হবে আরে আমি সব কিছু স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি কোন দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনাই নেই। আসলেই কি তাই ঘটে? এর উত্তরে পরে আসি।
এবার আসা যাক অন্ধকারে হাঁটার মধ্যে কি লুকিয়ে আছে? আমি যখন অন্ধকারে হাঁটি তখন একমাত্র ভরসা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা। আর এই ভরসাটা অটোমেটিকালি চলে আসে। কারন আমি কিছুই দেখতে পাচ্ছি না। অর্থাৎ গর্তে হোঁচট খাওয়া কিংবা কোন দুর্ঘটনা ঘটার উপর গণিতের ভাষায় দৈব প্রভাব কাজ করবে। প্রোবাবিলিটি থিওরীতে চলে যাবে। যেমন এভাবে অন্ধকারে হাঁটার ফলে দুর্ঘটনা ঘটা এবং না ঘটার সম্ভাবনার সমষ্টি ১। অর্থাৎ ৫০% সম্ভাবনা দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এবং ৫০% সম্ভাবনা দুর্ঘটনা না ঘটতে পারে। আলোতে হাঁটলে দুর্ঘটনা না ঘটার সম্ভাবনাকে আমি আরও ২০-৩০%-এ বাড়িয়ে নিতে পারছি। অর্থাৎ মাত্র ৩০-২০% সম্ভাবনা থাকছে দুর্ঘটনা ঘটার। অবাক করা বিষয় হলেও সত্য আমি দীর্ঘ সাড়ে চার বছর টিউশনি থেকে আসার সময় হেঁটে হেঁটে আসি তাও মোবাইলের ফ্ল্যাশ না জ্বালিয়ে। মজার বিষয় হল আমি যে কয়বার অন্ধকারে হেঁটেছি একবারও আলহামদুলিল্লাহ তেমন কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি। অথচ আমার বেশ কয়েকজন ফ্রেন্ড আমাদের হলের রাস্তায় আলো কম থাকার কারনে হোচট খেয়েছে। আমাদের হলের আশেপাশে প্রচুর সাপ দেখতে পাওয়া যায়। এই সাড়ে চার বছরে আমার চোখে কখনও কোন সাপ পড়েনি। অথচ আমার ফ্রেন্ডরা বেশ কয়েকবার সাপ দেখেছে। আমি এখন কিভাবে প্রোবাবিলিটি থিওরীর উপর পরিপূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করতে পারি বুঝতে পারছি না। আমাকে কি স্বীকার করতে হচ্ছে না যে, কেউ একজন আছেন যিঁনি দুর্ঘটনা ঘটার প্রোবাবিলিটিকে প্রায় শুন্যের কাছাকাছি নিয়ে যাচ্ছেন?
বি:দ্র: প্রোবাবিলিটি নিয়ে আমার বুঝ এতটুকুই। ভুল ধারনা থাকলে অবশ্যই শুধরে দেওয়ার অনুরোধ থাকবে।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৪
মামুন রেজওয়ান বলেছেন: লেখাটার মূল উদ্দেশ্য আপনার মন্তব্যে যেটা বুঝাচ্ছেন তা ছিল না। মূল উদ্দেশ্য ছিল আমরা যতই বিজ্ঞান বিজ্ঞান করি না কেন সব কিছুর উপরে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা অনেকে বিজ্ঞানকেই চুড়ান্ত হিসাবে ধরে নিয়েছে তাদের জন্যই এই লেখাটা। আর আপনার মন্তব্যের সাথে আমি সম্পূর্ণ সহমত। দেরীতে উত্তর দেওয়ার জন্য দুঃখিত।
২| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ২:২৪
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: চারিদিকে আমি কেবল অন্ধকার দেখতে পাই কারন এটা আমাদের ভবিষ্যতের দিকে ইঙ্গিত করে।কাজেই এমন কিছু করা উচিৎ
যেন সেই অন্ধকার আলোতে দূরীভূত হয়।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৫
মামুন রেজওয়ান বলেছেন: অবশ্যই। আমি কিন্তু অন্ধকারের গুরুত্ব অনুভব করি কারণ অন্ধকার আছে বলেই আলোর প্রয়োজনীয়তা বুঝা যায়।
৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৩৫
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: সেতুর উপর বা সমুদ্রের পাড়ে এভাবে হাঁটবেন না।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৬
মামুন রেজওয়ান বলেছেন: ইন-শা-আল্লাহ
৪| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২২
খায়রুল আহসান বলেছেন: অন্ধকারে হাঁটতে প্রথমে একটু অসুবিধে হয়। কিছুক্ষণ হাঁটলে চোখ অভ্যস্ত হয়ে যায় এবং ঘোর অন্ধকারেও আবছা আবছা দেখতে পায়।
আপনি কোন হলে থাকেন, যেখানে এখনো সাপ দেখা যায়?
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৮
মামুন রেজওয়ান বলেছেন: আমার ছোটবেলা থেকেই অন্ধকারে হাঁটার একটা অদ্ভুত অভ্যাস তৈরী হয়ে গেছে। আর সঙ্গত কারনেই আমার অবস্থানটা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করছি।
৫| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৫
রাফা বলেছেন: মানুষ যখন অন্ধকারে হাটে ,তখন সে অনেক বেশি সচেতন থাকে যেনো হোচট না খায়। আর চেনা পথে অন্ধকারে হাটা খুব বেশি কঠিন নয়।কারন মানুষ খুব সহজে সবকিছু রপ্ত করে নেয়।
আর সর্বোপরি অন্ধকারে হাটতে হলে আলো ব্যাবহার করেই হাটা উচিত।সৃষ্টিকর্তা একমাত্র মানুষের মধ্যেই সচেতনতার অনুভুতি দিয়েছেন।এবং তা অবশ্যই ব্যাবহার করা উচিত।
সাবজেক্টের জন্য বিশেষ করে ভালো লেগেছে লেখাটি।ধন্যবাদ,মা.রেজওয়ান।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫২
মামুন রেজওয়ান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। এখানে আসলে ভালোলাগার একটা ব্যাপার জড়িয়ে আছে। আর এই লেখাটা মূলত অন্ধকারে হাঁটা ব্যাপারটাতে ফোকাস করা হয়নি বরং পৃথিবীর তাবৎ বিজ্ঞান, গনিতও যে আল্লাহর এক ইশারায় মিথ্যা হয়ে যেতে পারে এটাই ছিল মূল আলোচ্য।
৬| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: অন্ধকারে হাটার দরকার টা কি?
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫২
মামুন রেজওয়ান বলেছেন: একান্ত ব্যক্তিগত ভালোলাগা।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ২:০৩
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: কিন্তু আল্লাহ তো আপনাকে অন্ধকারে হাঁটতে বলেন নাই। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর এক সাহাবার ঘটনা পড়েছেন/শুনেছেন না? তিনি উট ছেড়ে দিয়ে আল্লাহর উপর ভরসা করেতে নিছিলেন; রাসুলুল্লাহ তাকে বলেছিলেন উট বাঁধতে!
আলোও জ্বালবেন, সতর্কও হবেন, আল্লাহর উপর ভরসাও করবেন। আল্লাহ আপনার হাতে একটা নিয়ামত দিয়েছেন (আলো) আর সেটা আপনি জ্বালাবেন না? আলোটা জ্বেলেও তো আল্লাহর নেয়ামতের প্রসংশা করা যায়; নাকি?