নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আরব্য উপন্যাসের সেই মরুচারী যে সত্যান্বেষণে জীবন উৎসর্গ করে। সেই উপন্যাসের চরিত্র নিজের ভিতরে লালন পালন ও প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে এই পথচলা।

মামুন রেজওয়ান

মামুন রেজওয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

"একটি ট্রেন যাত্রা/ ক্ষনিকের ডায়েরী-১৪"

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৫৭


চিত্রঃ- গুগল হতে ডাউনলোডকৃত

(একটি ফিক্সড ডিপোজিট খুলতে চাই, পূন্যের ফিক্সড ডিপোজিট। যেটা আমার মৃত্যুর পরও আমার পূন্যের পাল্লা ভারী করতে থাকবে। এরকম কোন পদ্ধতি আছে কি? হুম আছে। মানুষের কল্যাণে আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী ভাল কাজ করে যাওয়া। মানুষকে আল্লাহর কথা শোনানো। আল্লাহর বানী মানুষের নিকট পৌঁছানো।) "

যাইহোক আলহামদুলিল্লাহ আজকে ১৪তম পর্ব #ক্ষনিকের_ডায়েরী ধারাবাহিকের। ভাল লাগলে অবশ্যই জানাবেন। খারাপ লাগলেও অবশ্যই জানাবেন। সংশোধন করে নিব ইন-শা-আল্লাহ। আর শুরুতে যে, ফিক্সড ডিপোজিটের কথা বলেছিলাম #ক্ষনিকের_ডায়েরী তারই একটি অংশ। আল্লাহ কবুল করুন।

ট্রেনে করে চট্টগ্রাম থেকে চিনকী আস্তানা যাচ্ছি, চট্টলা এক্সপ্রেসে। সাথে আছে আমার পুরো পরিবার মানে বাবা, মা, তিনটা বোন,আর বড় আপুর দুই পুচকু। আমি বাদে সবাই ঢাকা যাচ্ছে। ক্যাম্পাসে ক্লাশ শুরু হওয়ার দরুন আমাকে ফেনীর আগেই নেমে যেতে হচ্ছে। মানে খুব বেশী হলে দেঢ় ঘন্টা একসাথে যাত্রা।

আমাদের বাসা স্টেশন থেকে অনেক দূরে হওয়াই খুব ভোরে মানে ফযরের সলাত আদায় করেই আমাদের রওনা দিতে হয়েছে। আপুর দুই পুচকুকে ঘুম থেকে উঠাতে এক বিরাট কাহিনী করতে হল। ঘুম থেকে উঠিয়ে, স্থির করে, রেডী করতে করতে বেশ সময় চলে গেল। যাই হোক আল্লাহর রহমতে বাসার কাছেই খালি সি.এন.জি পাওয়াতে ঠিক সময়ের আগেই স্টেশনে পৌঁছাতে পেরেছিলাম।

ট্রেনে উঠে দুই পুচকুর সে কি ঘুম! একেবারে ছোট পুচকু নাম নিহাল ঘুমাচ্ছে তার মায়ের কোলের উপর। ঘুমন্ত নিহালের দিকে হঠাৎ করেই আমার চোখ পড়ল। দেখলাম মৃদু মৃদু মুচকি হাসছে ঘুমের ভিতরে। আর মায়ের বোরখা শক্ত করে ধরে আছে। এমনিতেই বাচ্চারা ঘুমালে দেখতে খুব সুন্দর লাগে। কিন্তু এই সৌন্দর্যের সাথে আমি আরেকটি জিনিস নিহালের মুখে দেখেছি সেটা হোল পরম নির্ভরতা। মায়ের বোরখা এমনভাবে শক্ত ধরে রেখেছে যেন মনে হচ্ছে এই বোরখা পড়া নারীটিই তার একমাত্র দুনিয়া, একমাত্র অবলম্বন। আর মায়ের দিকে তাকিয়ে দেখলাম। তিনিও ঘুমে আচ্ছন্ন কিন্তু শক্ত করে নিজের বাচ্চাকে ধরে রাখতে ভুল করছেন না। শরীর, পা নাড়াচাড়া করালেও হাত একটুও ঢিল করছেন না পুচকুর শরীর থেকে।

কি এক মায়া আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন রক্তের সম্পর্কগুলোতে! অনেকে আছেন এই সম্পর্ক ছিন্ন করতে পিছপা হন না। তাদেরকে মনে করিয়ে দিতে চাই মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ও'আ সাল্লামের একটি নির্দেশ, "কেউ আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করলে আল্লাহতায়ালাও তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করবেন। হজরত আবদুর রহমান ইবনে আওফ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আমি রহমান। আমি আত্মীয়তার জন্য আমার নাম থেকে একটি নাম বাছাই করেছি। সুতরাং যে ব্যক্তি আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখে আমি তার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখব। আর যে ব্যক্তি আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করে আমিও তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করব"। [১]

আবার অনেককে বলতে শুনি আমার বেঁচে থেকে কি লাভ? আল্লাহ শুধু আমাকেই কষ্ট দেন। তাদেরকে বলতে ইচ্ছা করে, " আরে আপনাকে আল্লাহ মা দিয়েছেন। আপনার একমাত্র আশ্রয়স্থল দিয়েছেন। আপনার হাঁটা-চলা, কথা বলা সবকিছুতে পারদর্শী করে তুলতে আপনাকে একটা পরিবার দিয়েছেন। এরচেয়ে বড় নেয়ামত আর কি হতে পারে! "
অনেক সন্তান আছে যারা কখনও নিজের মাকেই দেখেনি। কখনও নিজের বলতে কোন পরিবার পায় নি।তাদের চেয়ে কি আপনার কষ্টটা খুব বেশী? মা নামক এ নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা কি এক জীবনে দেওয়া সম্ভব!

[১]সুনানে আবু দাউদ

বিঃদ্রঃ- ধারাবাহিকটির ১৩তম পর্ব কিভাবে যেন মিসিং হয়ে গেছে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:২৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ভালোবাসা মা

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৩৪

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: আমার পুরোটা জুড়েই মা। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৩৪

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয়

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.